Author: sattersangbad24

  • বীমার মাধ্যমে দুঃসময়ে বেশ ভালোই সাহায্য পাওয়া যায়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    বীমার মাধ্যমে দুঃসময়ে বেশ ভালোই সাহায্য পাওয়া যায়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    বীমার মাধ্যমে দুঃসময়ে বেশ ভালোই সাহায্য পাওয়া যায়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বীমার মাধ্যমে দুঃসময়ে বেশ ভালোই সাহায্য পাওয়া যায়। বীমার বিষয়ে জনসচেতনতা জরুরি। বীমার প্রতি মানুষের আগ্রহ রয়েছে।’

    রোববার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বীমা দিবসের উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

    ‘বীমা দিবসে শপথ করি, উন্নত দেশ গড়ি’ এ প্রতিপাদ্যে রোববার দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে জাতীয় বীমা দিবস। বীমা শিল্পের উন্নয়ন ও বীমা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘বীমার উন্নয়নে আমরা কাজ করেছি। দুইটি আইন করেছি। জাতীয় বীমা নীতি ২০১৪ আমরা প্রনয়ন করেছি। কৃষি, পড়ালেখা, স্বাস্থ্য বীমার বিষয়ে কাজ চলছে। বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা নামে শিক্ষার জন্য একটি বীমার প্রস্তাবনা এসেছে। বিষয়টি আমরা বিবেচনায় রেখেছি। বীমাটাকে যেন মানুষ কাজ লাগাতে পারে এ জন্য লক্ষ্য রাখতে হবে। জাতির পিতা দেশকে স্বাধীন করে গেছেন। তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আমরা কাজ করছি।’

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘বীমা কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। বীমা নিয়ে সাধারণ মানুষের সচেতনতা কম। এই খাতে উৎসাহ বাড়াতে কাজ করছে সরকার। বীমার কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতি করলে দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যাবে। বীমার প্রতি গ্রাহকের আস্থা আরও বাড়বে।’

    যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর কাজ করতে সুযোগ পেয়েছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা ১৯৭২ সালে ইন্স্যুরেন্স অডিনেন্স ও ১৯৭৩ সালে ইন্স্যুরেন্স অ্যাকাডেমি গঠন করেছিলেন। তখন তিনি দেশি বিদেশ ৪৯টি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিকে জাতীয়করণ করেছিলেন। জাতির পিতা ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে শুরু করেছিলেন। তিনি বীমা শিল্পকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন।’

    এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে পাঁচজন বিশিষ্ট বীমা ব্যক্তিত্বকে বিশেষ সম্মাননা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারা হলেন- সাধারণ বীমা করপোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান খোদা বক্স, গোলাম মাওলা, বিজিআইসি প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এম এ সামাদ, জীবন বীমা করপোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল আলম এবং ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাফায়েত আহমেদ। যারা পদক পে‌য়ে‌ছেন তারা সবাই মরহুম। তা‌দের প‌ক্ষে স্বজনরা প্রধানমন্ত্রীর হাত থে‌কে পদক গ্রহণ ক‌রেন।

    বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ), বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম বীমা দিবস উপলক্ষে যৌথভাবে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় র‌্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালের ১ মার্চ তৎকালীন পাকিস্তানের আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগদান করেন। বঙ্গবন্ধু বীমা খাতে যোগদানের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে সরকার গত ১৫ জানুয়ারি ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
    সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে বীমা দিবসের উদ্বোধন করেন। বীমা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

  • মাদক সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের কাছে যেমন সাধারণ মানুষ জিম্মি! তেমনি বর্তমান স্ত্রীর নিকট বহু স্বামীরা জীবনদশায় জিম্মি

    মাদক সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের কাছে যেমন সাধারণ মানুষ জিম্মি! তেমনি বর্তমান স্ত্রীর নিকট বহু স্বামীরা জীবনদশায় জিম্মি

    মাদক সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের কাছে যেমন সাধারণ মানুষ জিম্মি! তেমনি বর্তমান স্ত্রীর নিকট বহু স্বামীরা জীবনদশায় জিম্মি

    লেখক ও সাংবাদিক শেখ এ কে আজাদঃ
    দেশের বিভিন্ন মাদক সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের কাছে সাধারণ মানুষ যেমন জিম্মি! তেমনি বর্তমান স্ত্রীর নিকট বহু স্বামীরা জিম্মিদশায় রয়েছেন ।স্ত্রীগন যা করবে সবই যেন আজ আইনের উর্দ্ধে রক্ষিত। স্ত্রীগন স্বামীর নিকট রক্ষিত, কিন্তু তারা রক্ষিত থেকে মাথাচারা দিয়ে বহু স্ত্রী স্বামীকে নির্যাতনের স্বীকার করে পথে বা আইনের হাতে সোপর্দ হচ্ছে,যা লজ্জাজনক কল্যানকর নয়।
    তারা আজ বর্তমান সময়ে আইনের দোহায় দিয়ে মানষিক দৈহিকভাবে স্বামীদের চালায় নির্যাতন। আবার সমাজের চোখে পুরুষদের করে হেনেস্থা। পান থেকে চুন খসে পড়লে তারা চারদিকে বদনাম নিয়ে বেড়ায় এসব অপরাধী মহিলা।ঘরের ভিতর থেকে তারা রাজনীতি করে করে স্বামী ঘার মুচকিয়ে খায় এবং কোৎসা রটায় সমাজের মানুষের নিকট,অপরাধী করে তুলে স্বামীদের । অপরাধী স্ত্রী ওই স্বামীকে কাপুরুষ বানিয়ে বদনাম রটাতেও পিছপা হয় না।
    প্রশাসনের নিকট সকল বিচার ব্যবস্থা থাকা এবং সমাজ থেকে বিচার প্রথা উঠে যাওয়া আজ এ দশা হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। দুঃখ আর ভারাক্রান্ত পুরুষ শাষিত সমাজ, শোষন ও বঞ্চনার স্বীকার হচ্ছে সমাজের প্রায় প্রতিটি স্বামী।
    আবার এসব স্ত্রীগন স্বামীকে আজ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করলে পুরুষ শাষিত,শোষিত স্ত্রীগন হয় নির্যাতিত। ফলে স্ত্রী অতি চালাকি করে নিজেই স্বামীর নিকট নির্যাতনের স্বীকার হয়ে আইনের আশ্রয় নেয় এসব স্ত্রীগন।
    আজ শোষিত স্ত্রীরা তারা শোষন, শাসন, নির্যাতন করে স্বামীকে যেন মরা মৃত্যুর কূপে ফেলে দেওয়ারমত ঘটনা ঘটায় অহরহ।
    তাই ধর্ম অনুসরন করে না চলায় দেশের একটি আইন শুধু মহিলাদের জন্য করা হচ্ছে। এসব আইনে মহিলারা অপরাধী না হয়ে শুধু পুরুষ শাসিত সমাজের কাঁদে বহন করতে হচ্ছে। এ আইনে মহিলাদের এক পক্ষপাতিত্ব আর কত দিন চলবে?
    স্বামী বা স্ত্রী কেউ নির্যাতন হলে সমাজের ন্যায় বিচারের জন্য আজ নেই কোন ব্যবস্থা, নেই কোন ক্ষমতা মাতাব্বরদের নিকট।
    বিচার করলে অনেক সময় সমাজের মাতাব্বর নামের লোকরা হয় হেনেস্থা।
    বাহিরে মাদকের স্বর্গরাজ্য পরিনত হলে আজ মহিলারা এর দায়ী অস্বীকার করতে পারবে না। তারা সঠিক পথে পথ চালিত না হয়ে স্বামীগন কোথায় থেকে রোজগার করে ভোরনপোষন করছে এর নেই জবাবদিহিতা।
    একজন পুরুষ পরিবারে ভালোবাসা যখন হারিয়ে ফেলে তখন সমাজের মানুষ থেকে শুনতে হয় তার নানান কুটু কথা। এসব থেকে মুক্তি পেতে বা নিজেকে ভুলে থাকতে মাদকের কাছে আত্মসমর্পণ করে নিজের জীবনকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে।
    সমাজে কোন পুরুষ স্ত্রীদের বিরুদ্ধে কখনো বিচারিক আদালতে বা সমাজে স্ত্রীর বিচারের জন্য অভিযোগ করে না। এসব স্বামীরা শুধুই মানষিক শোষন ও নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
    ফলে রাস্তায় বেড় হয়ে ঘটছে অঘটন বা দূর্ঘটনা।
    শয়তান আজ রক্তে প্রবেশ করে ছুটছে না এসব পুরুষ নির্যাতনকারী স্ত্রীদের নিকট থেকে।
    ধর্ম অনুসরণ না করে পৃথিবীতে মাটির উপর থাকা কনক্রিট বিল্ডিং দেখে এসব লোভী স্ত্রীদের লোভটা যেন দিন দিন বেড়েই চলছে।
    ধর্ম অনুযায়ী পথ অনুসরন করতে চলতে বললে তারা আজ বাগীনির রুপ ধারন করছে।
    এসব স্ত্রীগনের জন্য যারা ভালোবাসা দিয়েছেন তারা কর্মক্ষেত্রে অর্থউপার্জন করে মহারাজ্য পরিনত করে অধিক টাকা আয় করে আজ ভোগ বিলাসাতায় পরিনত করছেন।
    *তাই সমাজে এসব স্ত্রীগনদের গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দাবী করছেন ভুক্তভোগীরা স্বামীগন। বহুস্ত্রীগন ঘরের ভিতর মাথাচারা দিয়ে অপরাধ করে যাচ্ছে। তারা শুধু স্বামীকে মানষিক নির্যাতনের স্বীকার করে না, করে চলছে দৈহিক ও ঘরে মূল্যবান জিনিস ভাংচুর থেকে শুরু করে নানান কিছু। পুরুষরা আজ আইনের কারনে নির্যাতন ভোগ যেন নিত্যনৈমিত্যিক। শুধু আইন দিয়ে সঠিক ভালোবাসা অর্জন করা যায় না। একমাত্র গোয়েন্দা নজদারীর মাধ্যমে আজ পুরুষরা বেঁচে থাকার অধিকার হয়ে যাচ্ছে।

    মোহরানাঃ দেশের প্রচলিত আইনের তোয়াক্কা করে মোহরানা বিয়ের সময়কাল মুরুব্বীরা তিয়াজপাতা মনে করে যার খুশি ইচ্চেমত করে নিচ্ছে। আর কাজীরাও তাই লিখে বিপথগামী করে চলছে এসব দম্পতিদের। কাজীরা পরবর্তী পরিশোদের জন্য কাগজ কলম নিয়ে বাকী থাকা মোহরনা পরিশোধ লিখতে তাদের নিকট আসে না। ফলে জীবনকালীন সময়ে ওই মোহরনা কাগজে বাকী থেকে যায়। এটি অপরাধ বলে মনে করছি আমি। স্ত্রীগনের নিকট অনেক স্বামী আজ নির্যাতিতা,হুমকি,আইন আদালত করে মোহরনা আদায়,সন্তানের জন্য টাকা আদায়মত ঘটনা ঘটায় এসব স্ত্রীগন। যখন একজন স্ত্রী স্বামী পরিত্যাগ করে বা ছাড়া ছাড়ি হয়ে যায় এটির দায় কেন স্বামীর কাঁদে পড়বে এটি বোধগম্য নয়। যিনি ওই সন্তানকে গ্রহন করবে তারই একমাত্র দ্নায়িত্ব আর্থিক ও ভবিষ্যতের জন্য ভরন পোষন করা। স্বামী -স্ত্রীর
    ঘরে সঠিক ভালবাসা না থাকার ফলে শান্তি চলে গেছে বহুদূর।
    এসব আইন শুধু মহিলাদের জন্য না হয়ে পুরুষদের জন্য করা উচিত। নতুবা এসব আইন সংশোধন করে ঘরে বাহিরে থাকা স্বামীদের রক্ষা করা সরকারের দ্বায়িত্ব।
    তাহলে একসময় সর্বোচ্চ আইন করে এসব ভুক্তভোগি স্বামীদের জন্য স্ত্রীগন বিশ্বাস হারিয়ে ফেলবে।
    ফলে মনের রাগে ক্ষোভে মহিলারাই বেশী নির্যাতন হবে। সঠিক বিচার না পেলে পুরুষ একটির পর একটি মেয়ের জীবন নিয়ে খেলে জীবন নস্ট করতে কার্পন্যবোধ করবে না বলেও মনে করি।

  • সাভার ও ধামরাই থেকে জঙ্গি এক নারীসহ ৫ সদস্যকে আটক করেছে র‍্যাব

    সাভার ও ধামরাই থেকে জঙ্গি এক নারীসহ ৫ সদস্যকে আটক করেছে র‍্যাব

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    ঢাকা জেলার আশুলিয়া ও ধামরাই থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের এক নারীসহ ৫ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এসময় তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু উগ্রবাদী বই, লিফলেট ও ডিজিটাল কন্টেন্ট উদ্ধার করা হয়।
    শনিবার গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সাভারের আশুলিয়ার কাঠগড়া ও ধামরাই এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।

    আটক জঙ্গি সদস্যরা হলেন- ঝালকাঠি জেলার অলিউল ইসলাম সম্রাট (২৩), গোপালগঞ্জ জেলার মোয়াজ্জেম মিয়া শিহাদ (২০), দিনাজপুর জেলার সবুজ হোসেন আব্দুল্লাহ (২৬), চাঁদপুর জেলার আরিফুল হক আরিফ (২০) ও ঢাকা জেলার রাশিদা হুমায়রা (৩৩)।

    র‌্যাব-৪ মিরপুর শাখার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম সজল জানান, আটক জঙ্গি সদস্যরা দেশের প্রচলিত শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তে ইসলামের নামে তারা উগ্রবাদ ছড়িয়ে আসছিল। উগ্রবাদী সংবাদ, ব্লগ ও এতে উৎসাহ সৃষ্টি করে এমন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করতো। এছাড়া নতুন জঙ্গি সদস্য সংগ্রহ করতে তাদের ৮-১০ জনের একটি গ্রুপ দেশের বিভিন্ন জেলায় গোপন বৈঠক করে আসছিল।

    শুক্রবার দিবাগত রাতে তারা আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় গোপন বৈঠকে মিলিত হলে সংবাদ পায় র‌্যাব। পরে গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে চার জনকে আটক করলেও বেশ কয়েকজন পালিয়ে যায়। আটকদের দেওয়া তথ্য মতে পরে ধামরাই থেকে ওই নারী জঙ্গি সদস্যকে আটক করা হয়।

    তিনি আরো বলেন, আটক জঙ্গি সদস্যরা টার্গেট কিলিং মিশনে অংশ নিয়ে থাকে। এছাড়া এন্ড্রয়েড মোবাইল ও ল্যাপটপের মাধ্যমে প্রটেক্টিভ অ্যাপস ব্যবহার করে তারা কাজ করতো। এঘটনায় পলাতক বাকী জঙ্গি সদস্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা।

  • সাভারে মহাসড়কের ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করেন মানিকগঞ্জে কর্মরত এসআই

    সাভারে মহাসড়কের ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করেন মানিকগঞ্জে কর্মরত এসআই

    সাভারে মহাসড়কের ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করেন মানিকগঞ্জে কর্মরত এসআই

    নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভারঃ সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে ফুটপাত দখল করে মাছের বাজার ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে মানিগঞ্জ জেলায় কর্মরত এক পুলিশ কর্মর্তার বিরুদ্ধে। তিনি মানিকগঞ্জ জেলায় আদালতে কর্মরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইলিয়াস হোসেন। ফুটপাত দখল করে তার মাছের ব্যবসা পরিচালনার ফলে ক্ষুব্ধ স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। ফুটপাতে তার তৎপরাতাকে কেন্দ্র করে থেকেই থেমে গেছে পুলিশের ফুটপাত দখলমুক্ত রাখার অভিযানও। এভাবেই আবারো ফুটপাত দখলের মহোৎসব শুরু হয়েছে সাভারে।

    স্থানীয়রা জানান, এরআগে দীর্ঘদিন সাভারে ঢাকা উত্তর ডিবিতে কর্মরত থাকার সময় থাকার রিপন নামে এক আত্মীয়কে নিয়ে উলাইল এলাকায় অভিনেতা ডিপজলের মৎস আড়তে মাছ ব্যবসা শুরু করেন এসআই ইলিয়াস। এভাবে মাছের ব্যবসা করে বর্তমানে মহাসড়কের পাশে ফুটপাত দখল করে একের পর এক দোকান বসিয়েছেন তিনি। গত ডিসেম্বরে ঢাকা জেলা থেকে মানিকগঞ্জে তাকে বদলী করা হলেও সাভারের ফুটপাতে দোকান বসিয়ে থেমে নেই তার মাছ ব্যবসা।

    সাভার রাজ্জাক কাঁচা বাজারের একাধিক মাছ ব্যবসায়ী জানান, বাজার কর্তৃপক্ষকে মোটা অংকের জামানত ও ভাড়া দিয়ে তারা ব্যবসা করেন। কিন্তু এসআই ইলিয়াস এসে মার্কেটের সামনে চৌকি বসিয়ে মাছ ব্যবসা শুরু করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। ফুটপাতে দারোগার নামে দোকান বসিয়ে ব্যবসার প্রতিবাদ করলে ভয়ভীতি দেখানো হয় তাদের। এছাড়া ফুটপাতে তিনি যাদের বসিয়েছেন তাদের দাপটে সবসময় আতঙ্কগ্রস্ত থাকতে হয় ব্যবসায়ীদের।

    সাভার হাইওয়ে থানার এক কর্মকর্তা জানান, ফুটপাত দখলমুক্ত করতে গেলেই বলা হয় এসআই ইলিয়াস এখানে মাছের ব্যবসা করেন। এটিকে দেখিয়ে অন্য হকারাও বলে দারোগার দোকান উচ্ছেদ না করে কেন শুধু গরিব মানুষের দোকান উচ্ছেদ করেন। এতে বিব্রত হাইওয়ে পুলিশও।

    রাজ্জাক কাঁচা বাজারের স্বত্বাধিকারী আব্দুর রাজ্জাক জানান, এসআই ইলিয়াস নিজে এসে উলাইলে তার মাছের আড়তের অবিক্রিত মাছ বিক্রির জন্য বাজারে সামনের দিকে একটি দোকান বরাদ্দ চেয়েছিল। কিন্তু আগের ব্যবসায়ীর সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ না হওয়ায় দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়নি তাকে। এরপর ওই দারোগা বাজারের সামনে চৌকি বসিয়ে মাছ ব্যবসা শুরু করেন। বাজারের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে এতে আপত্তি জানালেও পুলিশের ভয়ে কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছেনা।

    সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, ফুটপাত দখলকারীদের ফুটপাতে কোন ব্যবসা করতে দেয়া হবে না।

    এব্যপারে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, পুলিশের কারো বিরুদ্ধে ফুটপাত দখলের অভিযোগ আসলে গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখা হবে।

    ঢাকা উত্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান জানান, ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে অভিযান অব্যাহত চলছে। ফুটপাত দখল করে ব্যবসা পরিচালনার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    এদিকে মানিকগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার রিফাত রহমান বলেন, তার জেলার পুলিশ অন্য জেলায় অনৈতিক কাজ করলে সেই জেলার পুলিশ দেখবে। তবে জেলা পুলিশের কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

    তবে অভিযোগের ব্যপারে জনাতে চাইলে এসআই ইলিয়াস হোসেন বলেন, ফুটপাতে আমার নাম ভাঙিয়ে কেউ ব্যবসা করছে। আমি বলে দিচ্ছি ফুটপাত থেকে তারা দোকান সরিয়ে নিবে। এছাড়া প্রতিবেদককে নিউজ না করতে অনুরোধ করে দেখা করতে চান তিনি।

  • নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ

    নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ

    নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক হেফাজত ইসলাম

    ভারতে এনআরসি ও সিএএ-এর নামে মু’সলিম গণহ’ত্যা, ম’সজিদ ধ্বং’স ও বাংলাদেশে নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্র’তিবাদে বি’ক্ষোভ সমা’বেশের ডা’ক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

    শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় হাটহাজারী মাদ্রাসার সম্মুখস্থ ডাক বাংলো চত্বরে হেফাজতে ইসলাম হাটহাজারী পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

    শুক্রবার রাতে পৌরসভা কমিটির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে নিশ্চিত করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কমিটির প্রচার সম্পাদক মাওলানা শফিউল্লাহ।

    বিক্ষোভ সমাবেশ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

    এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সংগ্রামী মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। এতে ঈমানি চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দলমত নির্বিশেষে যোগদান করার আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজত আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী। বিজ্ঞপ্তি।

  • ধামরাই সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারির বিরুদ্ধে   দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে

    ধামরাই সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে

    ধামরাই সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে

    সত্যের সংবাদ ডেক্সঃ
    ধামরাই উপজেলার ধামরাই সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই অফিসের উপ-সহকারি কর্মকর্তা ফারদিনা আফরিন টাকা ছাড়া কোন কাজই করেন না। ভূমি সংক্রান্ত যেকোন সেবার বিনিময়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন টাকা পয়সা। এই অফিসে গ্রাহকদের হয়রানি নিত্তনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    সরেজমিনে জানা গেছে, ধামরাই সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নামজারি, জমাভাগ, খাজনা আদায়, জমির পর্চা (খসড়া) তুলা সহ ভূমি সংক্রান্ত সকল কাজে সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে অনৈতিক ভাবে বাড়তি টাকা নেয়া হচ্ছে। চুক্তির টাকা ছাড়া কোন ফাইলই নড়ে না তার দপ্তর থেকে। টাকা না দিলে নির্ধারিত সময়ে কোন কাজ আদায় করা যায় না। ওই ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গ্রাহক থেকে বাড়তি টাকা নেয়ার পরও বিভিন্ন ভাবে হয়রারি করছে এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।
    সূত্রঃ দৈনিক আমার সংবাদ

  • দাঁতের ক্ষত, ব্যথা, লিভার ইনফেকশন এবং ঠান্ডা-কাশির জীবণু সারাতে ঢেঁকিশাক

    দাঁতের ক্ষত, ব্যথা, লিভার ইনফেকশন এবং ঠান্ডা-কাশির জীবণু সারাতে ঢেঁকিশাক

    দাঁতের ক্ষত, ব্যথা, লিভার ইনফেকশন এবং ঠান্ডা-কাশির জীবণু সারাতে ঢেঁকিশাক

    যে কোনো শাকই শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। নিয়মিত শাক খেলে নানা ধরনের রোগ-ব্যাধি থেকে বাঁচা যায়। আজ যে শাক নিয়ে কথা বলছি তার নাম ঢেঁকি। এ শাকে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ রয়েছে। এছাড়াও এ ঢেঁকি শাকে রয়েছে বিভিন্ন রোগের সমাধান। জেনে নিন এর
    উপকারিতা সম্পর্কে ঢেঁকি শাক খেলে দাঁতের ক্ষত বা ক্যাভিটি দূর হয়। এ শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ থাকে, যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ঢেঁকি শাক পটাসিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি আমাদের উচ্চ কিংবা নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে। তাই অস্টিওপোরেসিস এবং অন্যান্য ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগের ঝুঁকি কমায়। ফুসফুস ও ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধেও বিশেষ ভূমিকা রয়েছে এ শাকের। পুরোনো কাশি ও কাটাছেঁড়া কিংবা ঘা-ক্ষত সারিয়ে তোলে এ শাক।? ঢেঁকি শাক আমাদের বিভিন্ন রকমের ব্যথা, লিভার ইনফেকশন এবং ঠান্ডা-কাশির জীবণু ধ্বংস করে।
    সূত্র : ওয়েবসাইট

  • শেখ হাসিনা ছাড়া সবাইকেই ম্যানেজ করা যায় পাপিয়া

    শেখ হাসিনা ছাড়া সবাইকেই ম্যানেজ করা যায় পাপিয়া

    শেখ হাসিনা ছাড়া সবাইকেই ম্যানেজ করা যায় পাপিয়া

    সত্যের সংবাদ ডেক্সঃ
    পাপিয়ার কাছ থেকে জব্দকৃত বিভিন্ন মোবাইল ফোনে দেখা গেছে যে, আওয়ামী লীগসহ সরকারের বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে পাপিয়া ছবি তুলেছেন, সেলফি তুলেছেন, ফটোসেশনে পোজ দিয়েছেন।অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন তিনি। কিভাবে এটা সম্ভব হলো- যখন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা পাপিয়ার কাছে জানতে চেয়েছেন তখন পাপিয়া বলেছেন, একমাত্র শেখ হাসিনাকেই তিনি ম্যানেজ করতে পারেননি। শেখ হাসিনা ছাড়া সবাইকেই ম্যানেজ করা যায়। সবার সঙ্গেই তার সম্পর্ক রয়েছে।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ২০২০ সালের শুরু থেকেই পাপিয়া টার্গেট করেছিল যেকোন মূল্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। আর এজন্য বিপুল পরিমান টাকাও তিনি খরচ করেছিলেন। কিন্তু যারা তাকে সাক্ষাৎ করিয়ে দিতে চেয়েছিল তারা কেউই শেষ পর্যন্ত তাতে সফলকাম হননি।

    সূত্রগুলো বলছে, ২০১৯ এর ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের পরপরই পাপিয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। এই সময় তিনি একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। শেখ হাসিনার সঙ্গে একটিবার সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য অনুনয় বিনয় করেছিলেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক এক কর্মকর্তার কাছেও পাপিয়া ধর্ণা দিয়েছিলেন। ওই কর্মকর্তা তাকে আশ্বস্ত করেছিলেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে তাকে সাক্ষাৎ করিয়ে দেবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি পারেননি।

    গোয়েন্দা হেফাজতে পাপিয়া এটাও বলেছেন, অনেকের সঙ্গে তার সু সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এখন তার বিপদে কেউ তার পাশে নেই। জানা গেছে, ওই সময় মহিলা সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য পাপিয়া চেষ্টা করেছিলেন। সে কারণে তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনি শেখ হাসিনা পর্যন্ত যেতে পারেননি। শেখ হাসিনাকে ম্যানেজ করতে পারেননি এজন্যই পাপিয়ার অনুশোচনা।
    *সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, পাপিয়া মনে করেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে বা প্রশাসনে একমাত্র শেখ হাসিনা ছাড়া সবাইকে ম্যানেজ করা যায়।

    জানা গেছে যে, পাপিয়ার মোবাইলে সরকারের প্রভাবশালী এমপি মন্ত্রীদের নাম্বার সেইভ করা আছে। প্রশাসনের উর্ধ্বতন আমলাদের নাম্বারও আছে পাপিয়ার মোবাইলে। এছাড়া ঢাকার একজন এমপিসহ অন্তত ৫জন এমপির সঙ্গে পাপিয়ার অন্তরঙ্গ মেসেজ বিনিময়ের তথ্য আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছে আছে। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছে পাপিয়া স্বীকার করেছেন যে, ৩জন এমপি নিয়মিত ওয়েস্টিনে তার অতিথি হতেন।

    অনুসন্ধানে আরো দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের ৩৩ এমপিকে পাপিয়া বিভিন্ন রকম অনৈতিক উপঢৌকন দিয়েছিলেন। এর বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে নানা রকম সুবিধা আদায় করেছিলেন। গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়া এটাও স্বীকার করেছেন যে, রাজনীতিবিদদের চেয়ে আমলারা অনেক বেশি লোভী এবং তাদেরকে বশে আনা অনেক সহজতর কাজ। আমলাদের দিয়ে তিনি বিভিন্ন কাজ বাগিয়ে নিতেন বলেও জানা গেছে।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, পাপিয়া নেটওয়ার্ক বিস্তার করে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যাংককে পাচার করেছেন। ব্যাংককে তার স্কট ব্যবসা, ক্যাসিনো ব্যবসাসহ নানা রকম অবৈধ ব্যবসা রয়েছে বলে জানা গেছে। এই সমস্ত ব্যবসা দেখভাল করার জন্য তিনি নিয়মিত ব্যাংককে যেতেন বলেও জানা গেছে।

    একমাত্র আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ছাড়া আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই পাপিয়ার এ সমস্ত অপকর্মের কথা জানতো। কিন্তু তারা পাপিয়ার প্রতি নানা কারণেই দুর্বল ছিলেন। যে কারণে তারা এই বিষয়গুলো নিয়ে কোন অ্যাকশনে যাননি। পাপিয়ার উশৃঙ্খলতা, অনৈতিক কর্মকাণ্ড, দুর্নীতি অনিয়ম যখন সীমাহীন পর্যায়ে চলে যায়, তখনই আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা প্রধানমন্ত্রীর নজরে প্রথম আনেন। প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে পাপিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।

  • ভারতে বৈধ নাগরিক হলেও জীবনের মূল্য নেই, বাংলাদেশে অবৈধ উইপোকা হয়েই বেঁচে থাকা ভালোঃ সাংবাদিক করণ থাপার

    ভারতে বৈধ নাগরিক হলেও জীবনের মূল্য নেই, বাংলাদেশে অবৈধ উইপোকা হয়েই বেঁচে থাকা ভালোঃ সাংবাদিক করণ থাপার

    ভারতে বৈধ নাগরিক হলেও জীবনের মূল্য নেই, বাংলাদেশে অবৈধ উইপোকা হয়েই বেঁচে থাকা ভালোঃ সাংবাদিক করণ থাপার

    আন্তর্জাতিক ডেক্সঃ
    ভারতীয় অর্থনীতি এখন ক্ষয়িষ্ণু প্রবণতায় ভুগছে। এই অবস্থার মধ্য দিয়েই গত বছরের শেষ নাগাদ বার্ষিক উৎপাদন প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে ৫ শতাংশে। অর্থনীতির এমন বিপর্যয়ে জনতার নজর নিজেদের ব্যর্থতা থেকে দূরে সরাতেই সাম্প্রদায়িক রাজনীতির নতুন কৌশল ‘বাংলাদেশি’ অনুপ্রবেশের হুজুগ তুলেছে বিজেপিসহ হিন্দুত্ববাদী বেশ কিছু রাজনৈতিক দল।

    এই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্থা এবং সেই তুলনায় ভারতের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছেন দেশটির বিখ্যাত লেখক ও বর্ষীয়ান সাংবাদিক করণ থাপার। তার ওই মতামত ভিত্তিক কলাম প্রকাশ করে দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস। করণ থাপারের জবানিতে বাংলাদেশের উন্নতি ও ভারতের এক শীর্ষ মন্ত্রীর মিথ্যাচারের বর্ণনার কিছু অংশ এখানে তুলে ধরা হলো-

    সত্যি বলতে কি, আজকের এই পরিস্থিতির জন্য আমি অভিযোগের আঙুল প্রথমে হেনরি কিসিঞ্জারের প্রতি তুলতে চাই। ১৯৭০ এর দশকে এই মার্কিন কূটনীতিবিদ বাংলাদেশকে একটি আন্তর্জাতিক ত্রাণ ভিক্ষাকারী তলাবিহীন ঝুড়ি বলে উল্লেখ করেন। যুদ্ধ পরবর্তী ওই সময়ে, অবশ্য বাংলাদেশের পরিস্থিতি এমনটাই ছিল। সে সময়ের টেলিভিশন সংবাদে বাংলাদেশে বন্যা দুর্গত অঞ্চলের ছবিও ছিল নিত্য-নৈমেত্তিক ঘটনা। তাই কিসিঞ্জারের সংজ্ঞা সে যাত্রা টিকে গেল।

    আজকের বাংলাদেশ অবশ্য ভিন্ন এক দেশ। বাংলাদেশের ব্যাপারে পৃথিবীর দৃষ্টিভঙ্গী বদলাতে সময় লাগলেও, আমি অন্তত এই ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত। আর আমার মতো ভারতবাসীরও বাংলাদেশ নিয়ে সেই ৭০’এর দশকের আদ্যিকালের ধারণা রাখা উচিত নয়। অথচ গত সপ্তাহে আমাদের উপস্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জি কে রেড্ডি সেই কাজটাই করেছেন।

    নিজের বর্ণবাদী মনোভাব চেপে না রেখেই এই মন্ত্রী বলেছেন, নাগরিকত্ব দিলে নাকি অর্ধেক বাংলাদেশের মানুষ নিজের দেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসবেন।

    এই বক্তব্য শুধু প্রচলিত কূটনৈতিক শালীনতা লঙ্ঘন তাই নয়, এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতের সকল মানুষকে আরও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। মন্ত্রী মহোদয় বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্থান সম্পর্কে যে কিছুই জানেন না এটা তার বক্তব্যেই স্পষ্ট। নাহলে কি আর বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের তুলনা দেয়া চলে। অন্তত বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের তুলনা দেয়া পরিহাসেরই নামান্তর।

    বাংলাদেশ আজ জীবনমান আর মানব উন্নয়ন সূচকের সব কয়টিতেই ভারতের চাইতে অনেক ভালো অবস্থানে। খোলা চোখে তাকালে প্রথমেই নজরে আসে বাংলাদেশের বিপুল মোট উৎপাদন প্রবৃদ্ধি, যা এখন ঈর্ষণীয় ৮ শতাংশের ঘরে। আর ভারত তার প্রবৃদ্ধি বিজেপির শাসনামলেই ৫ শতাংশে নেমে আসতে দেখেছে।

    ভারতে এখন স্তিমিত হয়ে পড়া অর্থনীতিতে গতি ফেরানোর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে। বিনিয়োগ আকর্ষণের চাপে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন প্রকৃত বাণিজ্যিক করের আওতা নামিয়ে আনছেন ১৫ শতাংশে। বিনিয়োগ নিয়ে আমাদের অবস্থা টালমাটাল হলেও, বাংলাদেশ কিন্তু বিনিয়োগ প্রবাহ ধরে রেখেছে।

    আপনি লন্ডনে যান কি নিউইয়র্কে, সেখানের হাই স্ট্রিটগুলোতে আপনি বাংলাদেশে তৈরি পোশাক দেখতে পাবেন। সেই তুলনায় লুধিয়ানা বা ত্রিপুরায় উৎপাদিত (ভারতীয়) পোশাক খুব একটা চোখে পড়ে কি? আশ্চর্য হওয়ার কিছুই নেই, ২০১৯ সালে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ডাবল ডিজিট আকারে বেড়েছে। একই সময়ে রপ্তানি বাজারে ভারত প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে ব্যর্থ হয়।

    তবে শুধু অর্থনীতির উদাহরণ দিলেই তো একটি দেশ সম্পর্কে সব বলা যায় না। মানব উন্নয়ন প্রকৃত উন্নতির প্রধান শর্ত। সেদিকেও নজর দেওয়া দরকার।

    বাংলাদেশিদের নারী ও পুরুষদের গড় আয়ু এখন যথাক্রমে ৭৪ এবং ৭১ বছর। ভারতে যা মাত্র ৭০ এবং ৬৭ বছর।

    এক মাসের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর হার ভারতে প্রতি হাজারে ২২ দশমিক ৭৩টি। বাংলাদেশে যা মাত্র ১৭ দশমিক ১২টি। এক বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুহারেও ভারত এগিয়ে। ভারতে এই হার প্রতি হাজারে ২৯ দশমিক ১৪ এবং বাংলাদেশে ২৫ দশমিক ১৪। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুতে ভারতীয় সংখ্যা ৩৮ দশমিক ৬৯ আর বাংলাদেশে ৩০ দশমিক ১৬।

    এসব কিছুর পরেও আমাদের মন্ত্রী মহোদয় বলছেন বাংলাদেশ নাকি ভারতীয় নাগরিকত্ব দিলে খালি হয়ে যাবে। পরিসংখ্যান আরও অসংখ্য আছে। নারী শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা ইত্যাদি দিক থেকে উন্নতিতে বাংলাদেশ আজ বহু যোজন সামনে।

    তাইতো দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেছেন, ভারতের অনেক নাগরিক এখন বাংলাদেশে এসে কাজ করছেন। একথার সত্যতা সব ভারতীয়কে অনুধাবন করতে হবে।

    বিজেপি পাণ্ডাদের প্রিয় গরু খেতে কোনো বাংলাদেশি ভারতে আসে না, বরং ভারতীয়রাই সেদেশে যায়। কারণ তারা জানেন, ভারতে বৈধ নাগরিক হলেও জীবনের কোনো মূল্য নেই। তার চাইতে বরং বাংলাদেশে অবৈধ উইপোকা হয়েই বেঁচে থাকা ভালো।

  • জ্বলন্ত দিল্লিতে শান্তির এক পুজারি সেই প্রেমকান্ত ৬ মুসলিমকে বাঁচিয়ে মৃত্যু সঙ্গে লড়াই

    জ্বলন্ত দিল্লিতে শান্তির এক পুজারি সেই প্রেমকান্ত ৬ মুসলিমকে বাঁচিয়ে মৃত্যু সঙ্গে লড়াই

    জ্বলন্ত দিল্লিতে শান্তির এক পুজারি সেই প্রেমকান্ত ৬ মুসলিমকে বাঁচিয়ে মৃত্যু সঙ্গে লড়াই

    সত্যের সংবাদ ডেক্সঃ
    মুসলিমদের নিধনে হিংসার আগুনে জ্বলছে দেশের রাজধানী দিল্লি। আগুনের লেলিহান শিখা কিছুটা নিভলেও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ পর্যন্ত দিল্লির রাজপথে হিংসার বলি ৩৭। বাড়তে পারে সেই সংখ্যাও। রাজধানীর সেই আগুনের তেজ যেন ছড়িয়ে পড়ছে নানা দিকে। আড়াআড়ি ভেঙে যাচ্ছে সম্পর্ক, বন্ধুত্ব, আত্মীয়তা। জেগে উঠছে বিদ্বেষ। কিন্তু তারই মাঝে প্রেমকান্ত বাঘেলের মতো মানুষ আছেন, যাঁরা এখনও জীবনের জয়গান গাইতে পারেন মৃত্যুমুখে দাঁড়িয়েও। জ্বলন্ত দিল্লিতে শান্তির এক পুজারি যেন এই প্রেমকান্ত। মুসলমান প্রতিবেশীদের বাঁচাতে গিয়ে তাঁর শরীরের ৭০% পুড়ে গিয়েছে। তাতেও আক্ষেপ নেই তাঁর। হাসপাতালে গোঙাতে-গোঙাতে বলছেন, ‘৬ জনকে বাঁচাতে তো পারলাম!’
    শিববিহারের বাসিন্দা প্রেমকান্ত। মঙ্গলবার যখন উত্তর-পূর্ব দিল্লি পুড়ছে, লাশ পড়ছে চটপট, তখনই প্রেমকান্ত বুঝতে পারেন পরিস্থিতি সুবিধার নয় আর। এরই মধ্যে খবর পান প্রতিবেশী মুসলমানদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর ঘরে বসে থাকতে পারেননি প্রেমকান্ত। ছুটে গেছিলেন আগুন নেভাতে। পারেননি। এরপরই সিদ্ধান্ত নেন, বাঁচাতে হবে বাড়িতে আটকে পড়া মানুষগুলোকে।
    জীবনের তোয়াক্কা না করেই এরপর ওই বাড়িতে ঢুকে পড়েন প্রেমকান্ত। একে-একে বার করে আনেন ৬ জনকে। যাঁদের মধ্যে ছিলেন একজন ৭০ বছরের বৃদ্ধাও। আর প্রতিবেশীদের বাঁচাতে গিয়ে নিজের শরীরের ৭০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে প্রেমকান্তর। কিন্তু সেই অবস্থাতেও প্রেমকান্তকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও গাড়ি পাওয়া যায়নি। অ্যাম্বুল্যান্সও ডাকা হয়েছিল, কিন্তু এসে পৌঁছয়নি। সারারাত পোড়া আর যন্ত্রণাবিদ্ধ শরীর নিয়ে পড়ে থাকার পরে সকালে জিটিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে।
    প্রেমকান্তের বারবার তার মুখে শোনা গিয়েছে, ‘তিনি খুশি কারণ ৬ জনের প্রাণ বাঁচাতে পেরেছেন। এই তো ভারতবর্ষ। এই তো আমার-আপনার-সবার ভারতবর্ষ৷ প্রেমকান্ত বাঘেল সেই ভারতবর্ষেরই বীর সন্তান।