Author: sattersangbad24

  • আওয়ামীলীগের সাবেক মন্ত্রী মুরহুম অ্যাডভোকেট রহমত আলীর স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

    আওয়ামীলীগের সাবেক মন্ত্রী মুরহুম অ্যাডভোকেট রহমত আলীর স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

    আওয়ামীলীগের সাবেক মন্ত্রী মুরহুম অ্যাডভোকেট রহমত আলীর স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল করেছে বাংলাদেশ কৃষকলীগ।ছবিঃ সত্যের সংবাদ

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ অ্যাডভোকেট মো. রহমত আলীর স্মরণে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল করেছে বাংলাদেশ কৃষকলীগ।

    বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি কৃষিবিদ সমী চন্দের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, মহিলা সংসদীয় আসন-১৪ সংসদ সদস্য রহমত আলী কন্যা অধ্যাপিকা রুমানা আলী টুসি, কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি ড. এ মির্জা জলিল সাবেক সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ হাওলাদারসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা উপজেলার নেতৃবৃন্দ। বক্তারা প্রয়াত রহমত আলীর বণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন নিয়ে স্মৃতিময় আলোচনা করেন। পরে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।

  • বিএনপির আইনজীবী এখন পাপিয়ার মামলায় লড়ছে

    বিএনপির আইনজীবী এখন পাপিয়ার মামলায় লড়ছে

    বিএনপির আইনজীবী ইলতুতমিস এ্যানি এখন পাপিয়ার মামলায় লড়ছে

    ডেক্সসংবাদঃ
    মাদক ও জাল টাকার পৃথক তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার নরসিংদীর জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়ার আইনজীবী হয়ে মামলা লড়ছেন বিএনপির আইনজীবী ইলতুতমিস এ্যানি।

    গত ২২শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ বাহিনী র‍্যাব ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাপিয়া এবং তার স্বামীকে আটক করে। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী দুজন সহযোগী সহ এই দম্পতি ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন, তখন তাদের ধরা হয়।

    পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত শামীমা নূর পাপিয়া এবং তাঁর স্বামী মফিজুর রহমানের ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে এই আদেশ দেন।

    পাপিয়ার আইনজীবী হয়ে মামলা লড়ছেন বিএনপির আইনজীবী ইলতুতমিস এ্যানি। তিনি ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে ইলতুতমিস এ্যানি সেচ্ছাসেবক দল করে এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা।

    র‌্যাব বলছে, অবৈধ অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, অনৈতিক কর্মকাণ্ড, জাল নোট সরবরাহ, রাজস্ব ফাঁকি, অর্থ পাচারসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকায় পাপিয়া সহ তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১২ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে এই দম্পতি পাঁচ তারকা হোটেলের কয়েকটি বিলাসবহুল কক্ষে অবস্থান করেন। এ জন্য তাঁরা পরিশোধ করেন ৮১ লাখ ৪২ হাজার টাকা। র‌্যাবের দাবি, এই অর্থের উৎস সম্পর্কে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি এই দম্পতি।

    র‍্যাব জানায়, পাপিয়া ও তাঁর স্বামীর মালিকানায় ইন্দিরা রোডে দুটি ফ্ল্যাট, নরসিংদীতে দুটি ফ্ল্যাট ও ২ কোটি টাকা দামের দুটি প্লট, তেজগাঁওয়ে এফডিসি ফটকের কাছে গাড়ির শোরুমে ১ কোটি টাকার বিনিয়োগ এবং নরসিংদী জেলায় ‘কেএমসি কার ওয়াশ অ্যান্ড অটো সলিউশন’ নামের প্রতিষ্ঠানে ৪০ লাখ টাকা বিনিয়োগ আছে।

  • কক্সবাজারের আকস্মিকভাবে সর্বনিম্ন দরে বিক্রি হচ্ছে লবন

    কক্সবাজারের আকস্মিকভাবে সর্বনিম্ন দরে বিক্রি হচ্ছে লবন

    কক্সবাজারের আকস্মিকভাবে লবণের দাম সর্বনিম্ন দরে বিক্রি হচ্ছে লবন

    সত্যের সংবাদ ডেস্কঃ

    দেশের প্রধান লবণ উৎপাদন কেন্দ্র কক্সবাজারের মাঠে আকস্মিক লবণের দাম এযাবৎকালের সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। কক্সবাজারের কতুবদিয়া ও মহেশখালী দ্বীপের মাঠ পর্যায়ে প্রতি মণ উৎপাদিত লবণের দাম ছিল মাত্র ১৫০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কেজি লবণের দাম মাত্র ৩ টাকা ৭৫ পয়সা। অথচ প্রতি কেজি লবণ উৎপাদনে চাষিদের খরচ হয় ৬ টাকা ২৫ পয়সা। মাত্র এক সপ্তাহে দাম উদ্বেগজনকভাবে কমে গেছে। গেল সপ্তাহেও ছিল মণ প্রতি ১৮০ টাকা। লবণের দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসায় কক্সবাজার উপকূলের ৬০ হাজার লবণ চাষির ঘরে রীতিমত আহাজারি শুরু হয়েছে।

    একর প্রতি এক মৌসুমের জন্য ৭৫ হাজার টাকায় বর্গা জমি নিয়ে এবার সেই টাকাও তুলতে পারবে না- চাষিরা এমন আশঙ্কায় রয়েছেন। গেল বছর বাম্পার লবণ উৎপাদন হয়েছিল। এমনকি বিগত ৫০ বছরের উৎপাদন রেকর্ড ভঙ্গ করে ১৮ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন লবণ। চাহিদা ছিল ১৮ লাখ মেট্রিক টন। তদুপরি দামও ছিল যথেষ্ট। কিন্তু এবার মৌসুমের মধ্যভাগে এসে লবণের দাম অস্বাভাবিক ভাবে পড়ে যাওয়ায় হতাশ চাষিরা মাঠ থেকে উঠে যাচ্ছে।

    এ প্রসঙ্গে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেন, ‘উপকুলের লবণ চাষিরা উৎপাদিত লবণের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে মানববন্ধনসহ নানাভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। আমি লবণ পরিস্থিতির বিস্তারিত সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। সেই সাথে ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির ব্যাপারে আশ্বস্থ করে চাষিদের যথারীতি উৎপাদনে মনোযোগী হতে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। মহেশখালী উপজেলার নলবিলা গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হক জানান, বিগত ৪০ বছর ধরে তিনি লবণ চাষের সাথে জড়িত। লবণের উৎপাদন এখনো আশানূরুপ হচ্ছে না। এ পর্যন্ত তার জমিতে একর প্রতি লবণ উৎপাদিত হয়েছে ৫০ মণ। অথচ গতবছর এসময়ে উৎপাদন হয়েছিল একশত মন।

    তিনি জানান, ঢাকা এবং চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি শিল্প কারখানায় তিনি প্রতিমাসে লবণ সরবরাহ করতেন। বিভিন্ন শিল্প কারখানায় চাহিদা অনুযায়ী তিনি লবণ জোগান দিতেন। গত ৩/৪ বছর ধরে ওই সব কারখানার মালিক তার কাছ থেকে লবণ কিনছেন না। কারণ তারা আমদানিকারকদের কাছ থেকেই লবণ কিনছেন। কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপের আমান উল্লাহ নামের একজন লবণ চাষি জানান, আমরা ১৭ জন চাষি মিলে যৌথভাবে ১০০ কানি (৪০ একর) জমিতে লবণ চাষ করছি। একর প্রতি খরচের হিসাব হচ্ছে, একজন মজুর ৬ মাসের জন্য ৬০ হাজার টাকা, জমির বর্গা বাবদ ৭৫ হাজার টাকা, পলিথিন ও পানির খরচ ৩০ হাজার টাকাসহ মোট খরচ হয় এক লাখ ৮৫ হাজার টাকা।

    তিনি বলেন, অথচ একর প্রতি উৎপাদিত ৬৭৫ মণ লবণ বিক্রি (প্রতি মণে ১৫০ টাকা) করে পাওয়া যাবে এক লাখ ১৪ হাজার টাকা। চাষিরা এভাবে ক্ষতির মুখে পড়ে চাষ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ লবণ চাষি বাঁচাও পরিষদের আহ্বায়ক সাজেদুল করিম বলেন, আমি আমার পারিবারিক ১০০ একর জমিতে লবণ উৎপাদন করে আসছি বছরের পর বছর ধরে। গেল বছরের মৌসুমে একর প্রতি এক হাজার মণ লবণও উৎপাদন হয়েছিল। কিন্তু এবার সেই উৎপাদন নেমে গেছে অনেক নিচে। লবণের দাম অস্বাভাবিকভাবে কমে গেলেও মজুরের দামসহ অন্যান্য কোনো কিছুরই দাম কমেনি।

    বাংলাদেশ লবণ চাষি কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মোস্তফা কামাল চৌধুরীর অভিযোগ, সিন্ডিকেট করে বন্ডেড ওয়্যার হাউজ এর আওতায় ব্যাক টু ব্যাক এলসি এবং ট্যাক্স ফাঁকির মাধ্যমে ক্যামিকেল আইটেমের আড়ালে সোডিয়াম সালফেটের নামে সোডিয়াম ক্লোরাইড (খাবার লবণ) আমদানি করা হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় লবণের সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়ে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। ফলে দেশীয় লবণ চাষিরা ন্যায্য মূল্য বঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অন্যদিকে বিভিন্ন পন্থায় অবৈধভাবে লবণ আমদানি করায় সরকারও হারাচ্ছে রাজস্ব। লবণের মাঠ পর্যায়ে চাষিরা তাদের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে এখন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।

    মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক জানান, ইতিমধ্যে শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে কক্সবাজারের লবণ চাষিদের আহাজারির কথা জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, সোডিয়াম সালফেটের নামে সোডিয়াম ক্লোরাইড আমদানি বন্ধ করা না গেলে দেশীয় শিল্পটির উপর মারাত্মক বিপর্যয় নেমে আসবে। কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় এমপি আশেক উল্লাহ রফিকসহ আমরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে লবণের বাস্তবচিত্র তুলে ধরেছি। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি-কিছু অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীর কারণেই দেশীয় লবণ শিল্পে অরাজকতা দেখা দিয়েছে।

    অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা জানান, প্রধানমন্ত্রী তাদের বক্তব্য ধৈর্য্য সহকারে শুনে বলেছেন, তিনি লবণ চাষিদের যাবতীয় সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, লবণ চাষিদের স্বার্থ সংরক্ষণসহ লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা হবে। এমনকি লবণ চাষিদের আশ্বস্ত করে যথারীতি উৎপাদনের কাজে লেগে থাকার তাগিদও দিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বিসিক কক্সবাজারের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন অপরিশোধিত লবণ মাত্র উৎপাদিত হয়েছে। অথচ গেল বছর এ সময়ে উৎপাদন হয়েছিল ৩ লাখ ৮২ হাজার মেট্রিক টন লবণ। গেল বছর ৬০ হাজার একর জমিতে লবণের চাষ হয়েছিল কিন্তু এবার চাষের জমি অনেক পরিমাণে কমে যাবে। তিনি জানান, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে মাঠ জরিপ শুরু করা হবে।

    অপর দিকে, দেশীয় স্বয়ংসম্পন্ন লবণ শিল্প বাঁচাতে বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনা দিয়েছে লবণ মিল মালিক সমিতি। নেতৃবৃন্দের মতে, মন্ত্রণালয় বা অন্য সরকারি সংস্থার আওতায় নিবন্ধিত করে মধ্যস্বত্তভোগীদের কমিশন নির্দিষ্ট করে দেয়া দরকার। মৌসুমের শুরুতে লবণ চাষিদের সরকারিভাবে পলিথিন সরবরাহ করা হোক। লবণ মৌসুমের শুরুতে বিশেষ উৎসাহ-সহায়তা হিসেবে চাল বরাদ্দ করতে হবে। যাতে অভাবের তাড়নায় মধ্যস্বত্তভোগীদের কবল মুক্ত হয় তারা। তাদের মতে, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের প্রয়োজনে প্রচুর জমি অধিগ্রহণ করায় লবণ চাষের মূল জমির পরিমাণ কমে এসেছে। বেকার হয়ে গেছে চাষিরা। বিভিন্ন উপকূল সংলগ্ন নতুন করে জেগে ওঠা চরের জমি সত্যিকার লবণ মিলার ও লবণ চাষিদেরকে সহজ শর্তে বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করলে উক্ত জমিগুলো লবণ চাষের উপযোগী করে লবণ চাষের আওতা বৃদ্ধি করা যায়।

  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২ বারের বেশি গর্ভনিং বডিতে থাকতে পারবে না-হাইকোর্ট

    শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২ বারের বেশি গর্ভনিং বডিতে থাকতে পারবে না-হাইকোর্ট

    শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২ বারের বেশি গর্ভনিং বডিতে
    থাকতে পারবে না-হাইকোর্ট

    দেশের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার গর্ভনিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বা সদস্য পদে কোনো ব্যক্তি পর পর দুইবারের বেশি থাকতে পারবে না বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ জন্য একটি নীতিমালা তৈরির বিষয় বিবেচনা করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডকে বলা হয়েছে।

    বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির বৈধতা সংক্রান্ত রিট খারিজ করে এই পর্যবেক্ষণ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. হুমায়ুন কবির এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

    এ বিষয়ে হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের বলেন, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার গর্ভনিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি বিধিমালা ২০০৯ এর কোথাও সভাপতি বা সদস্য কতবার হতে পারবেন সে বিষয়ে কোন সুস্পষ্ট বিধান নেই। এ বিষয়টি নজরে আসার পর হাইকোর্ট কোনো স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার গর্ভনিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বা সদস্য হিসেবে কোনো ব্যক্তি পরপর দুইবারের বেশি হতে পারবে না বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

    মামলার বিবরণে জানা যায়, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ফুলগাছা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন অভিভাবক সদস্য নুরুল হক। রিটে একই ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ ২০১৪ সাল হতে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় একাধিকবার সভাপতি বা সদস্য নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করা হয়। মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে পর্যবেক্ষণসহ রিট আবেদনটি খারিজ করেন হাইকোর্ট।

  • সাভারের আশুলিয়ায় ফুটওভার ব্রিজ নির্মানের দাবীতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

    সাভারের আশুলিয়ায় ফুটওভার ব্রিজ নির্মানের দাবীতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

    সাভারের আশুলিয়ায় ফুটওভার ব্রিজ নির্মানের দাবীতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
    সাভারের আশুলিয়ায় ফুটওভার ব্রিজ নির্মানে অব্যবস্থাপনার কারনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এসএসসি পরিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী।

    মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়েকের বাড়ইপাড়া এলাকায় এই অবরোধ কর্মসূচী পালন করেন তারা। আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক রিজাউল হক দীপুর আশ্বাসে ১ ঘন্টা পর মহাসড়ক থেকে সরে যায় বিক্ষোভকারীরা।

    গত রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ওই এলাকার নির্মানাধীন ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে রাস্তা পারাপারের সময় ৩৩ হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুতের তাড়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যায়।

    আহত শিক্ষার্থী জোনায়েদ হোসেন ইমন (১৬) আশুলিয়ার কবিরপুর এলাকার গফুর মিয়ার ছেলে। সে আশুলিয়ার কবিরপুরের অঞ্জনা মডেল হাই স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী হিসাবে পরীক্ষা দিচ্ছিলো।

    বিক্ষোভকারীরা জানান, নবীরগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাড়ইপাড়া বাস স্ট্যান্ডে একটি ফুটওভার ব্রীজ নির্মিত হচ্ছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে। এরই মধ্যে ফুটওভারের অধিকাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তবে ফুটওভার ব্রীজের পশ্চিম ও পূর্ব উভয় পাশ দিয়ে বৈদ্যুতিক লাইন রয়েছে। ফুটওভার ব্রীজে ওঠার পূর্ব পাশের সিড়ির উপর দিয়ে ৩৩ হাজার ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক লাইনের তাড় টানা ছিলো। তবে ফুটওভার ব্রীজের পূর্বপাশের অংশ ছাউনি না দিয়েই কাজ শেষ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এছাড়া ব্রীজের উঠার উভয় পাশের সিড়ি উন্মুক্ত রেখেই চলে যায় ঠিকাদার ও তার শ্রমিকরা। পরে ওই ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে ইমন রাস্তা পারাপারের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়। সে এখন মৃত্যুশয্যায়, তার পরিক্ষা দেওয়া আর হলো না। এঘটনার বিচারের দাবিতে তারা মানববন্ধন ও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।

    এব্যাপারে সড়ক ও জনপথের প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, আমরা ব্রিজটির দুপাশের মুখ বন্ধ রেখেছিলাম, কোন কারনে খোলা হয়েছিলো। আমরা নিরাপত্তার বিষয়টিতে সবসময়ই সতর্ক অবস্থানে থাকি। ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। শীঘ্রই আহতের স্বজনের সাথে যোগাযোগ করা হবে বলেও জানান তিনি।

    আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক পবিত্র কুমার মালাকার বলেন, বিচারের আশ্বাস দিয়ে রাস্তা থেকে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সাথে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • শ্রীপুরে ড্রাম ট্রাক চাপায় ১ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত 

    শ্রীপুরে ড্রাম ট্রাক চাপায় ১ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত 

     শ্রীপুরে ড্রাম ট্রাক চাপায় ১ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত 

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, নিজস্ব প্রতিনিধি, শ্রীপুর থেকে-
    গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর এলাকায় বরমী- মাওনা সংযোগ সড়কে ড্রাম ট্রাক চাপায় এক মোটর সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে।
    নিহত মোটরসাইকেল আরোহী গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী গ্রামের ফজর আলীর ছেলে নাহিদ মোড়ল (২৮)
    (২৫ ফেব্ররুয়ারী মঙ্গলবার) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর চেরাগআলী মাজারের সামনে ওই দূর্ঘটনা ঘটে।
    পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাগেছে, বরমী থেকে বালু ভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক দ্রুতগামী মোটরসাইকেলকে পিছন থেকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হয়।

    শ্রীপুরে সংযোগ সড়কে ড্রাম ট্রাক চাপায় ১ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। ছবি-সত্যের সংবাদ।

    অপর দুই যুবককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

    শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুল হাসান জানান, ড্রাম ট্রাক চাপায় এক যুবক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছ অপর দু’জনকে স্থানীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

  • শ্রীপুরে স্বামী হত্যার ঘটনায় স্ত্রী সামিরাসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১

    শ্রীপুরে স্বামী হত্যার ঘটনায় স্ত্রী সামিরাসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১

    শ্রীপুরে স্বামী হত্যার ঘটনায় স্ত্রী সামিরাসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শ্রীপুর থেকে-

    গাজীপুরের শ্রীপুরে চাঞ্চল্যকর আব্দুর রহমান হত্যা মামলার প্রধান আসামি সামিরাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব – ১ পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের সদস্যরা ।

    সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে দশটার দিকে রাজধানীর দক্ষিণ খান এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলো, মোসাঃ সামিরা আক্তার(২৬), স্বামী-প্রয়াত আঃ রহমানের স্ত্রী। মোঃ আলী হোসেন(৫৫), উজিরপুর থানার প্রয়াত ফজলুল হকের ছেলে। , এ/পি-জয়দেবপুর (ছামিদুল এর বাসার ভাড়াটিয়া)।

    র‌্যাব -১ পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানীর কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন (জি), বিএন আজ দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোপন সংবাদের
    ভিত্তিতে রাজধানীর দক্ষিণ খান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আঃ রহমান(৫২) হত্যা মামলার প্রধান আসামি সামিরাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    র‌্যাব এর দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়,
    আসামী সামিরার ভাষ্যমতে, সামিরা নিহত ভিকটিমের ৪র্থ স্ত্রী এবং ভিকটিম পেশায় একজন জমির ব্যবসায়ী ছিলেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ভিকটিম আঃ রহমান রতন নামের তার এক ব্যবসায়িক পার্টনার এর সাথে স্ত্রী সামিরাকে দিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক যৌন কাজে লিপ্ত করে।পরে ঐ দিনই রাত অনুমানিক ১১ টার দিকে রতন নামে ঐ ব্যক্তি তাদের বাসা হতে চলে যায়। পরে আসামী সামিরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গত ১১ ফেব্রুয়ারি ভোর আনুমানিক তিনটার দিকে বাসায় থাকা ধারালো দা দ্বারা তার স্বামী আঃ রহমানকে ঘুমন্ত অবস্থায় জবাই করে এবং মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর আসামী লাশকে তোশকে মুড়িয়ে রাখে। লাশ যেন চেনা না যায় তার জন্য লাশের মুখ এসিড দিয়ে ঝলসে দেওয়া হয়। হত্যাকারী ভিকটিমের ৪র্থ স্ত্রী সামিরা হত্যা পরবর্তী ০৩ দিন একই বাসায় অবস্থান করে অবশেষে লাশ সরিয়ে ফেলতে ব্যর্থ হয়ে বাবা-মার সহায়তায় উক্ত বাসা থেকে পালিয়ে যায়।

    সে আরো জানায়, আসামী সামিরা পালিয়ে প্রথমে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার ফুলবাড়ী এলাকায় তার এক বান্ধবীর বাসায় দুই দিন আত্মগোপন করে থাকে এবং সেখান থেকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পালিয়ে তার মামার বাসা নওগাঁয় যায়, সেখানে কিছুদিন অবস্থান করে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে এসে রাজধানীর দক্ষিণ খান এলাকায় তার চাচার বাসায় আত্মগোপন করে থাকে। অবশেষে র‌্যাব তাদেরকে রাজধানীর দক্ষিণ খান এলাকা হইতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

    র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী সামিরা উক্ত খুনের ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং ঘটনার মর্মান্তিক বর্ণনা দেয়।

    র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় , আসামী সামিরা এবং ভিকটিম এর উভয়ই বাড়ী গাজীপুর শ্রীপুর এলাকায় হওয়ার সুবাদে দুজনের মধ্যে পূর্ব পরিচিত ছিল। গত ২০১৬ সালে ভিকটিম আঃ রহমার তার ২য় স্ত্রীকে নিয়ে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে বসবাস করত। সামিরা টঙ্গী সরকারী কলেজে ডিগ্রি পরীক্ষার্থী ছিল বিধায় তাদের দুজনের মধ্যে পূর্ব পরিচিতি থাকার কারণে সামিরা ভিকটিমের টঙ্গী বাসায় থেকে তার ডিগ্রি পরীক্ষা দিত, সেই সুবাদে আঃ রহমান সামিরাকে বিভিন্ন ভাবে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। অবশেষে ভিকটিম আঃ রহমান সামিরাকে কৌশলে খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ পান করিয়ে অজ্ঞান করে তার টঙ্গীর বাসায় তাকে একাধিক বার ধর্ষণ করে এবং ধর্ষনের ভিডিও ধারন করে। পরবর্তীতে ধর্ষনের ভিডিও এবং হত্যার ভয় দেখিয়ে ভিকটিম আঃ রহমান আসামী সামিরাকে বিভিন্ন সময় দিনের পর দিন ধর্ষণ করে আসে। পরে ধর্ষনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ায় সামিরার প্রথম স্বামী তাকে ডিভোর্স দেয়, তারপর থেকে সামিরা শ্রীপুর নয়নপুর এলাকায় একটি ঔষধের দোকান পরিচালনা করে জীবিকা নিবাহ করে আসিতেছিল। গত ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভিকটিম সামিরাকে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক কোর্টের মাধ্যমে বিবাহ করে এবং তাকে নিয়ে শ্রীপুর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে সংসার শুরু করে।

    উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার প্রশিকা মোড়ের দক্ষিণ পার্শ্বে বিল্লাল হোসেনের বাসা থেকে গলাকাটা অর্ধগলিত আব্দুর রহমান (৫২) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

    রবিবার (১৭ ফেব্রুয়ারী)সন্ধ্যায় বাড়িওয়ালা বিল্লাল হোসেন পঁচা গন্ধ পেয়ে শ্রীপুর থানায় খবর দেয় খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সিআইডি গাজীপুর এবং ক্রাইম সিন কে খবর দিলে সোমবার( ১৮ ফেব্রুয়ারী) রাত আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে এসে তারা অর্ধ গলিত এই লাশটি উদ্ধার করে। এ সময় র‍্যাব এর সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

  • চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক সালমান সাহ পারিবারিক কলহের জের ধরে আত্মহত্যাঃপিবিআই

    চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক সালমান সাহ পারিবারিক কলহের জের ধরে আত্মহত্যাঃপিবিআই

    চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক সালমান সাহ পারিবারিক কলহের জের ধরে আত্মহত্যাঃপিবিআই

    ডেক্স সংবাদঃ
    সালমান শাহের মৃত্যুর তেইশ বছরেরও বেশী সময় পরে বাংলাদেশের তদন্ত সংস্থা পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই) নিশ্চিত করেছে যে ওই সময়ের জনপ্রিয় এই চিত্রনায়ক পারিবারিক কলহের জের ধরে আত্মহত্যা করেছিলেন।

    ১৯৯৬ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর চিত্রনায়ক সালমান শাহকে ঢাকায় তাঁর বাসভবনে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে তার পরিবার এবং ভক্তদের অনেকেই দাবি করছিলেন যে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

    সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনায় সর্বশেষ তদন্তটি করার দায়িত্ব পায় পিবিআই। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলন করে তারা জানায় যে একাধিক সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে তারা নতুন তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছেন।

    পুলিশ বলছে, তদন্ত করার ক্ষেত্রে সালমান শাহের দেহরক্ষী, মালী, প্রতিবেশী, বাড়ির কাজের সহকারীসহ অনেক ব্যক্তির সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

    পিবিআই’র ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, “এই সাক্ষীদের প্রত্যেকেই সেই সময় সালমান শাহের একজন সহশিল্পীর সাথে তার মেলামেশা করাকে পারিবারিক কলহের একটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন”।

    তবে সালমান শাহের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর মা নীলা চৌধুরীর অভিযোগ ছিল পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করতে গেলে পুলিশ সেটিকে অপমৃত্যুর মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে।

    পুলিশ বলেছিল, অপমৃত্যুর মামলা তদন্তের সময় যদি বেরিয়ে আসে যে এটি হত্যাকাণ্ড, তাহলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে হত্যা মামলায় রূপ নেবে।

    বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অন্যতম জনপ্রিয় নায়কের আকস্মিক মৃত্যুতে তখন স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল পুরো দেশ।

    সালমান শাহের মৃত্যুকে ঘিরে যখন একের পর এক প্রশ্ন উঠতে থাকে, তখন পরিবারের দাবির মুখে দ্বিতীয়বারের মতো ময়না তদন্ত করা হয়। মৃত্যুর আটদিন পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে তিন সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।

    দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করা হলে মামলার কাজ সেখানেই থেমে যায়।

    পরে পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে পিবিআই এই মামলা আবার তদন্তের কাজ শুরু করে।

    ১৯৯২ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন সালমান শাহ।

    জনপ্রিয় একটি হিন্দি সিনেমার অফিসিয়াল রিমেক ছিল ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’। এ সিনেমাটি মুক্তির পর থেকেই চলচ্চিত্রে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেন সালমান।

    সূত্রঃবিবিসি

  • শ্রীপুরে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি দুলাল মিয়াকে আটক করেছে র‍্যাব-১

    শ্রীপুরে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি দুলাল মিয়াকে আটক করেছে র‍্যাব-১

    শ্রীপুরে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি দুলাল মিয়াকে আটক করেছে র‍্যাব-১

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শ্রীপুর থেকে-
    গাজীপুরের শ্রীপুরে অপহরণের পর হাত-পা ও মুখ বেঁধে এক কিশোরীকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি দুলাল মিয়াকে (৩৪) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১’র সদস্যরা। দুলাল শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পূর্বখণ্ড গ্রামের হাসেন আলীর ছেলে।

    সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) র‌্যাব-১’র পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

    লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, কেওয়া পূর্বখন্ড গ্রামের এক কিশোরীকে গত ২৬ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে অপহরণ করে একটি ঘরে নিয়ে আটক করে দুলাল ও তার কয়েক সহযোগী। সেখানে কিশোরীর হাত-পা ও মুখ বেঁধে তাকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় ২৮ ডিসেম্বর শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী ওই মামলার পলাতক প্রধান আসামি দুলাল রবিবার রাতে শ্রীপুর উপজেলার মাওনা এলাকায় অবস্থান করছে। এ গোপন সংবাদ পেয়ে র‌্যাব-১’র সদস্যরা সেখানে অভিযান চালিয়ে দুলালকে গ্রেপ্তার করে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

  • শ্রৗপুরে দুই কাঠ ব্যবসায়ী আটক! উৎকোচের বিনিময় মুক্ত

    শ্রৗপুরে দুই কাঠ ব্যবসায়ী আটক! উৎকোচের বিনিময় মুক্ত

    শ্রৗপুরে দুই কাঠ ব্যবসায়ী আটক! উৎকোচের বিনিময় মুক্ত

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শ্রীপুর থেকে-
    গাজীপুরের শ্রীপুরে কাঠ ব্যবসায়ীদের থানায় আটকে রেখে উৎকোচ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে এক সহকারি উপপরিদর্শক (এএসআই) মহব্বত আলীর বিরুদ্ধে।

    জানা যায়, গত রোববার দুপুরে পৌর এলাকার শিশিরচালা গ্রামের নতুন বাজার এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে শালবনের গাছ বিক্রির অপরাধে মেসার্স আনিস স-মিলের মালিক মো.আনিসুর রহমান ও উপজেলার রাজাবাড়ির জিওসি বিন্দুবাড়ি গ্রামের মৃত সেকান্দর আলীর ছেলে কাঠ ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ ওফরে নুরুদ্দিনকে আটক করে। পরে ওই দিন গভীর রাতে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে (এএসআই) মহব্বত আলীর বিরুদ্ধে।
    আটক কাঠ ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদের ভাই মো.শফিকুল ইসলাম বলেন, ফোনে পুলিশ আমাকে বড় ভাইকে আটকের বিষয়ে জানায়। এসময় তিনি (এএসআই) শালবনের কাঠ ও গাছ বিক্রির বৈধ কাজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলেন। পরে থানায় বন বিভাগের বৈধ কাজপত্রের ফটো কপি নিয়ে আসলে এগুলো নকল বলে চ্যালেঞ্চ করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। পরবর্তীতে আবার বাড়ি থেকে মূল কাজপত্র নিয়ে গেলেও একই ভাবে আমাকে গালিগালাজ করতে থাকে। মোটা অংকের টাকা ছাড়া ছাড়বে না বলেও জানায়। পূর্বেই ভাইয়ের পকেটে থাকা ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে যায় পুলিশ। পরে আমি আরো ১৫ হাজার টাকা দিলে পুলিশ ভাইকে গভীর রাতে ছেড়ে দেয়। এছাড়াও অপরজন স-মিলের মালিক মো.আনিসুর রহমানের পরিবার মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
    তবে টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে শ্রীপুর থানার এএসআই মহব্বত আলী জানান, শালবনের গাছ বিক্রির করার অভিযোগে তাদের বিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা ডাকা হয়েছিল। পরে বৈধ কাগজপত্র দেখালে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
    শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.লিয়াকত আলী জানান, আটকের পর বৈধ কাজপত্র দেখালে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে এখানে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি আমরা জানা নেই।