Author: sattersangbad24

  • আজ শুরু হলো টঙ্গীর ৫৫ তম বিশ্ব ইজতেমার ১ম পর্ব,কয়েক লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা একসঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করবেন

    আজ শুরু হলো টঙ্গীর ৫৫ তম বিশ্ব ইজতেমার ১ম পর্ব,কয়েক লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা একসঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করবেন

    • নিজস্ব প্রতিবেদক,টঙ্গীর গাজীপুর থেকেঃ

    ১০ জানুযারী শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে শুরু হলো মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। গত দুইদিন ধরে ট্রেনে, বাসে, ট্রাকে ও বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে দলে দলে মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন ইজতেমা ময়দানে। তারা তাদের জন্য জেলাওয়ারী নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিচ্ছেন। আজ সকালে মুসুল্লীরা ইজতেমার ময়দানে সমাবেত হচ্ছে। ইজতেমা ময়দানে কয়েক লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি একসঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করবেন।

    তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের বিবাদে এবারও বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে আলাদাভাবে। তবে দুই ধাপে অংশ নিবেন ৬৪ জেলার মুসল্লিরা। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আলমী সূরার মুসল্লিরা (মাওলানা জুবায়ের পক্ষ) ইজতেমা পালন করবেন ১০, ১১ ও ১২ জানুয়ারি। মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ১২ জানুয়ারি শেষ হবে প্রথম পর্বের ইজতেমা। চার দিন বিরতি দিয়ে সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা ইজতেমা পালন করবেন ১৭, ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ১৯ জানুয়ারি শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমার।
    প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার জন্য কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় থাকবে

    ইজতেমা মাঠ: ইজতেমার মাঠে সকল কাজ সম্পন্ন হয়েছে চট টাঙানোর কাজ শেষ, মূল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে, অস্থায়ী টয়লেট নির্মাণের কাজ শেষ, স্বেচ্ছাশ্রমে বালু দিয়ে মাঠ সমান করা হয়েছে। এছাড়া কেউ কেউ তাঁবু টাঙানোসহ বিভিন্ন কাজে অংশ নিয়েছেন। তুরাগ নদের ওপর সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সাতটি ভাসমান পন্টুনসেতু তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া বিদেশি মুসল্লিদের থাকার জন্য বিশেষ কামরা নির্মাণের কাজও শেষ হয়েছে।

    ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরুব্বী প্রকৌশলী মো. মাহফুজ হান্নান ও মুফতি জহির ইবনে মুসলিম জানান, ইজতেমা ময়দানের প্রস্তুতির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী ধর্মপ্রাণ মুসল্লি­রা ময়দানে স্ব-স্ব খিত্তায় এসে অবস্থান নিচ্ছেন। মুন্সিগঞ্জ জেলার মুসল্লি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ইজতেমা ময়দানে কাজ করতে পারলে নিজেকে পূণ্যবান মনে হয়, তাই স্বেচ্ছাশ্রমে ময়দানের কাজ করতে এসেছি।’

    ময়দানে দেখা গেছে, মুসল্লিদের ওজু, গোসল, পয়োনিষ্কাশন ও সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য ১৩টি গভীর নলকূপের মাধ্যমে প্রতিদিন ৩ কোটি ৫৫ লাখ গ্যালন সুপেয় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া প্রায় ৯ হাজার টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে। ইজতেমাস্থল ও আশপাশের সার্বিক নিরাপত্তা মনিটরিং করার লক্ষ্যে আটটি কন্ট্রোল রুম, পুলিশের জন্য ১৫টি ও র্যাবের জন্য ১০টি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। ইজতেমার ময়দান ও আশপাশের এলাকায় সার্বক্ষণিক বিদ্যুত সরবরাহের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইজতেমাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমে ২০ জন কর্মকর্তাসহ ২৫০ কর্মী দায়িত্ব পালন করছেন।

    এছাড়া ইজতেমা ময়দানের চারপাশের সব অবৈধ স্থাপনা ও দোকানপাট জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান করা হয়েছে। টঙ্গীর বিভিন্ন বস্তিগুলোতে মাদক, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা চলবে এসব বিষয় মনিটরিং করার জন্য সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমন্বয়ে ১৪টি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ও গাজীপুর-২ আসনের এমপি জাহিদ আহসান রাসেল জানান, বিশ্ব ইজতেমা সফল করতে এবং মুসল্লিদের সেবা প্রদানে সরকারের পক্ষ থেকে সব প্রকার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। সিটি মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা ও দোকানপাট উচ্ছেদ, মশক নিধন, অশ্লীল পোষ্টার-ব্যানার অপসারণসহ উদ্যোগ নেওয়া হয়।

    গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, এবারের ইজতেমায় পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাস্তায় কোনো দোকান বসতে পারবে না। ইতিমধ্যে ফুটপাত ও রাস্তার সব দোকান উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম জানান, ইজতেমা শুরুর আগের দিন থেকে টঙ্গী ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ৩০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করবে।

    নিরাপত্তার জন্য : ইজতেমায় পুলিশ, র‍্যাব, সাদা পোশাকধারী বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যসহ ১০ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। মাঠের নিরাপত্তা নিশ্চিতে চার শতাধিক ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও থাকছে মেটাল ডিটেক্টর, বাইনোকুলার, নাইটভিশন গগল্স, পুলিশ ও র্যাবের স্ট্রাইকিং ফোর্স, বোমা ডিসপোজাল ইউনিট, নৌ-টহল, হেলিকপ্টার টহল, মুসল্লিদের খিত্তাওয়ারী মোটরসাইকেল টহল ও বিশেষ নিরাপত্তা যন্ত্র আর্চওয়ে। প্রতিটি খিত্তায় বিশেষ টুপি পরিহিত ও সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য অবস্থান করবেন। ১১টি চেক পোস্ট, হেলিকপ্টার ওঠানামার জন্য ২টি হ্যালিপ্যাড স্থাপন করা হয়েছে। নিরাপত্তাব্যবস্থা মনিটরিংয়ের জন্য একটি প্রধান কন্ট্রোল রুম ও আটটি সাব-কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।

    খিত্তাওয়ারি মুসল্লিদের অবস্থান করবে : গাজীপুর (খিত্তা-১), টঙ্গী (খিত্তা-২, ৩ ও ৪), ঢাকা (খিত্তা-৫-১৯ ও ২৪, ২৫, ২৭, ২৮, ২৯, ৩২), রাজশাহী (খিত্তা-২০), নওগাঁ (খিত্তা-২১), নাটোর (খিত্তা-২২), চাঁপাইনবাবগঞ্জ (খিত্তা-২৩), সিরাজগঞ্জ (খিত্তা-২৬), টাঙ্গাইল (খিত্তা-৩০), নড়াইল (খিত্তা-৩১), রংপুর (খিত্তা-৩৩), নীলফামারী (খিত্তা-৩৪), কুড়িগ্রাম (খিত্তা-৩৫), লালমনিরহাট (খিত্তা-৩৬), গাইবান্ধা (খিত্তা-৩৭), মুন্সিগঞ্জ (খিত্তা-৩৮), মাগুরা (খিত্তা-৩৯), ঝিনাইদহ (খিত্তা-৪০), বগুড়া (খিত্তা-৪১), নারায়ণগঞ্জ (খিত্তা-৪২), ফরিদপুর (খিত্তা-৪৩), যশোর (খিত্তা-৪৪), সাতক্ষীরা (খিত্তা-৪৫), বাগেরহাট (খিত্তা-৪৬), নরসিংদী (খিত্তা-৪৭), ভোলা (খিত্তা-৪৮), জামালপুর (খিত্তা-৪৯), ময়মনসিংহ (খিত্তা-৫০, ৫১), মেহেরপুর (খিত্তা-৫২), চুয়াডাঙ্গা (খিত্তা-৫৩), নেত্রকোনা (খিত্তা-৫৪), কিশোরগঞ্জ (খিত্তা-৫৫), গোপালগঞ্জ (খিত্তা-৫৬), বরিশাল (খিত্তা-৫৭), রাজবাড়ি (খিত্তা-৫৮), শেরপুর (খিত্তা-৫৯), শরীয়তপুর (খিত্তা-৬০), মাদারীপুর (খিত্তা-৬১), সিলেট (খিত্তা-৬২), কক্সবাজার (খিত্তা-৬৩), রাঙ্গামাটি (খিত্তা-৬৪), খাগড়াছড়ি (খিত্তা-৬৫), সুন্দরবন (খিত্তা-৬৬), ফেনী (খিত্তা-৬৭), নোয়াখালী (খিত্তা-৬৮), লক্ষ্মীপুর (খিত্তা-৬৯), চাঁদপুর (খিত্তা-৭০), বি.বাড়িয়া (খিত্তা-৭১), খুলনা (খিত্তা-৭২), পটুয়াখালী (খিত্তা-৭৩), বরগুনা (খিত্তা-৭৪), চট্টগ্রাম (খিত্তা-৭৫), কুমিল্লা (খিত্তা-৭৬), পিরোজপুর (খিত্তা-৭৭), ঝালকাঠি (খিত্তা-৭৮), সুনামগঞ্জ (খিত্তা-৭৯), হবিগঞ্জ (খিত্তা-৮০), মৌলভীবাজার (খিত্তা-৮১), পাবনা (খিত্তা-৮২), ঠাকুরগাঁও (খিত্তা-৮৩), পঞ্চগড় (খিত্তা-৮৪), দিনাজপুর (খিত্তা-৮৫), জয়পুরহাট (খিত্তা-৮৬), কুষ্টিয়া (খিত্তা-৮৭)। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, পাবনা, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুরের খিত্তাগুলোর অবস্থান তুরাগ নদের পশ্চিমপাড়ে। এছাড়াও ৮৮, ৮৯, ৯০, ৯১, ৯২ ও ১৫(খ) নম্বর খিত্তাগুলো সংরক্ষিত হিসেবে রাখা হয়েছে।

    চিকিৎসাসেবা : টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসক ডা. মাসুদ রানা বলেন, মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, বিভিন্ন ইউনিট, ৫০ জন চিকিৎসক এবং ১৭টি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ, ইবনে সিনা, গাজীপুর সিটি করপোরেশন, র্যাব, জেলা প্রশাসনসহ ৪৫টি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান তাদের স্টলে বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হবে।

    যাতায়াতঃ
    বিশেষ ট্রেন ১৬টি টঙ্গী রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার মো. হালিমুজ্জামান জানান, এবারের বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের সুষ্ঠু যাতায়াতের জন্য ১৬টি বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু করে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা অভিমুখী সব ট্রেন পাঁচ মিনিট পর্যন্ত টঙ্গী স্টেশনে দাঁড়াবে। সাপ্তাহিক বন্ধের সব ট্রেনও ঐ সময়ে চলাচল করবে। এছাড়াও প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজন কার হয়েছে।

    গাড়ি পার্কিংয়ে বিধিনিষেধ : রেইনবো ক্রসিং হতে আবদুল্লাহপুর হয়ে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত এবং রামপুরা ব্রিজ হতে প্রগতি সরণি পর্যন্ত রাস্তা ও রাস্তার পাশে কোনো যানবাহন পার্কিং করা যাবে না। ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের যানবাহনগুলো নিম্নবর্ণিত স্থানে (বিভাগ অনুযায়ী) যথাযথভাবে পার্কিং করার আহবান জানিয়েছেন ডিএমপি পুলিশ।

  • শিশু যৌন নির্যাতন হওয়ার আশঙ্কা থেকে মুক্ত হতে সন্তানকে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দিন

    শিশু যৌন নির্যাতন হওয়ার আশঙ্কা থেকে মুক্ত হতে সন্তানকে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দিন

    • সত্যেরসংবাদ.কমঃ
      সাম্প্রতিক সময় আশংকাজনক হারে যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে শিশুরা। ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে যে কোনো বয়সী শিশু। বয়স্ক, কিশোর কিংবা মধ্যবয়স্ক কোনো অসুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের যৌন উদ্দীপনার শিকার হচ্ছে তারা। প্রতিনিয়তই শিশুকামী বা পেডোফাইলদের হাতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা।

    পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিদের শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনকে বলা হয় “পেডোফিলিয়া”। এটা এক ধরনের যৌন বিকৃতি। এই ব্যক্তিরা শিশুদের দেখে তীব্র যৌন-উত্তেজনা বোধ করে। আর সুযোগ বুঝে শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন চালায়। পুরুষদের মধ্যেই এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে চল্লিশোর্ধ্ব পুরুষদের মধ্যেই এদের সংখ্যা বেশি। নারীদের মধ্যেও এই সমস্যা দেখা যায়, তবে তুলনামূলক কম।

    মানসিক বিকারগ্রস্ত এসব মানুষ শিশুদের ওপর বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন চালায়। তাদের কর্মকাণ্ডকে “চাইল্ড সেক্সুয়াল অ্যাবিউজ” বলা হয়ে থাকে।

    ২০১৯ সালে সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আগের বছরের তুলনায় বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে বলে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বেড়েছে শিশু নির্যাতনের হারও। ২০১৯ সালে শারীরিক নির্যাতন, ধর্ষণ, অপহরণ ও নিখোঁজের পর মোট ৪৮৭ জন শিশু নিহত হয়েছে। ২০১৮-তে এই সংখ্যা ছিল ৪১৯।

    শিশু যৌন নির্যাতনগুলো কী রকম সে সম্পর্কে শিশুর বাবা-মায়ের পরিষ্কার ধারণা থাকা উচিৎ। বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয় শিশুরা। এরমধ্যে স্পর্শের একটা বিষয় থাকে। সবার ছোঁয়া বা স্পর্শের ধরণ কিন্তু এক নয়। মা-বাবা ও ভাই-বোনের ছোঁয়ায় থাকে স্নেহ-মমতা। তাতে থাকে এক অগাধ বিশ্বাস ও নিরাপত্তার আবেশ। আর অন্যদিকে, অসৎ উদ্দেশ্যপ্রবণ মানুষের ছোঁয়ায় কিন্তু সে বিষয়টি থাকে না। এমনকি শিশুকে কোলে নেওয়ার নাম করেও অ্যাবিউজ করার ঘটনাও আজকাল অনেক শোনা যায়।

    এসব মানুষ শিশুকে স্পর্শ করে ব্যথা দিয়ে এবং প্রাইভেট বডিপার্টগুলোতে হাত দিয়ে। সুযোগ পেলে এরাই হয়ে ওঠে একেকজন শিশু ধর্ষক।

    পেডোফিলিয়া: কারা দায়ী?

    পেডোফিলিয়া একধরনের সেক্সুয়াল ডিজঅর্ডার বা যৌন বিকৃতি। পেডোফিলিয়া আক্রান্ত রোগীরা কেবল শিশুদের (যারা এখনও বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছায়নি) প্রতি আসক্ত থাকে। কেন তারা এই ঘৃণ্য আচরণটি করে, তা নিয়ে ব্যাপক গবেষণা হয়েছে।

    মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, যেসব শিশু শৈশবে দীর্ঘসময় ধরে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিল এদের কেউ কেউ যৌবনে পেডোফাইলে পরিণত হয়।

    পেডোফাইলদের হাত থেকে শিশুকে বাঁচাতে করণীয়:

    – শিশু যখন তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া কোনো কিছু সম্পর্কে আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাইবে তখন সেসব তার শিশুমনের কল্পনা মনে করে উড়িয়ে দেবেন না। সেসব কথার আড়ালেই হয়তো লুকিয়ে থাকতে পারে যৌন নির্যাতনের গল্প।

    সবার আগে আপনার সন্তানকে কয়েকটি বিষয়ে শিক্ষা দিন-

    – সে যেন আপনার অনুমতি ছাড়া অপরিচিত কারও না যায়, এমনকি পরিচিত কারও কাছে যাওয়ার আগেও আপনার অনুমতি নেয়।

    – তার সঙ্গে কেউ কোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত ব্যবহার করে তা যেন অবশ্যই আপনাকে জানায়। কারও কাছ থেকে শারীরিক আঘাত পেলে যেন অবশ্যই চিৎকার করে।

    – বাবা-মাকে না জানিয়ে যেন অপরিচিত কোনো জায়গায় সে না যায়।

    – অপরিচিত বা স্বল্পপরিচিত কেউ ডাকলে বা কিছু খেতে দিলে যেন সে রাজি না হয়।

    প্রতীকী ছবি পেক্সেলস

    – নিজের শরীর সম্পর্কে শিশুকে সচেতন করে তুলুন। তাকে জানান, কোন আদর কতটুকু গ্রহণ করবে বা করবে না, তা বেছে নেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার তার। যেকোনো সময় যে কোনো আদরকে যাতে সে না বলতে পারে। শিশুকে তার সারা শরীরের বিভিন্ন অংশের (শরীরের ব্যক্তিগত অংশসহ) সঠিক (অ্যানাটমিক্যাল নাম) নাম শেখান। শরীরের স্পর্শকাতর স্থান ও প্রাইভেটপার্টস সম্পর্কে ছোট থেকেই শিশুকে সচেতন করে তুলুন। তার শরীরের কোনো স্থানে যদি কেউ অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে স্পর্শ করে, তবে অবশ্যই সে যেন আপনাকে জানায়।

    – সন্তানকে বাবা-মা, ভাইবোনের স্নেহমাখা স্পর্শ এবং অন্য স্পর্শের মধ্যকার তারতম্য সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দিন।

    – শিশুকে জানান কিছু স্পর্শ ভালো না লাগলেও সেগুলো তার শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হতে পারে। যেমন পরিষ্কার করার জন্য স্পর্শ করা, চিকিৎসকদের স্পর্শ ইত্যাদি। শিশুকে বোঝান, যখন বড়রা তাকে পরিষ্কার করা (ডায়াপার পরিবর্তন, গোসল করানো, বাথরুমে নিয়ে যাওয়া, শৌচকাজে সাহায্য করা) বা স্বাস্থ্যের (চিকিৎসককে দেখানো) বাইরে অর্থাৎ প্রয়োজন ছাড়া ব্যক্তিগত অংশ (বুক, নিতম্ব, ঠোঁট ও যৌনাঙ্গ) স্পর্শ করবে তখন তা অনিরাপদ স্পর্শ হয়ে ওঠে। এমন ধরনের কোনো স্পর্শ কোনো কারণেই মেনে না নিতে বলুন তাকে। যে আদর করার পর ভয় দেখানো হয় বা অন্যের কাছে না বলার জন্য বা একান্ত গোপন খেলা বলে ধারণা দেওয়া হয়, সেসব আদর করা মানুষকে চিহ্নিত করতে শিশুকে সাহায্য করুন।

    – শিশুর সঙ্গে গল্প করুন। আপনার অনুপস্থিতিতে সে কার কার সাথে মিশেছে, কীভাবে খেলেছে, কী খেয়েছে- এসব বিষয় গল্পছলে জেনে নিন শিশুদের কাছ থেকে।

    – হয়তো আপনি খুব ব্যস্ত থাকেন। আপনার এই ব্যস্ততার সুযোগ যেন কেউ না নিতে পারে সে ব্যবস্থা নিন।

    – সন্তান যৌন হেনস্থার শিকার হলে এবং আপনাকে বিষয়টি জানালে তা চেপে না গিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিন। যদি দায়ী ব্যক্তিটি পরিবারেরও কেউ হয়, শিশুর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।

    – কখনোই বাইরের কারও প্রতি অন্ধবিশ্বাস করে সন্তানকে তার হাতে ছেড়ে দেবেন না। আপনি জানেন না কে কখন পাশবিক হয়ে উঠবে!

    -পারলে ঘরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর ব্যবস্থা করুন

    – শিশুকে কখনও কারও সঙ্গে একা থাকতে দেবেন না।

    – শিশুর সুরক্ষায় অভিভাবককে সচেতন হতে হবে। সরকারের শিশু সুরক্ষা আইন রয়েছে।

  • দেশে কোনো রাজনৈতিক সমস্যা নেই, সমস্যা-সংকট বিএনপি’র মধ্যে রয়েছেঃ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

    দেশে কোনো রাজনৈতিক সমস্যা নেই, সমস্যা-সংকট বিএনপি’র মধ্যে রয়েছেঃ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

    • ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    ‘দেশে কোনো রাজনৈতিক সমস্যা নেই, সমস্যা-সংকট বিএনপি’র মধ্যে রয়েছে। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে দেশের মানুষ খুশি হয়েছে, কিন্তু বিএনপি খুশি হতে পারেনি, কারণ বিএনপি’র দাবিগুলো একান্ত নিজের, জনগণের বিষয় নয়। সেকারণে বিএনপি হতাশ হয়েছে, কিন্তু দেশের মানুষ খুশি হয়েছে।’তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ এর নব-নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের সাথে মতবিনিময়ে ড. হাছান মাহমুদ এ কথা বলেছেন।

    বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ এর নব-নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের সাথে মতবিনিময়ের পর সাংবাদিকরা ‘বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণে জাতি হতাশ হয়েছে’-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ মন্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি একথা বলেন। তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান, তথ্যসচিব কামরুন নাহার ও প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার এসময় উপস্থিত ছিলেন।
    মন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথায় বোঝা যাচ্ছে, বিএনপি মনেকরে দেশের সমস্যা হচ্ছে রাজনৈতিক। আসলে দেশে কোনো রাজনৈতিক সমস্যা নেই, সমস্যা বিএনপি’র মধ্যে। বিএনপিতে নেতৃত্বের দুর্বলতা, দিকনির্দেশনাহীন যাত্রা- এসব সংকট রয়েছে। বিএনপি’র সংকট সমাধান করা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাজ নয়। বিএনপি’র দাবি হচ্ছে সহসা আরেকটি নির্বাচন দেয়া। এই দাবি কিন্তু জনগণের নয়, বিএনপি’র।’
    মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায় দেশে মানুষ খুশি হয়েছে, অভিনন্দন জানিয়েছে, উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ কিভাবে এগিয়ে গেছে, সেটি যেমন ব্যাখ্যা করেছেন তেমনি দেশকে কিভাবে আরো এগিয়ে নিতে চান, সেটিও বলেছেন। দুর্নীতি, অনিয়ম, অনাচারের বিরুদ্ধে যে অভিযান তিনি শুরু করেছেন, সেটি যে অব্যাহত থাকবে তাও জানিয়েছেন। একইসাথে তিনি এটিও বলেছেন, সবক্ষেত্রে যে সাফল্য এসেছে তা নয়, কিছু ক্ষেত্রে আমাদের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে হবে।
    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে দেশের মানুষ খুশি হলেও বিএনপি খুশি হতে পারেনি, কারণ তাদের দাবিগুলো একান্ত নিজের, জনগণের বিষয় নয়। সেকারণে বিএনপি হতাশ হয়েছে, কিন্তু দেশের মানুষ খুশি হয়েছে।

    ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার আওয়ামী লীগের পক্ষপাতিত্ব করছেন’- বিএনপি’র এ অভিযোগ তুলে ধরলে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তগুলোতে বিএনপি’রই সুবিধা হচ্ছে, আর আওয়ামী লীগের অসুবিধাই হচ্ছে। ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিক সাহেবকে নির্বাচন কমিশন নোটিশ দিয়েছে, বিএনপি’র প্রার্থীকে দেয়নি।’
    মন্ত্রী বলেন, ‘লক্ষ্য করবেন, আমাদের দেশে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো মন্ত্রী এমনকি এমপিরাও নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারেন না। সংসদীয় গণতন্ত্রের অন্যান্য দেশে বিষয়টি এমন নয়। ভারত, ব্রিটেনসহ অন্যান্য অনেক দেশেই মন্ত্রী, এমপিরা তাদের পদের রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও প্রটোকল না নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন। সুতরাং নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তগুলোতে বরং বিএনপি’রই সুবিধা হচ্ছে।’
    তথ্যমন্ত্রী এসময় সাংবাদিকদেরকে অত্যন্ত মেধাবী বলে উলে­খ করে বলেন, একজন সাংবাদিক সমাজের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার সবচেয়ে সাংবাদিকবান্ধব। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট যেমন গঠন করেছি, তেমনি আমরা গণমাধ্যমকর্মীদের কল্যাণে গণমাধ্যমকর্মী আইন ও সম্প্রচার আইন প্রণয়নে কাজ করছি, যা তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য ইতোমধ্যেই পাঠানো হয়েছে।
    ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এর সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, সহ-সভাপতি নজরুল কবীর ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী’র নেতৃত্বে কার্যনির্বাহী সদস্যবৃন্দ এসময় তথ্যমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
    ডিআরইউ’র যুগ্ম-সম্পাদক হেলিমুল আলম বিপ্লব, অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবীবুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক মোঃ জাফর ইকবাল, নারী বিষয়ক সম্পাদক রীতা নাহার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাইদুর রহমান রুবেল, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন, ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ মজিবুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিজান চৌধুরী, আপ্যায়ন সম্পাদক এইচ এম আকতার, কল্যাণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, কার্যনির্বাহী সদস্য মঈনুল আহসান, এস এম মিজান, আহমেদ মুশফিক নাজনীন, কামরুজ্জামান বাবলু, মোঃ ইমরান হাসান মজুমদার, মুরাদ হোসেন এবং সায়ীদ আবদুল মালিক সভায় অংশ নেন।

  • অবশেষে নামাজ আদায়ের পর অস্ট্রেলিয়ার দাবানলে বৃষ্টির দেখা

    অবশেষে নামাজ আদায়ের পর অস্ট্রেলিয়ার দাবানলে বৃষ্টির দেখা

     

    অ’গ্নিদ’গ্ধ অস্ট্রেলিয়ায় নামাজ আদায়ের পর নেমে এল বৃষ্টি ভ’য়াবহ দা’বানল ঠেকাতে দিনের পর দিন প্রাণপাত করে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার অ’গ্নি নির্বাপক কর্মী এবং সাধারণ মানুষ।

    অবশেষে গত রবিবার স্থানীয় সময় সকালে সামান্য হলেও বৃষ্টির দেখা মিলেছে। হাফিংটন পোস্ট এবং বিবিসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। যদিও এই বৃষ্টি আ’গুন নেভাতে খুব একটা কার্যকর হচ্ছে না। বিবিসির সাংবাদিক সাই’মা খলিল বৃষ্টিভেজা গাড়ির উইন্ডোর ভিডিও দিয়ে টুইট করেছেন,

    ‘আমাদেরকে সকল অ’গ্নিনির্বাপণ কর্মীরা বারবার বলছিল, বৃষ্টি ছাড়া এই আ’গুন থামানো অসম্ভব। অবশেষে এটা হয়েছে। কিন্তু ভ’য়াবহ আ’গুন থামাতে অনেক, আরও অনেক বেশি বৃষ্টির প্রয়োজন।’ ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে হাফিংটন পোস্ট শিরোনাম করেছে, ‘এই সামান্য বৃষ্টি অস্ট্রেলিয়াকে আ’গুনের হাত থেকে রক্ষা করবে না।’

    সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে জলন্ত্ব বনের পাশে বৃষ্টিতে ভিজে অ’গ্নি নির্বাপক কর্মীদের উল্লাস করতে দেখা গেছে। এখনও প্রচণ্ড তাপমাত্রা অস্ট্রেলিয়ায়। বনের পর বন জ্বলছে। তার মাঝে প্রকৃতির সুদৃষ্টির আভাস দেখে আনন্দিত দেশটির মানুষ।

    বৃষ্টির এই ধারা যেন বেড়ে যায় সেটাই প্রার্থনা সকলের।
    সূত্র-অনলাইন

  • নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ৬ষ্ঠ স্থান

    নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ৬ষ্ঠ স্থান

    • সত্যের সংবাদঃ

    নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল বিশ্বে রোল মডেল। এর স্বীকৃতি হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইউএন উইমেন ‘প্লানেট ৫০:৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরাম ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড-২০১৬’ প্রদান করা হয়। নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারী শিক্ষার প্রতি অঙ্গীকারের জন্য প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালে ইউনেস্কোর ‘পিস ট্রি’ পুরস্কার পান। এবং এ বছর এপ্রিল মাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল ইউমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডে-২০১৮ এ ভূষিত হন।
    ২০১৫ সালে প্রকাশিত গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রির্পোট অনুযায়ী নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান এখন বিশ্বে ৬ষ্ঠ স্থানে।
    দুঃস্থ, নির্যাতিত, অসহায়, দরিদ্র ও তালাকপ্রাপ্ত ৭১ লক্ষ ভিজিডি নারী উপকারভোগীদের ২৪ মাসের সাইকেলের জন্য মাসে ৩০ কেজি পুষ্টি চাল প্রদান করা হয়েছে।
    গর্ভবতী দরিদ্র ২৭.৭৬ লক্ষ মহিলার মা ও শিশুর পুষ্টি ঘাটতি নিবারণে প্রতি ২৪ মাসের সাইকেলে মাসে ৫০০ টাকা হারে মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান করা হয়েছে।
    ২০১৮-২০১৯ অর্থবছর থেকে গর্ভবতী দরিদ্র ৭ লক্ষ মহিলার ভাতার পরিমাণ ৫০০ টাকার স্থলে ৮০০ টাকা করা হয়েছে।
    দুগ্ধবতী উপকারভোগী ১১.০৯ লক্ষ মাকে প্রতি ২৪ মাসের সাইকেলে মাসিক ৫০০ টাকা হারে ল্যাকটেটিং মা ভাতা প্রদান করা হয়েছে। ২০১৮-২০১৯ অর্থ-বছর থেকে ভাতার পরিমাণ ৫০০ টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা করা হয়েছে।
    নওগাঁ, নাটোর ও চাঁপাইনবানগঞ্জ জেলার ২২টি উপজেলায় ৫০,০০০ অতি দরিদ্র মহিলাকে ১৫,৫০০ টাকা এবং ৩০,০০০ বর্গা/প্রান্তিক চাষীকে ১০,৬০০ টাকা করে জীবিকায়নের জন্য অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
    Investment Component for Vulnerable Group Development (ICVGD) প্রকল্পের আওতায় ৭ জেলার ৮টি উপজেলায় ৮ হাজার উপকারভোগী মহিলার স্বাবলম্বীকরণে ব্যবসা পরিচালনার জন্য মাথাপিছু এককালীন ১৫,০০০ হাজার টাকা অনুদান এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
    ৮টি কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলের মাধ্যমে ১৯,৯২৯ জন কর্মজীবী নারীকে আবাসিক হোস্টেল সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।
    কর্মজীবি নারীদের আর্থিক ক্ষমতায়নের জন্য ৭৪টি ডে-কেয়ার সেন্টারের মাধ্যমে ৩৬,১৮৩ জন শিশুর দিবা যত্ন সেবা প্রদান করা হয়েছে।
    দুঃস্থ ও প্রশিক্ষিত নারীদের আয়বর্ধক কর্মকাণ্ডে সহায়তার উদ্দেশ্যে ১৭,০৫০টি সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে।
    ৬০টি ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার হতে ৩৩,৫০৩ জন নির্যাতিত নারী ও শিশুকে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করা হয়েছে।
    ৪০টি সদর হাসপাতাল এবং ২০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেল হতে ৪০,৮৪৩ জন নির্যাতিনের শিকার নারী ও শিশুকে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
    নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন ১০৯ এর মাধ্যমে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও বাল্যবিবাহ বন্ধে ৯,৮৪,১২৫টি ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে।
    নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেলের মাধ্যমে নির্যাতিতা, দুঃস্থ ও অসহায় ১,৪৩০ জন মহিলাকে আইনগত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে
    ৬৪টি জেলার ৪৯১টি উপজেলায় ০.৬৩ লক্ষ দুঃস্থ ও অসহায় মহিলার মধ্যে ৫০০০ হতে ১৫০০০ টাকা পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
    দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে দরিদ্র, বেকার ও অসহায় মহিলাদের আত্ম-কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ২.৫১ লক্ষ মহিলার মাঝে ৩৪৯০.৬২ লক্ষ টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে।
    আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
    গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলের ২৫ লক্ষ মহিলাদের তথ্য প্রযুক্তি সেবা প্রদান করা হয়েছে।
    জয়িতা ফাউন্ডেশনের আওতায় নারীর আর্থিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ঢাকায় ধানমন্ডি এলাকায় অবস্থিত শপিং মল রাপা প্লাজায় ‘জয়িতা’ নামে বিক্রয় কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এর মাধ্যমে সারাদেশে প্রায় ১৪টি মহিলা সমিতির উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী বাজারজাত করে প্রায় ১৮,০০০ জন নারী সাবলম্বী হয়ে দেশের অর্থনীতিতে ভুমিকা রাখছে।
    মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাসে উন্নীত করা হয়েছে

  • সাভারের আশুলিয়ায় অস্বাস্থ্য ও নোংরা পরিবেশে দুটি বেকারী কারখানায় র‍্যাব-৪’র অভিযানে দুজনকে আটক

    সাভারের আশুলিয়ায় অস্বাস্থ্য ও নোংরা পরিবেশে দুটি বেকারী কারখানায় র‍্যাব-৪’র অভিযানে দুজনকে আটক

    • শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    সাভারের আশুলিয়ায় অস্বাস্থ্য ও নোংরা পরিবেশে বেকারী কারখানায় খাদ্যপণ্য তৈরি ও বিক্রির অভিযোগে দুইটি বেকারীকে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে র‌্যাব-৪’র ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে না পারায় একটি বেকারীর ২ জনকে আটক করা হয়। এসময় জব্দ করা হয়েছে প্রায় ২ লাখ টাকা মূল্যের নিম্নমানের বেকারী খাদ্যপণ্য।

    ৯ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আশুলিয়ার বগাবাড়ি বাজার ও ইউনিক এলাকার দুটি বেকারীতে অভিযান পরিচালনা করেন র‌্যাব-৪ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিছুর রহমান।

    আটকৃতরা হলেন- বগাবাড়ি বাজার এলাকার আল আমিন বেকারীর মালিক বিল্লাল হোসেনের ভাই আলাউদ্দিন (৩০) ও ম্যানেজার আনারুল (৩২)।

    র‌্যাব-৪ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিছুর রহমান বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে বগাবাড়ি বাজারের আল আমিন বেকারী ও ইউনিক এলাকার মালিক ভরসা বেকারী নামে দুটি প্রতিষ্ঠান অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিস্কুট ও কেকসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য তৈরি করে আসছিল। যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।এসময় র‌্যাব-৪ নবীনগর ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর শিবলী মোস্তফাসহ অন্যান্য র‌্যাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    তিনি আরো বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেকারী দুটিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় আল আমিন বেকারীকে ৫ লাখ ও মালিক ভরসা বেকারীকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দ করা হয় প্রায় ২ লাখ টাকা সমমূল্যের নিম্নমানের বেকারী খাদ্যপণ্য। তবে তারা জরিমানার নগদ ৫ লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পারায় আল আমিনসহ বেকারী কারখানার দুই জনকে আটক করা হয় বলেও জানন।

  • ‘সাভারে চাই শুদ্ধি অভিযান’: মো. কামরুজ্জামান খান

    ‘সাভারে চাই শুদ্ধি অভিযান’: মো. কামরুজ্জামান খান

    সিনিয়র সাংবাদিক

    দুর্নীতি বিরোধী শুদ্ধি অভিযানের জ্বরে কাঁপছে দেশ। জনমনে স্বস্তির ঢেকুর। তবে যারা দুর্নীতির মাধ্যমে টাকাকড়ি অর্জন করে অল্পদিনে ধনী হয়েছেন তাদের ঘুম হারাম। অবশ্য সরকার ক্যাসিনো ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে শুদ্ধি অভিযান সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার ঘোষণা দিলেও সম্প্রতি তা থমকে গেছে। ঢাকা ও চট্টগামে ৫০টি অভিযান হলেও জেলা, উপজেলা ও পৌর এলাকায় নেই কোনো অভিযান। সারাদেশে দুর্নীতির ডালপালা ছড়িয়ে পড়লেও জেলা-উপজেলা ও পৌর এলাকায় জড়িতরা আইনের আওতায় না আসায় অভিযানের ভবিষ্যৎ নিয়ে জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে। বিদায়ী বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে প্রথম ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। সর্বশেষ গত ৩১ অক্টোবর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ময়নুল হক মঞ্জুকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর আর কোনো অভিযানের খবর পাওয়া যায়নি। যদিও সারাদেশে কয়েক হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের তদন্ত করছে র‌্যাব, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
    র‌্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র বলছে, প্রতিদিন ডাকযোগে ও নানা মাধ্যমে শত শত অভিযোগ জমা পড়ছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে। সেগুলো প্রকাশ্যে ও গোপনে যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। দুই মাসে মোট ৫০টি ক্যাসিনো ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে ৩০টি র‌্যাবের। বাকি ২০টি পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার। ১টি অভিযান রয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের। ঢাকায় ৩০টি ও চট্টগ্রামের মোট ১১টি ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। ৫০টি অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছেন ২৭৫ জন। এর মধ্যে ২২৩ জন ঢাকায়। আর বাকি ৫৩ জন ঢাকার বাইরের জেলাগুলোয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অধিকাংশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ২ জন, ঢাকার ৩ কাউন্সিলর, যুবলীগের ৬ জন ও কৃষক লীগের ১ জন। সরকার ও দুদক কর্তৃক দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আছে ৩৪ জনের বিরুদ্ধে। তালিকায় রয়েছে সংসদ সদস্যের নামও।
    শুদ্ধি অভিযানে ৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা নগদ, ১৬৬ কোটি টাকার এফডিআর, ১৩৩টি বিভিন্ন ব্যাংকের চেক, ৮ কেজি সোনা, ২৭টি অস্ত্র এবং সাড়ে ৪ হাজার বোতল মদ উদ্ধার করা হয়। অভিযানে ৫টি মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেছে পুলিশ। অভিযান শুরু হওয়ার পর দুর্নীতি দমন কমিশন এরই মধ্যে প্রভাবশালী ২৩ ব্যক্তি ও তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬০০ ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে। এ ছাড়া আরো ৫০০ ব্যক্তির বিষয়ে তদন্ত করছে দুদকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সংস্থা। ওই ৫০০ ব্যক্তির মধ্যে রয়েছেন সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মকর্তাসহ আরো অনেকে।
    রাজধানী ছাড়াও দেশের কয়েকটি শহরে শুদ্ধি অভিযানে আঁচ লাগলেও ঢাকার পাশের উপজেলা সাভারে এর কোনো বাতাস লাগেনি। অথচ গত এক দশকে বা এক যুগে সাভার-আশুলিয়ার হাতেগোনা কয়েক ডজন লোক যেন আলাদীনের চেরাগ হাতে পেয়েছেন। পাল্টে গেছে তাদের জীবনযাত্রার ধরন। সম্পদ গড়েছেন দেশে-বিদেশে। সন্তান পড়ালেখা করাচ্ছেন নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। দামি গাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লট, জমি হয়েছে বেহিসাবী আয়ে। অথচ কর অঞ্চল-১২ এর সাভার-আশুলিয়া সার্কেল (সাভার-২৫৮ ও আশুলিয়া-২৫৯) অফিসের হিসাব মতে তাদের আয়কর নথি বড়ই দুর্বল। সম্পদের তথ্য গোপন করে কোনমতে আয়কর নথি সামলাচ্ছেন এমন ব্যক্তির সংখ্যাও সাভার-আশুলিয়ায় অনেক। সরকারের মোটা অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যারা নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তাদের মধ্যে রাজনীতিবিদ ছাড়াও অদৃশ্য ব্যবসার নামে টাকার কুমির হয়েছেন এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছেন। তবে তারা অধরা থাকায় শুদ্ধি অভিযানে স্বস্তি নেই এই অঞ্চলে। রাজনীতির খোলস পাল্টে ক্যাসিনো খেলোয়াড়, দখলদার, টেন্ডারবাজ, ভূমিদস্যু, মৌসুমী ইজারাদার, ঝুট ব্যবসায়ী, পরিবহন চাঁদাবাজ, প্রতারক, টাউট-বাটপার, কি নেই এই অঞ্চলে? এখানকার জুয়ার টেবিলে উড়ে লাখ-কোটি টাকা। ইচ্ছে হলেই এখানকার টাকাওয়ালারা ভ্রমনের নামে বিদেশে উড়ে গিয়ে ডিসকো ক্লাবে উড়ান ডলার, পাউন্ড, বাথ, রুপি। অনেকের রয়েছে রঙ মহল। মদের নেশায় বুদ হয়ে অনেকে থাকেন বেসামাল। তাহলে সাভার-আশুলিয়ায় কেন নেই প্রধানমন্ত্রী নির্দেশিত শুদ্ধি অভিযানের আঁচ- এ প্রশ্ন এখন চায়ের টেবিলের আড্ডায়, ড্রয়িং রুমে, পক্ষান্তরে সর্বত্র। প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ ঘোষণা মতে, অভিযানের ব্যাপ্তি জেলা-উপজেলা ও পৌর এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে। তাই দেশের অন্যতম শিল্পাঞ্চল সাভার-আশুলিয়ার ১০ লক্ষাধিক মানুষের মনের অনেক অজানা প্রশ্নের জবাব খুঁজতে সাভার-আশুলিয়ায় আইনশৃক্সখলা বাহিনী, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মিলিত শুদ্ধি অভিযান এখন সময়ের দাবি।

    সূত্রঃসাভারসংবাদ

  • টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমায় ডিএমপি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশনা

    টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমায় ডিএমপি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশনা

    শুক্রবার বাদ ফজর তাবলিগ জামাতের নিয়মানুসারে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই বিশ্ব ইজতেমার মূল আনুষ্ঠিকতা হবে। তবে ইজতেমার মূল আকর্ষণ আম ও খাস বয়ান শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই। প্রতিবছর ধর্মীয় মহাসমাবেশটিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষ এতে সমবেত হন।

    এবার বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু ১০ থেকে ১২ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ১৭ থেকে ১৯ শেষ হবে।

    ইজতেমায় ধর্মপ্রাণ মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এসব নির্দেশনা।

    গাড়ি পার্কিংয়ের বিধিনিষেধঃ

    রেইনবো ক্রসিং হতে আব্দুল্লাহপুর হয়ে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত এবং রামপুরা ব্রিজ হতে প্রগতি সরণি পর্যন্ত রাস্তা ও রাস্তার পাশে কোনো যানবাহন পার্কিং করা যাবে না।
    ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের যানবাহনগুলো নিম্ন বর্ণিত স্থানে (বিভাগ অনুযায়ী) যথাযথভাবে পার্কিং করবেন।
    ক। চট্টগাম বিভাগ পার্কিং : গাউসুল আজম এভিনিউ (১৩ নং সেক্টর রোডের পূর্বপ্রান্ত হতে পশ্চিমপ্রান্ত হয়ে গরিবে নেওয়াজ রোড)।

    খ। ঢাকা বিভাগ পার্কিং : সোনারগাঁও জনপথ চৌরাস্তা হতে দিয়াবাড়ি খালপাড় পর্যন্ত।
    গ। সিলেট বিভাগ পার্কিং : উত্তরার ১৫ নং সেক্টর খালপাড় হতে দিয়াবাড়ি গোলচত্ত্বর পর্যন্ত।
    ঘ। খুলনা বিভাগ পার্কিং : উত্তরার ১৭ ও ১৮ নং সেক্টরের খালি জায়গা (প্রধান সড়কসহ)।
    ঙ। রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ পার্কিং : প্রত্যাশা হাউজিং।
    চ। বরিশাল বিভাগ পার্কিং : ধউর ব্রিজ ক্রসিং সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশন।
    ছ। ঢাকা মহানগর পার্কিং : উত্তরার শাহজালাল এভিনিউ, নিকুঞ্জ-১ এবং নিকুঞ্জ-২ এর আশপাশের খালি জায়গা।

    নির্র্ধারিত পার্কিং স্থানে মুসল্লিবাহী যানবাহন পার্কিংয়ের সময় অবশ্যই গাড়ির চালক/হেলপার গাড়িতে অবস্থান করবেন এবং মালিক ও চালক একে অপরের মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখবেন, যাতে বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে পারস্পরিক যোগাযোগ করা যায়।

    ডাইভারশন সংক্রান্ত নির্দেশনা (শুধু ১২ ও ১৯ জানুয়ারিঃ

    ডাইভারশন পয়েন্টে (শুধু আখেরি মোনাজাতের দিন আগামী ১২ জানুয়ারি এবং ১৯ জানুয়ারি ভোর ৪টা হতে) মহাখালী ক্রসিং, হোটেল রেডিসন গ্যাপ, প্রগতি সরণি, কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে লুপ-২, ধউর ব্রিজ, বেড়িবাঁধ সংলগ্ন উত্তরা ১৮নং সেক্টরের প্রবেশ মুখ।

    ডাইভারশন চলাকালে যেসব নিয়ম মানতে হবে

    আশুলিয়া হতে আব্দুল্লাহপুরগামী যানবাহন আব্দুল্লাহপুর না এসে ধউর ব্রিজ ক্রসিং দিয়ে ডানে মোড নিয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে।

    মহাখালী বাস টার্মিনাল হতে আব্দুল্লাহপুরগামী আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ সব প্রকার যানবাহন মহাখালী ক্রসিংয়ে বামে মোড় নিয়ে বিজয় সরণি-গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে।

    কাকলী, মিরপুর হতে উত্তরাগামী বড় বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানকে হোটেল রেডিসন গ্যাপে ডাইভারশন দেয়া হবে। উল্লিখিত যানবাহনকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য বলা হলো।

    কাকলী, মিরপুর হতে উত্তরাগামী প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজিকে নিকুঞ্জ-১ গেটের সামনে ডাইভারশন দেয়া হবে। উল্লিখিত যানবাহনকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য বলা হলো।

    প্রগতি সরণি হতে আব্দুল্লাহপুরগামী যানবাহন কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে লুপ-২ এ ডাইভারশন দেয়া হবে। উল্লিখিত যানবাহনকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য বলা হলো।

    বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের দিন বিমান অপারেশনস ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স বিমানবন্দর সড়ক ব্যবহার করে চলাচল করতে পারবে। এদিন বিমানের অপারেশনস ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত সব প্রকার যানবাহনের চালককে বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী, বিজয় সরণি হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

    আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা হতে বিদেশগামী বা বিদেশফেরৎ যাত্রীদের নিকুঞ্জ-১ হতে বিমানবন্দরে আনা-নেয়ার জন্য ট্রাফিক উত্তর বিভাগের ব্যবস্থাপনায় দুটি মিনিবাস ও দুটি মাইক্রোবাস ফ্রি পরিবহন সেবার জন্য নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার গেটে মোতায়েন থাকবে।

    ট্রাফিক সম্পর্র্কিত আরো তথ্যের জন্য যোগাযোগ-

    সহকারী পুলিশ কমিশনার, উত্তরা ট্রাফিক জোন, ডিএমপি, ঢাকা।
    ০১৭১৩৩৯৮৪৯৮
    সহকারী পুলিশ কমিশনার, এয়ারপোর্ট ট্রাফিক জোন, ডিএমপি, ঢাকা।
    ০১৭১৩৩৯৮৬৭৯
    টিআই, উত্তরা ট্রাফিক জোন, সিদ্দিক-উর রহমান ভূঁঞা
    ০১৭১৭৬৬৮১১৮।
    বিজ্ঞপ্তি

  • কৃষকের ছেলে হয়েও সাফল্য পেয়েছে ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুকের

    কৃষকের ছেলে হয়েও সাফল্য পেয়েছে ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুকের

    • সত্যেরসংবাদঃ

    চট্টগ্রাম রেঞ্জের আওতাধীন থানাগুলোর চিত্র পাল্টে যাচ্ছে। এ রেঞ্জের আওতায় সব জেলা ও উপজেলার থানাগুলোতে সেবা নিতে আসা লোকজন এখন টাকা ছাড়াই সাধারণ ডায়েরি (জিডি), অভিযোগ ও মামলা লেখা বা অন্তর্ভুক্ত করতে পারছেন। এর আগ থেকে জনসাধারণের ধারণা ছিল, থানা মানেই টাকা। টাকা ছাড়া থানায় কোন কাজ হয় না। জনসাধারণের সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক। তিনি চট্টগ্রাম রেঞ্জের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে চিত্র পাল্টে যেতে শুরু করে চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের। ‘পুলিশ শাসক নয়- জনগণের সেবক’ এই মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে জনসাধারণকে সেবা দিয়ে যাওয়ার জন্য তার কঠোর দিক নির্দেশনা রয়েছে বিভাগীয় পুলিশ বাহিনীর প্রতি।

    বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি), খন্দকার গোলাম ফারুক এক সাক্ষাৎকারে জানান তার স্বপ্ন ও স্বপ্নপূরণের কথা, পেশার চ্যালেঞ্জ, প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি। জানালেন মেধা আর শ্রমে গড়া তার আজকের জীবন।

    খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, আমি কৃষক পরিবারে জন্ম নিয়েছি। সেই সুবাদে খোলা মাঠ, বিল, ঝিল দাপিয়ে বড় হয়েছি। জমিতে চারা লাগিয়েছি, রোপা লাগিয়েছি, ধান কেটেছি। একেবারে কৃষকের মতো ছোটবেলা কাটিয়েছি। পুরোপুরি গ্রামীণ পরিবেশে বড় হয়েছি। আমার বাবা কৃষক হলেও তিনি পড়াশোনার গুরুত্ব বুঝতেন। আমাদের তাগিদ দিতেন লেখাপড়া করতে। জানা গেছে, কিশোর বয়সের একটি ঘটনা এখনও মনে দাগ কেটে আছে খন্দকার গোলাম ফারুকের। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু গিয়েছিলেন টাঙ্গাইলে। তখন ৫ম শ্রেণীতে পড়তেন ফারুক। বঙ্গবন্ধুকে দেখার জন্য সহপাঠী-বন্ধুদের সঙ্গে ট্রাকে করে জনসভায় গেলেন তিনি। খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, কাদা-পানি মাড়িয়ে বঙ্গবন্ধুকে দেখার জন্য গেলাম। লক্ষ লক্ষ লোক সেখানে। এক নজর দেখতে পারলাম বঙ্গবন্ধুকে। কী যে খুশি হলাম। জীবনে এটাই একমাত্র, বঙ্গবন্ধুকে সামনাসামনি দেখার সুযোগ।

    এসএসসি ও এইচএসসিতে ভালো ফলাফল করার পর ঢাকার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন খন্দকার গোলাম ফারুক। তখনও জীবনের লক্ষ্য ঠিক করেননি তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধা তালিকায় দ্বিতীয় হয়ে প্রথম শ্রেণীতে পাশ করার পর সেখানে শিক্ষক হওয়ার প্রস্তাব পান। তখন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের জীবন সীমাবদ্ধ মনে হয় খন্দকার গোলাম ফারুকের কাছে। এ কারণে সিদ্ধান্ত নেন বিসিএস দেয়ার।

    খন্দকার গোলাম ফারুকের জন্মঃ

    টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ঘাটানদি গ্রামে, ১৯৬৪ সালের ১ অক্টোবর। উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত গ্রামেই ছিলেন। সেখানে পড়াশোনা করেন ইব্রাহীম খাঁ সরকারি কলেজে। বাবা মৃত খন্দকার হায়দার আলী ছিলেন কৃষক। মা মোসাম্মৎ ফাতেমা বেগম গৃহিনী ছিলেন। বাবার হাত ধরে কৃষি কাজে যাওয়া খন্দকার গোলাম ফারুক ঠিকমতো পড়াশোনা করার তাগিদটাও পেতেন বাবার কাছ থেকে। কেন পুলিশ হতে চাইলেন? এমন কথার জবাবেই উঠে এল পুলিশের চাকরির প্রতি তার ভালো লাগার কথা। খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, বড় হয়ে কী হবো- সেটা নিয়ে ছোটবেলায় আমার কোন লক্ষ্য ছিল না। বড় হওয়ার পর লক্ষ্য ঠিক করলাম। আমি বিশেষত একজন কৃষিবিদ। তবুও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করার পর চিন্তা করলাম বিসিএস দিলে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং জব কোনটা? তখন আমার কাছে মনে হয়েছিল, পুলিশ।

    তবে পুলিশের চাকরি পেতে অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে খন্দকার গোলাম ফারুককে। নবম বিসিএসে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। প্রথম পছন্দ দিয়েছিলেন পুলিশ ক্যাডার, দ্বিতীয়ত প্রশাসন। নবম বিসিএস পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথমদিকে অবস্থান করেও পুলিশের চাকরি পাননি খন্দকার গোলাম ফারুক। তাকে প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দিতে বলা হয়। কারণ তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে নিয়োগ হঠাৎ বন্ধ রাখেন; তার বক্তব্য ছিল, সেনা কর্মকর্তাদের যেভাবে নিয়োগ দেয়া হয়, ঠিক সেভাবেই পুলিশে উক্ত পদে নিয়োগ দেয়া হবে।

    পুলিশ ক্যাডার না পেয়ে হতাশ হওয়ার পরিবর্তে একদম জিদ চেপে গেল খন্দকার গোলাম ফারুকের। প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান না করে পুলিশের চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করলেন। এরইমধ্যে দশম বিসিএসের মাধ্যমে আবার পুলিশ ক্যাডার নিয়োগের ঘোষণা দেয়া হয়।

    খন্দকার গোলাম ফারুক দশম বিসিএসেও প্রথম পছন্দ দেন পুলিশ, দ্বিতীয় পছন্দ প্রশাসন ক্যাডার। তবে সেবারও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদুল হাসান বিসিএস পুলিশ উঠিয়ে দিয়েছিলেন। দশম বিসিএসে সম্মিলিত মেধাতালিকায় দ্বিতীয় ও প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম হন ফারুক। কিন্তু পুলিশ ক্যাডার না থাকায় দশম বিসিএসেও তিনি যোগদান করেননি।

    খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন,দু’বার বিসিএসে পুলিশ ক্যাডার না নেয়ার পর সরকার পুলিশের জন্য স্পেশাল সার্কুলার দিল। তখন স্বপ্নপূরণের জন্য প্রশাসন ক্যাডারে দু’বার স্থান পাওয়া সত্ত্বেও যোগদান করিনি। পরবর্তীতে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৯১ সালের ২০ জানুয়ারি পুলিশে যোগদান করি।

    প্রথম কর্মস্থল ছিল বগুড়া এপিবিএনঃ

    ১৯৯৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন খন্দকার গোলাম ফারুক। ১৯৯৯ সালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি। পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পান ২০০৩ সালে। ঠাকুরগাঁও, কিশোরগঞ্জ, ঝালকাঠি, জামালপুর ও ময়মনসিংহে একে একে পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন খন্দকার গোলাম ফারুক। ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ছিলেন। এরপর ২০১৬ সালে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি হন।

    পুলিশে দীর্ঘ চাকরিজীবনে কী কী চ্যালেঞ্জ ছিল-

    এই প্রশ্নের উত্তরে ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ২৮ বছর ধরে চাকরি করছি। কত রকম চ্যালেঞ্জ তো দেখলাম পুলিশে। শেষ নেই। একাত্তরে আমি ছোট, মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে পারিনি। একাত্তরের পরবর্তীতে পুলিশে আসার পরে দেখেছি, একাত্তরের পরাজিত শক্র যারা ছিল তারা বারবার আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রতি হানা দেয়ার চেষ্টা করেছে। আমাদের দেশকে নিয়ে চিনিমিনি খেলার চেষ্টা করেছে। জঙ্গিবাদ নিয়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছি।

  • গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের নলডাঙ্গায় ড. মিজানুর রহমান আজহারীর তাফসীরুল কোরআন মাহফিলে লাখো মুসল্লির ঢল

    গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের নলডাঙ্গায় ড. মিজানুর রহমান আজহারীর তাফসীরুল কোরআন মাহফিলে লাখো মুসল্লির ঢল

    • নিজস্ব প্রতিবেদক,গাইবান্ধা থেকেঃ

    বর্তমান সময়ের আলোচিত ইসলামী বক্তা হযরত ড. মিজানুর রহমান আজহারীর তাফসীরুল কোরআন মাহফিল উপলক্ষে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা বাসীর ব্যানারে লাখো মুসল্লির ঢল নামে।

    বুধবার ৮ জানুয়ারি রাতে নলডাঙ্গা বাসীর ব্যানারে মাহফিল এন্তেজামিয়া কমিটির আয়োজনে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজ মাঠে এই মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
    এসময় ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের মধ্যে দেখা গেছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। ড. মিজানুর রহমান আজহারীর বক্তব্য শোনার জন্য এই মাহফিল স্থলে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দেড় লক্ষাধিক মুসল্লির সমাগম ঘটে বলে জানা গেছে। এসব ধর্মপ্রাণ মানুষগুলো বুধবার সকাল থেকে সমবেত হতে শুরু করে। মাহফিল স্থলে মানুষের জায়গা সংকট পড়ায় অনেকে বিভিন্ন ভবনের ছাদে, গাছের ঢালে, এবং টিনের চালে ঝুঁকি নিয়ে অবস্থান করে তার ওয়াজ শোনেন । আযহারীর ঘণ্টাব্যাপী বয়ানে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান তার ইসলামী বক্তব্য ধৈর্যের সঙ্গে শোনেন। তিনি দিন ব্যাপী শেষ দিন আখেরাত নিয়ে বয়ান করেন।
    অনুষ্ঠিত মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন নলডাঙ্গা বায়তুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি আলহাজ্ব গোলজার হোসেন মাষ্টার।
    এসময় বক্তব্য রাখেন, বগুড়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ রেজাউল করিম বাবলু, সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহারিয়ার খান বিপ্লব, নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ তরিকুল ইসলাম নয়ন, তরুন সমাজ সেবক ডঃ মিজানুর রহমান মাসুম প্রমূখ। মাহফিলের আয়োজক কমিটির সভাপতি জাকিরুল ইসলাম জাকির জানান, এই মাহফিলকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন আগে থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহীনি মোতায়নসহ নানাভাবে প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়। এর আগে আযহারী বিকেলে রংপুরের পীরগঞ্জের চতরা এলাকার আলতাব নগরে ওয়াজ-মাহফিলে উপস্থিত থেকে বয়ান করেন মিজানুর রহমান আযহারী।