Author: sattersangbad24

  • আমি খেলছি, উপভোগ করছি, যদি সুযোগ আসে চেষ্টা করব, ফুলের তোড়া নিয়ে খেলার মাঠ থেকে বিদায় দেওয়ার দরকার নেইঃ মাশরাফি বিন মুর্তজা

    আমি খেলছি, উপভোগ করছি, যদি সুযোগ আসে চেষ্টা করব, ফুলের তোড়া নিয়ে খেলার মাঠ থেকে বিদায় দেওয়ার দরকার নেইঃ মাশরাফি বিন মুর্তজা

    স্পোর্টস সংবাদঃ

    বিশ্বকাপের পর থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম আলোচনার বিষয় মাশরাফি বিন মুর্তজার অবসর। মাঝে জিম্বাবুয়েকে নিয়ে মাশরাফির অবসরের মঞ্চ সাজানোর পরিকল্পনাও করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু সে সময় বিসিবির ডাকে সাড়া দেননি ওয়ানডে অধিনায়ক।
    ইংল্যান্ড থেকে ফিরে পুরো ক্রিকেট থেকেই নিজেকে আড়ালে রাখেন মাশরাফি। অবশ্য বাংলাদেশের সূচিতে কোনো ওয়ানডে সিরিজ ছিল না। তবে অন্য সময় খেলা না থাকলেও শেরেবাংলায় প্রায় দেখা যেত ওয়ানডে অধিনায়ককে। এবার আর সেটা হয়নি।
    নতুন বছরে বাংলাদেশ সফরে আসছে জিম্বাবুয়ে। স্বাগতিকদের বিপক্ষে টেস্ট, টি-টোয়েন্টির সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজও খেলবে জিম্বাবুয়ে। তাতে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসে মাশরাফির ওয়ানডে সিরিজে অংশ নেওয়া ও অবসর নিয়ে। সেই আগ্রহ থেকেই গতকাল শুক্রবার জানতে চাওয়া হয় মাশরাফির অবসর প্রসঙ্গে। কিন্তু জবাবে অধিনায়ক অনেকটা রাগই ঝাড়লেন। জানালেন, ফুলের তোড়া নিয়ে খেলার মাঠ থেকে তাঁকে বিদায় দেওয়ার দরকার নেই। মূলত খেলাটা উপভোগ করেন বলেই চালিয়ে যাচ্ছেন নড়াইল এক্সপ্রেস।
    বিপিএলে ঢাকার হয়ে খেলছেন মাশরাফি। নিজেদের ১১তম ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমে মাশরাফি বলেন, ‘আমি যখন টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছি, তখন অনেক কারণ আমি আপনাদের (সাংবাদিকদের) বলতে পারতাম । কিন্তু আমার মনে হয় না কোনো কিছু আমি বলেছি। আমি অভিমান নিয়ে চলি না, ভাবিও না । সে সময় আমার অবসর নিয়ে আপনারা নিজেই বলতে পারবেন, আমাকে সবাই অবসর করিয়ে দিয়েছে। আমি নিজেও সে জায়গাতে অবস্থান করছি । আমি ক্রিকেট উপভোগ করি বলেই খেলছি। এখন মাঠ থেকে অবসর নেব নাকি নেব না, সেটা নিয়ে চিন্তা করিনি। সে রকম পরিস্থিতি আসলে বা ক্রিকেট বোর্ড যদি মনে করে অবসরে যেতে হবে, তাহলে চিন্তা করব। আমি আমার জায়গায় ঠিক আছি, বিপিএল খেলছি । সামনে ঢাকা লিগ খেলব, উপভোগ করব। সব সময় জাতীয় দলে খেলতে হবে এমন তো নয়।
    জাতীয় দলে না খেললে আপনি খেলোয়াড় না, এমন তো নয় । আমাকে এত প্রাধান্য দেওয়ার দরকার নেই। আমাকে সবাই মাঠ থেকে বিদায় দেবে, ফুলের তোড়া দিয়ে সবাই শুভেচ্ছা জানাবে, সেটার কোনো প্রয়োজন নেই। আমি যে রকম আছি, ভালো আছি, খেলাটা উপভোগ করছি।’
    ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে খুব বাজে কেটেছে মাশরাফির। নয় ম্যাচে পেয়েছেন মাত্র একটি উইকেট। ইকোনমিও ভালো ছিল না। ফিরেও খেলায় ছিলেন না। এরপর ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে জাতীয় দলে দেখছেন না মাশরাফি। তবে সুযোগ পেলে এখনো সেরাটা দিতে চান নড়াইল এক্সপ্রেস, ‘জাতীয় দলে খেলতে নির্বাচকদের একটা বিষয় আছে। বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচে এক উইকেট নেওয়ার পর আমি নিজেকে জাতীয় দলে দেখছি না। নির্বাচকরা যদি সুযোগ দেয় আমি বলব, এখনো সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করব। বাজে খেলার পর কীভাবে বলব যে আমি জাতীয় দলে সুযোগ পাব। আমার জায়গাতে অন্য কেউ হলে আরো আগে বাদ পড়ত।
    শ্রীলঙ্কা সিরিজে ছিলাম, ফিরে আসবার একটা সুযোগ ছিল। সাকিবও ছিল না, সবকিছু মিলিয়ে সুযোগ এসেছিল। এর পর থেকে খেলার মধ্যে আমি নেই। নির্বাচকদের সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি। তাই একপক্ষ থেকে কিছু বলতে পারছি না। আমি খেলছি, উপভোগ করছি, যদি সুযোগ আসে চেষ্টা করব। তারা যদি মনে করে আমার খেলা উচিত, অবশ্যই। কারণ দিনশেষে ক্রিকেট আমার কাছে সব। আমি মন দিয়ে খেলছি সেটা জাতীয় দলে খেলি বা না খেলি।’

  • আশুলিয়ায় তানজিনা আক্তার নামে এক পোশাক শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যুদেহ উদ্ধার

    আশুলিয়ায় তানজিনা আক্তার নামে এক পোশাক শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যুদেহ উদ্ধার

    রফিকুল ইসলাম জিল্লু,আশুলিয়া থেকেঃ

    ঢাকার আশুলিয়ায় এক পোশাক শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যুদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে আশুলিয়ার জিরানো বাজার টেঙ্গুরির কোনাপাড়া এলাকার বাচ্চু মন্ডলের ভাড়া বাড়ি থেকে তানজিনা আক্তার (২২) নামের এ মৃত্যদেহটি উদ্ধার করা হয়।

    নিহত তানজিনা আক্তার গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার সিথা গ্রামের তারা মিয়ার মেয়ে। তিনি গোহাইলবাড়ি বটতলা এলাকার ডিজাইনার ফ্যাশনে জুনিয়র অপারেটর হিসাবে কাজ করতেন।

    আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক ফরজ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মৃত্যুদেহের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
    ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছেন।

  • সাভারে একটি বিদ্যালয়ের মাঠে ৯৩ ক্লাবের উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ

    সাভারে একটি বিদ্যালয়ের মাঠে ৯৩ ক্লাবের উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ

    সাভারে একটি বিদ্যালয়ে ৯৩ ক্লাবের উদ্যোগে ১ হাজার দুস্থদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকেঃ
    সাভারে শীতবস্ত্র বিতরণ শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করেছেন সামাজিক সংগঠন ক্লাব-৯৩।

    শুক্রবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে সাভারের ঐতিহ্যবাহী অধরচন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়। প্রায় সহস্রাধিক শীতার্তদের মাঝে এই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়ে।

    ক্লাবের যুগ্ম আহবায়ক কামরুল হাসান শাহীন জানান, পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ১ হাজারের বেশি শীতার্তদের মাঝে কম্বল গ্রহণের কার্ড বিতরণ করেন সংগঠনটি বিভিন্ন সদস্যরা। কম্বল গ্রহণের সেই কার্ড দেখে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

    সংগঠনটির আহবায়ক ওবায়দুর রহমান অভি জানান, ক্লাব ৯৩ একটি সামাজিক সংগঠন হিসেবে কাজ করছে। সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সামাজিক ও সেবামূলক কাজকর্ম করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হলো। তিনি আরো বলেন আমাদের এই ক্লাব-৯৩ এ ডাক্তার, এডভোকেট, সরকারি কর্মকর্তা ও সাংবাদিক সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সদস্য রয়েছে। তাদের সবার সহযোগিতায় আমাদের ক্লাব-৯৩ আগামীতেও এ ধরনের সেবামূলক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
    তিনি আরো জানান,আগামীকাল শনিবার সাভারের পক্ষাঘাত গ্রস্তদের পুনর্বাসনকেন্দ্র সিআরপিতে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হবে।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক কামরুল হাসান শাহীন ক্লাবের অন্যন্য সদস্যগন।

  • সারাদেশে একযোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    সারাদেশে একযোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    ষ্টাফ রিপোর্টারঃজাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরু উদ্বোধনন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাজাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আনুষ্ঠানিকভাবে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা ঘোষণা করেন তিনি। পাশাপাশি মুজিববর্ষের লোগো উন্মোচন করেছেন।পুরাতন আন্তর্জাতিক বিমানবন্ধর থেকে এ ক্ষনগননার উদ্বোধন করা হয়।

    শুক্রবার (১০ জানুয়ারি)প্রধানমন্ত্রী জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা ঘোষণা করার পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্থাপিত ক্ষণগণনার ৮৩টি ঘড়ি চালু হয়েছে বলে জানা গেছে।

    মুজিব জন্মশতবর্ষের বছরব্যাপী কার্যক্রম আগামী ১৭ মার্চ থেকে শুরু হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটি সূত্র বিষয়টি জানিয়েছে।

    ক্ষণগণনার অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রতীকী বিমান অবতরণ, বিমান থেকে আলোক প্রক্ষেপণ ও তোপধ্বনি, প্রতীকী গার্ড অব অনারের আয়োজন করা হয়। দেশব্যাপী ১২টি সিটি করপোরেশনের ২৮টি জায়গায়, বিভাগীয় শহর, ৫৩ জেলা, দুই উপজেলা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীতে বসানো ৮৩টি স্থানে ক্ষণগণনার ঘড়ি সচল করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

  • লাখ লাখ মুসুল্লি জুম্মার নামাজে অংশগ্রহনে বিশ্ব ইজতেমা শুরু

    লাখ লাখ মুসুল্লি জুম্মার নামাজে অংশগ্রহনে বিশ্ব ইজতেমা শুরু

    লাখ লাখ মুসুল্লি শুক্রবার জুম্মার নামাজে অংশগ্রহনে বিশ্ব ইজতেমা শুরু।। নামাজ শেষ মুসলিম উম্মার জন্য দোয়া।

    মুসুল্লি

  • যোগাযোগ প্রক্রিয়া কি? কিভাবে যোগাযোগ করে কাঙ্খিত ফলাফল পেতে পারি

    যোগাযোগ প্রক্রিয়া কি? কিভাবে যোগাযোগ করে কাঙ্খিত ফলাফল পেতে পারি

    যোগাযোগ প্রক্রিয়া কি? কিভাবে যোগাযোগ করে কাঙ্খিত ফলাফল পেতে পারি

    যোগাযোগের জন্য সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, উপাদান, মাধ্যম ও পদ্ধতি সমূহ জানা দরকার রয়েছে আমাদের সকলের।

    মানুষ পৃথিবীতে আর্বিভাবের পর থেকে একে অপরের সাথে যোগাযোগ শুরু করে নিজেদের প্রয়োজনের কারণে। প্রথম অবস্থায় মানুষ ইশারায় বা সাংকৃতিক ভাষায় যোগাযোগ রক্ষা করে চলতেন। পরবর্তীতে ভাষার পূর্ণ বিকাশ ঘটলে একে অপরের সাথে শব্দ বা বাক্যের বিণিময়ে যোগাযোগ প্রচনলন শুরু হয়। বর্ণমালা আবিস্কারের পর মানুষ লিখিত যোগাযোগের প্রচলন ঘটান। পরবর্তীতে যোগাযোগ প্রযুক্তি আবিস্কার হলে যোগাযোগ মাধ্যমের বিপ্লব ঘটে। বর্তমানে, রেডিও, টেলিভিশন, প্রিন্ট মিডিয়া,অনলাইন মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইন্টারনেট ভিত্তিক যোগাযোগ প্রবস্থা যোগাযোগ মাধ্যম কে অধিক সহজ ও গতিশীল করেছে । এতে যেমন সময়ের সাশ্রয় হয় এবং তথ্য আদান প্রদান ঘটে মহুর্তের মধ্যে। নিম্নে যোগাযোগ ব্যবস্থার নানা দিক তুলে ধরা হলো।

    যোগাযোগঃ যোগাযোগ শব্দের ইংরেজী প্রতিশব্দ হলো- Communication।

    যোগাযোগের সংজ্ঞাঃ যোগাযোগ বলতে আমরা একে অপরের সাথে ভাবের এবং তথ্যের আদান প্রদান কে বুঝে থাকি।
    Oxford Dictionary তে বলা হয়েছে, যোগাযোগ বলতে বুঝায় কোন কিছু জ্ঞাত করা, প্রদান করা এবং অংশ গ্রহন করা।

    অনলাইন ভিত্তিক মারিয়াম ওয়েব সাইটে বলা আছে, A process by which information is exchanged between individuals through a common system of symbols, signs, or behavior the function of pheromones in insect communication also : exchange of information.

    ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার উপায় নিম্নের বিষয়গুলোর উপর খেয়াল রাখতে হবে;

    ১. সার্বিক বিষয় আয়ত্ব করাঃ
    যেকোন যোগাযোগ (আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক) শুরু করতে হলে সার্বিক বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে পারিপার্শ্বিক সম্পর্কে জ্ঞাত থাকা জরুরী, নচেৎযোগাযোগের উদ্দেশ্য ফলপ্রস্যু হয়না।

    ২.সার্বিক পরিবেশঃ
    অপজিশন পার্টি বা প্রতিপক্ষের সাথে যোগাযোগ সূচনার পূর্বে সার্বিক পরিবেশের উপর খেয়াল দেয়া উচিৎ। পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে যোগাযোগের ধরণ যদি সময়োপযোগী না করা হয় তাহলে হিতে বিপরতীত হতে পারে।

    ৩.উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নির্ধারণঃ
    যোগাযোগ কি জন্য করা হচ্ছে তার উদ্দেশ্য নির্ধারণ করতে হবে আমাদের। সম্ভব হলে যার সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে তাকে বিষয়ের আগে থেকেই অবহিত করা জরুরী। তা না হলে ভালো ফল বা কাঙ্খিত তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়না।

    ৫.শারীরিক ভাষাঃ ফেস টু ফেস বা সরাসরি সাক্ষাৎ যোগাযোগ করলে শারীরিক ভাষা হতে হবে স্বাভাবিক। অতিরিক্ত স্মার্ট, চনমনে ভাব কিংবা আগ্রাসী বা উগ্রভাব পরিহার করা বাঞ্চণীয়।

    ৫.মনযোগ ধরা রাখাঃ
    যোগাযোগ প্রক্রিয়ায় মনোযোগ ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।যোগাযোগে পূর্ণ মনোযোগ না থাকলে অনেকগুরুত্বপূর্ণ তথ্য অনেক সময় সংগ্রহ করা সম্ভব হয়না বা ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।

    ৬.কাঙ্খিত বা নির্ধারিত বিষয়ে প্রশ্নঃ
    যোগাযোগের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণ করতে হলে কাঙ্খিত বিষয়ে যথা সম্ভব আগে থেকেই প্রশ্ন তৈরি করে রাখতে হবে।প্রশ্নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করাও জরুরী।

    ৭.যোগাযোগের গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে, যাতে তথ্য দাতার মনে কোনরুপ ভয় বা চিন্তা উদয় না হয়।

    … নিম্নে যোগাযোগের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

    ১.যোগাযোগ প্রক্রিয়ায় তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। কারণ নতুন তথ্য পেতে কিংবা সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে থাকি।
    ২.যোগাযোগ করতে হবে লক্ষ্যর্জন করার জন্য। কাঙ্খিত তথ্য পেতে অনেক সময় দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়।
    ৩.তথ্য সংগ্রহের পর সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে হয়। সিদ্ধান্তে আসা না গেলে পুনরায় তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
    ৪.যোগাযোগের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো পারস্পরিক সম্পর্ক রক্ষা করে চলা।
    ৫.দাপ্তরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে অধঃস্তন এবং উর্ধ্বস্তনের অংশগ্রহন নিশ্চিত করা।
    ৬.পেশাদারি মনোভাব প্রদর্শণ করা।
    ৭.সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে দিক নির্দেশনা প্রদান করা।
    ৮.বিভিন্ন বিভাগের(ডিপার্টমেন্টের) সমন্বয় সাধন করা এবং ক্ষেত্র অনুযায়ী দায়িত্ব বন্টন করে দিতে হবে।
    ৯.প্রয়োজনে তথ্যের নেটওর্য়াক বিস্তৃতি ঘটানো।
    ১০.চাহিদা ও কর্ম দক্ষতা অনুযায়ী দায়িত্ব বন্টন করে দেয়া।

    …এছাড়াও যোগাযোগের ক্ষেত্রে আরো যে সকল বিষয়গুলো মানা উচিৎ সেগুলো হলোঃ
    (ক) সু-স্পষ্ট উদ্দেশ্য।
    (খ) সংগতি বিধান।
    (গ) উপর্যুক্ত মাধ্যম নির্বাচন।
    (ঘ)গ্রহন বর্জন নীতি মেনে চলা।
    (ঙ)বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিষ্ঠা।
    (চ)উভয় সম্পর্ক রক্ষা করা চলা ইত্যাদি।

    যোগাযোগ ব্যবস্থার উপাদান সমূহঃ
    ১. সূত্রঃ যোগাযোগ সম্পর্ক তৈরি করার ক্ষেত্রে পূর্বে র কোন সূত্র থাকলে তা উল্লেখ করা অত্যাবশ্যক। কেননা পূর্ব সূত্র কার্যকর বিষয়টির গতিশীলতা প্রদান করে। এই সূত্র হতে পারে শারীরিক, সামাজিক, সাংস্কৃতি, ব্যক্তি কেন্দ্রিক কিংবা চিঠিপত্র বা দলিল পত্র।

    ৩.প্রেরক : লিখিত যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রেরক একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্ট। প্রেরকের সামাজিক পরিচিতি, ব্যক্তিগত পরিচিতি অনেক সময় তথ্য পেতে ভূমিকা রাখে এবং তথ্য দাতাকে প্রভাবিত করে।

    ৩.বর্তমানে র্বাতা বা ম্যাসেজ: যোগাযোগ ব্যবস্থায় বার্তা বা ম্যাসেজ হলো মূল অনুসঙ্গ। বার্তা হতে হবে বোধগম্য, সরলীকরণ এবং সু-স্পষ্ট। কোন কিছু লোকানো বা কূটকৌশল অবলম্বন করা যাবে না। বার্তার মাধ্যমে যোগাযোগের প্রাসঙ্গিতা উল্লেখ করতে হবে, কেন প্রয়োজন এবং কি কি কাজের যোগাযোগ করা হচ্ছে তা উল্লেখ থাকবে।

    ৪.মাধ্যমঃ কমিউনিকেশন ব্যবস্থায় তৃতীয় কোন মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা করা হয়। অনেক সময় হাতে হাতে কিংবা নিজে স্ব-শরীলেও যোগাযোগ স্থাপিত হতে পারে।বর্তমানে ইলেকট্রিক ও অনলাইন-ফেসবুক মাধ্যম জনপ্রিয়তার শীর্ষে।এছাড়া পূর্বের ন্যায় ডাক ব্যবস্থা প্রচলন আছে,এটির জনপ্রিয়তা কমেছে।

    ৫.প্রাপকঃ প্রাপকের কাছে আপনার প্রশ্ন পৌঁছা গুরুত্বপূর্ণ। কেননা প্রাপকের কাছে প্রশ্ন না পৌছালে আপনি তার থেকে প্রতিক্রিয়া পাবেন না।
    ৬.ফিডব্যাকঃ ফিডব্যাক হলো আপনার জিঙ্গাসিত তথ্যের উত্তরে প্রাপক যা বলেছেন (রিপ্লাই প্রদান)করেছেন তা। অর্থাৎ ফিডব্যাক হলো প্রশ্ন কর্তার উত্তরে প্রশ্নদাতা যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। ফিডব্যাক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ফিডব্যাক না আসলে উপরের সবগুলো কর্ম ব্যর্থতায় পর্যাবাসিত হয়ে যাবে।

    …যোগাযোগের প্রযুক্তি বা মাধ্যমগুলো হলো:
    মৌখিক যোগাযোগ যেভাবে স্থাপতি হয়ে থাকে সেগুলো হলো:
    (ক) সামনা-সামনি সংলাপ বা আলোপ আলোচনা।
    (খ) সভা সমাবেশ।
    এই যোগাযোগ আবার দুইভাবে হয়ে থাকে, যথা:
    (১) আনুষ্ঠানিক মৌখিক যোগাযোগ।
    (২)অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ।

    *লিখিত যোগাযোগ গুলো হলো:
    (ক) প্রতিবেদন (খ) গনমাধ্যমে বুলেটিন ও সাময়িকী বা ম্যাগাজিন (গ)পরিপত্র জারী (ঘ) নিউজ বা সংবাদ (ঙ) গ্যাজেট

    *অ-মৌখিক যোগাযোগ।
    অ-মৌখিক যোগাযোগগুলো হলোঃ
    (ক) একাধিক ব্যক্তির মধ্যে অঙ্গভঙ্গি বা শারীরিক ভাষা
    (খ)অভিব্যক্তি প্রকাশ।
    (গ) হাত নারাচাড়া।
    (ঙ)মাথা নাড়ানো।
    (চ) বিশেষ পতাকা উত্তোলন।
    (ছ)সাংকৃতিক চিহ্ন দেখানো।

    *গণ মাধ্যমঃ বর্তমানে গণ মাধ্যম যোগাযোগ ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। যোগাযোগ মাধ্যমগুলো হলোঃ
    (ক) সংবাদ পত্র
    (খ) রেডিও
    (গ) টেলিভিশন
    (ঙ)ইলেকট্রিক মিডিয়া
    (চ) অনলাইন সংবাদ মাধ্যম

    এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া বর্তমানে একটি আলোচিত যোগাযোগ মাধ্যম। সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে বর্তমানে ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস, ইনষ্টগ্রাম ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। আর বার্তা আদাপ্রদানের ক্ষেত্রে- ইমো, ম্যাসেঞ্জার, হোয়ার্টআপ, ভাইভার,স্কাইপি ইত্যাদি অ্যাপগুলো ভালো অবস্থানে আছে।

    বর্তমান লিখিত যোগাযোগ ব্যবস্থা ই-মেইল গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। ফ্যাক্স, টেলিফোনও ব্যবহার করা হচ্ছে আগের মত। যোগাযোগ ব্যবস্থায় মোবাইল কমিউনিকেশ এনেছে বিপ্লব। প্রতিটি ঘরে ঘরে মোবাইল ডিভাইসের আধিক্য চোখে পড়ার মত। মোবাইল কমিউনিকেশন ব্যবস্থা যোগাযোগ ব্যবস্থা কে নিয়ে এসেছে হাতের মুঠোয়।

    সর্বশেষ: বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির যুগ। তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার করে হ্যাকারা যাতে সর্ব সাধারণের ক্ষতি না করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরী। আর তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করতে পারলে জাতির উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। পত্র পত্রিকা, ইলেকট্রিক,সংবাদ সংস্থাগুলোসহ সোশ্যাল মিডিয়াকে তথ্য প্রদানে স্বাধীনতা রয়েছে।

    সম্পাদনায়ঃ সত্যেরসংবাদ.কম

  • অন্যধারা সাহিত্য সংসদের সাহিত্য আড্ডার মধ্যমণি কবি সৌমিত্র দেব

    অন্যধারা সাহিত্য সংসদের সাহিত্য আড্ডার মধ্যমণি কবি সৌমিত্র দেব

    অন্যধারা সাহিত্য সংসদের ২০৭ তম সাহিত্য আড্ডার মধ্যমণি হয়েছেন কবি সৌমিত্র দেব । সম্প্রতিশুক্রবার ২২ ইন্দিরা রোডে অনুষ্ঠিত সেই আড্ডায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিলু কবির। সভাপতি ছিলেন কল্যাণ চক্রবর্তী।আলোচক ছিলেন মীনা মাশরাফি, সঞ্চালনায় ছিলেন ক্যামেলিয়া আহমেদ।উপস্থিত ছিলেন আব্দুল মজিদ, মির্জা আশ্রাফ, হুমায়ুন কবির, মোজ্জাফর বাবু, অনিকেত, হেলাল উদ্দিন, হামিদা পারভিন সম্পা, নুরুন্নাহার,কবি আহসান কবির সহ আরো অনেকে ।

  • কবিতা- শুধুই ভক্ত

    কবিতা- শুধুই ভক্ত

    সৌমিত্র দেব
    আমরা শুধুই ভক্ত
    প্রিয় নেতার জন্য না হয়
    নাই বা দিলাম রক্ত।

    মুখে বলি দেশের কথা
    মনের ভেতর বাস্তবতা

    লুটের পণ্য দখল করে
    কেমনে বাঁচাই তখ্ত

    আমরা শুধুই ভক্ত।

  • কবিতা-চলেশ রিছিল

    কবিতা-চলেশ রিছিল

    সৌমিত্র দেব

    চলেশ রিছিল চলেশ রিছিল
    তোমায় নিয়ে গাছের মিছিল
    চলছে
    মধুপুরের পাখপাখালি
    আজো দেখি তোমার কথা
    বলছে

    চলেশ রিছিল চলেশ রিছিল
    তোমায় নিয়ে পাখির মিছিল
    চলছে
    গাছের চোখে তোমার আগুন
    পাখির ঠোঁটে তোমার আগুন
    জ্বলছে।

  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি বেদীতে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেনঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি বেদীতে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেনঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
    তিনি শুক্রবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
    প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার প্রতিকৃতির বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পর স্বাধীনতার এই মহান স্থপতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
    পরে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতির বেদীতে আরেকটি পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
    এরপর একে একে আওয়ামী লীগ এবং এর বিভিন্ন সহযেগী সংগঠন যেমন মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর এবং দক্ষিণ,যুব লীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ,কৃষক লীগ সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করা হয়। ফুলে ফুলে ভরে ওঠে জাতির পিতার প্রতিকৃতির বেদী।
    ১০ জানুয়ারি বাঙালির জীবনে চিরস্মরণীয় এক ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭২ সালের এই দিনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করে তাঁর প্রিয় স্বদেশ, স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন। আর এর মাধ্যমেই ১৯৭১’র ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত মুক্তিযুদ্ধের মহান বিজয়ের পূর্ণতা লাভ হয়। সেই থেকেই এ দিনটি জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে।
    আজ বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে প্রধানমন্ত্রী এবং জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা এই ‘ক্ষণ গণনা’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

    তবে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এ উদযাপনে ভিন্নতা নিয়ে এসেছে ‘মুজিব বর্ষ’। এ বছর ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী থেকে আগামী বছর ২০২১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পর্যন্ত সময়কে ‘মুজিব বর্ষ’ ঘোষণা করে বছর ব্যাপী জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে উদযাপন তার ‘ক্ষণ গণনা’ (কাউন্টডাউন) শুরু হচ্ছে আজ থেকেই।