Author: sattersangbad24

  • সাভারের আশুলিয়ায়  নিউ পার্সোনা বিউটি পার্লারের উদ্বোধন করা হয়েছে

    সাভারের আশুলিয়ায়  নিউ পার্সোনা বিউটি পার্লারের উদ্বোধন করা হয়েছে

    সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় নিউ পার্সোনা বিউটি পার্লার কেক কেটে শুভ উদ্বোধন  করা হয়েছে।

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
    সাভারের আশুলিয়ায় নিউ পার্সোনা বিউটি পার্লারের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (১ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় আশুলিয়ার জামগড়া হেয়ন গার্মেন্টস সংলগ্ন হাসান টাওয়ারের নিচতলায় অত্যাধুনিক এ বিউটি পার্লারের উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য মোহাম্মদ বাদল শেখ বিউটি পার্লারটির উদ্বোধন করেন ।

    নিউ পার্সোনা বিউটি পার্লারের কর্ণধার জান্নাতুল ইসলাম সুমি জানান, আশুলিয়ায় নারী সাজের নতুন কিছু উপহার দিতেই আমাদের এ অগ্রযাত্রা তাদের। বিউটি পার্লারে সূদুর ইন্ডিয়া থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত একদল দক্ষ কর্মী নিয়ে কাজ করবে। এছাড়া এখানে পাওয়া যাবে ইন্ডিয়া ও থাইল্যান্ড থেকে আমদানিকৃত উন্নতমানের কসমেটিকস্।

    তিনি আরও জানান, দক্ষ প্রশিক্ষক দিয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা হবে বিউটিশিয়ান পার্লারের মাধ্যমে।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,
    এসময় দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার ঢাকা জেলা ব্যুরো চীফ সাংবাদিক আলমাস হোসেন, দৈনিক একুশে সংবাদ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাবেক যুবলীগ নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মন্সুর ভূঁইয়া, মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন, জুয়েল রানা, সোহেল রানা, সাইফুল ইসলাম, শাহাবুদ্দিনসহ আরো অনেকে ।

  • গনমাধ্যমের সম্পাদকীয় মূল চাবিকাঠি

    গনমাধ্যমের সম্পাদকীয় মূল চাবিকাঠি

    গনমাধ্যমের সম্পাদকীয় মূল চাবিকাঠি

     

    সংবাদপত্রের স্বরূপ উন্মোচনে সংবাদপত্রের সকল গনমাধ্যমের সম্পাদকীয় মূল চাবিকাঠি। সম্পাদকীয় পাঠে পত্রিকার দৃষ্টিভঙ্গি সহজে বুঝে নেওয়া যায়। শেষ বিচারে সম্পাদকীয়ই হচ্ছে সংবাদপত্রের দৃষ্টিভঙ্গির উন্মুক্ত দরজা, যা দিয়ে অনায়াসে সংবাদপত্রকে চেনা ও জানা যায়। সে বিবেচনায় দাবির মতো শোনালেও সম্পাদকীয় পড়তে চাই। নিশ্চয় আমরা সম্পাদকীয় পড়তে চাই। কথাটা নিশ্চয় দাবির মতো শোনাচ্ছে, বিজ্ঞাপনের মতোও কি? সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় যদি পড়তেই চাই, তবে পড়লেই হয়। সেটা আবার ঘটা করে জানানোর দরকারটা কী, কেনই বা প্রয়োজন হবে দাবির মতো করে উচ্চে তুলে ধরার।

    তা কথাটা বলার যে আবশ্যকতা আছে, সেটা বোধ করি সব পাঠকই স্বীকার করবেন। কেন না সম্পাদকীয় পড়া হয় না। দৈনিক পত্রিকার সবচেয়ে কমপঠিত অংশ বোধ করি পত্রিকার সম্পাদকীয়। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে, অনেক বিজ্ঞাপনদাতা তো চোখে পড়িয়ে তবে ছাড়েন; আর খবর সে তো পড়বই, কিন্তু সম্পাদকীয় যে দেখেও দেখি না, দেখলেও চোখ বুলিয়ে যাই মাত্র, ভাবটা এমন যে জানি কী লিখেছে, জানা আছে কী লিখতে পারে। এই যে না-পড়া এর কারণটা কী? পাঠকের অনীহা? নাকি পত্রিকারই দোষ, তারাই গুরুত্ব দেয় না তাদের সম্পাদকীয়কে, লিখতে হয় তাই লেখে, দায়সারা গোছের হয়, আকর্ষণ করে না পাঠককে?

    আরো অনেক জিনিসের মতোই এ ক্ষেত্রেও দুটোই সত্য এবং দুটো পরস্পর বিচ্ছিন্ন নয়। পত্রিকা তার সম্পাদকীয়কে গুরুত্ব দেয় না, পাঠকও আগ্রহী হয় না সম্পাদকীয় পড়তে। পাঠক আগ্রহী হবে না জেনেই হয়তো সম্পাদক সম্পাদকীয় বিষয়টাকে গুরুত্ব দেন না। চাহিদা নেই, সরবরাহ থাকবে কেন? দুই পক্ষই দায়ী বললাম, কিন্তু বক্তব্যটা বোধ করি ঠিক হলো না; পত্রিকার দায়িত্বটাই আসলে বেশি। কেননা সত্য তো এটাই, পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্যতার ওপর পত্রিকাকে নির্ভর করতে হয় বটে, কিন্তু পাঠকের তো নিরিখ ও নির্দেশক

    সাধ্য নেই পত্রিকা সৃষ্টি করে, পত্রিকাই বরঞ্চ তার নিজের পাঠক নিজেই তৈরি করে নেয় এবং কতটা ও কীভাবে পাঠক তৈরি করতে পারল তার ওপরই পত্রিকার সার্থকতা নির্ভর করে।

    পত্রিকায় আজকাল রং অনেক। বাংলা ভাষার যে-বিশেষ সম্পদ তার শব্দদ্বৈত, দুটো শব্দ একত্রে ব্যবহার, সেখানে দেখা যায় রঙের সঙ্গে ঢং অনেক সময়ই একসঙ্গে যায়। ওই দুটোই আছে; সংবাদপত্রে এখন রংঢং নানা প্রকারের, চোখ চলে যায় সেসব দৃশ্যে, সম্পাদকীয় থাকে নিতান্তই কোণঠাসা দশাতে।

    কিন্তু সংবাদপত্রের জন্য সম্পাদকীয় তো খুবই জরুরি। ব্যাপারটাকে কীভাবে বোঝাবো, কোন উপমা দিয়ে? বলব কি সম্পাদকীয় হচ্ছে পত্রিকার ভরকেন্দ্র, যার ওপর পত্রিকা দাঁড়িয়ে থাকে? না, সেটা বললে অতিশয়োক্তি করা হবে। তা ছাড়া পত্রিকাকে দালানকোঠা হিসেবে দেখাটা যে প্রীতিপ্রদ তাও নয়। গাছের যেমন কা- থাকতে হয়, নইলে ডালপালা, লতাপাতা থাকবে কী করে; খবরের কাগজের জন্যও তেমনি সম্পাদকীয় হচ্ছে অত্যাবশ্যক, এমন উপমাও দাঁড়াবে না। সংবাদপত্রকে বৃক্ষ হিসেবেও আমরা দেখতে চাইব না, বৃক্ষ থাকলে আবার অরণ্যও এসে যাবে, কানের সঙ্গে মাথার আবির্ভাবের মতোই। তাহলে কি বলব সম্পাদকীয় হচ্ছে বোঁটার মতো? ফুল যেমন ফুটতেই পারে না, বৃন্ত না থাকলে, সংবাদপত্রও তেমনি সংবাদপত্রই নয় সম্পাদকীয়ের অনুপস্থিতিতে। সম্পাদকীয়কে সংবাদপত্রের মেরুদ- বলা সংগত কি না, সেও এক জিজ্ঞাসা। এই যে সব উপমা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছি, এর উদ্দেশ্যটা তো খুবই স্পষ্ট। সম্পাদকীয়ের গুরুত্ব অনুধাবন। কিন্তু এদের কোনোটা দিয়েই হয়তো সত্যের ঠিক কাছাকাছি পৌঁছানো গেল না। তাহলে কি বলব, সংবাদপত্র যেহেতু পত্রই এক প্রকারের, তাই তার পেছনে চাই একজন লেখক, লেখক না থাকলে লেখবটা কে? কিন্তু ওটা বলার সঙ্গে সঙ্গে আপত্তি উঠবে। সেটা এই যে, সংবাদপত্রকে পত্র বলা হয় ঠিকই, কিন্তু সে সংজ্ঞা অনুযায়ীই সংবাদপত্র, অর্থাৎ খবরের কাগজ, খবর তো লেখার ব্যাপার নয়, সংগ্রহের ব্যাপার এবং সেই সংগ্রহও কেউ একা করে না, অনেকে মিলে করে, কেউ থাকে প্রত্যক্ষে, অনেকেই রয়ে যায় অপ্রত্যক্ষে। তাহলে? তাহলে কোনো একজন বিশেষ সম্পাদকীয় লেখকের কথাটা আসে কোন যুক্তিতে?

    যুক্তি অবশ্যই আছে। সেটা এই যে, সংবাদপত্র সংবাদই দেয়, কিন্তু প্রত্যেক সংবাদপত্রেরই একটা নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। সংবাদপত্র কোনো যন্ত্র নয়। সে একটা জীবন্ত সত্তা। তার পেছনে তাই পরিকল্পনা, নীতি, আদর্শ, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য সবকিছু থাকে। অর্থাৎ একটা কেন্দ্র থাকে, যাকে মস্তিষ্ক বলা যায়, আর ওই যে কেন্দ্র সেটা ধরা পড়ে সম্পাদকীয়তে। সম্পাদক ছাড়া যেমন পত্রিকা হয় না, সম্পাদকীয়বিহীন পত্রিকা, তেমনি অসম্ভব তা সে-সম্পাদকীয় যেভাবেই লিখিত হোক না কেন। কোনো পত্রিকা যদি আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পাদকীয় নাও ছাপে, তাহলেও বোঝা যাবে যে ওই না-লেখাটাই তার সম্পাদকীয় নীতি বটে, সম্পাদকীয়ের আকারে নির্দিষ্টভাবে যা লেখা হয়নি। সেই না-লেখা দৃষ্টিভঙ্গিটা পরিব্যাপ্ত হয়ে রয়েছে সমগ্র পত্রিকাটি জুড়ে। লুকানোর উপায় নেই। কিন্তু আমি আনুষ্ঠানিক সম্পাদকীয়ের কথাই বলছি। সেটাই আমি পড়তে চাই। পড়তে চাই এ কারণে, যে-পত্রিকা আমি পড়ছি তাতে যেসব সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো কোন বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা হয়েছে, তা জানলে আমার জন্য সুবিধা হয়। দুদিক থেকে। প্রথমত, আমি বুঝতে পারি যে-পত্রিকাটির অঙ্গীকারটা কোন ধরনের এবং তার চিন্তাগুলো কেমন। দ্বিতীয়ত, আমি সম্পাদকীয় বক্তব্যের পক্ষে-বিপক্ষে ভাবার সুযোগ পাই। এই যে অঙ্গীকার ও চিন্তা, এই দুটোই কিন্তু খুব জরুরি। যেমন পত্রিকার জন্য তেমনি পাঠকের জন্য। পত্রিকাকে ওই অঙ্গীকার ও চিন্তা দিয়েই চেনা যায়, সেদিক থেকে মেরুদন্ডের উপমাটি নিতান্ত অযথার্থ নয়।

    সম্পাদকীয় পাঠকের জন্য উপকারী। এই যে এতসব খবর পত্রিকা দিচ্ছে, এদের কীভাবে মূল্যয়ন করব, এদের পেছনকার পরিপ্রেক্ষিতটা কী, কী এদের তাৎপর্য এসব বুঝতে সম্পাদকীয় আমাকে সাহায্য করে। সংবাদপত্র আমি দ্রুত পড়ি, সেই দ্রুততার মধ্যে সম্পাদকীয় আমাকে কিছুটা হলেও সহায়তা দেয় সংবাদগুলো দেখে অভিভূত না-হয়ে তাদের অর্থ বুঝতে। সম্পাদকীয় দফতরের লোকরা জানেন, খবর রাখেন, পরামর্শ করেন, গবেষণাও বাদ দেন না; তাদের সেই কাজে পাঠক হিসেবে আমি আলোকিত হই।

    কোনো সংবাদপত্রই নিরপেক্ষ নয়। হওয়া সম্ভবও নয়, উচিতও নয়। কেননা সব সংবাদের ভেতরই একটা দ্বন্দ্ব থাকে; আসলে ভেতরের দ্বন্দ্ব থেকেই বাইরের সংবাদটি তৈরি হয়। সংবাদপত্র সংবাদটি দেবে, বিভিন্ন ভাষ্য তুলে ধরবে, বস্তুনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করবে, কিন্তু তাকে অবশ্যই একটা অবস্থান থেকে দেখতে হবে খবরের ভেতরকার দ্বন্দ্বটিকে। সেখানে সে আর নিরপেক্ষ নয়। পাঠক হিসেবে বিশেষ বিশেষ সংবাদপত্রের এই অবস্থানটি আমি পছন্দ করতে পারি, আবার না-ও পারি। কিন্তু আমার জানা প্রয়োজন যে পত্রিকাটি কোন দিকে রয়েছে, তার কাছে আমার প্রত্যাশাটা কী এবং কতটা। সম্পাদকীয় আমাকে সাহায্য করে পত্রিকার অবস্থান জানতে।

    খবরের কাগজের সাফল্য নির্ণয় করার নিরিখ নিশ্চয়ই রয়েছে। সেটা কী? একটা নিরিখ তার জনপ্রিয়তা। আরেকটা নিরিখ তার আয়। আয় আবার জনপ্রিয়তার সঙ্গে জড়িত। বিক্রি থেকে আয় আসে। আসে বিজ্ঞাপন থেকেও; বিজ্ঞাপনও আবার নির্ভর করে পত্রিকার কাটতির ওপর। কিন্তু কেবল কাটতি দিয়ে সংবাদপত্রের যথার্থ মূল্য ঠিক করাটা অন্যায়। জনপ্রিয়তা লাভ অনেক কারণেই ঘটতে পারে। যেমন : অপরাধ জগতের রমরমা খবর। সেটা থাকলে কাগজ চলে ভালো। কিন্তু ওই রকমের ভালো কাগজকে ভালো কাগজ বলা হয় না। পত্রিকার চূড়ান্ত সাফল্যনির্ভর করে তার গুরুত্বের ওপর। আর ওই গুরুত্বেরই একটা উৎস হচ্ছে সম্পাদকীয়। সম্পাদকীয়কে যখন গুরুত্ব দেওয়া হয়, তার দিকে যখন সরকার, পাঠক, নীতিনির্ধারকরা তাকিয়ে থাকে, তখন বোঝা যায় যে পত্রিকাটি খুবই প্রভাবশালী। আর যদি পত্রিকা কী লিখল না-লিখল তাকে উপেক্ষা করা হয়, তাহলে বুঝতে হবে সে বাসি হওয়ার জন্যই ছাপা হয়, বরং বাসি হতে দেরি করে না। বড়ই হাল্কা সে, নিউজপ্রিন্টের মতো।

    আমাদের দেশের সংবাপদপত্রের ইতিহাসে দেখব, সেসব সংবাদপত্রই তাৎপর্যপূর্ণ ছিল, যাদের সম্পাদকীয় নীতি ছিল স্পষ্ট ও দৃঢ়। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার একটা কারণ তিনি একটি দৈনিক পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। ১৮৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ওই পত্রিকার নাম ছিল ‘দ্য বেঙ্গলি’। ১৮৮৩ সালে, অর্থাৎ প্রকাশের চার বছর পর সুরেন্দ্রনাথ কারাবন্দি হন পত্রিকায় সম্পাদকীয় লেখার জন্য। অভিযোগ ছিল আদালত অবমাননার। এটাই ছিল রাজনৈতিক কারণে একজন সম্পাদককে কারারুদ্ধ করার প্রথম ঘটনা। এ নিয়ে প্রবল আন্দোলন হয় এবং সুরেন্দ্রনাথ মুক্তি পান। ১৯০৫ সালে স্বদেশি আন্দোলন শুরু হলে ‘দৈনিক বন্দেমাতরম’ পত্রিকার সম্পাদক অরবিন্দ ঘোষকে বন্দি করা হয়। সেও সম্পাদকীয় লেখার কারণেই। ওই আন্দোলনের কালে মওলানা আকরাম খাঁ ‘দৈনিক সেবক’ নামে একটি পত্রিকা বের করেন, তিনিও গ্রেফতার হন, ‘আপত্তিকর’ সম্পাদকীয় লেখার দায়ে এবং এক বছর কারাদ- ভোগ করেন। পরে আমরা দেখেছি রাজনীতিতে মওলানা যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পেরেছেন, তার একটি কারণ হচ্ছে পত্রিকা সম্পাদনা। স্বদেশি আন্দোলনের সময়ে ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায় অত্যন্ত সক্রিয় রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করেন, তিনিও রাজদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন তার পত্রিকা ‘সন্ধ্যা’র সম্পাদকীয়ের কারণে। আদালত তাকে শাস্তি দিতে পারেনি, কেননা বিচার যখন চলছিল সে সময়ই তিনি প্রাণত্যাগ করেন। কিন্তু কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ঠিকই কারাভোগ করতে হয়েছিল, এর কয়েক বছর পরে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিজের অর্ধ-সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘ধূমকেতু’তে বিদ্রোহাত্মক যে কবিতাটি লিখেছিলেন, সেটা আসলে পত্রিকার সম্পাদকীয়ই ছিল।

    আরেকটু পেছনের দিকে তাকালে দেখব নীলকরদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে লেখার জন্য ‘হিন্দু পেট্রিয়ট’ পত্রিকা রাজরোষে পড়েছে। ‘যুগান্তর’ পত্রিকা থেকে অনেকটা অনুপ্রেরণা নিয়ে যুগান্তর দল বলে স্বদেশি বিপ্লবীদের একটি সংগঠনই দাঁড়িয়ে যায়। আর ওই পত্রিকায় লেখার জন্য হাস্যকৌতুকের রচয়িতা শিবরাম চক্রবর্তীকে পর্যন্ত একবার জেল খাটতে হয়েছিল।

    পাকিস্তান আমলে দেখেছি, ‘পাকিস্তান অবজারভার’ পত্রিকার সম্পাদক আবদুস সালাম কারাভোগ করেছেন কথাকথিত আপত্তিকর সম্পাদকীয় লেখার দরুন। তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াকে শুধু যে জেল খাটতে হয়েছে, তা নয়, তার পত্রিকা ও প্রেস সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর ঘটনা অন্য রকম হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হয়নি। সম্পাদকীয় রচনার কারণে আবদুস সালাম আবারও শাস্তিভোগ করেছেন, তাকে পদচ্যুত হতে হয়েছে। সাপ্তাহিক ‘হলিডে’ পত্রিকার এনায়েতুল্লাহ খানকেও আটক করা হয়েছিল। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের মুখপত্র ‘গণকণ্ঠে’র সম্পাদক কবি আল মাহমুদও বন্দি হয়েছিলেন সম্পাদক হিসেবে।

    মোটকথা, সম্পাদকীয় যখন গুরুত্বপূর্ণ হয়, তখন তাকে উপেক্ষা করা যায় না, উপায় থাকে না উপেক্ষা করার। আর তাতেই বোঝা যায়, সম্পাদকীয় জিনিসটা হাল্কা জিনিস নয়। কিন্তু অধিকাংশ পত্রিকাই যে এখন সম্পাদকীয়কে হাল্কাভাবে নেয়, তার কারণটা কী? কারণ হচ্ছে অঙ্গীকার এবং চিন্তা দুয়েরই অভাব। যেসব পত্রিকা সমকালে গুরুত্বপূর্ণ হয় এবং ইতিহাসে স্থান পায়, তাদের ক্ষেত্রে ওই দুটির কোনোটিরই অভাব ঘটেনি। বরং অধিক পরিমাণেই ছিল। ইতিহাস তো তৈরি হচ্ছে এবং সংবাদপত্র সেই চলমান ইতিহাসেরই সহযাত্রী দলিল। সে একটি দর্পণ ঠিকই, কিন্তু কেবল বহিরঙ্গের নয়, হওয়া চাই ভেতরেরও। যথার্থ দর্পণ সে হতে পারবে কী পারবে না এবং পারলেও কতটা হবে, তা ধরা পড়ে সম্পাদকীয়তে। কেননা সম্পাদকীয় তো কেবল একটি বিচ্ছিন্ন রচনা নয়, কেবল যে দর্পণ তাও নয়, সে হচ্ছে পুরো পত্রিকার নিরিখ ও নির্দেশক। অন্য উপমা যেমন-তেমন নিরিখ ও নির্দেশকের উপমাকে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।

    কিন্তু এখন অঙ্গীকারগুলো বড় দুর্বল, চিন্তা বেশ অগভীর। সেই বাস্তবতাটা সম্পাদকীয়ের দুর্দশাতে যে ধরা পড়েছে, তা অস্বীকার করা যাবে না। অঙ্গীকার ও চিন্তার ওই দ্বৈত ক্ষেত্রে পত্রিকার সঙ্গে পত্রিকার যে দ্বন্দ্ব সেটাও দেখি না। দ্বন্দ্ব থাকলে সম্পাদকীয়ের মান উঠত এবং তারা আকর্ষণীয় হতো। পত্রিকার সঙ্গে পত্রিকার প্রচন্ড, প্রায় গলা-কাটা প্রতিযোগিতা চলছে। কিন্তু সেটা মাতাদর্শিক নয়, বাণিজ্যিক বটে। মতাদর্শের ব্যাপারে চিন্তা, অঙ্গীকার ও দ্বন্দ্ব-তিনটিরই বড় অভাব আজ বাংলাদেশে। ওই অভাব আমাদের এগোতে দিচ্ছে না। সংবাদপত্র এ ব্যাপারে আমাদের অবশ্যই সাহায্য করতে পারে। কিন্তু করবে কী?

    লেখক : সাহিত্যক, শিক্ষাবিদ

    ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

  • সম্পাদকীয় কি?জেনে নিন..সম্পাদকীয় পাতায়

    সম্পাদকীয় কি?জেনে নিন..সম্পাদকীয় পাতায়

    সম্পাদকীয় কি?জেনে নিন..

     

    সম্পাদকীয় শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Editorial. সমসাময়িক নাগরিক জীবনের জনস্বার্থ সম্পৃক্ত কোনো বিষয় বা ঘটনাকে উপজীব্য করে সংবাদপত্র বা সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকীয়মন্ডলীর যৌথ মতামতসহ যে মুখ্য নিবন্ধ পত্রিকায় বা অন্য কোনো সংবাদ মাধ্যমে পরিবেশিত হয়, তাকে সম্পাদকীয় বলে।

    সম্পাদকীয় কোনো বিশেষ সংবাদ নয় এটি সংবাদের বিশ্লেষণধর্মী মতামত। এছাড়া সম্পাদকীয় হলো বাস্তব তথ্য ও সত্যের স্বপক্ষ-বিপক্ষ যুক্তি নির্ভর দিকনির্দেশনা সংবলিত মতামত। এটি সংবাদমাধ্যমের চোখ,আত্মা ও কন্ঠস্বর।
    সম্পাদকীয় রচনায় থাকে যুক্তি নির্ভর ব্যাখ্যা -বিশ্লেষণ এবং একই সাথে দিকনির্দেশনা। ফলে একটি নির্দিষ্ট ইস্যুতে পত্রিকার ভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়। সম্পাদকীয় থেকে সংবাদ মাধ্যমের স্বকীয় দৃষ্টিভঙ্গি ও মতাদর্শিক দৃষ্টিকোণ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এতে যে অভিমত পরিবেশিত হয় তা মাধ্যমটির সাথে জড়িত সবার অভিমত বলে গণ্য করা হয়।
    সম্পাদকীয় তে জনগণের আশা- আকাঙ্ক্ষার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মতামত প্রদান করা হয়। এছাড়া সম্পাদকীয় পাঠকের ভাবনাকে উদ্বুদ্ধ করে এবংসমাজ সম্পর্কে সচেতন করে তোলে। সম্পাদকীয় ব্রিটেনে ‘লিডিং আর্টিকেল ‘ নামে পরিচিত আর যুক্তরাষ্ট্রে একে ‘মতামত’ শিরোনামে প্রকাশ করা হয়।

    বিশেষজ্ঞের মন্তব্যঃ

    সম্পাদক উইলিয়াম অ্যলেন হোয়াইট এর মতে;

    সম্পাদকীয় হলো কিছু ঘটনার সমন্বয়ে প্রণীত মতামতের প্রকাশ, যা কোনো সত্যকে নতুন আলোকে উপস্থাপন করে।
    .

    জিম অ্যালেহার্ট এর মতে;

    আধুনিক সম্পাদকীয় হলো কোনো গুরুত্বপূর্ণ সংবাদের তথ্য ও মতামত সংবলিত যুক্তিসংগত ও সংক্ষিপ্ত পরিবেশনা, যাতে করে তার গুরুত্ব সাধারণ পাঠকের কাছে স্পষ্ট রূপে প্রকাশিত হয়।

  • সাভার গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ দূর্গন্ধে পথচারীরা

    সাভার গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ দূর্গন্ধে পথচারীরা

    ছবিটি বুধবার সকাল ৭টায় গেন্ডা বাসষ্ট্যান্ড থেকে তোলা হয়েছে। ছবিঃ সত্যের সংবাদ

    নিজেস্ব প্রতিবেদক,সাভারঃ
    ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডের পাশে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ পরে আছে। ময়লা-আবর্জনার স্তূপে দূর্গন্ধে এলাকা হয়ে পড়েছে বিষময়। বুধবার (১) জানুয়ারি সকাল ৭টায় গেন্ডা বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় এ ময়লা স্তুপ পরে থাকতে দেখা গেছে ।

    প্রতিদিনের মত এ বাসস্ট্যান্ড দিয়ে যাতায়াত করে হাজার হাজার সাধারন মানুষ, শিক্ষার্থী, পোশাক শ্রমিক, কর্মজীবী ও পথচারীরা। প্রতিদিন সকালে একাধিক স্কুল বাস এই বাসষ্ট্যান্ড থেকে শিক্ষার্থীদের তুলে স্কুলে নিয়ে যায়। ফলে বাসের অপেক্ষায় আবর্জনার স্তুপের পাশেই বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
    পৌরসভা ভবনের সন্নিকটে হওয়া সত্বেও কর্তৃপক্ষ যেন দেখেও না দেখার ভান করছে অভিযোগ করছেন চলাচলকারী সাধারন মানুষ।

  • শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে কেউ আন্দোলন করতে পারবে না সাভারে ‘পাঠ্যপুস্তক বিতর উৎসব’ উদ্বোধনীতে শিক্ষামন্ত্রী ডা.দিপু মনি

    শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে কেউ আন্দোলন করতে পারবে না সাভারে ‘পাঠ্যপুস্তক বিতর উৎসব’ উদ্বোধনীতে শিক্ষামন্ত্রী ডা.দিপু মনি

    শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে কেউ আন্দোলন করতে পারবে না সাভারেও বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘পাঠ্যপুস্তক বিতর উৎসব’ উদ্বোধনকালে এ মন্তব্য করেছেনঃ শিক্ষামন্ত্রী ডা.দিপু মনি। ছবিঃ সত্যের সংবাদ

    • শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে কেউ আন্দোলন করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন ডা.দিপু মনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে তদন্তের পরে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেটি দেখা হবে সাভারেও বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘পাঠ্যপুস্তক বিতর উৎসব’ উদ্বোধনকালে শিক্ষামন্ত্রী ডা.দিপু মনি এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

    সারা দেশের ন্যায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও
    বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ১ জানুয়ারি বুধবার সকালে সাভার অধরচন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে পালিত হয়েছে ‘পাঠ্যপুস্তুক উৎসব’-২০২০।

    শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের সময় কোন দাবি দাওয়ার জন্য প্রয়োজন হয়না, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় প্রয়োজন মিটিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কারণ শিক্ষা নিয়ে বর্তমান সরকার সবসময় সব বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে থাকে, তাই কোন দাবি দাওয়া থাকলে সেটি সরকারকে জানাতে হবে। যুক্তিসঙ্গত দাবিগুলোসেগুলো হবে বিবেচনায় নিয়ে দেখা হবে।

    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব’ পালনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিব,সাভার পৌর মেয়র হাজী আব্দুল গনি,সাভার উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম,সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজুর রহমান,সাভার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গমেজসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন,অভিভাবকবৃন্দ,গনমাধ্যম কর্মীবৃন্দ,এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

    সাভার অধরচন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বছরের বই তুলে দেওয়ার মাধ্যমে ‘পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসব’২০২০ উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা.দিপু মনি।

  • সারাদেশের ন্যায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে সাভারেও পালিত হলো ‘পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসব’২০২০

    সারাদেশের ন্যায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে সাভারেও পালিত হলো ‘পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসব’২০২০

    • শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    সারা দেশের ন্যায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ১ জানুয়ারি বুধবার সকালে সাভারেও পালিত হলো ‘পাঠ্যপুস্তুক উৎসব’-২০২০। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব’ পালনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিব,সাভার পৌর মেয়র হাজী আব্দুল গনি,সাভার উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম,সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজুর রহমান,সাভার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গমেজসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন,অভিভাবকবৃন্দ,গনমাধ্যম কর্মীবৃন্দ,এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

    সাভার অধরচন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে শিক্ষার্থীদের  হাতে নতুন বছরের বই তুলে দেওয়ার মাধ্যমে ‘পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসব’২০২০ উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা.দিপু মনি।

  • থার্টি ফার্স্ট নাইটকে ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

    থার্টি ফার্স্ট নাইটকে ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

    ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনকে ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা রয়েছে।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটকে ঘিরে কোনও ধরনের হুমকি নেই। তারপরও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনকে ঘিরে এ রাতে যাতে কোনও ধরনের বাড়াবাড়ি ও উচ্ছৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয়, সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

    র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেন, ইংরেজি বর্ষবিদায় ও নববর্ষ উপলক্ষে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তাজনিত সব ধরনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে গুজবের বিষয়ে সতর্ক রয়েছে র‌্যাব। তিনি বলেন, এ ধরনের দিবস কিংবা অনুষ্ঠান উদযাপনের ক্ষেত্রে ফেক নিউজ, মিথ্যা খবর ও গুজব ছড়ানো হয়। সম্মানহানিকর তথ্য প্রচার হয়। গুজব ঠেকাতে সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং ব্যবস্থা। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার কোনো কারণ নেই।

    থার্টিফাস্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কোন অনুষ্ঠান করা যাবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।

    ডিএমপি কমিশনার বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণেই উন্মুক্ত বা খোলা জায়গায় অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। কারণ, উন্মুক্ত স্থানের নিরাপত্তা বিধান করা একটু কঠিন। এবারও উন্মুক্ত স্থানে সব ধরণের অনুষ্ঠান, নাচ-গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অনুমতি থাকছে না। ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, নববর্ষ উদযাপনকালে ঢাকা মহানগরীতে নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তায়, ভবনের ছাদে এবং প্রকাশ্যে স্থানে কোনো ধরনের জমায়েত, সমাবেশ ও উৎসব করা যাবে না। এছাড়া কোথাও কোনো ধরনের আতশবাজি ও পটকা ফোটানো যাবে না।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যার পর স্টিকার ও পরিচয়পত্র ছাড়া বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দিয়ে নীলক্ষেত এবং শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।

    মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও ডিএমপি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়। সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীর সব বার বন্ধ থাকবে। মাদক সেবনের বৈধতা ছাড়া কাউকে যেন পাঁচ তারকা হোটেলে অ্যালাও না করা হয় সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে হোটেল কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
    এবার মাদক সেবন করে কেউ বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালালে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ডিএমপি।

    গুলশান এলাকায় প্রবেশের জন্য কাকলি ক্রসিং এবং আমতলী ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে। তবে, নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দিয়ে এ দুটি ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। একইভাবে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় যেসব নাগরিক বসবাস করেন না, তাদের ওইসব এলাকায় গমনের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
    সেই সঙ্গে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে কোন ধরনের লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না।

  • উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে হলে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেইঃ প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা

    উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে হলে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেইঃ প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা

    উন্নত এবং সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে হলে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলাফল ও পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালেঃ প্রধানমন্ত্রী

    ষ্টাফ রিপোর্টারঃ উন্নত এবং সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে হলে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।বর্তমান যুগে পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার লক্ষে শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে চাই। যাতে তারা পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে পারে। এ কথা মাথায় রেখেই সরকার শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক মানোন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

    মঙ্গলবার গণভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সারা দেশে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দিয়ে সারা দেশে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

    একই অনুষ্ঠানে এ বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ী এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর নিকট হস্তান্তর করা হয়।

    অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ী পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শিক্ষাকে আরও আধুনিক, উন্নত এবং বিজ্ঞানসম্মত করতে চাই। শুধু সাধারণ শিক্ষা নয়, কারিগরি শিক্ষাকে আমরা গুরুত্ব দিতে চাই। যাতে একজন ছেলে-মেয়ে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজেরা কিছু করতে পারে।

    প্রধানমন্ত্রী ভালো ফলাফলের জন্য শিক্ষার্থীদের পাঠে মনোনিবেশ করার আহবান জানিয়ে বলেন, ভালো ফলাফল করতে হলে আমাদের শিশুদের আরো মনোযোগী হতে হবে। ভবিষ্যতে যেন ফলাফল আরও ভালো হয়, সেজন্য মন দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে।

    সরকার বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের বই দেয়াসহ বৃত্তি প্রদান করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, গরিব বাবা-মার ওপর যেন চাপ না পড়ে, সেজন্য আমরা বছরের শুরুতেই বই দিচ্ছি। স্কুল ও কলেজ সরকারি করে দিচ্ছি। শিক্ষার্থীদের যেন নদী-নালা, খাল-বিল পার হতে না হয়, সেটা বিবেচনায় রেখে স্কুল করে দিচ্ছি।

    তিনি বলেন, শিক্ষকদের বেতন বাড়িয়ে দিয়েছি। উচ্চশিক্ষাসহ সর্বস্তরে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। স্কুলে টিফিনের ব্যবস্থা করেছি। কোনও শিক্ষার্থী যেন ঝরে না পড়ে, এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য করা হচ্ছে।

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবিধানে শিক্ষার কথা বলা আছে গুরুত্বের সঙ্গে। বঙ্গবন্ধু আমাদের একটা স্বাধীন দেশ দিয় গেছেন। এই দেশটাকে আমরা আরও উন্নত করতে চাই।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এমন একটি সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই যেখানে থাকবে না কোনো দরিদ্রতা, বৈষম্য। থাকবে উন্নত সমাজ ব্যবস্থা।

    পড়াশোনার পাশাপাশি কোমলতি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।

    তিনি বলেন, সারাক্ষণ শুধু পড় পড় করলে ছোট ছেলেমেয়েদের ভালো লাগে না। খেলাধুলার মধ্যদিয়ে তাদের পড়ালেখা শেখাতে হবে। তবেই সেটা ফলপ্রসূ হবে। খেলাধুলার মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে তাদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করবেন। এখন আমরা সাড়ে তিন হাজার ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড পৌঁছে দিয়েছি।

    সাড়ে তিন হাজার ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড পৌঁছে দেওয়া এবং তার সরকারের মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম তৈরির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এসব সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নতুন প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করে তোলাতেও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

    নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই ফল প্রকাশ করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, প্রতিটি পরীক্ষা সময়মতো হবে এবং ফলাফলও সময়মতো হবে। আমরা কোনো সেশনজট রাখব না। সেশনজট থাকলে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় অমনোযোগ চলে আসে।

    প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, স্বাধীনতা লাভের পর বঙ্গবন্ধু সরকার শিক্ষাকে অগ্রাধিকার প্রদান করেছিল। এই প্রয়াসের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেন। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা বিনামূল্যে প্রদান করার পাশাপাশি ৩৬ হাজার প্রাথমিক স্কুল জাতীয়করণ করা হয়।

    তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা ২৬ হাজার প্রাথমিক স্কুল জাতীয়করণ করেছি এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে মেয়েদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান করছি।

  • সকল শিক্ষা বোর্ডে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ

    সকল শিক্ষা বোর্ডে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ

    ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    সকল শিক্ষা বোর্ডের jsc পরীক্ষার ফলাফল ২০১৯ মঙ্গলবার ৩১ ডিসেম্বরের দুপুর ১২ টার পর প্রকাশ করা হয়। এবার অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা- জেএসসি ও জেডিসির পাশের হার ৮৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৮ হাজার ৪২৯ জন। মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসি পরীক্ষাতে এবার ৮৯.৭৭ শতাংশ পাশ করেছে ।

    বরিশালের পাসের হার সবচেয়ে বেশি হলেও সবচেয়ে বেশি জিপিএ ৫-GPA 5 পেয়েছে ঢাকা বোর্ডের অধীনে শিক্ষার্থীরা। আর মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৬৮২ জন। উল্লেখ্য jsc/jdc পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৬ লক্ষ ৬১ হাজার ৬৮২ জন। শুধু জেএসসি তে ২২ লাখ ৬০ হাজার ৭১৬ জন পরীক্ষা দেয়। আজ সাড়ে ১১ টায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

    জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) বাংলাদেশের স্কুল পর্যায়ের দ্বিতীয় পাবলিক পরীক্ষা। আপনি যদি ২০১৯ সালের জেএসসি ও জেডিসি রেজাল্ট পাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকেন, তবে আপনি সঠিক ওয়েবসাইটে ভিসিট করেছেন। jsc পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ নিয়ে বর্তমানে পরীক্ষার্থীর পাশাপাশি তাদের অভিভাবক ও আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। প্রতি বছর, জেএসসি পরীক্ষা নভেম্বর প্রথম সপ্তাহে শুরু হয় এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন হয়। এই বছর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা ০২ নভেম্বর ২০১৯ তে শুরু হয় এবং ১৬ নভেম্বর ২০১৯ তে সমাপ্ত হয়। সরকারি নিয়ম অনুসারে জেএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হয়। জেএসসি এবং জেডিসি পরীক্ষায় এই বছরে প্রায় ২৬ লাখ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

  • ইংরেজি নতুন বছরের সকলকে শুভেচ্ছা বার্তা জানালেনঃ জিএম. মজিবুর রহমান

    ইংরেজি নতুন বছরের সকলকে শুভেচ্ছা বার্তা জানালেনঃ জিএম. মজিবুর রহমান

    • ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে সাভার জেনারেল হাসপাতালের পক্ষে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেনঃ  জিএম মোঃ মজিবুর রহমান।।

    সত্যেরসংবাদঃ
    ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে সাভার জেনারেল হাসপাতালের পক্ষে প্রতিষ্ঠানে জরিত ডাক্তার,নার্স,ষ্টাফসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের জিএম মোঃ মজিবুর রহমান।
    তিনি জানান পিছনের সকল দুঃখ-বেদনা ভুলে গিয়ে সামনের দিকে সুখ-শান্তি আর ভালবাসা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যেয়ে থাকবে সবসময়। বর্তমান চিকিৎসা জগতে সকলকে সততার সহিত কাজ করার অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি। হাসপাতালে রোগিরা যাতে তার সঠিক সেবা পায় সে দিকে লক্ষ রেখে সাভার বাসষ্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশেে ওয়াপদা রোডে অবস্থিত সাভার জেনারেল হাসপাতাল এগিয়ে রয়েছে। আবারও ২০২০ ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো সকলকে।