ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনকে ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা রয়েছে।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটকে ঘিরে কোনও ধরনের হুমকি নেই। তারপরও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনকে ঘিরে এ রাতে যাতে কোনও ধরনের বাড়াবাড়ি ও উচ্ছৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয়, সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেন, ইংরেজি বর্ষবিদায় ও নববর্ষ উপলক্ষে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তাজনিত সব ধরনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে গুজবের বিষয়ে সতর্ক রয়েছে র্যাব। তিনি বলেন, এ ধরনের দিবস কিংবা অনুষ্ঠান উদযাপনের ক্ষেত্রে ফেক নিউজ, মিথ্যা খবর ও গুজব ছড়ানো হয়। সম্মানহানিকর তথ্য প্রচার হয়। গুজব ঠেকাতে সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং ব্যবস্থা। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার কোনো কারণ নেই।
থার্টিফাস্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কোন অনুষ্ঠান করা যাবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণেই উন্মুক্ত বা খোলা জায়গায় অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। কারণ, উন্মুক্ত স্থানের নিরাপত্তা বিধান করা একটু কঠিন। এবারও উন্মুক্ত স্থানে সব ধরণের অনুষ্ঠান, নাচ-গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অনুমতি থাকছে না। ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, নববর্ষ উদযাপনকালে ঢাকা মহানগরীতে নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তায়, ভবনের ছাদে এবং প্রকাশ্যে স্থানে কোনো ধরনের জমায়েত, সমাবেশ ও উৎসব করা যাবে না। এছাড়া কোথাও কোনো ধরনের আতশবাজি ও পটকা ফোটানো যাবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যার পর স্টিকার ও পরিচয়পত্র ছাড়া বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দিয়ে নীলক্ষেত এবং শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।
মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও ডিএমপি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়। সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীর সব বার বন্ধ থাকবে। মাদক সেবনের বৈধতা ছাড়া কাউকে যেন পাঁচ তারকা হোটেলে অ্যালাও না করা হয় সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে হোটেল কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এবার মাদক সেবন করে কেউ বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালালে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ডিএমপি।
গুলশান এলাকায় প্রবেশের জন্য কাকলি ক্রসিং এবং আমতলী ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে। তবে, নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দিয়ে এ দুটি ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। একইভাবে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় যেসব নাগরিক বসবাস করেন না, তাদের ওইসব এলাকায় গমনের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে কোন ধরনের লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না।
Leave a Reply