Author: sattersangbad24

  • অবৈধ আয় এক ধরনের মানসিক রোগ..

    অবৈধ আয় এক ধরনের মানসিক রোগ..

    লেখক,হাফিজুর রহমান।

    ঘুষ বা অবৈধ আয় এক ধরনের মানসিক রোগ। এসব রোগীরা আস্তে আস্তে নেশাগ্রস্ত হয়ে যায়। এ নেশার জগত থেকে আর বের হতে পারেনা। জীবনে অনেক দেখেছি। যে ছেলেটা একটা চাকুরির আশায় দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছে, আর বলেছে একটা চাকুরি পেলে আর কিছু চাই না। সেই চাকুরি পাওয়ার পর প্রথম ঘুষ খাওয়া শুরু করলো ছেলেটি। বললো একটা বাড়ী হলে আর কিছু চাই না। বাড়ী হ‌ওয়ার পর গাড়ী। এখন সে বিশাল বিত্ত বৈভবের মালিক। তবুও থামেনি তার অবৈধ আয়ের নেশা।

    মানুষের অর্থ বিত্তের প্রয়োজন আছে। কিন্তু তার একটা লিমিট থাকা চাই। কিন্তু আমাদের এ আনলিমিটেড চাওয়া সয়ং সৃষ্টিকর্তাও মিটাতে ব্যর্থ। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা এখানেই। এরা অবৈধ আয়ের নেশায় এমনভাবে নিমজ্জিত হয় যে শেষে এ সম্পদ ভোগের সময় পায় না। তার আগেই পটল তুলে।

    তারপর পরবর্তী প্রজন্ম নতুন নেশায় বাবার রেখে যাওয়া অর্থ খরচ করে নতুন ইতিহাস গড়ে। অথচ তার অবৈধ অর্থ অনর্থক হয়ে যায় শুধু নেশার কারণে।

    আমি কোন নির্দিষ্ট পেশার কথা বলছিনা। এ চিত্র সকল পেশার মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যে অবৈধ পথে আয় করে নেশাগ্রস্ত হয়েছে সে ৫৯ বছর বয়সেও যেখানে অবৈধ আয়ের সুযোগ আছে সেখানেই পোস্টিং নিতে অবৈধ পন্থা খুঁজে বের করবেই। অথচ একবারও ভাবে না আমার কি ছিল, এখন কি হয়েছে। আমার আর কিছু দরকার নেই। চাকুরির শুরুতে যার কিছু ছিল না, এখন সে পাঁচ তলা বাড়ির মালিক। মাসে লক্ষাধিক টাকা বাসা ভাড়া পায়। সেও থামতে পারিনি এ অবৈধ আয়ের নেশা থেকে। চাকুরি শেষ হ‌ওয়ার আগের দিন‌ও শেষ অবৈধ আয়ের জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়।

    এর জন্য প্রয়োজন চিকিৎসার। হ্যাঁ মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন এদের। মোটিভেশনের জন্য দির্ঘদিনের ছুটি, ভ্রমণ, মোটিভেশনাল প্রশিক্ষণ, বাধ্যতামূলকভাবে বস্তি বা অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সাথে কিছুদিনের জন্য বসবাস সহ সরকারিভাবে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া দরকার বলে মনে করি। শুধু আইন এবং রক্তচক্ষুর ভয়ে এরা নেশা মুক্ত হবেনা। নেশা কখনও ভয় বা ভীতি দিয়ে দমন করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন চিকিৎসা। সে চিকিৎসা হতে হবে গতানুগতিক ধারার বাইরে।

    সকল মানুষ নেশা থেকে মুক্ত হোক। সে যে নেশাই হোক।

    হাফিজুর রহমান
    উপ-পুলিশ পরিদর্শক
    ঢাকা রেঞ্জ মিডিয়া
    বাংলাদেশ পুলিশ

  • নিখোঁজ এক বাক প্রতিবন্ধী ছেলে শিশু সাভার উপজেলা সমাজসেবার হেফাজতে

    নিখোঁজ এক বাক প্রতিবন্ধী ছেলে শিশু সাভার উপজেলা সমাজসেবার হেফাজতে

    • সত্যেরসংবাদডেক্সঃ

    সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে বাক প্রতিবন্ধী এক শিশু ছেলে পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার তাকে বাসষ্ট্যান্ড থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। শিশুটিকে উদ্ধার করার পর সাভার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার নিকট হেফাজতে রেখেছেন। সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান মোল্লা জানান,শিশু ছেলেটি তার নাম ঠিকানা কিছুই বলতে পারে না। সে বর্তমানে সাভার উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তার হেফাজতে রয়েছে। শিশু ছেলেটি যাতে পরিবার সহজে পেতে পারেন সে জন্য সংবাদ মাধ্যমে প্রচারের অনুরোধ জানিয়েছেন।

    এলাকার যদি কেউ চিনে থাকলে তার আত্মীয় স্বজনের সন্ধান জেনে থাকেন তাহলে ঢাকা জেলার সাভার উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের এই ঠিকানায় যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। (যোগাযোগ- 01708-414849)। বিজ্ঞপ্তি।

    মানবিক কারনে সংবাদটি শেয়ার করতে সকলকে অনুরোধ রইলোঃ-

  • ভারতে বাজারজাত হচ্ছে গোবরজাত পন্য

    ভারতে বাজারজাত হচ্ছে গোবরজাত পন্য

    • আন্তর্জাতিক সত্যেরসংবাদডেক্সঃ

    ভারতে গোবর তৈরি হচ্ছে সাবান, শ্যাম্পু, ফেসওয়াশ– এমনকি টুথপেস্টও। আর সেসব ব্যাপক হারে বাজারজাত হচ্ছে সে দেশে। এসব পণ্য কিনতে বিভিন্ন দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন ভারতীয়রা। অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট বা ই-বের মতো বড় বড় অনলাইন শপিং সাইটগুলোতে নিয়মিত অর্ডার চলছে।

    সম্প্রতি ভারত সরকারের এক ঘোষণার পরই গরুজাত পণ্য তৈরি ও ব্যবসায় আগ্রহী হয়েছেন অনেক ভারতীয় ব্যবসায়ী।

    ২০১২ সাল থেকেই গোবর দিয়ে নানা ধরনের পণ্য তৈরি করছেন কাওপ্যাথি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক উমেশ সনি। ৩৬ বছর বয়সী মুম্বাইয়ের এই বাসিন্দা পেশায় একজন মাইক্রোবায়োলজিস্ট।
    সম্প্রতি তার প্রতিষ্ঠানের তৈরি গোবরের সাবান বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

    গোবরের শ্যাম্পু ও টুথপেস্ট তৈরি করা হয় উমেশ সনির প্রতিষ্ঠানে। সম্প্রতি গরুর মূত্র প্রক্রিয়াজাত করে তা থেকে কফিও তৈরি করে সফল হয়েছেন এই মাইক্রোবায়োলজিস্ট।
    ভারতীয় সংবাদমাধ্যম তিনি জানান, প্রথম দিকে কেউ তেমন কিনত না। বিশ্বাসও করত না অনেকে। তখন এসব পণ্য গিফট করতাম। আর গোবরের তৈরি পণ্য পেয়ে সবাই খুশি হতো।
    তবে বর্তমানে চিত্রটি পাল্টে গেছে বলে জানান উমেশ। তিনি বলেন, এখন ৪০০-এর বেশি পাইকারি বিক্রেতা এসে আমার পণ্য নিয়ে যায়। আগে থেকেই টাকা জমা দিয়ে বুকিং দিতে হয় তাদের। বর্তমানে আমার এই প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক টার্নওভার আড়াই কোটি রুপির বেশি।
    মোদি সরকারের ঘোষণা ছিল– গরুজাত পণ্যের কোনো উদ্যোগ নিলে তাতে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেবে সরকার।
    সূত্রঃটাইমস নাউ নিউজ

  • দক্ষিণের মেয়র পদে মনোনয়ন পেতে সাঈদ খোকনের কান্না দেখে লজ্জা পাইতেও ভয় পাই : ব্যারিস্টার সুমন

    দক্ষিণের মেয়র পদে মনোনয়ন পেতে সাঈদ খোকনের কান্না দেখে লজ্জা পাইতেও ভয় পাই : ব্যারিস্টার সুমন

    ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দক্ষিণের মেয়র পদে মনোনয়ন পেয়েছেন ফজলে নূর তাপস। বাদ পড়েছেন বিতর্কিত মেয়র সাঈদ খোকন। যদিও দিন দুয়েক আগে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার সময় সাংবাদিকদের সামনে কান্নাকাটি করে আবারও মেয়র হতে চেয়েছেন ডেঙ্গু ভয়াবহতার জন্য প্রধান দায়ী এই মেয়র। তার এই কান্না দেখে অবশ্য দলের হাইকমান্ড কিংবা সাধারণ মানুষের মন গলেনি। হালের আলোচিত ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনও সাঈদ খোকনের এই কান্নাকাটির তীব্র সমালোচনা করেছেন। এটাকে তিনি চরম লজ্জাজনক হিসেবে উল্লেখ করেন।

    ফেসবুক লাইভে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘ছুটিতে এসেছি আমেরিকায়। ভাবছিলাম, এই কয়দিন দেশের কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলব না। কিন্তু একটা ভিডিও দেখে ঠিক থাকতে পারলাম না। দেখলাম প্রয়াত মেয়র সাহেব হানিফ সাহেবের ছেলে সাঈদ খোকন সাহেব, যিনি এখন মেয়র আছেন; দেখলাম উনি আকুতি মিনতি করে বলছেন, উনার এখন কঠিন সময় যাচ্ছে। উনি আবার সুযোগ চান মেয়র হওয়ার জন্য। এটা দেখে এত লজ্জা লাগছে যে, আর লাইভে না এসে পারলাম না।’
    ‘আমার কাছে মনে হয়েছে কী জানেন, প্রয়াত মেয়র হানিফ সাহেবের তো অনেক সম্মান ছিল। তার ছেলেকে যদি আকুতি মিনতি করতে হয়, তাহলে আমাদের মতো সাধারণ পরিবারের মানুষের আসলে নীতি-নৈতিকতা, এদেরকে দেখলে মনে হবে যে আমরা তো কিছুই না এদের কাছে। এই যদি হয় দেশের পরিস্থিতি অবস্থা! কিছু বলতে চাইনাই প্রথমে, এখন মনে হচ্ছে যে কিছু কথা বলা দরকার।’

    ‘উনি হচ্ছেন সেই মেয়র সাঈদ খোকন সাহেব, যার কারণে কিছুদিন আগে ডেঙ্গুর ভয়ে মনে হইছিল ঢাকা ছেড়ে সিলেট চলে যাব। ছেলে-মেয়েদের বাইরে পাঠাইতে পারি নাই। এত দুরাবস্থা উনার আমল ছাড়া আর কখনো হয়নি। আমি ভেবেছিলাম, হানিফ সাহেবের চিন্তা করে উনি হয়তো এইটা (মেয়র পদ) ছেড়ে যাবেন। কিন্তু যখন দেখলাম ভদ্রলোক (সাঈদ খোকন) আকুতি মিনতি করতেছে আবার মেয়র হবে, তখন ভাবলাম এই দেশটায় এভাবেই আকুতি মিনতি উপরেই কি সবাই নেতা হবে?’

    ‘এই দেশটা এইভাবে চলতে পারে না। আমি অনেক বেশি সম্মান করি হানিফ সাহেবকে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার সম্পর্ক, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বাঁচানোর ব্যাপারে তার যে কার্যক্রম- সবগুলা প্রশংসার দাবিদার। আমি মনে করি, উনার আত্মার শান্তির জন্য হইলেও এমন বিতর্কিত ব্যাপারে যাবেন না। আপনি যদি নমিনেশন না পান, পাবেন না। কিন্তু এজন্য আকুতি মিনতি করলে, আপনাদের মতো পরিবারের লোকজন আকুতি মিনতি করলে আমরা লজ্জা পাইতেও ভয় পাই।’
    ‘আমি খুব সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা। আমি মনে করি যে, আপনি যদি যোগ্য হন, যদি কাজ করে থাকেন, তবে মানুষ তো এমনিই আপনাকে নিয়ে আসবে। আপনার আকুতি মিনতি করা দেখে খুব লজ্জা লাগে। আরে আপনার তো ভাগ্য ভালো। এই ডেঙ্গুজ্বরে যারা মারা গেছে, তাদের আত্মীয়রা আপনার বিরুদ্ধে মামলা করে নাই! আপনার তো কোটি কোটি টাকা জরিমানা দিতে হতো। এই ডেঙ্গুজ্বরের কারণে এদেশে যে কী পরিমাণ মানুষ মারা গেছে, ডেঙ্গু যে আমাদের কী পরিমাণ ভয় পাওয়াইছে, এর দায় আপনি কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না।’

    ‘শেষ বলব, পরিবারের সম্মানের কথা চিন্তা করে, প্রয়াত বাবার কথা চিন্তা করে আকুতি মিনতি করা বন্ধ করেন। যা হচ্ছে সেটা ফেস করেন। কারণ আপনি যে কর্ম করেছেন তার ফলাফল পাবেনই পাবেন।’
    সূত্র;কালের কন্ঠ

  • বাংলাদেশি আনোয়ার হোসেন নামে এক সৌদি প্রবাসী রাজধানী দাম্মাম শহরের আলবাদিয়া থেকে ৪ দিন ধরে নিখোঁজ

    বাংলাদেশি আনোয়ার হোসেন নামে এক সৌদি প্রবাসী রাজধানী দাম্মাম শহরের আলবাদিয়া থেকে ৪ দিন ধরে নিখোঁজ

    • নিজস্ব প্রতিবেদক,মানিকগঞ্জের সিংগাইর থেকেঃ

    বাংলাদেশি আনোয়ার হোসেন নামে এক সৌদি আরবে  প্রবাসী  ৪দিন ধরে নিখোঁজ  রয়েছেন। গত ৩১ ডিসেম্বর দাম্মাম শহরের আলবাদিয়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে বের হয়ে তিনি আর ফিরে আসেননি।

    আনোয়ার হোসেনের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চর আজিমপুর গ্রামে। তার বাবার নাম ফজু শেখ।ছেলে নিখোঁজ থাকার খবরে আনোয়ার হোসেনের পরিবারের সদস্যরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।

    পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজ আনোয়ার আলী ১৫ বছর আগে কাজের জন্য সৌদি আরবে যান। তিনি দেশটির পূর্ব প্রদেশের রাজধানী দাম্মাম শহরের আলবাদিয়া এলাকার ১২ নম্বর রোডের ২২৬ নম্বর ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। সেখানে আল-ইব্রাহীম নামে এক সৌদি নাগরিকের তত্ত্বাবধানে বাসা-বাড়ির প্রিন্টিং ও রংয়ের কাজ করতেন। তিন মাস আগে আনোয়ার দেশে ছুটি কাটিয়ে আবার সেখানে গিয়ে কাজে যোগ দেন।

    আনোয়ার আলীর বড় ভাই শের আলী জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর সৌদি আরবের সময় বেলা ১১টার দিকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির ফোন পেয়ে ভাড়া বাড়ি থেকে বেড় হন আনোয়ার আলী। এরপর সে আর বাসায় ফিরেনি। নিখোঁজের পর থেকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে অবস্থানরত স্বজনরাও কোনো সন্ধান পাচ্ছেন না। কফিল (মালিক) আল-ইব্রাহীমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনিও আনোয়াকে খুঁজে পাচ্ছেন না বলে জানান।

    এদিকে সৌদি প্রবাসী আনোয়ার আলীর নিখোঁজের ঘটনায় তার মা-বাবা ও আত্মীয় স্বজনরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। কি করবে বুঝে উঠতে পারছেন না তারা। নিখোঁজ আনোয়ার আলীর সন্ধান পেতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস ও সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সহযোগিতা কামনা করেছেন স্বজনরা।

    সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহেলা রহমত উল্লাহ জানান, সৌদি প্রবাসী আনোয়ার আলীর নিখোঁজের বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।

    বলেন, নিখোঁজ আনোয়ার আলীর পাসপোর্ট ও আকামাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেলে যত দ্রুত সম্ভব তার সন্ধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসার মুস্তাফিজুর রহমান ।

     

  • মালয়েশিয়ার সরকার ডিসেম্বর পর্যন্ত বেধে দেয়া সময়ে দেশে ফিরে না আসায় নতুন বছরের শুরুতে অবৈধ অভিবাসী অনেক বাংলাদেশী  গ্রেফতার আতঙ্কে

    মালয়েশিয়ার সরকার ডিসেম্বর পর্যন্ত বেধে দেয়া সময়ে দেশে ফিরে না আসায় নতুন বছরের শুরুতে অবৈধ অভিবাসী অনেক বাংলাদেশী গ্রেফতার আতঙ্কে

    • আন্তর্জাতিক সত্যেরসংবাদডেক্সঃ

    মালয়েশিয়ার সরকার ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বেধে দেয়া সময়ে অবৈধ অনেক বাংলাদেশী দেশে ফিরে না আসায় বিপাকে পড়েছে। ১লা জানুয়ারি থেকে মালয়েশিয়ার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২২৫ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে, যাদের মধ্যে ৭৮জন বাংলাদেশি রয়েছে বলে জানা গেছে। অনেক বাংলাদেশী এখন সেখানে গ্রেফতার আতঙ্কে আছেন। অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফিরে যাবার জন্য মালয়েশিয়ার সরকার  সুযোগ দিয়েছিলো সে অনুযায়ী দেশে ফেরার টিকিট এবং মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র লাগবে। ইমিগ্রেশনের ছাড়পত্র সংগ্রহ করতে হলে সাথে বিমানের টিকিটও দিতে হয়। এছাড়া জরিমানা হিসেবে ৭০০ রিঙ্গিত অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫ হাজার টাকা প্রদান করতে হবে। অবৈধভাবে বসবাস করা বহু বাংলাদেশী অর্থ সংকটের কারণে সেটি করতে পারেননি তারা। আবার যারা বিমানের টিকিট জোগাড় করেছেন তারাও মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র পাননি।

    এজন্য ইমিগ্রেশন অফিসে ছিল উপচে পড়া ভিড়। মালয়েশিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন আহমেদুল কবির, যিনি সাংবাদিকতার সাথেও জড়িত।তিনি বলেন, “ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ১১ টি প্রদেশে ৮০টি কাউন্টার করেছিল। প্রতিদিন গড়ে ৪০০ স্পেশাল পাস ইস্যু করেছে। প্রতিদিন হাজার-হাজার অবৈধ অভিবাসী স্পেশাল পাস নেবার জন্য কাউন্টারে ভিড় করেছে।”

    “অনেকে টাকার অভাবে টিকিট করতে পারেননি। আবার অনেকে টিকিট করলেও স্পেশাল পাস নিতে পারেননি,” বলছিলেন  আহমেদুল কবির।পরিস্থিতি বিবেচনা করে, ডিসেম্বর মাসের শেষ দুই সপ্তাহে বাংলাদেশ বিমান মালয়েশিয়া থেকে প্রতিদিন অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

    একজন অবৈধ অভিবাসী দেশে ফিরে আসার জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রতিটি বিমান টিকিটে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দিয়েছে মালোশিয়ার সরকার। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি পুরোপুরি সামলানো যায়নি।ছাত্র ভিসা নিয়ে পাঁচ বছর আগে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন বাংলাদেশের জুবায়ের আহেমদ। সে ভিসার মেয়াদ শেষ হবার পর কয়েক বছর আগে মালয়েশিয়া সরকার অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার যে সুযোগ দিয়েছিলেন, তাতে আবেদন করেন জুবায়ের আহেমদ। কিন্তু লাভ হয়নি। তাকে দেশে ফিরে আসতে হচ্ছে।বিমানের টিকিট জোগাড় করার পরেও নির্দিষ্ট তারিখে বাংলাদেশে আসতে পারেননি তিনি। ভিড়ের কারণ মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিতে দেরি হয়েছে জুবায়ের আহেমদ।

    জুবায়ের আহমেদ বলেন, “স্পেশাল পাস নেবার জন্য আমি ভোর সাড়ে তিনটায় গিয়ে ইমিগ্রেশন অফিসে পৌঁছি। স্পেশাল পাস না পেয়ে অনেকে কান্নাকাটি করছে সে। ”

    কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, মালয়েশিয়ায় বৈধভাবে ছয় লাখের বেশি বাংলাদেশি বসবাস করছে। তবে অবৈধদের বিষয়ে তাদের কোন ধারণা নেই।ঐ কর্মকর্তা দাবি করেন, যারা বাংলাদেশে ফিরে যেতে ইচ্ছুক তারা সবাই মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র পেয়েছেন। কিন্তু সেখানকার বাংলাদেশিরা বলছেন, অর্থ সংকটের কারণে অনেকে যে বিমান টিকিট কিনতে পারেনি এবং জরিমানার টাকা জোগাড় করতে পারেননি সে ধারণা নেই বাংলাদেশ দূতাবাসের। এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ দূতাবাসকে অনুরোধ জানিয়েছেন অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশী অনেকে।সুত্র-অনলাইন।

     

  • শীতে হঠাৎ হালকা বৃষ্টি দেখা দিলেও থেমে নেই ইজতেমা ময়দানের কাজ, আগামী ১০ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ৫৫ তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব

    শীতে হঠাৎ হালকা বৃষ্টি দেখা দিলেও থেমে নেই ইজতেমা ময়দানের কাজ, আগামী ১০ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ৫৫ তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব

    • নিজ্স্ব প্রতিবেদক, গাজীপুরের টঙ্গী থেকেঃ

    রাজধানীর সন্নিকটে টঙ্গীর কহর দরিয়া খ্যাত তুরাগ নদের তীরে ঝড় বৃষ্টি  উপেক্ষা করে এগিছে চলছে শেষ প্রস্তুতি। শীতে হঠাৎ হালকা বৃষ্টি দেখা দিলেও থেমে নেই ইজতেমা ময়দানের কাজ। আর মাত্র কয়েকদিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০২০ সালের ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমা। মুসল্লিদের জন্য প্রস্তত হচ্ছে ১৬০একর বিস্তৃত ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার ময়দান।

    জেলা ওয়ারী মুসল্লিরা ৮৪ খিত্তায় অবস্থান করবেন। ময়দানের পশ্চিম পার্শ্বে মুসল্লিদের তুরাগ নদী পারাপারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্মাণ করা হচ্ছে ৭টি ভাসমান ব্রিজ।

    আগামী ১০জানুয়ারি শুক্রবার শুরু হবে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। তৃতীয় দিন ১২ জানুয়ারি রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তা শেষ হবে।

    এরপর ৪দিন বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় পর্ব ১৭ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১৯ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে দ্বিতীয় পর্ব।  গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, ইজতেমা উপলক্ষে প্রথম পর্বে ৮ হাজার পুলিশ বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। ইজতেমা ময়দানের প্রতিটি গেটে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। ইজতেমা ময়দানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চারপাশে স্থাপিত র‌্যাবের ১০টি ও পুলিশের ১৪টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে এ ময়দান।

    গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, মুসল্লিদের সেবায় ৪০০টি অস্থায়ী টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। ১৩টি গভীর নলকুপ দ্বারা সাড়ে ১৮কিলোমিটার পাইপ প্রতিদিন ৩ কোটি ৫৪ লাখ গ্যালন সুপেয় পানি সরবারহ নিশ্চতকরণ করা হয়েছে। ৬০০ ড্রাম ব্লিচিং পাউডার ও ২ হাজার লিটার কেরোসিন, ৬০টি ফগার মেশিন, নদীতে ৩টি নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মাণ, চতুর্দিকে মুসল্লিদের চলাচলে সুবিধার্থে ৭৫০টি বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থ করা হয়েছে। এছাড়া মুসল্লিদের চলাচলে সুবিধার্থে ধূলাবালি নিয়ন্ত্রণে গাড়ীর মাধ্যমে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

     

  • সাভারে আশুলিয়ায় যুবলীগ নেতাসহ ৮ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে মাসিক ৪০ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবী করায় এক ব্যবসায়ীর থানায় লিখিত অভিযোগ

    সাভারে আশুলিয়ায় যুবলীগ নেতাসহ ৮ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে মাসিক ৪০ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবী করায় এক ব্যবসায়ীর থানায় লিখিত অভিযোগ

    নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকে : সাভারের আশুলিয়ায় দাবিকৃত ১ লাখ টাকা চাঁদা ও ৪০ হাজার টাকা মাসিক না পেয়ে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে এক ব্যবসায়ীর ঝুট ব্যবসা দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতাসহ ৮ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা কবির হোসেন সরকার আশুলিয়া থানা যুবলীগের বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক। কবির হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে নাশকতা, হত্যাচেষ্টা, ঝুট ব্যবসা দখল ও চাঁদাবাজিসহ প্রায় ডজন খানেক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

    এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও নিহান এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী মাহফুজ আহাম্মেদ।

    অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আশুলিয়ার বাইপাইল নতুন পাড়া এলাকার সেবল টেক্স নামে প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় আট মাস যাবৎ ওয়েস্টেজ মালামাল ক্রয়ের ব্যবসা করে আসছেন নিহান এন্টারপ্রাইজের মালিক ব্যবসায়ী মাহাফুজ আহম্মেদ। এজন্য ব্যবসায়ী মাহাফুজ আহাম্মেদ এর থেকে যুবলীগ নেতা কবির হোসেন সরকার ও তার অনুসারী প্রভাবশালী সন্ত্রাসী নজরুল ইসলাম, সোহাগ তালুকদার, মনির মন্ডল, ইলিয়াস, সালাম, সানোয়ার হোসেন এবং মনছুররা প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করতো এবং নগদ ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী পুরুন না করায় তাকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে।

    বৃহস্পতিবার বিকেলে বাইপাইল এলাকার নিহান এন্টারপ্রাইজের গোডাউনে এসে যুবলীগ নেতা কবির হোসেন সরকার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী মাদকগ্রহন করে ব্যবসায়ী মাহফুজ আহাম্মেদের নিকট ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। এসময় চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অস্ত্র উঠিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে
    ব্যবসায়ী মাহফুজকে প্রাণনাশ ও ব্যবসা দখলের হুমকি প্রদান করে।

    অভিযোগের ব্যাপারে আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার বলেন, গত দুই বছর আগে সেবলটেক্স নামে ওই কারখানার ঝুট ব্যবসা তিনি মাহফুজসহ তার কয়েকজন যুবলীগ কর্মীদের নিয়ে দেন। তবে মাহফুজ পরবর্তীতে তার কোন কর্মীদের সাথে না রেখে একাই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।

    • এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম জানান, এ সংক্রান্ত বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • ৯ জানুয়ারি সাভারের নয়াবাড়ী মহিউস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদ্রাসার উদ্যোগে তাফসিরুল কুরআন মাহ্ফিল

    ৯ জানুয়ারি সাভারের নয়াবাড়ী মহিউস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদ্রাসার উদ্যোগে তাফসিরুল কুরআন মাহ্ফিল

    ইসলামঃ আগামী ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বাদ আসর মহিউস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদ্রাসা ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে সাভার পৌর রেডিও কলোনির নয়াবাড়ী এলাকার সরকারবাড়ী জামে মসজিদ এর স্থানে তাফসিরুল কুরআন মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হবে।

    তাফসিরুল কুরআন মাহ্ফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে কুরআন ও হাদিসের আলোকে আলোচনা করবেন ঢাকার লালবাগের মুদাররিস শরীফুল উলুম আরাবিয়া মাদ্রাসার হযরত মুফতি আরিফ বিন হাবিব। বিশেষ বক্তা হিসেবে আলোচনা করবেন সাভার পৌর এলাকার মদিনাতুল উলুম ব্যাংক কলোনি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আলহাজ্ব শাইখুল হাদিস হযরত মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আরো অনেকে।

    নিউ আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ জিল্লুর রহমান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, সাভার পৌর প্যানেল মেয়র ও সাভার পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ নজরু ইসলাম মানিক মোল্লা।

    তাফসিরুল কুরআন মাহ্ফিলে হামদ,নাত,সুরা-কেরাত পাঠ করবে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
    এসময় আরো উপস্থিত থাকবেন মহিউস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদ্রাসা মুহতারিম হাফেজ মুফতি মাহবুবুর রহমান। যোগাযোগঃ ০১৭৭২২৩০৪১৬।বিজ্ঞপ্তি

    ।।সম্পাদনায় শেখ আবুল কালাম আজাদ।।

  • সাভারে ৪র্থ শ্রেনির এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের অভিযোগ

    সাভারে ৪র্থ শ্রেনির এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের অভিযোগ

    সত্যের সংবাদডেক্সঃ

    সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকায় ১১ বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার(০২ জানুয়রি) সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে।

    প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পেয়েছে কর্তব্যরত চিকিৎসক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    শিশুর পরিবার ও আশুলিয়া থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই শিশু কিশোরগঞ্জে তার দাদার বাড়িতে থাকে। শিশুটি সেখানেই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। তার বাবা-মা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকায় ভাড়া থাকেন। গত শনিবার কিশোরগঞ্জ থেকে তার দাদির সঙ্গে বাবা-মায়ের কাছে বেড়াতে আসে।

    শিশুটির পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে আগে ওই ভাড়া বাসার পাশের সড়কে খেলাধুলা করছিল সে। এ সময় এক যুবক তাঁকে কথা বলার ছলে পাশের একটি বাসায় নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর শিশুটি বাড়িতে ফিরে যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে। একপর্যায়ে শিশুটি পরিবারের লোকজনকে ধর্ষণের বিষয়টি জানালে তাকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়া হয়।

    সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত সোয়া ১০ টার দিকে শিশুটিকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পরিবার।

    শিশুটির মা বলেন, ‘আমার মেয়ে বাসার সামনে খেলছিল। সেখানে একটা লোক এসে আন্টির সঙ্গে দেখা করানোর কথা বলে তাকে ডেকে নিয়ে পাশের একটা বাসায় যায়। কিছুক্ষণ পরে সে বের হয়ে এসে তার দাদিকে বলে, “আমাকে মেরে ফেলল”। পরে সে তার দাদিকে ওই লোকটাকে দেখায়। কিন্তু তার দাদি ছেলেটিকে ডাক দিতেই সে মুখ ঢেকে দৌড় দিয়ে চলে যায়।’

    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আসমা সিদ্দিকা বলেন, ‘প্রাথমিক পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।’

    আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোঃ একরামুল হক বলেন, ‘ভুক্তভোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। অভিযুক্ত যুবককে আটকের চেষ্টা চলছে।’