Author: sattersangbad24

  • তিন বছরের শিশুর তলপেটে টিউমার চিকিৎসা করতে সাহায্যের আবেদন

    তিন বছরের শিশুর তলপেটে টিউমার চিকিৎসা করতে সাহায্যের আবেদন

    তিন বছরের শিশুর তলপেটে টিউমার চিকিৎসা করতে সাহায্যের আবেদন!

    আসসালামু আলাইকুম।
    দয়াকরে কেউ এড়িয়ে যাবেন না, সাহায্য করতে না পারলেও পোস্টটি শেয়ার করুন। আপনার একটি শেয়ারে হয়তোবা কোনো দানশীল ব্যাক্তির নজরে আসবে।

    Home

    বিজ্ঞপ্তি

    টাকার অভাবে গার্মেন্টস শ্রমিক বাবা মায়ের সন্তানের চিকিৎসা করতে পারছেনা। ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার ইয়ারপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার মোহাম্মদ মিকাইল হোসেনের ছেলে ইমন।
    শিশুটির বয়স মাত্র তিন বছর।
    গত প্রায় চার মাস থেকে শিশুটির তলপেটের ভিতরে টিউমার বড় হতে থাকে। এতদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও টিউমারের বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।
    তবে ডাক্তার বলেছেন শিশুটির উন্নত চিকিৎসা করানো হলে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব। শিশুটির চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ২ লক্ষ্য ৫০ হাজার টাকা।
    দরিদ্র বাবা সামান্য গার্মেন্টস শ্রমিক এত টাকা কোথায় পাবে ?
    স্থানীয়ভাবে এলাকাবাসী ও আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে প্রায় ১ লক্ষ টাকা ব্যবস্থা হয়েছে।
    বাকি টাকা এখনো জোগাড় করা সম্ভব হয়নি।

    আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ, শিশুটিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে আমাদের যার যা সামর্থ আছে তাই দিয়ে শিশুটিকে সাহায্য করি।
    সাহায্য পাঠানোর মাধ্যম:
    বিকাশ পার্সোনাল- 01882869589 (বাবা মিকাইল হোসেন আজাদ)
    নগদ পার্সোনাল- 01882869589

    ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার-
    A/C No: 1100012100006779
    Eastern Bank, Ashulia branch
    সার্বিক সহযোগিতায়: ম্যান ফর ম্যান ফোর্স

  • ক্রিকেটার নাসির  তামিমার বিরুদ্ধে জিডির পর মামলার প্রস্তুতি

    ক্রিকেটার নাসির তামিমার বিরুদ্ধে জিডির পর মামলার প্রস্তুতি

    • ক্রিকেটার নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে জিডির পর মামলার প্রস্তুতি

    ডেক্স রিপোর্টঃ
    ডিভোর্স পেপার ছাড়াই অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করায় আইনের জালে আটকে যাচ্ছেন ক্রিকেটার নাসির। এই ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা সৌদি এয়ার লাইন্সের বিমানবালা তামিমা তাম্মীকে (তামিমা সুলতানা শবনব) করা হচ্ছে মামলার প্রধান আসামি। আর নাসিরকে রাখা হচ্ছে সহযোগী আসামি হিসেবে। এছাড়াও বিয়ে করা তামিমা তাম্মীর মা সুমি আক্তার এই বিয়েতে ইন্ধন যোগানোয় সহযোগী আসামি হিসেবে তার নামও রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এছাড়া আরও কয়েকজনকে আসামি করার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

    ‘আপনাদের বউয়ের দিকে খেয়াল রাখেন, ভাবিরা যাতে ভাইগা না যায়’ বলেন নাসির
    এ বিষয়ে রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তামিমা তাম্মীর স্বামী রাকিব হাসান আরটিভি নিউজকে বলেন, আজ সরকারি ছুটি হওয়ায় অফিস আদালত বন্ধ রয়েছে, তাই আগামীকাল থেকে আমি এ বিষয়ে আইনের প্রক্রিয়া শুরু করবো। এ বিষয়ে ‘ফ্যামিলি কোর্ট’ এ মামলা দায়ের করবো।

    এ বিষয়ে আমি আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি। আইনগত নিয়ম কানুন অনুযায়ী আমি এগিয়ে যাবো। আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী কি করে অন্য ছেলেকে বিয়ে করে! আর ক্রিকেটার নাসির সব কিছু জেনেশুনে কিভাবে আমার স্ত্রীকে বিয়ে করলো! আমি এর বিচার চাই।

    তিনি আরও বলেন, আমার কাছে অডিও রেকর্ড রয়েছে। নাসির আমাকে কল করে স্বীকার করেছে যে, সে সবকিছু জেনে শুনেই আমার স্ত্রী তামিমা তাম্মীকে বিয়ে করেছে। তাহলে সে অবশ্যই আইন ভঙ্গ করেছে। এই অনুযায়ী তার বিচার হওয়া জরুরী। আমার ৮ বছরের বাচ্চা মেয়েটা তার মায়ের এমন অস্বাভাবিক কাণ্ডে খুব কষ্ট পেয়েছে, সে অনেক কান্নাকাটি করছে। বাবা বর্তমান থাকা সত্ত্বেও অন্য পুরুষের সঙ্গে তার মায়ের অস্বাভাবিক ভিডিও ও ছবিগুলো তার কাছে খুবই অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার বাচ্চা মেয়েটা এখন মানসিকভাবে খুবই বিধ্বস্ত!আম্মু কি করতেছে তুমি দেখছো বাবা, বকা দিবা না. তামিমার মেয়ে।

    ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ওই পোস্টে রাকিবের সঙ্গে নাসিরের একটি অডিও কলও রয়েছে। যা আরটিভি নিউজের হাতেও আছে। যেখানে নাসির রাকিবকে ফোন দিয়ে জানতে চান কেনো তিনি জিডি করেছেন। এদিকে ২০১১ সালে রাকিবের সঙ্গে তামিমার বিয়ে হয়। বর্তমানে সৌদিয়া এয়ার লাইন্সের কেবিন ক্রু হিসেবে কর্মরত রয়েছেন তামিমা।

    নাসিরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে নাসিরের বড় ভাই নাসিম হোসেনের সঙ্গে জানতে চাওয়া হয়। আরটিভি নিউজকে তিনি বলেন, আমি আপাতত মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। খুব শিগগিরই আমরা এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবো।

    উল্লেখ্য, ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে বিয়ে করেন ক্রিকেটার নাসির হোসেন। গেল বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) হলুদ সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। পরের দিন গতকাল শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) তাদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অভিযোগ উঠেছে স্বামীকে তালাক না দিয়েই নাসিরের সঙ্গে বিয়ে পিড়িতে বসেছেন স্ত্রী তামিমা তাম্মী।

    গত শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাইসা ইসলাম বাবুনি নামক এক ফেসবুক ব্যবহারকারীর একটি পোস্ট ভাইরাল হয়। যেখানে তামিমার স্বামী রাকিবের পক্ষে দাবি করা হয়েছে, এখনও তাদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক রয়েছে। তাদের ঘরে রয়েছে ৮ বছর বয়সী একটি মেয়ে সন্তানও। তালাক না দিয়ে নতুন বিয়ে করায় তামিমার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন রাকিব।

    বিভিন্ন গনমাধ্যমে উঠে এসেছে তৃতীয় বিয়ে করলো তামিমা ক্রিকেটার নাসিরকে।

     

  • সাভার ও আশুলিয়ায় পৃথকভাবে এক নারীসহ অজ্ঞাত দুইজনের লাশ উদ্ধার

    সাভার ও আশুলিয়ায় পৃথকভাবে এক নারীসহ অজ্ঞাত দুইজনের লাশ উদ্ধার

    সাভার ও আশুলিয়ায় পৃথকভাবে এক নারীসহ অজ্ঞাত দুইজনের লাশ উদ্ধার

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার:

    সাভারে পৃথক স্থান থেকে নারীসহ অজ্ঞাত দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাভার হাইওয়ে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজ্জাদ করিম ও আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম।

    এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের শিমুলতলা এলাকা থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তি ও রোববার সকালে আশুলিয়ার বাড়ইপাড়া এলাকার একটি পুকুর থেকে লাগেজবন্দী নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
    নিহত ব্যক্তিদের বিস্তারিত নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানান, পুলিশ কর্মকর্তারা।

    পুলিশ আরো জানায়, শনিবার (২০ ফেব্রয়ারি) রাত দেড়টার দিকে সাভারের শিমুলতলা এলাকার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে আনুমানিক ৩১ বছরের অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ দেখতে পায় পথচারীরা। পরে সাভার হাইওয়ে থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

    স্থানীয় ব্যক্তিদের দাবি, নিহত ব্যক্তি মানুষিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। বেশ কয়েক দিন হলো ওই এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যাই তাকে । সড়ক পারাপারের সময় কোনো পরিবহনের নিচে চাপা পড়ে থাকতে পারেন তিনি।

    সাভার হাইওয়ে থানার পরিদর্শক সাজ্জাদ করিম বলেন, খবর পেয়ে নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (বিপিআই, ঢাকা) খবর দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রাথমিক তদন্ত শেষ হলে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হবে।

    এদিকে সাভারের আশুলিয়ায় লাগেজবন্দী অজ্ঞাতনামা এক নারীর (২৫) মরদরহ উদ্ধার করা হয়েছে।

    পুলিশ জানায়, সকালে ওই এলাকার পুকুরে একটি লাল রঙের লাগেজ ভাসতে দেখেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। পরে লাগেজটি পুকুর থেকে তুলে দেখেন ভেতরে এক নারীর মরদেহ। পরে তারা আশুলিয়া থানায় খবর দিলে নারীর মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। পুলিশের ধারণা, ওই নারীকে কোথাও হত্যা করে লাগেজবন্দী করে ওই পুকুরে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা।

    আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম জানান, নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে নিহত নারীর নাম-পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

    ২১,০২.২১

  • জাবিতে ৬ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে সংবাদ সম্মেলন শিক্ষার্থীদের

    জাবিতে ৬ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে সংবাদ সম্মেলন শিক্ষার্থীদের

    জাবিতে ৬ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে
    সংবাদ সম্মেলন শিক্ষার্থীদের

    শেখ এ কে আজাদ,জাবি,সাভার থেকেঃ
    ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
    রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। সংবাদ সস্মেলনে এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন তাদের দাবি গুলো চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে। ছয় দফা দাবি গুলো হলো,শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে হবে,ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে,হামলাকারীদের বিরুদ্ধে নাম উল্লেখ করে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করতে হবে,সকল আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হবে,সংঘর্ষের ঘটনার দায় ক্যাম্পাস কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে ও আবাসিক হলগুলো দ্রুত খুলে দিতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে এসময় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
    এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আসম ফিরোজ উল হাসান বলেন,শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় আসামীদের নাম উল্লেখ করে আশুলিয়া থানায় মামলার জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ নাম ও তথ্য যাচাই বাচাই করে মামলা নিবে বলে জানান তিনি। এছাড়া আবাসিক হল গুলো খুলে দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেছেন হল খোলার সিন্ধান্ত রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপের বেপার।

  • সাভারে আন্তর্জাতিক ২১ ফেব্রয়ারি দিবস পালিত

    সাভারে আন্তর্জাতিক ২১ ফেব্রয়ারি দিবস পালিত

    সাভারে আন্তর্জাতিক ২১ ফেব্রয়ারি দিবস পালিত

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে সাভারে আন্তর্জাতিক ২১ ফেব্রয়ারি দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে রাত ১২ টা এক মিনিটে সাভার উপজেলা পরিষদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা.এনামুর রহমান। পরে সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগ এর অঙ্গসংগঠন,উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষজন শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভাষা শহীদদের প্রতি।

    এর আগে প্রতিমন্ত্রী উপজেলা চত্বরে নবনির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও স্বাধীনতা বঙ্গবন্ধু চত্বর উদ্বোধন করেন। এসময় সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীবসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

  • কালোজিরা সকল রোগের ওষুধ, ক্যা’ন্সারের রোগীকে কালোজিরা খাওয়ানো হয়না কেন?

    কালোজিরা সকল রোগের ওষুধ, ক্যা’ন্সারের রোগীকে কালোজিরা খাওয়ানো হয়না কেন?

    কালোজিরা সকল রোগের ওষুধ, ক্যা’ন্সারের রোগীকে কালোজিরা খাওয়ানো হয়না কেন?

    হেল্থ ডেক্সঃ
    একটা বক্স হাতে FBS এর দিকে আরজুকে যেতে দেখলাম। ডাক দেবার পর থামলে জিজ্ঞেস করি, কই যাচ্ছিস?
    আরজু বললো, ক্যান্সার আক্রান্ত এক মায়ের জন্য টাকা তুলতে যাচ্ছে সে।
    এরকম জনহিতকর কাজে সবসময়ই এগিয়ে আসে আরজু, তবে কাউকে বলেনা, এমনকি আমাকেও যেতে বলেনা। ভাবলাম এমনিতেই তো ফ্রি আছি, তাই আরজুর সাথে গেলাম এক ক্যান্সার আক্রান্ত মায়ের জন্য টাকা তুলতে।

    সবার কাছে গিয়ে ঐ অসুস্থ মায়ের দূর্দশার কথা বলতে থাকলাম।যে যেরকম পারছে দানবক্সে টাকা দিচ্ছে, কেউ ১০ টাকা, কেউ ২০ টাকা, আবার একটু আগে একজন ১০০০ টাকারও একটা নোট দিলেন।
    ডাকসুর সামনে যেতে বিপ্লব ভাইকে দেখলাম।সিগারেটের ধূয়া আকাশের দিকে ছেড়ে ঐ ধোয়ার দিকে তাকিয়ে আছেন।

    বিপ্লব ভাইয়ের কাছে গিয়ে একটু কথাবার্তা বলে ক্যান্সার আক্রান্ত ঐ মায়ের জন্য টাকা চাইলাম।
    বিপ্লব ভাই হেসে বললেন, “এই ১০ লক্ষ টাকা তুলে আর কী করবা তার চেয়ে বরং ঐ মা’কে সামান্য কালোজিরা খাওয়াও।ঠিক হয়ে যাবেন।”
    এরকম মুহূর্তে বিপ্লব ভাইয়ের মজা নেওয়া দেখে আমার কিছুটা বিরক্ত লাগলো, বেচারা সিচুয়েশনও বুঝেননা।বিরক্তির সুরে বললাম, “ভাই এগুলো কি বলছেন,ক্যান্সার হইছে এর মধ্যে কালোজিরা খাইয়ে কি হবে?

    বিপ্লব ভাই হাসলেন, হাসি থামিয়ে বললেন, “তোমাদের নবী নাকি বলছেন কালোজিরা সকল রোগের ওষুধ (!) তাহলে আবার টাকা তুলে ক্যান্সার রোগীদের সাহায্য করার দরকার কি?কালোজিরা খাওয়ালেই তো হয়।”

    বিপ্লব ভাই যেটা বলছেন, সেটাতো আসলেই সত্যি। ছোটবেলায় এরকম ওয়াজ শুনেছিলাম যে, কালোজিরা খাইলে সব রোগ কমে যায়, তাহলে ক্যান্সার রোগীকে কালোজিরা খাওয়ানো হয়না কেন? নাকি এই হাদীসটি অযৌক্তিক!

    আরজু বিপ্লব ভাইকে পাল্টা জিজ্ঞেস করলো, “আচ্ছা ভাই,আপনি কি এই হাদীসটা কোনো হাদীস গ্রন্থ থেকে পড়েছেন, কিংবা কোনো হাদীসের এপস থেকে পড়েছেন?”
    বিপ্লব ভাই অনেকটা রেগে গিয়ে বললেন, “তার মানে,আমি কি মিথ্যা বলছি? এটা সহীহ বুখারীর হাদীস।”
    আরজু বললো, “ভাই আমি ঐটা বলিনি, হাদীসটা সহীহ না জাল।আমি জিজ্ঞেস করছি এই হাদীসটা আপনি কোথায় থেকে জানছেন? মুক্তমনা ব্লগ থেকে নাকি হাদীসের বই থেকে?”

    বিপ্লব ভাইয়ের কন্ঠ এখন একটু নরম হলো, তিনি বললেন, “আমি ব্লগ থেকে জানছি।”
    আরজু হাসলো, “আমি জানতাম এরকমই হবে।আপনারা হাদীস শিখেন মুক্তমনা ব্লগে ঢুকে, হাদীসের এতগুলো বই বাদ দিয়ে যেখানে ইসলামের বিদ্বেষী লেখালেখি হয় সেখানে যান। হাদীস শিখতে।”

    আরজুর কথাশুনে বিপ্লব ভাই সত্যি সত্যি রেগে গেলেন, আরজুকে শাসিয়ে বললেন, “হইছে হইছে এবার আমার প্রশ্নের উত্তর দাও।ক্যান্সার রোগীকে তোমাদের নবীর কথামতো কালোজিরা খাওয়াও না কেন?”
    আরজু বললো, “আপনার বলা মিথ্যা হাদীসটির সংশোধন আগে করে নেই। নবী সা: বলেছেন, কালোজিরা সাম ব্যতীত সকল রোগের উপশম (healing)। সাম মানে হলো মৃত্যু। (বুখারী: ৫৬৮৮, তিরমিযী ২০৪১, ইবনু মাজাহ ৩৪৪৭)।
    ভালো করে দেখুন এখানে ওষুধ বলা হয়নি, বলা হয়েছে উপশম/healing। এখন বলুন উপশম আর ওষুধ কি এক হয়?”

    নিজের ভূয়া তথ্যের জালে নিজেই আটকে গিয়ে বিপ্লব ভাইয়ের মুখ দিয়ে আর কোনো কথা বের হচ্ছেনা।
    আরজু বলে চললো, “তবে কালোজিরাতে এমন সব উপাদান আছে যা ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের পথপ্রদর্শক ইবনে সিনা তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘কানুন ফিত তিবব’ (Canon Of Medicine) গ্রন্থে বলেছেন, কালোজিরা দেহের প্রাণশক্তি বাড়ায় এবং এর মধ্যে শতাধিক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যার মধ্যে ২১ শতাংশ প্রোটিন, ৩৮ শতাংশ শর্করা, স্নেহ পদার্থ ৩৫ শতাংশ এবং বাকি অংশ ভিটামিন ও খনিজ।”

    বিপ্লব ভাই বললেন, এগুলো তো তোমদের নবীর হাদীস ডিফেন্স করতে গিয়ে মুসলিম বিজ্ঞানীর কথা।তিনি তো কালোজিরার পক্ষেই সাফাই গাইবেন।
    আরজু হাসলো, “আপনাদের নিয়ে পারিও না! আমেরিকার বিখ্যাত ডাক্তার জোসেফ মেরকোলার (Joseph Mercola) নাম শুনছেন?”

    বিপ্লব ভাই না সূচক মাথা নাড়লেন।
    আরজু বলে চললো, উনি হলেন আমেরিকার একজন বিখ্যাত ডাক্তার। Fat for fuel:A Revolution, The No-Grain Diet এরকম কয়টি বিখ্যাত বইও লিখেন।
    কালোজিরা নিয়ে ৬৫০ টা রিসার্চ করা হয় উনার অধীনে। এই রিসার্চ এর সমাপ্তীতে তিনি বলেন,কালোজিরার মধ্যে ফার্মাকোলজিকাল কমপক্ষে ২০ টা উপাদান আছে।
    তারমধ্যে থাইমোকুইনইন (Thymoquinone) হলো এন্টি-ক্যান্সারের জন্য ব্যবহৃত উপাদান।
    কালোজিরার মধ্যে এই থাইমোকুইনইন উপাদানটি পাওয়া যায়।

    অক্সিডিটিভ স্ট্রিস (Oxidative Stress) ডায়াবেটিস নিরোময়ে ব্যবহৃত হয়।
    কালোজিরার মধ্যে এই উপাদানটি ও পাওয়া যায়।
    বিপ্লব ভাইয়ের হাতের সিগারেটের শেষ টান দিলেন।
    আরজু বললো, “নবী সা: বলেননি রোগ হলে কালোজিরা খেতে, তিনি বলেছেন কালোজিরা খেতে যাতে সেটি রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে আরো শক্তিশালী করে। কিন্ত হাদীসের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে আপনি বলছেন ওষুধের কথা!”

    সিগারেট ফেলে দিয়ে বিপ্লব ভাই পকেট থেকে ১০ টাকা বের করে দানবক্সে রাখলেন।
    আমি বললাম, বিপ্লব ভাই! সিগারেটের পকেটে কিন্ত লেখা আছে, ‘Smoking causes Cancer’
    তাই ধূমপানও করুন, কালোজিরাও খান।
    আমার কৌতুক শুনে বিপ্লব ভাই হাসলেন।
    আমরা চললাম পরবর্তী জনের কাছে,
    “ভাই, আমাদের বন্ধুর মা ক্যান্সারে আক্রান্ত, একটু যদি সাহায্য করতেন…”
    লেখক ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের শিক্ষার্থী

  • নারী-পুরুষের ধর্মীয় নির্দেশ মোতাবেক পথচলা

    নারী-পুরুষের ধর্মীয় নির্দেশ মোতাবেক পথচলা

    নারী-পুরুষের ধর্মীয় নির্দেশ মোতাবেক পথচলা

    ইসলামঃনারীর নিরাপদ পথচলায় ধর্মীয় বিধান ও দিক-নির্দেশনা মেনে চলার বিকল্প নেই। আল্লাহ তাআলা মানুষকে স্বচ্ছ বিবেক-বুদ্ধি দান করেছেন। বিবেক-বুদ্ধিকে সদা জাগ্রত রাখার জন্য কুরআনুল কারিমের অসংখ্য আয়াতে নারী-পুরুষ সবাইকে তাকওয়ার অধিকারী হতে বলেছেন। কারণ তাকওয়া বা আল্লাহর ভয় মানুষকে উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপন থেকে হেফাজত করে।

    ঘরে-বাইরে, পাড়া-মহল্লায় কিংবা চলার পথে বিশ্বব্যাপী নারীরা অহরহ যৌন হয়রানিসহ নানা সমস্যায় পড়ছে। অথচ আল্লাহ তাআলা পুরুষদেরকে নৈতিকতা বিবর্জিত কাজকে নিরুৎসাহিত করেছেন। নারীদের কল্যাণে পুরুষরা যাতে নিজেদেরকে সংযত করে কুরআনে সে নির্দেশ প্রদান করছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-

    ‘হে রাসুল!) ঈমানদার পুরুষদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। এটা তাদের জন্য অধিক পবিত্র।’ (সুরা নুর : আয়াত ৩০)
    আল্লাহ তাআলা নারী-পুরুষের জন্য আলাদা আলাদা কর্মনীতি পেশ করেছেন। জীবন পরিচালনায় এক দিকে যেমন পুরুষদেরকে নারীদের প্রতি কুদৃষ্টি ও ধ্যান-ধারণার নিষেধ করেছেন। আবার নারীদেরকে পুরুষের সামনে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ করতে নিষেধ করেছেন।

    নারী-পুরুষ উভয়ের কল্যাণে আলাদা আলাদা আদেশ, নিষেধ, উপদেশ বর্ণনা করেছেন। শুধু পুরুষের জন্য আইন প্রণয়ন করে যেমন নারীর নিরাপদ পথচলা নিশ্চিত করা যাবে না। তেমনি নিরাপদ পথচলায় নারীর জন্যও রয়েছে করণীয়। ঘরের বাইরে নারীদেরকে শালিন ও সভ্য পোশাকে চলতে হবে। যাবতীয় উচ্ছৃঙ্খলতাও পরিহার করতে হবে। তাইতো আল্লাহ তাআলা নারী-পুরুষ উভয়কে লক্ষ্য করে ঘোষণা করেন-

    ‘হে বনি আদম! আমি তোমাদের জন্য এমন পোশাক অবতীর্ণ করেছি, যা তোমাদের লজ্জাস্থানকে আবৃত করে রাখবে এবং যা হবে (তোমাদের জন্য) ভূষণ। আর পরহেজগারির পোশাক, এটিই সর্বোত্তম।’ (সূরা আরাফ : আয়াত ২৬)
    পুরুষরা বেশির ভাগ সময় ঘরের বাইরে বিভিন্ন কাজে অবস্থান করে। তাদের এ অবস্থানকালীন সময়ে কোনোভাবেই যেন কোনো অন্যায় সংঘটিত না হয়। রাস্তার হক নষ্ট না হয়, আনন্দ-বিনোদনে নারীরা যাতে হেয় কিংবা আক্রমণের শিকার না হয়। সে জন্য কুরআন হাদিসে এসব নির্দেশনা ও তাগিদ দেয়া হয়েছে। হাদিসে এসেছে-

    রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘তোমরা রাস্তায় বসা থেকে বিরত থাকো। অগত্যা যদি রাস্তাঘাটে বসতেই হয়, তখন রাস্তার হক আদায় করবে। রাস্তার হক হলো- তোমরা তোমাদের চোখকে অবনত রাখবে, কাউকে কষ্ট দেবে না, কেউ সালাম দিলে তার উত্তর দেবে, সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ করবে।’ (বুখারি)

    হাদিসের নির্দেশনায় চোখ নিচু রাখার অর্থই হলো কোনো নারী যেন তার কুদৃষ্টির শিকার না হয়। নারীর প্রয়োজনে পথ চলায় যেন কোনো হয়রানির শিখার না হয়।
    বিশেষ করে নারীর নিরাপদ পথচলায় করণীয় হলো– কোনো নারীই ঘরের বাইরে উগ্র পদচারণা কিংবা চলাফেরা না করা। কোনো পর পুরুষের সঙ্গে আবেদনময়ী স্বরে কথা না বলা। ব্যক্তিগত পারিবারিক কিংবা চাকরির প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হবে তখন রাস্তায় চলাফেরায় নম্র ও সতর্ক থাকতে হবে। অন্য পুরুষের (গায়রে মাহরাম) সঙ্গে আবেগ তথা দরদি স্বরে কথা না বলা সর্বোত্তম।

    – সুস্থ সংস্কৃতি ও পারিবারিক বন্ধন, পরস্পরের প্রতি সঠিক মর্যাদা ও মূল্যবোধের প্রতি সম্মান দেখানোসহ সবক্ষেত্রে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা জরুরি। ধর্মীয় অনুশাসন ও নৈতিক শিক্ষাই উচ্ছৃঙ্খল ও বেহায়াপনামুক্ত সমাজ উপহার দিতে পারে।
    – পর্দার সঙ্গে পথচলা নারীর জন্য সর্বোত্তম কাজ। পর্দার বাস্তবায়নই নারী-পুরুষের পথচলা নিরাপদ ও নির্বিগ্ন করতে পারে। নারীদেরকে লক্ষ্য করে আল্লাহ তাআলা বলেন-

    ‘ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতিত আর কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা নুর : আয়াত ৩১)

    – এমনকি নবি পত্নীদের উদ্দেশ্য আয়াত নাজিল করে আল্লাহ তাআলা বলেন-‘হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলি যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না।’ (সুরা আহজাব : আয়াত ৩২)

    সুতরং নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা জরুরি। তবেই অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা থেকে মুক্ত থাকবে ব্যক্তি পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্র। নারী-পুরুষ উভয়েই থাকবে নিরাপদ।
    ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে সমাজে ‘নারী ও পুরুষ নির্যাত ‘-নামক কোনো শব্দই থাকবে না। তাই ব্যক্তি পরিবার কিংবা সমাজ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই নারী-পুরুষ উভয়ের শ্রদ্ধা ও সম্মানজন মনোভাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, জাতীয় কবির ভাষায় বলতে হয়-‘বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর,/অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’

    আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআন-সুন্নাহর দিক-নির্দেশনা মেনে জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন। নারীর নিরাপদ পথচলায় ধর্মীয় অনুশাসনে নিজেদের পরিচালিত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
    সূত্র-অনলাইন

  • সাভারের নয়াবাড়ী ও হরিণদরা এলাকায় পৃথক দুজন যুবতীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

    সাভারের নয়াবাড়ী ও হরিণদরা এলাকায় পৃথক দুজন যুবতীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

    • সাভারের নয়াবাড়ী ও হরিণদরা এলাকায় পৃথক দুজন যুবতীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    সাভার পৌর নয়াবাড়ী এলাকায় জান্নাতুল ফেরদৌস সমাপ্তি (২৫) নামে এক যুবতী ফ্যানের সাথে ওড়না বেধে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে সে ঘরে একা থেকে এ আত্মহত্যা করে। তার বাম হাতে কয়েকজায়গায় ব্লেড দিয়ে কেটে রক্তাক্ত করে আত্ম হত্যা করে।

    একটি চিরকুটে দেখা মিলে ভালবাসার প্রতারনায় এমন আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে যুবতী। সে কুষ্টিয়া থেকে সাভারে এসে একটি গার্মেন্টসে চাকরী নেয়, কিন্তু কয়েকমাস ধরে তার চাকরী চলে যায়। সে তার বড় ভাইয়ের ভাড়া বাসায় থাকতো।

    এ ঘটনায় গভীর রাতে তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তার বাড়ী কুষ্টিয়া জেলার কুমার খালী থানা এলাকায় শামীমের বোন।
    তার বড় ভাই শামীম জানায় কয়েকবছর পূর্বে তার বোনের একটি বিয়ে হয় ঘরসংসার করার পর ৭ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। স্বামীর সাথে বনাবনি না হওয়ায় স্বামীকে তালাক দিয়ে গত দেড় বছর আগে সাভারে চলে আসে।

    পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে যুবতী আত্মহত্যা করার খবর শুনে তারা মরদেহ উদ্ধার করে।সাভার পৌর নয়াবাড়ী এলাকার হাবিবুল্লাহর বাড়ীর ৪ র্থ তলার তার ভাই ভাবী সাথে আলাদা রুমে বসবাস করে আসছিল।

    অপরদিকে সাভারের হরিনদরা এলাকায় ২৫ বয়সের এক গার্মেন্টস কর্মী ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    এ বিষয়ে সাভার থানা অফিসার ইনচার্জ এফএম সাহেদ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একই দিনে দুজন যুবতীর ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে পৃথক দুটি অপমূত্য মামলা দায়ের হয়েছে।

  • সাভারে অভিনব কায়দায় তিতাস গ্যাসের ঠিকাদার অবৈধ সংযোগে বাড়ির মালিকদের নিকট থেকে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

    সাভারে অভিনব কায়দায় তিতাস গ্যাসের ঠিকাদার অবৈধ সংযোগে বাড়ির মালিকদের নিকট থেকে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

    সাভারে অভিনব কায়দায় তিতাস গ্যাসের ঠিকাদার অবৈধ সংযোগে বাড়ির মালিকদের নিকট থেকে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

    রফিকুল ইসলাম জিল্লু, শেখ এ কে আজাদ  সাভার থেকেঃ
    সাভার তিতাস গ্যাসের ঠিকাদার হুমায়ুন কবির ভূয়া রশিদ অবৈধ গ্যাস সংযোগ বাণিজ্যে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতরানা ফাঁদে পরার পরার পর স্থানীয়রা গ্যাস সংযোগ নিলে তারা এ অভিযোগ করে।

    অভিনব কায়দায় ভুয়া রশিদ দেখিয়ে তিতাস গ্যাসের বৈধ সংযোগ দেয়ার কথা বলে বেশকিছু বাসা বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে, প্রায় ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।

    উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের জয়নাবাড়ী স্কুল পাড়া এলাকায় তিতাস গ্যাসের এসব অবৈধ সংযোগ বাণিজ্য করেন তিনি।

    এ সময় প্রতিটি সংযোগ দিয়ে ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১লক্ষ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেন তিনি।

    ঠিকাদার হুমায়ুন কবির রশিদের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা।

    ভুক্তভোগীরা বলেন, তিতাস গ্যাসের বৈধ সংযোগ দেয়ার কথা বলে ওই ঠিকাদার সহযোগী খোকনের মাধ্যমে বাসা বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে প্রায় পনের বিশ লাখ টাকা নিয়ে সংযোগ দেন হুমায়ুন কবির রশিদ।
    এ সময় গ্যাসের বিল পরিশোধের জন্য ভুক্তভোগীদেরকে গ্যাস বিলের বই ও দিয়ে যান তিনি।

    ভূয়া রশিদে টাকা আদায়

    পরে তারা গ্যাসের বিল পরিশোধের জন্য ব্যাংকে টাকা জমা দিতে গিয়ে জানতে পারেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন তারা।

    এসময় ভুক্তভোগীরা আরও বলেন,বৈধতা যাচাই এর জন্য সাভার তিতাস গ্যাস অফিসে গিয়ে বিল পরিশোধ বইয়ের সদস্য নাম্বার দিলে দেখা যায় অন্য এলাকার আরেক জন গ্রাহকের সদস্য নাম্বার দিয়ে এই ভুয়া বই বানিয়েছেন ঠিকাদার রশিদ।

    এসব অবৈধ গ্যাস সংযোগ বাণিজ্যের ব্যাপারে ঠিকাদার রশিদ এর সহযোগী খোকনের কাছে জানতে চাইলে, ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, সংযোগ নেয়ার ব্যাপারে আমি নিজেও তাকে এক লক্ষ টাকা দিয়েছি। এছাড়া ঠিকাদার রশিদ বৈধ সংযোগ দেয়ার কথা বলে সে নিজেই বাসা বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন।

    এ ঘটনায় সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের প্রকৌশলী সায়েম বলেন, তদন্তের মাধ্যমে ঠিকাদার রশিদ এর অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সাভারে স্কুল ছাত্র রোহান হত্যার ঘটনায় আরও দুই আসামি গ্রেফতার

    সাভারে স্কুল ছাত্র রোহান হত্যার ঘটনায় আরও দুই আসামি গ্রেফতার

    সাভারে স্কুল ছাত্র রোহান হত্যার ঘটনায় আরও দুই আসামি গ্রেফতার

    রফিকুল ইসলাম জিলুঃসাভারে চাঞ্চল্যকর আলোচিত স্কুল ছাত্র রোহানের হত্যার ঘটনায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আরো দুই আসামিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করা হয়।

    শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাদের ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল আদালতে পাঠানো হয়। এ নিয়ে মোট ৫ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলো।

    এর আগে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সাভারের উলাইল এলাকার নিজ বাড়ি থেকে জোবায়ের (১৬) ও নামাবাজার এলাকা থেকে পারভেজ (৩২) কে গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতার পারভেজ সাভারের উলাইল এলাকার মো: দুলাল হোসেনের ছেলে ও পারভেজ নামাবাজার এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে। তারা দীর্ঘ দিন ধরে অপরাধ কর্মকান্ড করে আসছিলো বলে জানা গেছে।

    পুলিশ জানায়, হত্যাকান্ডের ঘটনানায় নিহতের বাবা ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এঘটায় পারভেজ ও জোবায়ের সহ মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়ে হয়েছে। এদের মধ্যে পারভেজ ও জোবায়েরকে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। আজ তাদেরড় আদালতে পাঠানো হয়েছে।

    সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক তাহমিদুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।

    প্রসঙ্গত, গত ৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দুটি মোটরসাইকেল যোগে রোহান, সুফিয়ান ও যুবায়েল ব্যাংক কলোনী এলাকার ‘মুড়ি মটকা’ নামে একটি রেস্টুরেন্টে খেতে যায়। এসময় পূর্ব শত্রুতার জেরে টিকটক হৃদয়ের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একটি কিশোর গ্রুপ রোহানের ওপর হামলা করে। এসময় রোহানকে ছুড়িকাঘাত করে তারা। পরে স্থানীয় এনাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রোহান।