Blog

  • কবিতা ✍ইচ্ছে করেনা আর লিখতে ✍

    কবিতা ✍ইচ্ছে করেনা আর লিখতে ✍

    কবিতা ✍ইচ্ছে করেনা আর লিখতে ✍
    ✊✊✊✊??✊✊✊✊

    —-✍ মাহাবুব মন্ডল
    ✊✊✊✊✊✊✊

    অর্থ ছাড়া এই শহরে
    এ জীবন অর্থহীন হয়ে পড়েছে!

    তবুও ছোটাছুটি খবরের সন্ধানে
    তবুও ছোটাছুটি বিজ্ঞাপনের জন্যে
    তবুও ছোটাছুটি রুটি-রুজির সন্ধানে!

    খবরের কাগজে
    ইচ্ছে করেনা অার লিখতে
    কোথাও ভালো খবর নেই বলে!

    অাজ এই করোনা কালে
    বানের পানিতে স্বপ্ন ভাসে!

    ক্ষুধার্ত শিশুরা কাঁদে
    এই শহরের বাসা-বাড়িতে
    কর্মহীন মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামে ফিরছে!

    সেখানেও একমুঠু ভাতের জন্যে
    ওরা অধীর অাগ্রহে অপেক্ষা করছে!

    অাজও ধর্ষিত শিশুর ডাক চিৎকারে
    অামাদের ঘুম ভাংছে
    অাজও কাঙালের ধন চুরি করে
    টাকার পাহাড় গড়ছে!

    ইচ্ছে করেনা অার এসব খবর লিখতে
    জীবন সংগ্রামে অাজ তুমুল যুদ্ধ চলছে!!

    ✊✊✊✊✊✊?✊✊✊✊✊✊

  • কবিতা ✊হে বাঙালি✊

    কবিতা ✊হে বাঙালি✊

    কবিতা ✊হে বাঙালি✊

      —✍ মাহাবুব মন্ডল

    ৭১’এ পিতা মুজিব বলেছিলেন
    ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তুলুন
    বলেছিলেন প্রতিটি পাড়ায়
    প্রতিটি মহল্লায়
    সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলুন।

    হে বাঙালি
    অাজ অামি বলছি
    মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরসূরীদের নেতৃত্বে
    অাবার ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তুলুন
    প্রতিটি পাড়ায় প্রতিটি মহল্লায়
    সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলুন
    বাঁশের লাঠি তৈরী করুন
    লুটেরাদের বিরুদ্ধে
    যুদ্ধ ঘোষণা করুন।

    স্বাধীন বাংলার মানচিত্রকে
    হায়েনার থাবা থেকে রক্ষা করুন

    অধিকার বঞ্চিতদের
    মৌলিক অধিকার
    রক্ষা করুন।

  • ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজ হতবাক এলাকাবাসী

    ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজ হতবাক এলাকাবাসী

     ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজ হতবাক এলাকাবাসী

    ডেক্স সংবাদঃ
    কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিলে চাষাবাদ করতে যাওয়ার জন্য কৃষকদের ব্যবহৃত একটি সরু রাস্তার ওপর ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এতে হতবাক হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। নির্মিত ব্রিজটির দুই পাশে সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট না করায় কৃষকদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে।

    অভিযোগ রয়েছে, প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা না করেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অদূরদর্শিতার কারণে ব্রিজটি নির্মাণ করা হলেও তা কোনো কাজে আসছে না। বর্তমানে ব্রিজটি ওই এলাকার কৃষকদের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে বলে জানায় তারা।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু-কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের আপুয়ারখাতা সোত্তার ভিটা এলাকায় একটি সরু রাস্তায় জনৈক আশরাফের জমির ওপর ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ৩৬ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের এ ব্রিজটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২ লাখ ৪১ হাজার ৪৩৬ টাকা। নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পান লুৎফর রহমান বকসী নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। চলতি বছরের জুনে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। কিন্তু নির্মাণের পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্রিজের সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট না করায় ওই পথে যাতায়াত করা কৃষকরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, এ উপজেলায় গুরুত্বপূর্ণ অনেক রাস্তায় ব্রিজের অভাবে মানুষ চলাচল করতে পারছে না। কিন্তু কর্তৃপক্ষ অপরিকল্পিতভাবে শুধুমাত্র কৃষকদের বিলে চাষাবাদ করতে যাতায়াতের জন্য একটি গুরুত্বহীন সরু রাস্তায় কেন এত বড় ব্রিজ নির্মাণ করল তা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন? এই পথে যোগাযোগের কোনো রাস্তা না থাকায় লাখ-লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজটি কোনো কাজে আসছে না। ফলে সরকারের বিপুলপরিমাণ অর্থ ভেস্তে গেছে বলে জানান তিনি।

    স্থানীয় আশরাফ আলী বলেন, “ওই জায়গায় ছোট একটা গর্ত ছিল, সেখানে একটি কালভার্ট দিলেই হতো। এখানে এত বড় ব্রিজ নির্মাণ করে সরকারের লাখ-লাখ টাকা কেন ব্যয় করা হলো, তা দেখে আমরা হতবাক। ব্রিটিশ আমল থেকে এলাকার কৃষকরা বিলে যাওয়ার জন্য রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছে। ব্রিজ থেকে প্রায় এক হাজার ফুট দূরে গিয়ে রাস্তাটি শেষ হয়েছে।”

    তিনি আরো বলেন, “এই রাস্তাটি দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা, কোনো পথচারীও চলাচল করে না।”

    পান্ডুল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার মঙ্গা বলেন, “রাস্তাটি রেকর্ডভুক্ত, ওই রাস্তা দিয়ে কৃষকরা তাদের জমিতে ধান কাটা মাড়াই ও চাষাবাদের জন্য যায়। বিলে যেতে তাদের যেন সমস্যা না হয় সেজন্য ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে।”

    ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী লুৎফর রহমান বকসী বলেন, “বর্ষাকাল শেষ হলে সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট করে দেওয়া হবে।”

    উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিরাজুদ্দৌলা বলেন, “ব্রিজটি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের হলেও বাস্তবায়ন হয়েছে ২০১৯-২০ অর্থবছরে। বন্যা শেষ হলে মাটি কাটা হবে।”

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুর কাদের বলেন, “বিষয়টি দেখব আমরা, সেখানে ব্রিজ নির্মাণে যুক্তি আছে কিনা।”

  • জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যায় জড়িত ছিলেন জেনারেল জিয়া

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যায় জড়িত ছিলেন জেনারেল জিয়া

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যায় জড়িত ছিলেন জেনারেল জিয়া

    গোপালগঞ্জ থেকে: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যায় জড়িত ছিলেন জেনারেল জিয়া। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি মাজেদ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে একথা বলেছেন : নানক।

    জিয়াউর রহমান কীভাবে তাদের মদদ দিয়েছেন, কীভাবে তাদের বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন এবং সহযোগিতা করেছিলেন তাও বলেছেন।

    শনিবার (১৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী‌ ও জাতীয় শোক দিব‌সে গোপালগ‌ঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা জানানোর পরে এসব কথা বলেন তিনি।

    অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি বলেছেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বিশ্বের ইতিহাসে একটি বর্বর ও নৃশংসতম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। সেই দিন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অধিকাংশ হত্যাকারীকে বিচারের মাধ্যমে দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৫ খুনি এখনও বিদেশে পালিয়ে আছে। তারা কুটনৈতিকভাবে যেসব দেশে পালিয়ে রয়েছে সেসব দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে, তাদের দেশে ফেরত এনে রায় কার‌্যকর করা হবে। ইতোমধ্যে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফলোপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা আশাবাদী তাদের দ্রুততম সময়ে দেশে ফেরত আনা সম্ভব হবে। বাকি ৩ জন এখনও পলাতক রয়েছে। তাদের ব্যাপারেও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। আমরা আশাবাদী ২০২০ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর বাকি খুনিদের ফাঁসির রায় কার‌্যকর করা সম্ভব হবে।

    আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন। বাঙালি জাতির হাজার বছরের স্বপ্ন ছিল একটি স্বাধীন ভূ-খণ্ড। এই টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেওয়া বঙ্গবন্ধু জাতির সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন। কিন্তু ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মোস্তাক-জিয়া বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেন।

    এর আগে শ‌নিবার সকাল ১০টায় জাতীয় শোক দিবসের রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সামরিক সচিব মেজর জেনারেল ন‌কিব আহমদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তিন বাহিনীর পক্ষে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। প‌রে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ‌দের আত্মার মাগ‌ফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মনোজাত করা হয়েছে।

  • শ্রীপুরে অন্তঃসত্তা নারী ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার

    শ্রীপুরে অন্তঃসত্তা নারী ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার

    শ্রীপুরে অন্তঃসত্তা নারী ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক,শ্রীপুর:
    গাজীপুরের শ্রীপুরে সাত মাসের অন্তঃসত্তা নারী পোশাক কারখানার শ্রমিককে ধর্ষণ ও ধর্ষণের চিত্র ধারণের অভিযোগে উজ্জল মিয়া নামের এক যুবককে (৩২) গ্রেফতার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ। এঘটনায় বাড়ির মালিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    অভিযুক্ত উজ্জল মিয়া মানিকগঞ্জ জেলার নয়নকান্দি এলাকার নাসির উদ্দিনের ছেলে। সে শ্রীপুর উপজেলার মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের শামীমের বাড়ীর ভাড়াটিয়া। এ ঘটনায় গত শুক্রবার উজ্জল মিয়া, তাঁর বন্ধু মাহবুব ও বাড়ির মালিক সেলিমকে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর রাতেই শ্রীপুর থানা পুলিশ উজ্জল মিয়াকে আটক করে।
    থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গার্মেন্টস্ শ্রমিক কয়েকবছর ধরে শ্রীপুরের মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামে স্বামীসহ সেলিম মিয়ার বাড়ীতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতো। বর্তমানে ৭মাসের অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ায় কারখানা থেকে ছুটিতে ওই ভাড়া বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। অভিযুক্ত উজ্জল মিয়া তার স্বামী বন্ধু হওয়ায় তাদের মধ্যে পরিচয় ও যাওয়া আসা ছিল। গত ৭জুলাই স্বামীর অনুপস্থিতে অভিযুক্ত উজ্জল গার্মেন্টস্ শ্রমিকের ভাড়া বাসায় তার খোঁজ নিতে গিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের চিত্র মোবাইলে ধারণ করে। এঘটনা কারো নিকট প্রকাশ করলে ধারণ করা ভিডিও স্বামীকে দেখানোর ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। অন্তঃসত্বা অবস্থায় ওই গার্মেন্টস্ শ্রমিকের শারিরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সে তার স্বামীকে ঘটনা খুলে বললে অভিযুক্ত সেলিম ও মাহবুব মীমাংসা করার প্রস্তাব দেন।
    তবে বাড়ির মালিক সেলিম জানান, তাকে ঘরের ভেতর আটকে রাখা, স্বীকারোক্তির ভিডিও ধারণ বা মীমাংসা করে দেয়ার কোন প্রস্তাব দেয়া হয়নি। গত তিনমাস যাবৎ আমার বাড়ির ভাড়া না দিয়েও বসবাস করছেন। তবে এলাকার কিছু লোকজনের উস্কানিতে তাকে এই মামলায় হয়রানি করতেই জড়ানো হয়েছে।
    শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল রাতেই উজ্জলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে।

  • তেঁতুলঝোড়া কলেজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এ জাতীয় শোক দিবস পালন

    তেঁতুলঝোড়া কলেজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এ জাতীয় শোক দিবস পালন

    তেঁতুলঝোড়া কলেজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এ জাতীয় শোক দিবস পালন

    শেখ এ কে আজাদঃ
    জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে সাভারের তেঁতুলঝোড়া কলেজে।
    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এ জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। এসময় কলেজের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ ইউনুছ আল মামুন। ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ ইউনুছ আল মামুন, সহকারী অধ্যাপক লুৎফর রহমান, হোসনে আরা বেগম,কামরুল হাসান খান, নাজমূল হাসান গোলজার, মোঃ ইব্রাহিম হোসেন সহ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন মোঃ আতোয়ার রহমান আতিক স্যার। এসমসয় কলেজে শিক্ষক শিক্ষিকা অভিভাবকসহ গন্যমান্য বক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন

  • আজ শোকাবহ ১৫ আগস্ট

    আজ শোকাবহ ১৫ আগস্ট

    আজ শোকাবহ ১৫ আগস্ট

    ‘এ লাশ আমরা রাখবো কোথায়?/তেমন যোগ্য সমাধি কই?/মৃত্তিকা বলো, পর্বত বলো/অথবা সুনীল-সাগর-জল/সব কিছু ছেঁদো, তুচ্ছ শুধুই!/তাইতো রাখি না এ লাশ আজ/মাটিতে পাহাড়ে কিম্বা সাগরে,/হৃদয়ে হৃদয়ে দিয়েছি ঠাঁই।’
    কবি শামসুর রাহমানের এই কবিতাটি ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে রচিত। কিন্তু ১৯৭৫ সালের শোকাবহ ১৫ আগস্টের পর সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে কবির এই পঙ্ক্তিগুলো। দেশ ও মানুষের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাঙালি তাকে হৃদয়েই দিয়েছে ঠাঁই। কিন্তু এটাও যে যন্ত্রণার। পৃথিবীর বিবেককে নাড়া দেওয়া এই লাশটির ভার বহন এত সহজ নয়। কবি হুমায়ুন আজাদ সত্যিই বলেছেন- ‘সবচেয়ে বিশাল ও ভারী যে লাশটি বাংলাদেশ নিজের বুকের কবরে বয়ে চলেছে, সেটি মুজিবের লাশ’। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর কথা বলছি। বাঙালির পরম আরাধ্য ধন, মহাকালের স্বাপ্নিক মানুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে লাশ বানিয়েছিল একদল ক্ষমতালোভী কুচক্রী মহল। এর পর ইতিহাসের উল্টোপথের যাত্রী হয়ে পথে যেতে যেতে বাঙালি বহন করে চলেছে এই লাশ।

    দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণীতেও স্পষ্ট হয়েছে জাতির জনকের দূরদর্শী নেতৃত্ব ও তার শূন্যতার কথা। বাণীতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আজ অভিন্ন সত্তায় পরিণত হয়েছে। ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তার নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জাতির পিতার নাম এ দেশের লাখো কোটি বাঙালির অন্তরে চির অমলিন, অক্ষয় হয়ে থাকবে।

    advertisement
    বঙ্গবন্ধু ছাড়াও ১৫ আগস্ট রাতে ধানমন্ডির বাড়িতে তার সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেছা, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, বঙ্গবন্ধুর ফোন পেয়ে তার জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল, এসবির কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান ও সেনাসদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হককে হত্যা করা হয়।

    বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবলীগ নেতা শেখ ফজলুল হক মনির বাসায় হামলা চালিয়ে তাকে, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায় হামলা করে তাকে ও তার কন্যা বেবী, পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত বাবু, সেরনিয়াবাতের বড় ভাইয়ের ছেলে সজীব সেরনিয়াবাত এবং এক আত্মীয় রেন্টু খানকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার এবং নিকটাত্মীয়সহ ২৬ জনকে ওই রাতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সে সময় তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় তারা প্রাণে বেঁচে যান।

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তৎকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রাবস্থায় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে তিনি ছিলেন সংগ্রামী নেতা। এর থেকে সব আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। বাঙালি জাতির মুক্তি সনদ ৬ দফা, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান ও ৭০-এর নির্বাচনে অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগকে এ দেশের গণমানুষের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীকে পরিণত করেন।

    পাকিস্তানের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তুলে ষাটের দশক থেকেই তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের অগ্রনায়কে পরিণত হন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উত্তাল সমুদ্রে বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এ ঘোষণায় উদ্দীপ্ত, উজ্জীবিত জাতি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ছিনিয়ে আনে দেশের স্বাধীনতা। জাতির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ পুরুষ বঙ্গবন্ধুর অমর কীর্তি এই স্বাধীন বাংলাদেশ।

    বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর গোটা বিশ্বে নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। হত্যাকারীদের প্রতি ছড়িয়ে পড়েছিল ঘৃণার বিষবাষ্প। পশ্চিম জার্মানির নেতা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী উইলি ব্রানডিট বলেছিলেন, বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না। যে বাঙালি শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে তারা যে কোনো জঘন্য কাজ করতে পারে।

    বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর স্বাধীনতাবিরোধীরা এ দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় পুনর্বাসিত হতে থাকে। তারা এ দেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে নানা উদ্যোগ নেয়। শাসকদের রোষানলে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণও নিষিদ্ধ হয়ে পড়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ঠেকাতে কুখ্যাত ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ জারি করেছিল মোশতাক সরকার। দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসীন হলে ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ উন্মুক্ত করা হয়। বিচার শুরু হয় ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির ললাটে যে কলঙ্কতিলক পরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ৩৫ বছরেরও বেশি সময় পর ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি সেই কলঙ্ক থেকে জাতির মুক্তি ঘটে। বঙ্গবন্ধু হত্যার চূড়ান্ত বিচারের রায় অনুযায়ী ওই দিন মধ্যরাতের পর পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তবে বিভিন্ন দেশে পলাতক থাকায় আরও ৫ খুনির সাজা এখনো কার্যকর করা যায়নি।

    ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে স্বাধীনতার স্থপতিকে যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শনের পথও সুগম হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হতে থাকে। সরকারি ছুটির দিনও ঘোষণা করা হয়। তবে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গঠন করলে এ ধারাবাহিকতায় ছেদ ঘটে। তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবসটি পালন বাতিল করে দেয়। পরে ২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আবার রাষ্ট্রীয়ভাবে বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকী পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ২০০৯ সালে আবার ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। ফলে জাতীয় শোক দিবস পালনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন করতে রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

    আজ সরকারি ছুটি। সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ভবন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনগুলোয় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোয়ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং আলোচনাসভার আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া দেশের সব সরকারি হাসপাতালে দিবসটি উপলক্ষে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। চিকিৎসকরা আজ ব্যক্তিগত চেম্বারেও বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেবেন। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সব বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া পোস্টার, সচিত্র বাংলাদেশের বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ ও বিতরণ এবং বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আয়োজন করবে।

    শোক দিবসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি

    জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ আওয়ামী লীগ ও আওয়াম লীগের সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন পৃথক পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার সূর্য উদয়কালে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে সংগঠনের সব স্তরের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ৮টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। ৮টা ৪৫ মিনিটে বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনসহ ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও দোয়া মাহফিল করা হবে।

    সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি একটি প্রতিনিধি দল ও গোপালগঞ্জ জেলা ও টুঙ্গিপাড়ার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

    ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনসহ মহানগরের প্রত্যেক নেতাকর্মী যথাযথভাবে করোনা ভাইরাস স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।

    শোক দিবসের কর্মসূচিতে দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, সুবিধামতো সময়ে মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা, উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া সভায় কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত অসচ্ছল, এতিম ও দুস্থদের মধ্যে খাদ্য বিতরণের পাশাপাশি বন্যাদুর্গত এলাকায় দুর্গত মানুষের মধ্যে ত্রাণ সহায়তা জোরদার করার আহ্বান।
    সূত্র-আমাদের সময়।

  • সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নে ১১০০শ’ বন্যার্ত পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরণ করলেনঃ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম

    সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নে ১১০০শ’ বন্যার্ত পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরণ করলেনঃ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম

    সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নে ১১০০শ’ বন্যার্ত পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরণ করলেনঃ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নে জিআরইউর ১১০০শ’ বন্যার্ত গরীব অসহায় মধ্যবিত্তি পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরণ করেছেন এলাকার জনপ্রিয় চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম। শুক্রবার ১৪ আগষ্ট সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ ত্রান বিতরণ করা হয়। ১০ টন চালের মধ্য ১০০০ হাজার পরিবারকে ১০ কেজী করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয় এবং ১০০ শত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার হিসেবে চাল,ডাল,নডলুস,চিড়া,চিনি,তৈল,সূজি ইত্যাদি খাবার হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়।

    সকালে সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম এ ত্রান বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। ত্রান বিতরণের সময় বনগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আব্দুল গাফ্ফার, ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা সংরক্ষিত মেম্বার বাইলা বেগম,১,২,৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা সংরক্ষিত মেম্বার রেহেনা বেগম,৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা সংরক্ষিত মেম্বার জমেলা বেগম,৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সিদ্দিকসহ আওয়ামীলীগের অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

    চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান,বনগাঁও ইউনিয়নের এলাকার অসহায় হতদরিদ্র মধ্যবিত্ত পরিবারের পাশে যেমন ছিলাম তেমনি বন্যার্তদের পাশে রয়েছি। শক্রবার ১০ টন চালের মধ্য ১০০০ হাজার পরিবারকে ১০ কেজী করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয় এবং ১০০ শত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার হিসেবে ১৬ কেজী বস্তায় চাল,ডাল,নডলুস,চিড়া,চিনি,তৈল,সূজি ইত্যাদি খাবার হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়। মানবতার মা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার খাদ্য সহায়তা হিসেবে এ ত্রান কার্যক্রম করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি বন্যার্তদের মাঝে জিআরইউর  আরো ২০০ শত জন পরিবারকে ১০ কেজী করে চাল এবং ১০০ জনকে ১৬ কেজীর বস্তায় শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন চেয়ারম্যান।

  • মহামারি করোনা ভাইরাস শেখ হাসিনার যত সাফল্য

    মহামারি করোনা ভাইরাস শেখ হাসিনার যত সাফল্য

    মহামারি করোনা ভাইরাস শেখ হাসিনার যত সাফল্য

    করোনা মোকাবিলা শক্ত হাতে । পরবর্তী খাদ্য সংকট নিয়ে পদক্ষেপ । বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ । বন্যা মোকাবিলায় তৎপরতা,বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে বিপর্যস্ত বিশ্ব। যার প্রভাব এড়াতে পারেনি বাংলাদেশও। গত ছয় মাস ধরে অদৃশ্য এ শক্তির মোকাবিলার পাশাপাশি ছিল প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। এখন চলছে বন্যা। এসব প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে মানুষকে বাঁচাতে বহুমাত্রিক উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কর্মঘণ্টা ভুলে শক্ত হাতে একাই সামলে নিচ্ছেন সবকিছু। বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখছে সামনে এগিয়ে যাওয়ার। করোনার মধ্যেও থেমে নেই মেগা প্রকল্পগুলোর নির্মাণ। দেশের আর্থিক সক্ষমতা বাড়ছে। অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোর মধ্যে আমদানি, রপ্তানি ও রেমিট্যান্স আগের চেয়ে শক্তিশালী হয়ে ওঠায় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের বার্ষিক মাথাপিছু গড় আয় ২ হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে। আগের অর্থবছরে যা ছিল ১ হাজার ৯০৯ ডলার। অর্থাৎ দেশের মানুষের মাথাপিছু গড় আয় এক বছরের ব্যবধানে ১৫৫ ডলার বেড়েছে। করোনা সংকটকালে বাজার পরিস্থিতিও ছিল সাধারণ মানুষের নিয়ন্ত্রণে। অর্থাৎ করোনা, আম্ফান, বন্যা ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সফলভাবে সংকট মোকাবিলা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    সূত্রমতে, মার্চে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর প্রথমে স্কুল, কলেজ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৮ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। টানা দুই মাসের ওপর (৬৬ দিন) ছুটিতে গৃহবন্দী হতে হয় মানুষকে। কর্মহীন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসেন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী এবং দেশের অনেক শিল্পগ্রুপ। করোনা সংকটে যেসব মানুষ চক্ষুলজ্জার ভয়ে অন্যের কাছে হাত পাততে পারেনি, তাদের তালিকা করে ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। করোনা মহামারীতে যখন মানুষ দিশাহারা তখনই মে মাসে হানা দেয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। প্রথম দিকে ধারণা করা হচ্ছিল, বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হবে। গৃহহীন হবে অনেক মানুষ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে নিশ্চিত হয় উপকূলের লাখো মানুষের নিরাপত্তা। আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে ঘরবাড়ি করে দেওয়াসহ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম এখনো চলমান।

    করোনায় লকডাউনের কারণে শ্রমিক সংকটে কৃষক যখন ঘরে ধান তুলতে পারছিল না, তখন শ্রমিকদের বিভিন্ন জায়গায় চলাচলের জন্য ব্যবস্থা নিতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগসহ দলের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ধান কেটে ঘরে তুলে দিতে নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। তাঁর নির্দেশে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিনামূল্যে কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দেন। ফলে বন্যায় ডুবে যাওয়া কিংবা শ্রমিক সংকট থেকেও সাফল্য আসে। সে সময় ধান ও চাল সংগ্রহ করতে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে খাদ্য মজুদ করা হয় দেশে। বাড়ির পাশে খালি জায়গায় কৃষি আবাদের নির্দেশনা দেন সরকারপ্রধান।
    করোনা চলাকালে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ১৯টি প্যাকেজে ১ লাখ ৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এতে বড়, মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যেমন প্রণোদনা পেয়েছেন, বাদ যাননি করোনাযোদ্ধা চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টরাও। তাদের জন্যও ঘোষণা করা হয় স্বাস্থ্যবীমা বা প্রণোদনা। করোনায় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নিয়োগ দেওয়া হয় চিকিৎসক। নিশ্চিত করা হয় চিকিৎসা সুরক্ষাসামগ্রীও। সবকিছু শক্ত হাতে তদারকি করেন তিনি।

    দরিদ্র কৃষক ও কৃষির উৎপাদন বাড়াতে ৫ হাজার কোটি টাকা ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এতে বাদ পড়েননি মসজিদের ইমাম, খতিব, মুয়াজ্জিন, মাদ্রাসার শিক্ষক, নন-এমপিও শিক্ষক, গার্মেন্ট শ্রমিক, গ্রামপুলিশ, প্রতিবন্ধী, দুস্থ সাংবাদিকরাও। এমনকি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের কথাও ভুলে যাননি সরকারপ্রধান। তাদেরও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্যও বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৫ কোটি টাকা। ঈদের আগে প্রতি পরিবারকে ২ হাজার ৫০০ করে ১ হাজার ২৫০ কোটি নগদ টাকা সহায়তা করা হয়েছে। দরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হয় ভিজিএফ, ভিজিডির পরিমাণ। রেশন কার্ডের আওতায় ১০ টাকা দরে চাল বিক্রি করা হয়। এতে ৫ কোটি মানুষ উপকৃত হয়েছে। শিশুদের জন্যও খাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ বিতরণ ক্ষমতাসীন দলের কিছু কিছু জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও কাউকে এক চুল ছাড় দেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শতাধিক জনপ্রতিনিধিকে বরখাস্ত করাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনেকেই ধারণা করেছিলেন, করোনাকালে দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেবে, কিন্তু শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে কোনো সংকট সৃষ্টি হয়নি। বরং উৎপাদন ও খাদ্য মজুদ বেড়েছে।

    প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবন সূত্রগুলো বলছেন, করোনা পরিস্থিতির পর থেকেই কর্মঘণ্টা ভুলে দেশের মানুষকে বাঁচানোর লড়াইয়ে নিরলস কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনার শুরু থেকে গণভবন থেকে ছয় দফায় তৃণমূলে মাঠ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেছেন শেখ হাসিনা। মানুষের জীবন ও জীবিকা সচল রাখতে দিয়েছেন সব ধরনের নির্দেশনা। স্বাস্থ্য খাতের অব্যবস্থাপনাসহ সব জায়গায় সঠিক মনিটরিং করেছেন তিনি। এ ছাড়া এখন নিয়মিত মন্ত্রিসভার বৈঠকসহ নানা কর্মসূচিতে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

    জুনের শেষ সপ্তাহে দেশের কয়েকটি জেলায় আঘাত হানে ভয়াবহ বন্যা। বন্যা ও নদী ভাঙন রোধেও নজর দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। সংশ্লিষ্ট জেলার প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, দলীয় নেতা-কর্মীদের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে নির্দেশনা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ত্রাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যারা আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন তাদেরও পুনর্বাসনে প্রস্তুতি চলছে।

    করোনা, আম্ফান ও বন্যার মধ্যেও সরকারের দক্ষ মনিটরিংয়ের কারণে বাজার পরিস্থিতিও ছিল সাধারণ মানুষের নাগালে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই মজুদদারদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বিভিন্ন সংস্থাও নিয়মিত মনিটরিং করেছে সর্বক্ষণ।

    এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। শুধু করোনা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাই নয়, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান, বন্যা পরিস্থিতি শক্ত হাতে মোকাবিলা করছেন। আবার অর্থনীতির চাকাও সচল রেখেছেন। গণভবন থেকে সবকিছু কঠোরভাবে মনিটরিং করছেন। কিছু দোষত্রুটি ও অন্যায় হলে সেখানেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন তিনি। এমনকি দলীয় পরিচয়েও কেউ পার পাচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুধু করোনা, আম্ফান, বন্যাই নয়, এবারের ঈদযাত্রাও আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল। সেটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাফল্যজনকভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বের বড় বড় দেশ যখন হিমশিম খাচ্ছে তখন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সব অর্থনীতির সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের অর্থনীতি।’

    আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘মানুষের জন্য রাতদিন কাজ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তাঁকে রাত ২টায় ফোন করলেও পাওয়া যায়। আবার সকাল কিংবা দুপুরেও ফোন করলে পাওয়া যায়। কখনো না ধরতে পারলে কিছুক্ষণের মধ্যেই ফোন ব্যাক করেন। এটা শুধু আমার ক্ষেত্রেই নয়, অনেকের ক্ষেত্রেই এমন ঘটছে।’

  • শ্রীপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় আনোয়ার হোসেন ফের গ্রেফতার

    শ্রীপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় আনোয়ার হোসেন ফের গ্রেফতার

    শ্রীপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় আনোয়ার হোসেন ফের গ্রেফতার

    নিজস্ব প্রতিবেদক-
    গাজীপুরের শ্রীপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে উপজেলা আনোয়ার হোসেনকে ফের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    ১২ আগস্ট বুধবার গভীর রাতে পৌর এলাকার দক্ষিন ভাংনাহাটি (ছাপিলাপাড়া) গ্রামের তার নিজ বাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আনোয়ার হোসেন ওই গ্রামের সুলতান উদ্দিনের পুত্র।

    শ্রীপুর থানার এস.আই নাজমুল হক জানান, শ্রীপুর পৌরসভার কর্মচারী সবুজ মিয়ার ও তার স্ত্রী মৌসুমি সরকারের বিরুদ্ধে গত কিছুদিন ধরে ফেসবুক সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অপপ্রচার চালানোর কারণে সবুজ মিয়া বাদী হয়ে আনোয়ার হোসেন ও তানভীর ইউ আহম্মেদ ও অজ্ঞাত নামে শ্রীপুর থানায় মামলা করেন। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার গভীর রাতে আনোয়ারের বাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার অপর আসামীকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।

    শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার ইমাম জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস আগে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা চিকিৎসা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কারণে একই আইনে অপর একটি মামলা হয়। ওই মামলায়ও আনোয়ার হোসেন গ্রেফতার হয়ে জামিনে মুক্ত হয়।