সাভার পৌর এলাকার ১ নং ওয়ার্ডের উত্তর জামসিং এলাকা থেকে গত ৩০ ডিসেম্বর বস্তায় বন্ধি হাত বাঁধা সেই নারীর হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে সাভার মডেল থানার পুলিশ। শুক্রবার ৩ জানুয়ারি দিবাগত গভীর রাতে মোবাইল ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে তিন ঘাতককে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার ৫ জানুয়ারি সাভার মডেল থানার পুলিশ সূত্রে বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে অবগত করেছেন।
পুলিশ জানায়,নিহত নারীর নাম টুকটুকি (২০), তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলায়। সে তার স্বামীর সাথে সাভারের বনপুকুর এলাকায় বসবাস করতো। তার স্বামী ফুটপাতে ব্যবসা করে বলে জানা যায়। গ্রেপ্তারকৃত তিন হত্যাকারী হলো- (১) জনি (২৪), পিতা আব্দুল ব্যাপারি, (২) সেলিম (২৪), পিতা শুকুর আলী এবং (৩) জুয়েল, পিতা অজ্ঞাত। মোবাইল ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে জনিকে জামসিং এর নিজ বাসা থেকে আটক করা হয় ও সেলিমকে কলমা থেকে এবং জুয়েলকে ফিরিঙ্গিকান্দা এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ আরও জানায়, মূল হত্যাকারী জনির সাথে ঐ নারীর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো যার কারণে জনির আহবানে সারা দেয়। পরে জনির অন্য সহযোগীরা সেখানে এসে নারীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে তাকে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়।
এব্যাপারে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মলয় জানান, গত ২৫ ডিসেম্বর রাতে নিহত নারী টুকটুকিকে হত্যা করে জনির বাড়িতে একটা ওয়ারড্রবের ভিতরে লাশ ঘুম করে রেখে দেয়া হয়। এরপর সময় আর সুজোগ বুঝে গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে নিহতের পায়ের মুজা দিয়ে হাত বেধে লাশ বস্তায় ঢুকিয়ে একটা কাথায় জড়িয়ে জামসিং এর ওই নির্মাণাধীন ভবনে ফেলে রাখা হয়। পরে উত্তর জামসিং মহল্লার ওই বাড়িটি থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে এলাকার লোকজনের সন্দেহ হয়। এরপর স্থানীয়রা সাভার মডেল থানাকে জানালে গত ৩০ ডিসেম্বর ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তার ভেতরে হাত বাঁধা ও মুখ জ্বলছে দেওয়া টুকটুকির লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ আরও জানান, হত্যা হওয়া ঐ নারীর মোবাইলে গ্রেপ্তার জনির নম্বর সেভ করা ছিলো। এই সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অবশেষে ঘাতক তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এএফএম সায়েদ নারী টুকটুকি হত্যার দায়ে সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি রবিবার সকালে
নিশ্চিত করেন তিনি।
Leave a Reply