Category: ফটো গ্যালারি

  • ইফতার দোয়া মাহফিল আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত

    ইফতার দোয়া মাহফিল আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত

    সাভার প্রেসক্লাবের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল)
    ইফতার দোয়া মাহফিল আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় সাভার প্রেসক্লাব সভাপতি জাভেদ মোস্তাফা বক্তব্য রাখছেন। ছবি:-শেখ এ কে আজাদ।

  • ভারতীয় রাষ্ট্রপতি জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা

    ভারতীয় রাষ্ট্রপতি জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা

    ভারতীয় রাষ্ট্রপতি রাম নাথ গোবিন্দ আজ ১৫ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বাংলাদেশের সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধা ও সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

  • একুশে গ্রেনেড হামলায় এক হাজার আট’শ স্প্লিন্টার নিয়ে সাভারের মাহবুবা অসহ্য যন্ত্রনা শরীরে 

    একুশে গ্রেনেড হামলায় এক হাজার আট’শ স্প্লিন্টার নিয়ে সাভারের মাহবুবা অসহ্য যন্ত্রনা শরীরে 

    একুশে গ্রেনেড হামলায় এক হাজার আট’শ স্প্লিন্টার নিয়ে সাভারের মাহবুবা অসহ্য যন্ত্রনা শরীরে 

    প্রচারেঃ সাভার ও ধামরাইয়ের আওয়ামীলীগসহ অংগসংগঠন।

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    বিএনপিকে খুনির দল উল্লেখ করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত সাভারের মাহবুবা পারভিন বলেছেন তারা সন্ত্রাস বিরোধী জনসভায় গ্রেনেড হামলা করে ২৬টি তাজা প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। তাদেরকে এই বাংলায় শুধু ফাঁসি দিলে হবে না, জনসভায় ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করে ফাঁসি দেয়ার দাবি জানান। যাতে করে সারা বিশ্বে এই ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটানোর সাহস কেউ না পায়।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপা সবসময় আমার খোঁজ খবর নেন। কিন্তু স্থানীয়রা খুজ রাখেন না।
    তিনি দুইবারে আমাকে ২০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন এবং মিরপুরে ১৪শ স্কয়ার ফিটের একটি ফ্ল্যাটও দিয়েছেন।

    কিন্তু সাভারের আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় আমি সাভার পৌর আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ছিলাম ঢাকা জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা সময় গ্রেনেড হামলার শিকার হতে হয়। সাভারের আওয়ামী লীগ অনেকে নেতারা আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। একেকজনের বাড়িতে সারি সারি গাড়ি ও বাড়ি রয়েছে তবুও তাদের কোন সহযোগিতা নেই।

    তিনি আরো জানান, দিনের পর রাতে বাসার সবাই যখন ঘুমিয়ে পরে আমি তখন সারারাত জেগে থাকি। আমার শরীরে থাকা ভয়াবহ সেই ২১ আগস্টের গ্রেনেডের স্প্লিন্টারগুলো আমাকে ঘুমাতে দেয় না,বার বার নাড়া দেয় । সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা। করোনার কারণে কোথাও চিকিৎসা নিতে যেতেও পারছি না। এক হাজার আটশ’ স্প্লিন্টার আমাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। এ যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতা আমি ছাড়া কেউ বুঝবে না। তবে একজন খুব অন্তর দিয়ে বোঝেন। তিনি মানবতার জননী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার অসামান্য অবদান ও সহযোগিতার কারণেই আমরা গ্রেনেড হামলায় আহতরা এখনও বেঁচে আছি।’
    কথাগুলো বলছিলেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত ও ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেত্রী মাহবুবা পারভিন। গ্রেনেড হামলাস্থলে যেভাবে তিনি পড়েছিলেন অনেকেই মনে করেছিলেন মারা গেছেন। তার সেই ছবিটি পরিনত হয়েছে সেই মামলার প্রতীকী ছবিতে।
    মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা মাহবুবা সমকালকে বলেন, ‘আহতদের প্রধানমন্ত্রী বিদেশে চিকিৎসা করিয়েছেন বলেই আমরা এখনও কিছুটা সুস্থ রয়েছি। তিনি আমাকে সুন্দরভাবে থাকার জন্য ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট দিয়েছেন। আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। যতদিন আমি বেঁচে থাকব তার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া চাইব। তার মতো এমন মমতাময়ী নেত্রী আছেন বলেই আমার মতো একজন কর্মী বেঁচে আছে। আমি দলের দুঃসময়ে রাজনীতি করেছি। এখনও দলের সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যাওয়ার চেষ্টা করি। তবে শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় সব ক্ষেত্রে যেতে পারি না।

    মাহবুবা পারভিনের ক্ষোভ সাভারের স্থানীয় নেতাদের ওপর। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় রাজনীতিবিদরা আমাকে তেমন মূল্যায়ন করেন না। এতে অবশ্য আমার কোনো দুঃখ নেই। কারণ আমার পাশে আছেন নেত্রী। যেখানে নেত্রীই আমার খোঁজখবর রাখেন, সেখানে অন্য নেতারা কে, কী করল তা নিয়ে আফসোস করি না।
    ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় যদি নেত্রীর কিছু হয়ে যেত তাহলে আমরা এভাবে বেঁচে থাকতে পারতাম না। রচনা হতো অন্য একটি বাংলাদেশের। নেত্রী বেঁচে আছেন বলেই আজ মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত উন্নয়নের বাংলাদেশ সারাবিশ্বে রোলমডেল হিসেবে পরিচিত লাভ করছে। উন্নয়নের মহাসড়কে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে এ দেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে অচিরেই আত্মপ্রকাশ করবে।

    উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি বিরোধী সমাবেশে চালানো হামলায় প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের স্ত্রী নারী নেত্রী আইভী রহমানসহ ২৬ জন নিহত হয়। আহত হয় কয়েকশ মানুষ। আহতদের মধ্যে যারা বেঁচে আছেন তারা শরীরে অসংখ্য গ্রেনেডের স্পিন্টার নিয়ে প্রতিনিয়ত মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছেন তারাও। অনেকেই আবার চিরদিনের মতো পঙ্গু হয়ে গেছেন। এদেরই একজন ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া এক নারী সাভারের মাহবুবা পারভীন। তবে মনবতার মা শেখ হাসিনা শুরু থেকে তাদের খুজ খবর নিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।

    —–

  • আজ শোকাবহ ১৫ আগস্ট

    আজ শোকাবহ ১৫ আগস্ট

    আজ শোকাবহ ১৫ আগস্ট

    ‘এ লাশ আমরা রাখবো কোথায়?/তেমন যোগ্য সমাধি কই?/মৃত্তিকা বলো, পর্বত বলো/অথবা সুনীল-সাগর-জল/সব কিছু ছেঁদো, তুচ্ছ শুধুই!/তাইতো রাখি না এ লাশ আজ/মাটিতে পাহাড়ে কিম্বা সাগরে,/হৃদয়ে হৃদয়ে দিয়েছি ঠাঁই।’
    কবি শামসুর রাহমানের এই কবিতাটি ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে রচিত। কিন্তু ১৯৭৫ সালের শোকাবহ ১৫ আগস্টের পর সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে কবির এই পঙ্ক্তিগুলো। দেশ ও মানুষের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাঙালি তাকে হৃদয়েই দিয়েছে ঠাঁই। কিন্তু এটাও যে যন্ত্রণার। পৃথিবীর বিবেককে নাড়া দেওয়া এই লাশটির ভার বহন এত সহজ নয়। কবি হুমায়ুন আজাদ সত্যিই বলেছেন- ‘সবচেয়ে বিশাল ও ভারী যে লাশটি বাংলাদেশ নিজের বুকের কবরে বয়ে চলেছে, সেটি মুজিবের লাশ’। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর কথা বলছি। বাঙালির পরম আরাধ্য ধন, মহাকালের স্বাপ্নিক মানুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে লাশ বানিয়েছিল একদল ক্ষমতালোভী কুচক্রী মহল। এর পর ইতিহাসের উল্টোপথের যাত্রী হয়ে পথে যেতে যেতে বাঙালি বহন করে চলেছে এই লাশ।

    দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণীতেও স্পষ্ট হয়েছে জাতির জনকের দূরদর্শী নেতৃত্ব ও তার শূন্যতার কথা। বাণীতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আজ অভিন্ন সত্তায় পরিণত হয়েছে। ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তার নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জাতির পিতার নাম এ দেশের লাখো কোটি বাঙালির অন্তরে চির অমলিন, অক্ষয় হয়ে থাকবে।

    advertisement
    বঙ্গবন্ধু ছাড়াও ১৫ আগস্ট রাতে ধানমন্ডির বাড়িতে তার সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেছা, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, বঙ্গবন্ধুর ফোন পেয়ে তার জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল, এসবির কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান ও সেনাসদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হককে হত্যা করা হয়।

    বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবলীগ নেতা শেখ ফজলুল হক মনির বাসায় হামলা চালিয়ে তাকে, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায় হামলা করে তাকে ও তার কন্যা বেবী, পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত বাবু, সেরনিয়াবাতের বড় ভাইয়ের ছেলে সজীব সেরনিয়াবাত এবং এক আত্মীয় রেন্টু খানকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার এবং নিকটাত্মীয়সহ ২৬ জনকে ওই রাতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সে সময় তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় তারা প্রাণে বেঁচে যান।

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তৎকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রাবস্থায় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে তিনি ছিলেন সংগ্রামী নেতা। এর থেকে সব আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। বাঙালি জাতির মুক্তি সনদ ৬ দফা, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান ও ৭০-এর নির্বাচনে অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগকে এ দেশের গণমানুষের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীকে পরিণত করেন।

    পাকিস্তানের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তুলে ষাটের দশক থেকেই তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের অগ্রনায়কে পরিণত হন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উত্তাল সমুদ্রে বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এ ঘোষণায় উদ্দীপ্ত, উজ্জীবিত জাতি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ছিনিয়ে আনে দেশের স্বাধীনতা। জাতির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ পুরুষ বঙ্গবন্ধুর অমর কীর্তি এই স্বাধীন বাংলাদেশ।

    বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর গোটা বিশ্বে নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। হত্যাকারীদের প্রতি ছড়িয়ে পড়েছিল ঘৃণার বিষবাষ্প। পশ্চিম জার্মানির নেতা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী উইলি ব্রানডিট বলেছিলেন, বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না। যে বাঙালি শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে তারা যে কোনো জঘন্য কাজ করতে পারে।

    বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর স্বাধীনতাবিরোধীরা এ দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় পুনর্বাসিত হতে থাকে। তারা এ দেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে নানা উদ্যোগ নেয়। শাসকদের রোষানলে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণও নিষিদ্ধ হয়ে পড়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ঠেকাতে কুখ্যাত ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ জারি করেছিল মোশতাক সরকার। দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসীন হলে ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ উন্মুক্ত করা হয়। বিচার শুরু হয় ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির ললাটে যে কলঙ্কতিলক পরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ৩৫ বছরেরও বেশি সময় পর ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি সেই কলঙ্ক থেকে জাতির মুক্তি ঘটে। বঙ্গবন্ধু হত্যার চূড়ান্ত বিচারের রায় অনুযায়ী ওই দিন মধ্যরাতের পর পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তবে বিভিন্ন দেশে পলাতক থাকায় আরও ৫ খুনির সাজা এখনো কার্যকর করা যায়নি।

    ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে স্বাধীনতার স্থপতিকে যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শনের পথও সুগম হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হতে থাকে। সরকারি ছুটির দিনও ঘোষণা করা হয়। তবে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গঠন করলে এ ধারাবাহিকতায় ছেদ ঘটে। তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবসটি পালন বাতিল করে দেয়। পরে ২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আবার রাষ্ট্রীয়ভাবে বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকী পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ২০০৯ সালে আবার ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। ফলে জাতীয় শোক দিবস পালনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন করতে রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

    আজ সরকারি ছুটি। সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ভবন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনগুলোয় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোয়ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং আলোচনাসভার আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া দেশের সব সরকারি হাসপাতালে দিবসটি উপলক্ষে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। চিকিৎসকরা আজ ব্যক্তিগত চেম্বারেও বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেবেন। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সব বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া পোস্টার, সচিত্র বাংলাদেশের বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ ও বিতরণ এবং বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আয়োজন করবে।

    শোক দিবসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি

    জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ আওয়ামী লীগ ও আওয়াম লীগের সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন পৃথক পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার সূর্য উদয়কালে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে সংগঠনের সব স্তরের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ৮টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। ৮টা ৪৫ মিনিটে বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনসহ ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও দোয়া মাহফিল করা হবে।

    সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি একটি প্রতিনিধি দল ও গোপালগঞ্জ জেলা ও টুঙ্গিপাড়ার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

    ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনসহ মহানগরের প্রত্যেক নেতাকর্মী যথাযথভাবে করোনা ভাইরাস স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।

    শোক দিবসের কর্মসূচিতে দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, সুবিধামতো সময়ে মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা, উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া সভায় কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত অসচ্ছল, এতিম ও দুস্থদের মধ্যে খাদ্য বিতরণের পাশাপাশি বন্যাদুর্গত এলাকায় দুর্গত মানুষের মধ্যে ত্রাণ সহায়তা জোরদার করার আহ্বান।
    সূত্র-আমাদের সময়।

  • না ফেরার দেশে চলে গেলেন মানিকগঞ্জ আটিগ্রাম এলাকার দেওয়ান আলতাফ

    না ফেরার দেশে চলে গেলেন মানিকগঞ্জ আটিগ্রাম এলাকার দেওয়ান আলতাফ

    না ফেরার দেশে চলে গেলেন মানিকগঞ্জ আটিগ্রাম এলাকার দেওয়ান আলতাফ

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
    দীর্ঘ অসুস্থতা থাকার পর মারা গেলেন মানিকগঞ্জ আটিগ্রামের পোড়াপাড়া এলাকার দেওয়ান মোঃ আলতাফ হোসেন। ১৫ জুন সোমবার দুপুরে নিজ বাড়িতে ব্রেইন স্ট্রোকে  শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে চলে গেলেন না ফেরার দেশে (ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না-লিল্লাহ রাজেউন)। মৃত্যুকালে মুরহুমের বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।তিনি মরহুম মৌলভী দেওয়ান নূর হোসাইনের ছেলে মুরহুম দেওয়ান মোঃ আলতাফ হোসেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ মেয়ে, ৪ ছেলে নাত-নাতনিসহ গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার নামাজের জানাযা আটিগ্রাম ঈদগাঁহ মাঠে বাদ মাগরিব  অনুষ্ঠিত হওয়ার পর কবরস্থানে দাফন করা হবে।
    তার বিদেহী মাগফেরাত কামনা করে সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন পরিবারের সকলে।
    তার মৃত্যুতে এটিএন বাংলা ও বাংলাদেশ বেতারের সাংবাদিক শেখ আবুল বাশার গভীর শোক ও তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন।

    মুরহুম দেওয়ান মোঃ আলতাফের অসুস্থতার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন এটিএন বাংলা ও বাংলাদেশ বেতারের সাংবাদিক শেখ আবুল বাশার। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন তিনি।
    পরিবারের সাথে ফাইল ছবি।

    উল্লেখ্য, হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরায় সাভারের একটি হাসপাতালে কয়েকদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক কর্মকর্তা ও বর্তমানে শিশুস্বাস্থ্য ও প্রজনন স্বাস্থ্যে উচ্চতর প্রশিক্ষণরত (বিএসএমএমইউ)
    সারকারি কর্মকর্তা মানবতার ডাক্তার আমজাদুল হক করোনা ভাইরাস মোকাবেলা ও প্রতিরোধ চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছিলেন প্রজন্ম হাসপাতালে তাকে, সঠিক পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে তার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। তিনি অসুস্থ হলে ডাক্তার আমজাদুল হকের তত্বাবধানে চিকিৎসা সেবা গ্রহন করতেন এবং সুস্থ্য হয়েছেন কয়েকবার।
    রবিবার তার শারীরিক অবস্থা উন্নতি হলে হাসপাতাল থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে যান তার পরিবার। পরে সোমবার শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে নিজ বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

     

  • সাভারে করোনামুক্ত চা তৈরি করছেন রঞ্জু

    সাভারে করোনামুক্ত চা তৈরি করছেন রঞ্জু

    সাভারে করোনামুক্ত চা তৈরি করছেন রঞ্জু

     

    নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ

    সাভারের ভাটপাড়া এলাকায় করোনা ভাইরাসের সচেতনতায় মাস্ক পরে করোনামুক্ত চা তৈরি করছেন রঞ্জু। করোনার শুরুতে তিনি সতর্ক থেকে চায়ের দোকান চালু রেখেছেন। সামাজিক দূরত্ব মানতেও তিনি এলাকাবাসীকে সতর্ক করে চলছেন।

    ছবিগুলো ৩০ মে রবিবার রাতে তোলা হয়েছে।

     

    ছবিঃসত্যেরসংবাদ.কম

  • মহাসড়কের ধামরাইয়ে প্রাইভেট কারে ছিনতাই, মুক্তিপন ও হত্যাকান্ডের অভিযোগে প্রাইভেটকারসহ দুইজনকে গ্রেফতারঃ এসপির প্রেস ব্রিফিং

    মহাসড়কের ধামরাইয়ে প্রাইভেট কারে ছিনতাই, মুক্তিপন ও হত্যাকান্ডের অভিযোগে প্রাইভেটকারসহ দুইজনকে গ্রেফতারঃ এসপির প্রেস ব্রিফিং

    মহাসড়কের ধামরাইয়ে প্রাইভেট কারে ছিনতাই, মুক্তিপন ও হত্যাকান্ডের অভিযোগে প্রাইভেটকারসহ দুইজনকে গ্রেফতারঃ এসপির প্রেস ব্রিফিং

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকেঃ
    ঢাকা আরিচা মহাসড়কে ধামরাইয়ে একটি প্রাইভেট কারে করে হাত পাঁ বেধে ছিনতাই ও মুক্তিপন,হত্যাকান্ডের অভিযোগে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী চক্রের ব্যবহৃত প্রাইভেটকারসহ ২ সদস্য গ্রেফতার হয়েছে।বুধবার ১৯ ফেব্রয়ারি দুপুরে সাভার মডেল থানায় সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকা জেলা এসপি মারুফ হোসেন সরদার এ তথ্য জানান।
    গ্রেফতারকৃতরা আদালতে এসব ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে হত্যাকাণ্ডের পৃথক তিনটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ডিবি পুলিশ অভিযান চালায়।

    ছিনতাইকারী চক্রের ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি।

    পরে এসব ঘটনার অন্তরালে ব্যবহৃত
    প্রাইভেটকারসহ ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার সরদারকান্দি গ্রামের মুকিত খানের ছেলে শাহিন ওরফে সুহিন খান (৩৪) এবং মাদারীপুরের কালকিনি থানার পূর্বমাইজপাড়া গ্রামের ইস্কান্দার আলীর ছেলে মুর্তুজা (৩৪)।

    ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি মানিকগঞ্জ জেলায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল শ্রী লিটন মাহাতোকে কৌশলে প্রাইভেটকারে উঠায় ছিনতাইকারীরা। এরপর পথিমধ্যে আরও ২/৩ জন ছিনতাইকারী যাত্রীবেশে একই প্রাইভেটকারে উঠে। পরে ওই পুলিশ সদস্যের হাত-পা বেঁধে তাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে পরিবারের নিকট থেকে বিকাশের মাধ্যমে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে ছিনতাইকারীরা।

    এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা (নং-৩৯) দায়ের করার হলে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত শুরু করে।

    ঢাকা-আরিচা  মহাসড়কের ধামরাইয়ে প্রাইভেট কারে ছিনতাই, মুক্তিপন ও হত্যাকান্ডের অভিযোগে প্রাইভেটকারসহ দুইজনকে গ্রেফতার,সাভার মডেল থানায় বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার। ছবিঃসত্যের সংবাদ

    পরবর্তীতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুর-২ পোস্ট অফিসের সামনে থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারসহ চালক মুর্তুজাকে গ্রেফতার করে। একইদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের অন্য একটি দল চাঁদপুরের সরদারকান্দি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে শাহীন ওরফে সুহিন খানকে গ্রেফতার করে।

    গত ২ ফেব্রুয়ারি একইভাবে আবু নাঈম (৫৪) ও তার চাচাতে ভাই বেলায়েত হোসেনকে প্রাইভেটকারে উঠিয়ে তাদের হাত-পা বেঁধে ফেলে ছিনতাইকারীরা। পরে তাদের এটিএম কার্ডের পিন নম্বর নিয়ে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা ও বেলায়েতের মোবাইলের বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে ২৫ হাজার টাকাসহ দুটি মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয় চক্রটির সদস্যরা।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে, গত বছরের ১৮ অক্টোবর মানিকগঞ্জের বাসিন্দা নিরাপত্তা কর্মী আলাউদ্দিনকে (৪৫) যাত্রী হিসেবে প্রাইভেটকারে উঠিয়ে জিম্মি করে। পরে টাকা-পয়সা না পেয়ে আলাউদ্দিনকে মারধর ও হত্যা করে ধামরাইয়ের জয়পুরা এলাকার পাল সিএনজি পাম্পের পার্শ্ববর্তী ইঞ্জিনিয়ার আবু তাহেরের বাড়ির কাছে ফেলে দেয়।

    পুলিশ সুপার আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি কৌশলে প্রাইভেটকারে যাত্রী উঠিয়ে ছিনতাই, মুক্তিপণ আদায়সহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়ে আসছে। বিষয়টি জানার পর চক্রটিকে ধরতে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশকে দায়িত্ব দেয়া হলে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে চক্রটির দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও দুই সদস্যকে সনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে জানান তিনি।

  • সত্যেরসংবাদ.কম এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রচারে করে ফেসবুকে ভাইরাল হলে সাভারের মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ ছাত্র ছিরহাদ ঢাকা থেকে উদ্ধার

    সত্যেরসংবাদ.কম এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রচারে করে ফেসবুকে ভাইরাল হলে সাভারের মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ ছাত্র ছিরহাদ ঢাকা থেকে উদ্ধার

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    ঢাকা জেলার সাভার ফুলবাড়ীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ছিরহাদ তপদার নিখোঁজ হওয়ার পর ফেইসবুক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল সত্যেরসংবাদ.কম এ নিখোঁজ সংবাদটি প্রচার হলে ১৩ জুলাই সোমবার রাতে রাজধানীর মতিঝিল’র একটি মসজিদ থেকে একজন মুসল্লী ফোন কলের মাধ্যমে নিখোঁজ হওয়া ছিরহাদ তপদারের সন্ধান পায় পরিবার।
    সন্ধানের খবর পেয়ে ছিরহাদ তপদার কে তার পরিবারের লোকজন ঐ মসজিদ থেকে সোমবার রাত ১০ টায় ছেলেকে ফিরে পেয়ে সাভারে নিয়ে আসে।
    এ ঘটনায় সংবাদ মাধ্যেম অনলাইন নিউজ পোর্টাল সত্যের সংবাদ.কম সংবাদ প্রচার হলে অনেকে ফেসবুকেও নিখোঁজ হওয়ার সংবাদটি প্রচার করেছে ছাত্রের পরিবার কৃতজ্ঞ প্রকাশ করেছেন।

    মাদ্রাসার ছাত্রটি, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ থানার মোঃ হাবিব তপদারের ছেলে ছিরহাদ (১৪) তপদার।

    উল্লেখ্য, গত রবিবার ফুলবাড়ীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ছিরহাদ তপদার সকাল থেকে নিখোঁজ হলে তাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। পরে সংবাদ কর্মীর সহযোগিতায় নিখোঁজের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সত্যেরসংবাদ.কম এ প্রচার হয় সোমবার দুপুরে।সে সংবাদটি বিভিন্ন ফেসবুকে ভাইরাল হয়।এর সত্র ধরে নিখোঁজের ৪০ ঘন্টা পর ঐ ছাত্র উদ্ধার হয় ।

    দৈনিক আজকের সত্যের আলো পত্রিকায় প্রকাশিত দ্বিতীয় পাতায় সংবাদ প্রকাশ-১৫ জানুয়ারি-২০২০ ইং।
  • সাভারের গকুলনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোগদখলে থাকা দখলের চেষ্টায় ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

    সাভারের গকুলনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোগদখলে থাকা দখলের চেষ্টায় ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

    • এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকেঃ

    সাভারে আশুলিয়ার গকুলনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোগদখলে থাকা জমি দখল চেষ্টার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী,অভিভাবকসহ এলাকাবাসী শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তায় হাতে হাত ধরো দাঁড়িয়ে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে।

    ২৬ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে বিদ্যালয় সংলগ্ন গকুলনগর বাজারের সামনে রাস্তায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

    এসময় বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুনে গকুলনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা অংশগ্রহন করেন।

    গকুলনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সদস্য আব্দুল মান্নান জানান, স্কুলের এই জমি ১৯৮৭ সাল থেকে সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়ে ভোগদখলে রয়েছে। একটা কুচক্রী মহল ও ভূমিদস্যু যার নেতৃত্বে রয়েছে এ্যাডভোকেট সানোয়ার, সে এবং ফেরদৌস দেওয়ান ও সাইফুল ইসলাম স্কুলের দখলে থাকা জমি দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। এলাকার কিছু কুচক্রী মহলও তাদের সাথে রয়েছে বলেও জানান তিনি।

    বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি নাজমুল হক আলী জানান, মানববন্ধনের উদ্দেশ্য হলো কিছু ভূমি দস্যু এই বিদ্যালয়ের জমি দখলের পায়তারা করে আসছে। তারা নানাভাবে মামলা ও জীবননাশের হুমকি দেয়া সহ বিভিন্ন ধরনের হয়রানি করার চেষ্টা করছে। তার ছাত্রাবস্থা থেকেই দেখে আসছে ঐ জমি স্কুলের দখলে।

    মানববন্ধনে আসা সিনথিয়া আক্তার কেয়া জানায়, ‘আমাদের স্কুলের জমি যেসব ভূমিদস্যু ও দালালরা অন্যায়ভাবে দখল নিতে চেষ্টা করায় তাদের বিচার চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্কুলের জমি রক্ষা করার জন্য বিণীত আবেদন করছেন তিনি।

    গকুলনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াদ আলী বলেন, দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যালয়ের নামে এই জমি ভোগদখলে রয়েছে। এখানে স্কুল কেন্দ্রিক একটা সুষ্ঠু ও সুশৃংখল পরিবেশ বজায় রয়েছে। ইদানিং কতিপয় দালালচক্র বিদ্যালয়ের ভোগদখলে থাকা জমি দখল করার পায়তারা করছে। এজন্যই আজ এলাকার সকল শিক্ষানুরাগী সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে এক হয়ে হাতে হাত ধরে এই মানববন্ধনে  অংশ নিয়েছেন।

  • ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জাবি এলাকায় ট্রাকে মালামাল পুড়ে ছাই, নিয়ন্ত্রনে ফায়ার সার্ভিস

    ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জাবি এলাকায় ট্রাকে মালামাল পুড়ে ছাই, নিয়ন্ত্রনে ফায়ার সার্ভিস

    • নিজেস্ব প্রতিবেক,সাভার থেকেঃ

    সাভারের আশুলিয়ায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে একটি ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির চলন্ত ট্রাকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গভীর রাত ৩টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে আশুলিয়ার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সাভার ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণ ট্রাক ও এতে থাকা আনুমানিক কয়েক লাখ টাকার মালামাল পুড়ে যায়।


    সাভার ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার লিটন আহমেদ বলেন, দিবাগত রাতে রাজধানীর ধোলাইখাল এলাকার থেকে বিপুল পরিমাণ ইলেকট্রিকপন্য স্টেশনারীজসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে বহন করে পাবনার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো। ঐ ট্রাকটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে আশুলিয়ার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ এর পিছনের অংশে আগুন ধরে দ্রুত পুরো ট্রাকে ছড়িয়ে পড়ে এবং মালামাল পুরে যায়।
    ইঞ্জিনের ওভারহিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে বলেও জানান এই ফায়ার কর্মকর্তা।