ডেক্সরিপোর্টঃ
সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দু’পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নামে বিনা নোটিশে বৈধ সম্পত্তি, স্থাপনা ও অবকাঠামো ভাঙা বন্ধের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও ভবনের মালিকরা। বুধবার সকালে সাভারের শিমুলতলায় জিলিয়ান চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে ‘ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক সংলগ্ন জমি ও স্থাপনা রক্ষা কমিটি’র ব্যানারে এই সংবাদ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, সম্প্রতি ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক সম্প্রসারণের কথা বলে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি মালিকানা স্থাপনা ও অবকাঠামো ভেঙে ফেলা হয়েছে। যেসব কবকাঠামো নির্মাণে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন, ছাড়পত্র রয়েছে। নিয়মিত ভূমির খাজনা, পৌরকর, বিদ্যুতবিল, গ্যাসবিল পরিশোধ করে বৈধ দখলদার থাকা অবস্থায় কষ্টার্জিত টাকায় নির্মিত স্থাপনা অযৌক্তিক কারণে ভেঙে ফেলা হচ্ছে যার কোন আইনগত ভিত্তি নেই।
তারা অভিযোগ করেন, অভিযান চলাকালীন সময়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা অবকাঠামো অপসারণের বিষয়ে কোন সদুত্তর ও সন্তোষজনক জবাব প্রদানে ব্যর্থ হয় এবং অভিযানের সমর্থনে কোন কাগজপত্রাদি প্রদর্শন করেনি। কোন আগাম নেটিশ ছাড়াই হঠাৎ করে বিশাল বহরের পুলিশসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগ একেরপর এক স্থাপনা ভেঙে ফেলায় ঢাকা অরিচা মহাসড়কের দু;পাশ ধংসস্তুপে পরিণত হয়।
ক্ষতিগ্রস্তরা ব্যবসায়ীরা বলেন, এই অভিযানের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের বহু কষ্টের টাকায় গড়ে তোলা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা বুলডুজার চালিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে অনেক ব্যবসায়ী পথে বসেছেন। অনেকেই ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এখন কিস্তি পরিশোধ করছে পারছেন না।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরো বলেন, আমরা সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত নয় বরং উন্নয়নের অংশীদার হতে চাই। তবে ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তি ধংস ও অপসারণের মাধ্যমে এই চক্র সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের ইমেজ নষ্টের পায়তারা করছে বলেও অভিযোগ করেন তারা। তাই উ”েছদ অভিযানের নামে অবিলম্বে বৈধ স্থাপনা বন্ধের দাবি জানান তারা।
সংগঠনটির আহবায়ক নাসিমুল আলম এসময় লিখিত বক্তব্য পেশ করেন। অন্যান্যদের মধ্যে সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক মো. বাবুল মিয়া, মাসুদ রানা দুলাল, শহীদুল ইসলাম মোল্লা ও সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এরআগে গত বছরের নভেম্বরের ২৫ ও ২৬ তারিখে এবং দ্বিতীয় দফায় ৭ ও ৮ ডিসেম্বর তারিখে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সাভারের আমিনবাজার থেকে নবীনগর পর্যন্ত উভয় পাশের বিভিন্ন স্থানে ৪০-৫০ ফুট দখল করে থাকা সহস্রাধিক স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনা ভেঙে দেয় সড়ক ও জনপথ অধিদফতর।
Leave a Reply