সাভারে একটি পোশাক কারখানায় ত্রিমুখী সংঘর্ষের জের ধরে কারখানায় ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগের ঘটনায় আটক চারজনকে আসামী করে অজ্ঞাত ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ । সন্ধ্যার পর কারখানাটিতে শ্রমিক ও বহিরাগতরা ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষের।
শুক্রবার সকালে চারজন বহিরাগত যুবককে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাত ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করে কারখানাটির উপ-মহা ব্যবস্থাপক শাকিল মাহমুদ। এঘটনায় পুলিশ চার আসামীকে রাতে আটক করে।
পুলিশ জানায় সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুরের এলাকায় রাকেফ এ্যাপারেলন্স ওয়াসিং এন্ড প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানায় কাজ করে আসছিলো প্রায় তিন হাজার শ্রমিক।
কারখানার কর্তৃপক্ষ জানায় গতকাল সন্ধ্যায়
হঠাৎ করে বহিরাগততের উস্কানীতে ভাংচুর ও লুটপাট চালায় শ্রমিক ও বহিরাগতরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের ডিসেম্বর মাসের বেতন প্রদানের কথা ছিলো কারখানা কতৃপক্ষের এসময় নানা সমস্যায় কারখানা কতৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন প্রদান করতে না পারায়। কারখানার সামনে গতকাল বিকেলে ওই কারখানার শ্রমিকরা কারখানার বাহিরে হেমায়েতপুর-মানিকগঞ্জ সিংগাইর সড়ক অবরোধ করে রাখে পরে রাত আটটার দিকে কারখানাটিতে শ্রমিকরা ও বহিরাগতরা ব্যাপক ভাঙচুর করে। এসময় ভাঙচুরে বাধা দিলে রাত আটটা থেকে নয়টা পর্যন্ত মালিকপক্ষ,বহিরাগত ও শ্রমিকদের সাথে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
এসময় সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়। এসময় দুর্বৃওরা ওই কারখানা থেকে ল্যাপটপ,কম্পিউটার,কারখানায় প্রস্তুত করা প্যান্টসহ প্রায় বিভিন্ন মূল্যবাম মালামাল লুটপাট করে পালিয়ে যায়। এঘটনায় প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কারখানাটির উপ-মহা ব্যবস্থাপক শাকিল মাহমুদ।
তিনি জানান কারখানাটিতে ব্যাপক ভাঙচুর লুটপাটের কারনে তারা নিশ্ব হয়ে পড়েছেন ও তাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সরেজমিনে কারখানাটি পরিদর্শন করে দেখা যায় তিন ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তারা সব চেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। শনিবার সকালে চার জনের নাম উল্লেখ করে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় আটক চার আসামী হলেন হলেন রাসেল (১৫),সিয়াম (১৬),ইয়াসিন (১৮),মিলন (২০),আটক চার বহিরাগত তেঁতুলঝোড়া এলাকায় বসবাস করতো। আগামী ২২ জানুয়ারি শ্রমিকদের বেতন প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ।
এবিষয়ে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্য ওসি এ এফ এম সায়েদ বলেন মামলার চার আসামীকে আটক করা হয়েছে ও বাকীদেরও আটকের প্রক্রিয়া চলছে ।
Leave a Reply