রিভার্জিনাইজ’ পুনরায় কুমারী করে তোলা
যে নারীরা এই শল্যচিকিৎসার সহায়তা নেন, তাদের বেশিরভাগই রক্ষণশীল পরিবার থেকে আসা মুসলমান নারী। বিয়ের আগে তারা যৌন সম্পর্ক করেছেন, সেটা তাদের স্বামী বা পরিবার বুঝতে পারলে সমাজচ্যুত, এমনকি হত্যাও করতে পারে, এমন আশঙ্কায় নারীরা এই ঝুঁকি নেন।
তারা এমন একটি প্রক্রিয়ার সহায়তা নেন, চিকিৎসা ব্যবস্থায় যাকে বলা হয় ‘রিভার্জিনাইজ’ যার অর্থ পুনরায় কুমারী করে তোলা। এটি ‘হাইমেনোপ্লাস্টি’ নামেও পরিচিত।
এখানে শল্যচিকিৎসার মাধ্যমে যোনি প্রবেশপথের ঝিল্লির একটি স্তর, যেটি অনেকে ‘সতীচ্ছদ’ বলে বর্ণনা করে থাকেন, সেটি পুনরায় তৈরি করে দেয়া হয়।
চিকিৎসায় কোন সুবিধা নেই
যে নারীদের বিয়ের রাতে তাদের সতীত্বের পরীক্ষা দিতে হয়, সেখানে অক্ষত যৌনিপর্দা তার কুমারীত্বের প্রমাণ বলে মনে করা হয়।
কিন্তু এই অস্ত্রোপচারের কোন চিকিৎসাগত সুবিধা নেই, শুধুমাত্র নারীদের ভীতি এবং লজ্জাকে ব্যবহার করে এটি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন অধিকার কর্মীরা। এ কারণে তারা এ ধরণের অস্ত্রোপচার বন্ধ করার দাবি করছেন।
কিন্তু বিপরীতভাবে বলা হয়, এটি নিষিদ্ধ করা হলে যে নারীরা এ ধরণের অস্ত্রোপচারের সহায়তা নিতে বাধ্য হন, সেই মুসলমান নারীদের জন্য বিপদ বাড়িয়ে দেবে।
যুক্তরাজ্যের জেনারেল মেডিকেল কাউন্সিলের (জিএমসি) গাইডলাইন অনুযায়ী, এ ধরণের অস্ত্রোপচারের আগে রোগীদের সম্মতির সময় জিজ্ঞেস করতে হবে যে, তারা কি কোনরকম চাপের কারণে বা অন্য কোন ব্যক্তির চাপ প্রয়োগের ফলে এ ধরণের কাজ করছেন কিনা।
যুক্তরাজ্যের আন্দোলনকারীরা সরকারের কাছে অনুরোধ করছেন যেন কুমারীত্ব পুনরুদ্ধার শল্যচিকিৎসা বেআইনি বলে ঘোষণা করা হয়।
সূত্র-বিবিসি
Leave a Reply