রংপুর জেলা ছাত্রলীগের পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানে চেয়ার নিয়ে বসাকে কেন্দ্র করে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে মারপিট ও খুরের আঘাতে তিন ছাত্রলীগ কর্মী গুরুত্বর আহত হওয়ায় গতকাল রাতে রংপুর এক ছাত্রলীগ কর্মী লুতফর রহমান বিদ্যুৎ নামে কোতয়ালী মেট্রোপলিটন থানায় লুতফর রহমান বিদ্যুৎ নামে ছয়জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ঘটনায় জড়িত থাকায় শুক্রবার রংপুর নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও উত্তরন সংগঠন এবং লালন একাডেমীর পরিচালক শহিদুল ইসলাম হিরা (গাঠিয়া শহিদুল) কে গ্রেফতার করেছে রংপুর মেট্রো কোতয়ালী থানা পুলিশ।
মামলার অভিযোগ সূত্রে, রাতে নগরীর জুম্মাপাড়ার বাড়ী থেকে শহিদুল ইসলাম হিরা কে আটক করে। এ ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোতয়ালী মেট্রোপলিটন থানায় ১৪৩/ ৩২৩/ ৩২৬ ৩০৭/৫০৬/১১৪ ধারায় পেনাল কোড অর্থাৎ বেআইনী জনতাবদ্ধ (হত্যার উদ্দেশ্য জখন,গুরুত্বর আহত,রক্তাক্ত কাটা,হুমকি প্রদর্শনের দায়ে মামলা করেছে এক ছাত্রলীগ কর্মী।
মামলায় অভিযোগে আটককৃত শহিদুল ইসলাম হিরা (গাঠিয়া শহিদুল) ছাড়াও আরো কয়েকজনের নাম উল্লেখ রয়েছে।
মামলায় অভিযোগে আসামীরা হলেন, ইউসুফ ভলু যুবলীগ কর্মী, রিয়ন ইসলাম (শহিদুল ইসলাম হিরার বড় ছেলে),বাপ্পা (বহিরাগত ) রায়হান ও কামরুজ্জামান শাহীন রংপুর জেলা যুবলীগ যুগ্ম আহব্বায়ক কে প্রধান করে মোট ৬ জনের নামে ও অজ্ঞাত ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে মারপিট ও হত্যার উদ্দেশ্যে মামলা করেছেন।
পুলিশ জানায়, শনিবার গ্রেফতারকৃত শহিদুল ইসলাম হিরা কে আদালতে সোপর্দ করেছে থানা পুলিশ । আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি বলেন,তাকে হত্যা করতে পরিকল্পিতভাবে টোকাই সন্ত্রাসীদের দিয়ে নেতা কর্মীকে আক্রমন করা হয়েছে এতে আহত হয় কয়েকজন নেতাকর্মী। দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার আহব্বান জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ছাত্রলীগের ৭২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে স্থানীয় টাউন হলে পুণর্মিলনী অনুষ্ঠান ছিলো শুক্রবার সন্ধ্যায়। এসময় অনুষ্ঠানে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে দু-পক্ষের মধ্য সংঘর্ষ হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নেতাকর্মীদের নিয়ে ঝগড়া থামাতে গেলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিকে আহত হওয়া সোবাহান, বিদ্যুৎ ও অভিকসহ তিনজনকে উদ্ধার করে দ্রুত রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
কোতোয়ালি থানার রংপুর মেট্রোপলিটন থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রশিদ জানান,সন্ত্রাসীরা কোন দলের না। শক্রবার রংপুর টাউন হলের এক অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনায় একজন কে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দায়ীদের ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি বলেন।
উল্লেখ্য, রংপুর জেলা ছাত্রলীগের পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানে মারপিট ও খুরের আঘাতে আহত হোন তিন নেতাকর্মী। তাদের উদ্ধার করে দ্রুত রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এদের একজন গুরুত্বর আঘাত পাওয়ায় জরুরী অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে অস্ত্রপচারের করেছে চিকিৎসকরা।
Leave a Reply