সাভারে বিভিন্ন জায়গায় পরিত্যাক্ত ময়লা আবর্জনার স্তুপ,ড্রেনেজ ময়লা আবর্জনা পরে থাকলেও অপসারণের উদ্যোগ কমই পরিলক্ষিত হয়।এর ফলে দিন রাতে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
লেখক ও প্রতিবেদক,শেখ এ কে আজাদঃ
সাভারে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকার মানুষের। মশার ভয়াবহ আকারে দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে মশার বিস্তার ঘটে চলছে। দিন রাতে সব সময় মশার কামড়ে যেন নাজেহাল সাভার পৌর ও উপজেলার এলাকাবাসী।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দিনের বেলায় স্কুল কলেজ অফিস থেকে শুরু করে বাসা বাড়িতে বিশাক্ত মশার কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে তাদের। বিকেল ঘনিয়ে সন্ধ্যা হলে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে আরো কয়েক গুন বেশী। কিন্তু মশা নিধনে জন্য প্রতিবছর বাজেট থাকলেও পৌর কর্তৃপক্ষ মশা নিধনে তেমন কোন কার্যকর উদ্যোগ গ্রহন নেই।
সাভার পৌর এলাকার মানুষের অভিযোগ করে আরো বলেন, এখন যেন কোন ঋতু মানে না ছোট বড় বিভিন্ন মশা। সাভারে বিভিন্ন জায়গায় পরিত্যাক্ত ময়লা আবর্জনার স্তুপ পরে থাকলে সরানোর উদ্যোগ কমই পরিলক্ষিত হয়। এসব ময়লা আবর্জনা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবে মশার উপদ্রব ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে মানুষের দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটছে তার ফলে অনেকে বিশাক্ত মশার কামরে শরীর ব্যাথা, জ্বর-এলার্জিসহ বিভিন্ন রোগে ভোগে। কয়েল, স্প্রে বা মশারি টাঙ্গিয়েও মশার উৎপাত থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না মানুষ,মশার উৎপাত বেশী হওয়ায় টাঙ্গানো মশারীর ভিতর গিয়ে রক্ত চুশে খায় মশা। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর বেলা উঠার আগ পর্যন্ত মশার আক্রমন থেকে শেষ রক্ষা হচ্ছে না। কেউ স্বাধীন ভাবে কাজ ও শিক্ষার্থীরা লিখাপড়া করতে পারছে না।
সাভার উপজেলায় শিল্প নগরী হওয়ায় কলকারখানার দূষিত পানি, বর্জ্য, বিভিন্ন স্থানের জমে থাকা ড্রেনে নোংরা পানি এবং যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলায় এ অঞ্চলটি মশার প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে বসানো ডাষ্টবিন ও আবর্জনা ফেলার স্থান নিয়মিত পরিস্কার না করার ফলে মশার বিস্তার ক্রমশ বাড়ছে মন্তব্য বিশেজ্ঞদের। আর এতে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছে শিশুরা। তাদের ঠান্ডা জ্বর লেগে থাকে প্রায় সময়।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবগন উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সারাদিন মশার উপদ্রব থাকলেও সন্ধ্যার পর পরই যেন মশার রাজত্ব চলে কোথায় থেকে মশা এসে রুম ভরে যায় কামরিয়ে রক্ত চুষে খায় তাদের। ফলে সন্ধ্যায় থেকে মশার কয়েল জ্বালিয়ে বা স্প্রে ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের পড়তে বসতে হয়,ফলে ঠান্ডায় হাচি কাশির মত যন্ত্রনা ভোগ করতে হয় তাদেরও। উপান্তর না পেয়ে মশার উৎপাতে নাজেহাল হয়ে মশারি টাঙ্গিয়ে লেখাপড়া করতে হচ্ছে।
সাভার বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে মশার কামড়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, এদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই বেশী।
সাভার পৌরসভাধীন তালবাগের বাসিন্দা উন্নয়ন কর্মী আতিকুর রহমান জানান, মশা নিধনে পৌর কর্তৃপক্ষের কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেই। মশা মারার বাজেট থাকলেও মশা নিধনে পৌর এলাকার কোথাও স্প্রে করতে দেখা যায় না।
কীটপতঙ্গের মাঝে মশা ও মাছি বাহিত রোগের সংখ্যাই বেশি, মশা সাধারনত ডোবা জলাশয়, উন্মুক্ত ড্রেইন, জমেথাকা পানি, পরিত্যাক্ত গাড়ীর ট্রায়ার, ডাবের খোসা এসব জায়গার জমে থাকা পানিতে বংশবিস্তার করে থাকে। মশাবাহিত রোগের মধ্য ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গী রোগসহ নানাবিধ ইনফেকশাস রোগ হয়
,বাড়ীর চারপাশ পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন রাখা,ডোবা জলাশয় সহ সব জায়গায় মশক নিধন স্প্রে নিয়মিত ভাবে প্রয়োগ করলে এই রোগের প্রকোপ কমে যাবে। ঘরের মেঝে মশারী, লম্বাজামা, বিবিধ জেল শরীরে মাখালে মশা সহজে কামড়াতে পারে না, মশার প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস করে, এবং নির্মূল করে মশার হাত থেকে আমরা রেহাই পেতে পারি, মশাবাহিত রোগবালাই থেকে মুক্তি পেতে পারি বলে জানিয়েছেন,বিএসএমএমইউ উচ্চতর প্রশিক্ষণরত শিশু স্বাস্থ্য ও প্রজনন স্বাস্থ্যের এবং সাবেক সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আমজাদুল হক।
মশা বাহিত রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে করণীয় সম্পর্কে সত্যেরসংবাদ.কম এ সাভার উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সের ইউএইচএফপিও এর কর্মকর্তা ডাঃমোঃ সায়েমূল হুদা বিশেষ এক সাক্ষাতকারে প্রতিবেদক শেখ এ কে আজাদের নিকট বলেন, মশা বাহিত ম্যালেরিয়া,ডেঙ্গু,চিকনগুনিয়া রোগসহ অনন্য রোগ হতে পারে আমাদের তবে বর্তমানে সাভারে এসব রোগের প্রাদূর্ভাব নেই। সাধারনত ছোট-বড় মানুষদের মশার কামরে এলার্জি হতে পারে এর সাথে শরীর ব্যাথা হলে জ্বর হওয়ার সম্ভবনা থাকে তবে ভয় পাওয়ার কারন নেই । এসব রোগ দেখা দিলে সাভার উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে সঠিক রোগ নির্ণয়সহ, চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ করণী সম্পর্কে আরো তিনি আরো বলেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান আঙ্গিনা সঠিকভাবে নিয়মিত পরিস্কার – পরিচ্ছন্ন রাখলে এর প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
Leave a Reply