Warning: Creating default object from empty value in /home/sattersangbad24/public_html/wp-content/themes/ProfessionalNews/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
গৌরবময় ইতিহাসের স্মৃতির পাতায় রেখে গেলো সাবেক কয়েকবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য উজ্জল নক্ষত্র মুরহুম রহমত আলী গৌরবময় ইতিহাসের স্মৃতির পাতায় রেখে গেলো সাবেক কয়েকবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য উজ্জল নক্ষত্র মুরহুম রহমত আলী – Satter Sangbad
সংবাদ শিরোনাম :
সাভারে গনসংযোগ করলেন জামায়াতের নেতা মো:আবুল বাশার সাভার উপজেলা নির্মাণ শ্রমিক সংগঠনের উদ্যােগে ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বিরতির আহবানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ সাভার পৌর ছাত্রদলের উদ্যোগে রেডিওকলোনী এলাকায় গরীব-দুঃখী,সাধারন মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রিক বিতরন সাভার উপজেলা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে ইফতার দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সাভারসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা সাভার ইসলামীয়া ডিজিটাল ল্যাব এন্ড হসপিটালের এমডির সাভার প্রেসক্লাবের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সাভার পৌর মেয়র পদপ্রার্থী খোরশেদ আলম ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস ও পবিত্র রমজান এবং অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন.. সাভার পৌর ১ নং ওয়ার্ডর কাউন্সিলর পদপ্রার্থী চম্পক ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস ও পবিত্র রমজান এবং অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন.. সাভারে নদী পাড়ের শাখায় অবৈধ বালুর গদি গুঁড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ট্রাকে টিসিবির পণ্য  বিক্রি কার্যক্রম শুরু হলো 
বিজ্ঞপ্তি প্রচারঃ
বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন সাভার পৌর মেয়র প্রার্থী জনপ্রিয় সাবেক কাউন্সিল খোরশেদ আলম সাভার পৌর বাংলাদেশ জাতীয়বাদী শ্রমিকদলের সিনিয়র সভাপতি মো: দেলোয়ার হোসেনের পক্ষে রমজান ও ঈদের শুভেচ্ছা!!! সাভার পৌর কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মোল্লা এর পক্ষে রমজান ও ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন… সাভার পৌর সেচ্ছাসেবক দলের পক্ষে পবিত্র রমজান এবং অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছা .. সাভার পৌর এলাকার শীর্ষ স্থানীয় প্রেসিডেন্সি স্কুলের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবস,রমজান,ঈদের শুভেচ্ছা  সৈনিকদলের সভাপতি মো:আব্দুল্লাহ আল মামুন ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস ও পবিত্র রমজান এবং অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন… সাভার পৌর ৮ নং ওয়ার্ডর কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মেহেদী হাসান ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস ও পবিত্র রমজান এবং অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন.. ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের রক্তিম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে ভাগ্য উন্নয়ন শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লি: এর পক্ষে শুভেচ্ছা সাভারসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা সাভার ইসলামীয়া ডিজিটাল ল্যাব এন্ড হসপিটালের এমডির

গৌরবময় ইতিহাসের স্মৃতির পাতায় রেখে গেলো সাবেক কয়েকবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য উজ্জল নক্ষত্র মুরহুম রহমত আলী

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
  • ৬৯৯ বার পঠিত

মোহাম্মদ আদনান মামুন,নিজস্ব প্রতিবেদক,শ্রীপুর থেকেঃ

গৌরবময় ইতিহাসের স্মৃতির পাতায় রেখে গেলো সাবেক কয়েকবারের নির্বাচিত জনপ্রিয় আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য দেশের উজ্জল নক্ষত্র মুরহুম রহমত আলী। গ্রামের মেঠো পথ থেকে উঠে আসা শিশু কি ভাবে হয়ে উঠে রাজ দরবারের সদস্য, সেই কাহিনীর ইতি ঘটবে দাফনের মধ্যে দিয়ে আজ। আজ চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সদস্য ও সাবেক আইন প্রণেতা এ্যাডভোকেট রহমত আলী। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের পূর্ব ইতিহাসের স্বাক্ষী ছিলেন রহমত আলী। আজ তার দাফনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ইতিহাসের একটি জীবন্ত অধ্যায়। আর এরই মধ্যে ইতিহাসে খোলা হবে রহমত আলীর স্মৃতির অধ্যায়। এ্যাডভোকেট রহমত আলী আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় কমিটিতে ছিলেন, ছিলেন গাজীপুর জেলার সভাপতিও। সংসদ নির্বাচনের পর অনেকবার তার নামও এসেছে রহমত আলী স্পিকার হচ্ছেন, রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন। এই কারণে গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের সন্তান রহমত আলী জাতীয়ভাবে কত বড় মাপের লোক ছিলেন, ইতিহাস তারই স্বাক্ষী দেয়।

১৯৪৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর শ্রীপুর উপজেলার বর্তমান পৌর সভার ১নং ওয়ার্ডের বড়বাড়ি সম্ভ্রান্ত কৃষক পরিবারে জন্ম উজ্জ্বল নক্ষত্র এডভোকেট রহমত আলীর। বাবা মো. আছর আলী ছিলেন পেশায় কৃষক মা শুক্কুরজান বিবি ছিলেন গৃহিণী।

স্কুল জীবনের শুরু থেকে রহমত আলী ছিলেন খুব মেধাবী। তাই উচ্চ শিক্ষা নিতে বেগ পেতে হয়নি কোন দিন। রহমত আলী শ্রীপুর পাইলট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালীন সময়ে রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই শ্লোগান দেন।

১১ বছর বয়সে শ্রীপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে ১৯৬২ সালের ১৭ এপ্রিল হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন তিনি। এডভোকেট রহমত আলী ১৯৬২ সালে ভালুকা উপজেলার বাটাজোর বিএম হাই স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পাশ করেন। ১৯৭২ সালে শ্রীপুর স্নাতক মহাবিদ্যালয় থেকে মানবিক শাখায় দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৯৭৪ সালে শ্রীপুর মহাবিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করে ১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

কৃষকের ঘরে জন্ম হলেও তিনি আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। লেখা পড়া শেষ করে পেশা হিসেবে বেছে নেন আইন। এভাবে সমাজের নিরীহ নির্যাতিত মানুষকে সেবা করে শুরু হয় তার কর্মময় জীবন।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট রহমত আলী আওয়ামীলীগের বড় নেতাদের হাত ধরে যোগ দেন আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে। শুরু হয় তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন।

এরপর থেকে এই নেতাকে আর কখনও পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি জীবনের সর্বশেষ গন্তব্যে পৌঁছাতে। কারণ ওনার মনে প্রাণে ছিলো মানুষের সেবা করার স্বপ্ন। আর মনের বিতর লালিত স্বপ্ন পূরণ করতে আরোও সুযোগ করে দেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে ১৯৯১ সালে প্রথম বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এডভোকেট রহমত আলী। নির্বাচিত হওয়ার পর একটি দিনও বসে থাকেন নি তিনি।
লেগে যান কাজে কি ভাবে অবহেলিত জনপদ শ্রীপুরকে আধুনিক শ্রীপুর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা যায়। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, বিশ্ব বিদ্যালয়সহ শত শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন উন্নয়নমূল্লক কাজে হাত দেন তিনি।

একে একে অবহেলিত জনপদ শ্রীপুরকে বাংলাদেশের বুকে সর্বোচ্চ স্হানে পৌছে দিতে জীবেন শেষ দিন পর্যন্ত কাজ করে গেছেন এই সমাজ সংস্কারক।

রহমত আলী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর্বে শ্রীপুর উপজেলার রাস্তাঘাট গুলোর অবস্থা ছিলো খুবই বেহাল। এই রাস্তা গুলো সংস্কারের জন্য একে একে হাত দেন সব রাস্তায়। উপজেলার সাথে সকল ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগ নিশ্চিত করতে সড়ক গুলোকে প্রশস্ত করেন। রাস্তা ঘাট প্রশস্ত হওয়ার পর উপজেলার সাথে শুরু হয় বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগ। এতে করে ব্যবসার প্রসার বৃদ্ধি পেতে থাকে।

এরপর রহমত আলী শ্রীপুর উপজেলার সাথে অনন্য উপজেলার মানুষের সংযোগ স্থাপনের জন্য বিভিন্ন নদীতে বেশ কয়েকটি বড় সেতু নির্মাণ করে পাশ্ববর্তী উপজেলা ভালুকা, গফরগাঁও, কাপাসিয়া, কালীগঞ্জে, কালিয়াকৈরের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে ব্যবসার দ্বার উন্মোচিত করে দেন। এতে করে তিনি ঘুরিয়ে দেন বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা।

এই মহান মানুষটি বাংলাদেশ জাতীয় সংদের ৫বার জনগণের ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বাংলাদেশের সরকারের পল্লী উন্নয়ন সমবায় প্রতিমন্ত্রীরও দায়িত্বে পালন করেন পাঁচ বছর। আর মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে শুধু নিজের সংসদীয় এলাকা নয় পূরো বাংলাদেশ উন্নয়নের ছোঁয়া ছিলো রহমত আলীর।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, (১৬ ফেব্রুয়ারী রবিবার ) সকাল সাড়ে ৭টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ তিনি করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগে ভুগছিলেন রহমত আলী। এর আগে কয়েক দফা থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে গত ২৮ জানুয়ারি দেশে আনা হয় তাঁকে। তবে অবস্থার অবনতি হলে ওইদিনই তাঁকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি।

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনেকবার কারাবরণ করেছেন রহমত আলী। ১৯৮৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকরত অবস্থায় ড. কামাল হোসেনের বাসা থেকে তাঁকে চোখ বেঁধে ক্যান্টমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নির্যাতন চালিয়ে তাঁর ১৭টি দাঁত, ডান হাত ও বুকের একটি হাঁড় ভেঙে ফেলে হয়।

গাজীপুর-৩ আসন থেকে একাধারে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন রহমত আলী। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন উপকমিটি, বাংলাদেশ কৃষক লীগ ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। অসুস্থতার কারণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চাননি তিনি।

রহমত আলীর বড় ছেলে ড. এম জাহিদ হাসান একজন পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। মেঝ ছেলে জামিল হাসান দুর্জয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। একমাত্র মেয়ে রুমানা আলী টুসী জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য। তাঁর মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

Developed By BanglaHost