খাদ্য ও ওষুধ ভেজালমুক্ত করা বড়ই কঠিন : ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার
সারোয়ার আলম র্যাব(Rab) সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। প্রতিদিনই ঢাকার কোনো না কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা কিংবা খাবারের দোকানে অভিযান চালাচ্ছেন তিনি। একই সঙ্গে কিশোরদের মাদকসেবন থেকে শুরু করে রাজধানীতে ঘটা নানান অপরাধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধেও সমানতালে অভিযান চালাচ্ছেন সারোয়ার আলম।
সারোয়ার আলম র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। প্রতিদিনই ঢাকার কোনো না কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা কিংবা খাবারের দোকানে অভিযান চালাচ্ছেন তিনি। একই সঙ্গে কিশোরদের মাদকসেবন থেকে শুরু করে রাজধানীতে ঘটা নানান অপরাধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধেও সমানতালে অভিযান চালাচ্ছেন সারোয়ার আলম।
প্রতিদিন রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় এসব অভিযানের ছবিসহ নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও সচেতনতামূলক পোস্ট দেন তিনি।
বুধবার দুপুর ২টা ২৩ মিনিটে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। তবে এবার তার এই স্ট্যাটাসটিতে আক্ষেপের পাশাপাশি হতাশা লক্ষ্য করা গেছে।
তিনি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘যে দেশের তথাকথিত প্রভাবশালীদের অনেকেই থাকেন ভেজালকারীদের পক্ষে সে দেশে খাদ্য ও ওষুধ ভেজালমুক্ত করা বড়ই কঠিন।
***তিনি প্রায় জায়গায় দিন ও রাতভর অভিযান করেন সততা নিয়ে। মিডিয়া কর্মীরা থাকে তার পাশে। সৎ সাহসিকতাপূর্ণ মিডিয়াকর্মীদের নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন সারোয়ার সাহেব। আমাদের দেশরত্ম শেখ হাসিনা এই মহৎ মানুষটির পাশে থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আরো সক্ষম। সাধারন মানুষকে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকারের রয়েছে কঠোর নির্দেশ।
করোনা ভাইরাসের জন্যে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট করতে না পারে এজন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় তার অভিযান অব্যাহত…
***র্যাবের অভিযানে ৫ কোটি টাকার নকল ওষুধ ও মাস্ক জব্দ
রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় রাতভর অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫ কোটি টাকার নকল ওষুধ ও নিম্নমানের মাস্ক জব্দ করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া এই অভিযান চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। অভিযানে নেতৃত্বে ছিলেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। অভিযান চলে মিটফোর্ডের সুরেস্বরী মার্কেটে।
অভিযানের বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নামি-দামি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে মানহীন, নকল, নিম্নমানের ও আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধ মজুদ করা হয়েছিল। রাজধানীর বিভিন্ন ফার্মেসিতে এ ওষুধগুলো সরবরাহ করা হতো। তাই এগুলো জব্দ করে গোডাউন মালিকের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এসব ওষুধ সেবন মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হবে, তাই জব্দ করা হয়েছে। অভিযানে কিছু নিম্নমানের মাস্কও পাওয়া গেছে। তবে অভিযানে আসার আগেই এখানে কর্মরত ৮ জন পালিয়ে যায়।
এদিকে মঙ্গলবার একই মার্কেটে অভিযান চালিয়েছিল র্যাব। মেয়াদউত্তীর্ণ ও নকল ওষুধের কারনে দুইটি গোডাউন সিলগালা করেছিল তারা।
গত বুধবার রাতে সেই গোডাউনে গিয়ে দেখা গেছে সিলগালা গোডাউনের তালা ভেঙে মালামাল সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এই ঘটনায় বাবুল নামের এক ব্যবসায়ীকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
Leave a Reply