সাংবাদিক আরিফুলের পরিবারকে আইনি সহযোগিতাসহ কারাদণ্ড বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনতে যাচ্ছেন ব্যারিস্টার সুমন
ডেক্স সংবাদঃ
কুড়িগ্রামে মধ্যরাতে বাসা থেকে ধরে নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এক সাংবাদিককে কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনতে যাচ্ছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন।
শনিবার বিকেলে ব্যারিস্টার সুমন জানাম, রবিবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে মধ্যরাতে সাংবাদিককে সাজা দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরবেন।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন,‘‘কুড়িগ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে, তা ক্ষমতার অপব্যবহারের নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। কিছু আমলার ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে সরকারের সাফল্য ম্লান হয়ে যাচ্ছে।’’ তিনি জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের পরিবারকে সব ধরনের আইনি সহায়তা দিতে তিনি প্রস্তুত রয়েছেন।
শুক্রবার দিবাগত ১৩ মার্চ রাতে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কয়েকজন আনসার সদস্য সাংবাদিক আরিফুলের বাসায় জোর করে প্রবেশ করেন। তারা সেখানে কোনো তল্লাশি অভিযান চালাননি। অথচ আরিফুলকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নেওয়ার পর তারা দাবি করেন, তার বাসায় আধা বোতল মদ ও দেড়শত গ্রাম গাঁজা পাওয়া গেছে।ক্ষমতা আইনে অপব্যবহার করায় আরিফুলকে রাতেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১ বছরের সাজা দেওয়া হয়।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন একটি পুকুর সংস্কার করে নিজের নামে নামকরণ করতে চেয়েছিলেন। আরিফুল এ বিষয়ে নিউজ করার পর থেকে তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন জেলা প্রশাসক।
সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে রিপোর্ট করতে চেয়েছিলেন আরিফুল ইসলাম। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে তাকে বেশ কয়েকবার ডেকে নিয়ে সতর্ক করা বলে জানা যায়।
Leave a Reply