করোনা ভাইরাস দূর্যোগ মোকাবেলায় সাভারের ব্যবসায়ী উত্তম ঘোষ সমাজের দুঃস্থ,অসহায়- কর্মহীন,সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে নিয়মিত ত্রান বিতরণ

করোনা ভাইরাস দূর্যোগ মোকাবেলায় সাভারের ব্যবসায়ী উত্তম ঘোষ দুঃস্থ,অসহায়- কর্মহীন,সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে নিয়মিত ত্রান বিতরণ

শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

সাভার পৌর নামাবাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক উত্তম ঘোষ করোনা ভাইরাস দূর্যোগ মোকাবেলায় অসহায় হয়ে পরা কর্মহীন মধ্যবিত্ত,হত দরিদ্র ও হিন্দু-মুসলিম ও সুবিধাবঞ্চিত হিজরা-বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে ত্রান বিতরণ করছেন নিয়মিত।

তিনি সাভার নামা বাজার স্বর্ণ শিল্পি মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক উত্তম ঘোষ। তার নিজ কার্যালয় জনতা গোল্ড প্লাজা থেকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় প্রথম থেকেই প্রকাশ্যে,গোপনে খাদ্য কষ্টে থাকা অসহায় মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন ।
এ পর্যন্ত ৩ হাজার পরিবারকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

হিজলা সম্প্রদায়ের মাঝে ত্রান বিতরণ করছেনঃউত্তম ঘোষ।

ত্রান সামগ্রীর মধ্যে কয়েক খাদ্য ও করোনায় প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে ঔষধ সামগ্রীসহ জিবানুমুক্ত রাখতে স্যানেটারিজ পন্য পৌঁছে দেন ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর মাঝে এবং নিজস্ব কর্মীর মাধ্যমে ঘরে ঘরে ত্রান পৌঁছে দেন তিনি।

তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিদিনের ন্যায় ১৬ মে শনিবার সন্ধ্যায় তার কার্যালয় থেকে এসব খাদ্য ও ঔষধ সামগ্রী অসহায় কর্মহীন মানুষ ও সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশু পরিবারের মাঝে খাদ্য হাতে তুলে দেন তিনি।

এসব খাদ্যদ্রব্য পেয়ে খুশি সকলের পরিবার।

তিনি প্রতিদিন ১৫ জন শিশুর দ্বায়িত্ব নিয়েছেন। তাদের পরিবারকে দুধ, বিস্কুট,কলা,কেকসহ অন্যঅন্য খাদ্যদ্রব্য দেন। প্রি-পেইড মিটারের বিদ্যুৎ বিল শেষ হয়ে গেছে তার হাতে টাকা নেই, ঘর অন্ধকার তাদেরকে আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন বলে জানালেন তিনি।

যিনি মানবতার জন্য এগিয়ে এসেছেন
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক উত্তমঘোষের সাথে আমাদের প্রতিবেদক শেখ এ কে আজাদ প্রতিবেদন করতে তার নিকটে যান। তুলে আনেন তার মানবতার লক্ষে করোনায় অসহায় ব্যক্তিদের জন্য প্রতিদিন নিজস্ব অর্থায়নে ত্রান সামগ্রী বরাদ্দ দেয়া।

এ ব্যাপারে উত্তম ঘোষ বলেন, “শুধু খাদ্য সামগ্রী নয় তার সাধ্যমতে মানুষকে আর্থিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন, করোনায় ভাইরাসে লকডাউনে কাজ না থাকায় মানুষগুলো অসহায় হয়ে পরছে। অসহায় হয়ে পরা মানুষগুলো বিভিন্ন রকম সমস্যা নিয়ে তার নিকট যায়, কারো বাসায় প্রি-পেইড মিটারের বিদ্যুৎ বিল শেষ হয়ে গেছে তার হাতে টাকা নেই ঘর অন্ধকার, কারো বাসায় খাবার নেই, কারো বাসায় সন্তানের দুধ কেনার মত পরিস্থিতি নেই যেগুলো শুনলে তার হৃদয় কেঁপে ওঠে। তিনি যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করে থাকেন আর সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেন। সৃষ্টিকর্তা বাংলাদেশ থেকে এই করোনা ভাইরাস কে যত দ্রুত সম্ভব নিমূল করে দেন।

তিনি আরো বলেন, ” যতদিন পর্যন্ত করোনাভাইরাস বিরাজমান থাকবে ততদিন পর্যন্ত সাধারণ অসহায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করব”।

নিউজটি শেয়ার করুন

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *