মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য প:প:কর্মকর্তা ডা:নাছরিন আক্তার লিনাসহ ড্রাইভার করোনায় আক্রান্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক,মানিকগঞ্জঃ
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য প:প:কর্মকর্তা ডা:নাছরিন আক্তার লিনা ও গাড়ী চালক রেজাউল করিম ও এলজিডির কমিউনিটি অরগানাইজার অফিসার ওবায়দুর রহমান সহ তিনজন ৬ জুন শনিবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় সবাইকে হোমকোয়ারেন্টিনে ও রাখা হয়েছে।এ নিয়ে দৌলতপুর উপজেলায় মোট ৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে হাসপাতাল সুত্র থেকে জানা গেছে ।
জানাযায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: নাছরিন আক্তার লিনা ঢাকা তার নিজ বাসা থেকে অফিস করতেন । তিনি অসুস্থ্য হয়ে গত ৪ তারিখ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে দৌলতপুর উপজেলায় নমুনা দিলে ৬ জুন শনিবার তার করোনা পজেটিভ হয়। তিনি ঢাকার নিজ বাসায় হোম আইসোলেশনে আছেন।
অন্যদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যামবোলেন্স ড্রাইভার মো.রেজাউল করিম (৪৯) ঠান্ডা জ্বরে অসুস্থ্য হয়ে গত ৪ জুন দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দেওয়ায় আজ শনিবার করোনা পজেটিভ ধরা পরে।
অপরদিকে উপজেলা এল জিডি অফিসের কমিউনিটি অরগানেইজার অফিসার ওবায়দুর রহমান (৫১) তার বাড়ী ধামরাই উপজেলায় সে উপজেলা কোয়ার্টারে থাকতেন।তিনি গত কয়েক দিন যাবত অসুস্থ্য হওয়ায় গত ৪ জুন নমুনা প্রদান করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দৌলতপুরে পরবর্তীতে আজ ৬ জুন তার করোনা পজেটিভ হয়।
এ সকল বিষয় নিশ্চিত করেছেন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মো.বকুল হোসেন। তিনি আরো বলেন এ পযর্ন্ত দৌলতপুর উপজেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৯ জন এর ৪ জন এলাকা থেকে অন্য ৫ জন প্রত্যেকেই ঢাকা থেকে অসুস্থ্য হয়ে বাড়ি আসার পর করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছে।
এবিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি)তদন্ত হাসমত উল্লাহ্ বলেন -তিনজনের করোনা পজেটিভ ধরা পড়ায় সবাইকে লকডাউন করা করার প্রস্তুতি চলছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলিমা মোস্তারী বলেন- গত ৪ জুন উপজেলা স্বাস্থ্য প:প: কর্মকর্তা আমার অফিসে এসেছিলো তাই আমারও নমুনা দিতে হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও ড্রাইভার রেজাউলের বাসা লকডাউন করা হয়েছে এবং এলজিডি অফিস জিবানু মুক্ত করার জন্য বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মীদের বলা হয়েছে যারা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসেছে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
Leave a Reply