কোভিড-১৯ বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যবহারিক পরামর্শ পদ্ধতি
১. আমাদের কয়েক মাস বা বছর ধরে কোভিড-১৯ এর সাথে থাকতে হবে। ভয় বা আতঙ্কিত না হয়ে আসুন আমাদের জীবনকে সহজ করে তুলি। আসুন এই সত্যটি নিয়ে বাঁচতে শিখি।
২. আপনি কোভিড-১৯ ভাইরাসগুলি সমূলে ধ্বংস করতে পারবেন না, যা ঘরের দেয়ালে প্রবেশ করেছে। অতিরিক্ত গরম জল পান করছেন আপনি কেবলমাত্র বাথরুমে যাওয়ার জন্য।
৩. হাত ধোয়া এবং দুই-মিটার দৈহিক দূরত্ব আপনার সুরক্ষার জন্য সেরা পদ্ধতি।
৪. যদি আপনার বাড়িতে কোভিড-১৯ রোগী না থাকে তবে আপনার বাড়ির উপরিভাগের জীবাণুমুক্ত করার দরকার নেই।
৫. প্যাকেজজাত কার্গো, গ্যাস পাম্প, শপিং মল এবং এটিএম বুথ সংক্রমণ সৃষ্টি করে না। বরং আপনার হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন, যথারীতি আপনার জীবন যাপন করুন।
৬. কোভিড-১৯ কোনও খাদ্য সংক্রমণ নয়। এটি ‘ফ্লু’র মতো ফোঁটা সংক্রমণের সাথে যুক্ত। খাবারের অর্ডার দিয়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণিত হওয়ার কোনও ঝুঁকি নেই।
৭. আপনি প্রচুর অ্যালার্জি এবং ভাইরাল সংক্রমণের সাথে আপনার গন্ধ অনুভূতি হারাতে পারেন। এটি কেবল কোভিড-১৯ এর একটি অনির্দিষ্ট লক্ষণ।
৮. বাড়িতে ফিরে আপনাকে জরুরীভাবে আপনার পোশাক পরিবর্তন বা গোসল করার খুব দরকার নেই (তবে কুসুম গরম পানিতে গোসল করা খারাপ নয়)। সাবান দিয়ে হাত মুখ বিশুদ্ধ করুন, বিচলিত হবেন না।
৯. কোভিড-১৯ ভাইরাসটি বাতাসে উড়ছে না। এটি একটি শ্বাস প্রশ্বাসের ড্রপল সংক্রমণ যা ছড়াতে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ প্রয়োজন।
১০. নির্মল বাতাসে আপনি পার্কে বা উদ্যানে (কেবলমাত্র আপনার শারীরিক সুরক্ষা দূরত্ব বজায় রেখে) হাঁটতে পারেন।
১১. অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান নয়, কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সাধারণ সাবান ব্যবহার করা যথেষ্ট। এটি ব্যাকটিরিয়া নয়, এটি একটি ভাইরাস।
১২. আপনার খাবারের অর্ডার সম্পর্কে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না। আপনি যদি চান তবে আপনি এটি মাইক্রোওয়েভে গরম করে খেতে পারেন।
১৩. আপনার জুতা দিয়ে কোভিড-১৯ বাড়িতে আনার সম্ভাবনা খুবই কম। আমি ২০ বছর ধরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছি। ড্রপ সংক্রমণ এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ে না।
১৪. আপনি ভিনেগার, আখের রস এবং আদা গ্রহণ করে ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে পারবেন না। এগুলি কোভিড-১৯ নিরাময়ের জন্য যথেষ্ট নয়।
১৫. দীর্ঘ সময় ধরে একটি মুখোশ পরা আপনার শ্বাস এবং অক্সিজেনের স্তরে হস্তক্ষেপ করে। এটি কেবল ভিড়ের মধ্যেই ব্যবহার করুন।
১৬. গ্লাভস পরাও একটি খারাপ ধারণা। ভাইরাসটি গ্লাভসে জমে যেতে পারে এবং আপনার মুখটি স্পর্শ করলে সহজেই সংক্রমণ হতে পারে। গ্লাভস না পরে নিয়মিত আপনার হাত ধুয়ে নেওয়াই উত্তম।
১৭. সবসময় একটি জীবাণুমুক্ত পরিবেশে থাকুন। এমনকি যদি আপনি রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধিকারক খাবার খান তবে দয়া করে আপনার বাড়ির বাইরে নিয়মিত কোনও পার্ক / সৈকতে যান। বাড়িতে বসে বসে ভাজা/ মশলাদার/ মিষ্টিজাতীয় খাবার এবং কোমল পানীয় সেবন করে নয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সকলের জন্য পুষ্টিকর খাবার দ্বারা বাড়ানো দরকার।
বিভাগীয় প্রধান, সংক্রামক রোগ ক্লিনিক, মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকা।
সূত্র-অনলাইন।
Leave a Reply