এমন কাঠাঁল কেউ খেয়েছেন? সাভার পৌর নয়াবাড়ী এলাকায় মৌসুমি ফল বিক্রি করে প্রতারিত করে আসছে ক্রেতাদের সাথে আনাম সাধু
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
খুবই ভাল কাঁঠাল,খুবই ভাল কাঁঠাল, হবে বড় বড় কয়েকটি রুয়া ,খুবই মিষ্টি আর সুস্বাদু ফল,শতভাগ গ্যারান্টি বলে জাহির করে বিক্রিয় করে দিলো সাভার পৌর এলাকার নয়াবাড়ী এলাকার এক ব্যবসায়ি আর তারই সুন্দর স্বাবলীল কথায় বিশ্বাস করে কিনে নিলো ক্রেতা। ব্যবসায়ি বয়স আনুমানিক ৬০ হবে,নাম তার আনাম সাধু। তার কথা বিশ্বাস করে পন্য কিনে ক্রেতাদের সহজ সরলতার মনে সুযোগ নিয়ে প্রতারিত হবে। বাস্তবতা আর সত্যকে যেন মিথ্যার দিকে ঠেলে দেন অসাধু ব্যবসায়ি আনাম। তিনি মিথ্যার আশ্রয়ে পন্য বিক্রি করে ঠকিয়েছেন ক্রেতাদের। এমন ব্যবসায়ির নিকট পন্য কিনে প্রতারিত করলো স্থানীয় এক সংবাদকর্মীকে । অসাধু উপায়ে পন্য বিক্রির পর, আসল রুপটা তার কথা থেকে বেড় হয়ে আসলো সংবাদকর্মীর সামনে…পরে বাধ্য হয়েই সংবাদকর্মী একপর্যায়ে নিতে হলো পুলিশের সহযোগিতা।
এমন কাঠাঁল কেউ খেয়েছেন? মানুষ আর মানুষ কি রয়েছে এ দেশে,চিনেও না চেনার যেন বান বাড়ছে দিন দিন। কেন এমনটি করছে ক্রেতাদের সাথে অনেকে? পরপর কয়েকটি কাঁঠাল কিনে একই কায়দায় আজও কাঠাঁল কিনে হলাম নিজেই প্রতারিত। কাঠাঁল কিনতে সাথে ছিল আরো তিনজন ব্যক্তি।
কাঁঠালটি ক্রয় করা হয় (১৭) জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নয়াবাড়ী বউ বাজার এলাকার পাশের একটি দোকান থেকে। পরে কাঠাঁলটি ফেরত দিতে গেলে টাকা ফেরত অথবা পরিবর্তন করে একটি ভাল কাঁঠাল দেয়ার আহবান করলে ব্যবসায়ী আনাম সাধু কথা কাটা কাটির এক পর্যায়ে তিনি পেশাকে তিরস্কারসহ হুমকির মুখে পরতে হয়েছে সাংবাদিক ক্রেতাকে। দোকানদার এলাকার নিজেকে বড় মানুষ বলে মনে করে জাহির করে নাজেহাল করবে শাসায় । তিনি এমনি ভাবেই ব্যবসা করে প্রতারিত করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে অনেকের ।
আনাম সাধু দীর্ঘ দিন ধরে সাভার পৌর নয়াবাড়ী এলাকায় একটি দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসলেও তার নেই পৌর অনুমোদিত ট্রেড লাইসেন্স। নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে তিনি একই দোকানে করছেন একাধিক ব্যবসা। ফলে সাভার পৌর রাজস্ব আয় থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। পৌর কর্তৃপক্ষ থেকে এসব ব্যবসায়ীদের নেই জবাবদিহিতা।
করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে অনেক উচ্চ মুনাফালোভী ব্যবসায়ীগন সুযোগ যেন ছাড়ছে না। থেমে নেই অনেক ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা।
এখন ব্যবসা করে যাচ্ছে ঝড়ে পরা কাঁচা কাঁঠাল, কাঁচা আম কম দামে ক্রয় করে তা বেশী দামে বিক্রি করে প্রতারিত করে আসা যেন নিয়মে চলে আসছে। অনেকে ছোট ব্যবসায়ী গরীব মানুষ বলে ছেড়ে দেয়ায় তারা থামছে না ক্রেতাদর ঠকাতে। আর কত দিন চলবে এসব ঠকানো ব্যবসা? মিথ্যার ধ্বংশ অনিবার্য। সত্যের ধ্বংশ নেই। মানুষ কেন বুঝেও বুঝে না। মিথ্যা ছাড়তে হবে মানুষ-মানুষের জন্য হতে হবে আমাদের সকলকে।
করোনায় পুষ্টিকর ফল খাওয়ার আশায় ফল কিনে প্রতারিত হচ্ছে বহু ক্রেতাগন। আবার পন্য ক্রয়ে ক্রেতাগন প্রতারিত হলে ব্যবসায়ির রয়েছে দন্ডনিয় অপরাধ। এসব অপরাধের জন্য প্রশাসনিকভাবে বেশীরভাগ ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে শাস্তি না হওয়ায় ক্রেতাদের মানহানি,টাকার অপচয়,মৃত্যুর দিকে দাবিত করে হচ্ছে ক্রেতাগগন।
পরে খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ পরিদর্শন করে সত্যতা পেলে ব্যবসায়ীকে মালিককে না পেয়ে তার ছেলেকে কঠোরভাবে সতর্ক করে দেন এবং পরবর্তী এমন অভিযোগ পেলে প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
কাঁঠাল ক্রেতা শেখ এ কে আজাদ বলেন, মৌসুমী ফল কাঁঠাল দয়া করে ভেঙ্গে কিনে নিবেন ঠকবেন না আর আম কেটে খেয়ে পরীক্ষা করে নিবেন। ভাল হলে ক্রেতার আর খারাপ হলে ব্যবসায়ির। তারপর প্রশাসনকে অবহতি করে তাকে আইনের হাতে সমর্পন করে দিবেন,প্রাথমিক বিচার যেটাই হোক
মেনে নিবেন। প্রতারিত হওয়ার শিকার আপনি একা নন একই স্থান থেকে এলাকার ও দূর দূরান্তের বহুজন হয়ে থাকে, তাই প্রতিবাদ করা বাঞ্চনিয় সচেতন মানুষের। মানসম্মানের ভয়ে বেশীরভাগ মানুষ প্রতিবাদ করে না। আপনি প্রতিবাদ করে নিজেকে অপর মানুষ খারাপ বললেও আপনি একমাত্র আল্লাহ নিকট প্রিয় একজন বান্ধা হতে পারেন। আর যারা দেখেও খারাপের প্রতিবাদ করলো না তিনিও একমাত্র আল্লাহর নিকট নিকৃষ্ট বান্ধা হতে পারেন।
যিনি টাকা দিয়ে পন্য কিনে ঠকে তার পক্ষে থেকে প্রতিবাদ করতে হবে স্থানীয় ব্যবসায়িগন ও ক্রেতাদের। আর প্রশাসনের সঠিক নজরদারিতে ক্রেতাগন প্রতারিত হবে না বলেও আশা করি।
সচেতন মহলের দাবী মৌসুমী ফলে ব্যবসায়ীদের নিকট ফল কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতাগন,প্রশাসনের তদারকিকার জরুরী প্রয়োজন বলে মনে করছে তারা।
Leave a Reply