শ্রীপুরে এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

শ্রীপুরে এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

মোহাম্মদ আদনান মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক গাজীপুর প্রতিনিধি – তিন সন্তানের জননীর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলীহাটি ইউনিয়নের আবদার এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের বহুতল ভবনের দুতলার একটি কক্ষ থেকে হাসিনা বেগম (৪০) নামের ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত হাসিনা বেগম উপজেলার আবদার গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন বেপারীর স্ত্রী। নিহতের ভাই তমিজউদ্দিন জানান, অনেকদিন যাবত তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। তবে এটা আত্মহত্যা নয় আমার বোনকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে এর সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

নিহতের ছেলে জুবায়ের আহমেদ জয় জানান, কয়েকজন লোকের কারণে আমার মা আত্মহত্যা করেছে। গত ৫ বছর যাবত আমাদের সংসারে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। আমার বাবা একজন নারীলোভী ঘরের বাইরে বিভিন্ন মেয়েদের সাথে চলাফেরা করত বাড়িতে সময় দিত না।তাই গত ১৪ সেপ্টেম্বর আমার বাবাকে সংশোধনের জন্য ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার সিরি রিহ্যাব সেন্টারে পাঠানো হয়। রিহ্যাবে পাঠানোর কারণে আমার চাচা তোজাম বেপারি, চাচাতো ভাই সোহাগ বেপারি এবং তেলিহাটি ১ নং ওয়ার্ড সদস্য তারেক হাসান বাচ্চু ক্ষিপ্ত হয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর আমাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।আর আমার বড় বোন ঝর্ণাকে তার ছোট দুই শিশু বাচ্চাসহ রাত তিনটার দিকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমার মাকে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।ও আমাকে থানায় নিয়ে নির্যাতন করে তারা। এবং বলে তোদের সংসার কখনো জোরা লাগতে দিবো না। পরে আমার বাবাকে রিহ্যাব থেকে ফিরিয়ে আনা হয়। তারপর থেকেই আমার বাবা চাচার বাড়িতেই থাকে। গতকাল রাতে তারা জানায় আমার মাকে আমার বাবা ডিভোর্স দিয়েছে এবং আমার মাকে তারা গালিগালাজ করে। পরে প্রতিদিনের ন্যায় আমি সকালে দোকানে চলে যাই তখন মা শুয়ে ছিলো।সকাল নয়টার দিকে আমার বড় বোন ঝর্ণা আমাকে ফোনে বলে মাকে ফোন দিচ্ছি কিন্তু মা ফোন ধরছেনা। পরে আমি মাকে ডাকার জন্য ঘরে গিয়ে দেখি মা গলায় ফাস লাগিয়ে বিদ্যুতিক পাখার সাথে ঝুলে আছে। আমার মা আত্মহত্যা করেনি আমার মা কে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে।

তেলিহাটি ইউনিয়নর ১নং ওয়ার্ডর সদস্য তারক হাসান বাচু জানান, প্রায় ৪/৫ দিন পূর্ব গহবধূ হাসিনা বগম ও তার ছল জুবায়র আহমদ জয়র সহযাগীতায় স্বামী তাফাজ্জল হাসনক গাপন মাদক সবনর অভিযাগ ময়মনসিংহর মুক্তাগাছা এলাকার রিহ্যাব সটার (মাদক নিরাময় কদ্র) ভর্তি কর আস। পর ভাইয়র সন্ধান না পয় বড় ভাই কুজাম বপারী বাদী হয় ভাবী হাসিনা বগম ও ভাতিজাক অভিযুক্ত কর ছাট ভাইয়র সন্ধান চয় সামবার (১৪ সপ্টম্বর) দিবাগত মধ্য রাত শ্রীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়রী কর। পর পুলিশ অভিযুক্তদরক আটক কর থানায় জিজ্ঞাাসাবাদ করল ছল জয় জানায় বাবা মাদকাসক্ত না। মা’য়র পরামর্শ তার বাবাক মুক্তাগাছা এলাকার রিহ্যাব সটার রখ আসছ। পর থানা পুলিশর নির্দশ তার বাবাক রিহ্যাব সটার থক বাড়িত নিয় আস। বাবা বাড়িত এস স্ত্রীর এসব কর্মকান্ড শুন স্ত্রী হাসিনা বগমক বিবাহ বিছদ (ডিভার্স) দিয় দয়। ডিভার্স দওয়ার পরও স্ত্রী হাসিনা বাড়ি না ছাড়ায় স বাড়িত যাওয়া বন্ধ কর দয়। শুক্রবার সকাল সায়া ৮টায় ছল ঘুম থক উঠ তার মা’ক ঘর শুয় থাকত দখ বাজার চল যায়। স বাজার থক এস দখ তার মা ঘরর সিলিং ফ্যানর সাথ গলায় গামছা পঁচিয় আতহত্যা করছ।

ইউপি সদস্য আরা জানান, নিহতর স্ত্রীর অভিযোগ ছিল তার স্বামী মাদকাসক্ত ছিল না। তব, ঘর বাহিরর ময় ও নারীদরক নিয় ফুর্তি করতা। এজন্য স ছলর সহায়তায় তার স্বামীক শিক্ষা দয়ার জন্য গাপন রিহ্যাব সটার (মাদক নিরাময় কদ্র) ভর্তি কর রখ আসছিল।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন মিয়া জানান, শুক্রবার সকালে উপজেলার আবদার এলাকা থেকে খবর পেয়ে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদনে লাশের গায়ে কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। নিহত হাসিনার সাথে তার স্বামী তোফাজ্জলের সম্পর্ক ভাল ছিল না।প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গৃহবধূ পারিবারিক কলহের কারণে আত্মহত্যা করেছে । ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *