দুস্থদের বরাদ্দের ত্রান সামগ্রিসহ শুকনো খাবার পেয়ে ১৪০০ শত জনকে বিতরনে অবশিষ্ট ত্রান নিয়ে মুখ খুললেন পাথালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান
শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
পাথালিয়া ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড এলাকায় বন্যার্ত ও দুস্থদের মাঝে বরাদ্দের জন্য ১৫০০ শত প্যাকেট ত্রান সামগ্রিসহ শুকনো খাবার পান পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান। সেগুলো আগষ্ট মাসের ৭ তারিখে দুস্থদের মাঝে বিতরণের শেষ সময় থাকলেও দুস্থরা না আসায় ১০১ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ সম্ভব হয়নি। করোনাকালী স্কুল বন্ধ থাকায় ইউপি চেয়ারম্যান ত্রাণ সামগ্রী গুলো বিতরণ করেন নয়ারহাট গণবিদ্যাপীঠ উচ্চ বিদ্যালয়ের দুটি রুমে। এলাকায় ৪০ বছরে তার জনপ্রিয়তা ৩ বারের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান এবং সাভার উপজেলা পরিষদে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে ১ বছর দ্বায়িত্ব পালন করেন। কিছু কুচক্রি মহল তার পিছনে লেগে
অভিযোগ দিলে উপজেলা প্রশাসন ত্রানগুলো জব্দ করে সেখানে রেখে যান।
তবে সময়মত দুস্থরা না আসতে পারায় আর তিনি না দিতে পারায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তিনি আরো জানান করোনাকালীন ও বন্যা কালীন সময়ে কেউ আমার নিকট সহযোগিতা চাইলে সকল সময় সহযোগিতার হাত নিজ থেকে বাড়িয়ে দিয়েছি। ১২ জন মেম্বার নিয়ে সঠিকভাবে কাজ করে থাকি এলাকায় কোন মানুষ তার বিরুদ্ধে খারাপ অভিযোগ দিতে পারবে না বলেও জানান। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
এব্যাপারে পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ সাংবাদিকদের বলেন, এ ইউনিয়নে ত্রাণ সামগ্রীর কার্ড পাওয়া অনেক লোকজন নানা সমস্যার কারণে ত্রাণ সামগ্রী গুলো নিয়ে যায়নি। সেজন্য ত্রাণ সামগ্রী সেখানে মজুদ রয়ে গেছে। আর যে দুটি রুমে ত্রাণ সামগ্রী মজুদ করে রাখা হয়েছে সেই রুম থেকে করোনা ও বন্যাকালীন সময়ে আমরা সারা বছর ত্রাণ সামগ্রী বিভিন্ন স্থানে বিতরণ করি। এছাড়া কোন অসৎ উদ্দেশ্যে নয় বলে তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন আগামী সপ্তাহের শনি বা রবিবার ত্রান সামগ্রী বিতরণ করার কথা থাকলে এখন উপজেলা প্রশাসনের অনুমোতি ব্যাতিত সম্ভব নয়,প্রশাসনের সাথে কথা বলে অনুমোতি দিলে আমরা দুস্থদের মাঝে ত্রান বিতরন করে দিবো।
পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ত্রাণ সামগ্রী দুস্থদের মাঝে বিতরণ না করে কি উদ্দেশ্যে সেগুলো স্কুলের দুই রুমে মজুদ করে রেখেছিলেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ১ অক্টোবার৪৯ টি শুকনো খাবার বস্তা ও ১০ কেজি করে চাউলের ৫২ টি প্যাকেট জব্দ করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একরামুল হক।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একরামুল হক সাংবাদিকদের বলেন, বন্যার্ত ও দুস্থদের মাঝে ত্রাণ গুলো বিতরণের জন্য সেগুলো সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান রেখেছে। সেগুলো তিনি কী কারণে এতদিন বিতরণ করেননি এর উদ্দেশ্যে কি এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের উত্তর না দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এসময় তার সাথে পাথালিয়া ইউপি সচিব শরিফুলও দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যান।
এ সংবাদ করাকালীন তার নিকট জানতে চাইলে মোবাইল ফোন কেটে দেয় এ ব্যাপারে আজ শুক্রবার তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে সাভার সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আরা নিপা বলেন, আগষ্ট এর ৭ তারিখের মধ্যে দুস্থদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করার কথা ছিলো, সেগুলো ইউপি চেয়ারম্যান কেন বিতরণ করেননি। তাকে এ অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে, তার পরে তার বক্তব্যের শুনে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
Leave a Reply