সাভারে শশুরবাড়ির নির্যাতনে শিকারে গৃহবধূর আত্মহত্যা,আটক-১

সাভারে শশুরবাড়ির নির্যাতনে শিকারে গৃহবধূর আত্মহত্যা,আটক-১

রফিকুল ইসলাম জিল্লুঃ

সাভারে যৌতুকের টাকা দিতে না পেরে শশুরবাড়ির নির্যাতনের শিকার হয়ে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে আভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকালে সাভারের হেমায়েতপুর জয়নাবাড়ি এলাকায় হাজী আলাউদ্দিনের বাড়িতে। নিহত ওই গৃহবধুর নাম রাবেয়া আক্তার (১৯)।
এঘটনায় নিহতের বাবা রবিউল আলম বাদি হয়ে ওইদিন রাতেই আত্মহত্যা ও প্ররোচনার অভিযোগ তুলে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামীরা হলেন নিহত গৃহবধূর স্বামী সোহানুর রহমান (২২), শাশুড়ি শিল্পী বেগম (৩৮) ও শশুর স্বপন মিয়া (৪৭)।
পুলিশ গৃহবধূর শাশুড়ি শিল্পী বেগমকে গ্রেফতার করেছে।
ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন মামলার অন্য আসামীরা।

ছবিঃ গৃহবধুর রাবেয়া আক্তার।

নিহতের পরিবার ও মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, গত একবছর আগে সাভার পৌর এলাকার শাহীবাগ মহল্লার বাসিন্দা রবিউল আলমের মেয়ে রাবেয়া আক্তারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে পরিবারের অজান্তে বিয়ে করেন হেমায়েতপুর জয়নাবাড়ি এলাকার মো. স্বপন মিয়ার ছেলে মো. সোহানুর রহমান। বিয়ের পর থেকেই মা-বাবার প্ররোচনায় স্ত্রী রাবেয়ার কাছে ১০ লক্ষ টাকার যৌতুক দাবি করে আসছিল স্বামী সোহানুর। যৌতুকের টাকা না পেয়ে বিভিন্ন সময় ওই গৃহবধূকে নির্যাতনসহ নানাভাবে মানসিক চাপ সৃষ্টি করে আসছিল স্বামী ও শশুরবাড়ীর লোকজন। এঘটনায় গত এক মাস আগে স্বামীর পরিবারের সাথে ওই গৃহবধূর পরিবার আলোচনা করলে তাদের দাবিকৃত ১০ লাখ টাকা দিতে না পারলে স্ত্রীকে তালাক দেয়া হবে বলে জানিয়ে দেয় স্বামী সোহানুর। এরপর থেকেই মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন গৃহবধু রাবেয়া। অবশেষে শশুড়বাড়ির নির্যাতন সইতে না পেরে শনিবার বিকেলে গৃহবধূ রাবেয়া কক্ষের আড়ার সাথে গলায় ওড়না ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে শনিবার রাতে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন শিকদার বলেন, গৃহবধূ আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর গৃহবধুর শাশুড়ি শিল্পী বেগমকে গ্রেপ্তার করে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূর স্বামীসহ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *