তাজরিন ফ্যাশন ট্র্যাজেডির ৮ বছর পূর্ণ আজ
শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
সাভারের আশুলিয়ায় তাজরিন ফ্যাশনে আগুনে নিহত ১১৪ শ্রমিকের স্মরণে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে কর্মসূচি পালন করেছেন আহত শ্রমিক ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঘটে ভয়াভহ সেই ট্র্যাজেডির আট বছর পূর্ণ হয়েছে।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরিন ফ্যাশনের ভবনে ভয়াবহ আগুনে ১১৪ শ্রমিক নিহত হন। তাদের স্মরণে সকালে আশুলিয়ায় নিশ্চিন্তপুর এলাকায় তাজরিন ফ্যাশনসের গেটের সামনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং বিক্ষোভ মিছিল করেন শ্রমিকরা।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক সংহতি ফেডারেশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরবিন্দু বেপারী, শ্রমিক কর্মচারি ঐক্য পরিষদের (স্কপ) আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল আওয়াল, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট আঞ্চলিক শাখার সাধারণ আহমেদ জীবন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন আশুলিয়া থানা সভাপতি ইসমাইল হোসেন ঠান্ডু,বাংলাদেশ টেইলার্স ওয়ার্কাস লিগের আশুলিয়া থানার সভাপতি রাকিবুল ইসলাম সোহাগ।
শ্রদ্ধানিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, তাজরিন ট্র্যাজেডির আট বছর পূর্ণ হলেও এখনো পর্যন্ত আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা হয়নি, শ্রমিকদের পুনর্বাসন করা হয়নি, যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি এবং তাজরিন ফ্যাশনের মালিকসহ দোষীদের বিচারকার্য শেষ করা হয়নি।
অবিলম্বে তাজরিনের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার এবং পুড়ে যাওয়া ভবনটি সংস্কার করে শ্রমিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান এই শ্রমিক নেতা।
তাজরিন ট্র্যাজেডিটে আহত শ্রমিক সবিতা রানী বলেন, ‘তাজরিনে অগ্নিকাণ্ডের পর আমাদেরকে নামমাত্র কিছু টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ক্ষতিপূরণ এখনো দেওয়া হয়নি।
আহত প্রায় শতাধিক শ্রমিক দীর্ঘদিন যাবৎ মানবেতর জীবন-যাপন করছেন বলে উল্লেখ করে সবিতা বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ আমারা দাবি জানিয়ে আসছি আমাদের পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ ও দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসার ব্যবস্থা হোক। কিন্তু, আমাদের কোনো দাবিই পূরণ হয়নি।’
‘কারখানা কর্তৃপক্ষের গাফলতিতে এতগুলো শ্রমিকের প্রাণ গেল এবং আমরা এতগুলো শ্রমিকর আহত হয়ে কর্মক্ষমতা হারালাম। কিন্তু, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি এখনো নিশ্চিত হয়নি’, বলেন সবিতা। অবিলম্বে কারখানার মালিক দেলোয়ারসহ দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।
Leave a Reply