স্বদেশ মাল্টিপারপাস সমিতির নামে চড়া সুদে ঋনের ব্যবসা, ফিক্সড ডিপোজিডের নামে অবৈধ আমানত গ্রহণ নেই ব্যবস্থা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সাভার, আশুলিয়া ও ধামারাইয়ে সমবায় সমিতির নামে ব্যাংকের আদলে হায় হায় কোম্পানী খুলে কার্যক্রম পরিচালনা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বদেশ (এমসিএস) লিমিটেডের নামে। চড়া সুদে ঋনের ব্যবসা, ফিক্সড ডিপোজিডের নামে অবৈধ আমানত গ্রহণ করাসহ নানা কর্মকান্ড প্রকাশ্যে চললেও রহস্যজনক কারণে কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে নিরব ভূমিকা পালন করে আসছে।
অভিযোগ রয়েছে, ব্যাংকের মত অফিস করে সমবায় সমিতি ও মাল্টিপারপাস প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ঘরে বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে ঋন দেয়া ও ডিপিএস করার প্রস্তাব করেন।
সাভারের রাজ্জাক প্লাজা, কোরাইশী মার্কেট, অন্ধ মার্কেটসহ অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফার লোভে স্বদেশ (এমসিএস) লিমিটেডে লক্ষ লক্ষ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট রেখেছেন। প্রতিষ্ঠানের মালিক ওবায়দুল্লাহ এফডিআর ও ডিপোজিট বই করে এসব আমানত সংগ্রহ করে মাসিক হারে চড়া লভ্যাংশ দিয়ে থাকেন আমানতকারীদের। এর সাথে উপজেলা সমবায় সমিতির কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতার কথাও বলেছেন তারা।
স্বদেশ মাল্টিপারপাসের কথিত মালিক সাভারের ফুলবাড়িয়ার ওবায়দুল্লাহ জানান, তিনি সমবায় অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তার সহায়তায় একটি মাল্টিপারপাস করেছেন। তিনি ডিপিএস প্রকল্প চালু করে লক্ষ লক্ষ টাকা আমানত সংগ্রহ করছেন। ফিক্সড ডিপোজিট বা ডিপিএস নেয়া আইনত দন্ডনীয় বলেও তিনি স্বীকার করেছেন।
সাভার উপজেলা সমবায় অফিসার খোকন চন্দ্র রায় বলেন, সমবায় সমিতি বা মাল্টিপারপাস সঞ্চয় গ্রহণ করতে পারবে। এভাবে ডিপিএস করার কোন আইন নেই। এসব কাজে কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতার কথা তিনি অস্বীকার করে বলেন, অনিয়মের ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি।
সমবায় অধিদপ্তরে ডেপুটি রেজিস্টার মিজানুর রহমান বলেন, এ ধরনের অবৈধ আমানতের ব্যাপারে সংসদীয় কমিটতে অনেক অভিযোগ রয়েছে। ঙযাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। মূলত: এসব প্রতিষ্ঠানগুলো হায় হায় কোম্পানী। তিনি এসব প্রতিষ্ঠানে টাকা আমানত না রাখারও পরামর্শ দেন।
উল্লেখ্য, স্বদেশ লিমিটেডের মালিক ওবায়দুল্লাহ সংবাদটি না করাতে বিভিন্নভাবে তদবির করে চলেছেন। এ প্রতিবেদককে মোবাইল ফোনেও অনুরোধ করেছেন অনেক সচেতন ব্যক্তি।
সূত্র-সিএনআইনিউজ।
Leave a Reply