শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকে:
সাভারের অমরপুরে তান্ত্রিকে নামে দীর্ঘ দিন থেকে প্রতারণার মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন লোকজনের নিকট থেকে
অভিনভ কৌশল অবলম্বন করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার আসছিল।
১০ আগষ্ট-২২ প্রভাত চন্দ্র বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তি বহুদিন যাবত তার পরিবারে কলহ চলে আসতেছিল তার সমাধানের জন্য। ঢাকার মহাখালী বাজার মোড়ে ওয়ালে একটি বিজ্ঞাপন দেখতে পায় যেখানে লেখা ছিলো “এখানে সকল সমস্যার সমাধান করা হয়”,নিচে একটি নাম্বার দেয়া ছিলো ঐ ওয়ালের বিজ্ঞাপনে।
প্রভাত ঐ ওয়ালের বিজ্ঞাপন নাম্বারে ফোন দিয়ে তার সকল সমস্যা কথা বললে ফোনের অপর পাশে থাকা ব্যক্তি তাহাকে আশ্বস্ত করে গুরুমা একজন তান্ত্রিক, তিনি সাভারের অমরপুরে থাকে এবং তিনি বহুদিন যাবত এমন সমস্যার সমাধান করে এসেছেন।
ফুলঝুরি কথায় তান্ত্রিককে অন্ধবিশ্বাস করে গত বছরের আগষ্ট থেকে বিভিন্ন তারিখে ৩,৯৭,২৫০ (প্রা চার লক্ষ) টাকা প্রদান করে প্রভাত।পরবর্তী সময়ে শতভাগ কাজ হবে এমন আশ্বাসে আবার মহিষ কেনার কথা বলে আরও ৩,৩৫,০০০/- টাকা দাবী করে গুরু তান্ত্রিক মা।
প্রভাত নামে ঐ ব্যক্তি প্রতারণা মাধ্যমে তার নিকট টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে বুঝতে পেরে কোর্টের মাধ্যমে ১ জানুয়ারি-২৩,ধারা-৪২০/৪০৬ পেনাল কোডে মামলাটি দায়ের করলে মামলাটি সাভার মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করে।পরবর্তীতে বাদীর দায়ের করা প্রতারনার মামলা সাভার মডেল থানার মামলা করা হয় যার নং-২৭।পরে মামলাটি ডিবি পুলিশের হাতে ন্যাস্ত হলে তদন্ত শেষে ডিবি এক অভিযানে দুজনক গ্রেফতার হয়।
ঢাকা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপারমো: আসাদুজ্জামান- পিপিএম(বার) মামলাটির তদন্তভার ডিবি উত্তর ঢাকাকে প্রদান করলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডিবির মোবাশ্শিরা হাবিব খান, পিপিএম-সেবা সরাসরি তত্ত্বাবধানে ডিবি উত্তর’এর
অফিসার ইনচার্জ মোঃ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ (বিপ্লব), এর নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) মোঃ আনোয়ার হোসেনসহ একটি চৌকষ টিম এর বিশেষ অভিযানে অমরপুর এলাকা থেকে ৩ এপ্রিল রাতে ভন্ড তান্ত্রিক দুজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতাকৃতরা হলেন, মোসাঃ আসমানী বেগম শীতা রানী (৭০), পিতা-মৃত আব্দুল ছামাদ, স্বামী-মোঃ তোরাব আলী, সাং- পোড়াবাড়ী, ছোট অমরপুর, বেদে পল্লী, থানা-সাভার মডেল, জেলা-ঢাকা এবং তাহার সহযোগী, মোসাঃ শিউলি বেগম (৪০), স্বামী-মৃত কাত্তর মিয়া, পিতা-মোঃ তোরাব আলী, সাং-পোড়াবাড়ী, ছোট অমরপুর, বেদে পল্লী, থানা-সাভার মডেল, জেলা-ঢাকাদের গ্রেফতার করে।
ডিবি উত্তর’এর অফিসার ইনচার্জ মোঃ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ (বিপ্লব) ৪ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিবেদককে জানান, তারা দীর্ঘদিন থেকে তান্ত্রিকের মাধ্যমে বিভিন্ন লোকের নিকট টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, তাদের তান্ত্রিকে কাজ করে না বলে জানান তিনি, ৩ এপ্রিল রাতে
আসামীদের গ্রেফতার করে ওবমামলার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন তিনি। আসামীদের আদালতে প্রেরন করা হয়েছে এবং ঘটনায় আরো কারা জড়িত আছে সেই বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
৪.৪.২৩ ইং
—
Leave a Reply