সিংগাইর উপজেলার জামির্তা এলাকায় রাতের আধারে কাটা হচ্ছে কৃষি জমির মাটি
সিংগাইর: মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে অর্ধশতাধিক ইটভাটা রয়েছে। ইটভাটাগুলোতে পুড়ানো হচ্ছে তিন ফসলি জমির মাটি। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর দিনের বেলায় মাটি কাটা বন্ধ হয়েছে। তবে এবার রাতের আধারে কাটা হচ্ছে কৃষি জমির মাটি।মাটিকাটা বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের তেমন কোন অভিযান চোখে পড়ছে না। মাটিকাটা বন্ধে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সচেতন মহল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের হাতনির চকে প্রতি রাতেই কৃষি জমির মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। হাতনি চকে মাটি ব্যবসার সাথে জড়িত THB ইট ভাটার মালিক মোঃ দানেছ গং, , নয়া জামির্ত্তা এলাকার মোঃ রাসেদ, হাতনি এলাকার ফারুক ও মনির। মাটিখোররা এমন গভীরভাবে মাটি কাটছে পাশের কৃষি জমি যে কোন সময় ধসে পড়বে। কৃষি জমিটি ধসে পড়ার ভয়ে নাম মাত্র মূল্যে মাটি ব্যবসায়ীদের কাছে কৃষি জমিটি বিক্রি করতে বাধ্য হয়। এভাবে শত শত কৃষি জমি পুকুরে পরিনত হচ্ছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন প্রশাসনকে জানালেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
শুধু জামির্ত্তা নয় উপজেলার বলধারা, মানিকদহ, গোলাইডাঙ্গা, খোলাপাড়া, চান্দহর,জামশা এলাকাও রাতের আধারে মাটি কাটা হচ্ছে।
হাতনি চকের কৃষক মোঃ মহিদুর বলেন, এখানে আমার ২ বিঘা কৃষি জমি রয়েছে। জমিটির পাশের জমি থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছে না প্রশাসন।
আব্দুর রহমান নামে আরেক কৃষক বলেন, ২ বিঘা জমিতে ইরিধান করেছি। এই ধান দিয়ে আমার পরিবারের সারা বছরের খাবার হয়। পাশের জমি ভেকু মেশিন দিয়ে ১৫/২০ ফিট গভীর করে কাটা হচ্ছে। বর্ষা হলেই আমার জমি ভেঙে পড়বে। তখন বাধ্য হয়ে ওই মাটি খোরদের কাছে কৃষি জমিটি নাম মাত্র মূল্যে বিক্রি করতে হবে।
মাটি ব্যবসায়ী হাসান আলী বলেন, উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই কৃষি জমির মাটি কেটে পুকুর তৈরি করছি। এ বিষয় নিউজ না করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
সিঙ্গাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিপন দেবনাথ বলেন, যেখানেই মাটি কাটার খবর পাই সেখানেই ভূমি সহকারীদের দিয়ে মাটিকাটা বন্ধ করা হয়। এরপরও যারা কৃষি জমি থেকে মাটি কাটছে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৮.০৪.২৩ ইং
Leave a Reply