সত্যের সংবাদ ডেক্স রিপোর্ট : সাভারের কলমা এলাকায় পঁচা ও বাসি মিষ্টি বিক্রি করে গ্রাাহকদের সাথে প্রতারণা করছে আসছে তাহিয়া মিষ্টান্ন ভান্ডার এন্ড সুইটমিট নামে এক মিষ্টি দোকানের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।
এ প্রতিষ্ঠানে দিনের পর দিন পঁচা-বাসী মিষ্টি,ধই, রসমালাই মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও বিক্রি করায় পর ক্রেতারা অভিযোগ করতে আসলে তাদের হতে হয় লাঞ্ছিত।
ক্রেতাদের সেবার নামে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার করে কাউকে তারা চিনে না বলে অচেনা গ্রাহকের উপর হাত তুলার হুমকি দামকি দিয়ে পঁচা-বাসী মিষ্টি
তুলে দিয়ে তাদের টাকা হাতিয়ে নেয়।
অনুসন্ধ্যানী প্রতিবেদনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়- এক সম্মানীত ব্যক্তি সাভারে ১ নং কলমা এলাকায় তাহিয়া মিষ্টান্ন ভান্ডার এন্ড সুইটমিট দোকানে মিষ্টি কিনতে গেলে তারা হয়রানি মূলক আচারন করে ও মারধর এর ভয় দেখায় আত্মসম্মানের ভয়ে সেই মিষ্টির দোকান থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হন তিনি। সেখানে মিষ্টির দোকানের মালিক বাদশা মিয়ার ছেলে আনোয়ারুল কে তার পেশাগত পরিচয় দেয়ার পরও নাজেহাল করার চেষ্টা করে আসছিল,আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সে আর নাজেহাল করতে পারেনি। বহুদিন আগ থেকে কলমা এলাকার বাদশা মিয়া তাহিয়া মিষ্টান্ন ভান্ডার এন্ড সুইটমিট একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নিজেই গড়ে তোলেন বলে দাবী করে।
সম্প্রতি এক গ্রাাহক পঁচা বাসী মিষ্টি কিনে বাসা থেকে ফিরিয়ে আনলে তাদের হাতে হয় হেনস্তা। ক্রেতাদের সেবার নামে মিষ্টির দোকানে মালিকদের কি ব্যবহার করতে হয় তাদের জানা নেই।
তার মিষ্টির দোনের পিছনে রয়েছে কারখানা যা বেশিরভাগ সময় নোংরা , অপরিষ্কার ভাবে তারা মিষ্টি তৈরি করে আসছে বহুদিন । এলাকায় মিষ্টির দোকান গড়ে তুলললেও ক্রেতাদের মাঝে বেশি দামে ধই, মিষ্টি, রসমালাই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ওই কারখানায় মিষ্টিতে বিভিন্ন মেডিসিন ব্যবহার করে সুস্বাদু করলেও গুনগত মান রক্ষায় নূন্যতম চেষ্টা নেই তাদের।
অতিরিক্ত লাভের আশায় মিষ্টিকে আরো বেশি মিষ্টি করতে চিনির সাথে মেশানো হচ্ছে মিষ্টি করার মেডিসিন।
সাভার ইউনিয়নের প্রভাবশালী এক নেতার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন তাহিয়া মিষ্টান্ন ভান্ডার এন্ড সুইটমিট এর মালিক ও কর্মচারীরা ক্রেতাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে আসছে বলে শুনেছি এবং কি মিষ্টি খেয়ে মাথা ঘুরায় বলেও শুনেছি। এতে করে যেমন ক্রেতারা খেয়ে শরীরের মূল্যবান অংশ রয়েছে তার মধ্য কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে তার টের পাচ্ছে না অনেকেই। কলমা এলাকায় প্রশাসনের কোন নজরদারী না থাকায় মিষ্টির দোকানসহ প্রতিষ্ঠানের মালিকরা যা খুশি সেইভাবে তৈরি করে ক্রেতারা কিনে খাচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্বে প্রশাসনের পদক্ষেপ জরুরী বলে মনে করছেন তিনি।
এ ব্যাপারে সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: মাজহারু ইসলাম জানান- আমরা বিভিন্ন সময় মিষ্টির দোকানে অভিযান পরিচালনা আসছি। এসব মিষ্টির দোকানসহ অন্যন্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে প্রমান পেলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply