সাভার থেকে বিশ্ব আশেকান এ আর মো:আলামীন জানিয়েছেন,
আল্লাহপাক ও রাসুল এবং অলীর সান্নিধ্যে লাভের আশায় এ বিশ্ব আশেকান রাসুল (সা:)এর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে প্রতিবছর,লাখো লাখো ধর্মপ্রান আশেকানরা উপস্থিত হয় । এ বছর ২৩ ফেব্রুয়ারী সকাল ৭ থেকে বাদ জুম্মা আখেরি মনোজাতের মধ্য শেষ হবে । দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা,থানা প্রান্ত ও বিদেশ থেকে হাজার হাজার ধর্মপ্রান মুসলিম ও আসেকানরা উপস্থিত হয়ে বয়ান অংশগ্রহন করে আখেরি মনোজাতে অংশ নিবেন। বাদ জুম্মা আখেরি মনোজাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ময়মনসিংহে এর ত্রিশাল গোপালপুরের কাশীগঞ্জ এলাকায় বাবেবরকত দেওয়ানবাগী দরবার শরীফে এর আয়োজন করা হয়েছে।
” আমিত্বকে বিসর্জন দিতে গোলামীর বিকল্প নাই ” তার সাথে আল্লাহ ও রাসুলকে কিভাবে পেতে পারি ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে – মহা মূল্যবান বক্তব্য রাখবেন মোহাম্মাদী ইসলামের নেতৃত্ব প্রদানকারী মহামানব ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.)হজুর।
উক্ত জন্মদিন উপলক্ষে বার্ষিকী বিশ্ব আশেকান সম্মেলন অনুষ্ঠানে দেশ ও বিদেশে হতে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও আশেকেগন অংশগ্রহণ করবেন।
-সূফী সম্রাট হযরত শাহ্ দেওয়ানবাগী (রহঃ) হুজুর রেখে যাওয়া কথা,অপরের দোষ দেখতে যেও না। নিজের দোষ তালাশ করো তা সংশোধন করার চেষ্টা করো। তিনি আরো বলে গেছেন,”মুরীদের ঈমানের স্থান হলো আপন মোর্শেদের ক্বালব। মোর্শেদের প্রতি যার যত বিশ্বাস থাকবে, তার ঈমান ততো বেশী মজবুত হবে”।
“দুনিয়ার যাবতীয় কাজ কর্মের মধ্যে সবচেয়ে সহজ ছিল আল্লাহকে পাওয়া। অথচ আল্লাহ্ সমন্ধে না জানার কারণে, আল্লাহ সম্বন্ধে পরিস্কার ধারনা না থাকার কারণে, সবচেয়ে কঠিন হয়েছে আল্লাহকে পাওয়া”।
যে শিক্ষা মানুষের জীবনকে সুন্দর করে, স্রষ্টা ও তার সৃষ্টিকে উপলব্ধি করার ক্ষমতা দান করে,লোভ, মোহ, দোষ, হিংসা, ক্রোধ প্রভৃতি রিপুর প্রভাব- মুক্ত থেকে জীবন পরিচালিত করার শিক্ষা দেয় এবং যে শিক্ষা মানুষকে স্রষ্টার মাঝেই লীন হওয়ার শিক্ষা দেয় তাহাই আধ্যাত্নিক শিক্ষা।
“আল্লাহ্ নিজেই বলে আমি মানুষের ভিতরে । কিন্তু এই কথাগুলোর সাথে সমাজের মানুষের কোন পরিচয় নাই । তিনি দেখা দেয়ার জন্য বসে আছেন, আমি চোখ বন্ধ করে থাকলে কি আর তিনি দেখা দেবেন ? সুতরাং চোখতো খুলতে হবে । অর্থাৎ হৃদয়ের চোখ জাগ্রত করতে হবে”।
“আপনি যদি দুনিয়াতে থাকতেই আল্লাহ্ ও হযরত রাসূল (সাঃ)-এর পরিচয় লাভ করতে না পারেন, তবে ঈমান নিয়ে কবরে যাওয়া কঠিন হবে।
সুতরাং – আপনারা মনোযোগ দিয়ে তরীকার আমল করবেন। কেউ গাফিলতি করবেন না”।
“হযরত রাসূল (সঃ) যেভাবে চলার নির্দেশ দিয়েছেন, আমাদেরকে সেইভাবেই চলতে হবে, ব্যক্তি স্বার্থে নয়”।
তিনি হাদীস শরীফে বর্ণিতর কথা বলে গেছেন তিনি-“আসসালাতু মি’রাজুল মু’মিনিন।” অর্থ-“নামাজ মুমিনদের জন্য মিরাজ।” হযরত রাসূল (সাঃ) যখন মিরাজ শরীফে গিয়েছিলেন, তখন নামাজের হুকুম নিয়ে এসেছিলেন। আমরা যদি ঠিক মতো নামাজ পড়ি, তবে এর ফজিলত, রহমত ও বরকত পাবো”।
সালাত প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য ফরজ এবং ধর্মের অন্যতম ইবাদাত”।
“মিরাজ শব্দের অর্থ হল দিদার বা সাক্ষাৎ। হযরত রাসুল (সা.) মিরাজে মহান আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ করেন এবং উম্মতে মোহাম্মাদির জন্য পুরষ্কার হিসেবে নামাজ নিয়ে আসেন। অতএব একজন মুমিন ব্যক্তি নামাজের মাধ্যমে দৈনিক পাঁচবার মিরাজ লাভ করতে পারে”।
Leave a Reply