Author: sattersangbad24

  • নোয়াখালীর ডিবির সাবেক ওসি আতাউর রহমান ভূঁঞাকে দুদকের নজরদারিতে

    নোয়াখালীর ডিবির সাবেক ওসি আতাউর রহমান ভূঁঞাকে দুদকের নজরদারিতে

    জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ১ কোটি ৪৫ লাখ ৯শ ৬৬ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছে দুদক।

    সত্যেরসংবাদডেক্সঃ

    নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক ওসি আতাউর রহমান ভূঁঞার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ১ কোটি ৪৫ লাখ ৯শ ৬৬ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছে নোয়াখালী দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    দুদক চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক অফিস ও নোয়াখালী দুদক অফিস সূত্রে থেকে জানা যায়, নোয়াখালী পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক অফিসার ইনচার্জ মো: আতাউর রহমান ভূঁঞা ১৯৮৪ সালে কনষ্টেবল হিসেবে পুলিশে যোগদান করেন। ১৯৮৯ সালে এএসআই, ১৯৯৬ সালে এসআই ও ২০১০ সালে পুলিশ পরিদর্শক পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত হন। তার চাকুরী জীবনে ৩৪ বছরে সে মোট ৫৩ লাখ টাকার আয়ের তথ্য পেয়েছে দুদক। কিন্তু তার এ আয়ের বিপরীতে সে খরচ করেছে স্থাবর সম্পদ ও অস্থাবর সম্পদ ১ কোটি ৯৮ লাখ ৬১ হাজার ৮২৯ টাকা। হিসেব করে দেখা যায়, তার বৈধ আয় থেকে অর্জিত সম্পদের পরিমাণ (স্থাবর অস্থাবর) ১ কোটি ৪৫ লাখ ৩৫ হাজার ৯৬৬ টাকা বেশী। যা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ ভাবে অর্জন করেছে বলে দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা তার অনুসন্ধান রিপোর্টে উল্লেখ করেন।

    তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের স্মারক নং- দুদক/১৫৪-২০১৭/অনু ও তদন্ত-২/নোয়াখালী/৩৮৮২০, তারিখ ২৮-১১-১৭ই ও দুর্নীতি দমন কমিশন, সাজেকা, নোয়াখালীর/আর নং-০১/১৮ তারিখ ১৪-১-১৮নং তারিখের সূত্রের আলোকে সে অনুসন্ধান করে নোয়াখালীর ডিবির সাবেক ওসির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেন যে, এ কর্মকর্তা তার চাকুরী জীবনে আয় বহির্ভূত ভাবে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৩৫ হাজার ৯শ ৬৬ টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জন করেছে। এর মধ্যে ঢাকার ডেমরা থানার ডগাইর মৌজার ৪.৭৫ শতাংশ ভূমি ক্রয় করে তার বাড়ি নির্মাণ, কমলাপুর স্টেডিয়ামে তার স্ত্রীর নামে দোকান, ডিসিসি ঢাকা মেডিকেল রোড সাইট মার্কেটে স্ত্রীর নামে দোকান, পশ্চিম রাজাবাজারে ১৮৮০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট এবং ঢাকা এশিয়া ব্যাংকে নিজ নামে ২১ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং ইসলামী ব্যাংক লি:, ভিআইপি রোড শাখায় স্ত্রী সেলিনা রহমানের নামে ৮টি একাউন্টে ১৯ লাখ ২৪ হাজার ৫৩৬ টাকা রয়েছে (ব্যাংকের এ হিসাবগুলি দুদক লেনদেন বন্ধ করে রেখেছে)।

    নোয়াখালী দুদকের উপ-পরিচালক অফিস সূত্র জানায়, তদন্ত কর্মকর্তা তার অনুসন্ধানের মতামতের সঙ্গে একমত পোষণ করে দুদকের উপ-পরিচালক ডিবির সাবেক ওসি আতাউর রহমান ভূঁঞা ও তার স্ত্রী সেলিনা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(১) ধারায় সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারীর সুপারিশ দিয়ে ১৮৭ নং স্মারকে কমিশনে প্রেরণ করেছেন এবং ডিবির ওসি আতাউর রহমান ভূঁঞাকে দুদকের নজরধারিতে রেখেছেন।

    আরো জানা যায়, নোয়াখালীতে প্রথমে সুধারাম থানায় দারোগা হিসেবে যোগদান করে বদলী হয়ে যাওয়ার পর ফের তদবীর করে নোয়াখালীতে এসে ডিবির ওসির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমান সরকারের টানা ৪ বছর স্বপদে থেকে বিভিন্ন মানুষকে ইয়াবা ট্যাবলেট পকেটে ঢুকিয়ে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে বিপুল অংকের টাকা অর্জন করেন।

    পরে দফায় দফায় নিরীহ লোকদেরকে হয়রানি শুরু করলে পুলিশ সুপার ইলিয়াস শরীফ তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করেন। পরে তদবীর করে চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানায় ওসি হিসেবে যোগদান করেন। পরে সেখানেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় বদলী করা হয়। কবিরহাট পৌরসভার রড, সিমেন্ট ব্যবসায়ী শাহীনুল ইসলামকে ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে অস্ত্র ও ইয়াবা দিয়ে গ্রেপ্তার করে হাজতে পাঠান। উক্ত ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন, বিক্ষোভ, সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফুঁসে উঠে নোয়াখালী। পরে সদর সার্কেলের এএসপি খিসা চাকমা তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে রিপোর্ট দিলে তাকে ক্লোজড করা হয়।

  • দুস্থ-অসহায় পরিবারের ছেলে গোলাম রসুল সুইট এখন সহকারী জজ

    দুস্থ-অসহায় পরিবারের ছেলে গোলাম রসুল সুইট এখন সহকারী জজ

    সাফল্য অর্জন

    সত্যেরসংবাদডেক্সঃ
    টাকা-পয়সা লেখাপড়ার পথে কোনো বাধা নয়, ‘ইচ্ছাশক্তি থাকলে সে এগিয়ে যাবেই। পথ বেরিয়ে যাবেই।বাবা সিকিউরিটি গার্ড
    -মা বুয়া সেই ঘাম জড়ানো কষ্টে উপার্জিত টাকায় পড়ালেখা করে তাদের বড় সন্তান গোলাম রসুল সুইট এখন সহকারী জজ।

    সংসারের খরচ জোগাতে এই কিছুদিন আগেও রাজধানীর উত্তরায় একটি বাড়িতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করছিলেন মোশারফ হোসেন। তার স্ত্রী মাহফুজা খাতুন এলাকার অনেকের বাড়িতেই করেছেন বুয়ার কাজ।
    ১২তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে ৬৭তম হয়েছেন তিনি। ১৯ জানুয়ারি ঘোষিত গেজেটে তালিকা প্রকাশ করা হয়।
    আগামী মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সহকারী জজ হিসেবে পিরোজপুর জেলায় যোগদান করবেন তিনি।

    সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামের বাবা মোশারফ হোসেন ও মা মাহফুজা খাতুনের বড় ছেলে গোলাম রসুল সুইট। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী সুইট। পরিবারের অভাবও দমাতে পারেনি তাকে। ঠিকমতো খেতে না পারা সেই গোলাম রসুল সুইট এখন জজ।

    নিজের পরিবার ও লেখাপড়া নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন সহকারী জজ গোলাম রসুল সুইট। তিনি বলেন, শাখরা কোমরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে ভোমরা ইউনিয়ন দাখিল মাদরাসা থেকে দাখিল পাস করেছি। এরপর দেবহাটা উপজেলার সখিপুর খানবাহাদুর আহসানউল্লাহ্ কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই। আমাদের পরিবারে তখন খুব অভাব। বাবাও ছিলেন উদাসীন। কোনো রকমে খেয়ে না খেয়ে দিন চলতো আমাদের।

    সুইট আরো বলেন, কলেজ শেষ করার পর লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এমন সময় সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমিতে একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করি। সেখান থেকে এক ভাই আমাকে পরামর্শ দেয় ঢাকায় গিয়ে কোচিং করার। কিন্তু পরিবারের সেই অবস্থা ছিল না। মায়ের একটি গরু ছিল। সেই গরুটি ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে ২০১০ সালের ১৭ মে ঢাকা যাই। এরপর একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি হই।

    তিনি জানান, কিছুদিন পর মায়ের গরু বিক্রি করা সেই টাকাও ফুরিয়ে যায়। বাড়িতেও টাকা চাওয়া বা পরিবারে দেয়ার মতো কোনো অবস্থা ছিল না। কান্নাকাটি করেছিলাম কোচিং পরিচালকের সামনে। এরপর তিনি আমাকে সেখানে বিনামূল্যে কোচিং ও থাকার ব্যবস্থা করেন। এরই মধ্যে সঙ্গে থাকা সহপাঠীদের বন্ধু হয়ে যাই আমি। বন্ধুরাও আমার পারিবারিক অবস্থা জানার পর আমাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতে থাকে। বন্ধুদের সহযোগিতার কথাগুলো ভুলে যাওয়ার নয়। মা ও বাবা মাঝে মধ্যে এক হাজার বা দুই হাজার করে টাকা দিত। গত এক মাস আগে বাবাকে বাড়িতে নিয়ে এসেছি। সিকিউরিটি গার্ডের চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছে। মাকেও এক বছর আগে অন্যের বাড়িতে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছি।

    গোলাম রসুল সুইট ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার গল্প জানিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য পরীক্ষা দেই। এরপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তির সুযোগ হয়। বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের পরামর্শে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েই ভর্তি হই। ভর্তির পর টিউশুনির পোস্টার ছাপিয়ে অভিভাবকদের কাছে বিতরণ শুরু করি। এভাবে পাঁটি টিউশুনি জোগাড় হয়ে যায়। এভাবেই চলেছে তার শিক্ষাজীবন।

    গরীব বলে আত্মীয়-স্বজনরা কখনও খোঁজ নেয়নি তার;
    তবে আমার বন্ধুরা আমার পাশে থেকেছে সব সময়।গরীব বলে আত্মীয়-স্বজনরা কখনও খোঁজ নেয়নি তার। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সের ফলাফলে বি-ইউনিটে মেধাতালিকায় হয়েছি ১১তম। ১২তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে হয়েছি ৬৭তম। ১০০ জন উত্তীর্ণ হয়েছিল। এর মধ্যে নিয়োগ হয়েছে ৯৭ জনের। তিনজন পুলিশ ভেরিফিকেশনে বাদ পড়েছেন।

    আগামী মঙ্গলবার পিরোজপুর জেলার সহকারী জজ হিসেবে যোগদানের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমার বড় লোক হওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই। সব সময় ন্যায়ের পথে থেকে মানুষের জন্য কাজ করে যাবো। কখনও অনিয়ম বা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হবো না। যখন চাকরিজীবন শেষ করবো তখন যেন অবৈধ উপায়ে উপার্জনের একটি টাকাও আমার ব্যাংক একাউন্টে না থাকে। আমার কাছে সব মানুষ ন্যায়বিচার পাবে। অসহায় মানুষরা কখনই ন্যায়বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে না।

    দুস্থ পরিবারের জন্মগ্রহনঃ
    দুস্থ পরিবারের সমস্যাগুলো আমি বুঝি, জানিয়ে গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে গোলাম রসুল সুইট বলেন, টাকা-পয়সা লেখাপড়ার পথে কোনো বাধা নয়। ইচ্ছাশক্তি থাকলে সে এগিয়ে যাবেই, পথ বেরিয়ে যাবেই।

    রসুলে বাবা মোশারফ হোসেন জানান, রাজধানীর উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরে আট বছর সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেছি। আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনই থাকতাম। স্ত্রী অন্যের বাড়িতে কাজ করতো। এক মাস আগে ছেলে চাকরিটা ছেড়ে দিতে বলেছে। তাই চাকরি ছেড়ে বাড়িতে চলে এসেছি। ছেলে বলেছে, আমি এখন চাকরি পেয়েছি আপনার কাজ করতে হবে না। ভাবছি, অবসর সময়ে এলাকায় ছোট একটি দোকান দিয়ে ব্যবসা করবো।

    আবেগাপ্লুত মাঃ
    অন্যের বাড়িতে কাজের বুয়া থাকাকালীন সময়ে সেসব কথা মনে করে কেঁদে ওঠেন মা মাহফুজা খাতুন।
    আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি বলেন, মানুষের বাড়িতে কাজ করতাম। স্বামী আর আমার টাকা দিয়েই চলতো সংসার আর দুই ছেলের খরচ। আমরা যেটুকু পেরেছি সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি ছেলের লেখাপড়া করানোর জন্য। দোয়া করেছি। আল্লাহ্ আমাদের ডাক শুনেছেন। দোয়া কবুল করেছেন। আমি অনেক খুশি। এখন সব মানুষের কাছে আমার ছেলের জন্য দোয়া চাই।

    গোলাম রসুল সুইটের বাল্যবন্ধু জাবিরুল ইসলাম বলেন, ছোটবেলা থেকেই শান্ত ও মেধাবী ছিল রসুল। আমরা একসঙ্গেই লেখাপড়া করতাম। কখনও কারও সঙ্গে সে জোর গলায় কথা বলেছে, আমাদের জানা নেই।

    দেবহাটার পারুলিয়ার ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল আলীম বলেন, খুব অভাবি ছিল তাদের পরিবার। জমি জায়গা কিছুই নেই। মা-বাবা খুব কষ্ট করে ছেলেটাকে লেখাপড়া শিখিয়েছে। ছেলেটাও খুব ভালো। জজের চাকরি পেয়েছে। এতে এলাকার সব মানুষ খুশি হয়েছে।

  • সাভারের গকুলনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোগদখলে থাকা দখলের চেষ্টায় ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

    সাভারের গকুলনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোগদখলে থাকা দখলের চেষ্টায় ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

    • এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকেঃ

    সাভারে আশুলিয়ার গকুলনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোগদখলে থাকা জমি দখল চেষ্টার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী,অভিভাবকসহ এলাকাবাসী শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তায় হাতে হাত ধরো দাঁড়িয়ে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে।

    ২৬ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে বিদ্যালয় সংলগ্ন গকুলনগর বাজারের সামনে রাস্তায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

    এসময় বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুনে গকুলনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা অংশগ্রহন করেন।

    গকুলনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সদস্য আব্দুল মান্নান জানান, স্কুলের এই জমি ১৯৮৭ সাল থেকে সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়ে ভোগদখলে রয়েছে। একটা কুচক্রী মহল ও ভূমিদস্যু যার নেতৃত্বে রয়েছে এ্যাডভোকেট সানোয়ার, সে এবং ফেরদৌস দেওয়ান ও সাইফুল ইসলাম স্কুলের দখলে থাকা জমি দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। এলাকার কিছু কুচক্রী মহলও তাদের সাথে রয়েছে বলেও জানান তিনি।

    বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি নাজমুল হক আলী জানান, মানববন্ধনের উদ্দেশ্য হলো কিছু ভূমি দস্যু এই বিদ্যালয়ের জমি দখলের পায়তারা করে আসছে। তারা নানাভাবে মামলা ও জীবননাশের হুমকি দেয়া সহ বিভিন্ন ধরনের হয়রানি করার চেষ্টা করছে। তার ছাত্রাবস্থা থেকেই দেখে আসছে ঐ জমি স্কুলের দখলে।

    মানববন্ধনে আসা সিনথিয়া আক্তার কেয়া জানায়, ‘আমাদের স্কুলের জমি যেসব ভূমিদস্যু ও দালালরা অন্যায়ভাবে দখল নিতে চেষ্টা করায় তাদের বিচার চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্কুলের জমি রক্ষা করার জন্য বিণীত আবেদন করছেন তিনি।

    গকুলনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াদ আলী বলেন, দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যালয়ের নামে এই জমি ভোগদখলে রয়েছে। এখানে স্কুল কেন্দ্রিক একটা সুষ্ঠু ও সুশৃংখল পরিবেশ বজায় রয়েছে। ইদানিং কতিপয় দালালচক্র বিদ্যালয়ের ভোগদখলে থাকা জমি দখল করার পায়তারা করছে। এজন্যই আজ এলাকার সকল শিক্ষানুরাগী সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে এক হয়ে হাতে হাত ধরে এই মানববন্ধনে  অংশ নিয়েছেন।

  • সাভারে স্ত্রীর সহযোগিতায় শ্যালিকাকে ধর্ষণ, ধর্ষক দুলাভাই ও তার বোনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৪

    সাভারে স্ত্রীর সহযোগিতায় শ্যালিকাকে ধর্ষণ, ধর্ষক দুলাভাই ও তার বোনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৪

    • ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    সাভারে স্ত্রীর সহযোগিতায় কিশোরী শ্যালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে মো: সাহেব আলী (৩৪) ও স্ত্রী জেসমিন খাতুন (২৫) দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪ এর সদস্যরা। সেই সাথে ঝর্ণা আক্তার নামের দুই বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।

    রোববার (২৬ জানুয়ারি) বেলা ১২ টার দিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার সাগর দিপা বিশ্বাস।

    এর অগে, শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে সাভার থানাধীন ব্যাংক কলোনী এলাকায় র‍্যাব-৪ এর একটি চৌকস দল অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে।

    গ্রেফতার দম্পতি হলেন- ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার পুরদনপুর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে মো: সাহেব আলী ও তার স্ত্রী ভ‍ুক্তভুগীর নিজের বোন জেসমিন খাতুন ।

    র‍্যাব-৪ সূত্রে জ‍ানা গেছে, সাহেব আলী দম্পতি তাদের সন্তানকে পড়াশোনা করানোর জন্য ভুক্তভোগী কিশোরীকে সিলেট থেকে সাভারে নিয়ে আসে। পরে ভুক্তভোগীর বড় বোন জেসমিন খাতুন ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে এবং পরবর্তীতে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে নিয়মিত তার স্বামীকে দিয়ে নিজের বোনকে ধর্ষণ করতে সহযোগিতা করে। একসময়ে ভুক্তভোগী কিশোরী তার বাবা-মাকে জানায়। পরবর্তীতে কিশোরীর বাবা-মা তাকে নিয়ে সিলেটে চলে যায়। এর কিছু দিন পর ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর ষড়যন্ত্র করে ভুক্তভোগীর বড় ভাই এর দুই বছরের শিশুকে সিলেট থেকে অপহরণ করে নিয়ে এসে কক্ষে আটক করে রাখে এবং মারধর করে এই দম্পতি। খবর পেয়ে শনিবার বিকালে সাভারের ব্যাংক কলোনী এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয় ও দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়।

    র‍্যাব-৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার সাগর দিপা বিশ্বাস জানায়, এ বিষয়ে সাভ‍ার থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে । মামলাটি ভুক্তভোগী কিশোরীর বড় ভাই রুবেল নিজে দুইজনের নামে করেছেন। আমরা ‍আসামীদের থানায় হস্তান্তর করেছি।
    র‍্যাব-৪ এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার ২ ঘন্টার মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে আসামীদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

  • সাভার মডেল থানা পুলিশের এসআই মলয় কুমার সাহা ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচিত

    সাভার মডেল থানা পুলিশের এসআই মলয় কুমার সাহা ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচিত

    • ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    ঢাকা জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ( সাব-ইন্সপেক্টর) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সাভার মডেল থানার এসআই মলয় কুমার সাহা ।
    রবিবার(২৬ জানুয়ারি) অপরাধ সভায় ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, বাংলাদেশ পুলিশের অহংকার, মানবতার ফেরীওলা সকলের প্রিয় অভিভাবক হাবিবুর রহমান বিপিএম(বার) পিপিএম (বার) মহোদয়ের কাছ থেকে ঢাকা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা (সাব-ইন্সপেক্টর) হিসেবে পুরষ্কার গ্রহণ করেন এসআই মলয় কুমার সাহা। ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানার ক্লু-লেস মার্ডার মামলা তদন্ত, রহস্য উদঘাটন ও মামলার মূল আসামী গ্রেফতার এবং মামলার সকল আলামত উদ্ধার করায় এই স্বীকৃতি ও অর্জন। ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান(বিপিএম)বার, (পিপিএম)বার মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন এস আই মলয় কুমার সাহা।

    মলয় কুমার সাহা জানান, এই অর্জন আমার একার নয়, এই অর্জন সকলের। সকলের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে ভালো কাজ করে দেশের মানুষের সেবা করতে চাই৷ সিনিয়র স্যারদের সহযোগিতায় ভবিষ্যতে দেশ ও সমাজের জন্য কাজ করে এগিয়ে যেতে চাই৷ তিনি এই মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামি দ্রুত গ্রেফতারের ক্ষেত্রে নির্দেশনা দিয়ে পথ দেখানোর জন্য ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সর্দার ও সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএফএম সায়েদ প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
    তিনি আরো বলেন বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপরাধ ঢাকা উত্তর সাইদুর রহমানের প্রতি তিনি শুধু নির্দেশনা আর উৎসাহই দেননি সেই সাথে দ্রুত সময়ের প্রযুক্তিগত তথ্য সরবরাহ করেছেন যা সময় মত না পেলে এত দ্রুত ঘটনা উদঘাটন সম্ভব হত না। পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন জাকারিয়া হোসেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই সারা রাত ব্যাপি অপারেশনে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য। তাদের দিক নির্দেশনায় আজকে আমার এই পুরুষ্কার প্রাপ্তীর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
    মাসিক অপরাধ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার), অতিরিক্ত ডিআইজি জিহাদুল কবির বিপিএম-পিপিএম ও ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মারুফ হোসেন সরদার বিপিএম (সেবা), ঢাকা রেঞ্জের পুলিশ সুপারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য, সাভারের উত্তর জামসিং এলাকায় গৃহবধূর ধর্ষনের পর হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার তিন জন। সাভার পৌর এলাকায় গৃহবধূ টুকটুকি আক্তার (২০) হত্যাকাণ্ডের মুলহোতাসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সম্প্রতি শুক্রবার মধ্যরাতে সাভার ও কেরানীগঞ্জের পৃথকস্থানে অভিযান চালিয়ে আসামীদের গ্রেপ্তার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। তিন জনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়ার পর রবিবার দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়।

  • নদীর তলদেশে কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় মাটি বদলে নতুন মাটি তৈরি করে পিলার গাঁথা যায়ঃ প্রকৌশলী জামিলুর রেজা চৌধুরী

    নদীর তলদেশে কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় মাটি বদলে নতুন মাটি তৈরি করে পিলার গাঁথা যায়ঃ প্রকৌশলী জামিলুর রেজা চৌধুরী

     

    পদ্মা নদীর তলদেশের মাটি খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয়েছে সেতু নির্মাণকারী প্রকৌশলী ও বিশেষজ্ঞদের। তলদেশে স্বাভাবিক যে মাটি পাওয়ার কথা, সেটি মেলেনি। সেতুর পাইলিং কাজ শুরু হলে বিষয়টি টের পান সংশ্লিষ্টরা। এ জন্য গতবছর আটকে যায় ২২টি পিলারের কাজ। তবে স্বপ্নের পদ্মাসেতু তৈরিতে একে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াতে দেননি প্রকৌশলী ও বিশেষজ্ঞরা। তারা এমন একটি পদ্ধতি প্রয়োগ করেন, যাতে করে নদীর তলদেশে কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় মাটি বদলে নতুন মাটি তৈরি করে পিলার গাঁথা যায়। ‘স্ক্রিন গ্রাউটিং’ নামের এই বিরল পদ্ধতিতেই বসানো হয়ছে পদ্মাসেতুর বেশকিছু পিলার, যার ওপর বসেছে সেতুর সর্বশেষ স্প্যানটি।

    ‘স্ক্রিন গ্রাউটিং’য়ের মতো বিরল পদ্ধতিতে কিভাবে এগিয়ে যাচ্ছে পদ্মাসেতুর কাজ, তা নিয়ে সারাবাংলার কথা হয় পদ্মাসেতুর আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ প্যানেল প্রধান অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীর। তিনি জানান, এরকম পদ্ধতির ব্যবহারের নমুনা বিশ্বে খুব একটা নেই। এ প্রক্রিয়ায় ওপর থেকে পাইপের ছিদ্র দিয়ে কেমিক্যাল নদীর তলদেশে পাঠিয়ে মাটির শক্তিমত্তা বাড়ানো হয়েছে। তারপর ওই মাটিতে গেঁথে দেওয়া হয়েছে পিলার।

    জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, পদ্মাসেতু নির্মাণে সবচেয়ে বড় জটিলতা তৈরি হয়েছিল সেতুর পাইল ড্রাইভিং নিয়ে। সেতু নির্মাণের আগে নদীর তলদেশের মাটি সম্পর্কে যে ধারণা করা হয়েছিল, কাজ শুরুর পর সেই ধারণা বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি।

    বর্ষীয়ান এই প্রকৌশলী বলেন, কাজ শুরু করতে গিয়ে নদীর নিচে মাটির যে স্তর পাওয়া গেছে, তা পিলার গেঁথে রাখার উপযোগী নয়। এমন অবস্থায় কাজ করার জন্য দু’টি পদ্ধতি রয়েছে। প্রথমত, পাইল নিয়ে যেতে হবে আরও গভীরে, তা না হলে সেতু ভেঙে বা দেবে যেতে পারে। আর দ্বিতীয়ত, গভীরতা কমিয়ে পাইলের সংখ্যা বাড়িয়ে দিতে হবে।

    জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, প্রথম পদ্ধতিটি সম্ভব ছিল না। কারণ বিশ্বের সর্বোচ্চ শক্তির হ্যামার দিয়েও এত গভীরে পাইল ড্রাইভিং করা যাবে না। পদ্মাসেতুতে যে হ্যামার ব্যবহার করা হচ্ছে, তার সর্বশক্তি প্রয়োগ করেই পাইল ড্রাইভিং করা হচ্ছে। প্রথম পদ্ধতি প্রয়োগ করতে চাইলে আরও ১৩০ মিটার গভীরে পাইল নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন, যা এই হ্যামার দিয়ে সম্ভব না। এ ক্ষেত্রে নতুন আরেকটি হ্যামার আনতে হবে এবং সে ধরনের হ্যামার জার্মানিতে তৈরি করে আনতে এক থেকে দেড় বছর লাগবে। এ অবস্থায় পদ্মাসেতু নির্মাণের কাজ দেরি হয়ে যেতে পারে।

    এ পরিস্থিতিতেই পদ্মাসেতুর পিলার বসাতে বিরল হলেও দ্বিতীয় পদ্ধতিটি বেছে নেন বিশেষজ্ঞরা। ‘স্ক্রিন গ্রাউটিং’ নামের এই পদ্ধতিতে নদীর তলদেশে মাটির গুণগত বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে তারপর পাইল ড্রাইভিং করা হয়। এমন পদ্ধতির প্রয়োগ বাংলাদেশে এই প্রথম। গোটা বিশ্বেও এই পদ্ধতি প্রয়োগের নজির খুব একটা নেই।
    -ডেক্স সংবাদ

  • করোনা ভাইরাসের আক্রমনে জীবানু থেকে নিজেকে রক্ষায় কিছু কৌশল

    করোনা ভাইরাসের আক্রমনে জীবানু থেকে নিজেকে রক্ষায় কিছু কৌশল

    করোনা ভাইরাসের আক্রমণের অল্পদিনের মধ্যেই আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

    কিন্তু এ ভাইরাসটির প্রকৃতি ও কিভাবে এটিকে রোধ করা সম্ভব সে বিষয়ে এখনও বিশদভাবে জানার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।

    সার্স (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেস্পিরেটরি সিনড্রোম) বা ইবোলার মতো নানা ধরনের প্রাণঘাতী ভাইরাসের খবর প্রায়শই সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসে। করোনাভাইরাস তার মধ্যে সর্বশেষ।

    করোনাভাইরাস কী এবং কীভাবে ছড়ায়?

    করোনাভাইরাস এমন একটি সংক্রামক ভাইরাস যা এর আগে কখনও মানুষের মধ্যে ছড়ায়নি।

    ভাইরাসটির আরেক নাম ২০১৯-এনসিওভি। এটিও এক ধরনের করোনা ভাইরাস। এই ভাইরাসের অনেক রকম প্রজাতি আছে, কিন্তু এর মধ্যে ৭টি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে।

    বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ভাইরাসটি হয়তো মানুষের দেহকোষের ভেতরে ইতোমধ্যেই “মিউটেট করছে” অর্থাৎ গঠন পরিবর্তন করে নতুন রূপ নিচ্ছে এবং সংখ্যাবৃদ্ধি করছে। যার ফলে এটি আরও বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

    এই ভাইরাস খুব দ্রুত একজন মানুষের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়াতে পারে বলে নিশ্চিত করেছেন বিজ্ঞানীরা।

    এটি মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায় এবং শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমেই এটি একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়ায়। সাধারণ ফ্লু বা ঠান্ডা লাগার মতো করেই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।

    আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে কী লক্ষণ দেখা যায়?

    করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রধান লক্ষণ হলো শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, জ্বর এবং কাশি। কিন্তু এর পরিণামে অরগ্যান ফেইলিওর বা দেহের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়া, নিউমোনিয়া এবং মৃত্যু ঘটতে পারে।

    বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশ করার পর সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিতে প্রায় পাঁচ দিন সময় লাগে। প্রথম লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। তার পর দেখা দেয় শুকনো কাশি। এর এক সপ্তাহের মধ্যে দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট।

    এই ভাইরাস কতটা বিপজ্জনক সেটিও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এখন পর্যন্ত আক্রান্তদের দুই শতাংশ মারা গেছেন এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া এমন মৃত্যুও হয়ে থাকতে পারে যা চিহ্নিত করা যায়নি, জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাই এ ভাইরাস ঠিক কতটা ভয়ংকর তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    যেভাবে ছড়িয়েছে ভাইরাসটিঃ

    মধ্য চীনের উহান শহর থেকে এই রোগের সূচনা। গত ৩১ ডিসেম্বর এই শহরে নিউমোনিয়ার মতো একটি রোগ ছড়াতে দেখে চীন কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে। এরপর ১১ জানুয়ারি এতে প্রথমবারের মতো একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।

    ঠিক কীভাবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়েছিল তা এখনও নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা।

    তবে তারা বলছেন, কোনো প্রাণী এই ভাইরাসের উৎস ছিল। প্রাণী থেকেই প্রথমে ভাইরাসটি কোনো মানুষের দেহে ঢুকেছে এবং পরে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়েছে।

    এই ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাবার উপায় কী?

    একমাত্র উপায় হলো যারা ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন বা এই ভাইরাস বহন করছেন তাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা।

    হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. গ্যাব্রিয়েল লিউং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এক নির্দেশনায় বলেছেন, হাত সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং বার বার হাত ধুতে হবে। হাত দিয়ে নাক বা মুখ ঘষা যাবে না, ঘরের বাইরে গেলে মুখোশ পরতে হবে।

    তিনি বলেন, “আপনি যদি অসুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে মুখোশ পরুন, আর নিজে অসুস্থ না হলেও, অন্যের সংস্পর্শ এড়াতেও মুখোশ পরুন।”

    এদিকে উহান শহরে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে এসে কমপক্ষে ১৫ জন চিকিৎসাকর্মী নিজেরাই এতে আক্রান্ত হয়েছেন।

  • স্কুলছাত্রের কাছে সিগারেট বিক্রি করার অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করলো ভ্রাম্যমান আদালত

    স্কুলছাত্রের কাছে সিগারেট বিক্রি করার অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করলো ভ্রাম্যমান আদালত

    • সত্যেরসংবাদঃ

    স্কুলছাত্রের কাছে সিগারেট বিক্রি করায় ব্যবসায়ীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল শনিবার সকালে তিন রাস্তার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

    জানা গেছে, তালা বি দে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্র স্কুল ড্রেস পরিহিত অবস্থায় মুদি ব্যবসায়ী নিকট থেকে সিগারেটে কিনে।
    এ ঘটনাটি তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইকবাল হোসেনের দৃষ্টিতে যায়। পরে এক ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পবিত্র পালকে অর্থদন্ড করেন।

    এ বিষয়ে তালা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী রাসেল বলেন, আটক ব্যবসায়ী পবিত্র পালকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইকবাল হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে।

    ঘটনার বিষয়ে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইকবাল হোসেন বলেন, প্রথমবারের মত অপরাধ করায় ব্যবসায়ী পবিত্র পালকে ধুমপান ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ (সংশোধিত) অনুযায়ী অপ্রাপ্ত বয়স্কদের কাছে সিগারেট বিক্রির অপরাধে সর্বনিম্ন শাস্তি হিসেবে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়েছে।

    ডেক্স সংবাদঃ

  • পরিবর্তন হতে পারে শেষ ম্যাচে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও পাকিস্তান দলের কাছে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে হার

    পরিবর্তন হতে পারে শেষ ম্যাচে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও পাকিস্তান দলের কাছে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে হার

    স্পোর্টসসংবাদঃ

    তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সে হতাশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সেই সাথে শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে চাই বাংলাদেশ।
    গুরুত্বপূর্ণ শেষ ম্যাচে আজ একাদশে এক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামবেন টাইগাররা। লোয়ার অর্ডারে মোহাম্মদ মিথুনের পরিবর্তে দলে আসতে পারেন তরুণ মাহেদি হাসান। বিপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্সের পুরস্কার পেতে পারেন তিনি।

    সিরিজ হেরে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের কাপ্তান মাহমুদউল্লাহ বলেন;“হেরে যাওয়াটা হতাশাজনক। তামিম ছাড়া অন্যরা ব্যাট হাতে ভালো করতে পারিনি। আমাদের ১৫০-১৬০ রান করা উচিত ছিল। আমাদের চেষ্টা ছিল, কিন্তু পাকিস্তানি বোলারদের কৃতিত্ব দিতে হবে। আমরা ব্যাট হাতে শেষদিকে ভালো করতে পারিনি।”

    শেষ ম্যাচটা জিততে হবে বলে মনে করেন তিনি। এই বিষয়ে তিনি আরও বলেন;“জানি না শেষ ম্যাচে আমরা কীভাবে খেলব। হয়ত কিছুটা নিরীক্ষার চেষ্টা থাকবে। কিন্তু আমাদের পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াতে হবে এবং শেষ ম্যাচটা জিততে হবে।”

  • জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৪ তরুণ বিকৃত উল্লাসের পর গ্রেফতার

    জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৪ তরুণ বিকৃত উল্লাসের পর গ্রেফতার

    • সত্যের সংবাদডেক্সঃ

    গাজীপুরে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ । ধর্ষণের পর অভিযুক্ত ৪ তরুণ বিকৃত উল্লাস করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও প্রকাশ করে। এ ঘটনায় কিশোরীর বান্ধবীসহ অভিযুক্ত চার বখাটেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১। এ ঘটনায় শ্রীপুর

    থানায় মামলা দায়ের করেছে কিশোরী ধর্ষন হওয়া পরিবার।

    এদিকে মামলা প্রত্যাহার করতে জড়িত পরিবার থেকে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ নির্যাতিতার স্বজনদের।
    গত ১৫ জানুয়ারি রাতে শ্রীপুরের নয়নপুর এলাকায় নিজ বাসায় জন্মদিনের অনুষ্ঠানে কিশোরীকে ডেকে নেয় তাদের বন্ধু শরীফ হোসেন। এরপর শরীফ, তার বন্ধু ইমরান হাসান সুজন, শরিফ উদ্দিন মোল্লা ও আহসান হাসান মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।

    প্রতিবেশীদের একজন অভিভাবক বলেন, ‘আমারও মেয়ে আছে। এ ঘটনার পর থেকে স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে।’ এমন ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। দ্রুত তাদের বিচার দাবি করেন তারা।

    পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল করে তারা। যেখানে বিকৃত উল্লাস করতে দেখা গেছে অভিযুক্তদের। অভিযুক্তরা ফেসবুক লাইভে এসে বলে, ‘হাই ফ্রেন্ডস কাল হয়তো আমরা জেলে থাকতে পারি।’

    এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় একটি মামলা করেন নির্যাতিতার মা। শনিবার সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, ময়মনসিংহের ত্রিশালে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত চারজনকেই গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে কিশোরীর এক বান্ধবীকে শ্রীপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    র‌্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ‘মেয়েটিকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করা হয়। এরপর ৪ জন মিলে তাকে গণধর্ষণ করে।’
    এদিকে নির্যাতিতার স্বজনদের অভিযোগ, মামলা প্রত্যাহার করতে অভিযুক্ত বখাটেদের পরিবার থেকে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
    নির্যাতিতার মা বলেন, মামলা করার পর ওদের পরিবার থেকে বলছে মামলা তুলে নিতে ও মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্ত পরিবার থেকে।
    গ্রেফতারের পর অভিযুক্তরা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলে জানায় পুলিশ।