Author: sattersangbad24

  • প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩ বল ৫ উইকেট জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান

    প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩ বল ৫ উইকেট জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান

    পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ শুরুর পরও ১৪১ রানেই থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। তারপরও বোলাররা লড়াই করেছেন সাধ্যমতো। দলকে জেতানোর চেষ্টা করেছেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি বাংলাদেশ টাইগারদের।

    শুক্রবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেট ও ৩ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। এ জয়ে সিরিজে ১-০ শূন্যতে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

    এদিকে, ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও হারের পেছনে ব্যাটসম্যানদের দায় দেখছেন।
    অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘লড়াইটা ভালোই হয়েছে। তবে উইকেট ছিল অবাক করার মতো এবং বল যত পুরনো হয়েছে শট খেলা তত কঠিন হয়েছে। তবে আমাদের বোলাররা ভালো করেছে। আমরা অন্তত ১৫ রান কম করেছি আর ফিল্ডিংয়ে বাড়তি বাউন্ডারি উপহার দিয়েছি। কয়েকটা রান আউট ও ক্যাচের সুযোগ নষ্ট করেছি। তবে বিপ্লব ও অন্য পেসাররা ভালো বল করেছে। মাঠে আরও ভালো করতে হবে।’

    ম্যাচ হারলেও পাকিস্তানের আতিথেয়তা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন টাইগার দলপতি, ‘পাকিস্তানের আতিথেয়তা সবসময়ই ভালো। আমরা এটা নিয়ে খুশি। আমরা এখন পরের ম্যাচের অপেক্ষায় আছি।’

    নিজেদের ভুল শুধরে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের সামনে আছে মাত্র এক রাত। কারণ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আগামীকাল একই ভেন্যুতে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবেন মাহমুদউল্লাহরা।

    একই ভেন্যুতে ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি গড়াবে সিরিজের বাকি দুটি টি-টোয়েন্টি। সিরিজ শেষে আগামী ২৮ জানুয়ারি দেশে ফিরবে টিম বাংলাদেশ।

  • প্রকৌশল খাতের কোম্পানি রানার অটোমোবাইলস’র ক্যাটাগরি পরিবর্তন

    প্রকৌশল খাতের কোম্পানি রানার অটোমোবাইলস’র ক্যাটাগরি পরিবর্তন

    • শেয়ারবাজারসংবাদঃ

    পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডের ক্যাটাগরি পরিবর্তন হয়েছে। এদিকে এ কোম্পানির শেয়ার ক্রয়ের জন্য কোনো ধরনের মার্জিন ঋণ সুবিধা পাবেন না বিনিয়োগকারীরা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

    জানা গেছে, কোম্পানিটি ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দেওয়ার ঘোষণা করেছে। এর ফলে ‘এন’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর হয়েছে কোম্পানিটি। আর “এ” ক্যাটাগরির অধীনে আগামী রোববার (২৬ জানুয়ারি) থেকে শুরু হবে এ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন।

    এদিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক জারিকৃত BSEC Directive No. SEC/CMRRCD/2009-193/177 and BSEC Order No. SEC/CMRRCD/2009-193/178 dated October 27, 2015 অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোনো সিকিউরিটির ক্যাটাগরি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পরিবর্তিত ক্যাটাগরীতে উক্ত সিকিউরিটি ক্রয়ের জন্য ৩০ কার্যদিবস মার্জিন ঋণ প্রদান করা যাইবে না।

  • ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৪ কোম্পানি

    ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৪ কোম্পানি

    • শেয়ারবাজারসংবাদডেক্সঃ

    পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৪ কোম্পানি ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন হয়েছে। এগুলো হলো:- এপেক্স ট্যানারি, অরিয়ন ফার্মা, শাহজিবাজার পাওয়ার এবং অরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

    জানা গেছে, ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল) রেটিং অনুযায়ী এপেক্স ট্যানারির দীর্ঘমেয়াদে রেটিং হয়েছে ‘এএ-’। আর স্বল্পমেয়াদে রেটিং হয়েছে ‘এসটি-৩’। ৩০ জুন, ২০১৯ পর্যন্ত নিরীক্ষিত ও ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং প্রাসঙ্গিক পরিমাণগত ও গুণগত তথ্যের আলোকে এই রেটিং করা হয়েছে।

    ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অফ বাংলাদেশ লিমিটেড (সিআরএবি) রেটিং অনুযায়ী শাহজিবাজার পাওয়ারের দীর্ঘমেয়াদে রেটিং হয়েছে ‘এএ১’। ৩০ জুন, ২০১৯ পর্যন্ত নিরীক্ষিত ও ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং প্রাসঙ্গিক পরিমাণগত ও গুণগত তথ্যের আলোকে এই রেটিং করা হয়েছে।

    ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অফ বাংলাদেশ লিমিটেড (সিআরএবি) রেটিং অনুযায়ী অরিয়ন ইনফিউশনের দীর্ঘমেয়াদে রেটিং হয়েছে ‘এ৩’। ৩০ জুন, ২০১৯ পর্যন্ত নিরীক্ষিত ও ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং প্রাসঙ্গিক পরিমাণগত ও গুণগত তথ্যের আলোকে এই রেটিং করা হয়েছে।

  • প্রতিদিনই স্কুল থেকে ফিরে মায়ের সেবা করছেনঃ তৈয়বুর রহমান স্বপন

    প্রতিদিনই স্কুল থেকে ফিরে মায়ের সেবা করছেনঃ তৈয়বুর রহমান স্বপন

    সংবাদ ডেস্ক: মায়ের প্রিয় খাবার দুধ ভাত আর কলা। তাই প্রতিদিনই স্কুল থেকে ফিরে এভাবেই পরম যত্নে নিজ হাতে মা’কে দুধ ভাত আর কলা খাওয়ান ফরিদপুরের চর টেপাখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী তৈয়বুর রহমান স্বপন। খাওয়ানো ছাড়াও তিনি তার অশীতিপর মাকে নিয়মিত গোসল করান ও সময়মতো ওষুধ সেবন করান।

    সূত্র-অনলাইন

  • বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন বর্ষসেরা ক্রিকেটার সাকিব

    বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন বর্ষসেরা ক্রিকেটার সাকিব

    বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ)’রবর্ষসেরা ক্রিকেটার সাকিব। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের বর্ষসেরা ক্রিকেটার হয়েছেন বর্তমানে নিষেধাজ্ঞায় থাকা সাকিব আল হাসান।

    একনজরে বিএসপিএ’র ২০১৯ সালের বর্ষসেরা পুরস্কার জয়ীরা:

    বর্ষসেরা ক্রিকেটার: সাকিব আল হাসান
    বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ: রোমান সানা (আরচ্যারী)
    পপুলার চয়েজ অ্যাওয়াড: রোমান সানা (আরচ্যারী)
    বর্ষসেরা ফুটবলার: জামাল ভুঁইয়া
    বর্ষসেরা আর্চার: রোমান সানা
    বর্ষসেরা ভারোত্তোলক: মাবিয়া আক্তার সীমান্ত
    বর্ষসেরা কারাতেকা: হুমায়রা আক্তার অন্তরা
    বর্ষসেরা ফেন্সার: ফাতেমা মুজিব
    উদীয়মান ক্রীড়াবিদ: ইতি খাতুন (আরচ্যারী)
    বর্ষসেরা তায়কোয়ান্দো খেলোয়াড়: দীপু চাকমা
    বর্ষসেরা কোচ: মার্টিন ফ্রেডরিক
    বর্ষসেরা সংগঠক: কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল
    তৃণমূলের ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব (দু’জন): রফিক উল্যাহ আখতার মিলন এবং তাজুল ইসলাম
    বিশেষ সম্মাননা: আব্দুল জলি
    বর্ষসেরা পৃষ্ঠপোষক: সিটি গ্রুপ

    দেশের ক্রীড়া সাংবাদিক ও ক্রীড়া লেখকদের সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) ১৯৬৪ সাল থেকে সেরা ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের পুরস্কৃত করে আসছে।

    ১৯৬২ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হবার দুই বছর পর অর্থাৎ ১৯৬৪ সালের পর থেকে কয়েকশত ব্যক্তি, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান পেয়েছে মর্যাদার এই পুরস্কার।

  • অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ ধ্বনি কাকে বলে জেনে নিন..

    অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ ধ্বনি কাকে বলে জেনে নিন..

    অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ ধ্বনি : যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় নিঃশ্বাস জোরে সংযোজিত হয় বা ফুসফুস থেকে বের হওয়া বাতাসের জোর বেশি থাকে, তাকে মহাপ্রাণ ধ্বনি বলে। আর যে ধ্বনিগুলোতে বাতাসের জোর কম থাকে, নিঃশ্বাস জোরে সংযোজিত হয় না, তাদেরকে অল্পপ্রাণ ধ্বনি বলে। ক, গ, চ, জ- এগুলো অল্পপ্রাণ ধ্বনি। আর খ, ঘ, ছ, ঝ- এগুলো মহাপ্রাণ ধ্বনি।

    ঘোষ ও অঘোষ ধ্বনি : যে সকল ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয়, অর্থাৎ গলার মাঝখানের উঁচু অংশে হাত দিলে কম্পন অনুভূত হয়, তাদেরকে ঘোষ ধ্বনি বলে। আর যে সব ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয় না, তাদেরকে অঘোষ ধ্বনি বলে। যেমন, ক, খ, চ, ছ- এগুলো অঘোষ ধ্বনি। আর গ, ঘ, জ, ঝ- এগুলো ঘোষ ধ্বনি।

    মূর্ধ বর্ণ হচ্ছে ঐসব বর্ণ, যেগুলো উচ্চারণ করতে জিহবাকে মূর্ধ (জিবের উপরের শক্ত অংশের সাথে) স্পর্শ করতে হয়। ট, ঠ, ড, ঢ – এই বর্ণগুলো উচ্চারণ করলেই জানতে পারবেন মূর্ধ কাকে বলে। একইভাবে দন্ত বর্ণ উচ্চারিত হয় জিহবা ও দন্তের (দাঁতের) স্পর্শে – ত, থ, দ, ধ।

    এবার আশা করি মূর্ধ ণ ও দন্ত ন এর উচ্চারণ নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া থাকবেনা।

  • বাংলা ২য় পত্র বিষয়ের বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তর..

    বাংলা ২য় পত্র বিষয়ের বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তর..

    বাংলা ২য় পত্র বিষয়ের বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তর..

    যতি চিহ্ন
    ১। সম্বোধন পদের পরে যে চিহ্নটি ব্যবহূত হয়, তার নাম কী?
    ক. দাঁড়ি খ. কোলন গ. সেমিকোলন ঘ. কমা
    ২। বিরামচিহ্ন কেন ব্যবহূত হয়?
    ক. বাক্য সংকোচনের জন্য
    খ. বাক্যের অর্থ স্পষ্টকরণের জন্য
    গ. বাক্যের সৌন্দর্যের জন্য
    ঘ. বাক্যকে অলংকৃত করার জন্য

    ৩। বাংলা ভাষায় যতি বা ছেদ চিহ্ন কয়টি?
    ক. ৭টি খ. ৮টি গ. ৯টি ঘ. ১১টি

    ৪। হূদয়াবেগ প্রকাশ করতে কোন চিহ্ন লাগে?
    ক. কমা খ. হাইফেন গ. প্রশ্নবোধক ঘ. বিস্ময়সূচক

    ৫। বাড়ি বা রাস্তার নম্বরের পরে কোন চিহ্ন বসে?
    ক. হাইফেন খ. কমা গ. দাঁড়ি ঘ. লোপ চিহ্ন

    ৬। একটি অপূর্ণ বাক্যের পরে অন্য একটি বাক্যের অবতারণা করতে হলে কোন চিহ্ন বসবে?
    ক. ড্যাশ খ. কোলন গ. সেমিকোলন ঘ. পূর্ণচ্ছেদ

    ৭। যৌগিক ও মিশ্রবাক্যে পৃথক ভাবাপন্ন দুই বা তার বেশি বাক্যের সমন্বয় বা সংযোগ বোঝাতে কোন চিহ্ন ব্যবহূত হয়?
    ক. কোলন খ. সেমিকোলন গ. ড্যাশ ঘ. হাইফেন

    ৮। কোন যতি চিহ্নের জন্য সবচেয়ে বেশি সময় থামতে হয়?
    ক. কমা খ. সেমিকোলন গ. দাঁড়ি ঘ. উদ্ধরণ চিহ্ন

    ৯। বাক্যে (,) থাকলে কতক্ষণ থামতে হয়?
    ক. এক বলতে যে সময় লাগে
    খ. ৪ মিনিট গ. ২ মিনিট ঘ. ৩ মিনিট
    ১০। সমাসবদ্ধ পদের অংশগুলো বিচ্ছিন্ন করে দেখাবার জন্য কোন চিহ্ন ব্যবহূত হয়?
    ক. কমা খ. হাইফেন গ. সেমিকোলন ঘ. উদ্ধরণ

    ১১। বাক্যে কোন যতি চিহ্নের প্রয়োগে থামার প্রয়োজন নেই?
    ক. কমা খ. হাইফেন/ইলেক গ. উদ্ধরণ চিহ্ন ঘ. কোলন

    ১২। বাক্যে কমা অপেক্ষা বেশি বিরতির প্রয়োজন হলে কী বসে?
    ক. সেমিকোলন খ. কোলন গ. ড্যাশ ঘ. হাইফেন

    ১৩। সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দের মধ্যে কোনটি বসে?
    ক. কোলন খ. ড্যাশ গ. কোলন-ড্যাশ ঘ. হাইফেন
    বাক্যের শ্রেণীবিভাগ

    ১। কোনটি আদেশসূচক বাক্য?
    ক. তোমাকে বসতে বলেছি খ. এখানে এসো
    গ. তুমি কি বসবে ঘ. বসলে খুশি হব
    ২। ‘সে কি যাবে’—এটি কী ধরনের বাক্য?
    ক. আদেশসূচক খ. বিস্ময়সূচক
    গ. বিবৃতিমূলক ঘ. প্রশ্নসূচক

    ৩। কোনটি প্রশ্নসূচক বাক্য?
    ক. কী খেলাই খেললে খ. তুমি অবশ্যই খেলবে
    গ. আমি খেলব না ঘ. তুমি কি খেলেছ

    ৪। ‘কী সাংঘাতিক ব্যাপার’—এটা কী ধরনের বাক্য?
    ক. বিবৃতিমূলক খ. প্রশ্নমূলক
    গ. বিস্ময়সূচক ঘ. অনুরোধবাচক
    ৫। ‘কোথায় যাচ্ছ’—এটা কী ধরনের বাক্য?
    ক. বিস্ময়সূচক খ. প্রশ্নমূলক
    গ. বিবৃতিমূলক ঘ. অনুরোধমূলক।

    বাংলা ২য় পত্র: সঠিক উত্তর:
    যতি চিহ্ন: ১. ঘ ২. খ ৩. ঘ ৪. ঘ ৫. খ ৬. খ ৭. গ ৮. গ ৯. ক ১০. খ ১১. খ ১২. ক ১৩. খ।
    বাক্যের শ্রেণীবিভাগ: ১. খ ২. ঘ ৩. ঘ ৪. গ ৫. খ।

  • সাভারের আশুলিয়ায় একটি ফিলিং স্টেশনে এক শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যু

    সাভারের আশুলিয়ায় একটি ফিলিং স্টেশনে এক শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যু

    • শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    সাভারের আশুলিয়ায় একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের তিন তলা থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু।
    রাস্তায় টানা বিদ্যুতের তাড়ে জড়িয়ে ফায়েজ আলী আকন্দ (৩৫) নামের এই শ্রমিক মারা যান।

    শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে ওমর আলী হাজীর মালিকানাধীন নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল এলাকার সম্ভার সিএনজি ফিলিং স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।

    নিহত ফায়েজ আলী ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার ভুসভুসিয়া গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে। তিনি কাইচাবাড়ী এলাকার ইমরান খানের বাড়িতে ভাড়া থেকে সম্ভার সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মালিক ওমর আলী হাজীর পাম্পে কাজ করতেন।

    পুলিশ জানায়, ফায়েজ আলী সিএনজি ফিলিং স্টেশন অফিসের তিন তলা থেকে রাস্তার টানা বিদ্যুতের তারের উপর পড়ে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে পাশের রাস্তায় পড়ে গেলে গুরুতর আহত হোন তিনি। এসময় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে।নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

    আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক একরামুল হক বলেন, নিহতের মৃত্যুূদেহ উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। তাদের অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • জাবিতে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে ব্যতিক্রম পাখি মেলা অনুষ্ঠিত,বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহন

    জাবিতে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে ব্যতিক্রম পাখি মেলা অনুষ্ঠিত,বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহন

    • শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও পাখি সংরক্ষণে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে প্রাণিবিদ্যা বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে ব্যতিক্রমী পাখিমেলার আয়োজন করা হয়েছিলো।
    উৎসবমুখর পরিবেশে এ মেলায় স্টলগুলো সাজানো হয়েছিল মমি করা বিভিন্ন প্রজাতির দেশি ও বিদেশীয় অতিথি পাখি, পাখিবিষয়ক বই-পুস্তক ও ক্যালেন্ডার এবং পাখি সংরক্ষণে সচেতনতা তৈরি করতে বিভিন্ন পোস্টারসহ ছবি সাজানো ছিলো। এগুলোতে
    প্রাণ নেই। তবু যেন মননে কিচিরমিচির শব্দে মুগ্ধ করে প্রকৃতির অপরুপ শোভার জানান দিচ্ছে কাঠময়ূর, জলপিপি, জলময়ূরি, ময়না, শঙ্খচিল, পেঁচা, ফিঙে, তিতির, পাতি ক্যাস্ট্রো, কালেম, কবুতরের মমি করা পাখি। কেউবা পাথর চোখে তাকিয়ে আছে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীদের জন্য। মেলায় মোট আটটি স্টলে পাখি প্রদর্শিত হয়।

    ২৫ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম সকালে এ পাখি মেলার উদ্বোধন ও মেলা ঘুরে দেখেন এবং কনজারভেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’প্রদান করেন তিনি।

    এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, অধ্যাপক ড. মো. মফিজুল কবির, বায়োটেকনোলজি এ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সোহায়েল, বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও বিশিষ্ট পাখিবিশারদ ড. ইনাম আল হক, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) কান্ট্রি ডিরেক্টর রাকিবুল আমিন, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান প্রমুখ।

    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, পাখি জনজীবনের সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাখির অভয়ারণ্য নিরাপদ রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এজন্য পাখিবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে অনেক জলাশয় লিজমুক্ত রাখা হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাখির বসবাস উপযোগী পরিবেশ রয়েছে বলে প্রতি বছর শীত মৌসুমে দূর-দূরান্ত থেকে এ ক্যাম্পাসে পাখি নিয়মিত ছুটে আসে।

    উপাচার্য আরো বলেন, পাখি মেলায় এসে বাচ্চারা আনন্দ পায় এবং নানা প্রজাতির পাখির সঙ্গে পরিচিত হবার সুযোগ পায়। এই পরিচয়ের সূত্র ধরে দর্শকগণ পাখিপ্রেমী হয়ে উঠেন। অনেক প্রজাতির পাখি নানা কারণে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। তাই বিলুপ্তপ্রায় পাখির প্রজাতি রক্ষার্থে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। আগে গ্রাম বা নগরে অনেক জলাশয় ও বন ছিলো সেখানে পাখি আসতো। সেই পাখির ডাকে ঘুম ভাঙত সকলের। বেপরোয়া ও অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং বৃক্ষ নিধনের ফলে সবুজ প্রকৃতি ও পাখ-পাখালির বসবাসের পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। সেই বিষয়ে এখনই সকলকে সচেতন হতে হবে।

    ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) কান্ট্রি ডিরেক্টর রাকিবুল আমিন বলেন, পাখি মেলার মূল উদ্দেশ্য পাখি সম্পর্কে গণসচেতনতা বাড়ানো। পাখিরা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যাতে পাখির কোনো প্রজাতি বিলুপ্তির দিকে না যায়।

    মেলার আহবায়ক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান বলেন, দর্শনার্থীর উৎপাত কম থাকায় বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার পাখির সংখ্যা বেড়েছে। প্রথম দিকে কোলাহল কম থাকায় প্রশাসনিক ভবনের পাশের লেকে এবার সবচেয়ে বেশি পাখি এসেছিলো।

    দিনব্যাপী এ মেলায় আন্তবিশ্ববিদ্যালয় পাখিদেখা প্রতিযোগিতা, পাখি বিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী, স্কুল পর্যায়ের শিশু কিশোরদের জন্য পাখির ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, টেলিস্কোপ ও বাইনোকুলার দিয়ে শিশু-কিশোরদের পাখি পর্যবেক্ষণ, পাখির আলোকচিত্র ও পত্র পত্রিকা দিয়ে স্টল সাজানো প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণী, পাখি চেনা প্রতিযোগিতা ও পাখি বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা ছিলো।

    আন্তবিশ্ববিদ্যালয় পাখিদেখা প্রতিযোগিতায় দেশের ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুটি করে দল অংশগ্রহন করে। প্রতিটি দলে চারজন করে ছাত্র-ছাত্রী এবং দলের সাথে একজন করে বিচারক দেওয়া হয়। যেখানে প্রতিযোগীদেরকে জাবি ক্যাম্পাসে নির্ধারিত একঘন্টা হেটে পাখি দেখে বা পাখির ডাক শুনে নাম লিখতে হয়েছে।
    পাখি দেখা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেবপ্রিয় বিশ্বাস, সুলতান আহমেদ, আশিকুর রহমান, তাহসিনা সানিয়াত এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিমূল নাথ, দুর্জয় রাহা অন্তু, আনিতা শাহরিয়ার ও সজীব বিশ্বাস।

    এছাড়া সংবাদমাধ্যমে বিগত এক বছরে প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে পাখি ও জীববৈচিত্র রক্ষায় অবদান রাখায় প্রিন্ট-অনলাইন ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার তিনজন সংবাদকর্মী প্রতিদিনের ‘কনজারভেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’ পায় তারা হলো সংবাদের মো. তহিদুল ইসলাম, বাংলানিউজের বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বপন ও মাই টিভির মো. আব্দুল্লাহ আল ওয়াহিদকে ‘অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা।
    দর্শনার্থীরা জানান, এ দেশ যত বেশি উন্নত হচ্ছে, রাস্তাঘাট হচ্ছে, দালানকোঠা হচ্ছে, ফলে পাখির বসবাসের জায়গা ও প্রজনন স্থল কমে যাচ্ছে। ছোটবেলায় যেসব পাখি দেখতাম, সেগুলোর অনেক পাখিগুলো আর দেখা যায় না। জাবি প্রসাশনকে পাখি সংরক্ষণে গণসচেতনতা বৃদ্ধির এমন আয়োজনে সকলে খুশি।

    প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০-২২টি লেকসহ পুরো ক্যাম্পাসে প্রায় ১৮৯ প্রজাতির পাখি দেখা যায়। এর মধ্যে প্রায় ৬০ প্রজাতির অতিথি পাখি এবং ৯০ প্রজাতির বাংলাদেশের পাখি রয়েছে। পাখিমেলার মাধ্যমে পাখি সংরক্ষণে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে জাবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগ ২০০১ সাল থেকে পাখি মেলার আয়োজন করে আসছেন।

  • ‘আত্মহত্যা’ কোন প্রতিবাদ নয়, অপরাধ

    ‘আত্মহত্যা’ কোন প্রতিবাদ নয়, অপরাধ

    লেখক,হাফিজুর রহমান

    আইনের জগতে একটি সরল ধাঁধার বহুল প্রচলন দেখা যায়। ধাঁধাটি হল, বলুনতো এমন কোন অপরাধ আছে যাহা করিলে শাস্তি হয় না কিন্তু করিবার উদ্যোগ করিলে শাস্তি হয়! ধাঁধার উত্তরটি অনেকেরই জানা আবার অনেকেই হয়তো জানা নেই। এর সহজ উত্তর “আত্মহত্যা”। মূলতঃ এই অপরাধটি সম্পূর্ণ হইলে যে অপরাধী সে সকল আইন এবং পৃথিবীর সকল শাস্তির উর্ধ্বে চলে যান। অর্থাৎ যিনি আত্মহত্যা সম্পন্ন করেন তাহাকে পৃথিবীতে শাস্তি দেওয়া যায় না। কিন্তু যিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করিয়া সফল হইতে পারেন না, তাহাকে শাস্তি প্রদান করিয়া পৃথিবীতে এ ধরনের কাজকে নিরুৎসাহিত করা হয়। আপনরা জীবন আপনার নিকট যেমন মূল্যবান কিম্বা আপনার কোন কোন ভ্রান্ত ধারনায় মূল্য না থাকুক অন্যদের নিকট তাহা অতি মূল্যবান। কবির ভাষায় বলতে গেলে “মানব জীবন সার, এমন পাবে না আর”

    আত্মহত্যা কি?
    পৃথিবীর সুন্দর সব কিছুকে ফেলে স্বেচ্ছায় নিজ জীবনাবসানের নাম আত্মহত্যা। আত্মহত্যা মানে নিজেকে নিজে খুন করা। কোন প্রাণী নিজের জীবন নিজেই শেষ করা বা নিজ জীবন হত্যা করাকে আমরা আত্মহত্যা বলে থাকি। অনেকের মতে নিজ আত্মাকে হত্যা করার নামান্তর আত্মহত্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংজ্ঞানুসারে আত্মহত্যা হলো স্বজ্ঞানে এমন একটি ভয়ানক কাজ করা যা কোন ব্যক্তির মৃত্যু ঘটায় এবং ব্যক্তি ঐ কাজের প্রত্যাশিত ফলাফল সম্পর্কে পূর্ব থেকেই পুরোপুরি অবগত থাকে। আবার নিজ আত্মাকে চরম যন্ত্রণা আর কষ্ট দিয়ে নিজেকে হত্যার নাম “আত্মহত্যা” বলে থাকেন অনেকে।

    বর্তমান প্রেক্ষাপটে আত্মহত্যা একটি প্রতিরোধযোগ্য ভয়াবহ মেডিকেল এবং সামাজিক ব্যাধি। আত্মহত্যা কোন সমস্যার সমাধান নয় বরং সমস্যার কারণ। মায়ের সঙ্গে অভিমান করে দূর গাঁয়ের কিশোরী মেয়ে যেমন কীটনাশককে অবলম্বন করে পালিয়ে যায় জীবন থেকে, তেমনি মেগাসিটির অভিজাত উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিও তার অন্তর্জগতের তাড়িত বোধ থেকে রেহাই পেতে বেছে নেয় আত্মহননের পথ। এ তালিকা থেকে মুক্তি পায়নি ইউনিভার্সিটির প্রবীণ শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক, অভিনয়শিল্পী, সরকারী কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, পুলিশ থেকে শুরু করে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়া ছোট শিশুও ।

    সবচেয়ে যে কারনে বেশী মানুষ আত্মহত্যা করে তার নাম বিষন্নতা। বিষণ্ণতা মানসিক রোগগুলোর মধ্যে অত্যন্ত সাধারণ এবং ধ্বংসাত্মক একটি রোগ। কারণ এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি জীবন চলার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ে এবং কোনো কোনো রোগী অবলীলায় আত্মহত্যার মাধ্যমে মুক্তি পেতে চেষ্টা করে এবং কখনো কখনো সফল হয়। তাই আর কিছু দিনের মধ্যেই হয়তো বিষণ্ণতা রোগটি পৃথিবীতে এক নম্বর ‘কিলার ডিজিজ’ হিসেবে পরিচিতি পাবে। পরিসংখ্যানে আরো পাওয়া যায় যারা আত্মহত্যা করেছে তাদের ৮০ ভাগই আত্মহত্যার পূর্বাভাস দিয়েছে কিন্তু যথাযথ গুরুত্ব পায়নি বলে কেউ প্রতিরোধের ব্যবস্থাও গ্রহণ করেনি। যেকোনো লোক যেকোনো সময়ে বিষণ্ণতা রোগে আক্রান্ত হতে পারে তবে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে শতকরা ১০০ ভাগ রোগীই ভালো হয়ে যেতে পারে।

    সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে আত্মহত্যাকারীর সংখ্যা। সাধারণত দু’ভাবে আত্মহত্যা সংঘটিত হয়ে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিকল্পনার মাধ্যমে আত্মহত্যা করে আর একটি হলো তাৎক্ষণিক উত্তেজনা বা তাড়নায় ইমপালসিভ আত্মহত্যা। পরিকল্পনাকারীদের মনে প্রথমে আত্মহত্যার ইচ্ছা জাগে, ইচ্ছার পর পরিকল্পনা করে সে, তার পর আত্মহত্যার জন্য এ্যাটেম্পট গ্রহণ করে। বড় ধরনের বিষণ্ণতা রোগের শেষ পরিণতি হচ্ছে পরিকল্পনার মাধ্যমে আত্মহত্যা।

    এবার দেখা যাক ধর্মে আত্মহত্যা নিয়ে কি বলা হয়েছেঃ-
    ইসলাম ধর্মে আত্মহত্যা থেকে বিরত থাকতে মহান আল্লাহ্‌ তা’আলা বিশেষভাবে নির্দেশ দান করেছেন এবং এর পরিনামের কথা ভাববার জন্য কঠোর ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির বর্ণনা দিয়ে মহা পবিত্র আল কুরআনে আয়াত অবতীর্ণ করেছেন। সূরা নিসা ২৯-৩০ নং আয়াতে বলা হয়েছে “আর তোমরা নিজেদের হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়ালু। এবং যে কেউ জুলুম করে, অন্যায়ভাবে উহা (আত্মহত্যা) করবে, অবশ্য আমি তাকে অগ্নিদগ্ধ করবো, আল্লাহর পক্ষে উহা সহজসাধ্য।”

    হাদিসে বলা হয়েছেঃ-
    ক) রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সে দোজখে অনুরূপভাবে নিজ হাতে ফাঁসির শাস্তি ভোগ করতে থাকবে। আর যে বর্শা ইত্যাদির আঘাত দ্বারা আত্মহত্যা করে- দোজখেও সে সেভাবে নিজেকে শাস্তি দেবে।
    খ) হযরত জুনদুব ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, তোমাদের পূর্বেকার এক লোক আহত হয়ে সে ব্যথা সহ্য করতে পারেনি। তাই সে একখানা চাকু দিয়ে নিজের হাত নিজেই কেটে ফেলে। এর পর রক্তক্ষরণে সে মারা যায়। আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা নিজেকে হত্যা করার ব্যাপারে বড় তাড়াহুড়া করে ফেলেছে। তাই আমি তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিলাম।

    খৃষ্টান ধর্মে বাইবেল অনুযায়ী, আত্মহত্যা নিশ্চিত করে না যে একজন ব্যক্তি স্বর্গে প্রবেশের অধিকার পাবে কি না৷ যদি কোনো অসংরক্ষিত ব্যক্তি আত্মহত্যা করে, তবে সে শুধুমাত্র নরকের দিকে নিজের যাত্রা “ত্বরান্বিত” করা ছাড়া আর কিছুই করল না৷ যদিও, যে ব্যক্তি আত্মহত্যা করল সে প্রভূ খ্রীষ্টকে নিজের মুক্তিদাতা হিসেবে অস্বীকার করেছে বলেই নরকে যাবে, আত্মহত্যা করার জন্য নয়৷ যে খ্রীষ্টান আত্মহত্যা করে তার সম্পর্কে বাইবেলে বলা হয়েছে, বাইবেল আমাদের শেখায়, যে মুহূর্ত থেকে আমরা প্রভূ খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করতে শুরু করবো, আমরা শাশ্বত জীবন পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পাব (জন্ 3:16)৷ বাইবেল অনুযায়ী, খ্রীষ্টানরা দ্বিধাহীনভাবে জানে যে তারা শাশ্বত জীবনের অধিকারী (1 জন্ 5:13)৷ কোনো কিছুই একজন খ্রীষ্টানকে ঈশ্বরের ভালোবাসা পাওয়ার থেকে বিরত রাখতে পারে না (রোমানস্ 8:38-39)৷ আত্মহত্যা হল ঈশ্বরের বিরুদ্ধে একটি ভয়ানক পাপ৷ বাইবেল অনুযায়ী, আত্মহত্যা হল খুন; এইটি সবসময়েই ভুল৷ কোনো ব্যক্তি যদি নিজেকে খ্রীষ্টান বলে দাবি করা সত্ত্বেও আত্মহত্যা করে তবে তার বিশ্বাসের উৎকর্ষতা সম্পর্কে সন্দেহ জাগবে৷

    সনাতন ধর্মে পুরাণে উল্লেখ করা হয়েছে, রামের মৃত্যুর পর অযোধ্যায় গণহারে আত্মহত্যা করে মানুষ। কিন্তু মহাভারতে বলা হয়েছে, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের পর অনাহারে আত্মহত্যার চিন্তা করলে যুধিষ্ঠিরকে স্বেচ্ছামৃত্যুর পরিকল্পনা বাতিলের পরামর্শ দেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, অর্থাৎ হিন্দুধর্মেও আত্মহত্যা নিষিদ্ধ করা হয়েছে, নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

    গৌতম বুদ্ধের “অহিংসা পরম ধর্ম, জীব হত্যা মহাপাপ” এই মতবাদ মতে নিজ জীবন বা অন্য কোন জীব হত্যাকে সম্পূর্ণভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। আবার অনেকের মতে বৌদ্ধ ধর্মে (সদ্ধধর্ম) যদিও আত্মহত্যায় উৎসাহিত করা হয় না, তবে এই ধর্মে আত্মহত্যাকে একেবারে নিষিদ্ধও করা হয়নি।ইহুদিরাও আত্মহত্যাকে পাপকর্ম বলেই মনে করে।

    এবার দেখা যাক আইন কি বলে..
    আইনের চোখেও আত্মহত্যার প্রচেষ্টাগ্রহণকারী একজন অপরাধী। আত্মহত্যার পর যেমন থানায় খবর দিতে হয়, তেমনি আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও থানায় খবর জানানোর কথা বলা হয়েছে। আত্মহত্যার চেষ্টা করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যদিও আইনটির প্রয়োগ নেই দেশে। সচেতন নয় মানুষ, সচেতন নয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
    পেনাল কোড ৩০৯ ধারায় বলা আছে, যে ব্যক্তি আত্মহত্যা করিবার উদ্যোগ করে এবং অনুরূপ অপরাধ অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে কোন কাজ করে, সেই ব্যক্তি বিনাশ্রম কারাদন্ডে- যাহার মেয়াদ এক বৎসর পর্যন্ত হইতে পারে বা অর্থদন্ড বা উভয়বিধ দন্ডে দণ্ডিত হইবে। অর্থাৎ আইন নিজের জীবন হরণের চেষ্টাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করেছে এবং এ কারণে যে তার স্বাভাবিক জীবনকে ব্যাহত করার অধিকার তার নেই। কারণ এতে অপরাধ সংঘটন করে নিজেকে রেহাই দিতে উদগ্রীব হবে। এতে অপরাধ বাড়বে বৈ কমবে না।

    আত্মহত্যা প্ররোচনার শাস্তির দণ্ডবিধিঃ

    বাংলাদেশে প্রচলিত দণ্ডবিধির (পেনাল কোড) ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যা প্ররোচনার শাস্তির কথা বলা হয়েছে। এ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি আত্মহত্যা করলে অনুরূপ আত্মহত্যা অনুষ্ঠানে সহায়তাকারী ব্যক্তির ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। ৩০৫ ধারায় বলা হয়েছে, শিশু বা পাগল বা মাতাল ব্যক্তির আত্মহত্যার প্ররোচনাদানকারীকে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদনণ্ড দণ্ডিত করা যাবে।এ ধারায় আত্মহত্যার প্ররোচনা কি সে সম্পর্কে কিছু বলা নেই। অন্যদিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধিত ২০০৩)-এর ৯ক ধারায় নারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার শাস্তির বিধান উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কোনো নারীর সম্মতি ছাড়া বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো ব্যক্তির ইচ্ছাকৃত কোনো কার্য দ্বারা সম্ভ্রমহানি হওয়ার প্রত্যক্ষ কারণে কোনো নারী আত্মহত্যা করলে ওই নারীকে অনুরূপ কার্য দ্বারা আত্মহত্যা করতে প্ররোচনা দেয়া হয়েছে বলা হবে। এ আইনেও ১০ বছর শাস্তির বিধান করা হয়েছে।

    আত্মহত্যা সংক্রান্ত কিছু মজার তথ্যঃ
    ১। মেয়েরা পুরুষদের চেয়ে তিনগুন আত্মহত্যার চেষ্টা করে কিন্তু মরেনা। আর আত্মহত্যার হার মেয়েদের চেয়ে পুরুষদের মধ্যে বেশি(তবে বর্তমানে মেয়েদের আত্মহত্যার হার ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে)
    ২। যারা একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে তারা সাধারণত দ্বিতীয়বার আর সে মুখী হয়না।
    ৩। যুবক বয়সে মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা বেশি করে কিন্তু সফল বেশি হয় বয়ষ্করা।
    ৪। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বিশ মিনিটে একজন আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু তারপরও দেখা যায় তারা প্রতি দুইশ জনে একজন সফল হয়।
    ৫। বসন্ত ও শীতকালে আত্মহত্যার হার বেড়ে যায়।
    ৬। আত্মহত্যার চেষ্টার আগে যারা দার্শনিক কথা লিখে যায় তারা মূলত মরেনা কিন্তু যারা স্বাভাবিক খবর লিখে যায় তারা মরে।
    ৭। গণমাধ্যমে প্রকাশিত আত্মহত্যার বিবিরণী মানুষকে আত্মহত্যার জন্যে প্ররোচিত করে।

    আত্মহত্যার ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিকে মনে রাখতে হবে,
    আত্মহত্যা মানে, আইন লঙ্ঘন করা, অপরাধ করা।
    আত্মহত্যা মানে, ধর্মীয় অনুশাসন অবজ্ঞা করা।
    আত্মহত্যা মানে সমাজে পচনশীল ক্ষত বাড়িয়ে দেয়া, সমাজকে পেছনের দিকে ঠেলে দেয়া।
    আত্মহত্যা কখনো প্রতিবাদের অস্ত্র হতে পারে না- প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না। আত্মহত্যার ইচ্ছা, আগ্রহ জয় করতে হবে। জয় করার নামই জীবন। জীবন থেকে পালিয়ে যাওয়া হচ্ছে কাপুরুষতা।
    আত্মহত্যা মানে অন্যায়ের সাথে আপোষ করা।
    আত্মহত্যা মানে খুব সহজে হার মানা।

    বর্তমান সময়ে সমাজে আত্মহত্যা সংঘটিত হলে ঝাঁপিয়ে পড়ে মিডিয়া। মিডিয়ার কারণে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বহমান আত্মহত্যার নির্মম ঘটনাগুলো জানতে পারছে সকলে। কি কারণে আত্মহত্যা ঘটেছে, পারিবারিক, সামাজিক কি অবক্ষয়ের কারণে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচিত হচ্ছে আত্মহননকারী, সব জেনেও সহানুভূতি নিয়ে আমরা দাঁড়াচ্ছি আত্মহত্যাকারীর পাশে। দরদী মনের ব্যাকুলতার কারণে এমনটি করে থাকে মিডিয়াকর্মী কিংবা জনগোষ্ঠী। না! আত্মহত্যার পর সহানুভূতি দেখানো যাবে না আত্মহত্যাকারীকে। যদি আত্মহত্যাকারীকে হিরো কিংবা হিরোইন বানিয়ে তোলা হয় মিডিয়াতে। যে বিশাল জনগোষ্ঠী আত্মহত্যার ঝুঁকিতে আছে (৪.৬ শতাংশ এডাল্ট জনগোষ্ঠী), তারা প্ররোচিত হবে আত্মহত্যার জন্য। সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে অবক্ষয়ের পাশাপাশি এটাও আত্মহত্যার হার বেড়ে যাওয়ার একটি বড় কারণ।

    হ্যাঁ! আসুন আমাদের দাঁড়াতে হবে আত্মহত্যা ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তির পাশে। আত্মহত্যার ঝুঁকি শনাক্ত করতে হবে স্বজনদের। ঝুঁকি শনাক্ত করে আত্মহত্যার পূর্বেই ভূমিকা রাখতে হবে আমাদের। কোন বিষন্নতা বা প্রতিবাদ নয়, আসুন একসাথে সকলে পৃথিবীতে বেঁচে থেকে বিষন্নতাকে জয় করি বা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি। আর কোন আত্মহত্যা নয়, আত্মউপলব্দি করি পৃথিবীর সকল সুন্দরের। অসুন্দরকে দুর করি মৃত্যুকে দুরে সরিয়ে। বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলি হাতে রেখে হাত। ধর্ম বর্ণ বা গোষ্টি নয়, আমাদের পরিচয় হোক আমরা সকলেই মানুষ। চাই স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি, স্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য আমরা আমাদেরকে প্রস্তুত করি। নিজেকে ভালবাসতে শিখি, যারা আপনাকে নিয়ে ভাবছে-ভালবাসছে তাদেরকে ভালবাসতে শিখি, অন্ততঃ তাদের জন্য হলেও বাঁচতে শিখি। প্রতিজ্ঞা করি আর আত্মহত্যা নয়, সুন্দর সমাজ গড়তে আত্মরক্ষায় নিয়োজিত করি নিজেকে এবং সমাজকে।

    হাফিজুর রহমান
    উপ-পুলিশ পরিদর্শক
    ঢাকা রেঞ্জ মিডিয়া
    বাংলাদেশ পুলিশ