Author: sattersangbad24

  • বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে স্বায়ত্তশাসন ও অভিন্ন নীতিমালা

    বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে স্বায়ত্তশাসন ও অভিন্ন নীতিমালা

    • লেখকঃ ড. মোঃ শামসুদ্দীন ইলিয়াস

    দেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন, শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী ও চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করা এবং শিক্ষালব্ধ জ্ঞান বাস্তবে প্রয়োগ করে আর্থ-সামাজিক সমস্যাসমূহ সমাধানের মাধ্যমে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ এবং ‘বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপন করেছে এবং আরও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। অন্যদিকে ভর্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সীমাহীন দুর্ভোগ লাঘবের জন্য একই ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা প্রবর্তনের চেষ্টা চলছে। যদিও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃথক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তা বাস্তব রূপ লাভ করতে পারছে না। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমাজ বিশ্বাস করতে চায় যে, শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি/পদোন্নয়নের জন্য অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে ইউজিসি নিশ্চয়ই শিক্ষার দর্শন তথা সরকারের শিক্ষাবিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গি এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শর্তাবলী নির্ধারণ করবে। তবে এক্ষেত্রে সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোভাবের মধ্যে পার্থক্য থাকা সমীচীন নয়। কারণ সরকার নীতিমালা প্রণয়ন করবে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের কথা বিবেচনায় নিয়ে; অন্যদিকে শিক্ষক সমাজের নিরলস প্রচেষ্টা এবং সরকারের দিক থেকে প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতার ফলে নীতিমালার সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

    ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে নবেম্বর মাসে বঙ্গবন্ধু যে বেতার ভাষণ দিয়েছিলেন তাতে তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে- ‘সুষ্ঠু সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা খাতে পুঁজি বিনিয়োগের চাইতে উৎকৃষ্ট বিনিয়োগ আর কিছু হতে পারে না … জাতীয় উৎপাদনের শতকরা কমপক্ষে ৪ ভাগ সম্পদ শিক্ষা খাতে ব্যয় হওয়া প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। কলেজ ও স্কুল শিক্ষকদের বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে হবে… দ্রুত মেডিক্যাল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়সহ নয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’ সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের শাসনতন্ত্র প্রণয়নের প্রাক্কালে, ১৯৭২ সালে, শাসনতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য কেমন হবে সে আলোচনায় শিক্ষা প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- ‘আমাদের সমাজের মৌলিক প্রয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের সর্বাধিক উন্নতি সম্ভব করে তোলাই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য। এই প্রতিশ্রুতিকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য অনেক বেশি সম্পদ বরাদ্দের প্রয়োজন। মোট জাতীয় উৎপাদনের শতকরা চারভাগ এই খাতে নিয়োজিত করতে হবে। এই অধিক বরাদ্দ থেকে গৃহাদি নির্মাণ বাবদ অপেক্ষাকৃত কম খরচ করে শিক্ষকদের বেতনের স্কেল বাড়ানোর জন্য বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে।’ উক্ত আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষকতা পেশা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু আরও বলেন- ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সর্বোচ্চ মান রক্ষা করা এবং মেধার ভিত্তিতে সকল শ্রেণীর জনসাধারণের জন্য শিক্ষার পথ খুলে দেয়া হবে। মেধাবী ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষা লাভের পথে দারিদ্র্য যেন বাধা হতে না পারে তার ব্যবস্থা করা হবে… শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করা হবে। আমাদের দেশের শিক্ষিত সমাজের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিরা যাতে শিক্ষকতা পেশার প্রতি আকৃষ্ট হন সেই পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সব রকম চেষ্টা করা হবে। এ জন্য কেবল তাঁদের বেতনের স্কেল বৃদ্ধি ও বৈষয়িক সুবিধা দিলেই চলবে না; সঙ্গে সঙ্গে কাজ করার উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি এবং শিক্ষকদের ন্যায্য মর্যাদা এবং সম্মানও দিতে হবে।’ যথোপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা এবং কার্যকর শিক্ষা ছাড়া আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব নয়- এই উপলব্ধি থেকেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর পরই ১৯৭২ সালের ২৬ জুলাই ড. কুদরত-ই-খুদার নেতৃত্বে শিক্ষা কমিশন গঠন করেন এবং ২৪ সেপ্টেম্বর শিক্ষা কমিশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে বলেন যে- ‘বর্তমান শিক্ষার নানাবিধ অভাব ও ত্রুটি-বিচ্যুতি দূরীকরণ, শিক্ষার মাধ্যমে সুষ্ঠু জাতি গঠনের নির্দেশ দান এবং দেশকে আধুনিক জ্ঞান ও কর্মশক্তিতে বলীয়ান করার পথ নির্দেশের উদ্দেশেই সরকার এই কমিশন নিয়োগ করিয়াছেন।’ উচ্চশিক্ষা সম্পর্কে ড. কুদরত-ই-খুদা কমিশনের সুপারিশমালায় বলা হয় যে, উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্য হবে- ১. এমন একটি শিক্ষিত গোষ্ঠী তৈরি করা- যাদের কর্মানুরাগ, জ্ঞানস্পৃহা, চিন্তার স্বাধীনতা, ন্যায়বোধ ও মানবিক মূল্যবোধ সম্যক বিকশিত হয়েছে; ২. গবেষণার মাধ্যমে জ্ঞানের নবদিগন্ত উন্মোচন করা; এবং ৩. সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যাবলীর বিশ্লেষণ ও সমাধানের পন্থা নির্দেশ করা। এই ভূমিকা কার্যকরভাবে পালনে সক্ষম একজন উচ্চশিক্ষিত ও উচ্চাকাক্সক্ষী ব্যক্তি সৃষ্টি করা। সুপারিশমালায় শিক্ষাক্ষেত্রে মোট জাতীয় আয়ের শতকরা পাঁচভাগ বরাদ্দ এবং যত স্বল্প সময়ে সম্ভব তা শতকরা সাতভাগে উন্নীত করার কথা উল্লেখ করা হয়। অথচ শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ খুদা কমিশনের সুপারিশের চেয়ে অনেক অনেক কম, এমনকি বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাশিত ও নির্দেশিত মাত্রার অর্ধেকও নয়। বঙ্গবন্ধু মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির জন্যই শিক্ষকের ন্যায্য সম্মান ও মর্যাদা, উচ্চতর বেতন স্কেল এবং বৈষয়িক সুবিধাদির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনচিন্তা এবং মুক্তবুদ্ধি চর্চার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির ওপর জোর দিয়েছিলেন; তিনি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের স্বায়ত্তশাসনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন যেন শিক্ষকগণ স্বাধীনভাবে গবেষণাকার্য পরিচালনা, জ্ঞান অন্বেষণ, জ্ঞানের বিস্তরণ ও মুক্তবুদ্ধি চর্চায় ব্যাপৃত হতে পারেন। আর এজন্যই তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় সকল ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রায়ন নিশ্চিতকরণের পদক্ষেপও গ্রহণ করেছিলেন।

    শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি নীতিগতভাবে একটি প্রশাসনিক প্রক্রিয়া। প্রকৃতপক্ষে যে উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের স্বায়ত্তশাসনের ওপর বঙ্গবন্ধু জোর দিয়েছিলেন তার সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগের সম্পর্ক কতটুকু? শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বতন্ত্র বা অভিন্ন হলেই কি তা বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের স্বায়ত্তশাসনের ওপর আঘাত হিসেবে গণ্য হবে? তাহলে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা নিয়োগ বিধিমালা বজায় থাকা, এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে থাকা এবং নিজেদের পছন্দ মতো নিয়োগ দিতে পারা মানেই কি স্বায়ত্তশাসন? সরকারী স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য বিশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য অভিন্ন বিধিমালা রয়েছে। যার ফলে নিয়োগকৃত শিক্ষকগণ একটা নির্দিষ্ট মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয়েই শিক্ষকতা পেশায় ঢুকছে। এমনকি একই ধরনের কার্যসম্পাদনকারী বিভিন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পাদনের জন্য অভিন্ন বিধিমালা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চতর পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রচলিত নামসর্বস্ব মৌখিক পরীক্ষা পদ্ধতি গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াকেই প্রশ্নবিদ্ধ ও হাস্যকর করে ফেলছে না তো? মাত্র ১০-১৫ মিনিটের মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবী, দক্ষ ও কার্যকর শিক্ষক নির্বাচন করা সম্ভব কি? মৌখিক পরীক্ষা পদ্ধতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে অধিকতর যোগ্য প্রার্থীদের ডিঙিয়ে তুলনামূলকভাবে কম মেধাবী এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষক হওয়ার অযোগ্য প্রার্থীরাও নির্বাচিত হচ্ছেন না বা হবেন না তার নিশ্চয়তা কোথায়? আবার মেধাক্রম অনুযায়ী উপর থেকে দু-তিন জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে নিয়োগ দিলেই যে তাঁরা কার্যকর ভাল শিক্ষক হবেন, তার নিশ্চয়তা দেয়া যায় কি? তাছাড়া মেধাক্রমের উপরের দিকে স্থান পাওয়ার ক্ষেত্রে কখনই শিক্ষকদের একক বা যৌথ প্রভাব কাজ করে না- একথা জোর দিয়ে বলা যাবে কি? তাহলে এমন নির্বাচন প্রক্রিয়াকে কি সত্যিকার অর্থে প্রভাবমুক্ত বলা যাবে? বহিঃবিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ই তো অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। সামঞ্জস্য বিধানের লক্ষ্যে সরকার এখন জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসিতেও সিজিপিএ ৫ থেকে কমিয়ে ৪-এ নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে। বিষয়টি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।

    প্রত্যেক ব্যক্তিরই ভিন্নমত পোষণ করার ব্যক্তিগত ও আইনসিদ্ধ অধিকার রয়েছে। তাই অভিন্ন নীতিমালা বিষয়ে ভিন্নমত পোষণকারী শিক্ষকবৃন্দের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেই বলতে চাই- শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কি তাহলে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, নিরপেক্ষতা, অবাধ প্রতিযোগিতা এবং সর্বোপরি আদর্শমানের কোন স্থান নেই? বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োজিত আছেন এমন ব্যক্তিবর্গের নিকট আত্মীয়, ছেলে, মেয়ে, স্বামী, স্ত্রী, ভাই-বোন কি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাননি বা পাচ্ছেন না? তাদের যোগ্যতার প্রতি সন্দেহ প্রকাশ না করেই যুক্তির খাতিরে যদি প্রশ্ন করা হয়- নিকট আত্মীয় নিয়োগপ্রাপ্তরা একটি অভিন্ন ও আদর্শমান উত্তীর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়ার অভাবে প্রচলিত মৌখিক পরীক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং নিজেদের যোগ্যতা ও দক্ষতার প্রতি কি অসম্মান প্রদর্শন করছেন না? প্রস্তাবিত অভিন্ন নীতিমালা তো ভবিষ্যতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে; তাহলে যারা এখন নিয়োজিত আছেন এই নীতিমালা তাদেরকে কীভাবে প্রভাবিত করবে? আর পদোন্নতি/পদোন্নয়নের জন্য নীতিমালা তো রয়েছেই- সেটাকে শুধু অভিন্ন ও আদর্শমানে উন্নীতকরণের বিষয়। শিক্ষকদের মর্যাদা বাড়ানো এবং সম্মান রক্ষার স্বার্থেই এটা প্রয়োজন।

    শিক্ষাব্যবস্থাকে গণমুখী এবং শিক্ষাকে মানসম্পন্ন করার তাগিদ থেকেই বঙ্গবন্ধু শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন। ১৯৭২ সালের ২৫ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের এক সভায় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- ‘গণমুখী শিক্ষা করতে গেলে প্ল্যান-প্রোগ্রাম অনুযায়ী হওয়া প্রয়োজন এবং এজন্যই কমিশন করা হয়েছে এবং কমিশনে এর মধ্যে আপনারা দেখতে পাইতেছেন যে, আমাদের কোন দলমত নেই। যারা উপযুক্ত তাদেরকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর নিযুক্ত করতেছি। ….যার সম্বন্ধে কোন কোয়েশ্চন নেই- তাদেরকে আমরা বসাবার চেষ্টা করতেছি। যাতে তাঁরা পরিবর্তন আনতে পারে। সব জায়গাতে রাজনীতি আছে। এর মধ্যে আমি রাজনীতি আনতে চাই না। এ সেক্টরে রাজনীতি না হওয়াই বাঞ্ছনীয়।’ শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং জাতীয় উন্নয়নের স্বার্থেই বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যের মর্ম উপলব্ধি করা প্রয়োজন।

    বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত ও আরাধ্য পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে তিনিও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাকে বিশ্বমানে উন্নীত করতে চান। আর এ জন্যই তিনি প্রয়োজনে বিদেশ থেকে শিক্ষক আনার কথা উল্লেখ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যার সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলতে চাই শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষার মানোন্নয়নের স্বার্থে প্রয়োজনে বিদেশ থেকে দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক খ-কালীন বা চুক্তি ভিত্তিতে আনা যেতেই পারে। তবে, তার আগে প্রয়োজন এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, নিরপেক্ষতা, অবাধ প্রতিযোগিতা এবং ব্যক্তিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত একটি আদর্শমান উত্তীর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিশ্চয়তা বিধান।

    অধ্যাপক ড. মোঃ শামসুদ্দীন ইলিয়াস
    , মনোবিজ্ঞান বিভাগ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

  • ২০২০ শিক্ষাবর্ষে স্কুলে ভর্তি ক্ষেত্রে নীতিমালা সংক্রান্ত  অনুসরণ  না করলে পুনঃভর্তি ফি ও অতিরিক্ত ভর্তি ফি নিলে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাঃ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর

    ২০২০ শিক্ষাবর্ষে স্কুলে ভর্তি ক্ষেত্রে নীতিমালা সংক্রান্ত অনুসরণ  না করলে পুনঃভর্তি ফি ও অতিরিক্ত ভর্তি ফি নিলে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাঃ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর

    • ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    স্কুলে ভর্তি ও সেশনসহ অন্যান্য ফি বেশি নেওয়া হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে জানুয়ারিতে শুরু হয়েছে ২০২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম।
    বেসরকারি স্কুল ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তির ক্ষেত্রে মহানগরগুলোতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তিন হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
    এছাড়া এক শ্রেণি থেকে আরেক শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও পুনঃভর্তি ফি নেওয়া যাবে না।
    ৩০ ডিসেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্তি প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ২০১৬ সালের (সংশোধিত) পরিপত্র এবং ২০১৮ সালের ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।

    বেসরকারি স্কুল ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী মেট্রোপলিটন এলাকায় (ঢাকা ছাড়া) ভর্তিতে ৩,০০০ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না।
    অন্যদিকে মফস্বল এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে সেশন ফিসহ সর্বোচ্চ ভর্তি ফি হবে ৫০০ টাকা।
    পৌর (উপজেলা) এলাকায় ১ হাজার টাকা।
    পৌর (জেলা সদর) এলাকায় ২ হাজার টাকা।
    বেসরকারি স্কুল ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী প্রথম শ্রেণিতে অবশ্যই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিশুর বয়স কমপক্ষে ছয় বছর হতে হবে। এই বয়স যাচাইয়ে ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। লটারিতে ভর্তি কমিটির সদস্যদের উপস্থিতি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা ছাড়াও একইসাথে অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থী নির্ধারিত তারিখের মধ্যে ভর্তি না হলে ওই তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আর দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণির শূন্য আসনে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করতে হবে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাক্রম অনুসারে।
    তবে জেএসসি-জেডিসির ফলের ভিত্তিতেই নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে। নবম শ্রেণি ভর্তিতে কোনো পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। বেসরকারি স্কুল ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের পূর্ণমান হবে ৫০।
    এর মধ্যে বাংলায় ১৫, ইংরেজিতে ১৫ এবং গণিতে ২০ নম্বরের উত্তর দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। সময় থাকবে এক ঘণ্টা।
    আর চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নের পূর্ণমান থাকবে ১০০। বাংলায় ৩০, ইংরেজিতে ৩০ এবং গণিতে ৪০ নম্বরসহ মোট ১০০ নম্বরের উত্তর করতে হবে। সময় থাকবে দুই ঘণ্টা। ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে বাংলা, ইংরেজি ও গণিতের বাইরে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। আর প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে হবে পাঠ্যপুস্তক থেকেই। এর বাইরে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না।

    এসব নির্দেশনা না মানা হলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পাঠদানের অনুমতি বা একাডেমিক স্বীকৃতি বাতিলসহ প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি বাতিল করা হবে বলে জানানো হয়েছে বেসরকারি স্কুল ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালায়।
    মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সরকারি স্কুল ও স্কুল অ্যান্ড কলেজের জন্য ২০১৬ সালের জারি করা পরিপত্র (সংশোধিত) অনুযায়ী এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ২০১৮ সালের ভর্তি নীতিমালা বহির্ভুত অর্থ আদায় সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    অভিভাবকদেরও এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

  • যশোরে দুই দফায় এক কিশোরীকে গণধর্ষেণর অভিযোগে গণধর্ষণকারী‘কিশোর গ্যাংয়ের’ সংশ্লিষ্টতা

    যশোরে দুই দফায় এক কিশোরীকে গণধর্ষেণর অভিযোগে গণধর্ষণকারী‘কিশোর গ্যাংয়ের’ সংশ্লিষ্টতা

    • ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    যশোরে এক কিশোরীর গণধর্ষণ মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ‘কিশোর গ্যাংয়ের’ সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে পুলিশ। এই গ্যাংয়ের আট সদস্য দুই দফায় ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করে, যাদের সম্পর্কে ভয়ঙ্কর তথ্য দিয়েছে পুলিশ।

    এর মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার কিশোর গ্যাংয়ের তিন সদস্য হলেন শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আল আফসান পুষ্প, খড়কি দক্ষিণ হাজামপাড়ার আব্দুর রশিদের ছেলে রায়হান (২০) ও সোহরাব হোসেনের ছেলে শাকিল (২০)।

    শনিবার (০৪ জানুয়ারি) দুপুরে গ্রেফতারদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে ।গত ২ নভেম্বর এক কিশোরীকে (১৫) অসুস্থ অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই কিশোরী গণধর্ষণের অভিযোগ করায় ওই দিনই কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়। কোতোয়ালি ও ডিবি পুলিশ যৌথভাবে মামলার তদন্ত ও আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে।যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সংবাদ সম্মেলনগত বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) ভোরে মামলার প্রধান আসামি পুষ্পকে খুলনার সোনাডাঙ্গা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার (০৩ জানুয়ারি) রাতে গোপালগঞ্জ ও খড়কি এলাকা থেকে রায়হান ও শাকিলকে গ্রেফতার করা হয়।

    প্রাথমিক তদন্ত,  আসামিদের জবানবন্দিতে পুলিশ জানতে পারে, আল আফসান পুষ্প প্রথমে ওই কিশোরীর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। গত ১ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে কিশোরীকে মোটরসাইকেলে করে খড়কি ডাক্তারবাড়ির পেছনে বাগানের ভেতর নিয়ে যায় পুষ্প।সেখানে জোর করে কিশোরীকে মদ খাইয়ে গণধর্ষণ করে পুষ্প, তার বন্ধু রায়হান, শাকিল, রবিউল ও শাহদিয়া। এরপর কিশোরীকে পুষ্পের বন্ধু শহরের লোন অফিসপাড়ার হৃদয়ের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে দ্বিতীয় দফায় কিশোরীকে গণধর্ষণ করে পুষ্প, ভাগ্নে মামুন, হৃদয় ও ন্যাটা মামুন।

    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ফেসবুকসহ নানা মাধ্যমে উঠতি বয়সী তরুণী ও কিশোরীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বন্ধুদের নিয়ে গণধর্ষণ করে এই কিশোর গ্যাং। পাশাপাশি এরা মাদকের সঙ্গেও জড়িত। এই গ্যাংয়ের অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। পাশাপাশি এই চক্র আরও কী কী অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাও খতিয়ে দেখা হবে।

  • টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এ্যাসিল্যান্ড নিজেই রোগী সেজে হোমিও হলে ভ্রাম্য আদালতের অভিযানে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও সিলগালা

    টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এ্যাসিল্যান্ড নিজেই রোগী সেজে হোমিও হলে ভ্রাম্য আদালতের অভিযানে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও সিলগালা

    • ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ইব্রাহিম খলিল (৩০) নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। মির্জাপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মঈনুল হক রোগী সেজে এ ভুয়া চিকিৎসককে আটক করেন।

    শুক্রবার রাতে উপজেলার গোড়াই এলাকায় অবস্থিত ঢাকা হোমিও হলে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা আদায় ও প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করেন মঈনুল হক।

    এসময় জানা যায় , ভুয়া চিকিৎসক ইব্রাহিম খলিল জামালপুর জেলার তারা শেখের ছেলে। ইব্রাহিম খলিল চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত অন্য চিকিৎসকের প্যাড ও সিল ব্যবহার করে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে সহকারী কমিশনার (এসি ল্যান্ড) মঈনুল হক নিজেই রোগী সেজে হাজির হন হোমিও হলে।
    সেখানে চিকিৎসক ইব্রাহিম খলিলের কাছে সনদপত্র দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে ব্যর্থ হন। পরে তাকে আটক করে ৩০ হাজর টাকা জরিমানা আদায় ও ওই প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।

    উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মঈনুল হক বলেন, ‘ভুয়া চিকিৎসক ইব্রাহিম খলিল দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিলেন।

    ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর (৫২) ধারায় তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।

  • মাদীপুর সদর থানার ওসি সওগাতুল আলম দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ‘আইজিপি এক্সেমপ্লারি গুড সার্ভিস ব্যাজ’ পাচ্ছেন

    মাদীপুর সদর থানার ওসি সওগাতুল আলম দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ‘আইজিপি এক্সেমপ্লারি গুড সার্ভিস ব্যাজ’ পাচ্ছেন

    • ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    বিগত ২০১৯ সালে সুদক্ষ কাজের জন্য এবছর আইজিপি ব্যাজ পাচ্ছেন তিনি। জাতীয় পুলিশ সপ্তাহ ২০২০ উপলক্ষ্যে মাদারীপুর সদর থানার ওসিকে এ পুরস্কার প্রদান করবেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
    এর আগে ২০১৯ সালে মাদারীপুর থানার ওসি হিসেবেই ঢাকা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ ওসির মর্যাদাও পেয়েছেন তিনি।

    সওগাতুল আলম অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে গত ১৭ জুন মাদারীপুর সদর থানায় যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে মাদক উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার, পলাতক আসামী গ্রেপ্তার, জুয়া বন্ধ ও জুয়াড়ি গ্রেপ্তার, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা, কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমসহ নানা ধরণের জনসেবামূলক কাজ করে সর্বমহলে প্রশংসিত হচ্ছেন।

    সওগাতুল আলম কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের একজন গর্বিত সন্তান। তাঁর বাবা মোঃ সাইদুর রহমান একজন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক। মা এবং স্ত্রী দুজনই গৃহিণী। ব্যক্তিগত জীবনে দুই ছেলে সন্তানের জনক সওগাতুল। তবে সওগাতুল আলমকে তার পরিবার আদর করে আকাশ নামেও ডাকেন।

    বাবা স্কুল শিক্ষক হওয়াতে ভালো মানুষ হওয়ার শিক্ষাটা বাবার কাছ থেকেই পাওয়া। তাই পেশার বাইরে ব্যক্তিগত জীবনেও ওসি সওগাতুল অত্যন্ত প্রানোচ্ছল ও মিশুক প্রকৃতির। সহজেই মানুষের সমস্যায় ঝাপিয়ে পড়েন নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে।

    ২০০৬ সালে ২৩ ফেব্রুয়ারী ডিএমপিতে এস আই হিসেবে যোগদান করেন তিনি। এরপর থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। নিজের কর্মদক্ষতা ও বিচক্ষণতাকে কাজে লাগিয়ে দ্রুতই পেয়েছেন সাফল্যের সন্ধান।

    এবছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আইজিপি ব্যাজ পাচ্ছেন মোট ৫৯৫ পুলিশ সদস্য।
    পুলিশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘আইজিপি এক্সেমপ্লারি গুড সার্ভিস ব্যাজ’।

    সফলতার মুকুটে আরেকটি পালক হিসেবে এবার আইজিপি ব্যাজ লাগার অনুভূতি কি জানতে চাইলে সওগাতুল বলেন, ভালো কাজ করে যেতে চাই। এমন সম্মান কাজের স্পৃহা যেমন বাড়ায় তেমনি দায়িত্বও বাড়িয়ে দেয়।পানিতে ঘেরা জীবন যাপন তার। প্রকৃতির সঙ্গে অনেকটা লড়াই করেই বড় হয়েছেন। প্রকৃতি তাকে শিখিয়েছে জীবন যুদ্ধের সূত্রটা, মানুষের পাশে থেকে সুখ-দু:খ ভাগ করে নেয়ার মানসিকতা। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ছিল না খুব একটা। তার মধ্যেই পড়ালেখা করে নিজেকে গড়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে। মানুষকে সেবা দেয়া ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেই আজকের এই বর্তমান তার। জানাচ্ছিলাম কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চল ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি গ্রামের ছেলে সওগাতুল আলমের কথা।

  • তৃতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ সম্মননা পেলেন জেলা পুলিশ সুপার কক্সবাজারের দ্বায়িত্বরত এ.বি.এম মাসুদ হোসেন

    তৃতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ সম্মননা পেলেন জেলা পুলিশ সুপার কক্সবাজারের দ্বায়িত্বরত এ.বি.এম মাসুদ হোসেন

    স্টাফ রিপোর্টারঃ

    পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম জুন-২০১৯ মাসের সার্বিক কর্মকান্ড বিবেচনায় চট্টগ্রাম রেন্ঞ্জের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপারের সম্মাননা পেয়েছেন।

    ।।কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন।।

    কক্সবাজারে এসপি হিসাবে যোগদানের ৯ মাসের মধ্যে ৫ মাসে ৫ বার রেন্ঞ্জের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার হলেন। এছাড়া পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের মধ্যে পরপর দুই মাসের অর্থাৎ মে ও জুন ২০১৯ মাসের শ্রেষ্ঠ সার্কেল হয়েছে-কক্সবাজার জেলা পুলিশের (উখিয়া সার্কেল), শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে (মহেশখালী), এবং সার্বিক বিবেচনায় রেঞ্জের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এসআই, শ্রেষ্ঠ অস্ত্র উদ্ধারকারী, শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী, শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী, শ্রেষ্ঠ ডিএসবি অফিসার সহ কক্সবাজার জেলা পুলিশ আরো ৭টি ক্যাটাগরিতে রেন্ঞ্জের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার পেয়েছেন।

    কক্সবাজার জেলার ৮ টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে কক্সবাজার জেলা পুলিশের ভূমিকা ছিল খুবই প্রশংসনীয়। ২ জুলাই কক্সবাজারে ৩৮৬ জন ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম সহ জেলা পুলিশের নিষ্টা ও সততার কারণে সম্পূর্ণ দূর্নীতি, ঘুষ, দালাল, প্রতারক ও ফড়িয়ামুক্ত যোগ্যতা, মেধা ও নীতিমালার ভিত্তিতে নিয়োগ হয়েছে। এনিয়োগ নিয়োগ কক্সবাজার জেলা পুলিশ প্রশংসায় ভেসেছেন। ইয়াবা সহ মাদক বিরোধী অভিযানে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ অনুসরণ করে জেলায় মাদক বিরোধী কঠোর সাড়াশি অভিযান এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম অব্যাহত রেখেছেন। গড়ে তুলেছেন মাদক বিরোধী সামাজিক আন্দোলন ও সচেতনতা। যে কারনে ইয়াবাকারবারীদের মূর্তিমান আতংক হিসাবে তিন পরিচিতি লাভ করেছেন। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন (বিপি:৭৫০৫১০৫০৭৯) বিপিএম গত ৪ ফেব্রুআরি পুলিশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার সাহসিকতায় বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিপিএম পদক পেয়েছেন। জাতীয় পুলিশ সাপ্তাহ ২০১৯ উপলক্ষে ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ লাইনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন সহ পুরস্কারপ্রাপ্ত সকলকে মূল্যবান এ পদক পরিয়ে দেন।

    কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন চট্টগ্রাম রেন্ঞ্জের জুন মাসেও শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপারের সম্মাননায় ভূষিত হওয়ায় চট্টগ্রাম থেকে বুধবার মুঠোফোনে সিবিএন-কে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় মহান আল্লাহতায়লার কাছে শোকরিয়া জ্ঞাপন করে বলেন-এ মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননার জন্য তাঁকে নির্বাচিত করায় তাঁর ত্যাগ, সাহস ও ঝুঁকিপূর্ণ কর্মের যথার্থ মূল্যায়ন করা হয়েছে। এতে তাঁর কাজের গতি, সাহস ও উৎসাহ আরো বাড়বে বলে এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন-সম্মাননা প্রাপ্তির এই অর্জন শুধুমাত্র তাঁর একার কৃতিত্ব নয়, তাঁর মতে-এই কৃতিত্ব কক্সবাজার জেলা পুলিশের সকল সদস্যের। কারণ, জেলা পুলিশের সকল সদস্য ও কক্সবাজারের নাগরিবৃন্দ আইনশৃঙ্খলা সুরক্ষা ও অপরাধ দমনে সহযোগিতা না করলে এ বিরল অর্জন ও সফলতা কখনো সম্ভব হতোনা।

    এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম বলেন-এ বিশাল প্রাপ্তি তাঁর ও তাঁর বাহিনীর দায়িত্বের পরিধিকে আরো বহুগুন বাড়িয়ে দিয়েছে এবং জেলাবাসীর কাছে ঋনী করেছে। এ সম্মাননা পুলিশ ও জেলাবাসীর মর্যাদাকে বৃদ্ধি করেছে। তিনি পুরস্কার প্রাপ্তির এই শুভলগ্নে কক্সবাজার জেলা পুলিশের সকল কর্মকর্তা ও সদস্য এবং কক্সবাজারের সকল নাগরিককে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এই অপরিসীম অর্জনে কক্সবাজার জেলা পুলিশের সকল সদস্য অধম্য আত্মবিশ্বাস, প্রেরণা ও প্রত্যয়ে সমৃদ্ধ হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি জেলা পুলিশের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে একইদিন পুরস্কার পাওয়া অন্যান্যদেরও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম তাঁকে প্রদত্ত এই গৌরবময় সম্মাননার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেন্ঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক (বিপিএম-বার পিপিএম), পুলিশের চট্টগ্রাম রেন্ঞ্জ দপ্তরের সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তাঁর কর্মজীবনের আরো সাফল্যের জন্য এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম সবার কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চেয়েছেন।

    বুধবার ১৭ জুলাই পুলিশের চট্টগ্রাম রেন্ঞ্জের ডিআইজি’র কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার) পিপিএম আনুষ্ঠানিকভাবে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম কে চট্টগ্রাম রেন্ঞ্জের শ্রেষ্ঠ এসপি’র সনদ ও সম্মাননা প্রদান করেন।

    এসময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পুলিশের চট্টগ্রাম রেন্ঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি গণ চট্টগ্রাম রেন্ঞ্জ কার্যালের অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাগণ ও পুলিশের চট্টগ্রাম রেন্ঞ্জের সকল পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন। এর আগে নভেম্বর ২০১৮, জানুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল ২০১৯ মাসেও কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম সার্বিক কর্মকান্ড বিবেচনায় চট্টগ্রাম রেন্ঞ্জের শ্রেষ্ঠ এসপি’র সম্মাননা পেয়েছিলেন।

    প্রসঙ্গত, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম বিগত সালের ১৭ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারে পুলিশ সুপার হিসাবে যোগদানের পর মহেশখালীতে ৪৩ জন কূখ্যাত জলদস্যূকে আনুষ্ঠানিকভাবে সারেন্ডার করান, চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে ১০২ জন চিহ্নিত ইয়াবাকারবারীকে সারেন্ডার করিয়েছেন।

  • দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে ড্রেজারে হামলা ভাঙ্গচুর, শ্রমিককে হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে

    দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে ড্রেজারে হামলা ভাঙ্গচুর, শ্রমিককে হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে

    • নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকেঃ

    সাভারের আশুলিয়ায় দাবিকৃত চাদা না দেওয়ায় বালু তোলার ড্রেজার ভাঙ্গচুর ও ড্রেজারের শ্রমিকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি সুমন পন্ডিত এর বিরুদ্ধে।

    শনিবার সকালে আশুলিয়ার সিন্দুরিয়া নদীতে বসানো হোসেন এন্টারপ্রাইজ ড্রেজারে তিনি তার দলবল নিয়ে ভাঙ্গচুর চালান বলে অভিযোগ উঠেছে।

    ড্রেজারের মালিক মজিবর জানান, সুমন পন্ডিত এর আগে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তার অফিসে যেতে বলে। কাজের ব্যস্ততার কারনে তার অফিসে যেতে না পারায় শনিবার সকালে তার ড্রেজারে ভাঙ্গচুর চালিয়ে প্রায় ১ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়। মুলত তিনি তার এলাকায় ব্যবসা পরিচালনা করলে তাকে চাঁদা দিতে হবে বলে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন বার বার। আমাদের শ্রমিকদের গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়ে যান তিনি। আমি এলাকার বাহিরে আছি জানিয়ে তিনি বলেন, আশুলিয়ায় ফিরে তার বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করবেন।
    আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক সুমন পন্ডি বলেন হামলা ও চাঁদা দাবীর ঘটনা মিথ্যা এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটে নাই। আর যদিও কেউ এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তাহলে বিকেলে আমরা বসে আপোস করে নিবো।

    বলেন দলের ভিতরে এই ধরনের লোক রাখা যাবে না। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান আশুলিয়া থানা যুবলীগের সভাপতি কবির সরকার।

    আশুলিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জকে চাঁদা দাবীর হামলার বিষয়ে জানালো হলে তিনি বলেন লিখিত কোন অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

  • ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী  অনুষ্ঠানে সভাপতি জয় এবং সাধারণ সম্পাদক ভট্টাচার্য দায়িত্ব পালন করবেনঃ সভানেত্রী শেখ হাসিনা

    ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী  অনুষ্ঠানে সভাপতি জয় এবং সাধারণ সম্পাদক ভট্টাচার্য দায়িত্ব পালন করবেনঃ সভানেত্রী শেখ হাসিনা

    • ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
      ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেলেন।

    নানা বিতর্ক ও সমালোচনা আর অভিযোগের মুখে অবসান হলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে। ৪ মাস পর ‘ভারপ্রাপ্ত’ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ‘ভারমুক্ত’ হলেন।

    শনিবার (৪ জানুয়ারি) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এমন ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
    বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সভাপতি শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সর্বোচ্চ পদ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ভারপ্রাপ্ত। এ বিষয়টি ছাত্রলীগের জন্য কেমন কেমন জানি লাগে।
    এই দুই পদকে তিনি ভারমুক্ত করার জন্য ছাত্রলীগের অভিভাবক শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানান তিনি। ওবায়দুল কাদেরের অনুরোধের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা তাদের ভারপ্রাপ্ত পদকে ভারমুক্ত ঘোষনা দেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অনুরোধ করেছেন ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদকে ভারমুক্ত করতে। সেই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে আজকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ভারপ্রাপ্ত থেকে ভারমুক্ত ঘোষণা করলাম। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এখন ভারমুক্ত হলো।
    গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে নানা বিষয় বিতর্কের কারণে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়।
    তখন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। সেই থেকে ছাত্রলীগের শীর্ষপদটি ভারপ্রাপ্ত অবস্থায়ছিল।

  • সাভারের আশুলিয়ায় পোষাক শ্রমিক স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা,স্বামী পালাতক

    সাভারের আশুলিয়ায় পোষাক শ্রমিক স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা,স্বামী পালাতক

    • শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকেঃ

    সাভারের আশুলিয়ায় লাবনী আক্তার নামে এক পোশাক শ্রমিক স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে স্বামী। এঘটনায় স্বামী পালাতক রয়েছে । শনিবার (৪ জানুয়ারী) দুপুরে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার বিপ্লব কুমারের বাড়ী থেকে এ মরদেহটি উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।

    নিহত লাবনী আক্তার মাদারীপুর জেলা সদরের হোগলপাতিয়া গ্রামের মৃত কবির হাওলাদারের মেয়ে। তিনি শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার শারমিন গ্রুপ নামে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। নিহতের স্বামী মাসুদ রানা মাগুরা জেলার বাসিন্দা এবং তিনিও পেশায় একজন পোশাক শ্রমিক।

    এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল হুদা জানান, খবর পেয়ে নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে ওই নারীকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। এ ঘটনায় পর থেকে নিহতর স্বামী পালাতক রয়েছে, কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। নিহত হওয়ার ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।

  • সাভারে উত্তোরণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দরিদ্র বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেন-ওসি এএফএম সাহেদ

    সাভারে উত্তোরণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দরিদ্র বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেন-ওসি এএফএম সাহেদ

    • শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকেঃ

    সাভারে উত্তোরণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমানের সহযোগিতায় শীতার্ত বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। শীত বস্ত্র বিতরনে প্রধান অতিথি হিসেবে সাভার মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ এএফএম সায়েদ উপস্থিত থেকে প্রায় দুই শতাধিক দরিদ্র বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে এই শীতবস্ত্র বিতরণ করেন তিনি।

    শনিবার ৪ জানুয়ারি বিকেলে সাভার পৌর এলাকার ১ নং ওয়ার্ডের বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে এই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

    সাভার মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ এএফএম সায়েদ বলেন, উত্তোরণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমানের সহযোগিতায় এই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। উত্তোরণ ফাউন্ডেশন শুরু থেকেই অবহেলিত বেদে ও হিজরা সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলো। পরবর্তীতে অবহেলিত হিজড়াদের মাঝে এই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবেও বলে জানান তিনি।

    এ সময় উত্তোরণ ফাউন্ডেশনের পরিচালক রমজান আলীসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।