Author: sattersangbad24

  • সাভারের সিআরপি এলাকায় র‌্যাব-৪ এর অভিযানে রেজাউল করিম (৪৭) নামে ধর্ষণের চেষ্টাকারী গ্রেফতার

    সাভারের সিআরপি এলাকায় র‌্যাব-৪ এর অভিযানে রেজাউল করিম (৪৭) নামে ধর্ষণের চেষ্টাকারী গ্রেফতার

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক সাভার থেকেঃ

    সাভারের সিআরপি এলাকায় থেকে মোঃ রেজাউল করিম (৪৭) নামে ১ জন ধর্ষণের চেষ্টাকারীকে সিপিসি-২, র‌্যাব-৪ এর অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে।

    র‍্যাব জানায়, সোমবার দুপুরে সিআরপি হাবিবুর রহমান এর বাড়িতে ভাড়া বাসায় বসবাস করতো ধর্ষণের চেষ্টাকারী মোঃ রেজাউল করিম।গ্রেফতারের পর আসামীকে সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
    ঐ নারী সাভারের সিআরপি এলাকায় ভাড়া বাসা খোঁজার জন্য গেলে ঐ নারীকে ভাড়া বাসা খোঁজার এক পর্যায়ে
    বাসা দেখানোর কথা বলে তাকে তার রুমে নিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা করে তাকে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানী করে।
    নারী বাঁচার জন্য ধর্ষনকারীকে তা হাতের কোনুই দ্বারা আঘাত করে ও পা দ্বারা লাথি মেরে দৌড়ে পালিয়ে আসলে রাস্তায় র‍্যাব-৪ এর টহলরত দ্বায়িত্বপালন করা র‍্যাবের একটি গাড়ী দেখলে তাদেরকে বিষয়টি জানায়।
    পরে টহলরত দ্বায়িত্বপালন করা র‍্যাব-৪ এর দল ঐ সময় সিআরপি হাসপাতালের পার্শ্বে ভাড়া বাসা হতে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের চেষ্টাকারী মোঃ রেজাউল করিমকে গ্রেফতার করে সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করে।

    র‍্যাব-৪ এর কোম্পানী অধিনায়ক,উপ- পরিচালক মেজর শিবলী মোস্তফা জানান,গ্রেফতারকৃত ধর্ষণের চেষ্টাকারী মোঃ রেজাউল করিমকে সাভার মডেল থানায় দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(৪)(খ) আইনে ৬ জানুয়াী ১২ নম্বর মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এইরুপ করলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে র‌্যাব-৪ এর সাঁড়াসি অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে যুদ্ধাহত পক্ষাঘাতগ্রস্তদের চিকিৎসা সাহায্যার্থে ভেলরি টেইলর বাংলাদেশে উজ্জল দৃষ্টান্ত

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে যুদ্ধাহত পক্ষাঘাতগ্রস্তদের চিকিৎসা সাহায্যার্থে ভেলরি টেইলর বাংলাদেশে উজ্জল দৃষ্টান্ত

    সত্যের সংবাদস্বাস্থ্যডেক্সঃ

    পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র সিআরপি (সেন্টার ফর দ্যা রিহ্যাবিলিটেশন অফ দ্যা প্যারালাইজড) একটি ব্যতিক্রমী চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র। মানবসেবার মহান ব্রত নিয়ে মিস ভেলরি টেইলর প্রতিষ্ঠা করেন সিআরপি। ঢাকার অদূরে সাভারে ১৪ একর জমির উপর গড়ে তোলেন এর প্রধান কার্যালয়। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ সারা বাংলাদেশে সিআরপি’র মোট ১২টি সেন্টার রয়েছে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ অনুযায়ী আমাদের দেশে শতকরা দশ ভাগ মানুষ কোনো না কোনো প্রতিবন্ধিতার শিকার। সড়ক দুর্ঘটনা, গাছ থেকে পড়ে যাওয়া, জন্মগত ত্রুটি, শিল্প কারখানার দুর্ঘটনা, স্পাইনাল কর্ডের আঘাত প্রভৃতি কারণে প্রতিদিনই পক্ষাঘাতগ্রস্ত হচ্ছে অনেক মানুষ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে এই পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়ে তাদের সারা জীবন কাটাতে হয়। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা পেলে পঙ্গুত্বের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। সিআরপি এ ধরনের মানুষের চিকিৎসার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করে থাকে।

    রিসার্চ, মেইন্টেইনিং এন্ড এভালুয়েশন অফিসার মাহমুদুল হাসান আল জামান জানান, সিআরপি আউটডোর ও ইনডোর এ দুই ধরণের সেবা দিয়ে থাকে। শুক্রবার ব্যতীত যে কোনোদিন মাত্র ৫০ টাকার বিনিময়ে আউটডোর বিভাগে রোগী দেখানো যায়। আউটডোরে প্রতিদিন প্রায় ১৫০ জন নতুন ও ৩০০ জনের মত পুরাতন রোগী আসে। স্ট্রোক, প্যারালাইসিস, বাত ব্যথা জনিত, স্পোর্টস ইঞ্জুরিতে আক্রান্তরা সাধারণত চিকিৎসা নিতে আসে আউটডোরে। যেহেতু এক সেশনে এ ধরণের রোগীর সম্পূর্ণ চিকিৎসা করা সম্ভব হয় না তাই পরবর্তী সেশনগুলোর জন্য পুরাতন রোগীরা এসে থাকেন।

    ফিজিওথেরাপির ক্ষেত্রে ৪০০ টাকা, ২০০ টাকা নেওয়া হয়। এখানে যার যার মাসিক আয় গ্রেড অনুযায়ী চার্জ নেয়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে গ্রেড এ-তে মাসিক যিনি ১০ হাজার টাকার বেশি আয় করেন সে ৪০০ টাকা এবং বি গ্রেডের যিনি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা আয় করেন সে ২০০ থেকে ১০০ টাকা এবং এর নিচের রোগীর ক্ষেত্রে কোনো চার্জ নেয়া হয় না। মাসিক আয় যাচাই করেই সকল ধরণের চিকিৎসাখরচ নির্ধারণ করা হয়। কারো কারো ক্ষেত্রে তা বিনামূল্য।

    ইনডোরে ১০০ জনের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। শিশু ও প্রতিবন্ধী এবং মেরুরজ্জুতে আঘাতপ্রাপ্তদের চিকিৎসা করা হয় এখানে। মেডিকেল উইং, ফিজিওথেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি, স্পিচ এন্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপিএই চার বিভাগে চিকিৎসা করা হয়।

    এটি রিহ্যাব সেন্টার হওয়ায় ডাক্তারের চেয়ে থেরাপিস্টদের প্রাধান্য বেশি। এখানে ডাক্তার রয়েছে ১০ জন আর থেরাপিস্ট প্রায় ১০০ জন।

    পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীকে তার দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে স্বনির্ভর করে তুলতে অকুপেশনাল থেরাপির গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশে কেবল সিআরপিই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অকুপেশনাল থেরাপি সুবিধা প্রদান করে যাচ্ছে। যাদের কথা বলতে সমস্যা হয় তাদের জন্য বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা পদ্ধতির নাম হচ্ছে স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি। বাংলাদেশে সিআরপিই প্রথম প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এই থেরাপির ওপর স্নাতক ডিগ্রি প্রদান ও থেরাপি সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

    সেরিব্রাল পলসি, কগনিশন ও অটিজমসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক প্রতিবন্ধিতার শিকার শিশুদের চিকিৎসাসেবার জন্য এখানে রয়েছে শিশু বিভাগ। এ বিভাগের ইনচার্জ হোসনেআরা পারভীন জানান, এখানে শিশুদের ইনপেশেন্ট এবং আউটপেশেন্ট দু’ভাবেই সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। শিশুদের থেরাপি সেবা প্রদানের পাশাপাশি তাদের মায়েদের প্রশিক্ষণ ও নির্দেশনা দেয়া হয় যাতে তারা বাড়ি ফিরে তাদের শিশুদের এই সেবা অব্যাহত রাখতে পারে।

    শারীরিক প্রতিবন্ধিতার শিকার শিশুদের দেহভঙ্গি সঠিক রাখা, শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখা ও সহজে দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে পারার লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠিত হয় স্পেশাল সিটিং চেয়ার বিভাগ। এই বিভাগের মাধ্যমেই বিশেষ বিশেষ প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি এই স্পেশাল সিটিং-এ লোহার এবং কাঠের তৈরি বিভিন্ন ধরনের চেয়ার তৈরি করা হয়ে থাকে। এই হাসপাতালে কোনো পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগী আসলে রোগীর উপযোগী করে চেয়ার তৈরি করে দেয়া হয়।

    পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের জন্য বিশেষ চেয়ার , সার্ভাইক্যাল পিলো, লাম্বাররোলসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়ক সামগ্রী তৈরি করা হয়। যাদের হাত, পা, আঙ্গুল নেই তাদের জন্য এখানে বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম অঙ্গ তৈরি করে দেয়া হয় এবং সংযোজন করে থাকে প্রস্থেটিক্স ও অর্থোটিক্স বিভাগ।

    সিআরপি পুনর্বাসন সেবার অংশ হিসেবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করে থাকে। এ লক্ষ্যেই সিআরপির সাভার ও গণকবাড়ি কেন্দ্রে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে। যেখানে বিনামূল্যে শারীরিক প্রতিবন্ধিতার শিকার ব্যক্তিদের নিজ নিজ শিক্ষা, দক্ষতা ও আগ্রহ অনুযায়ী সেলাই, ইলেকট্রনিক্স মেরামত, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, দোকান ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি তাদের কর্মসংস্থানের ব্যাপারেও সহায়তা করে থাকে। ডোনার পাওয়া গেলে প্রশিক্ষন শেষে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়।

    সিআরপি ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠা করে একীভূত স্কুল উইলিয়াম অ্যান্ড মেরি টেইলর স্কুল। জন্মগত বা অন্যান্য কারণে প্রতিবন্ধিতার শিকার হয়ে সমাজ থেকে ছিটকে পড়া শিশুদের শিক্ষা ও সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করা এ স্কুলের লক্ষ্য।

    প্রতিবছর বিভিন্ন দেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবী এসে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের বিনামূল্যে সেবা দিয়ে থাকেন। গুলশান হামলার আগে প্রতি মাসে এ সংখ্যা ছিল ২০-২৫ জন। বর্তমানে ৭ জন আছেন। যুক্তরাজ্য থেকে আগত জর্জিনা’র সাথে কথা হয়। তিনি ওখানকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিওথেরাপি নিয়ে পড়াশুনা করেছেন। এক বছর হল সিআরপিতে আছেন, চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। বেশির ভাগ বিদেশী তবে কিছু দেশি সেচ্ছাসেবীও কাজ করে। স্বেচ্ছাসেবীদের সবাই বিশেষজ্ঞ নয়। যে যার সামর্থ্য মতো সেবা দিয়ে থাকেন। সারা বাংলাদেশে সবক’টি সেন্টার মিলে মোট স্টাফ ৯০৩ জন।

    ক্রমান্বয়ে সিআরপি’র কলেবর বৃদ্ধি পেয়ে ঢাকার মিরপুর, সাভারের গনকবাড়ি, মানিকগঞ্জ এছাড়া পুরানো ঢাকার একটি পাইলট প্রজেক্টসহ ৮টি জেলার ৬১টি উপজেলায় সিআরপি’র সমাজভিত্তিক পুর্নবাসন কর্মসূচি চালু রয়েছে। সর্বস্তরের স্থানীয় প্রতিবন্ধীদের সহয়োগিতার লক্ষে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ১৩ জেলায় ১১৫টি উপজেলায় কার্যক্রম বিস্তৃত হয়েছে। মানব সেবার এক বিশেষ মাইলফলক সিআরপি। সমাজের অগনিত প্রতিবন্ধী ও পক্ষাঘাতগ্রস্ত মানুষের জীবন সাজাতে নিবিড়ভাবে কাজ করে চলেছে অলাভজনক এই প্রতিষ্ঠানটি।

    সিআরপি’র কিছু লোকাল ও বিদেশী ডোনার আছে। বিদেশী দাতা সংস্থাগুলোকে ফ্রেন্ডস অব সিআরপি বলা হয়। কানাডা, যুক্তরাজ্য ভিত্তিক এ সংস্থা গুলো ফান্ড জোগাড় করে সিআরপি কে সহযোগিতা করে। বাংলাদেশ সরকারও সাহায্য করে থাকে। অনেকে ব্যক্তিগত ডোনেশন যেমন যাকাতের টাকা দেয়। তবে ৬০% খরচের টাকা সিআরপি নিজে আয় করে। নিজস্ব একাডেমিক ইন্সটিটিউট ‘বিএইচপিআই’ (বাংলাদেশ হেলথ প্রফেশনস ইনস্টিটিউট) এ ব্যাচেলর ও মাস্টার্স ডিগ্রি কোর্স চালু আছে। প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনের জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালে বিএইচপিআই প্রতিষ্ঠা করে সিআরপি। এখানকার ছাত্রছাত্রীদের বেতন ও মিরপুর সেন্টারে যে নিজস্ব ভবন আছে তার ভাড়ার টাকা দিয়ে আয় হয়।

    ভেলরি টেইলরঃ
    জন্ম ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৪ সালে, যুক্তরাজ্যের ব্রুসলিতে। ১৯৬৯ সালে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় ফিজিও থেরাপিস্ট হিসেবে স্বল্পকালীন চুক্তিতে প্রথম বাংলাদেশে আসেন। সে সময় এদেশে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের চিকিৎসা ও পুর্নবাসনের তেমন কোনো ব্যবস্থা ছিল না। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে চলে যান নিজ জন্মভূমিতে।

    ভেলরি টেইলরঃ

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যার্থে বিদেশী বিশেষজ্ঞদের বাংলাদেশে আসার আহ্বান জানালে ১৯৭২ সালে ভেলরি ফিরে আসেন। ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে রোগীদের সেবা দিতে শুরু করেন। রোগীদের সেবার পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করেন।
    তিনি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন হাসপাতালে ছুটে গিয়েছেন। মানুষকে ফিজিও থেরাপির কথা জানিয়েছেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, এ ধরণের রোগীদের সাময়িক চিকিৎসা দিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ করা সম্ভব না।

    এক পর্যায়ে ১৯৭৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের একটি পরিত্যক্ত গোডাউনে মাত্র চারজন রোগী নিয়ে সিআরপি’র কাজ শুরু করেন। মানুষের সচেতনতা ও রোগীর সংখ্যা দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৯৮১ সালে ধানমন্ডির শংকরে বাড়ি ভাড়া করে সিআরপি’র কাজ চালানো হয়। এক পর্যায়ে ফার্মগেটের একটি ভাড়া বাড়িতেও কিছুদিন সিআরপি’র কাজ চলে।

    অবশেষে ১৯৯০ সালে সাভারে ১৪ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠা করা হয় সিআরপি’র প্রধান কার্যালয়। মিস ভেলরি টেইলরের অক্লান্ত পরিশ্রম, ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে সিআরপি আজ এক পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠান। রয়েছে এক বিশাল দেশী-বিদেশী কর্মীবাহিনী, তাদের মেধা, শ্রম ও আন্তরিকতার ফলে প্রতিদিন সুস্থ হয়ে নিজ ঘরে ফিরছে মানুষ। সাভারে তার নামে রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে ‘ভেলরি টেলর রোড’।

    মানবসেবার স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৫ সালে বৃটিশ সরকার এই নারীকে ‘অর্ডার অব দ্য বৃটিশ এম্পায়ার’ পদকে ভূষিত করে। ১৯৯৬ সালে তিনি আর্থার আয়ার সোনার পদক লাভ করে। স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করেন। ২০০৪ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতা পদক দেয়া হয় তাকে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের অধিকাংশ মানুষ যেখানে তাদের মৌলিক অধিকার স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত সেখানে সিআরপি’র স্বল্প খরচ ও বিনামূল্যে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন সেবাদান মানবসেবার বাংলাদেশে উজ্জল দৃষ্টান্ত।

  • জরুরী নিয়োগঃ ব্রান্ড প্রোমোটার পদবীর জন্য আবেদন, শান ফুডস্, যোগাযোগের অফিসঃ বি-৩৮, আর এস টাওয়ার (৪র্থ তলা), ধ্বসে পড়া রানা প্লাজার সাথে, বাসষ্ট্যান্ড,সাভার-ঢাকা।মোবাইলঃ 8801701623884,8801970574400

    জরুরী নিয়োগঃ ব্রান্ড প্রোমোটার পদবীর জন্য আবেদন, শান ফুডস্, যোগাযোগের অফিসঃ বি-৩৮, আর এস টাওয়ার (৪র্থ তলা), ধ্বসে পড়া রানা প্লাজার সাথে, বাসষ্ট্যান্ড,সাভার-ঢাকা।মোবাইলঃ 8801701623884,8801970574400

    জরুরী নিয়োগঃ ব্রান্ড প্রোমোটার
    পদবীর জন্য আবেদন,  শান ফুডস্,

    যোগাযোগের অফিসঃ বি-৩৮, আর এস টাওয়ার (৪র্থ তলা), ধ্বসে পড়া রানা প্লাজার সাথে, সাভার বাসস্ট্যান্ড, ঢাকা।মোবাইলঃ 8801701623884,8801970574400

    কোম্পানীঃ শান ফুডস্ (বাঁধ বাজার-কুষ্টিয়া)
    কাজের ধরনঃ মার্কেটিং (ডোর টু ডোর)
    কাজের এরিয়াঃ সাভার থানা এবং আশুলিয়া থানা।
    কাজের সময়ঃ সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত।

    ☑পদের নামঃ ব্রান্ড প্রোমোটার
    ✔পদের সংখ্যাঃ ৬ জন ছেলে।
    ✔পদের সংখ্যাঃ ৬ জন মেয়ে।
    ✔ডিউটিঃ সকাল ৯ টা – বিকাল ৫ টা
    ✔বেতনঃ ১৬,০০০ টাকা (সেলস ইনসেন্টিভ সহ)
    ✔শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ S.S.C.H.S.C পাস।
    ❇শুক্রবার বন্ধ।
    ✔সেলস এর উপর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
    বিস্তারিত জানতে কল করুন।

    ইমেইলঃ japbd.com@gmail.com

    সিভি সহ অফিসে চলে আসবেন।
    সাথে আনবেনঃ২ কপি পাসপোর্ট ছবি,NID কপি,SSC,HSC কপি।

    ডেডলাইনঃ  10 January 2020
    কাজ শুরু হবেঃ 15 January 2020

    যোগাযোগের অফিসঃ বি-৩৮, আর এস টাওয়ার (৪র্থ তলা), ধ্বসে পড়া রানা প্লাজার সাথে, সাভার বাসস্ট্যান্ড, ঢাকা।8801701623884,8801970574400

    বিঃদ্রঃ শুধুমাত্র সাভার থানা এবং আশুলিয়া থানা   এলাকায় বসবাসকারী চাকরি প্রার্থীরা যোগাযোগ করা আহবান রইলো।

  • শোক সংবাদঃ সাভার পৌর সাবেক জনপ্রিয় কাউন্সিলর মরহুম কাদের মিয়ার ছেলে ফরিদ হোসেন টুটুল মৃত্যবরণ করেছেন ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন”

    শোক সংবাদঃ সাভার পৌর সাবেক জনপ্রিয় কাউন্সিলর মরহুম কাদের মিয়ার ছেলে ফরিদ হোসেন টুটুল মৃত্যবরণ করেছেন ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন”

    ফরিদ হোসেন টুটুল আর নেই।তিনি প্যানেল মেয়র ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র এবং জনপ্রিয় কমিশনার মরহুম আলহাজ্ব আব্দুল কাদের মিয়ার বড় ছেলে ফরিদ হোসেন টুটুল। (৬ জানুয়ারি)২০২০ ইং সোমবার গভীর রাত ১২ টা ৩০ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেছেন।’ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন” পরিবার সূত্রে তার স্ট্রোক জনিত ইন্তেকাল হতে পারে।” ফরিদ হোসেন টুটুলের অকাল মৃত্যুতে সাভার পৌর ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারন মানুষের শোকের ছায়া নেমে আসে।মৃত্যেুকালে তার বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর হয়েছিলো।

    মরহুমের নামাজের জানাজা হবে মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় সাভারের রাজাশন প্রাইমারী স্কুল মাঠ প্রাঙ্গনে।

    সাভার পৌর ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেলিম মিয়াসহ আওয়ামীলীগের অংগসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ফরিদ হোসেন টুটুলের অকাল মৃত্যুতে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনাসহ শোকাহত পরিবারের মাঝে সমাবেদনা জ্ঞাপন করছেন তিনি ।

    সাভার প্রেস মিডিয়া কল্যান সমিতির পক্ষে আহবায়ক শেখ এ কে আজাদ তার এ মৃত্যতে গভীরভাবে শোকাহত ও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছেন।-বিজ্ঞপ্তি

  • ঢাকা উত্তর ও দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আওয়ামীলীগ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচন চায় সাভারে শীত বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেনঃ সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

    ঢাকা উত্তর ও দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আওয়ামীলীগ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচন চায় সাভারে শীত বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেনঃ সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

    ঢাকা উত্তর ও দক্ষিন সিটি করর্পোরেশন নির্বাচন আওয়ামীলীগ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচন চায় সাভারে শীত বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে: সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকেঃআসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আওয়ামী লীগ অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচন চায় এবং সেই নিরপেক্ষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়লাভ করবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    সোমবার ৬ জানুয়ারি দুপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সাভার উপজেলা পরিষদ মাঠে স্থানীয় গরীব অসহায় দুস্থ্যদের মাঝে শীত বস্ত্র ও শুকনো খাবার বিতরণ শেষে এক বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
    আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসময় আরও বলেন,সিটি করর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠ করতে আওয়ামী লীগ সকল ধরণের সাহায্য করবে নির্বাচন কমিশনকে বিএনপি নির্বাচনের হওয়ার আগেই বলে যে সিটি করর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠ হবে না তারা নির্বাচনে পরাজয় নিশিচত জেনে ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলছে অথচ অতীতের নির্বাচনে ইভিএম এ তারা জয়লাভ করছে বিএনপি ডিজিটাল বাংলাদেশ চায় না তাই নির্বাচন বানচাল করার জন্য তারা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে ঢাকা বাসী যাকে খুশি তাকে ভোট দিবেন কারণ এই নির্বাচন স্থানীয় সরকার নির্বাচন তাই আওয়ামী লীগ হেরে গেলেও আমাদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়বে না।
    অনুষ্ঠানে এসময় সাভার উপজেলার প্রায় দশ হাজার মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়। এসময় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
    অনুষ্ঠানে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত নন্দী রায়,সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ,ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান,সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা দৌলাসহ আরো অনেকে।

  • সাভারের আশুলিয়ায় ভুয়া চাকরিদাতা প্রতারক চক্রের ১০ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের র‌্যাব-৪

    সাভারের আশুলিয়ায় ভুয়া চাকরিদাতা প্রতারক চক্রের ১০ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের র‌্যাব-৪

    নিজস্ব প্রতিবেক,সাভার থেকেঃ

    শনিবার ৪ জানুয়ারি দুপুরে আশুলিয়ার গনকবাড়ী এলাকার রবিন প্লাজার চতুর্থ তলার ‘গ্রীন বাংলা ই-কমার্স লিমিটেড ‘ থেকে তাদের আটক করা হয়।

    আটক ব্যক্তিরা হলেন- ঢাকার ধামরাই থানার ওয়ালদী গ্রামের মৃত সানাউল্লাহর ছেলে মো. আমানুল্লাহ (৩৯), ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ থানার পালিগাঁও গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে মো. শারিয়াতুন নবী সবুজ (৩৬), রংপুর জেলার কোতোয়ালি থানার ধাপকেল্লাবন্দ গ্রামের সামসুল হকের ছেলে মাহমুদুল হাসান কলি (৩২), চাঁদপুর জেলার শ্রাবন্তী থানার কাজীরকাপ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে কাজী ফখরুল ইসলাম (২৯), ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার ভেন্দাবর নতুনপাড়া গ্রামের রেকাইত আলীর ছেলে মো. সবির হোসেন (৪৩), সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর থানার যুক্তিগাছা গ্রামের মো. জয়নাল উদ্দিনের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩০), টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার আরোহা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (৩০), গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার ভাটি বোচাগাড়ি গ্রামের মো. রাজা মিয়ার ছেলে মো. আইয়ুব (২৯), চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার পশ্চিমহাসা গ্রামের মো. আব্দুল মতিনের ছেলে মো. হারুন অর রশিদ (৩৩) ও সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানার আগবাংলা গ্রামের মো. রানু মোল্লার ছেলে মো. দুলাল হোসেন (৩৫)।

    র‌্যাব-৪ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার উনু জানান, রবিন প্লাজার চতুর্থ তলায় গ্রীন বাংলা ই-কমার্স লিমিটেড নামে একটি চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন দিন ধরে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হয় ও সেই সঙ্গে ১০ জনকে আটক করা হয়।

    তিনি বলেন, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হবে।

  • শেখ হাসিনার গতি অ্যারাবিয়ান হর্সের মতো ২৪ ঘণ্টার ১৮ ঘণ্টা দেশের জন্য কাজ করেনঃ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

    শেখ হাসিনার গতি অ্যারাবিয়ান হর্সের মতো ২৪ ঘণ্টার ১৮ ঘণ্টা দেশের জন্য কাজ করেনঃ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

    সত্যের সংবাদডেক্সঃ

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ৭৩ বছর বয়সেও শেখ হাসিনার গতি অ্যারাবিয়ান হর্সের মতো। এটা অনেকেই অবাক হন। এখনও তিনি ২৪ ঘণ্টার ১৮ ঘণ্টা দেশের জন্য কাজ করেন, পরিশ্রম করেন।

    ওবায়দুল কাদের রবিবার  রাজধানীর রমনা পার্ক রেস্তোরা প্রাঙ্গনে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন উত্তর প্রীতিভোজ ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান লিডার। তিনি ক্ষমতার রাজনীতি করেন না। দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করেন। সেটাই তিনি প্রমাণ করেছেন।

    এ সময় ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে তিনি বিএনপির উদ্দেশে বলেন, তারা নির্বাচন হওয়ার আগেই হেরে গেছেন। তাদের মুখে পরাজয়ের সুর। তারা আন্দোলনে পরাজিত, নির্বাচনে কিভাবে বিজয়ী হবে? এ দেশে দেখা যায়, যারা আন্দোলনে পরাজিত হয়, তারা কোনো দিন নির্বাচনে বিজয়ী হয় না। বিএনপি আন্দোলনে পরাজিত নির্বাচনেও তারা পরাজিত হবে- এটা ভালো করেই জানে। এ জন্য তাদের কথামালার চাতুরী। নির্বাচন হওয়ার আগেই নির্বাচন সম্পর্কে আগাম বিষোদগার, সরকারি দলকে অভিযোগ করে যাচ্ছে।

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মিটিং আহ্বান করেও সেই মিটিং হয় একটা ফ্লপ মিটিং। সেখান থেকে তারা কোন কর্মসূচি নিতে পারে না। কর্মীরা হতাশ হয়। তাদের কোনো ঘরোয়া গণতন্ত্র নেই।

    তিনি বলেন, বিএনপির জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটির বেশিরভাগ জায়গায় অস্তিত্ব নেই। কবে কমিটি হয়েছে কেউ জানে না। তাই বিএনপি নেতাদের মুখে এই কথা শোভা পায় না।

    ‘দেশ পরিবারতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া এরা কোন পরিবারের নেতা আমরা জানতে চাই। বিএনপির মূল নেতৃত্বই তো একটি পরিবার থেকে এসেছে। এটা বেগম জিয়া ও তার সন্তান তারাই তো হর্তা কর্তা বিধাতা। এখানে মির্জা ফখরুল ইসলাম তো তাদেরই ইয়েস ম্যান হিসেবে কাজ করেন।

    তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনা আমাদের সভাপতি। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা হিসেবে আসেননি। শেখ হাসিনা তার যোগ্যতার বদৌলতে প্রমান করেছেন বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের তিনিই হচ্ছেন অসীম সাহসী কান্ডারি। যার কারণে বাংলাদেশ, উন্নয়ন অর্জনে বিশ্ব সভায় বিশেষ মর্যাদায় মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে। এই সাফল্যে স্বাপ্নিক রুপকার হচ্ছে শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সাভারের আশুলিয়া বাজারের আজিজ মার্কেটে আগুন ঘটনায় ৬টি ইউনিট ১ ঘন্টা চেষ্টার পর নিয়ন্ত্রনেঃ ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিস

    সাভারের আশুলিয়া বাজারের আজিজ মার্কেটে আগুন ঘটনায় ৬টি ইউনিট ১ ঘন্টা চেষ্টার পর নিয়ন্ত্রনেঃ ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিস

    • শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকেঃ

    সাভারের আশুলিয়ায় আজিজ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট এক ঘন্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। রবিবার রাত ৯টার দিকে আশুলিয়ার দ্বিতীয় তলা আজিজ মার্কেটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, রাতের দিকে আগুন লাগার খবর পাই। আগুন নিয়ন্ত্রণে ডিইপিজেড স্টেশনের ৩ ইউনিট, উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ও সাভার ফায়ার স্টেশনের ১টি ইউনিটের এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে মার্কেটের ১৫-২০টি দোকান পুড়ে যায়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি এবং কিভাবে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে এটি তদন্ত করে বলা যাবে।

  • সাভারের জামসিং এলাকায় অজ্ঞাত নারী লাশের পরিচয় মিলছে মূল হত্যাকারী জুয়েলসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

    সাভারের জামসিং এলাকায় অজ্ঞাত নারী লাশের পরিচয় মিলছে মূল হত্যাকারী জুয়েলসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

    • শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকেঃ

    সাভার পৌর এলাকার ১ নং ওয়ার্ডের উত্তর জামসিং এলাকা থেকে গত ৩০ ডিসেম্বর বস্তায় বন্ধি হাত বাঁধা সেই নারীর হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে সাভার মডেল থানার পুলিশ। শুক্রবার ৩ জানুয়ারি দিবাগত গভীর রাতে মোবাইল ট্র‍্যাকিং এর মাধ্যমে তিন ঘাতককে আটক করেছে পুলিশ।
    রবিবার ৫ জানুয়ারি সাভার মডেল থানার পুলিশ সূত্রে বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে অবগত করেছেন।

    পুলিশ জানায়,নিহত নারীর নাম টুকটুকি (২০), তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলায়। সে তার স্বামীর সাথে সাভারের বনপুকুর এলাকায় বসবাস করতো। তার স্বামী ফুটপাতে ব্যবসা করে বলে জানা যায়। গ্রেপ্তারকৃত তিন হত্যাকারী হলো- (১) জনি (২৪), পিতা আব্দুল ব্যাপারি, (২) সেলিম (২৪), পিতা শুকুর আলী এবং (৩) জুয়েল, পিতা অজ্ঞাত। মোবাইল ট্র‍্যাকিং এর মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে জনিকে জামসিং এর নিজ বাসা থেকে আটক করা হয় ও সেলিমকে কলমা থেকে এবং জুয়েলকে ফিরিঙ্গিকান্দা এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।

    পুলিশ আরও জানায়, মূল হত্যাকারী জনির সাথে ঐ নারীর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো যার কারণে জনির আহবানে সারা দেয়। পরে জনির অন্য সহযোগীরা সেখানে এসে নারীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে তাকে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়।

    এব্যাপারে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মলয় জানান, গত ২৫ ডিসেম্বর রাতে নিহত নারী টুকটুকিকে হত্যা করে জনির বাড়িতে একটা ওয়ারড্রবের ভিতরে লাশ ঘুম করে রেখে দেয়া হয়। এরপর সময় আর সুজোগ বুঝে গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে নিহতের পায়ের মুজা দিয়ে হাত বেধে লাশ বস্তায় ঢুকিয়ে একটা কাথায় জড়িয়ে জামসিং এর ওই নির্মাণাধীন ভবনে ফেলে রাখা হয়। পরে উত্তর জামসিং মহল্লার ওই বাড়িটি থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে এলাকার লোকজনের সন্দেহ হয়। এরপর স্থানীয়রা সাভার মডেল থানাকে জানালে গত ৩০ ডিসেম্বর ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তার ভেতরে হাত বাঁধা ও মুখ জ্বলছে দেওয়া টুকটুকির লাশ উদ্ধার করে।

    পুলিশ আরও জানান, হত্যা হওয়া ঐ নারীর মোবাইলে গ্রেপ্তার জনির নম্বর সেভ করা ছিলো। এই সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অবশেষে ঘাতক তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এএফএম সায়েদ নারী টুকটুকি হত্যার দায়ে সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি রবিবার সকালে
    নিশ্চিত করেন তিনি।

  • গণতন্ত্রের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় পুলিশ সাহসিকতার ভূমিকা পালন করেছে পুলিশ-র‍্যাব কর্মকর্তাদের পদক প্রদান ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২০’ অনুষ্ঠানেঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    গণতন্ত্রের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় পুলিশ সাহসিকতার ভূমিকা পালন করেছে পুলিশ-র‍্যাব কর্মকর্তাদের পদক প্রদান ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২০’ অনুষ্ঠানেঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    • ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    গণতন্ত্রের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় পুলিশ সাহসিকতার ভূমিকা পালন ও দায়িত্বশীল ভূমিকা মানুষের প্রশংসা অর্জন করেছে। পুলিশ বাহিনীর প্রতি জনগণের বিশ্বাস এবং আস্থা অর্জিত হয়েছে পুলিশ সপ্তাহ-২০২০’ এর উদ্বোধন ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২০’ এর উদ্বোধন শেষে প্রথম দিনে ১১৮ জন পুলিশ ও র‌্যাব কর্মকর্তাকে পদক প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৪ জনকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’, ২০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’ এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২৮ জনকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)- সেবা’ এবং ৫৬ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)- সেবা’ প্রদান করা হয়েছে।
    রবিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে বার্ষিক পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি। পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে এগুলো মোকাবিলা করছে। বিশেষ করে জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয। এটা শুধু আমাদের দেশে নয়, বিদেশেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।’ তিনি জাতীয় সম্পদ রক্ষা করার জন্য পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান।

    শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির সন্ত্রাসীরা যখন অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, তখন তাদের হাতে ২৯ জন পুলিশ নিহত হয়েছিলেন। এ সময় পুলিশ অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তুলে জনগণের জানমাল রক্ষা করেছে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেছে।

    দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে। আমাদের দেশে এই বিনিয়োগ সন্ত্রাসের কারণে কোনোক্রমেই যেন ব্যাহত না হয় সেদিকে পুলিশকে ভূমিকা রাখতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে রাজারবাগ এবং পুলিশের শহীদ হওয়ার ঘটনা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

    জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন নম্বর ৯৯৯-এর উদাহরণ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশ জনগণের সেবক। বাংলাদেশের পুলিশ ইতোমধ্যেই জনগণের বিশ্বাস এবং আস্থা অর্জন করেছে। এখন ৯৯৯-এ ফোন করলেই পুলিশ দ্রুত ছুটে গিয়ে সেখানকার সমস্যার সমাধান করছেন। এতে জনগণ অত্যন্ত উপকৃত হচ্ছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি ১০ হাজার পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পেয়েছেন। এই পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ঘুষ এবং দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি । এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা। এই ঘটনা একটি সততার ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।
    অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সারা দেশের বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট এবং পতাকাবাহী দলের প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন।