Author: sattersangbad24

  • ভোলায় এক সাংবাদিক পরিচয়য়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারনার ফাঁদে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা

    ভোলায় এক সাংবাদিক পরিচয়য়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারনার ফাঁদে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা

    ভোলায় এক সাংবাদিক পরিচয়য়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারনার ফাঁদে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা

    ডেক্স সংবাদঃ
    দৈনিক আমাদের বরিশাল পত্রিকার চরফ্যাশন উপজেলা প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে সাধারণ ব্যবসায়িক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি জিবি ও অসহায় অসংখ্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ টাকা কবির নামে তথাগথিত এই সাংবাদিক। ভুক্তভোগীদের মধ্যে অন্যতম (০১)মোঃ সালাউদ্দিন, ইলেকট্রনিক ব্যবসায়িক মুন্সিরহাট,তার নামে বিভিন্ন মিথ্যা প্রচার করার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন গত ১৫-০২ নগদ ১০,০০০ টাকা হাতিয়ে নেয়। (০২) ইসমাইল কাজি আবুবকরপুর ইলেকট্রনিক ব্যবসায়িক তার কাছে ও একাধিক বার নগদ টাকা হাতিয়ে নেয়। (০৩) সু-সঙ্কর ওসমানগঞ্জ তার কাছে ও একাধিক বার চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া কবিরের প্রতি। (০৪)রসিদ মোল্লার কাছ থেকে ১০,০০০ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। (০৫) ইলিয়াস কাজি মাদ্রাসা শিক্ষক তার কাছে অনেক দিন যাবৎ চাঁদা চেয়ে আসছেন সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া কবির সে চাঁদা নাদিলে তার নামে মিথ্যা প্রচার করার হুমকি প্রধান করেন ।এবং ভোলা সরকারি কলেজের ছাত্র মোঃ রমিজ উদ্দিন রাজার কাছ থেকে বিভিন্ন ভাবে চাঁদা চেয়ে আসছেন সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া কবির ওরফে (ওলা কবির)। আমরা এই কবিরের দৃস্টান্ত মুলক শাস্তি চাই এবং দুলারহাট থানা কতৃপক্ষ কে সঠিক তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করছি।
    সূত্রঃ অনলাইন

  • সাভারের আশুলিয়ায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করলো স্বামী

    সাভারের আশুলিয়ায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করলো স্বামী

    সাভারের আশুলিয়ায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করলো স্বামী (more…)

  • সাভারে চুরি হওয়া শিশু ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব,নারীসহ আটক-২

    সাভারে চুরি হওয়া শিশু ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব,নারীসহ আটক-২

    সাভারে চুরি হওয়া শিশু ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব,নারীসহ আটক-২

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
    সাভারের হেমায়েতপুর থেকে সাত মাস বয়সী মো: ফাহিম নামে এক শিশু চুরি যাওয়ার পর ফরিদপুর থেকে সুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এঘটনায় এক নারীসহ দুই জনকে আটক করেছে র‌্যাব।

    সোমবার দুপুরে ফরিদপুর জেলার সালথা থানার বড় খায়েরদিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
    আটক জেসমিন (৩৮) ফরিদপুর জেলার নগরকোন্দা গ্রামের কোদালিয়া পশ্চিম পাড়া গ্রামের আকরাম আলীর স্ত্রী। এছাড়া জাহিদ শেখ (৪৩) একই জেলার সালথা থানার বড় খয়েরদিয়া গ্রামের মৃত জলিল শেখের ছেলে।

    র‌্যাব জানায়, সাভারের হেমায়েতপুরে জয়নাবাড়ি এলাকার সোহেল হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া শিশু ফাহিমের মা শারমিন আক্তার স্কয়ার হাসপাতালে সেবিকার কাজ করেন। গত ২৯ ফেব্রæয়ারী সন্ধ্যায় শিশু ফাহিমকে বাসায় তার নানীর কাছে রেখে কর্মস্থলে চলে যায়। এরপর রাতে পাশের কক্ষের ভাড়াটিয়া জেসমিন শিশুটিকে ছাদে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে চুরি করে নিয়ে যায়। পরে শিশুটি ও ভাড়াটিয়া জেসমিনকে খুজে না পেয়ে র‌্যাব-৪ এ লিখিত অভিযোগ দেন তার পরিবারের সদস্যরা।
    র‌্যাব প্রযুক্তির সহায়তায় ফরিদপুরে জেসমিনের অবস্থায় সনাক্ত হয়। সোমবার সেখানে অভিযান চালিয়ে জেসমিন ও জাহিদকে আটক করা হলে তাদের দেয়া তথ্যমতে ফরিদপুরের সালথা থানার বড় খয়েরদিয়া গ্রামে জাহিদের বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া শিশু ফাহিমকে উদ্ধার করা হয়।

    র‌্যাব-৪ মিরপুর শাখার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম সজল জানান, সাভার থেকে দুধের শিশু ফাহিমকে চুরি যাওয়ার অভিযোগ পাওয়ার ১২ ঘন্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করা হয়। এসময় শিশু চুরির অভিযোগে জেসমিন ও জাহিদ নামে দুই জনকে আটক করা হয়।

    তিনি আরো জানান, চুরি যাওয়া শিশুপুত্র ফাহিমকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

  • আশুলিয়ায় এক পুলিশ সদস্যর ছেলের বিরুদ্ধে সাংবাদিক পরিবারের অভিযোগ

    আশুলিয়ায় এক পুলিশ সদস্যর ছেলের বিরুদ্ধে সাংবাদিক পরিবারের অভিযোগ

    আশুলিয়ায় এক পুলিশ সদস্যর ছেলের বিরুদ্ধে সাংবাদিক পরিবারের অভিযোগ

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
    সাভারের আশুলিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিবেশীর রান্না করা খাবারে বালু ছিটিয়ে খাবার নস্ট ও হুমকি দেয়ার অভিযোগ এনে পুলিশ সদস্যের ছেলের বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।

    ভুক্তভোগীর অভিযোগ, গত শনিবার ২৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ভুক্তভোগী নিজ বাড়ির ছাদে রান্না করছিল। এসময় রান্নার ধোঁয়ায় অসুবিধা হচ্ছে এমন মিথ্যা অভিযোগ তুলে পার্শ্ববর্তী বাড়ির মালিকের স্ত্রী আসমা বেগম ও তার ছেলে রাব্বি (২৩) তাদের ছাদ থেকে ভুক্তভোগীকে আবোল তাবোল গালমন্দ করে। এর প্রতিবাদ জানালে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে একপর্যায়ে রাব্বী ছাদ থেকে বালু ছিটিয়ে দিয়ে রান্না করা সব খাবার নষ্ট করে দেয়।
    বাড়ির মোঃ মালিক আরব আলী একজন পুলিশ সদস্য হওয়ায় তার পরিবারের সদস্যরা প্রায়ই ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকাবাসীদের হেয়-প্রতিপন্ন করে কথা বার্তা বলে থাকে।

    ভুক্তভোগীর স্বামী ওবায়দুর রহমান লিটন পেশায় একজন সংবাদকর্মী হিসেবে আশুলিয়া থেকে দৈনিক মুক্ত খবর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। আশুলিয়ার বাইপাইলের কাইচাবাড়ি এলাকায় ছয় বছর আগে বাড়ি করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন তিনি।

    প্রতিবেশী পুলিশ সদস্য পরিবারের এমন আচরনে ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, ওই পুলিশ সদস্য প্রায় দুই বছর আগে এখানে বাড়ি তৈরী করার সময় ভবন নির্মাণে সরকারি নিয়ম না মানার কারণে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডে অভিযোগ করেছিলাম। আর সেই থেকেই ওই বাড়ির মালিক আরব আলি ও তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে আমার পরিবারকে লাঞ্চিত করে আসছে। প্রতিবাদ জানালে পুলিশ সদস্য হিসাবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে হুমকি প্রদান করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় এই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে।

    আশুলিয়া থানার পুলিশ উপ পরিদর্শ আল নূর তারেক বলেন, হেনস্তা ও হুমকির অভিযোগ এনে ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • রাশিয়ান ১২ তরুণীকে দেশে আনেন পাপিয়া,অল্প দিনে কোটি কোটি টাকার মালিক তিনি

    রাশিয়ান ১২ তরুণীকে দেশে আনেন পাপিয়া,অল্প দিনে কোটি কোটি টাকার মালিক তিনি

    রাশিয়ান ১২ তরুণীকে দেশে আনেন পাপিয়া,অল্প দিনে কোটি কোটি টাকার মালিক তিনি

    ডেক্স সংবাদঃ
    নরসিংদী যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নুর পাপিয়া ওরফে পিউ’র ঘনিষ্ঠদের তালিকা করছে র‌্যাব ও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পাপিয়ার সঙ্গে কার কার যোগাযোগ ছিল, কারা তার ‘রংমহলে’ আসা-যাওয়া করতেন তারও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। এতে পাপিয়ার আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা ও ঘনিষ্ঠদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

    জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়া ও তার স্বামী সুমন চৌধুরীর মুখ থেকে বেরিয়ে আসছে অনেক পিলে চমকানো তথ্য। বেরিয়ে আসছে অনেকের নাম। তদন্তে উঠে আসছে, অনেক প্রভাবশালীর সঙ্গে পিউর বিশেষ সম্পর্ক এবং ব্যবসার বিষয়টিও। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

    তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাপিয়া ওরফে পিউ জিজ্ঞাসাবাদে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন। জানা গেছে, এক শীর্ষ কর্মকর্তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল ওয়েস্টিনে। নিয়মিত সকালের নাশতা ও মধ্য রাত পর্যন্ত তিনি থাকতেন ওয়েস্টিনে। পাপিয়া বেশ কিছু দিন আগে রাশিয়া থেকে ১২ নারীকে ঢাকায় এনেছিলেন। যাদের বিমানবন্দরে আটকে দেয়া হয়। কিন্তু ওই শীর্ষ কর্মকর্তা তাদের ছেড়ে দেন। তিনি নিয়মিত পাপিয়ার মাধ্যমে বেশ কয়েকজন সরকারদলীয় নেতা ও কয়েকজন মন্ত্রীকে নারী সরবরাহ করতেন।

    তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও বলছে, রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত হোটেলে অবস্থান করে সুন্দরী যুবতীদের দিয়ে পাপিয়া পরিচালনা করতেন অবৈধ দেহব্যবসা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়া ও তার স্বামী অনেক অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। কারো মাধ্যমে কোনো কাজ হাসিল করতে চাইলে সুন্দরী যুবতীদের মাধ্যমে ওই ব্যক্তিকে পাপিয়া কৌশলে তার ডেরায় নিয়ে আসতেন। পরে গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ক্লিপসের ভয় দেখিয়ে টার্গেট পূরণ করতেন তিনি। মানসম্মানের ভয়ে ওই ব্যক্তিরাও পাপিয়ার নির্দেশের বাইরে যাওয়ার সাহস দেখাতেন না।

    এরই মধ্যে পাপিয়া-সুমন দম্পতি তাদের ব্যবসার নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছেন দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও। উদ্ধার করা হয়েছে শতাধিক ভিডিও ক্লিপসের একটি টিকটক ভিডিও। ওই ক্লিপসে দেখা যায়, পিস্তল হাতে পাপিয়া এক যুবককে টার্গেটে রেখে গুলি করার অভিনয় করছেন।

    এ ছাড়া তার অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও রয়েছে, যা তদন্ত কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখছেন। হোটেল ওয়েস্টিনের সুইমিংপুলে ৫ যুবতী নিয়ে পাপিয়ার জলকেলি দেখা গেছে একটি ভিডিও ক্লিপে। এসব কিছুই খতিয়ে দেখছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

    একাধিক সূত্র বলছে, পাপিয়াকে নিয়ে অনেক রাজনৈতিক নেতার ঘুম হারাম হয়ে গেছে। কারণ, পাপিয়াকে কারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন, কারা বিভিন্ন কমিটিতে বড় পদ পাইয়ে দিতে ভূমিকা রেখেছেন এবং কারা পাপিয়ার কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছেন এর সব তথ্য এখন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হাতে। কীভাবে পাপিয়ার উত্থান হয়েছে সে বিষয়টি নিয়েও তদন্ত চলছে। তবে এরই মধ্যে পাপিয়া অনেক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের নাম বলেছেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
    ব্যবসাবাণিজ্য থেকে শুরু করে অনেক বড় বড় নেতা, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে পাপিয়ার। প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সরকারি চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীদের বশে আনার জন্য পাপিয়া ‘এসকট সার্ভিসের’ ব্যবসা শুরু করেন। এজন্য ঢাকা ও ঢাকার বাইরের গরিব ঘরের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণীদের চাকরি দেওয়ার নাম করে এনে জোরপূর্বক ‘অনৈতিক কাজে’ বাধ্য করতেন। তদবির বাণিজ্য হাসিলের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে কমবয়সী তরুণীদের পাঠিয়ে দিতেন তিনি। এভাবে অল্প দিনেই তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান।

    পাপিয়া ও তার স্বামী সুমন সাধারণ পরিবারের সন্তান হলেও দুজনের মধ্যেই কিছুটা উচ্ছৃঙ্খল মনোভাব ছিল। পাপিয়ার রাজনৈতিক পদচারণার পেছনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতারই হাত ছিল। ‘টোপ’ হিসেবে ব্যবহার করে তার কাছ থেকে অনেকেই ফায়দা লুটেছেন। আর পাপিয়াও লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সবার ‘চাহিদা’ পূরণ করেছেন। বেপরোয়া আচরণের জন্য তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল একটি মহল। এজন্য তার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাও ঘটেছিল।

  • ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে ৩২২ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দিলো বাংলাদেশ

    ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে ৩২২ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দিলো বাংলাদেশ

    ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে ৩২২ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দিলো বাংলাদেশ

    স্পোর্টস সংবাদ ডেস্ক: সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ৩২২ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। সেঞ্চুরি করেছেন ওপেনার লিটন দাশ। মাত্র ৯৫ বলে ১০ চার ও এক ছয়ে শতরানের ইনিংস খেলেন তিনি।

    জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই নিজেদের প্রথম উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা।

    রোববার (১ মার্চ) সিলেটে সফরকারীদের বিরুদ্ধে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।

    দুই ওপেনারের ব্যাটে বাংলাদেশের শুরুটা মন্দ হয়নি। তামিম ইকবাল ব্যক্তিগত ২৪ রানে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন লিটন। দলীয় ১৪০ রানে শান্ত আউট হওয়ার পর লিটনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মুশফিক। ১৮২ রানে মুশফিক (১৯) ফেরার কিছুক্ষণ পরেই ব্যক্তিগত ১২৬ রানের সময় ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়েন লিটন।

    শেষ দিকে মোহাম্মদ মিথুন (৫০), মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (৩২) ও সাইফুদ্দিনের (২৮) তিনটি ঝড়ো ইনিংসে ৫০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৩২১ রান। জিম্বাবুয়ের পক্ষে ২ উইকেট নেন ক্রিস এমপফু।

    স্কোয়াড (একাদশ):

    বাংলাদেশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাশ, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), মোহাম্মদ মিথুন, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, তাইজুল ইসলাম, মাশরাফি মর্তুজা (অধিনায়ক) ও মুস্তাফিজুর রহমান।

    জিম্বাবুয়ে: চামু চিবাবা (অধিনায়ক), তিনাশে কামুনহুকামাবে, ব্রেন্ডন টেইলর, সিকান্দার রাজা, রেজিস চাকাবা (উইকেটকিপার), রিচমন্ড মুতুয়াম্বি, টিনোটেন্ডা মুতুমবোজি, ডোনাল্ড ত্রিপানো, উইসলি মাডভারে, ক্রিস এমপফু ও কার্ল মুম্বা।

    জিম্বাবুয়ে ব্যাট করতে নেমে ১৭ ভার শেষে ৫৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছে।

  • শিক্ষা খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে সরকার সাভারে নিটারে নবীনবরণ অনুষ্ঠানেঃ শিক্ষা উপমন্ত্রী

    শিক্ষা খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে সরকার সাভারে নিটারে নবীনবরণ অনুষ্ঠানেঃ শিক্ষা উপমন্ত্রী

    শিক্ষা খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে সরকার সাভারে নিটারে নবীনবরণ অনুষ্ঠানেঃ শিক্ষা উপমন্ত্রী

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
    আওয়ামীলীগ সরকার উচ্চ শিক্ষার হার বাড়ানোর জন্য নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন এবং শিক্ষা খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

    রবিবার (১ মার্চ) দুপুরে সাভারের আশুলিয়ার নয়ারহাট এলাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ সেন্টার (নিটারে) নবীনবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন।

    শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বিশ্বমানচিত্রে বাংলাদেশ স্থান পেতো না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানেই আজকের এই বাংলাদেশে স্বাধীন ভাবে মাথা উঁচু করে বেঁচে আছে মানুষ।

    তিনি আরে বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষ শিক্ষিত। আর শিক্ষিত জাতিই দেশকে ভালো কিছু উপহার দিতে পারে। এসময় শিক্ষায় অবদান রাখায় নিটারের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মেধাবী বৃত্তি প্রদান করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।

    নবীনবরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মকবুল হোসেন, বিটিএমএ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী খান, নিটারের অধ্যক্ষ ড.মোহাম্মদ মিজানুর রহমানসহ আরো অনেকে।

  • ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা আসছেন ১৭ মার্চ

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা আসছেন ১৭ মার্চ

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা আসছেন ১৭ মার্চ

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১৭ মার্চ সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা আসছেন। রবিবার (১ মার্চ) পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানান।

    মোমেন বলেন, ১৭ মার্চ সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ঢাকা আসবেন এখন পর্যন্ত এ সিদ্ধান্তে অটল আছেন আছে। তাকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। কারণ প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ১৭ মার্চ টুঙ্গিপাড়ায় থাকবেন।

    এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন জানিয়ে ছিলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসবেন। ওই সময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আয়োজন করা হবে। নরেন্দ্র মোদির সফর উপলক্ষে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ২ মার্চ ঢাকায় আসছেন। সচিবের সঙ্গে এসব বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। -বিজ্ঞপ্তি।

  • বেসিক ব্যাংকের ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে কানাডায় ‘আত্মগোপন’ করে আছেন মিঠু ওরফে জি বি হোসেন দ্বাম্পতি

    বেসিক ব্যাংকের ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে কানাডায় ‘আত্মগোপন’ করে আছেন মিঠু ওরফে জি বি হোসেন দ্বাম্পতি

    বেসিক ব্যাংকের ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে কানাডায় ‘আত্মগোপন’ করে আছেন মিঠু ওরফে জি বি হোসেন দ্বাম্পতি (more…)

  • ট্রলগুলোর সহায়তায় মানুষজন ভার্চুয়াল বিশ্বে প্রবেশ করছে ও তাতে জনজীবন আরো বিভাজিত

    ট্রলগুলোর সহায়তায় মানুষজন ভার্চুয়াল বিশ্বে প্রবেশ করছে ও তাতে জনজীবন আরো বিভাজিত

    এক দশক আগেও অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমের অবস্থান এমন আড়াআড়ি ছিল না। ট্রল শব্দটি সাংবাদিক ও অসাংবাদিকদের কাছে এতোটা পরিচিত ছিল না। অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। গত কয়েক বছরে ট্রল শব্দটি একটি জনপ্রিয় শব্দে পরিণত হয়েছে। অনলাইন ও সামাজিক মাধ্যমে শব্দটি জ্যামিতিক হারে বাড়ছে।

    এই জাতীয় ট্রলগুলো নৈতিকতা গঠনে কতটা সহায়ক হতে পারে। প্রথমে বুঝতে হবে কেন ট্রলিংয়ের মতো জিনিসগুলো প্রথম দিকেই এতো জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

    মানুষ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মিডিয়া ও প্রকাশনা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে তৈরি করা খবরের দিকে আগ্রহ নিয়ে হয়ে থাকে। মিডিয়া ও জনগণের মধ্যে সম্পর্কটি মূলত সরল যোগাযোগের। মিডিয়া বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করে আর জনগণ তা জানতে পারে।

    একজন সাধারণ মানুষ মিডিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে ভাল যেটা করতে পারে তা হল সম্পাদকীয় বিভাগে একটি চিঠি লেখা বা সেই সংবাদপত্র বা সাময়িকী কেনা বন্ধ করা, বা সেই চ্যানেলটি দেখা থেকে বিরত থাকা।

    অনলাইন মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়া সেটি বদলে দিয়েছে। এ দুই মাধ্যম জনগণকে তাদের মতামত সম্পর্কে সোচ্চার হওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে। পাঠক যে কোনো ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া অনলাইন নিউজ ওয়েবসাইটগুলোর মন্তব্য বিভাগে প্রকাশ করতে পারেন।

    সোশ্যাল মিডিয়ায়, একজন ব্যক্তি যে কোনও সমস্যা সম্পর্কে বিশ্লেষণ লিখতে পারেন। একই সাথে যে কেউ দেখার জন্য এটি পোস্টও করতে পারেন।

    এই নতুন মত প্রকাশের স্বাধীনতা অবশ্যই অপব্যবহারের জন্য দায়ী। ইন্টারনেট ট্রলিং ও সাইবার বুলিংকে মত প্রকাশের স্বাধীনতার অপব্যবহারের অংশ হিসাবে অভিহিত করা যেতে পারে। সমস্যা হল, এই জাতীয় ট্রলগুলো তাদের চিন্তাভাবনা প্রক্রিয়ার কিছু অন্ধকার অংশ প্রকাশে আরও সাহসী করে তোলে।

    ট্রলগুলোর সহায়তায় মানুষজন ভার্চুয়াল বিশ্বে প্রবেশ করছে ও তাতে জনজীবন আরো বিভাজিত হয়ে যাচ্ছে। প্রায়শই সাংবাদিক ও লেখকরা শেষের দিকে এই ধরণের ট্রলিংয়ের দিকে ঝোঁকেন। সাংবাদিক হিসেবে ট্রলগুলোতে প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে?

    এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের ভূমিকা বোঝা দরকার। একটি মিডিয়া আউটলেট কেবল একটি সংস্থাই নয়। একজন সাংবাদিক কেবল অফিসিয়াল পরিচয়পত্রের পেশাদার নন। তার অনেক দায়িত্ব থাকে।

    একজন সাংবাদিকের আইডি কার্ডে সাধারণত “প্রেস” শব্দটি লেখা থাকে এবং এই শব্দটি সাংবাদিক বা এমনকি কোনও নির্দিষ্ট মিডিয়া হাউসের চেয়ে অনেক বড়। এটি এমন একটি সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করে যার সার্বজনীন সমস্যা ও ঘটনাগুলোর তদারকি ও জনসাধারণের বিষয়ে তার দায় রয়েছে।

    সাংবাদিকদের দেওয়া ঘটনা প্রবাহের উপর একটি নির্দিষ্ট জনগণের আস্থা রয়েছে। একটি সংবাদ সবার পছন্দ নাও হতে পারে। অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ার আড়াআড়ি সম্পর্ক, সেই অপছন্দ ট্রলিং আকারে আসতে পারে তবে এর অর্থ এই নয় যে সাংবাদিকরা এর প্রতিক্রিয়া জানাবে।

    তবে সাংবাদিকরা ট্রলের প্রতিক্রিয়া কীভাবে জানায় তা সাম্প্রতিক সময়ে মারাত্মক হয়ে উঠেছে। প্রথমদিকে, নিউজরুমে স্বাভাবিক নিয়ম ছিল ট্রলগুলোকে সংবাদে ব্যবহার না করা তবে বিপুল সংখ্যক মিডিয়া আউটলেট সেই অবস্থান থেকে সরে গেছে, গল্পের আগ্রহ তৈরিতে ট্রলগুলো কার্যকর ভূমিকা রাখে বলে তারা আবিস্কার করে।

    এখানে বুঝতে হবে যে ট্রলগুলো শূণ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠে না বরং এটি জটিল আর্থ-সামাজিক অনলাইন ও মিডিয়া হাউসগুলোর আর্থিকভাবে বেঁচে থাকার মাধ্যম হিসাবে অবিচ্ছেদ্য অংশ নয়। তবে বিশ্ব নাগরিক হিসেবে যুক্ত থাকতে কথোপকথন চালিয়ে যাওয়া ও চালিয়ে যেতে সহায়তা করতে পারাসহ দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।

    ট্রল উদ্দেশ্য ও আচরণে বিভিন্ন আকার ও আকৃতির হওয়ায় বাঁধাধরা নিয়ম ভুলে ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। ট্রলিং এমনভাবে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে তাকে নিরুৎসাহিত করা যাবে না তবে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

    সাংবাদিক হিসেবে ট্রলিংয়ের বিষয়ে নিজস্ব অবস্থান থাকাটা স্বাভাবিক বিষয়। ব্যবসায়িক পরিচালক ও বিপণন প্রধান অবশ্যই মিডিয়া হাউসের ব্যবসায়ের দিকটি তদারক করার সাথে সাথে ট্রলে লিপ্ত হতে পারেন তবে নিউজরুমের অনুশীলনকারীদের এই অনুশীলনে লিপ্ত হওয়া উচিত নয়।

    লেখক: ফয়সাল মাহমুদ

    তথ্য- দ্য ইন্ডিপেডেন্ট বিডি