Category: ক্যাম্পাস

  • কালোজিরা সকল রোগের ওষুধ, ক্যা’ন্সারের রোগীকে কালোজিরা খাওয়ানো হয়না কেন?

    কালোজিরা সকল রোগের ওষুধ, ক্যা’ন্সারের রোগীকে কালোজিরা খাওয়ানো হয়না কেন?

    কালোজিরা সকল রোগের ওষুধ, ক্যা’ন্সারের রোগীকে কালোজিরা খাওয়ানো হয়না কেন?

    হেল্থ ডেক্সঃ
    একটা বক্স হাতে FBS এর দিকে আরজুকে যেতে দেখলাম। ডাক দেবার পর থামলে জিজ্ঞেস করি, কই যাচ্ছিস?
    আরজু বললো, ক্যান্সার আক্রান্ত এক মায়ের জন্য টাকা তুলতে যাচ্ছে সে।
    এরকম জনহিতকর কাজে সবসময়ই এগিয়ে আসে আরজু, তবে কাউকে বলেনা, এমনকি আমাকেও যেতে বলেনা। ভাবলাম এমনিতেই তো ফ্রি আছি, তাই আরজুর সাথে গেলাম এক ক্যান্সার আক্রান্ত মায়ের জন্য টাকা তুলতে।

    সবার কাছে গিয়ে ঐ অসুস্থ মায়ের দূর্দশার কথা বলতে থাকলাম।যে যেরকম পারছে দানবক্সে টাকা দিচ্ছে, কেউ ১০ টাকা, কেউ ২০ টাকা, আবার একটু আগে একজন ১০০০ টাকারও একটা নোট দিলেন।
    ডাকসুর সামনে যেতে বিপ্লব ভাইকে দেখলাম।সিগারেটের ধূয়া আকাশের দিকে ছেড়ে ঐ ধোয়ার দিকে তাকিয়ে আছেন।

    বিপ্লব ভাইয়ের কাছে গিয়ে একটু কথাবার্তা বলে ক্যান্সার আক্রান্ত ঐ মায়ের জন্য টাকা চাইলাম।
    বিপ্লব ভাই হেসে বললেন, “এই ১০ লক্ষ টাকা তুলে আর কী করবা তার চেয়ে বরং ঐ মা’কে সামান্য কালোজিরা খাওয়াও।ঠিক হয়ে যাবেন।”
    এরকম মুহূর্তে বিপ্লব ভাইয়ের মজা নেওয়া দেখে আমার কিছুটা বিরক্ত লাগলো, বেচারা সিচুয়েশনও বুঝেননা।বিরক্তির সুরে বললাম, “ভাই এগুলো কি বলছেন,ক্যান্সার হইছে এর মধ্যে কালোজিরা খাইয়ে কি হবে?

    বিপ্লব ভাই হাসলেন, হাসি থামিয়ে বললেন, “তোমাদের নবী নাকি বলছেন কালোজিরা সকল রোগের ওষুধ (!) তাহলে আবার টাকা তুলে ক্যান্সার রোগীদের সাহায্য করার দরকার কি?কালোজিরা খাওয়ালেই তো হয়।”

    বিপ্লব ভাই যেটা বলছেন, সেটাতো আসলেই সত্যি। ছোটবেলায় এরকম ওয়াজ শুনেছিলাম যে, কালোজিরা খাইলে সব রোগ কমে যায়, তাহলে ক্যান্সার রোগীকে কালোজিরা খাওয়ানো হয়না কেন? নাকি এই হাদীসটি অযৌক্তিক!

    আরজু বিপ্লব ভাইকে পাল্টা জিজ্ঞেস করলো, “আচ্ছা ভাই,আপনি কি এই হাদীসটা কোনো হাদীস গ্রন্থ থেকে পড়েছেন, কিংবা কোনো হাদীসের এপস থেকে পড়েছেন?”
    বিপ্লব ভাই অনেকটা রেগে গিয়ে বললেন, “তার মানে,আমি কি মিথ্যা বলছি? এটা সহীহ বুখারীর হাদীস।”
    আরজু বললো, “ভাই আমি ঐটা বলিনি, হাদীসটা সহীহ না জাল।আমি জিজ্ঞেস করছি এই হাদীসটা আপনি কোথায় থেকে জানছেন? মুক্তমনা ব্লগ থেকে নাকি হাদীসের বই থেকে?”

    বিপ্লব ভাইয়ের কন্ঠ এখন একটু নরম হলো, তিনি বললেন, “আমি ব্লগ থেকে জানছি।”
    আরজু হাসলো, “আমি জানতাম এরকমই হবে।আপনারা হাদীস শিখেন মুক্তমনা ব্লগে ঢুকে, হাদীসের এতগুলো বই বাদ দিয়ে যেখানে ইসলামের বিদ্বেষী লেখালেখি হয় সেখানে যান। হাদীস শিখতে।”

    আরজুর কথাশুনে বিপ্লব ভাই সত্যি সত্যি রেগে গেলেন, আরজুকে শাসিয়ে বললেন, “হইছে হইছে এবার আমার প্রশ্নের উত্তর দাও।ক্যান্সার রোগীকে তোমাদের নবীর কথামতো কালোজিরা খাওয়াও না কেন?”
    আরজু বললো, “আপনার বলা মিথ্যা হাদীসটির সংশোধন আগে করে নেই। নবী সা: বলেছেন, কালোজিরা সাম ব্যতীত সকল রোগের উপশম (healing)। সাম মানে হলো মৃত্যু। (বুখারী: ৫৬৮৮, তিরমিযী ২০৪১, ইবনু মাজাহ ৩৪৪৭)।
    ভালো করে দেখুন এখানে ওষুধ বলা হয়নি, বলা হয়েছে উপশম/healing। এখন বলুন উপশম আর ওষুধ কি এক হয়?”

    নিজের ভূয়া তথ্যের জালে নিজেই আটকে গিয়ে বিপ্লব ভাইয়ের মুখ দিয়ে আর কোনো কথা বের হচ্ছেনা।
    আরজু বলে চললো, “তবে কালোজিরাতে এমন সব উপাদান আছে যা ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের পথপ্রদর্শক ইবনে সিনা তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘কানুন ফিত তিবব’ (Canon Of Medicine) গ্রন্থে বলেছেন, কালোজিরা দেহের প্রাণশক্তি বাড়ায় এবং এর মধ্যে শতাধিক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যার মধ্যে ২১ শতাংশ প্রোটিন, ৩৮ শতাংশ শর্করা, স্নেহ পদার্থ ৩৫ শতাংশ এবং বাকি অংশ ভিটামিন ও খনিজ।”

    বিপ্লব ভাই বললেন, এগুলো তো তোমদের নবীর হাদীস ডিফেন্স করতে গিয়ে মুসলিম বিজ্ঞানীর কথা।তিনি তো কালোজিরার পক্ষেই সাফাই গাইবেন।
    আরজু হাসলো, “আপনাদের নিয়ে পারিও না! আমেরিকার বিখ্যাত ডাক্তার জোসেফ মেরকোলার (Joseph Mercola) নাম শুনছেন?”

    বিপ্লব ভাই না সূচক মাথা নাড়লেন।
    আরজু বলে চললো, উনি হলেন আমেরিকার একজন বিখ্যাত ডাক্তার। Fat for fuel:A Revolution, The No-Grain Diet এরকম কয়টি বিখ্যাত বইও লিখেন।
    কালোজিরা নিয়ে ৬৫০ টা রিসার্চ করা হয় উনার অধীনে। এই রিসার্চ এর সমাপ্তীতে তিনি বলেন,কালোজিরার মধ্যে ফার্মাকোলজিকাল কমপক্ষে ২০ টা উপাদান আছে।
    তারমধ্যে থাইমোকুইনইন (Thymoquinone) হলো এন্টি-ক্যান্সারের জন্য ব্যবহৃত উপাদান।
    কালোজিরার মধ্যে এই থাইমোকুইনইন উপাদানটি পাওয়া যায়।

    অক্সিডিটিভ স্ট্রিস (Oxidative Stress) ডায়াবেটিস নিরোময়ে ব্যবহৃত হয়।
    কালোজিরার মধ্যে এই উপাদানটি ও পাওয়া যায়।
    বিপ্লব ভাইয়ের হাতের সিগারেটের শেষ টান দিলেন।
    আরজু বললো, “নবী সা: বলেননি রোগ হলে কালোজিরা খেতে, তিনি বলেছেন কালোজিরা খেতে যাতে সেটি রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে আরো শক্তিশালী করে। কিন্ত হাদীসের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে আপনি বলছেন ওষুধের কথা!”

    সিগারেট ফেলে দিয়ে বিপ্লব ভাই পকেট থেকে ১০ টাকা বের করে দানবক্সে রাখলেন।
    আমি বললাম, বিপ্লব ভাই! সিগারেটের পকেটে কিন্ত লেখা আছে, ‘Smoking causes Cancer’
    তাই ধূমপানও করুন, কালোজিরাও খান।
    আমার কৌতুক শুনে বিপ্লব ভাই হাসলেন।
    আমরা চললাম পরবর্তী জনের কাছে,
    “ভাই, আমাদের বন্ধুর মা ক্যান্সারে আক্রান্ত, একটু যদি সাহায্য করতেন…”
    লেখক ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের শিক্ষার্থী

  • খুকৃবি ভিসির স্ত্রী ছেলে মেয়ের নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত

    খুকৃবি ভিসির স্ত্রী ছেলে মেয়ের নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত

    খুকৃবি ভিসির স্ত্রী ছেলে মেয়ের নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত

    ডেক্স সংবাদদ
    খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবি) তিনটি পদে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এসব পদে খুকৃবির ভাইস চ্যান্সেলরের স্ত্রী, মেয়ে এবং ছেলে আবেদন করেছিলেন বলে জানা গেছে।

    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব নীলিমা আফরোজ স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি রোববার রাতে যুগান্তরের কাছে স্বীকার করেছেন খুকৃবির ভিসি এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার।

    মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের অধ্যাপক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক এবং প্রশাসনিক শাখায় কর্মকর্তা/সমমান (৯ম গ্রেড) পদের নিয়োগ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।

    জানা যায়, এসব পদে খুকৃবির ভাইস চ্যান্সেলরের স্ত্রী, মেয়ে এবং ছেলে আবেদন করেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ভাইস চ্যান্সেলর নিজেই নিয়োগ কমিটিতে উপস্থিত না থাকার আবেদন করেন মন্ত্রণালয়ে।

    পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের অধ্যাপক নিয়োগ বোর্ডের জন্য যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এবং অপর দুটি নিয়োগ বোর্ডের জন্য গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত) ড. একিউএম মাহবুবকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যে গত ৯ ডিসেম্বর ফের মন্ত্রণালয় থেকে আরেকটি নির্দেশনায় তিনটি পদেই নিয়োগ কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।

    খুকৃবির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. শহীদুর রহমান খান বলেন, নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এটা সম্পূর্ণ মন্ত্রণালয়ের বিষয়। কেন বা কী কারণে দিয়েছে জানি না। পরবর্তী নির্দেশনা পেলেই নিয়োগ কার্যক্রমের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সাভারের রেডিও কলোনি মডেল স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক কাশেম হার্ট এটাকে মৃত্যু,একই মাসে দুইজকে হারিয়ে গভীর সমবেদনা

    সাভারের রেডিও কলোনি মডেল স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক কাশেম হার্ট এটাকে মৃত্যু,একই মাসে দুইজকে হারিয়ে গভীর সমবেদনা

    সাভারের রেডিও কলোনি মডেল স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক কাশেম হার্ট এটাকে মৃত্যু,একই মাসে দুইজকে হারিয়ে গভীর সমবেদনা

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার,থেকেঃ
    সাভার উপজেলার রেডিও কলোনি মডেল স্কুলের ব্যবসায়ী শাখার হিসাব বিজ্ঞানের সিনিয়র শিক্ষক
    আবুল কাশেম গত রাত ১১ টায় হার্ট এটাক হলে সাভারের এনাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে রাত ১ টায় মৃত্যু ঘোষনা করেন।  (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘ ২২ বছর সুনামের সহিত শিক্ষকতা করেছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫২ বছর৷ মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী রেখে গেছেন।

    ১৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ১১ টায় রেডিও কলোনি মডেল স্কুল মাঠ প্রাঙ্গনে ১ম নামাজের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় রেডিও কলোনি মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক এইচ এম শাহ্ আলম মিঞ্জাসহ স্কুলের শিক্ষক ও বেতারের ষ্টাফ,শিক্ষার্থী, অভিভাবগ জানাযায় অংশগ্রহন করেন। জানাযা শেষে মুরহুমের শেষবারে মুখটি দেখতে দেয়া হয়। পরে তার গ্রামের বাড়ী বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলায় নিয়ে যাওয়া হয়।
    মুরহুমের বগুড়া জেলার ধুনট থানায় তার দ্বিতীয় জানাজা শেষ অনুষ্ঠিত হয়ে দাফন সম্পন্ন করা হবে।রেডিও কলোনি মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক এইচ এম শাহ্ আলম মিঞ্জা ও সহকারী প্রধান শিক্ষক অরুপ চক্রবর্তী মুরহুমের আত্বার মাগফেরাত কামনাসহ পরিবার ও পরিজনের প্রতি সমাবেদনা জানিয়েছেন।
    শিক্ষার্থীরা জানান তার এ মৃত্যু ভালমনের ভালমানের শিক্ষক হারালেন সকল শিক্ষার্থী তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন।

    উল্লেখ্য,গত ১ লা সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ভোর ৫ টায় অফিস সহকারী নাসিরুল ইসলাম খোকন ব্রেইন স্ট্রোকে ঢাকার সমরিতা হাসপাতালে মৃত্যুবরন করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।তিনি দীর্ঘ ১৮ বছর সুনামের সহিত অফিস সহকারী ও অতিরিক্ত ভাবে শিক্ষকতার দ্বায়িত্ব পালন করেছিলেন।
    মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। মৃত্যকালে তিনি স্ত্রী ও সন্তানসহ গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তার তার মৃত্যুতে স্কুলে ও এলাকায় শোকের বার্তা বয়ে গেয়েছিল।

  • নানা অনিয়মের অভিযোগে গণবিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার দেলোয়ারকে অব্যাহতি

    নানা অনিয়মের অভিযোগে গণবিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার দেলোয়ারকে অব্যাহতি

    নানা অনিয়মের অভিযোগে গণবিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার দেলোয়ারকে অব্যাহতি

    গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদে ২০ বছর চাকরি করার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ধরা পড়ে রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেনের শিক্ষা সনদ ভুয়া প্রমান মিলেছে। পরে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সব সদস্যের সম্মতিক্রমে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

    শনিবার ঢাকার ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল ভবনের মেজর এটিএম হায়দার বীরউত্তম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত গণবিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

    ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় সদস্যদের মধ্যে অধ্যাপক ড. আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক হোসনে আরা শাহেদ, অধ্যাপক আলতাফুন্নেসা, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. লায়লা পারভীন বানু উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জুমের মাধ্যমে জরুরি সভায় যোগ দেন ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ, ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদ্দাচ্ছের আলী, ওয়ালিউল ইসলাম এবং শিরীন পারভীন হক।

    গণবিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, ভুয়া শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট দিয়ে ২০০২ সালের ৩ আগস্ট গণবিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন দেলোয়ার হোসেন। কিন্তু বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ড তার আচার-আচরণ দেখে শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। এ অবস্থায় ট্রাস্টি বোর্ড গোপনে রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেনের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে তদন্ত করতে থাকে। খোঁজখবরের এক পর্যায়ে জানতে পারেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন ইন্টার পাস। তিনি গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রিধারী ও মাস্টার্স পাসের সনদ দিয়ে গণবিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি নিয়েছেন।

    সম্প্রতি এক ছাত্রীকে মোবাইল কলের মাধ্যমে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছিলো।

  • ছাত্রীর সঙ্গে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অশ্লীল ফোনালাপ ফাঁসে চলছে তোলপাড়

    ছাত্রীর সঙ্গে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অশ্লীল ফোনালাপ ফাঁসে চলছে তোলপাড়

    ছাত্রীর সঙ্গে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অশ্লীল ফোনালাপ ফাঁসে চলছে তোলপাড়

    অনলাইন সংবাদ ডেস্কঃ
    সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে এক ছাত্রীর ২৬ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। মঙ্গলবার (০৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফোনালাপ ফাঁসের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে তোলপাড়।

    ফোনালাপে শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল কথাবার্তা বলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেন ওই রেজিস্ট্রার। ফোনালাপে ছাত্রীকে রেজিস্ট্রার যৌন সম্পর্কের প্রস্তাবের দিয়ে এমন কিছু কথা বলেন যা প্রকাশযোগ্য নয়।

    ফোনালাপের বিষয়ে নিন্দা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) মো. নজরুল ইসলাম রলিফ বলেন, ফাঁস হওয়া ফোনালাপের বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টিদের সঙ্গে আলোচনায় বসব আমরা। আমরা তাদের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানব। যদি সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীবান্ধব না হয় তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে বড় ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে।

    এ বিষয়ে জানতে রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। একই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) লায়লা পারভীন বানু গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হননি।

    প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে এই রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ইউজিসিতে দিয়েছিল একই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক নারী শিক্ষক রেজিস্ট্রার কর্তৃক নানাভাবে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

    গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাদেরকে সময় দেন। দেখেন আমরা কি ব্যবস্থা নিই।

  • বঙ্গবন্ধুর ৪৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেনঃ প্রভাষক আতিক রহমান আতিক

    বঙ্গবন্ধুর ৪৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেনঃ প্রভাষক আতিক রহমান আতিক

    বঙ্গবন্ধুর ৪৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেনঃ প্রভাষক আতিক রহমান আতিক

    বঙ্গবন্ধুর ৪৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বিনম্র শ্রদ্ধা ও সালাম রইল ৷

    শুভেচ্ছান্তে,
    আতিক রহমান আতিক
    প্রভাষক-তেঁতুলঝোড়া কলেজ,সাভার, ঢাকা।

    কলেজে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ করতে অনুরোধ…
  • লিজেন্ড কলেজের পক্ষ থেকে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ…

    লিজেন্ড কলেজের পক্ষ থেকে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ…

    প্রয়োজনীয় সচেতনতা

    একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির অনলাইন আবেদন শুরু হয়েছে। আপনি / আপনার সন্তান আবেদন করছে, আপনি খেয়াল রাখছেন তো? কষ্ট করে হলেও আমার লিখাটি পড়ুন।
    সাভার অঞ্চলের অনেক কলেজ আছে যারা ইতোমধ্যে শিক্ষার্থী সংখ্যা ও ফলাফলে সুনাম অর্জন করেছে। আপনার সন্তান যদি ভর্তিচ্ছু হয় তাহলে কয়েকটি বিষয় ভেবে অনলাইন আবেদনের সিদ্ধান্ত নিন।
    ১। আপনার সন্তান কি নিজেই নিজের পড়াশোনার বিষয়ে মনযোগী?
    ২। আপনার সন্তান কি অনলাইনে অর্থাৎ ফেসবুক, ইউটিউবসহ অন্যান্য মাধ্যমে অতিমাত্রায় আসক্ত নয়?
    ৩। আপনার সন্তান কি রুটিন মেনে পড়াশোনা করে?
    ৪। আপনার সন্তান কি শ্রেণি কার্যক্রমে স্ব-ইচ্ছায় নিয়মিত?
    ৫। আপনার সন্তানের কলেজে যাতয়াতে কি আপনি উদ্বিগ্ন থাকেন?
    উত্তর যদি হা হয় তবে আপনার খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই, তার জিপিএ অনুসারে যে কোন কলেজে ভর্তি করালেই সে ভালো করবে ইনশাআল্লাহ।
    তবে যদি উত্তর হয় ‘না, তাহলে একটু ভেবে সিদ্ধান্ত নিন। এমন একটি কলেজ নির্বাচন করুন, যারা উপরোক্ত বিষয় সমূহ আন্তরিকতার সাথে যত্ন নিয়ে থাকে। অল্পকিছু প্রতিষ্ঠান এসব বিষয়ে যত্ন নিয়ে থাকে তাই আপনার সন্তানের বিষয়ে আপনাকেই বিবেচনা পূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আবেগের বশে একটি ভূল সিদ্ধান্ত আপনার স্বপ্নের বাস্তবায়নে অনেক বড় বাধা হয়ে দাড়াতে পারে।
    লিজেন্ড কলেজ আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ বিনির্মানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


    আমাদের সেবা সমূহঃ
    ১। আমরা শিক্ষার্থীর জিপিএ উন্নয়নে নিরলস কাজ করছি।
    ২। শিক্ষার্থী কলেজে প্রবেশের সাথে সাথেই অটোমেটিক এসএমএস দ্বারা অভিভাবকদের নিশ্চিত করে থাকি।
    ৩। শিক্ষার্থী অনুপস্থিতি ক্লাস শুরুর ১ঘন্টার মধ্যে অভিভাবকদের নিশ্চিত করে থাকি।
    ৪। কোন শিক্ষার্থীর বিশেষ প্রয়োজনে ছুটির দরকার হলে অভিভাবকের অনুমতি সাপেক্ষে ছুটি মঞ্জুর করে থাকি।
    ৫। প্রত্যেক শিক্ষকের নিবিড় তত্ত্বাবধানে ২০/২৫ জন শিক্ষার্থীর গ্রুপ করে পড়াশোনাসহ সার্বিক খোঁজ খবর নিয়ে থাকি।
    ৬। প্রত্যেক বিভাগের জন্য রয়েছে নিজস্ব সুসজ্জিত মাল্টিমিডিয়া ও সাউন্ড সিস্টেম সমৃদ্ধ শ্রেণিকক্ষ।
    ৭। সুপরিসর শ্রেণিকক্ষ লিজেন্ড কলেজের একটি স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য।
    ৮। একদল মেধাবী, অভিজ্ঞ শিক্ষকের নিবিড় পরিচর্যায় শিক্ষার্থীদের পাঠানুরাগী করে তুলে।
    ৯। সুপরিসর সমৃদ্ধ পাঠাগার, হলরুম, কমনরুম কলেজের অনন্য বৈশিষ্ট।
    ১০। প্রায় তিন হাজার স্কয়ার ফুটের সমৃদ্ধ ল্যাবরেটরি ( রসায়ন, জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান)।
    ১১। প্রত্যেক বিভাগের জন্য আবশ্যিক (১২০ আসনের) কম্পিউটার সমৃদ্ধ আইসিটি ল্যাবরেটরি।
    ১২। শিক্ষার্থী নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বিধানে পুরো কলেজ ক্যাম্পাস (সকল শ্রেণিকক্ষসহ) ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার পর্যবেক্ষণে ২৪ ঘন্টা চালু থাকে।
    ১৩। ২৪ ঘন্টা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নিজস্ব ব্যবস্থাপনা।
    ১৪। পূর্ণ কলেজ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ১০০% ডিজিটাল (একাউন্টস, পরীক্ষা, ফলাফল, বায়োমেট্রিক ফিংগারপ্রিন্ট ইত্যাদি)।
    ১৫। প্রত্যেক সিমেস্টার পরীক্ষার ফলাফল অভিভাবক সমাবেশের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রদান করা হয়।

    প্রিয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী, সম্মানিত সচেতন অভিভাবক আমাদের এ সকল শৃঙ্খলা ও নিয়মনীতি শুধুমাত্র শিক্ষার্থীর একজন নৈতিক মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার লক্ষ্যে।


    সার্বিকভাবে আমাদের প্রচেষ্টা আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ বিনির্মানে নিবন্ধিত।
    সর্বশেষ আবেদন আপনার কাছে।
    আপনার সন্তানের ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একবার লিজেন্ড কলেজ ভিজিট করুন অথবা আপনার আশেপাশে ছড়িয়ে আছে আমাদের অনেক গর্বিত শিক্ষার্থী তাদের সাথেও কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আপনার ও আপনার সন্তানের সু-সাস্থ্য কামনা করছি।

    মোঃ আব্দুর রাজ্জাক
    কলেজ সমন্বয়কারী ও প্রভাষক, ব্যবস্থাপনা।

    কলেজের ফেসবুক লিংকে ক্লিক করুন…
    https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=3315245368562895&id=346680692086059

  • করোনায় দেশের নন-এমপিও শিক্ষকদের সাড়ে ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    করোনায় দেশের নন-এমপিও শিক্ষকদের সাড়ে ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    করোনায় দেশের নন-এমপিও শিক্ষকদের সাড়ে ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    ডেক্স সংবাদঃ
    করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সাথে সাথে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত ১৬ মার্চ ২০২০ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এমপিওবিহীন শিক্ষকদের জন্য এই দুর্যোগের সময় যখন অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, তখন ৪৬ কোটি ৬৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা ৮০ হাজার ৭৪৭ জন শিক্ষক ও ২৫ হাজার ৩৮ কর্মচারীর মধ্যে বিতরণের জন্য জরুরি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মমিনুর রশিদ আমিন বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য প্রণোদনা অর্থ অনুমোদন করেছেন। তবে আমরা এখনো বাজেট হাতে পাই নি।

    প্রত্যেক শিক্ষককে ৫,০০০/= টাকা হারে এবং ২৫,০৩৮ জন ননএমপিও কর্মচারীর প্রত্যেককে ২,৫০০/= টাকা হারে মোট ১,০৫,৭৮৫ জন শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে শিক্ষা বান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার ‘বিশেষ অনুদান’ এর খাত হতে ৪৬,৬৩,৩০,০০০/= (ছেচল্লিশ কোটি তেষট্টি লক্ষ ত্রিশ হাজার) টাকা ৬৪ জন জেলা প্রশাসকের অনুকূলে বরাদ্দ প্রদান করেছেন।

    এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ননএমপিও শিক্ষকদের আর্থিক সহায়তা দিতে ইতোমধ্যেই তাদের বিকাশ, নগদ, রকেট ও মোবাইল ফোন নাম্বার সংগ্রহ করা হয়েছে।

  • আমার ক্যাম্পাস ও সংগঠন নিয়ে কিছু কথা

    আমার ক্যাম্পাস ও সংগঠন নিয়ে কিছু কথা

    আমার ক্যাম্পাস ও সংগঠন নিয়ে কিছু কথা

    নিজস্ব প্রতিবেদক:
    দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের সবাই একটি জাতীয় পরিচয়পত্র পাই। এই পরিচয়পত্রে আমাদের অভিন্ন পরিচয় উল্লেখ থাকে; জাতীয়তাঃ বাংলাদেশি। এখানে রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক বিষয়ে কোনো তথ্যের উল্লেখ থাকে না।
    একইভাবে যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিন্ন প্রক্রিয়ায় ভর্তির পর আমরা যে পরিচয়পত্র পাই সেখানেও নাম, বিভাগ, রেজিঃ নম্বরের মতো তথ্যগুলোই দেওয়া থাকে। কে-কোন দল করে এসব বিষয়ে কোনো তথ্য থাকে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে নিজের ভালোলাগার মতো অনেক কিছু করার সুযোগ থাকে।
    ক্যাম্পাসে কাজ করার জন্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক, গণমাধ্যম, প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংগঠনসহ অনেক কিছুর সাথেই নিজেকে যুক্ত করার অবারিত সুযোগ রয়েছে। তাই ক্যাম্পাসে ভর্তির পর থেকে আমাদের পরিচয়ের প্রশ্ন উঠলে আমরা এই ক্যাম্পাসের ছাত্র এটাই সবার মনে রাখা উচিত; এরপর যার যার সাংগঠনিক পরিচয়।
    প্রোগ্রাম দেখি, সাস্ট ডিবেটিং সোসাইটির ডিবেট উপভোগ করি, রিম, নোঙরের কনসার্টে যাই। এ সকল আয়োজনের পুরোটাই আমাদের জন্য। এখানে কোনো ধর্ম, বর্ণ আর আদর্শের ভেদাভেদ নাই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, মুখ্য পরিচয় বাদ দিয়ে গৌণ পরিচয়টা বেশি প্রচার করা হয়। আর ব্যক্তিটি যদি রাজনৈতিক সংগঠনের হয় তাহলে তো কথাই নেই। অবশ্য অন্য সংগঠনের নাম সেভাবে সামনে আসে না সচরাচর। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই ধরনের প্রচার বিরোধী। ব্যক্তি পরিচয় আর রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। একটার দ্বায়ভার অন্যটির ওপর চাপানো অনুচিত। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষিত সচেতন ভাইবোনদের কাছে আমার সবসময়ের প্রাণের দাবি, এই আলাদা বিষয়গুলোকে আপনারা আলাদা করেই মূল্যায়ন করবেন।
    অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহির চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের মামলা সাস্টের ইতিহাসের অন্যতম নিকৃষ্ট ঘটনার একটি। মাহির সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি, সে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল চিন্তাধারারই একজন। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, প্রশাসন, রাজনীতি, সংস্কৃতি সব কিছু নিয়েই আমাদের ক্যাম্পাস। এখানে একটা অন্যটার সাংঘর্ষিক নয়; বরং পরিপূরক।
    অনলাইনে ক্লাস বর্জন ইস্যুতে সক্রিয় থাকায় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে প্রক্টরের প্রত্যক্ষ মদদে নিজ বিভাগের ছাত্রের ওপর এই মামলা এটাই স্বাক্ষ্য দেয় যে, কোনো শিক্ষার্থীই তার কাছে নিরাপদ নয়। তাই তাকে সরিয়ে প্রকৃত অভিভাবক সমতূল্য কাউকে প্রক্টরের দায়িত্বে বসানো উচিত, যিনি সন্তান ভেবে সবাইকে বুকে আগলে রাখবেন। দমন-পীড়ন নীতি কখনো একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ হতে পারে না। প্রশাসনের এই নীতি প্রগতিশীল, মুক্ত সংস্কৃতি, মুক্তচিন্তা বিকাশের পথে চরম অন্তরায়।
    বিগত সময়ের আরও কিছু ঘটনায় প্রশাসনের এই নগ্ন চরিত্র সবার কাছে পরিস্কার হয়ে গেছে এখন। তাই ক্যাম্পাসের একজন সাবেক ছাত্র হিসেবে, প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠনের একজন কর্মী হিসেবে তাদের এই নগ্নতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং মাহিরের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার দ্রুত প্রত্যাহার দাবি করছি।
    নিজের সংগঠন নিয়ে যেটুকু না বললেই নয়, আমি আত্মসমালোচনার পক্ষে। হাজারটা দোষ আমার। তবে যে কাউকে দেখে শেখার মানসিকতা আছে, ভুল স্বীকার করার সৎ সাহস আছে। আজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের যতটুকু সমালোচনা, এর সবচেয়ে বড় কারণ যদি সাবলীল ভাষায় বলি তা হচ্ছে, দুর্বল নেতৃত্ব।
    আমাদের জেলা ইউনিটগুলোর নেতৃত্ব নির্বাচনের সিস্টেমে কিছু সমস্যা আছে। শুধুমাত্র এই একটা ভুলের কারণেই মৌলবাদী শক্তির হাতে আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলার ইস্যু তুলে দেই আমরা। ছাত্রলীগের ব্যাপ্তি বিশাল; তাই তার দায়িত্বও বেশি। সবচেয়ে বড় সংগঠন হওয়ার কারণে এর কাজের পরিধিও বড়।
    দুঃখজনক হলেও সত্য, ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গ সংগঠন, সহযোগী সংগঠনে এখন পার্টটাইম রাজনীতি করা লোকের সংখ্যাধিক্য। এরা দলের সুদিন দেখে আসে। আবার দুর্দিন থেকে চুপচাপ সরে যায়। এদের আগমনী গান সকলের দৃষ্টিগোচর হলেও প্রস্থানটা হয় অতি সঙ্গোপনে।
    এসেই তারা শর্টকাটে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করে। আর সমস্যার শুরুটা এখান থেকেই। সফলতার এমনকি ভালো কিছু করার কোনো শর্টকাট রাস্তা নেই। ধৈর্য্য এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই এগুলো অর্জন করতে হয়। কারণ রাজনীতি পৃথিবীর সবচেয়ে ধীর গতির দীর্ঘ প্রক্রিয়া।
    আওয়ামী লীগ সরকার তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায়। প্রথম মেয়াদ থেকে শুরু করে এই তৃতীয় মেয়াদ পর্যন্ত জ্যামিতিক হারে দলটির নেতাকর্মী, সমর্থক বেড়েই চলেছে। কে কার চেয়ে কত বড় আওয়ামী লীগার, এই প্রমাণ দিতেই ব্যস্ত সবাই। আদর্শ চর্চার নাম করে এমন অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেমে স্বজ্ঞানে-অজ্ঞানে দলের বারোটা বাজাচ্ছেন একেকজন। এই বিতর্কিত ব্যক্তিবর্গ কথায় কথায় দলীয় প্রধানের নাম বিক্রি করে। কারণ তাদের ব্যক্তিগত অর্জন শূণ্যের ঘরে। অতি ধূর্ত এই নব্য রাজনীতিবিদদের বাচনভঙ্গি, রুচিবোধ, নীতি-আদর্শ, সংগঠনে অবদান কোনোটাই একজন নিরপেক্ষ সাধারণ মানুষকে আওয়ামী লীগের প্রতি ইতিবাচক ধারণা জন্মাতে অনুপ্রাণিত করতে পারে না।
    বিপরীতক্রমে তাদের অশালীন কর্মকাণ্ডের ফলে দলের প্রতি সাধারণ ভোটারদের নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়। মতের অমিল হওয়ার কারণে এরা যখন খুশি, যাকে খুশি, যেভাবে খুশি শিবির ট্যাগ দিচ্ছে। ফলশ্রুতিতে প্রকৃত শিবির যারা, তারা আলোচনার বাইরে থেকে যাচ্ছে। এই যত্রতত্র ট্যাগ দেওয়ার ফলে সংগঠন এবং নেতাকর্মী সম্পর্কে জনমনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে। এতে দীর্ঘমেয়াদে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
    রাজনীতি করতে হলে ব্যক্তি ইমেজ থাকা জরুরি। নেতা হিসেবে কাউকে পছন্দ হলে ওই নেতার দল যাই হোক না কেন, মানুষ পছন্দের ব্যক্তির পেছনেই দাঁড়ায়। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ছাত্ররাজনীতি থেকে শুরু করে মূল দল পর্যন্ত এটাই চলে। তাই পার্টটাইম ভাইদের প্রতি বিনীত অনুরোধ, আপনারা গরু মোটাতাজাকরণের মতো শর্টকাট সিস্টেম পরিহার করে নেতা-সুলভ চরিত্র গঠন করুন।

  • শ্রীপুরে খেলার মাঠ থেকে গল্প-কবিতার বই দিয়ে কিশোরদের ঘরে পাঠাচ্ছে পুলিশ

    শ্রীপুরে খেলার মাঠ থেকে গল্প-কবিতার বই দিয়ে কিশোরদের ঘরে পাঠাচ্ছে পুলিশ

    শ্রীপুরে খেলার মাঠ থেকে গল্প-কবিতার বই দিয়ে কিশোরদের ঘরে পাঠাচ্ছে পুলিশ

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, শ্রীপুর থেকেঃ
    বুধবার বেলা দেড়টা। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সলিংমোড় এলাকায় মাওনা-কালিয়াকৈর সড়ক ঘেঁষে ক্রিকেট খেলায়রত কয়েক শিশু-কিশোর।

    করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ রোধে সরকারের নির্দেশ সকল প্রকার বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়েছে। বিদ্যালয় বন্ধ, দীর্ঘ ছুটিতে ঘরে থাকার অনেকটা একঘেয়েমীর জড়তা কাটাতে বাড়ির পাশেই ক্রিকেট খেলছিল জোবায়ের, রাতুল, প্রান্ত, শান্ত, শিহাবসহ প্রায় পনের-বিশজন কোমলমতি শিশু-কিশোর। তারা সকলেই স্থানীয় বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থী।

    ওই খেলার মাঠে নজরে পড়লো গাজীপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আল মামুনের। সড়কের পাশে গাড়ি দাঁড় করিয়ে তিনি গেলেন খেলার মাঠে। ক্রিকেট খেলায়রত কোমলমতি শিশু-কিশোরদের ডেকে করোনা ভাইরাস সংক্রামনরোধে ঘরে থাকাসহ কয়েকটি সরকারী সিদ্ধান্তের কথা জানালেন। বিষন্্ন মনে মাঠ থেকে ঘরে ফেরা শিশুদের হাতে তুলে দিলেন দেশের খ্যাতনামা লেখকদের গল্প-কবিতার বই।

    সহকারী পুলিশ সুপার আল মামুন বলেন, মরণঘাতী করোনা ভাইরাস আতঙ্কে আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীর অলস সময় পার করতে প্রতিটি খেলার মাঠে গিয়ে তাদেরকে বুঝিয়ে সবার হাতে একটি করে গল্প ও কবিতার বই দিয়ে তাদের বুঝিয়ে ঘরে ফেরাচ্ছি। আমি মনে করি তাতে করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অলস সময় ভালোভাবে কাটবে এবং মরণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে পারবে।

    পুলিশের হাত থেকে গল্প-কবিতার বই পেয়ে দারুণ খুশি জোবায়ের-প্রান্ত। জোবায়ের-প্রান্ত জানান, আগে পুলিশ দেখে ভয় পেতাম। কিন্তু পুলিশ যে এত ভাল হতে পারে তা আজকে দেখলাম। এখন বাসায় গিয়ে পুলিশের দেয়া বই পড়ে সময় কাটাবো।