Category: মিডিয়া সংবাদ

  • সংবাদ প্রকাশের জেরে সম্পাদককে তিন দিন আটকিয়ে রেখে নির্যাতনের পর মাদক মামলায় ফাঁসালো

    সংবাদ প্রকাশের জেরে সম্পাদককে তিন দিন আটকিয়ে রেখে নির্যাতনের পর মাদক মামলায় ফাঁসালো

    • সত্যেরসংবাদডেস্ক :

    পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের জেরে কক্সবাজার বানী পত্রিকার সম্পাদককে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। শুধু মামলা দিয়েই নয় তার পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি করছে টেকনাফ থানার ওসি প্রদিপ কুমার দাস ও সাবেক ওসি ফারিদ উদ্দিন খন্দকার। বিনা ওয়ারেন্টে ঢাকা থেকে ধরে নিয়ে টেকনাফ থানায় ৩ দিন আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতনের পর মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানকে।

    বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজি সংবাদ সম্মেলনে ফরিদুল মোস্তফার স্ত্রী হাসিনা আক্তার জানান, তার স্বামী একজন নির্ভিক সাংবাদিক। বিভিন্ন সময় টেকনাফ থানার ওসিসহ পুলিশ সদস্যদের নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করেছেন। এ কারণে তাকে গত ২১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুর এলাকার বাসা থেকে ধরে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি ফরিদুল কারাগারে মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন। তার চোখে মরিচের গুড়া দিয়ে নির্যাতন করায় বর্তমানে দুটি চোখই নষ্ট হবার উপক্রম হয়েছে। এছাড়া তার হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে পুলিশ। চিকিৎসক জানিয়েছেন তার একচোখ একেবারে অকেজো হয়ে যেতে পারে।

    হাসিনা আক্তার আরো বলেন, কক্সবাজার থাকা অবস্থায় পুলিশের নানান হয়রানির বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশী হয়রানি থেকে রেহাই পেতে কক্সবাজার ছেড়ে ঢাকায় এসে থাকতেন ফরিদুল। আর এ সুযোগে টেকনাফ থানা পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে মোস্তফার আত্মীয় স্বজনদের হয়রানি করে। বর্তমানেও এ হয়রানি অব্যাহত রয়েছে।

    ফরিদুল মোস্তফার মেয়ে সুমাইয়া মোস্তফা খান কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, তার বাবা আলোকিত সমাজ গঠনের বিভিন্ন সময় অনিয়ম দুর্নীতির খবর প্রকাশ করে আসছেন। তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে পুলিশের অপরাধ ঢাকার চেষ্টা হচ্ছে। তার বাবা দোষী হলে তাকেও বিচারেরর আওতায় আনার দাবি জানিয়ে সুমাইয়া বলেন, তাদের পরিবারের কেউ কোনো মামলার আসামী নয়। কখনো তারা কোনো অনিয়মে জড়াননি। এরপরও পুলিশ ঠান্ডা মাথায় তারা বাবাকে মামলা দিয়ে সমাজে তাদের পরিবারটিকে হেয় করেছে। বর্তমানে তারা পুলিশের ভয়ে নিজ বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাসায় থাকছেন। তারা বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহর করে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের নির্যাতনের বিষয় সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারের কাছে দাবি জানান সুমাইয়া।

  • জামালপুরে সাংবাদিকের পা ভেঙে দেয়া ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

    জামালপুরে সাংবাদিকের পা ভেঙে দেয়া ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

    • সত্যেরসংবাদডেক্সঃ

     

    জামালপুরে সাংবাদিক শেলু আকন্দর পা ভেঙে দেয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হাসান খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
    বুধবার ১৮ ডিসেম্বর রাতে শহরের মুকন্দবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
    এদিকে বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর দুপুরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে শেলু আকন্দকে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

    অভিযোগ উঠেছে, বুধবার ১৮ ডিসেম্বর শহরের দেওয়ানপাড়ায় পৌর ভূমি অফিসের পিছনে শহর বাইপাস রোডে জেলা ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হাসান খানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে ওই সাংবাদিকের দু’পা ভেঙে দেয়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেমুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় সাংবাদিক শেলু আকন্দের বড় ভাই দেলোয়ার হোসেন আকন্দ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় পৌর কাউন্সিলর হাসানুজ্জামান খান রুনু, তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হাসান খান, ভাতিজা তুষার খান, স্বজন খান ও তুহিন খানসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

    তিনি আরো জানান, বুধবার রাতেই শহরের মুকন্দ বাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে বোনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আসামি রাকিব হাসান খানকে। সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

    উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৮ মে ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হাসান খানের বাবা পৌর কাউন্সিলর হাসানুজ্জামান খান রুনুর নেতৃত্বে মোস্তফা মনজুর নামক এক সাংবাদিককে মারধরের ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায়ও রাকিব খানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা হামলায় অংশ নিয়েছিল।

    ঘটনার পরদিন (২৯ মে) জামালপুর সদর থানায় পৌর কাউন্সিলর হাসানুজ্জামান খান রুনু, তার ছেলে জেলা ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হাসান খানসহ ৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মামলাটিতে ১ নাম্বার সাক্ষী হয়েছিলেন সাংবাদিক শেলু আকন্দ। সে সময় থেকেই আসামিরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাংবাদিক শেলু আকন্দ সদর থানায় জিডিও করেছিলেন আগেই।

  • বিজয়ের মাসে সাভারে বায়োস্কোপ থিয়েটারের মুক্তিযুদ্ধু ভিত্তিক নাটক উদ্বোধনী হবে ‘এবারের সংগ্রাম’

    বিজয়ের মাসে সাভারে বায়োস্কোপ থিয়েটারের মুক্তিযুদ্ধু ভিত্তিক নাটক উদ্বোধনী হবে ‘এবারের সংগ্রাম’

    • শেখ এ কে আজাদঃ

    বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে বায়োস্কোপ থিয়েটার মঞ্চে নিয়ে আসছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক নাটক ‘এবারের সংগ্রাম’। নাটকটি বায়োস্কোপ থিয়েটারের চর্তুথ প্রযোজনা হবে। এর আগে এবছর ফেব্রয়ারীতে বায়োস্কোপ থিয়েটার মঞ্চায়ন করেছে শেত রাক্ষস নাটকটি।

    সাভার উপজেলা মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজতি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাটকটির উদ্ভোধনী প্রদর্শনী হতে যাচ্ছে। এছাড়াও বিজয়ের মাস উপলক্ষে আগামী ১৭ এবং ২৭ ডিসেম্বর বায়োস্কোপ থিয়েটার এই নাটকটির আরও দুটি প্রদর্শনী করতে যাচ্ছে। অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদের রচনায়  নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন রফিকুল ইসলাম রফিক ।

    এবারের সংগ্রাম নাটকটি পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচার, নিপীড়ন ও ষড়যন্ত্রের খন্ডচিত্র। পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক জান্তারা ষড়যন্ত্রের জাল বুনে নিরীহ বাঙালির উপর যেসব সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চেয়েছিলো, সেসব সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পরবর্তীকালে বাঙালিদের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের বহিঃপ্রকাশ নাটক- এবারের সংগ্রাম।

    নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- মোঃ তোফাজ্জল হাসেন মায়া, সোহানুর রহমান সৈকত, জায়েদুল তামিম, ইসরাত জাহান মুনমুন, মোঃ সুজন ইসলাম, সুমাইয়া আক্তার সারা, মোঃ রাসেল, জান্নাতুল ফেরদৌস, কাজী আজমেরি হক জয়া, আদনান শাহ্রিয়ার আদিত্য, আদিব শাহ্রিয়ার, এম এম সাখাওয়াত হোসেন নয়ন ,আইরিন সুলতানা ও রাকিবুল ইসলাম রাব্বি।

    বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পারভীন ইসলাম জানান এ নাটকগুলো দেখার জন্য সকলকে আমন্ত্রন রইলো। মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটকগুলো দেখলে সকলের স্বাধীনতা সম্পর্কে জ্ঞান বাড়বে।