Category: লাইফস্টাইল

  • আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল এক তরুণীর প্রেমে পড়ায় কথা বলতে আবিষ্কার হয়েছিলো টেলিফোন

    আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল এক তরুণীর প্রেমে পড়ায় কথা বলতে আবিষ্কার হয়েছিলো টেলিফোন

    • তথ্যপ্রযুক্তি সংবাদডেক্সঃ

     

    প্রয়োজনের তাগিদেই আবিষ্কৃত হয়েছে পৃথিবীর সব বড় বড় আবিষ্কার। এজন্য বলা হয়, প্রয়োজনীয়তাই উদ্ভাবনের জন্য। আধুনিক পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার হলো টেলিফোন। অনেকেই হয় তো জানেন না আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল কেন টেলিফোন আবিষ্কার করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি প্রেমিকার সাথে কথা বলতেই উদ্ভাবন করেছিলেন এ আশ্চর্য প্রযুক্তিটি। আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল এক তরুণীর প্রেমে পড়েছিলেন। ঐ তরুণীর বাসা বিজ্ঞানী গ্রাহামবেলের বাসা থেকে অনেক দূরে হওয়ায় কথা বলা কঠিন হয়ে পড়তো। এজন্য প্রায়ই কেঁদে উঠতো তার মন।
    তিনি একসময় চিন্তা করলেন,কীভাবে তার প্রেমিকার সাথে মন চাইলেই কথা বলা যায়। সে চিন্তা থেকেই তিনি আবিষ্কার করে ফেলেন টেলিফোন।
    আমরা কাউকে ফোন করলেই প্রথমেই বলি হালো।
    “হ্যালো” বলে যে শব্দটি উচ্চারন করি সেটা
    একটি মেয়ের নাম। তার পুরো নাম “মার্গারেট
    হ্যালো” (Margaret Hello). তিনি ছিলেন
    টেলিফোন আবিষ্কারক অ্যালেক্সান্ডার
    গ্রাহামবেলের প্রেমিকা। অ্যালেক্সান্ডার
    গ্রাহামবেল মার্গারেট হ্যালোকে
    খুব ভালোবাসতেন । তিনি যখন টেলিফোন
    আবিষ্কার করলেন তিনি ভাবলেন টেলিফোনে
    কথা বলা প্রথম শব্দটি হবে তার প্রেমিকার নাম। তাই
    তিনি টেলিফোনে যখন প্রথম কথা বলেন তখন
    উচ্চারণ করেছিলেন “হ্যালো”।
    সেই থেকে হ্যালো শব্দটির প্রচলন হয়ে
    আসছে বিশ্বজুড়ে। আদতে “HELLO” একটি
    ইংরেজি শব্দ। এর কোন অর্থ নেই, এই শব্দটি
    ইংরেজি ডিকশনারির অন্তরভুক্ত ছিল না, ১৮৮৩
    সালে শব্দটি ইংরেজি ডিকশনারিতে অন্তরভুক্ত
    করা হয় যার বাংলা করলে দাড়ায় “ওহে”।
    আমরা আজ বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, মা-বাবা, ভাই-বোন, প্রেমিক প্রেমিকা যার সাথেই কথা বলি না কেন হ্যালো শব্দটি ব্যাবহার করে থাকি।

  • অতিরিক্ত ইয়াবা সেবনে “এ লেভেল”র এক ছাত্রীর কক্সবাজারে মত্যু

    অতিরিক্ত ইয়াবা সেবনে “এ লেভেল”র এক ছাত্রীর কক্সবাজারে মত্যু

    কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ

    কক্সবাজারে বেড়াতে এসে অতিরিক্ত ইয়াবা সেবনের কারণে স্বর্না রশিদ (২২) নামের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।শুক্রবার ভোরে কক্সবাজারের একটি হোটেলে এই ঘটনা ঘটে। স্বর্না রশিদ প্রাইভেটে ব্রিটিশ কাউন্সিলে “এ লেভেল” এ অধ্যয়নরত ছিল। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকের মতে তিনি অতিরিক্ত ইয়াবা সেবন করেছিলেন।
    পুলিশ এ ঘটনায় ওই ছাত্রীটির প্রেমিক ওয়ালী আহমদ খানকে গ্রেফতার করে গতকালই কারাগারে পাঠিয়েছে।

    জানা গেছে, স্বর্ণা রশিদ (২১) নামের ওই মেধাবী ছাত্রী তার বন্ধু-বান্ধবের সাথে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা ছিলেন সংখ্যায় ১০/১১ জন। শুক্রুবার সকালে কক্সবাজার পৌঁছে হোটেল জামান নামের একটি হোটেলে তারা কক্ষ ভাড়া নেন। বিকালে সৈকত ভ্রমণ শেষেই হোটেল কক্ষে ফিরে বন্ধু-বান্ধব সবাই বসে যান মাদক সেবনে। সন্ধ্যার পর পরই মাদকের ঘোরে হুঁশ হারিয়ে ফেলেন মেধাবী ছাত্রী স্বর্ণা রশিদ। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে।

    জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী জানান-‘ সন্ধ্যার পর মেয়েটিকে জরুরি বিভাগে যখন আনা হয় তখন আমি তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিটে ভর্ত্তি দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা ঢাকায় ফিরে যাবার কথা বলে সিটে ভর্ত্তি না হয়ে ফিরে যান হোটেল কক্ষে।’
    ডাঃ শাহীন আরো বলেন, সঙ্গীরা মাদকসেবী মেয়েটিকে নিয়ে যাবার বেশ কিছুক্ষণ পর আবারো হাসপাতালে আসেন। তখর রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টা। ডাঃ শাহীন মেয়েটিকে পরীক্ষা করে দেখেন ততক্ষনে তার প্রাণ বায়ু নিভে গেছে। ডাঃ শাহীনের মতে বেশী পরিমাণে (ওভার ডোজ) ইয়াবা সেবন করায় তার মৃত্যু হয়েছে।
    ব্যাপারটি নিয়ে তাৎক্ষনিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দিলে স্বর্ণাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা সহপাঠিদের অনেকেই পালিয়ে যান। তবে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হন ওয়ালী আহমদ খান নামের এক তরুনকে। আটক ওয়ালী ঢাকার ২২ সিদ্ধেশ্বরী রোডের মনিমান টাওয়ারের বাসিন্দা আলী রেজা খানের পুত্র। পুলিশ তাকে সন্দেহজনক ধারায় আদালতে সোপর্দ্দ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
    পুলিশ জানিয়েছেন, স্বর্ণা রশিদ রাজধানী ঢাকার কোতোয়ালী চকবাজারের ৭ নম্বর বেগম বাজার এলাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী হারুন উর রশিদ পাপ্পুর কন্যা। কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক মোঃ শরীফ উল্লাহ স্বর্ণার পারিবারিক সুত্রের বরাত দিয়ে আরো জানান, মূলত স্বর্ণা তার মামার বাড়ীতে যাবার কথা বলেই বন্ধুদের সাথে কক্সবাজার চলে আসেন।
    শুক্রুবার রাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মৃত্যুর খবর পেয়ে গতকাল সকালে ব্যবসায়ী বাবা সহ পরিবারের আরো কয়েক সদস্য ছুটে আসনে কক্সবাজারে। পুলিশের উপ পরিদর্শক জানান, মেয়েটি বাড়ীতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে চলে আসেন কক্সবাজারে। শোকাহত বাবার আফসোসের যেন শেষ নেই। তিনি কন্যার শোকে বার বার মুর্ছা যাচ্ছিলেন। গতকাল লাশের ময়না তদন্ত শেষে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

  • মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর এলাকার যুদ্ধাআহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী সন্তান প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে দৃষ্টি আকর্ষন

    মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর এলাকার যুদ্ধাআহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী সন্তান প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে দৃষ্টি আকর্ষন

     

     

     

    শেখ এ কে আজাদঃ মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর থানার গোলড়া গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী মোঃ দুলাল খান সে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনার সাথে দেখা করতে চায় বলে জানান তিনি। শৈশবকালে তিনি এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় অঙ্গ বিকলাঙ্গ হয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে পরেন। অঙ্গ বিকলাঙ্গ হয়ে যাওয়ার কারনে সে সমাজের সুস্থ্য মানুষের মত আর চলাফেরা করতে পারেন না তিনি। অক্ষম যাওয়ার ফলে সে হাতের মধ্যে লাঠি নিয়ে ভর করে চলাফেরা করতে হয় তার। তিনি জীবন যুদ্ধু করে ধমে রাখতে চাননি শিক্ষাজীবন। সে এসএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করে স্কুল জীবন পার করতে সক্ষম হোন। এর পর জীবন যুদ্ধে সে আর স্কুল জীবন ডেঙ্গিয়ে লিখাপড়া করতে পারেনি, থেমে যায় এসএসসি পর্যন্ত লিখাপড়া করে। আর্থিক অসচ্ছল হওয়ায়

    সংসারের হাল ধরতে তিনি জীবন সংগ্রামে গাজীপুর জেলার টংঙ্গি থানা এলাকায় বাংলাদেশ সরকারের শারীরিক প্রতিবন্ধী সেন্টারে ভর্তি হয়ে দর্জি বিজ্ঞান শাখায় ১ বছর কম্পিউটার প্রশিক্ষন গ্রহন করেন। শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও মোঃ দুলাল জীবন সংগ্রামে জীবনকে বাঁচাতে চাকরির জন্যে দৌড়ঝাপ করে বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও সরকারী দপ্তরে কিন্তু কোথাও কোন চাকুরি না মিললে তিনি অন্ধকার দেখেন জীবন যুদ্ধে ভালোভাবে বেঁচে থাকার অধিকার নিয়ে (ভিক্ষাবৃত্তি পেশাও তার নিকট মূল্যহীন) । পরে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অধীনে সাভারে অবস্থিত মাশরুম উন্নয়ন প্রকল্পে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে মাস্টাররোলে ৬ মাস চাকুরি করেন, সাভার ভূমি অফিসে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে মাস্টাররোলে ৩ মাস চাকুরি করেন শুধু শাররীক প্রতিবন্ধী হওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় কম্পিউটার হিসেবে চাকুরি হলেও কোথাও স্থায়ী হয়নি বেশী দিন।এক স্কুল কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি হলে বর্তমানে সে সাভার পৌর ব্যাংককলোনি অভিজাত এলাকার অ্যাসেড স্কুল নামে প্রাইভেট স্কুলে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ চাকুরি করে চলছেন। তার সংসার জীবনে রয়েছে এক স্ত্রী ও পূত্র সন্তান,তিনি চাকরী করে যে টাকা বেতন পান তা দিয়ে সংসার চালানো কস্ট হচ্ছে। তার স্ত্রী গৃহীনি ও পূত্র সন্তান মোঃআজমির খান অ্যাসেড স্কুল থেকে ২০১৯ সনের এসএসসি কমার্স বিভাগ থেকে সাফল্যর সহিত ৪.৫০ জিপিএ পেয়ে বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর কলেজে কমার্স বিভাগে ১ ম বর্ষে অধ্যায়ন করছে।
    শারীরিক প্রতিবন্ধী মো: দুলালখান জানান তার বাবা মোঃ দেলোয়ারখান (ধলা) যুদ্ধাআহত মুক্তিযোদ্ধা ও রাষ্ট্রীয় সম্মানীভাতাপ্রাপ্ত। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণট্রাস্টের বই নম্বর-৮, পাতা নং- ১৯৭, ক্রমিক নং- ১৪৭৮২, মুক্তিবার্তা বই নং- ০১০৭০৩০২২, ই.পি.আর নং- ১৬০৪৯ তার বাড়ী গ্রাম-গোলড়া, থানা + পোষ্ট – সিংগার, জেলা-মানিকগঞ্জ। মোঃ দুলাল খান এর মোবাইল নং- ০১৭২৯৮৫৭৮৪২।