Blog

  • সাভারে স্কুলছাত্রী নীলার হত্যাকারীদের দ্রুত ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন,প্রধান আসামীর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছ আদালত

    সাভারে স্কুলছাত্রী নীলার হত্যাকারীদের দ্রুত ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন,প্রধান আসামীর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছ আদালত

    সাভারে স্কুলছাত্রী নীলার হত্যাকারীদের দ্রুত ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন,প্রধান আসামীর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছ আদালত

    সত্যের সংবাদঃ সাভারে চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্রী নীলা রায়ের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশিচত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা.এনামুর রহমান।
    শনিবার দুপুরে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের সাভারের গেন্ডা বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় নীলা রায় হত্যাকারীদের দ্রুত ফাঁসির দাবিতে সাভার নাগরিক কমিটি আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসুচীতে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন।
    দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা.এনামুর রহমান বলেন,সকল হত্যাকান্ডেই সরকারের জন্য বিব্রত হত্যাকারীদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষ হত্যা করে ঘাতকরা সাভার ও আশুলিয়া নিরপদ ভেবে এখানে ফেলে যায়। এসময় তিনি ব্যাংক কলোনী এলাকার এক কিশোর গ্যাংয়ের বাবা পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরুকে দ্রুত বহিস্কারের জন্য নির্দেশ দেন।

     

    এদিকে নীলা রায় হত্যাকারী ঘাতক কিশোর গ্যাংস সদস্য মিজানুর রহমান মিজানকে আজ দুপুরে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ সাজা নিশিচত করা হবে জানিয়ে দুপুরে সাভার মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসময় ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার বলেন এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।


    মানববন্ধন কর্মসুচীতে এসময় সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীবসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ও সুশিল সমাজের লোকজন অংশ গ্রহণ করেন।
    উল্লেখ্য গতকাল রাতে নিলা রায় হত্যাকান্ডের আসামী মিজানুর রহমান মিজানকে সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের রাজফুলবাড়িয়ার কর্নেল ব্রিকস ফিল্ডের পাশে পারভেজ নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ । এসময় পুলিশ তাঁদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে।
    এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার চারিগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মিজানুরের বাবা আবদুর রহমান (৬৯) ও মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকাকে (৪৯)। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার তাঁদের তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এছাড়া গত মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয় মিজানুরের আরেক সহযোগী সেলিম পালোয়ান নামের এক যুবককে। হত্যাকান্ডের সময় তিনি ও অংশ গ্রহণ করেন।
    নীলার পরিবারের অভিযোগ, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় গত ২০ সেপ্টেম্বর সাভারের পালপাড়া এলাকায় স্থানীয় ব্যাংক কলোনী এলাকার অ্যাসেড স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নীলা রায়কে কুপিয়ে হত্যা করেন মিজানুর রহমান মিজান নামের এক কিশোর গ্যাং। এঘটনার পর থেকে তিনি এতদিন পলাতক ছিলো।
    এ ঘটনায় নীলার বাবা নারায়ণ রায় গত সোমবার রাতে সাভার মডেল থানায় মিজানুর, তাঁর বাবা আবদুর রহমান, মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকাসহ অজ্ঞাতনামা আরও চারজনকে আসামি করে মামলা করেন। আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাভার উপজেলাবাসী।

    কিশোর গ্যাংস সদস্য মিজানুর রহমান মিজানকে পুলিশ দুপুরে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করলে প্রধান আসামী মিজানুরের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছ আদালত।

  • ঘুমন্ত অবস্থায় দেয়াল চাপায় একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু

    ঘুমন্ত অবস্থায় দেয়াল চাপায় একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু

    ঘুমন্ত অবস্থায় দেয়াল চাপায় একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু

    ডেক্স সংবাদঃ
    দিনাজপুরের পার্বতীপুরের পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ঝাউপাড়া গ্রামে শনিবার মধ্য রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় মাটির দেয়াল চাপা পড়ে দুই সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা হলেন স্বপন (৩০), স্বপনের স্ত্রী সারজানা (২৫) ও তাদের দুই শিশুপুত্র হোসাইন (৭) ও হাসিবুর (৫)। স্বপন পেশায় একজন ভ্যানচালক। ঝাউপাড়া গ্রামের মনজুরুল ইসলাম মনজু জানান, রবিবার সকালে গ্রামের লোকজন গিয়ে দেখতে পায় স্বপন, স্ত্রী সারজান ও দুই শিশুপুত্র হোসাইন ও হাসিনুর নিজ ঘরে মাটির দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে। দ্রুত লোকজন মাটি সরিয়ে তাদের মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। তারা একই বিছানায় শোয়া অবস্থায় ছিল। গতকাল শনিবার দিনে ও রাতে মুষলধারে বৃষ্টি হয়। ধারণা করা হচ্ছে এতে মাটির ঘরের দেয়ালটি ধসে পড়ে।

  • সাভারে শিক্ষার্থী নীলা হত্যার অভিযুক্ত কিশোর গ্যাং মিজানুর রহমানসহ ২ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

    সাভারে শিক্ষার্থী নীলা হত্যার অভিযুক্ত কিশোর গ্যাং মিজানুর রহমানসহ ২ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

    সাভারে শিক্ষার্থী নীলা রায় হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোর গ্যাং সদস্য মিজানুর রহমানসহ তার ২ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

    শফিকুল ইসলাম জিল্লু,সাভারঃ
    সাভারে চাঞ্চল্যকর নীলা রায় নামে দশম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোর গ্যাং সদস্য মিজানুর রহমানসহ তার ২ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিও উদ্ধার করা হয়।

    শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    এর আগে রাত ১০টার দিকে রাজফুলবাড়িয়া কর্ণেল ব্রিকস ফিল্ড এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

    প্রধান আসামি মিজানুর সাভারের ৪ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ পাড়া এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে।

    গ্রেফতার বাকী দুই আসামিরা হলেন- সাকিব ও জয়। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

    পুলিশ জানায়, সাভারে চাঞ্চল্যকর নীলা হত্যাকান্ডের ঘটনার পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা নারায়ণ রায় মিজানুর রহমান, তার বাবা আব্দুর রহমান ও মা নাজমুন নাহারসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে এরপর থেকে পলাতক ছিলেন আসামিরা। পরে গত মঙ্গলবার মিজানুরের সহযোগী সেলিম পালোয়ান ও পরে গতকাল রাতে মিজানুরের বাবা-মাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর আজ অভিযান চালিয়ে মিজানুর ও তার দুই সহযোগীকে আটক করা হয়।

    সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, নীলা হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত মিজানুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, গত রবিবার রাতে হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে নীলা রায় ও তার ভাই অলক রায়ের পথরোধ করে বখাটে মিজানুর রহমান। পরে তার ভাইয়ের কাছ থেকে নীলাকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে নিকটস্থ তার নিজ পরিত্যক্ত বাড়ির একটি কক্ষে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে রাতে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নীলার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পুলিশ আরও জানান আগামীকাল আসামীদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে।

  • সাভারের আশুলিয়ার আউকপাড়া এলাকায় একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ২০ লাখ টাকার নকল টাইগার-স্পীড জব্দ ও সিলগালা

    সাভারের আশুলিয়ার আউকপাড়া এলাকায় একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ২০ লাখ টাকার নকল টাইগার-স্পীড জব্দ ও সিলগালা

    সাভারের আশুলিয়ার আউকপাড়া এলাকায় একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ২০ লাখ টাকার নকল টাইগার-স্পীড জব্দ ও সিলগালা

    সত্যের সংবাদ ডেক্সঃ
    রাজধানীর সন্নিকটে সাভারের আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে ২০ লাখ টাকার নকল টাইগার, স্পীডসহ বিপুল পরিমাণ কার্বনেটেড বেভারেজ পণ্য জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া কারখানাটি সিলগালা করার পাশাপাশি এর মালিক পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশনের (বিএসটিআই) সম্পাদক মঈনুদ্দীন মিয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

    এর আগে দিনভর আশুলিয়ার আউকপাড়া দশদাহী এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বিএসটিআই এর ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আশুলিয়ার আউকপাড়া এলাকায় বিএসটিআই লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে মানচিহ্ন ব্যবহার করে নকল পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছিল গ্রুপ জি-৫০ বেভারেজ লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। পরে আজ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ওই প্রতিষ্ঠানের ২০ লাখ টাকার কার্বনেটেড বেভারেজ পণ্য জব্দ করা হয়।

    মূলত রয়েল টাইগার ও স্পিড এর আদলে রিয়েল টাইগার, ব্রেক আপ, রয়্যাল টাইগার, স্পিডি, ডেল্টা অরেঞ্জ নিম্নমানের পানীয় উৎপাদন করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের মালিক পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে বিএসটিআই কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পাশাপাশি কারখানাটি সীলগালাও করা হয়।

    বিএসটিআই’র এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাশিদা আক্তার ভবিষ্যতে তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
    – বিজ্ঞপ্তি

  • সাভারে স্কুল ছাত্রী নীলা রায় হত্যার ঘটনায় মানিকগঞ্জের সিংগাইরে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব

    সাভারে স্কুল ছাত্রী নীলা রায় হত্যার ঘটনায় মানিকগঞ্জের সিংগাইরে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব

    সাভারে স্কুল ছাত্রী নীলা রায় হত্যার ঘটনায় মানিকগঞ্জের সিংগাইরে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকে :

    সাভারে ছুরিকাঘাত করে শিক্ষার্থী নিলা রায় (১৪) হত্যাকান্ডের ঘটনায় আরও দুই জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪ এর একটি দল৷ এ নিয়ে পুলিশ ও র‍্যাবের অভিযানে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত সেলিম পালোয়ান নামের আসামীকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

    প্রধান আসামি মিজানুর এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

    বৃহস্প্রতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১ টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-৪ সিপিসি-২ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কোম্পানি কমান্ডার জমির উদ্দিন আহমেদ।

    গতকাল রাত ৮টার দিকে মানিকগঞ্জের সিংগাইর চারীগ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতাররা হলেন-সাভারের ব্যাংক কলোনী এলাকার হাজী আইয়ুব আলীর ছেলে আব্দুর রহমান (৬০) ও তার স্ত্রী নাজমুন্নাহার সিদ্দিকা (৫০)। হত্যা মামলায় আব্দুর রহমান ২ নং আসামি ও নাজমুন্নাহার ৩ নং আসামি।

    গত মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) মিজানুর রহমানের সহযোগী সেলিম পালোয়ান (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

    নিহত নিলা মানিকগঞ্জ জেলার বালিরটেক এলাকার নারায়ন রায়ের মেয়ে। সে তার পরিবার নিয়ে পৌর এলাকার কাজী মোকমা পাড়া এলাকার একটি বাড়ীতে ভাড়া থেকে স্থানীয় অ্যাসেড স্কুলে দশম শ্রেনীতে লেখাপড়া করত।

    র‍্যাব জানায় , গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে নিলা রায় নামের এক শিক্ষার্থীকে ছুড়িকাঘাত করে হত্যা করে মিজানুর চৌধুরী। পরে তার বাবা নারায়ন রায় বাদি হয়ে মিজানুর রহমানকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও দুই থেকে ৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। পরে বৃহস্প্রতিবার রাত ৮ টার দিকে চারীগ্রাম থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা মামমলার এজাহার ভুক্ত ২ নং ও ৩ নং আসামি।

    র‍্যাব-৪ সিপিসি-২ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কোম্পানি কমান্ডার জমির উদ্দিন আহমেদ জানান, আসামীদের সাভার থানায় হস্তান্তর করা হবে। সেই সাথে এই মামলার প্রধান আসামি মিজানুর রহমান চৌধুরীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে৷

  • আশুলিয়া থানা যুবলীগ উদ্যোগে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরস’র মামার রোগমুক্তির জন্য দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত

    আশুলিয়া থানা যুবলীগ উদ্যোগে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরস’র মামার রোগমুক্তির জন্য দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত

    আশুলিয়া থানা যুবলীগ উদ্যোগে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরস’র মামার রোগমুক্তির জন্য দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    আশুলিয়া থানা যুবলীগ উদ্যোগে রোগমুক্তি কামনায় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরস স্যারের মামা আব্দুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাত এর জন্য দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়। এসময় যুবলীগসহ অংগসংগঠনের নেতা কর্মীরা।

    বৃহস্পতিবার (২৪) বিকেলে তার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের গুমাইল এলাকায় যুবলীগ অফিসের মাঠ প্রাঙ্গনে। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা  করেন ইয়ারপুর ইউনিয়নের যুবলীগ’র সভাপতি নূরুল আমীন সরকার।

    এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহবায়ক কবির হোসেন সরদার ও যুগ্ম আহবায়ক মঈনুল হোসেন ভূইয়া,আশুলিয়া থানা যুবলীগের কসুম মোল্লা।
    ধামসোনা ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি শামীম মন্ডল ও সাধারন সম্পদক ছানোয়ার হোসেন,
    আশুলিয়া ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মন্ডল ও সাধারন সম্পাদক রাসেল মাতবর।

    এসময় যুবলীগসহ অংগসংগঠনের নেতা কর্মীসহ স্থানীয় সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

    তাং- ২৪.০৯.২০ ইং।

  • ফিরে পেলেন বিক্রি করা সন্তানকে মা : লালন-পালনের দায়িত্ব নিলেন জেলা প্রশাষক আব্দুল মতিন

    ফিরে পেলেন বিক্রি করা সন্তানকে মা : লালন-পালনের দায়িত্ব নিলেন জেলা প্রশাষক আব্দুল মতিন

    ফিরে পেলেন বিক্রি করা সন্তানকে মা : লালন-পালনের দায়িত্ব নিলেন জেলা প্রশাষক আব্দুল মতিন

    গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
    গাইবান্ধা শহরের একটি ক্লিনিকে সিজার অপারেশনের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানকে বিক্রি করে দেয়ার ঘটনা জানার পর জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে হতভাগি মা ফিরিয়ে পেলেন তার সন্তানকে। অতঃপর সেই শিশুটি মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়ে লালন-পালনের জন্য নিজেই দায়িত্ব নিলেন জেলা প্রশাসক। মাতৃহারা শিশুটি মায়ের কাছে ফিরে দেয়ার পর গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের উদ্যাগে, মা আঙ্গুরী বেগম ও তার সন্তানের চিকিৎসাসহ ত্রান ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। গাইবান্ধা সদর উপজেলা ঘাগোয়া ইউনিয়নের শোলাগাড়ি গ্রামের শাহজাহান মিয়ার বাড়িতে গিয়ে জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন এসব সহায়তা প্রদান করেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রসূন কুমার চক্রবর্তী, সহকারী কমিশনার (ভুমি) নাহিদুর রহমান, পিআইও আনিছুর রহমান , প্রেসক্লাব যুগ্ম সম্পাদক আবেদুর রহমান স্বপনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ।

    উল্লেখ্য, গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নের শোলাগাড়ি গ্রামের দিনমজুর শাহজাহান মিয়ার গর্ভবর্তী স্ত্রী আমেনা বেগমের প্রসব বেদনা উঠলে স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সিজারিয়ানের জন্য জেলা শহরের যমুনা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে সিজারের পর সন্তানসহ মা ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভর্তি থাকেন। পরে তাকে রিলিজ দেয়ার সময় ক্লিনিকের পাওনা হয় ১৬ হাজার টাকা। ওই টাকা পরিশোধ করার মত সামর্থ্য ছিল না শাহজাহান মিয়ার। এই অবস্থায় তিনি তার নবজাত শিশুটিকে সাদুল্লাপুর উপজেলার মনোহোরপুর গ্রামের এক নি:সন্তান দম্পতির কাছে বিক্রি করে দিয়ে ক্লিনিকের পাওনা পরিশোধ করেন। কিন্তু সন্তান বিক্রি করার ঘটনায় মা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। মা অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পড়ে থেকে শুধু বিলাপ করে করেন। গত শনিবার বিকেলে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষনিকভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রসূণ কুমার চক্রবর্ত্তী ও এনডিসি এসএম ফয়েজ উদ্দিনকে সন্তান হারা বাবা-মার কাছে পাঠান। পরে তাদের কাছ থেকে সন্তান গ্রহণকারীর পরিচয় জানতে পেরে সেখানে গিয়ে ওইদিন রাতে ওই সন্তানকে তাদের জিম্মায় নিয়ে নেন। এসময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সন্তান গ্রহণকারী ওই ব্যক্তিকে ১৬ হাজার টাকা পরিশোধ করে দেয়া হয়। পরে সেখান থেকে জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি দল ওই শিশুটির বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মায়ের কোলে তুলে দেন শিশুটিকে। এসময় ওই পরিবারকে চাল, ডাল তেল, শাড়ী, লুঙ্গি ও নগদ টাকা তুলে দেয়া হয়।

  • দুঃখিত বোন,নিলা খুনিদের কঠিন বিচার হোক

    দুঃখিত বোন,নিলা খুনিদের কঠিন বিচার হোক

    দুঃখিত বোন,নিলা খুনিদের কঠিন বিচার হোক

    এ.কে.এম. আসাদুজ্জামান

    আমি বলতে চাইলাম কি! আর তাঁরা বুঝলো কি!
    “যেহেতু চিৎকার দেয় নাই তাহলে জোর করে নেয় নাই যদি জোর করে নিতো তাহলে চিৎকার দিতো”
    এই কথাটা আমি ঢাকা ইউনিভার্সিটির প্রফেসর আসিফ নজরুল স্যারের একটি আরটিকেলে পড়েছিলাম। এ কথার মাধ্যমে সে বুঝাতে চেয়েছিলো যে, কেউ যদি সাহায্য চায় তাহলে আমরা তাকে সাহায্য করতে পারি আর যদি কেউ সাহায্য না চায় তাহলে আমরা তাকে সাহায্য করতে পারবোনা” বোন আমি ছেলেটাকে চিনিনা। আমিও চাই তোমার খুনির কঠিন বিচার হোক। তবে আমার কিছু প্রশ্ন আছে…..

    ১/ বোন তোমাকে যেহেতু ছেলেটা ১ বছর যাবত জ্বালাতন করতেছে তাহলে তোমার অভিভাবকরা কেনো আইনের শরণাপন্ন হলোনা? আজ যদি তারা আইনের শরণাপন্ন হতো তাহলে বোন হয়তো তুমি আজ আমাদের মাঝেই থাকতে। কিন্তুু এরকম ক্ষেএে আমরা লোক চক্ষুর ভয়ে আইনের শরণাপন্ন হইনা। এটা অসম্ভব রকমের একটা বোকামি।

    ২/ বোন ভাইয়ের সামনে থেকে কিভাবে ভয় দেখিয়ে বোনকে নিয়ে গেলো? এখানে-ও আমরা ভাই হিসাবে ব্যার্থ। আপন মানুষের কাছ থেকে যদি সাহায্য না পাই তাহলে বাহিরের মানুষের কাছ থেকেও সাহায্য আশাকরাটাও বোকামি।

    ৩/ বোন তুমি যেহেতু জানতে যে, ছেলেটা তোমার জন্য হুমকি সরুপ তাহলে তুমি কেনো কারো সাহায্য চাইলেনা বা কেনো চিৎকার করলেনা? বোন আমার বিশ্বাস তুমি যদি সাহায্য চাইতা তাহলে অবশ্যই কেউ তোমাকে সাহায্য করতো। এখানেও বোনটি আমার বোকামির পরিচয় দিয়েছে।
    তাই এই বোকামি গুলির থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। বোনটির মৃত্যুর পূবে আমরা একটু সতর্ক হলেই আজকে হয়তো অকালে বোনটিকে আমাদের হারাতে হতোনা। আর আমরা যদি এ ঘটনা থেকে শিক্ষা না নেই তাহলে এরকম হাজারো বোন আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যাবে। মারা যাওয়ার পরে বিচার চাওয়ার আগে আমাদের উচিত বেঁচে থাকা অবস্থায় বোনদের সুরক্ষার ব্যাবস্থা করা। অনেকেই হয়তো বলবেন এ পরিস্থিতিতে এরকম সম্ভব নয় তাদের উদ্দেশ্য আমি বলবো পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার নামই জীবন। আসুন আমরা সবাই এ ঘটনা থেকে সতর্ক হই। বোনটির পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা রইলো।
    ২০১৪ সালে সন্ত্রাসীরা আমার বাবাকেও হত্যা করে ছিলো। এই যন্ত্রণা আমি খুব ভালো করে বুঝি। আমার বাবাকে হত্যার পূর্বে সন্ত্রাসীরা মোবাইলে হুমকি দিয়ে ছিলো তবুও সে সতর্ক হয়নি। তাই আজ আপনাদের কে সতর্কতার মূল্য বুঝাতে চেষ্টা করতেছি। আমার কোন কথায় কেউ যদি মনে কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে দয়া করে নিজ গুনে ক্ষমা করে দিবেন।

  • “নিরক্ষর ডাক্তার”

    “নিরক্ষর ডাক্তার”

    “নিরক্ষর ডাক্তার”

    তিনি লেখাপড়া জানতেন না। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনের বাসিন্দা, বিখ্যাত সার্জন ডাঃ হ্যামিল্টন। যাকে “মাষ্টার অফ মেডিসিন” সম্মানে সম্মানিত করা হয়।

    এটা কিভাবে সম্ভব?

    চলুন, একটু জেনে নেওয়া যাক।

    “কেপটাউন মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি” চিকিৎসা জগত এবং ডাক্তারি পড়াশোনা করার জন্য বিশ্ব বিখ্যাত এক প্রতিষ্ঠান।এই বিশ্ববিদ্যালয় এমন একজন ব্যাক্তিকে মাষ্টার অফ মেডিসিন সম্মান জানিয়েছে, যিনি জীবনে কখনো স্কুলে যাননি।

    পৃথিবীর প্রথম “বাইপাস সার্জারি” হয়েছিল, কেপটাউনের এই ইউনিভার্সিটিতে।

    2003 সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রফেসর “ডাঃ ডেভিড ডেট” এক আড়ম্বর- পূর্ণ অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেন, ” আজ আমরা এমন একজন ব্যাক্তিকে সম্মান জানাতে চলেছি, যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় হাজারো পড়ুয়া সার্জারি শিখেছেন। যিনি কেবলমাত্র একজন শিক্ষক নন, বরং একজন উচ্চ মানের সার্জন এবং ভালো হৃদয়ের মানুষ।। ইনি চিকিৎসা বিজ্ঞানে যে অবদান রেখে গেছেন, সেটা পৃথিবীর খুব কম মানুষই রাখতে পেরেছেন।”

    এরপর প্রফেসর “ডেভিড” সাহেব “সার্জন হ্যামিল্টন” এর নাম নিতেই,, উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে পড়েন। উল্লাসে ফেটে পড়ে সভা ঘর। এটাই ছিলো এই বিশ্ব-বিদ্যালয়ের সবচেয়ে আড়ম্বর এবং ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান।

    হ্যামিল্টনের জন্ম কেপটাউনের প্রত্যন্ত এলাকা সোনিট্যানি ভিলেজ। তার পিতা-মাতা ছিলেন পশুপালক। ভেঁড়া এবং ছাগল পুষে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পিতা অসুস্থ হয়ে পড়লে,, হ্যামিল্টন কাজের খোঁজে কেপটাউন সিটি চলে যান।

    শহরে গিয়ে তিনি রাজমিস্ত্রি জোগাড়ে হিসাবে কাজ শুরু করেন। কেপটাউন মেডিক্যালে তখন চলছে নির্মাণ কাজ। বেশ কয়েক বছর তিনি সেখানে কাজ করেন। এরপর নির্মাণ কার্য সমাপ্ত হয়ে যায়।

    হ্যামিল্টনের কাজের মানসিকতা এবং কর্মের প্রতি নিষ্ঠা দেখে,, তাকে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ সেখানেই রেখে দেয়। তার কাজ ছিলো টেনিস কোটে ঘাস ছাঁটাই করা। তিন বছর এভাবেই চলতে থাকে। এরপর তার সামনে আসে, এক সুবর্ণ সুযোগ।এবং সেই সুযোগ তাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এমন এক স্তরে পৌঁছে দেয়, যেখানে যাওয়া একজন সাধারণ মানুষের কাছে,আকাশ ছুঁয়ে দেখার সমতুল্য।

    সেদিন প্রফেসর “রবার্ট ডায়াস” একটি জিরাফ নিয়ে গবেষণা করছেন। জিরাফ ঘাড় নিচু করে জলপান করার সময়, তার গলার ব্লাড সার্কুলেশন কমে কেনো? এটাই তার গবেষণার বিষয়। নিয়মমাফিক জিরাফকে অজ্ঞান করে দেওয়া হলো।অপারেশন চলছে, ঠিক সেই মুহূর্তে জিরাফ ঘাড় নাড়তে শুরু করে দিলো।এমতবস্থায় জিরাফের ঘাড়টা শক্ত করে ধরে রাখার জন্য, একজন শক্তপোক্ত মানুষের প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

    হ্যামিল্টন তখন ঘাস কাটায় মগ্ন।প্রফেসর তাকে ডেকে নিলেন,, অপারেশন থিয়েটারে। হ্যামিল্টন জিরাফের গর্দান ধরে রয়েছেন, অপারেশন করে চলেছেন
    প্রফেসর।

    অপারেশন কন্টিনিউ আট ঘন্টা চলতে থাকে। এর মধ্যে ডাক্টার-টিম ব্রেক নিতে থাকেন। কিন্তু হ্যামিল্টন টানা আট ঘন্টা ধরে থাকলেন জিরাফের গলা। অপারেশন সমাপ্ত হতেই, হ্যামিল্টন চুপচাপ বাইরে বেরিয়ে গিয়ে টেনিস কোর্টে ঘাস কাটতে লেগে যান।

    প্রফেসর রবার্ট ডায়াস তার দৃঢ়তা এবং কর্মনিষ্ঠা দেখে আপ্লুত হয়ে গেলেন।। তিনি হ্যামিল্টনকে “ল্যাব এসিষ্ট্যান্ট” হিসাবে পদোন্নতি করিয়ে দেন।প্রতিদিন বিভিন্ন সার্জন তার সামনে হাজারো অপারেশন করে চলেছেন,
    তিনি হেল্পার হিসাবে কাজ করে চলেছেন।এভাবেই চলতে থাকে বেশ কয়েক বছর।

    এরপর ডাঃ বার্নড একদিন অপারেশন করে, হ্যামিল্টনকে ষ্টিচ দেওয়ার দায়িত্ব দেন। তার হাতের সুনিপুণ সেলাই দেখে, ডাঃ বার্নড অবাক হয়ে যান। এরপর,বিভিন্ন সার্জন তাকে সেলাইয়ের কাজ সপে দিতে থাকেন।

    দীর্ঘকাল অপারেশন থিয়েটারে থাকার কারনে,, মানব শরীর সম্বন্ধে তার যথেষ্ট ধারণা তৈরী হয়ে যায়। তিনি ডিগ্রীধারী কোনো সার্জনের চেয়েও বেশী জানতেন,
    মানব দেহ সম্পর্কে। এরপর ইউনিভার্সিটি তাকে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রাকটিক্যাল শেখানোর কাজে নিয়োগ করে।

    জুনিয়র ডাক্তারদের শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি তিনি ইউনিভার্সিটির একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন। তিনি অবলীলায় যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন করে দিতে পারতেন। বহু সার্জন যে অপারেশন করতে কুন্ঠিত
    হতেন, তিনি অতি সহজেই সেই কাজ করে ফেলতে পারতেন।

    1970 সালে এই ইউনিভার্সিটিতে লিভার নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা শুরু হয়।তিনি লিভারের মধ্যে অবস্থিত এমন একটি ধমনী চিহ্নিত করেন, যার কারনে লিভার প্রতিস্থাপন অত্যন্ত সহজ হয়ে যায়।বিশ্ব বিখ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা অবাক হয়ে যান।।আজ তার দেখানো পথ ধরেই,লিভার ট্রান্সফার করা হয়ে থাকে।

    নিরক্ষর হ্যামিল্টন জীবনের পঞ্চাশ বছর কেপটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটিয়ে দেন।এই পঞ্চাশ বছরে তিনি একদিন ও ছুটি নেননি। প্রতিদিন ১৪ মাইল পায়ে হেঁটে
    তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতেন। তার অবদান কেপটাউন মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি তথা বিশ্ব চিকিৎসা বিজ্ঞান কোনোভাবেই অস্বীকার করতে পারবে না।

    তিনি মোট ত্রিশ হাজার সার্জনের শিক্ষা-গুরু ছিলেন।

    2005 সালে এই কিংবদন্তি মানুষটি মারা যান। তার মৃতদেহ ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের মধ্যেই দাফন করা হয়। এই বিরলতম সম্মান একমাত্র তিনিই অর্জন করতে পেরেছেন।

    কিংবদন্তি সার্জন ডাঃ হ্যামিল্টন প্রমাণ করে গেছেন, কেবলমাত্র পুঁথিগত শিক্ষাটুকুই যথেষ্ট নয়।

  • না ফেরার দেশে সাভারের নয়াবাড়ী এলাকার মৃত হাসেম মেম্বারের তৃতীয় ছেলে মোঃ আইয়ুব আলীর

    না ফেরার দেশে সাভারের নয়াবাড়ী এলাকার মৃত হাসেম মেম্বারের তৃতীয় ছেলে মোঃ আইয়ুব আলীর

    শোক সংবাদঃ

    না ফেরার দেশে সাভারের নয়াবাড়ী এলাকার মৃত হাসেম মেম্বারের তৃতীয় ছেলে মোঃ আইয়ুব আলীর

    সাভারের নয়াবাড়ী এলাকার মৃত হাসেম মেম্বারের তৃতীয় ছেলে মোঃ আইয়ুব আলী দীর্ঘ দিন যাবৎ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত ছিলেন,তিনি স্ট্রোক হয়ে ২২ সেপ্টেম্বর ২০ ইং মঙ্গলবার ভোরে মৃত্যবরণ করেছেন (ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাহি রাজেউন)। মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিল (৬০) বছর। মৃত্যকালে তিনি এক ছেলে ও স্ত্রী,ভাই-বোনসহ গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
    তার মৃত্যুতে বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা দোয়া চেয়েছেন পরিবার-পরিজন।

    সম্পাদনায়ঃআবুল কালাম আজাদ।