Blog

  • সাভারের রেডিও কলোনি মডেল স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক কাশেম হার্ট এটাকে মৃত্যু,একই মাসে দুইজকে হারিয়ে গভীর সমবেদনা

    সাভারের রেডিও কলোনি মডেল স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক কাশেম হার্ট এটাকে মৃত্যু,একই মাসে দুইজকে হারিয়ে গভীর সমবেদনা

    সাভারের রেডিও কলোনি মডেল স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক কাশেম হার্ট এটাকে মৃত্যু,একই মাসে দুইজকে হারিয়ে গভীর সমবেদনা

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার,থেকেঃ
    সাভার উপজেলার রেডিও কলোনি মডেল স্কুলের ব্যবসায়ী শাখার হিসাব বিজ্ঞানের সিনিয়র শিক্ষক
    আবুল কাশেম গত রাত ১১ টায় হার্ট এটাক হলে সাভারের এনাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে রাত ১ টায় মৃত্যু ঘোষনা করেন।  (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘ ২২ বছর সুনামের সহিত শিক্ষকতা করেছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫২ বছর৷ মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী রেখে গেছেন।

    ১৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ১১ টায় রেডিও কলোনি মডেল স্কুল মাঠ প্রাঙ্গনে ১ম নামাজের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় রেডিও কলোনি মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক এইচ এম শাহ্ আলম মিঞ্জাসহ স্কুলের শিক্ষক ও বেতারের ষ্টাফ,শিক্ষার্থী, অভিভাবগ জানাযায় অংশগ্রহন করেন। জানাযা শেষে মুরহুমের শেষবারে মুখটি দেখতে দেয়া হয়। পরে তার গ্রামের বাড়ী বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলায় নিয়ে যাওয়া হয়।
    মুরহুমের বগুড়া জেলার ধুনট থানায় তার দ্বিতীয় জানাজা শেষ অনুষ্ঠিত হয়ে দাফন সম্পন্ন করা হবে।রেডিও কলোনি মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক এইচ এম শাহ্ আলম মিঞ্জা ও সহকারী প্রধান শিক্ষক অরুপ চক্রবর্তী মুরহুমের আত্বার মাগফেরাত কামনাসহ পরিবার ও পরিজনের প্রতি সমাবেদনা জানিয়েছেন।
    শিক্ষার্থীরা জানান তার এ মৃত্যু ভালমনের ভালমানের শিক্ষক হারালেন সকল শিক্ষার্থী তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন।

    উল্লেখ্য,গত ১ লা সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ভোর ৫ টায় অফিস সহকারী নাসিরুল ইসলাম খোকন ব্রেইন স্ট্রোকে ঢাকার সমরিতা হাসপাতালে মৃত্যুবরন করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।তিনি দীর্ঘ ১৮ বছর সুনামের সহিত অফিস সহকারী ও অতিরিক্ত ভাবে শিক্ষকতার দ্বায়িত্ব পালন করেছিলেন।
    মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। মৃত্যকালে তিনি স্ত্রী ও সন্তানসহ গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তার তার মৃত্যুতে স্কুলে ও এলাকায় শোকের বার্তা বয়ে গেয়েছিল।

  • সাভারে ময়লা আবর্জনা পরে থাকা এক নারীর লাশ উদ্ধার

    সাভারে ময়লা আবর্জনা পরে থাকা এক নারীর লাশ উদ্ধার

    সাভারে ময়লা আবর্জনা পরে থাকা এক নারীর লাশ উদ্ধার

    রফিকুল ইসলাম জিল্লু,সাভার থেকেঃ
    ঢাকার সাভারে রেবেকা বেগম ( ৪০) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে সাভারের উলাইলের কর্ণপাড়া এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশ থেকে ঐ নারির লাশ উদ্ধার করা হয়।পরে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

    নিহত ঐ নারি রাজবাড়ির পাংশা থানার বাগ বেষ্টপুর মাঝপাড়া গ্রামের মৃত মাহতাব আলীর মেয়ে।সাভার পৌরসভার সি আর পির শিমুলতলা এলাকার আঃ আজিজের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

    পুলিশ জানায়, সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে উলাইল এলাকায় অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে সাভার মডেল থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

    এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) নাজিউর রহমান বলেন, নিহত ঐ নারীর পরিচয় পাওয়া গেছে তবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

  • কলেজে ভর্তির টাকা নেই মেধাবী শিক্ষার্থী দু’বোনের,মেয়ে হওয়ায় বাবা অন্যের ঘরে

    কলেজে ভর্তির টাকা নেই মেধাবী শিক্ষার্থী দু’বোনের,মেয়ে হওয়ায় বাবা অন্যের ঘরে

    কলেজে ভর্তির টাকা নেই মেধাবী শিক্ষার্থী দু’বোনের,মেয়ে হওয়ায় বাবা অন্যের ঘরে

    ডেক্স সংবাদঃ
    নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েও টাকার অভাবে ভর্তি অনিশ্চিত দুই বোন হাবিবা আক্তার ও সুমাইয়া আক্তারের। হাবিবা ও সুমাইয়া সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি আব্দুল আলীপুল এলাকায় নানাবাড়িতে থাকে। বাবা আব্দুল করিম মিয়া দ্বিতীয় বিয়ে করে তাদের তাড়িয়ে দিয়েছেন। মা আসমা বেগম ১০ হাজার টাকা বেতনে আদমজী ইপিজেডের বেকা গার্মেন্টসে চাকরি করেন।

    অভাবের মধ্যেও মিজমিজি পশ্চিমপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে হাবিবা জিপিএ- ৪.৫২ ও সুমাইয়া জিপিএ- ৪.৭১ পেয়ে এবার এসএসসি পাস করেছে। অনলাইনে আবেদন করে সরকারি তোলারাম কলেজে ভর্তির জন্য বিবেচিত হয়েছে তারা দুই বোন। গত রোববার থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হলেও মাত্র ৫ হাজার টাকার জন্য তারা দুই বোন এখন পর্যন্ত ভর্তি হতে পারেনি।

     

    হাবিবা আক্তার জানায়, তারা ৬ বোন। ৪ বছর আগে বড় বোনের বিয়ে হয়। বাকি ৩ বোনের মধ্যে দুইজন পঞ্চম শ্রেণিতে ও আরেকজন শিশু শ্রেণিতে পড়ে। মা আছমা বেগম টানাপোড়েনের মধ্যে থেকেও সংসার চালাচ্ছেন। হাবিবা ও সুমাইয়ার মামারা গার্মন্টসে চাকরি করায় নিজেদের সংসারের খরচ বহন করতেই হিমশিম খান। সেজন্য চাইলেও তারা সহযোগিতা করতে পারেন না।

    হাবিবা জানায়, ‘আমাদের কোনো ভাই নেই বলে বাবা আমার মাকে অনেক নির্যাতন করতেন। ২০১৭ সালে আমার মায়ের অনুমতি ছাড়া আরেকটি বিয়ে করার পর সংসারে কোনো খরচ না দেয়ায় আমি দেড় বছর গার্মেন্টসে চাকরি করে সংসারের খরচ বহন করি। এজন্য আমি স্কুলে কোনো ক্লাসও করতে পারিনি। তারপর আমার মা চাকরি পেলে আমি চাকরি ছেড়ে আবারও লেখাপড়ায় মন দিই।’

     

    সে জানায়, আমরা লেখাপড়াটা করতে চাই। আমরা সবাইকে দেখিয়ে দিতে চাই আমরা মেয়ে বলে ফেলনা নই।

    অপর বোন সুমাইয়া বলে, ‘আমরা লেখাপড়া করে ভালো একটা চাকরি করতে চাই। সমাজে আমাদের মতো যারা টাকার অভাবে লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত তাদের জন্য ভবিষ্যতে কিছু একটা করতে চাই। যদি ভর্তি হতে পারি তাহলে কলেজে পড়ার পাশাপশি পার্টটাইম কাজ করব। তাছাড়া আগামী জানুয়ারি থেকে টিউশনি করার চেষ্টা করব।’

    মিজমিজি পশ্চিমপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান বলেন, সুমাইয়া ও হাবিবার লেখাপড়ার আগ্রহ আছে। অভাবে থাকা সত্যেও ওরা এসএসসিতে ভালো ফল করেছে। আমার বিশ্বাস লেখাপড়ার জন্য ওদেরকে কেউ সহায়তা করলে ওরা ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে।

    সূত্র-জাগো নিউজ।

  • ভেদেরগঞ্জে পর্নোগ্রাফি মামলায় ইউপি সদস্য রাজিব গ্রেফতার

    ভেদেরগঞ্জে পর্নোগ্রাফি মামলায় ইউপি সদস্য রাজিব গ্রেফতার

    ভেদেরগঞ্জে পর্নোগ্রাফি মামলায় ইউপি সদস্য রাজিব গ্রেফতার

    শরীয়তপুর : শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে পর্নোগ্রাফি মামলায় এক ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পালং মডেল থানা পুলিশ। বাদির অশ্লিল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকির অভিযোগ ১৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ভোররাতে আসামীর নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী রাজিব তালুকদার উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের শওকত হোসেন তালুকদারের পুত্র ও নারায়ন ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য। গ্রেফতারকৃত রাজিবকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

    পালং মডেল থানা সূত্র জানায়, বাদল তালুকদার নামে এক ব্যক্তি ইউপি সদস্য রাজিব তালুকদারসহ তিন জনকে আসামী করে পর্নোগ্রাফি আইনে আদালতে পিটিশন করে। আদালত পালং মডেল থানাকে মামলাটি রেকর্ড করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। ১৬ সেপ্টেম্বর মামলাটি রেকর্ড পরবর্তী অভিযান চালিয়ে আসামীর নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    পালং মডেল থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত আশরাফুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলা রেকর্ড করি। পরে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামী রাজিবকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাদীর অশ্লিল ছবি আসামীগণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকির কথা মামলার অভিযোগ।

  • সাভার ও আশুলিয়ায় র‍্যাব-৪’র অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিদেশী বিয়ায় ও ট্যাপেন্টাডল সহ গ্রেপ্তার ৫

    সাভার ও আশুলিয়ায় র‍্যাব-৪’র অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিদেশী বিয়ায় ও ট্যাপেন্টাডল সহ গ্রেপ্তার ৫

    সাভার ও আশুলিয়ায় র‍্যাব-৪’র অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিদেশী বিয়ায় ও ট্যাপেন্টাডল সহ গ্রেপ্তার ৫

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    র‍্যাব-৪ এর অভিযানে সাভারের হারুরিয়া এলাকা হতে ৪৩২ ক্যান বেলজিয়ান বিয়ার সহ দুই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী এবং আশুলিয়ার গণকবাড়ি এলাকায় অবৈধ মাদকদ্রব্য ট্যাপেন্টাডল সহ ৩ জন গ্রেপ্তার।

    মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ১৭ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে আশুলিয়ার গনকবাড়ী ও সাভারের হারুরিয়া এলাকায় অবস্থান করছে জেনে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিপিসি ২ র‍্যাব-৪ এর একটি অভিযানের দল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জমির উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ২:৩০ ঘটিকায় ঢাকা জেলার সাভারের হারুরিয়া সাকিনস্থ আবু বক্কর সিদ্দিক এর টিনের ঘরের মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী ১: মকবুল আহমেদ ওরফে মকবুল (২৪) পিতা: আবু বক্কর সিদ্দিক, সং হারুরিয়া (ফকির বাড়ির উত্তর পাশে) থানা সাভার মডেল, জেলা ঢাকা। ২: হাফিজুর রহমান (২৬) পিতাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ, নারায়নখানা গ্রাম থানাঃ কোটালীপাড়া জেলাঃ গোপালগঞ্জ এ/পি সিংগাইর নিউমার্কেট (সাজেদা ফাউন্ডেশন এর তৃতীয় তলা) থানাঃ সিংগাইর জেলা-মানিকগঞ্জদ্বয়কে ৪৩২ ক্যান বেলজিয়ান বিয়ার (১৬.৮% এলকোহল) সহ গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য যে ১ নং আসামী মোঃ মকবুল আহমেদ বিদেশি বিয়ার মজুদ করে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ মাদক ব্যবসা করে আসছিল, তার বিরুদ্ধে পূর্বে মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে।

    একই রাতে ৯:৩০ মিনিটে আশুলিয়ার গণকবাড়ি সাকিনস্থ হাসান অ্যাপার্টমেন্ট এর নিচতলায় জিয়া ড্রাগ হাউস২ এ অভিযান পরিচালনা করে ৩১৬ পিস অবৈধ মাদকদ্রব্য ট্যাপেন্টাডল সহ ১: নাঈম ইসলাম (২১) পিতাঃ মুরাদ শেখ, সাং পিরুলি থানা- কালিয়া জেলা- নড়াইল এ/পি জিয়া ড্রাগ হাউস২ এর কর্মচারী, হাসান অ্যাপার্টমেন্ট গণকবাড়ি থানা- আশুলিয়া জেলা-ঢাকা ২: মোঃ আবু বক্কর (২১) পিতাঃ মোঃ আজিজ মিয়া সং- সাতমেরা থানা- নবীনগর জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া এ/পি জিয়া ড্রাগ হাউস ২ এর কর্মচারী, হাসান অ্যাপার্টমেন্ট গণকবাড়ি থানা- আশুলিয়া জেলা-ঢাকা ৩: নূরনবী(২২) পিতাঃ মোঃ মোবারক হোসেন, বন্দবেড়া থানা-রৌমারী জেলা- কুড়িগ্রাম এ/পি জিয়া ড্রাগ হাউস২ এর কর্মচারী হাসান অ্যাপার্টমেন্টস গনকবাড়ি থানা আশুলিয়া জেলা ঢাকাদের গ্রেফতার করা হয়।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামীগণ বিভিন্ন জায়গা হতে এই বিয়ার ক্যান এবং অবৈধ মাদকদ্রব্য ট্যাপেন্টাডল আশুলিয়া সাভার এলাকায় বিক্রয় করে থাকে। উপরোক্ত বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক পৃথক মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন বলে জানান, র‍্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জমির উদ্দিন আহমেদ।

    এ ব্যাপারে র‍্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জমিরউদ্দিন আহমেদ জানান, র‍্যাপিড একশন ব্যাটেলিয়ন-র‍্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনা লগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্মূল লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। খুন, ডাকাতি, দস্যুতা, ধর্ষণ, অপহরণ, চাঁদাবাজি, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার এবং জঙ্গিবাদের মতো ঘৃণ্য অপরাধ নির্মূল ও রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি মাদকদ্রব্য উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারসহ নেশার মরণ ছোবল থেকে সমাজকে রক্ষা করার জন্য মাদক বিরোধী অভিযান জোরদার করেছে। বর্তমানে দেশে অর্থের লোভে বিপথগামী উঠতি বয়সের যুবকরা এ ধরনের সন্ত্রাসী, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ও মাদক ব্যবসা, মাদক ব্যবসায় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েছে এবং পেশাদার সন্ত্রাসী ও পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছে এ ধরনের সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র‍্যাব সদা সচেষ্ট।

  • সাবেক প্রতিমন্ত্রী এডঃ রহমত আলী এমপি’র ৭৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে শ্রীপুরে দোয়া মাহফিল

    সাবেক প্রতিমন্ত্রী এডঃ রহমত আলী এমপি’র ৭৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে শ্রীপুরে দোয়া মাহফিল

    সাবেক প্রতিমন্ত্রী এডঃ রহমত আলী এমপি’র ৭৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে শ্রীপুরে দোয়া মাহফিল

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, শ্রীপুর (গাজীপুর):

    গাজীপুরের শ্রীপুরে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও এম.পি প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট মোঃ রহমত আলীর ৭৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ইং তারিখে বাদ আছর উপজেলার শ্রীপুর ভবন জামে মসজিদে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

    এর আগে প্রয়াত রহমত আলীর পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয় ।

    এ সময় গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগ, শ্রীপুর উপজেলা ও গাজীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকেও ফুল দিয়ে মরহুমের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

    দোয়া মাহফিলে প্রয়াত রহমত আলীর পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট রহমত আলীর ছোট ছেলে অ্যাড.জামিল হাসান দুর্জয়, এডভোকেট রহমত আলীর একমাত্র কন্যা অধ্যাপিকা রুমানা আলী টুসী এম.পি সহ প্রয়াত রহমত আলীর দৈহিত্র শাহরিয়ার হাসান।ঢাকা থেকে অনলাইনে অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন প্রয়াত রহমত আলীর পত্নী মিসেস নাদিরা রহমত। এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনলাইনে দোয়া মাহফিলে যুক্ত হয়ে তার প্রয়াত পিতার জন্য দোয়া কামনা করেন এডভোকেট রহমত আলীর বড়ে ছেলে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড.জাহিদ হাসান তাপস। দোয়া মাহফিল শেষে ছোট বোন অধ্যাপিকা রুমানা আলী টুসী সহ সকল নেতাকর্মী ও আত্নীয় স্বজনদের নিয়ে তার প্রয়াত পিতার কবর জিয়ারত করেন আলহাজ্ব অ্যাড.মোঃ জামিল হাসান দুর্জয়।

    এ সময় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রীপুরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল জলিল বি.এ, শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মোঃ আহসান উল্লাহ, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মন্ডল বুলবুল, বরমী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামসুল হক বাদল সরকার,

    শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারি কলেজের সাবেক জি.এস শেখ মোঃ নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ‍যুবলীগের সাবেক সহ সম্পাদক অ্যাড. হারুন অর রশিদ ফরিদ, প্রবীন আইনজিবী অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক, অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন শাহীন,

    শ্রীপুর উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব এস.এম জাহাঙ্গীর আলম সিরাজী, গাজীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারন সম্পাদক নাসির উদ্দিন মৃধা জর্জ, শ্রীপুর ‍উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোঃ কমরউদ্দিন, সাধারন সম্পাদক মো:মনিরুজ্জামান জামান, শ্রীপুর পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ কামরুল হাসান বিএ,গাজীপুর সদর উপজেলা ‍যুবলীগের সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক জাহিদুল আলম রবিন,

    গাজীপুর জেলাপরিষদের সদস্য আনোয়ার হোসেন সরকার, নুরুল ইসলাম শিমুল, শ্রীপুর উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আলহাজ্ব কবির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আইনুল হক, গাজীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন সহ শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ৷

  • ট্যাক্স দিলে মিষ্টি খাবেন, না দিলে ফাইন খাবেন অবৈধ বিলবোর্ড,সাইনবোর্ড উচ্ছেদ অভিযানেঃ মেয়র আতিক

    ট্যাক্স দিলে মিষ্টি খাবেন, না দিলে ফাইন খাবেন অবৈধ বিলবোর্ড,সাইনবোর্ড উচ্ছেদ অভিযানেঃ মেয়র আতিক

     

    ট্যাক্স দিলে মিষ্টি খাবেন, না দিলে ফাইন খাবেন অবৈধ বিলবোর্ড,সাইনবোর্ড উচ্ছেদ অভিযানেঃ
    মেয়র আতিক

    ডেক্স সংবাদঃ
    মঙ্গলবার গুলশান ২ নম্বর গোলচত্বরে অবৈধ বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড উচ্ছেদের সময় জনৈক ব্যবসায়ী ডিএনসিসি থেকে পূর্বেই অনুমোদন নিয়ে নির্ধারিত মাপে সাইনবোর্ড স্থাপন করায় মেয়র তাকে মিষ্টি খাওয়ানোর সময় এ কথা বলেন।

    ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ট্যাক্স দেবেন মিষ্টি খাবেন, যারা ট্যাক্স দেবেন না তারা ফাইন (জরিমানা) খাবেন।

    মঙ্গলবার গুলশান ২ নম্বর গোলচত্বরে অবৈধ বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড উচ্ছেদের সময় জনৈক ব্যবসায়ী ডিএনসিসি থেকে পূর্বেই অনুমোদন নিয়ে নির্ধারিত মাপে সাইনবোর্ড স্থাপন করায় মেয়র তাকে মিষ্টি খাওয়ানোর সময় এ কথা বলেন।

    তিনি বলেন, ‘এই শহরে আপনাদের এত বড় বড় ব্র্যান্ডিং করবেন, আপনি ব্যবসা করবেন, আর সিটি করপোরেশনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কোনো ট্যাক্স দেবেন না, এটি হতে পারে না। আমি সবাইকে বলতে চাই শহরে কোনো ধরনের সাইনবোর্ড লাগাতে গেলে, আগে দেখুন সিটি করপোরেশনের নিয়ম কী? বিদেশে তো আপনারা এরকম করতে পারবেন না। এদেশে কেন করবেন? এই দেশেরও অভিভাবক আছে।’

    জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখা তাদের সাইনবোর্ডের জন্য নির্ধারিত ফি জমা দেয়ায় ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকেও তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে মিষ্টি খাওয়ান।

    মেয়র আতিক বলেন, ‘আমি সবাইকে বলব এই শহরটা কিন্তু আমাদের, এই শহরে আমরা উপার্জন করি। আমাদের বাচ্চারা পড়াশোনা করে, এই শহরে আমরা বড় হয়েছি। এ শহরকে ভালোবাসতে হবে। যে ঘরে আমি থাকি সেই ঘরের প্রতি যদি মায়া না করি, যে ঘরে থাকি সে ঘরে যদি থুথু ফেলি, তাহলে হবে না। এই যে আজকে বড় বড় ডেভেলপাররা কীভাবে তাদের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিল, সিটি করপোরেশনকে কোনো ধরনের ট্যাক্স না দিয়ে?’

    তিনি বলেন, জনগণ চায় সিটি পরিষ্কার থাকুক। জনগণ চায় তারা ফুটপাত দিয়ে যেন নির্বিঘ্নে হাঁটতে পারে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ফুটপাত সড়কে অবৈধভাবে থাকা বিভিন্ন সামগ্রী নিলাম করে দিচ্ছি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আজ সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদি অপসারণ করছি। আমি জনগণকে অনুরোধ করবো আপনারা আমাদেরকে জানান। এরকম কোন কোন ফুটপাত ও রাস্তায় নির্মাণসামগ্রী রয়েছে।

    ‘সিটিকে সুন্দর করতে গেলে সিটি করপোরেশনকে ট্যাক্স দিতে হবে। আজকে আমরা গুলশান, বনানী এবং প্রগতি সরণিতে অভিযান শুরু করেছি। বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড স্থাপন করার জন্য নীতিমালা আছে। এগুলো লাগানোর সময় নীতিমালা মানতে হবে। আমরা এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি, মিডিয়ায় প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানিয়েছি, প্রত্যেকটি গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, এমনকি মাইকিংও করা হয়েছে। অনেকেই গত দুইদিনে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে অনুমোদন নিয়েছেন। একটি শহরের ভেতরে এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রম চলতে পারে না। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি ফুটপাত ও সড়কে রাখা অবৈধ মালামাল উচ্ছেদ অব্যাহত থাকবে,’ বলেন ডিএনসিসি মেয়র।

    উল্লেখ্য, মঙ্গলবার গুলশান ২ নম্বরে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হামিদ মিয়ার নেতৃত্বে প্রায় ১৫০টি অবৈধ সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়।

    বনানী ১১ নম্বর সড়কে অঞ্চল-৭ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় প্রায় শতাধিক সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া সড়ক ও ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টির কারণে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    এছাড়া প্রগতি সরণিতে অঞ্চল ৬ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিনের পরিচালনায় উচ্ছেদ অভিযানে মোট ৫২টি সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া ফুটপাত ও সড়কে অবৈধভাবে মালামাল রাখায় তা নিলামে ৬৬ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করা হয় এবং ৯টি মামলায় ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    এছাড়া কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গত তিনদিনে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকা ডিএনসিসিকে জমা দিয়ে সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড অনুমোদন নেন।

    অভিযান চলাকালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারারা উপস্থিত ছিলেন।

     

  • শিক্ষার্থীকে মারধর ফেসবুকে ভাইরাল আশুলিয়ার সেই মাদ্রাসা শিক্ষক আটক করছে পুলিশ

    শিক্ষার্থীকে মারধর ফেসবুকে ভাইরাল আশুলিয়ার সেই মাদ্রাসা শিক্ষক আটক করছে পুলিশ

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    সাভারের আশুলিয়ায় মাদ্রাসার দুই শিশু শিক্ষার্থীকে পাশবিক নির্যাতনের ফুটেজ ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। নির্যাতিত শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম রাশেদের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল ও অপর শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান ফুয়াদ ঝালকাঠি সদর জেলার দেউলকাঠি গ্রামের মাওলানা আব্দুস সাত্তারের ছেলে।

    সোমবার রাতে আশুলিয়ায় শ্রীপুরের মধুপুরে জাবালে নূর কওমি মাদ্রাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।

    এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই কওমি মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমানকে বেত দিয়ে পেটায় শিক্ষক হাফেজ মোহাম্মদ ইব্রাহিম। পিটুনির সেই ফুটেজ ফেসবুকে ভাইরাল হলে তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

    নির্যাতনের শিকার শিশু শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান জানায়, তার সহপাঠী রাকিবুল নির্যাতন সইতে না পেরে পালিয়ে যায়। পরে তাকে খুঁজে নিয়ে এসে মাদ্রাসার ভেতর হাত-পা বেঁধে নির্যাতন চালায় শিক্ষক ইব্রাহিম। এসময় রাকিবুলকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে তাকেও বেত্রাঘাত করে জখম করেন ওই শিক্ষক।

    ধামসোনা ইউপি মেম্বার মোনতাজ উদ্দিন ও এলাকাবাসী জানায়, দুই বছর পূর্বে মধুপুর এলাকায় ছয় তলা ভবনের চতুর্থ তলায় ১২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে আবাসিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে কওমি মাদ্রাসাটি। তবে ইব্রাহিম ও ওবায়দুল্লাহ নামে হাফেজ দিয়েই চলতো প্রতিষ্ঠানটি। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থীকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন চালায় মাদ্রাসার শিক্ষক ইব্রাহিম।

    শিশুদের শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে ফেসবুকে ভাইরাল করে স্থানীয়রা। এরপরই এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে সোমবার রাতে অভিযুক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক ইব্রাহিমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এসময় অপর শিক্ষক ওবায়দুল্লাহকেও জিজ্ঞাসবাদের জন্য আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।

    আশুলিয়া থানার এসআই মহির উদ্দিন জানান, শিশু শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

    এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা মাদ্রাসায় শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদে ক্ষোভ প্রকাশ করে এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

    তবে পুলিশের কাছে আটক হাফেজ মাওলানা ইব্রাহিম জনতার হাতে গণধোলাই খাওয়ার পর তার বিবেক ও অনুশোচনাবোধ জাগ্রত হয়ে ভুল স্বীকার করেন।

     

  • পথচারীরদের নাগরিক অধিকার ফুটপাতের রাস্তা

    পথচারীরদের নাগরিক অধিকার ফুটপাতের রাস্তা

    জনসাধারণের চলাচলের জন্য রাস্তার দু’ধারে রয়েছে ফুটপাত। অথচ পথচারীর নাগরিক অধিকার ফুটপাতে হাঁটাও কেড়ে নিয়েছে অবৈধ দখলদার। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে, নগর-মহানগরে এই ফুটপাত তৈরি হয় জনগণের নির্বিগ্নে চলাচলের জন্য। অথচ সচেতনদের ছত্রছায়ায় অসচেতন কম পুঁজির কিছু মানুষ এই ফুটপাতের হাঁটার জায়গায় দোকান বসিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের নাগের ডগায় এসব পণ্যের পসরা সাজিয়ে কোনো রকম তোয়াক্কা না করেই ফুটপাত বন্ধ করে চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে। আমাদের মহানগরগুলোয় ফুটপাত ও সড়ক দখল করে দোকান বসানো যেন একটি সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে হকারদের দখলে থাকা ফুটপাতে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা।
    রাজধানীর প্রায় সব এলাকার সড়কের ফুটপাতই ভ্রাম্যমাণ হকারদের হাঁকডাকে সরগরম থাকে। ইচ্ছেমতো যে যার মতো করে বিভিন্ন পণ্যের দোকানপাট বসিয়ে জনগণের চলাচলে সমস্যা তো করছেই তার সঙ্গে সৃষ্টি হচ্ছে বিশাল যানজটের। আর দখলদারদের এই দখলে স্থানীয় রাজনৈতিক, প্রভাবশালীদের হাত থাকায় সহজেই কেউ কিছু বলতে পারছে না। অনেক সময় প্রশাসনের কিছু ব্যক্তির আইন প্রয়োগে অনীহা ও অব্যবস্থাপনার কারণে স্থায়ীভাবে ফুটপাত দখল হয়ে যাচ্ছে বলে বিজ্ঞ মহলের ধারণা। তীব্র যানজটের শহর ঢাকায় যানজট থেকে রেহাই পেতে অফিসগামী চাকুরে, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা পায়ে হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করেও এই ফুটপাত বন্ধ করে রাখায় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। বেদখল হওয়া পথে পথচারীরা ফুটপাত সহজভাবে ব্যবহার করতে না পেরে অস্বস্তিতে পড়ছেন প্রায়ই।
    গরিব কম পুঁজির মানুষগুলোর প্রতি আমাদের সহানুভূতি তখনই উবে যায় যখন দেখা যায় ফুটপাতের জন্য দৈনিক, মাসিক হারে ভাড়া দিয়ে তারা দোকান চালাচ্ছে। কোনো কোনো এলাকায় ফুটপাতের ওই জায়গার জন্য লাখ টাকা জামানতও গুনতে হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে সরকারি জায়গা, রাস্তার ফুটপাত কে বাড়া দেয়? দেশে কি আইন বলতে কিছু নেই? কিন্তু আমরা তো জানি সড়ক ব্যবস্থপনায়, নগর-মহানগর পরিচালনায় আইন রয়েছে। তবে প্রয়োগ হচ্ছে না কেন? সাধারণ মানুষের এমন প্রশ্ন শোনারও কেউ নেই, আবার বললেও কাজ হচ্ছে না। কারণ এসব দখলে পেছনে রয়েছে লম্বা হাতের মানুষ। স্বার্থান্বেষী মহল। তাদের কে ঠেকাবে? ফুটপাতে প্রতিবন্ধকতা থাকায় স্থবির হচ্ছে চলাচল, যানজটে নাকাল হচ্ছে নগরবাসী আর এর প্রভাব পড়ছে অর্থনীতির ওপর। চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক অবস্থা ও জাতীয় অর্থনীতি।
    ?বেদখল সড়ক-ফুটপাতে পথ চলতে পথচারীর যন্ত্রণাময়-নাভিশ্বাস যেন নিত্যসঙ্গী। যে যার ইচ্ছামতো ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে ব্যবহার করছে, কেউ আবার অনেক এলাকায় নির্মাণ সামগ্রী মাসের পর মাস ফেলে রেখে সমস্যার সৃষ্টি করছে। ইট ভাঙার মেশিন, রড ট্রাক, বাস, প্রাইভেট গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহনও এই সড়ক-মহাসড়কের একটা অংশ বন্ধ করে ফেলে রাখা হয়। শহরে যানজটের একটা বড় কারণ, এই যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং আর ফুটপাত দখল করে স্থায়ী-অস্থায়ী দোকান নির্মাণ।
    বিভিন্ন সময় সিটি করপোরেশন রাস্তা ও ফুটপাতের ওপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত করে থাকে। কয়েক দিন পর আবার যেইসেই অবস্থা। আমাদের বিবেকবোধ জাগ্রত না হলে মনে হচ্ছে এর থেকে সহসাই মুক্তি মিলছে না। বর্তমানে ওভারব্রিজগুলোর অবস্থা আরও সূচনীয়। এমনিতেই নির্দিষ্ট জায়গা, তার ওপর দুই পাশে বসে থাকে বিভিন্ন পণ্যের দোকান। সঙ্গে ভিক্ষুকদের শুয়ে-বসে ভিক্ষা করার দৃশ্য। যত যন্ত্রণা পথচারীদের। ফুটপাত বেদখল থাকায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা, হতাহত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
    নগর-মহানগরজুড়ে ভ্রাম্যমাণ দোকান আর ফুটপাতে হকারদের পণ্যের পসরা তো আছেই এর সঙ্গে নতুন করে আরেক যন্ত্রণা সম্প্রতি শুরু হয়েছে তার নাম ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল। সময় বাঁচাতে অনেকেই এখন মোটরসাইকেলে চলাচল করছেন। মোটরসাইকেলের আরেক সমস্যা হচ্ছে, জ্যাম এড়াতে ফুটপাতের ওপর দিয়ে বেপরোয়া ছুটে চলা। এতে আরও বেশি আতঙ্কিত পথচারী। যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা তো থাকছেই।
    গবেষকদের মতে, ‘প্রায় পৌনে দুই কোটি জনসংখ্যার ঢাকা মহানগরে সড়ক ব্যবহারকারী মানুষের প্রায় ৭০ শতাংশই পথচারী। সমস্যা বাড়ছে পথচারীদের চলাচলের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে সড়ক অবকাঠামোর বিন্যাস না করা।’ সঠিক ও নিয়মতান্ত্রিক ফুটপাত ব্যবস্থাপনার প্রতি গুরুত্বারোপ করা এবং অবৈধ দখলদারদের খুঁটির জোড় খুঁজে বের করে আইনের প্রয়োগ দরকার। সঙ্গে সঙ্গে হকারদের জন্য আরও নতুন জায়গা করে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
    জনসচেতনতা বাড়াতে সিটি করপোরেশনকে আরও নতুন পন্থা গ্রহণ করে নিয়মিত ফুটপাত থেকে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করাও সময়ের দাবি। পুলিশ প্রশাসন এ ক্ষেত্রে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে বেশি কাজে আসতে পারে। অনিয়ম-দুর্নীতি মুক্ত সড়ক ব্যবস্থাপনা ও হকারদের আলাদা জায়গায় স্থানান্তর পথচারীদের কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে। শহরগুলোতে সড়ক অবকাঠামোর আধুনিকায়ন ও গণপরিবহনের অব্যবস্থাপনা দূর করে যানজট কমানোর সঙ্গেই ফুটপাত দখলমুক্ত করার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। ফুটপাত দখলমুক্ত করে পথচারীর বিড়ম্বনা লাঘবে সিটি করপোরেশন বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে এবং তাদেরই সুন্দর ও আদর্শ মহানগর উপহার দিতে হবে।
    ফুটপাত যেহেতু হেঁটে চলাচলের জন্যই তাহলে শুধু পথচারীরাই ব্যবহার করবে, আর এটা তাদের নাগরিক অধীকার এই মানুষিকতা গড়ে তোলাও জরুরি। জনগণের দাবি দখলমুক্ত ফুটপাত, যানজটমুক্ত শহর, পরিচ্ছন্ন নগরী।

    সফিউল্লাহ আনসারী
    ভালুকা, ময়মনসিংহ

     

     

  • নানা অনিয়মের অভিযোগে গণবিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার দেলোয়ারকে অব্যাহতি

    নানা অনিয়মের অভিযোগে গণবিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার দেলোয়ারকে অব্যাহতি

    নানা অনিয়মের অভিযোগে গণবিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার দেলোয়ারকে অব্যাহতি

    গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদে ২০ বছর চাকরি করার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ধরা পড়ে রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেনের শিক্ষা সনদ ভুয়া প্রমান মিলেছে। পরে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সব সদস্যের সম্মতিক্রমে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

    শনিবার ঢাকার ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল ভবনের মেজর এটিএম হায়দার বীরউত্তম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত গণবিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

    ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় সদস্যদের মধ্যে অধ্যাপক ড. আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক হোসনে আরা শাহেদ, অধ্যাপক আলতাফুন্নেসা, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. লায়লা পারভীন বানু উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জুমের মাধ্যমে জরুরি সভায় যোগ দেন ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ, ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদ্দাচ্ছের আলী, ওয়ালিউল ইসলাম এবং শিরীন পারভীন হক।

    গণবিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, ভুয়া শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট দিয়ে ২০০২ সালের ৩ আগস্ট গণবিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন দেলোয়ার হোসেন। কিন্তু বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ড তার আচার-আচরণ দেখে শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। এ অবস্থায় ট্রাস্টি বোর্ড গোপনে রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেনের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে তদন্ত করতে থাকে। খোঁজখবরের এক পর্যায়ে জানতে পারেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন ইন্টার পাস। তিনি গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রিধারী ও মাস্টার্স পাসের সনদ দিয়ে গণবিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি নিয়েছেন।

    সম্প্রতি এক ছাত্রীকে মোবাইল কলের মাধ্যমে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছিলো।