Blog

  • আশুলিয়ায় অপহরণের তিন দিন পর শিশু উদ্ধার, অপহরণকারী  আটক

    আশুলিয়ায় অপহরণের তিন দিন পর শিশু উদ্ধার, অপহরণকারী  আটক

    আশুলিয়ায় অপহরণের তিন দিন পর শিশু উদ্ধার, অপহরণকারী  আটক

    আশুলিয়াঃ
    সাভারের আশুলিয়া থেকে অপহরণের তিন দিন পর ওমর আলী (৮) নামের এক শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় কুখ্যাত অপহরণকারী আনিছুর রহমানকে (৩১) আটক করা হয়েছে।
    শনিবার (২৯ আগস্ট) রাতে উত্তরার আব্দুল্লাহপুর থেকে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে আটক করে এসআই সুদীপ কুমার গোপ ও এসআই ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে আশুলিয়া থানা পুলিশের একটি দল।

    পুলিশ জানায়, আশুলিয়ার জামগড়া বটতলা এলাকায় শ্যামল ঘোষ নামের এক বাড়িওয়ালার বাড়িতে একটি কক্ষ নিয়ে স্ত্রী সন্তানসহ ভাড়া থাকতো পোশাক শ্রমিক নুরুল ইসলাম। সেই বাড়িতে গত কয়েকদিন আগে ভাড়াটিয়া হিসেবে একটি রুম ভাড়া নেন কুখ্যাত অপহরণকারী আনিছুর রহমান। পরে গত ২৭ আগষ্ট প্রতিবেশী শিশু ওমর আলীকে দোকান থেকে খেলনা কিনে দেওয়ার কথা বলে অপহরণ করে নিয়ে যায় আনিছুর রহমান। পরে শিশুটির পরিবারের কাছে মুঠোফোনে মুক্তিপণ হিসেবে দুই লক্ষ টাকা দাবি করেন অপহরণকারী আনিছুর রহমান। এসময় শিশুটিকে অপহরণের কথা পুলিশকে জানালে অথবা মুক্তিপণের টাকা দিতে দেরি হলে শিশুটিকে হত্যা করে লাশ গুম করারও হুমকি দেন অপহরণকারী ব্যক্তি। পরে দুই দফায় শিশুটির বাবা গার্মেন্টস চাকুরী করা বেতনের জমানোকৃত দশ হাজার টাকা অপহরণকারীকে দিলে আরও দুই লক্ষ টাকা দাবি করেন তিনি। পরে শিশুটির পরিবারের সদস্যরা অপহরণের বিষয়টি আশুলিয়া থানা পুলিশকে জানালে শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করতে মাঠে নামে পুলিশ। এসময় অপহরণকারী শিশুটিকে বরিশালসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করায় উদ্ধার করতে একটু বেগ পেতে হয় পুলিশকে। পরে গতকাল রাতে অপহরণকারী শিশুটির পরিবারের কাছে মুক্তিপণের দুই লক্ষ টাকা দাবি করলে শিশুটির পরিবারের সদস্যরা আশুলিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় উত্তরার আব্দুল্লাহপুরে শিশুটিকে নিয়ে এসে মুক্তিপণের টাকা নিতে বলেন অপহরণকারী আনিছুর রহমানকে। এসময় অপহরণকারী আনিছুর রহমান মুক্তিপণের টাকা নিতে আসলে আগে থেকে সেখানে অবস্থানরত আশুলিয়া থানার এসআই সুদীপ কুমার গোপ ও এসআই ইকবাল হোসেন অপহরণকারীকে হাতে নাতে আটক করে শিশুটিকে উদ্ধার করে তার বাবা মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়। শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করায় পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শিশুটির বাবা ও মা।

    পুলিশ আরো বলছে ওই অপহকারী ব্যক্তি বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে শিশুদেরকে অপহরণ করে মুক্তিপণ হিসেবে টাকা আদায় করে আসছিলো।

    এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, আটক অপহরণকারীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে আজ দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। এসময় ওসি আরও বলেন, বাড়ি ভাড়া দিতে হলে বাড়ির মালিকদের অবশ্যই ভাড়াটিয়া তথ্য ফরম পূরণ করে থানায় জমা দিতে হবে।

  • সাভারের আশুলিয়ায় নিয়ম ভঙ্গ করে শোকের মাসেও শখের মেলা চলছে মদের উদ্ভট গন্ধে

    সাভারের আশুলিয়ায় নিয়ম ভঙ্গ করে শোকের মাসেও শখের মেলা চলছে মদের উদ্ভট গন্ধে

    সাভারের আশুলিয়ায় নিয়ম ভঙ্গ করে শোকের মাসে  শখের মেলা চলছে মদের উদ্ভট গন্ধে

    ডেক্স সংবাদঃ ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বাঙালি হারিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ফলে পুরো আগস্ট মাস বাঙালি জাতি থাকে শোকাহত। আর এই শোকের মাসেই আশুলিয়ার প্রভাবশালী একটি মহল শখের মেলা বসিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

    একদিকে শোকের মাস অন্য দিকে করোনায় বিপর্যস্ত মানুষ। করোনার প্রাদুর্ভাবে সরকারী নির্দেশনায় সারা দেশের সকল বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকলেও আশুলিয়ায় প্রভাবশালীরা বিভিন্ন দফতর ম্যানেজ করে সরকারী সকল নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শোকাহত বাঙালি জাতির মনে কষ্টের দাগটেনে উচ্চঃস্বরে হিন্দি গান বাজিয়ে হাজার হাজার লোকের সমাগম ঘটিয়ে দেদারছে চালাচ্ছেন শখের মেলা।
    সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, আশুলিয়ায় জামগড়া বটতলা নামক এলাকার প্রভাত সিটির প্রাচিরের ভিতর প্রায় শতাধিক দোকান যেমন, কসমেটিকস, ছোট বাচ্ছাদের খেলনা,মিষ্টির।

    দোকান,নাগরদোলা,নৌকাদোলা সহ বিনোদনের জন্য কোনো কিছুই বাদ নেই, সবই আছে এই মেলায় । হিন্দি গানের তালেতালে এলাকার বখাটে এবং উঠতি বয়সের ছেলেরা নাচ্ছে হেলেদুলে কেউবা আবার রকস্টাইলে। একটু এগোতেই দক্ষিণা বাতাসে ভেসে আসলো বাংলা মদের উদ্ভট গন্ধ। দু”পা এগোতেই দেখা গেল, আবছা আলোতে চার পাঁচজন যুবক চেয়ার পেতে পানির বতল নিয়ে বসে খোস গল্পে মগ্ন।

    শাজাহান নামের এক দোকানি জানান, মেলা বসিয়েছেন রোমান ভূঁইয়া এবং বাবু নামের ব্যক্তি, এলাকায় নেশা খুর বাবু হিসাবে পরিচিত । তারা চুক্তি অনুযায়ে নির্ধারিত টাকা দিয়ে দোকান চালাচ্ছেন বলেও জানান।

    মেলার নিরাপত্তার দায়ীত্বে থাকা একজন বলেন, রোমান ভূঁইয়া এবং বাবু ভাই অনেক উপরের মহল ম্যানেজ করে মেলা চালাচ্ছেন।আপনাদের কোনো কথা থাকলে রোমান ভূঁইয়ার অফিসে যান ।

    বাবুর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হোলে জানান,তিনি খুব ব্যস্ত আছেন।এব্যাপারে সে পরে কথা বলবে।

  • সাভার মুক্তি হাসপাতালের নার্স ও স্টাফদের বকেয়া বেতন পাওয়ার জন্য আবেদন প্রসঙ্গে

    সাভার মুক্তি হাসপাতালের নার্স ও স্টাফদের বকেয়া বেতন পাওয়ার জন্য আবেদন প্রসঙ্গে

    বরাবর,
    সন্মানিত
    সভাপতি / সাধারণ সম্পাদক
    প্রাইভেট হসপিটাল ওনার্স এসোসিয়েশন অব সাভার
    ফোয়াস।
    বি-৫, লাইভ লিড টাওয়ার, তালবাগ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম সন্দীপ সড়ক, সাভার,ঢাকা-১৩৪০।

    বিষয়ঃ কর্মরত নার্স ও স্টাফ এবং আয়াদের বকেয়া বেতন পাওয়ার জন্য আবেদন প্রসঙ্গে।

    স‍্যার,
    যথাবিহিত সন্মানের সহিত নিবেদন এই যে, আমরা ছয়জন সাভার মুক্তি হাসপাতাল এ‍্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার (প্রাঃ) লিঃ এ বিভিন্ন পদে কর্মরত আছি। বিগত ছয় মাস ধরে আমরা কোন বেতন পাচ্ছি না । পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। হাসপাতালের কর্তপক্ষেকে বারবার বলা সত‍্যও কোন প্রতিকার হয়নি। করোনা ভাইরাস ও দুর্যোগ পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে হাসপাতাল মালিক মহোদয় দীর্ঘদিন কাজ করে আসা আমাদের সঙ্গে অন‍্যায়-অসাদ আচরন করছেন।একান্ত নিরুপায় হয়ে আপনাদের শরনাপর্ন হয়েছি।
    অবিলম্বে বকেয়াসহ পূর্ণ বেতন পরিশোধের উদ্যোগ নেবার জন‍্য সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষসহ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। পাশাপাশি চিকিৎসগনের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দিতে প্রযোজনীয় পদক্ষেপ নেবার দাবি জানাচ্ছি। সকল বিষয় সু-ব‍্যবস্থা করে বাধিত করবেন
    নিন্ম বকেয়া বেতনের নমুনা-
    ১/ক্লোদিয়া-৭৩,১৬০/-টাকা
    ২/নুপুর বিশ্বাস -২৬,৩০০/-টাকা
    ৩/এলিজাবেদ-২৪,৫৯২/-টাকা
    ৪/শিউলী পারভীন -২২,৬০০/-টাকা
    ৫/আয়শা-৩৫,৫০০/-টাকা
    ৬/জাহানারা-২৯,১৬৯/-টাকা
    এর আগে আরো অনেকে পাওনা আছে কর্ম ছেড়ে চলে গেছে, মাঝে মাঝে পাওনা টাকার জন‍্য আসলে পাওনা না পেয়ে তারা কান্নাকাটি করে ফেরত যায়।

    বিনীত নিবেদক
    ক্লোদিয়া, নুপুর বিশ্বাস, এলিজাবেদ, শিউলী পারভীন, আয়শা, জাহানারা।
    সাভার মুক্তি হাসপাতাল এ‍্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার (প্রাঃ) লিঃ,সাভার,ঢাকা।

  • সাভারের বনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাহী হাকিমের তদন্ত

    সাভারের বনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাহী হাকিমের তদন্ত

    সাভারের বনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাহী হাকিমের তদন্ত

    সাভারের বনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বনগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন বিভিন্ন বিভাগে ১১ জন ইউপি সদস্য অনিয়ম ও দুর্নীতির যে অভিযোগ দিয়েছে তা আজ সরেজমিনে তদন্ত করতে আসেন ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হামিদুর রহমান।

    বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত তিনি বনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ইউপি সদস্যদের দেওয়া দুর্নীতি ও অনিয়ম এর অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করতে আসেন। এসময় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও তদন্ত কর্মকর্তা ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম,ইউপি সদস্য ও স্থানীয়দের সাথে আলাদা আলাদা বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।

    তদন্ত শেষে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও তদন্ত কর্মকর্তা হামিদুর রহমান বলেন,বনগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১১ জন ইউপি সদস্য বিভিন্ন প্রকল্পসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির যে অভিযোগ দিয়েছে আমরা তা তদন্ত করে দেখছি আরও গভীর ভাবে তদন্ত করে যদি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো প্রমাণিত হয় তাহলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে আর যদি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে চেয়ারম্যানকে হয়রানী করা হয় তাহলে তদন্তে যদি বিষয়টি প্রমাণিত হয় তাহলে চেয়ারম্যান যদি তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যায় তাহলে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    এদিকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আজ বনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে নানা অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করতে আসছে এমন কথা শুনে সেখানে শত শত মানুষ উপস্থিত হয়ে যারা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান। এসময় জনদরদী ও মানব কল্যাণ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগে তাকে হয়রানী করায় অনেক মানুষ কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। স্থানীয়রা এসময় জানায়,সাইফুল ইসলাম চেয়ারম্যান বনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নানা উন্নয়ন করে যাচ্ছেন প্রতিকুলতার মাঝেও তার এসব উন্নয়ন দেখে একটি মহল বিভিন্ন ভাবে মানুষকে অর্থ সহয়তা দিয়ে তাকে প্রতিনিয়ত হয়রানী করে যাচ্ছেন। এছাড়া এঘটনায় ঘটনাস্থলে ম্যাজিষ্ট্রেট আসার আগে চেয়ারম্যানের প্রতিপক্ষের লোকজন পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ঘটনাস্থল থেকে সড়িয়ে দেয়।
    এবিষয়ে বনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন,আমি কোন প্রকল্পসহ কোন বিষয়ে দুর্নীতি করিনি তাই আমার কোন ভয়ও নেই এসময় তিনি তার বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের তিনি কঠোর শাস্তি দাবি করে বলেন একটি প্রতিপক্ষের লোকজন বিভিন্ন মানুষকে অর্থ সহয়তা দিয়ে তার বিরদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে এসময় তিনি বনগাঁও ইউনিয়নবাসীকে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থাকার আহবান জানান।

    ঘটনাস্থলে দায়িত্বে থাকা সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্য ওসি তদন্ত জাকারিয়া হোসেন বলেন,বনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে তদন্ত কর্মকর্তা আসার আগে বেশ কয়েকটি পক্ষ ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি অবনতি করতে চেয়েছিলো কিন্ত তাদের সেই ¯^প্ন পূরণ করতে দেয়নি পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি পুলিশ যখন জানতে পারে তখন ঘটনাস্থল থেকে সবাইকে সড়িয়ে দিয়ে পরিস্থিতি অনুকুলে রাখা হয় কেউ বেআইনি ভাবে বিশৃক্সখলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও বলেন তিনি।
    তদন্ত কর্মকর্তার সাথে এসময় সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ,আমিনবাজার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হ্যাপি দাসসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

  • শ্রীপুরে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরীর কারখানায় গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন

    শ্রীপুরে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরীর কারখানায় গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন

    শ্রীপুরে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরীর কারখানায় গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, নিজস্ব প্রতিনিধি:
    গাজীপুরের শ্রীপুরের তালতলি গ্রামে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশে বনের কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরীর কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

    ২৬ আগস্ট বুধাবার দুপুরে গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় গাজীপুরের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহাকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা নাসরিন নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় পরিবেশ দূষনের অভিযোগে অবৈধভাবে কয়লা তৈরীর ২৭টি চুল্লি ধ্বংস করে এর কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।

    অপরদিকে ভ্রাম্যমান আদালত তেলিহাটি ইউনিয়নের হাতয়কারচালা গ্রামে এসআর গ্রুপের সীমানা প্রাচীরের ভিতর পুরাতন ব্যাটারী পুড়িয়ে সিসা তৈরীর কারখানায় অভিযান করে এর কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। অভিযানের সময় এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক বা শ্রমিক কাউকে পাওয়া যায়নি।

    অভিযানে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের রিসার্চ অফিসার আশরাফ উদ্দিন।

  • প্রেম-শারীরিক সম্পর্কে বাবা-মায়ের বাধা নেই একটি

    প্রেম-শারীরিক সম্পর্কে বাবা-মায়ের বাধা নেই একটি গ্রামে আন্তর্জাতিক সংবাদ ডেস্ক : আপনি এখনো বিয়ে করেননি, অথচ তার আগেই কোনো মেয়ের সঙ্গে উঠাবসা করছেন কিংবা একসঙ্গে ঘুরছেন, আড্ডা দিচ্ছেন অথবা কোনও ক্যাফেতে বসে চা পান করছেন! ভাবেন তো, এমন যদি হয় তবে কি আপনার বাবা-মা মেনে নেবে। আর যদি বয়স একটু কম হয় তবে তো বেজায় সর্বনাশ। বাবা-মা নিজেই তখন তার সন্তানের সম্পর্ক ভেঙে দিতে উঠেপড়ে লেগে যাবেন।  কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন যে, পৃথিবীতে এমনও দেশ আছে, যেখানে বাবা-মা সচেতনভাবেই তাদের ছেলে মেয়েদের পছন্দের মানুষের সঙ্গে অবাধে মিশতে দেন। এমনকি তাদের একসঙ্গে সময় কাটানোর জন্য পয়সা খরচ করে আলাদা ঘরও তৈরি করে দেন। এখানেই শেষ নয়, পছন্দের সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটাতে ‘লাভ হাটও (ভালোবাসার কুঁড়ে ঘর)’ তৈরি করে দেন তারা। কম্বোডিয়ার ক্রেয়াং সম্প্রদায়ের লোকজন সমাজকে এভাবেই তৈরি করেছেন। কম্বোডিয়ার উত্তর-পূর্বে একটি দ্বীপ অঞ্চলে ক্রেয়াংদের গ্রাম। যা ‘প্রেমের গ্রাম’ নামেই পরিচিত। প্রযুক্তি কিয়বা আধুনিকতা; কোনো কিছুর ছোঁয়া লাগেনি এই গ্রামে। যেখানকার মানুষ শুধুই আধুনিক নন সাহসীও বটে। সামাজিক নিয়মের তোয়াক্কা না করে প্রেম করার, সঙ্গীর সঙ্গে রীতিমতো লিভ-ইন করার অবাধ সুযোগ এই গ্রামে। এটাই গ্রামের আইন। মেয়েরা ঋতুবতী হলেই মা-বাবা তাকে সঙ্গী বাছাইয়ের স্বাধীনতা দেন। অন্যদিকে ছেলেদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। তারা প্রাপ্তবয়স্ক হলেই লাগাম আলগা করে পরিবার। ক্রেয়াংদের ছোট্ট গ্রামটি জলাশয়ে ঘেরা। সেই জলাশয়ে ওপর তৈরি করা হয় কুঁড়ে ঘর। যার নাম লাভ হাট। নিজ হাতে ছেলে-মেয়েদের জন্য ছোট্ট এই মাটির ঘর তৈরি করেন মা-বাবা। যাতে তাদের সন্তান সঙ্গীর সঙ্গে নিশ্চিন্তে সময় কাটাতে পারেন। বুঝে নিতে পারেন একে অপরকে। অনেক বছর ধরেই গ্রামটি এই নিয়মেই চলছে। জেনে বুঝেই ভালোবাসার এই কুঁড়ে ঘর অনেকটা দূরে তৈরি করা হয়। যাতে প্রেমিক যুগল কোনো ধরনের অস্বস্তির মধ্যে না পড়েন। পরিবারের কেউ যাতে বিরক্ত না করে সেই দিকে সম্পূর্ণ খেয়াল রাখেন তাদের মা-বাবা। বিয়ে এই গ্রামে প্রচলিত নয়। প্রেমিক-প্রেমিকা কয়েক মাস একে অপরকে বুঝে নেয়ার পরই শুরু করেন লিভ-ইন। সন্তানের জন্মও হয় লিভ-ইন সম্পর্কে থেকেই।

     

    প্রেম-শারীরিক সম্পর্কে বাবা-মায়ের বাধা নেই একটি

     

     

     

     

     

     

     

     

     

     

     

     

     

     

  • সাভারে সাংবাদিক আজাদের শিশু সন্তান দাউদ এর ১ম জন্মদিন উপলক্ষে কোরআন খতম, দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত

    সাভারে সাংবাদিক আজাদের শিশু সন্তান দাউদ এর ১ম জন্মদিন উপলক্ষে কোরআন খতম, দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত

    সাভারে সাংবাদিক আজাদের শিশু সন্তান দাউদ এর ১ম জন্মদিন উপলক্ষে কোরআন খতম, দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
    সাভারে সাংবাদিক শেখ এ কে আজাদের শিশু সন্তান শেখ মিজানুর রহমান দাউদ এর ১ম জন্মদিন পালনে কোরআন খতম,দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে।
    গত ২৪ আগষ্ট সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাসভবনে এ কোরআন খতম,দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়।
    শিশুদের আর্জিতে রাতে কেক কেটে জন্মদিনের আয়োজন শেষ করা হয়।

    এসময় নয়াবাড়ীর পাঁচতারা জামে মসজিদের ইমাম ও ক্বারী আব্দুল হামিদসহ ৬ জন কোরআনের আলেমগন কোরআন খতম দেন পরে জহুর নামাজের পর আল্লাহর নিকট দু-হাত তুলে দোয়া মনোজাত করা হয়।

    সাংবাদিক শেখ এ কে আজাদ জানান,আমার সন্তান শেখ মিজানুর রহমান দাউদ যেন সকল সময় সুস্থ্যতা থাকে,তাকে যেন আল্লাহ নেক হায়াত দান করেন, আমার আশা সে যেন হাফেজ ও সমাজে-রাষ্ট্রের মধ্যে একজন ভাল আলেম হতে পারে সকলে দোয়া করবেন এবং আমরা যেন শয়তান থেকে মুক্ত থাকতে পারি আল্লাহর নিকট এই প্রার্থনা করি।

    শেখ এ কে আজাদ মিডিয়া ভূক্ত জাতীয় দৈনিক আজকের সত্যের আলো,আনন্দটিভি,বাংলারচোখ এর সাংবাদিক তিনি সত্যের সংবাদ এর সম্পাদক,সাভার প্রেস মিডিয়া কল্যান সমিতির আহবায়ক।
    তিনি এটিএন বাংলা ও বাংলাদেশ বেতারের সাংবাদিক শেখ আবুল বাশারের ছোট ভাই।

  • সাভারে লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল ৩১৫ এ১ এর উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু সেবা সপ্তাহ-২০২০” পালিত

    সাভারে লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল ৩১৫ এ১ এর উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু সেবা সপ্তাহ-২০২০” পালিত

    সাভারে লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল, ৩১৫ এ১ এর উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু সেবা সপ্তাহ-২০২০” পালিত

    রফিকুল ইসলাম জিল্লু,সাভার থেকেঃ

    যথাযোগ্য মর্যাদায় কোরআন খতম ও দোয়ার মধ্য দিয়ে ঢাকার সাভারে পালিত হয়েছে “বঙ্গবন্ধু সেবা সপ্তাহ-২০২০”।
    লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল, ৩১৫ এ১ আজ দুপুরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
    সাভারের হেমায়েতপুরে সুগন্ধা হাউজিংয়ের আলম নগরে উপস্থিত অতিথিরা সর্বস্তরের লোকদের মাঝে মাস্ক বিতরণ, বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ নিয়ে আলোচনা সভা, কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহন করেন।

     

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এপিএস ও সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শেখর, সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর, ল্য়ান্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের জেলা গভর্নর লায়ন নজরুল ইসলাম সিকদার পিএমজেএফ, ১ম ভাইস জেলা গভর্নর আর্কিটেক্ট নিখিল চন্দ্র গুহ পিএমজেএফ, ২য় ভাইস জেল গভর্নর ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা কামাল পিএমজেএফ, জেলা সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ লায়ন তারিকুল ইসলাম মাসুম পিএমজেএফ ও লিও জেলা চেয়ারম্যান লায়ন জাহাঙ্গীর আলম জিতু পিএমজেএফ,

    ডিস্ট্রিক্ট এলসিএস কো-অর্ডিনেটর লায়ন কায়কোবাদ মোহাম্মদ শরিফুজ্জামান, লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা সেঞ্চুরি ৯৯ /৯৭ এর প্রেসিডেন্ট মুনতাসির সানিয়াত, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, ট্রেজারার নাজমা বেগম, লিও ডিট্রিক্ট প্রেসিডেন্ট জয়ন আরিফ, লিও ডিস্ট্রিক ভাইস-প্রেসিডেন্ট ৩ বাঁধন আহম্মেদ সহ আরও অনেকে।

  • র‌্যাবের কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা, অস্ত্র গুলি ও পোষাক সহ আটক ১

    র‌্যাবের কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা, অস্ত্র গুলি ও পোষাক সহ আটক ১

    র‌্যাবের কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা, অস্ত্র গুলি ও পোষাক সহ আটক ১

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, নিস্বজ প্রতিনিধি-

    র‍্যাব কর্মকর্তা সেজে প্রতারণার অভিযোগে গাজীপুরে আনোয়ার পাশা (৩০) নামে এক যুবককে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-১)।

    সোমবার (২৪ আগস্ট) রাতে মহানগরীর আউটপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

    আটক আনোয়ার পাশা ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানাধীন শহীদ নগর এলাকার নাজিম উদ্দিনের ছেলে। সে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন আউটপাড়া এলাকায় বসবাস করত।

    গাজীপুর র‍্যাব-১ এর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন দৈনিক অধিকারকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন আউটপাড়া এলাকায় অভিযান চালায় তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি এবং র‍্যাবের পোশাক উদ্ধার করা হয়।

    তিনি বলেন, প্রতারক আনোয়ার পাশা দেশের বিভিন্ন এলাকায় র‍্যাবের মেজর শাহীন, মাসুদ রানা ও ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধিদের ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফোন দিয়ে প্রতারিত করে আসছিল। এছাড়া ভয়ভীতি দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিত সে। পরে আউটপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলিসহ আনোয়ার পাশাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক ও প্রতারণার একাধিক মামলাও রয়েছে।

    এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানিয়েছেন র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

  • শ্রীপুরে ফের পৃথক গণধর্ষণের শিকার দুই নারী

    শ্রীপুরে ফের পৃথক গণধর্ষণের শিকার দুই নারী

    শ্রীপুরে ফের পৃথক গণধর্ষণের শিকার দুই নারী

    মোহাম্মদ আদনান মামুন,শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
    গাজীপুরের শ্রীপুরে গত তিন দিনের ব্যবধানে এবার আরো দুটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত রবিবার রাতে বাজার থেকে কেনাকাটা শেষে বাড়ি ফেরার পথে তুলে নিয়ে এক নারীকে (৩০) ধর্ষণ করে ছয় বখাটে যুবক। ঘটনাটি ঘটে পাশের বরমী ইউনিয়নের লাকচতল গ্রামে।

    নির্যাতনের শিকার নারী পাশের কাওরাইদ ইউনিয়নের এক কৃষকের মেয়ে। আর অভিযুক্ত ধর্ষকরা হলেন, ওই গ্রামের আহমদ মোড়লের ছেলে মাসুদ (৩০), তার বন্ধু রহমত আলীর ছেলে আরফান (৩০), মৃত সুরুজ আলীর ছেলে দুলালসহ (৩২) অজ্ঞাতপরিচয় আরো তিন সহযোগী। ধর্ষণের শিকার ওই নারী জানান, বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে তাকে উত্ত্যক্ত করত মাসুদ নামের এক যুবক। অতিষ্ঠ হয়ে উত্ত্যক্ততার শিকার ওই নারী তাঁর স্বজনদের নিয়ে যুবকটির বাড়ি গিয়ে উত্ত্যক্ত করতে নিষেধ করেন। এতে ওই যুবক ফের ফোন করে তাঁকে (নারী) সুযোগমতো পেলে ‘ক্ষতি’ করার হুমকি দিয়েছিল। হুমকি দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই পথে একা পেয়ে ওই নারীকে তুলে নিয়ে যায় ওই যুবকসহ তার পাঁচ সহযোগী। বনের ভেতর নিয়ে তারা পালাক্রমে ধর্ষণ করে তাঁকে।

    এদিকে সোমবার দুপুরে উপজেলার মাওনা উত্তরপাড়া এলাকায় পোশাক কারখানার এক কর্মী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। ঘটনার পর তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। একইসঙ্গে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে শাওন নামে অভিযুক্ত একজনকে আটক করে। সুমন নামে অভিযুক্ত আরো একজনকে আটকের জন্য অভিযান চলছিল।

    তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের পর ওই নারীর কাছে থাকা নগদ নয় হাজার টাকা, গলার স্বর্ণের চেইন ও মোবাইল ফোনসেট নিয়ে যায় ধর্ষণ ঘটনায় অভিযুক্তরা। ওই সময় তারা হুমকি দেয়, ঘটনাটি পুলিশ বা কাউকে জানালে তাঁকে কিংবা তাঁর পরিবারের যেকোনো সদস্যকে মেরে ফেলবে।

    এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে শ্রীপুর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নির্যাতনের শিকার ওই নারী। সোমবার রাত পৌনে দশটার দিকে অভিযুক্তদের একজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
    ওই নারী জানায়, উচ্ছৃঙ্খল হিসেবে গ্রামজুড়ে পরিচিত রয়েছে মাসুদের। গত রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বরমী বাজার থেকে কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথে লাকচতল গ্রামের হাসান মাস্টারের বাড়ির দক্ষিণ পাশে সড়কে পৌঁছামাত্র মাসুদ তার পাঁচ সহযোগীসহ তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। পাশে বনের ভেতর নিয়ে তারা তাঁকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

    শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্তদের আটকের জন্য অভিযান চলছে। এরই মধ্যে একজন ধরা পড়েছে।

    এদিকে শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মোহসিন হোসাইন জানান, বাসা ভাড়া নিতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন পোশাক কারখানার এক কর্মী (২৩)। নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী সোমবার দুপুরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে।
    থানার ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের দুটি ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’
    এর আগে গত শুক্রবার শ্রীপুর উপজেলার বিদাই গ্রামে পোশাক কারখানার দুই কর্মী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। ওই ঘটনায় জড়িত পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে দুইজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

    অপরদিকে, গত ২৫জুলাই উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়ন পিকআপ চালকের হাতে ধর্ষণের শিকার হন এক পোশাক শ্রমিক। ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের সদস্য (মেম্বার) কলিম উদ্দিনের হাতে ফের ধর্ষণের শিকার হন ওই পোশাক শ্রমিক।