অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ ধ্বনি কাকে বলে জেনে নিন..

অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ ধ্বনি : যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় নিঃশ্বাস জোরে সংযোজিত হয় বা ফুসফুস থেকে বের হওয়া বাতাসের জোর বেশি থাকে, তাকে মহাপ্রাণ ধ্বনি বলে। আর যে ধ্বনিগুলোতে বাতাসের জোর কম থাকে, নিঃশ্বাস জোরে সংযোজিত হয় না, তাদেরকে অল্পপ্রাণ ধ্বনি বলে। ক, গ, চ, জ- এগুলো অল্পপ্রাণ ধ্বনি। আর খ, ঘ, ছ, ঝ- এগুলো মহাপ্রাণ ধ্বনি।

ঘোষ ও অঘোষ ধ্বনি : যে সকল ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয়, অর্থাৎ গলার মাঝখানের উঁচু অংশে হাত দিলে কম্পন অনুভূত হয়, তাদেরকে ঘোষ ধ্বনি বলে। আর যে সব ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয় না, তাদেরকে অঘোষ ধ্বনি বলে। যেমন, ক, খ, চ, ছ- এগুলো অঘোষ ধ্বনি। আর গ, ঘ, জ, ঝ- এগুলো ঘোষ ধ্বনি।

মূর্ধ বর্ণ হচ্ছে ঐসব বর্ণ, যেগুলো উচ্চারণ করতে জিহবাকে মূর্ধ (জিবের উপরের শক্ত অংশের সাথে) স্পর্শ করতে হয়। ট, ঠ, ড, ঢ – এই বর্ণগুলো উচ্চারণ করলেই জানতে পারবেন মূর্ধ কাকে বলে। একইভাবে দন্ত বর্ণ উচ্চারিত হয় জিহবা ও দন্তের (দাঁতের) স্পর্শে – ত, থ, দ, ধ।

এবার আশা করি মূর্ধ ণ ও দন্ত ন এর উচ্চারণ নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া থাকবেনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *