বীমার মাধ্যমে দুঃসময়ে বেশ ভালোই সাহায্য পাওয়া যায়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বীমার মাধ্যমে দুঃসময়ে বেশ ভালোই সাহায্য পাওয়া যায়। বীমার বিষয়ে জনসচেতনতা জরুরি। বীমার প্রতি মানুষের আগ্রহ রয়েছে।’
রোববার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বীমা দিবসের উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
‘বীমা দিবসে শপথ করি, উন্নত দেশ গড়ি’ এ প্রতিপাদ্যে রোববার দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে জাতীয় বীমা দিবস। বীমা শিল্পের উন্নয়ন ও বীমা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বীমার উন্নয়নে আমরা কাজ করেছি। দুইটি আইন করেছি। জাতীয় বীমা নীতি ২০১৪ আমরা প্রনয়ন করেছি। কৃষি, পড়ালেখা, স্বাস্থ্য বীমার বিষয়ে কাজ চলছে। বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা নামে শিক্ষার জন্য একটি বীমার প্রস্তাবনা এসেছে। বিষয়টি আমরা বিবেচনায় রেখেছি। বীমাটাকে যেন মানুষ কাজ লাগাতে পারে এ জন্য লক্ষ্য রাখতে হবে। জাতির পিতা দেশকে স্বাধীন করে গেছেন। তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আমরা কাজ করছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বীমা কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। বীমা নিয়ে সাধারণ মানুষের সচেতনতা কম। এই খাতে উৎসাহ বাড়াতে কাজ করছে সরকার। বীমার কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতি করলে দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যাবে। বীমার প্রতি গ্রাহকের আস্থা আরও বাড়বে।’
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর কাজ করতে সুযোগ পেয়েছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা ১৯৭২ সালে ইন্স্যুরেন্স অডিনেন্স ও ১৯৭৩ সালে ইন্স্যুরেন্স অ্যাকাডেমি গঠন করেছিলেন। তখন তিনি দেশি বিদেশ ৪৯টি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিকে জাতীয়করণ করেছিলেন। জাতির পিতা ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে শুরু করেছিলেন। তিনি বীমা শিল্পকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন।’
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে পাঁচজন বিশিষ্ট বীমা ব্যক্তিত্বকে বিশেষ সম্মাননা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারা হলেন- সাধারণ বীমা করপোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান খোদা বক্স, গোলাম মাওলা, বিজিআইসি প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এম এ সামাদ, জীবন বীমা করপোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল আলম এবং ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাফায়েত আহমেদ। যারা পদক পেয়েছেন তারা সবাই মরহুম। তাদের পক্ষে স্বজনরা প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক গ্রহণ করেন।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ), বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম বীমা দিবস উপলক্ষে যৌথভাবে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় র্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালের ১ মার্চ তৎকালীন পাকিস্তানের আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগদান করেন। বঙ্গবন্ধু বীমা খাতে যোগদানের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে সরকার গত ১৫ জানুয়ারি ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে বীমা দিবসের উদ্বোধন করেন। বীমা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
Leave a Reply