Author: sattersangbad24

  • কোচিং না করায় শিক্ষিকার আগ্রাসনের শিকার হয়ে শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ

    কোচিং না করায় শিক্ষিকার আগ্রাসনের শিকার হয়ে শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, নিজেস্ব প্রতিবেদক, শ্রীপুর থেকে-

    কোচিং না করায় শিক্ষিকার আগ্রাসনের শিকার হয়ে এক শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। এঘটনায় স্থানীয় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

    ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর বাবা গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষক মাহফুজা আক্তার। তিনি টেপির বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের অতিথি শিক্ষিকার দায়িত্ব পালন করছেন।

    জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা মাহফুজা আক্তারের পাঠদানের সময় সকল শিক্ষার্থীদের সামনে বকেয়া বেতনের জন্য দশম শ্রেণীর মানবিক শাখার শিক্ষার্থী সাদিয়া ইসলামকে বিভিন্ন ভাবে অপমান অপধস্থ করে। একপর্যায়ে ধমক দিয়ে মাসিক বেতন পরিশোধ করেই পাঠদানে যোগ দেয়ার নির্দেশ দেন। এতেও সাদিয়া শ্রেণী কক্ষ থেকে না বের হতে চাইলে তাকে বের্তাঘাত করা হয়। পরে তাকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়। এরপর ছয় দিন ধরে বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না ওই শিক্ষার্থী।
    শ্রেণীর শিক্ষার্থী বাবা আবুল কালাম জানান, শ্রেণী শিক্ষকের কাছে রাতে তাঁর মেয়ে কোচিং না করায় বিভিন্ন ভাবে তাকে জব্দ করতো। এছাড়াও অপমান জনক কথা বার্তা বলতো। বকেয়া বেতনের পরিশোধের সুযোগে মেয়েকে প্রতিনিয়ত গালমন্দ করেন ও ক্লাস রুমে দাঁড় করিয়ে রাখে।

    শিক্ষিকা মাহফুজা আক্তার বলেন, আমাকে শিক্ষার্থীরা বাবা অতিথি শিক্ষক বলায় আমি ব্যাপক ভাবে অসম্মানিত ও অপমানিত হয়েছি। আমি কোন শিক্ষার্থীকে বের্তাঘাত করেনি।

    শ্রীপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শেখ শামসুল আরেফিন বলেন, আমার অফিসে অভিযোগ দিতে পারে, আমি জরুরী কাজে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রয়েছি। বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • শোক সংবাদঃ সাভারের হেমায়েতপুরের রাজফুলবাড়িয়া এলাকার মাঈনুদ্দিন বিশ্বাসের ইন্তেকাল(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না-লিল্লাহ রাজেউন)

    শোক সংবাদঃ সাভারের হেমায়েতপুরের রাজফুলবাড়িয়া এলাকার মাঈনুদ্দিন বিশ্বাসের ইন্তেকাল(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না-লিল্লাহ রাজেউন)

     সাভারের হেমায়েতপুরের রাজফুলবাড়িয়া এলাকার মাঈনুদ্দিন বিশ্বাসের ইন্তেকাল(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না-লিল্লাহ রাজেউন)।

    সাভারের হেমায়েতপুরের রাজফুলবাড়িয়া এলাকার আলিফের নানা মাঈনুদ্দিন বিশ্বাস দীর্ঘদিন যাবৎ শ্বাস কস্টে ভোগছিলেন, তিনি সাভার ও ঢাকার বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা নিলেও তিনি আর সুস্থ হয়ে উঠতে পারেনি।

    আলিফের নানা মাঈনুদ্দিন বিশ্বাস সম্প্রতি ৩,থেকে ৪ দিনের আগের ফাইল ছবি। সত্যের সংবাদ।

    বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা নিয়ে ঔষদ সেবনে তার উন্নতি না হয়ে শ্বাস কস্টে তার শারীরিক অবস্থ্যা আরো অবনতি হতে থাকে বলে জানান পরিবারের লোক জন।

    রবিবার ২৩ ফেব্রয়ারি ভোর ৪ টার সময়
    ফুলবাড়িয়া নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না-লিল্লাহ রাজেউন)। মৃত্যুকালে মুরহুম মাঈনুদ্দিন বিশ্বাসের বয়স হয়েছিলো ৬০ বছর।মুসলিম পরিবারে জন্ম নিয়ে হেমায়েতপুর এলাকাসহ সাভারে বিভিন্ন মানুষের কাছে বেশ পরিচিত ও ভালো একজন মনের অধিকারী ছিলেন।

    মৃত্যকালে তিনি ২ ছেলে,দুই মেয়ে স্ত্রীসহ বহুগুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তার পরিবার ছেলে-মেয়েরা মুরহুম পিতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে আত্মীয়স্বজন,বন্ধু -বান্ধব, দেশবাসীর নিকট দোয়া কামনা করেছেন।

    তিনি সাভার পৌর এলাকার ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি মুজিবুর রহমানের বিয়াই। মুরহুম মাঈনুদ্দিন বিশ্বাসের মৃত্যুতে সাভার পৌর ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের পক্ষে বিদেহী আত্মার জন্য মাগফেরাত কামনা করেছেন।

    তথ্য ও চিত্রঃ
    শেখ এ কে আজাদ

  • নেত্রী হয়ে পতিতা ও মাদক ব্যবসায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের পাপিয়া আটক

    নেত্রী হয়ে পতিতা ও মাদক ব্যবসায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের পাপিয়া আটক

    নেত্রী হয়ে পতিতা ও মাদক ব্যবসায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের পাপিয়াসহ তার সহযোগিকে আটক করছে র‍্যাব।

    সত্যেরসংবাদডেক্সঃ সুন্দরী নারীদের নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে অনৈতিক ব্যবসা করে আসছিলেন নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নুর পাপিয়া। ইতোমধ্যে অবৈধভাবে তিনি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। রাজধানীর অভিজাত একটি হোটেলে তিন মাসে তার খরচ ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা।প্রতিদিন শুধুমাত্র বারের খরচবাবদ প্রায় আড়াই লাখ টাকা পরিশোধ করতেন পাপিয়া।

    নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক পাপিয়া আটক, গোপন সব ভিডিও ক্লিপ র‌্যাবের হাতে, রাজধানীর অভিজাত হোটেলে এক মাসের বিল ৮৭ লাখ টাকা, খুলেছে দেহ ব্যবসার এসকর্ট সার্ভিস, ব্যাংককে বার ও নাইট ক্লাব।
    বেতের লাঠি হাতে বাইজি সর্দারনির বেশে পাপিয়া
    যুব মহিলা লীগের পদ বাগিয়ে অভিজাত এলাকায় জমজমাট নারী ব্যবসাসহ ভয়ঙ্কর সব অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন শামীমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউ। নিজেকে পরিচয় দিতেন ক্ষমতার রাঘববোয়ালদের কর্মী হিসেবে। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে গিয়ে নেতাদের ফুল দিয়ে সেই ছবিরও অপব্যবহার করতেন তার সব খারাপ কাজে। শুধু গত এক মাসেই এই নারী রাজধানীর অভিজাত এক পাঁচ তারকা হোটেলে বিশাল অঙ্কের বিল পরিশোধ করেছেন। আর এ অর্থ খরচের কারণেই গোয়েন্দাদের চোখ পড়ে পাপিয়ার ওপর। একের পর এক বেরিয়ে আসতে থাকে তার সব অপকর্মের কাহিনি।

    সব পাঁচ তারকা হোটেলেই ছিল পাপিয়ার এসকর্ট ব্যবসা। আলোচিত এই নারী হচ্ছেন নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাাদক। তিনি নিজেকে কেন্দ্রীয় নেত্রী হিসেবেও পরিচয় দিতেন। সর্বশেষ প্রচার করতেন সংরক্ষিত এমপি পদ পাচ্ছেন। কিন্তু তা না পেলেও থেমে ছিল না তার অপরাধমূলক কাজকর্ম।
    গতকাল সকালে স্বামী মফিজুর রহমান চৌধুরী সুমন, সাবিক্ষর খন্দকার (২৯), শেখ তায়্যিবা (২২)সহ আরও দুজন বিদেশে যাওয়ার প্রাক্কালে বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে আটক করেছে র‌্যাব। শুরুতে পাপিয়া প্রথমে নিজের দাপুটে অবস্থানের পরিচয় দেন। তবে কোনো কিছুতে গুরুত্ব না দিয়ে পাপিয়ার কাছ থেকে র‌্যাব কর্মকর্তারা উদ্ধার করতে থাকেন অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, এই পাপিয়া হেন অপকর্ম নেই, যার সঙ্গে জড়িত নন। পাঁচ তারকা হোটেলে নারী ও মাদক ব্যবসাই তার আয়ের মূল উৎস। দেশের অভিজাত কিছু মানুষ ও বিদেশিরাই এর গ্রাহক। ইন্টারনেটে স্কট সার্ভিস খুলে বসে খদ্দেরদের কাছে তাদের চাহিদামতো সুন্দরী তরুণী পাঠাতেন। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষিত সুন্দরী তরুণীদের সংগ্রহ করতেন। একপর্যায়ে তাদেরকে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের শয্যাসঙ্গী হতে বাধ্য করতেন পাপিয়া। এরই মধ্যে পাপিয়ার কাছ থেকে গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত অনেক ধনাঢ্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তির অন্তরঙ্গ দৃশ্যের ভিডিও ক্লিপ উদ্ধার করেছেন র‌্যাব কর্মকর্তারা। গোপন ক্যামেরায় মেয়েদের ছবি ধারণ করে তাদের নিয়মিতভাবে ব্ল্যাকমেইল করতেন তিনি। পাপিয়ার কাছ থেকে উদ্ধারকৃত একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়- পাপিয়া বসে আছেন বাইজিবাড়ির সর্দারনির মতো। তার হাতে মোটা একটি বেতের লাঠি। তার কব্জায় থাকা মেয়েরা কথা না শুনলে পেটাতেন। পাপিয়া একাধিক অভিজাত হোটেলের রুম ভাড়া নিতেন নামে-বেনামে। সর্বশেষ গতকাল পর্যন্ত একটি হোটেলের প্রেসিডেনশিয়াল স্যুটে তার নামে পাওয়া গেছে। এই পাঁচ তারকা হোটেলে বিভিন্ন মেয়েকে পাপিয়া নিজেই নিয়ে যেতেন। তাদেরকে দিয়ে করাতেন অবৈধ দেহব্যবসা। এরই মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদে সবকিছুই স্বীকার করেছেন পাপিয়া।

    গত ১২ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ৫৯ দিন প্রেসিডেনশিয়াল স্যুট ভাড়া ছিল পাপিয়ার নামে। ওই ৫৯ দিনে তিনি ৮১ লাখ ৪২ হাজার টাকা নগদ (ক্যাশ) পরিশোধ করেছেন। পাপিয়ার স্বামী সুমন চৌধুরী বেশির ভাগ সময় থাইল্যান্ডে অবস্থান করলেও গত থার্টিফার্স্ট নাইটে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অবস্থান করেন। ওই রাতে তার কক্ষেও চার-পাঁচ জন সুন্দরী নারী ছিল বলে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে।

    পাপিয়ার সব কর্মকান্ডের অন্যতম অংশীদার তার স্বামী সুমন। একসময় নরসিংদী শহর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ছিলেন সুমন। পরে ছিলেন নরসিংদীর প্রয়াত পৌর মেয়র লোকমানের বডিগার্ড। র‌্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফি উল্লাহ বুলবুল জানান, তার বার্ষিক আয় ১৯ লাখ টাকা হলেও পাপিয়া গত তিন মাসে শুধু একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করেছেন! এ ছাড়া তার নামে একটি হোটেলের প্রেসিডেন্ট স্যুট সব সময় বুকড থাকত। ওই হোটেলেই তার নিয়ন্ত্রণে ছিল সাতটি মেয়ে রাখা হতো। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, নগদ ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ১১ হাজার ৯১ ইউএস ডলার, বিভিন্ন দেশের মুদ্রাসহ বিপুল পরিমাণ জাল মুদ্রা জব্দ করা হয়। র‌্যাবসূত্র ও আমাদের নরসিংদী প্রতিনিধির পাঠানো তথ্যানুযায়ী, নরসিংদী শহর ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মফিজুর রহমান চৌধুরী সুমন।

    শৈশব কাল থেকেই সন্ত্রাস কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন সুমন। ২০০১ সালে পৌরসভার কমিশনার মানিক মিয়াকে যাত্রা প্যান্ডেলে গিয়ে হত্যার অভিয়োগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ওই হত্যাকান্ডের এজাহারভুক্ত আসামি সুমন ওরফে মতি সুমন। হত্যাকান্ড ও সন্ত্রাস কর্মকান্ডের ওপর ভর করে তার উত্থান। বছর দশেক আগে প্রেমের সম্পর্কের পর পাপিয়া চৌধুরীকে বিয়ে করেন সুমন। লোকমান হত্যাকান্ডের পর বর্তমান মেয়র কামরুজ্জামানের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। মেয়রের ক্যাডার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। বছর তিনেক পর পাপিয়া চৌধুরীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। ওই সময় পাপিয়াকে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। এরপর তারা নরসিংদী ছেড়ে ঢাকায় পাড়ি জমান। ঢাকায় এমপি সাবিনা আক্তার তুহিনের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে। এর পর থেকে পাপিয়া চৌধুরী ও তার স্বামী সুমন ওরফে মতি সুমন রাজধানীর সাবেক এক সংরক্ষিত এমপির আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। ওই এমপির সঙ্গে তার গাড়ির ব্যবসা আছে বলে জানা গেছে। নরসিংদীর শালিদা এলাকায় আরএসএম কার ওয়াশ নামে একটি গাড়ির সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। নরসিংদীতে রয়েছে সুমন ও তার স্ত্রী পাপিয়ার বিশাল কর্মীবাহিনী। নরসিংদী কলেজ শাখা ছাত্রলীগ ও জেলা ছাত্রলীগের অনেক নেতা-কর্মী যারা তার অনুসারী তারা ‘কিউ অ্যান্ড সি’ ট্যাটু ব্যবহার করেন। মাঝেমধ্যেই তারা বিশাল শোডাউন দেন আওয়ামী লীগের মিছিল-মিটিংয়ে। মাস্টারমাইন্ড সুমনের সন্ত্রাসের পাশাপাশি অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গেও সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

    আটক সাব্বির খন্দকার পাপিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী এবং আটক তায়্যিবা মতি সুমনের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। পাপিয়া ও মতি সুমনের ব্যক্তিগত সম্পত্তির হিসাব রক্ষনাবেক্ষণসহ সকল অবৈধ ব্যবসায় এবং অর্থ পাচার ও রাজস্ব ফাঁকি দিতে তারা সহযোগিতা করে আসছিলেন বলে জানায় র‌্যাব।

    এছাড়া নরসিংদী এলাকায় চাঁদাবাজির জন্য তার একটি ক্যাডার বাহিনী রয়েছে। স্বামীর সহযোগিতায় অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি নরসিংদী ও ঢাকায় একাধিক বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়িসহ বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক হয়েছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন ধরনের তদবির বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত।

    নরসিংদী জেলা শহরে বাগদী মারকাজ মসজিদ এলাকায় একটি পাকা ও আরেকটি সেমিপাকা টিনশেড বাড়ি আছে পাপিয়ার। সেমিপাকা টিনশেড বাড়িটি তিনি এবং তার অনুসারীরা বিরোধীদের শায়েস্তা করার জন্য টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করেন। একই এলাকার বেলদী মোড়ে প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের ১০ শতাংশ এবং আরেকটি ৬ শতাংশের মূল্যবান দুটি প্লট রয়েছে। তার শ্বশুরবাড়ি ব্রাহ্মণদীতে স্বামীর দোতলা একটি বাড়ি আছে। রাজধানীর ফার্মগেট ইন্দিরা রোডে ‘রওশন ডমিনো রিলিভো’ বিলাসবহুল ভবনে তার ও তার স্বামীর নামে দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এ ছাড়া তার কালো ও সাদা রঙের দুটি হায়েস মাইক্রোবাস, একটি হ্যারিয়ার, একটি নোয়া ও একটি ভিজেল কার আছে। নরসিংদী শহরে পাঁচটি মোটরসাইকেল রয়েছে বলে জানা গেছে।সিটি ব্যাংকে তার তিনটি হিসাব নম্বরের খোঁজ পাওয়া যায়। এর একটিতে ১ লাখ, অন্য দুটিতে ৫০ হাজার ও ১ লাখ ২০ হাজার টাকার ডিপোজিট পাওয়া যায়। তার সিটি ব্যাংকের একটি এমেক্স গোল্ড ক্রেডিট কার্ড ও একটি এমেক্স গ্রিন ক্রেডিট কার্ড রয়েছে। রাজধানীর এফডিসি গেটের সঙ্গে ‘কার এক্সচেঞ্জ’ নামে তার একটি গাড়ির শোরুম আছে বলে জানা গেছে। মোটরসাইকেলগুলো তার অনুসারীরা ব্যবহার করেন। নরসিংদী জেলা শহরে সুমন চৌধুরীর কেএমসি কার ওয়াশ নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে। কার ওয়াশ ব্যবসার আড়ালে এখানে মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাস কর্মকান্ড চলে। তার স্বামীর মালিকানায় থাইল্যান্ডে একটি বারও আছে। নরসিংদীর এসএমই শাখায় গত বছরের জুন পর্যন্ত ১ লাখ ২৩ হাজার ৮২৯ টাকা জমা ছিল। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের নরসিংদী শাখায় পাপিয়ার হিসাবে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৭৭০ টাকা ছিল।

  • সাভারের অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান মাদক ও দুই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার,প্রাইভেটকার জব্দ করেছে র‍্যাব

    সাভারের অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান মাদক ও দুই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার,প্রাইভেটকার জব্দ করেছে র‍্যাব

    • সাভারের নবীনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান মাদক ও দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার,প্রাইভেটকার জব্দ করেছে র‍্যাব

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
    সাভারের আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে ৪’শ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৪)।

    শনিবার (২২ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৪) মিরপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম সজল।

    শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) গভীররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুলিয়ার নবীনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসময় মাদক ব্যবসার কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, মো.সাইফুল ইসলাম (২৫) এবং মো.রিপন মিয়া (৩৮)।

    সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম সজল জানান, শুক্রবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় একটি প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়ে ৪’শ বোতল ফেনসিডিলসহ ওই দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। আটকরা চুয়াডাঙ্গায় থেকে মাদক ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করত।

    আটক মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানা যায় ।

  • সাভার পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ নাজিম উদ্দিন মৃত্যুতে সাবেক সংসদ সদস্য ডাঃ দেওয়ান মোঃ সালাউদ্দিনের শোক বার্তা

    সাভার পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ নাজিম উদ্দিন মৃত্যুতে সাবেক সংসদ সদস্য ডাঃ দেওয়ান মোঃ সালাউদ্দিনের শোক বার্তা

    সাভার পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ নাজিম উদ্দিন মৃত্যুতে সাবেক সংসদ সদস্য ডাঃ দেওয়ান মোঃ সালাউদ্দিনের শোক বার্তা

    শোক সংবাদঃ ঢাকা জেলার অন্তর্গত সাভার পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ নাজিম উদ্দিন ২০ ফেব্রুয়ারি রোজ বৃহস্পতিবার বাদ অাছর সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া……রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৬৫ বছর। মরহুম নাজিম উদ্দিন সাবেক এমপি মরহুম দেওয়ান ইদ্রিস সাহেবের অত্যন্ত কাছের লোক ছিলেন,জীবনদর্শায় তিনি সবসময় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ডাঃ দেওয়ান মোঃ সালাউদ্দিনের পাশে থেকে বিভিন্ন বিষয়ে সুপরামর্শ দিয়েছেন,তার মৃত্যুতে বিএনপি পরিবার একজন নিবেদিত প্রান কর্মিকে অার তার একজন মুরব্বী হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সাবেক এই সংসদ সদস্য।

    মোঃ নাজিম উদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে, তার বিদেহী অাত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যবর্গ, অাত্মীয়স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন জানিয়েছেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ডাঃ দেওয়ান মোঃ সালাউদ্দিন।

    সম্পাদনায়ঃ আবুল কালাম আজাদ।

  • কুড়িয়ে পাওয়া টাকা ফিরিয়ে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন শ্রীপুর থানার এএসআই শাহীনুর রহমান

    কুড়িয়ে পাওয়া টাকা ফিরিয়ে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন শ্রীপুর থানার এএসআই শাহীনুর রহমান

    কুড়িয়ে পাওয়া টাকা ফিরিয়ে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন শ্রীপুর থানার এএসআই শাহীনুর রহমান

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, নিজেস্ব প্রতিবেদক, শ্রীপুর থেকেঃ গাজীপুর জেলার শ্রীপুর পৌর এলাকার শ্রীপুর গ্রামের মৃত সাদিরের সন্তান মুরগী ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক শ্রীপুর থানায় সেবা নিতে কয়েক হাজার টাকা হারিয়ে ফেলেন তিনি। আব্দুল খালেক পেশায় এলাকায় একজন মুরগীর ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।

    শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ছয়টায় শ্রীপুর থানার সামনে থেকে এএসআই শাহীনুর রহমান ওই টাকা কুড়িয়ে পায়। এরপর সাথে সাথেই ওসিকে অবগত করলেন তিনি।

    এএসআই শাহীনুর রহমান জানিয়েছেন, টাকাটা পাওয়ার পর আশেপাশের লোকদের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয় । যদি কারও টাকা হারিয়ে থাকে উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে নিয়ে যাবেন। পরে ওই হারিয়ে যাওয়া  টাকার মালিক এসে যোগাযোগ করলে টাকাগুলো ফেরত দেওয়া হয়। হারিয়ে যাওয়া ১৫ হাজার ৫০০ টাকা ছিলো।

    টাকা ফেরত দেওয়ার ঘটনায় তিনি মহান পুলিশের পেশা থেকে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।

  • ‘মাদক মুক্ত শ্রীপুর চাই’ সাইকেল র‍্যালি অনুষ্ঠিত

    ‘মাদক মুক্ত শ্রীপুর চাই’ সাইকেল র‍্যালি অনুষ্ঠিত

    ‘মাদক মুক্ত শ্রীপুর চাই’ সাইকেল র‍্যালি অনুষ্ঠিত

    • মোহাম্মদ আদনান মামুন, নিজেস্ব প্রতিবেদক, শ্রীপুর থেকেঃ

    শ্রীপুর Special Response Team (SRT) এর উদ্দ্যোগে সফল ভাবে শেষ হলো ‘মাদক মুক্ত শ্রীপুর চাই’ সাইকেল র‍্যালি অনুষ্ঠিত । একঝাক তরুন ২১শে ফেব্রুয়ারি সকাল ৮ টায় মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ প্রাঙ্গন থেকে রেলিটি শুরু করে উপজেলা পরিষদ চক্কর দিয়ে জয়দেবপুর স্টেশন ভ্রমণ করে মাদকের ভয়াবহতা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে গনসংযোগ করে।এসময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর ঢাকা ট্রেন প্যাসেন্জারস ফোরামের এডমিনগন, মডারেটরগন, এস আর টির চিফ কমান্ডিং এর নেতৃবৃন্দ। সারাদিন গনসংযোগ করে তারা আবারা শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এসে র‍্যালিটি সফলভাবে শেষ করে।

  • যাথাযোগ্য মর্যাদায় ভাষা দিবসে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন সাভার পৌর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের নেতা-কর্মীরা

    যাথাযোগ্য মর্যাদায় ভাষা দিবসে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন সাভার পৌর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের নেতা-কর্মীরা

    • শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

    যাথাযোগ্য মর্যদায় মহান একুশে ফেব্রয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সকালে সাভারের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন সাভার পৌর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের নেতা-কর্মীরা।

    যাথাযোগ্য মর্যাদায় ভাষা দিবসে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন সাভার পৌর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের নেতা-কর্মীরা।

    এসময় আলোচনাসভা,র‍্যালী ও শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা। এসময় একুশে ফেব্রুয়ারি আলোচনাসভা,র‍্যালী ও শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় সভাপতিত্ব করেন সাভার পৌর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের সাভার পৌর সভাপতি এম এম জাহেরুল আহসান ফারুক।
    প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের ঢাকা জেলার উত্তরের সভাপতি জি,এম নজরুল ইসলাম নিরব।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের ঢাকা জেলার উত্তরের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ বি আনোয়ার হোসেন, সাভার উপজেলার বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি মোঃ
    ছফুর উদ্দিন ও সাভার উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ উজ্জল হোসাইন।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাভার পৌর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের ঢাকা জেলার
    সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক জাকারিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইয়াছিন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আক্তার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বলে বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হালিম।
    বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের
    সাভার ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ রাজু আহম্মেদ, ধামসোনা ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মাহাবুব আলমসহ সাভার পৌর ও সাভার উপজেলা ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা।

  • একুশের প্রথম প্রহরের সাভারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে  ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন ত্রান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর 

    একুশের প্রথম প্রহরের সাভারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে  ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন ত্রান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর 

    একুশের প্রথম প্রহরের সাভারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে  ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন ত্রান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর 

    সাভার সরকারী অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বেদীতে একুশের প্রথম প্রহরের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়েছে ভাষা শহীদদের। শুক্রবার রাত ১২টা ১ মিনিটে (প্রথম প্রহরে) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এমপি শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধ জানান।
    এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার পারভেজুর রহমান ঝুমন, সাভার পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আব্দুল গণি, প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মানিক মোল্লা, সাভার উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াসমিন আক্তার সুমি, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাভার সার্কেল আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশুলিয়া সার্কেল তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনবাজার সার্কেল হ্যাপী দাস, সাভার প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক ফুলকি’র সম্পাদক নাজমুজ সাকিব ও সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ আচার্য্য, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাসুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হাসান তুহিন।

    এছাড়া ভাষা শহীদদের স্মরণে শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আরও উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর নূরে আলম সিদ্দিকী নিউটন, পাথালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান, বিরুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজন, ধামসোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, সাভার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল রানা, সাভার নাগরিক কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ ড. রফিকুল ইসলাম ঠান্ডু মোল্লা, সাভার উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি শওকত আলী মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন খান নঈম, সাভার নাগরিক কমিটির নেতা ডাক্তার আব্দুর রাজ্জাক, সরকারী অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন পিটার গোমেজ, ফোয়সের সিনিয়র সহসভাপতি ওয়াকিলুর রহমান, ফোয়াস নেতা রাসেল উদ্দিন প্রিন্স, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কামান্ড সাভারের নেতা গোলাম ফয়েজ উদ্দিন খান শিহাব, ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, সাভার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, আওয়ামী লীগ নেতা মো: রমজান আহম্মেদ, সাভার দলিল লেখক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীম প্রমুখ।
    এসময় সাভার উপজেলা প্রশাসন, সাভার পৌরসভা, সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগ, সাভার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সাভার প্রেসক্লাব, সাভার সরকারী কলেজ, সাভার মডেল থানা, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি সাভার শাখা, ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগ, সাভার থানা ছাত্রলীগ, ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বিএলআরআই, ঢাকা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-৩, সাভার দলিল লেখক সমিতি প্রমুখ ও ব্যক্তি সংগঠন। এসময় সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে শহীদ মিনার প্রাঙ্গে রক্ত দিয়ে যে মিনার গড়েছেন ভাষা শহীদ-সংগ্রামীরা, ফুলেল ভালোবাসা আর শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়ে তা পূর্ণ করে তুলেছিলেন আপামর ছাত্র-জনতা। সকলেই শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে নীরবে দাঁড়িয়ে ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান তারা।

  • শ্রীপুরে গৃহবধূকে চড়-থাপ্পড় মারলো পুলিশ!

    শ্রীপুরে গৃহবধূকে চড়-থাপ্পড় মারলো পুলিশ!

    শ্রীপুরে গৃহবধূকে চড়-থাপ্পড় মারলো পুলিশ!

    মোহাম্মদ আদনান মামুন,নিজস্ব প্রতিবেদক,শ্রীপুর থেকেঃগাজীপুরের শ্রীপুরে জমি কেনার কারণে নূরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে মারধর ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে শ্রীপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে। এ সময় বাধা দেয়ায় তার স্ত্রীকেও পুলিশ চড়-থাপ্পড় মারে বলে অভিযোগ করেন ওই ব্যক্তি। পরে স্থানীয়দের তোপের মুখে ওই পুলিশ কর্মকর্তা ও তার সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

    শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার বেড়াইদেরচালা (২নং সিএন্ডবি) এলাকার নূরুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

    নূরুল ইসলাম জানান, একই এলাকার আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে নছ মিয়া তিন থেকে চার বছর আগে তার আপন চাচাতো ভাইয়ের কাছে থেকে সাব কবলা দলিল মূলে ৭ শতাংশ জমি কিনেন। গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) নছ মিয়া ওই জমি ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বেড়াইদেরচালা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে নুরুল ইসলামের সঙ্গে রেজিস্ট্রি বায়না করেন। পরে নুরুল ইসলাম ওই জমির চারপাশে সীমানা প্রাচীরও নির্মাণ করেন।

    এ ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টায় শ্রীপুর থানা পুলিশের এসআই নাহিদ হাসানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তার বাড়িতে যায়। পরে পুলিশ তার কাছে ওই জমি কেনার কারণ জানতে চায়। কিছু বলার আগেই এসআইয়ের সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা তার শার্টের কলার ধরে টানাহেঁচড়া শুরু করেন এবং চড়-থাপ্পড় মারেন। এর প্রতিবাদ করলে তার স্ত্রীর দুই গালেও চড়-থাপ্পড় মারেন পুলিশের সদস্যরা।

    পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়। এ সময় তারা ওই পুলিশ কর্মকর্তার কাছে নারীকে চড় মারার কারণ জানতে চায়। কোনো সদুত্তর দিতে না পেরে পুলিশ স্থানীয়দের তোপের মুখে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

    এদিকে জমি বিক্রেতা নছ মিয়া জানান, গত তিন থেকে চার বছর আগে তিনি তার আপন চাচাতো ভাই কামাল হোসেনের কাছ থেকে সাব-কাবলা দলিল মূলে ৭ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। ওই জমি তিনি স্থানীয় নূরুল ইসলামের কাছে রেজিস্ট্রি বায়না করে দিয়েছেন। তবে তাদেরকে মারধর করার খবর শুনে তিনি ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত চলে যায়।

    শ্রীপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নাহিদ হাসান জানান, ওই জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় স্থানীয় রাজু মিয়ার ছেলে হুমায়ুন ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি আদালতের আদেশ (১৪৪ ধারা) জারি করতে গিয়েছিলেন। তবে মারধর, টানাহেঁচড়া ও নারীকে চড়-থাপ্পড় মারার ঘটনা অস্বীকার করে সাংবাদিককে থানায় গিয়ে দেখা করতে বলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

    শ্রীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, আমি এখনও ঘটনা শুনিনি। খোঁজ নিয়ে আপনাকে বিষয়টা জানাচ্ছি।