Author: sattersangbad24

  • শ্রীপুরে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায়শায়িত হলেন কিংবদন্তি নেতা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা ও সংসদ নেতা রহমত আলী

    শ্রীপুরে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায়শায়িত হলেন কিংবদন্তি নেতা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা ও সংসদ নেতা রহমত আলী

    শ্রীপুরে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায়শায়িত হলেন কিংবদন্তি নেতা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা ও সংসদ নেতা রহমত আলী

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শ্রীপুর থেকে: বর্ষিয়ান নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী মরহুম এ্যাডভোকেট রহমত আলীর জানাজা নামাজ গ্রামের বাড়ী গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মুক্তযুদ্ধা রহমত আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে বিকেল চারটায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সাবেক প্রতিমন্ত্রীর জানাজার পূর্বে জীবন কর্মের উপর আলোচনা করেন, গাজীপৃর-৩ আসনের সাংসদ ইকবাল হোসেন সবুজ, বনও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদ হাসান মকুল, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন মোল্লা, গাজীপুর পুলিশ সুপার শামছুন নাহার, শ্রীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সামসুল আলম প্রধান, কাপাসিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাভোকেট মো: আমানত হোসেন খান, শ্রীপুর পৌর মেয়র আনিছুর রহমান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান ফকির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ শামসুল আরেফিনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্ধ ও সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তাবৃন্ধ।

    এছাড়া শ্রীপুরের আইনজীবী সহ রাজনৈতিক পেশাজীবী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্ধ জানাজায় উপস্থিত ছিলেন।

    জানাজা নামাজের পূর্বে নেতৃবৃন্ধের বক্তব্যের পর মরহুমের ছেলে জামিল হাসান দূর্জয় বক্তব্য দেন। অত:পর রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার শেষে জানাজা নামাজ পড়ান মরহুমের বড় ছেলে জাহিদ হাসান তাপস। নামাজের পর মরহুমের কফিনে দলীয় ও সরকারী-বোসরকারী বিভিন্ন ইউনিটের পক্ষ থেকে পুস্পার্ঘ অর্পন করা হয়।

    শ্রীপুরে মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজ মাঠে সর্বেশেষ জানাজা শেষে পারাবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।

    প্রসঙ্গত: গাজীপুর-৩(শ্রীপুর) আসনের সাবেক সাংসদ ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামীলীগৈর উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য এ্যাডভোকেট রহমত আলী রোববার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে ইন্তেকাল করেন। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিন প্লাজা সহ ঢাকায় একাধিক জানাজা শেষে সকাল সাড়ে ১০টায় গাজীপুর জেলা শহরের শহীদ বরকত ষ্টেডিয়ামে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর গাজীপুর সদর উপজেলার ভাবানীপুর মুক্তিযোদ্ধা কলেজ মাঠে ও সবশেষ শ্রীপুরে মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। অতঃপর তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

    উল্লেখ্য, গত ১৬ ফেব্রুয়ারী সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে এ্যাডভোকেট রহমত আলী মারা যান। এরপর সংসদ প্লাজা সহ রাজধানীতে একাধিক জানাজা হয় ওই নেতার। অত:পর লাশ হিমঘরে রাখা হয়।

  • শতবর্ষ মুজিব দিবস উপলক্ষে সাভারের ঐতিহ্যবাহী ল্যাবজোনের উদ্যোগে দুদিন ব্যাপী বিনামূল্যে ডেন্টাল ক্যাম্প আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন

    শতবর্ষ মুজিব দিবস উপলক্ষে সাভারের ঐতিহ্যবাহী ল্যাবজোনের উদ্যোগে দুদিন ব্যাপী বিনামূল্যে ডেন্টাল ক্যাম্প আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন

    শতবর্ষ মুজিব দিবস উপলক্ষে সাভারের ঐতিহ্যবাহী ল্যাবজোনের উদ্যোগে দুদিন ব্যাপী বিনামূল্যে ডেন্টাল ক্যাম্প আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শত বর্ষপর্তী মুজিব দিবস উপলক্ষে সাভারের ল্যাব জোন কনসালটেশন সেন্টার ও হাসপাতালের পরিচালনায় দুদিন ব্যাপী ফ্রি ডেন্টাল ক্যাম্প অনুষ্ঠানিক ভাবে মঙ্গলবার সকালে উদ্বোধন করা হয়েছে। ৭ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা বিনামূল্যে ডেন্টাল চেকআপ ও ব্যবস্থাপত্রসহ একটি করে টুথপেস্ট দিচ্ছেন রোগীদের মাঝে। সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৩ পর্যন্ত এ ফ্রি ডেন্টাল ক্যাম্প চলবে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
    মঙ্গলবার সকালে প্রথম দিন ল্যাব জোন কনসালটেশন সেন্টারের সামনে এ ফ্রি ডেন্টাল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেছেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ওয়াকিলুর রহমান।
    এসময় ল্যাবজোন কনসালটেশন সেন্টার ও হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার এম ইসহাক,ম্যানেজার ইসমাইল হোসেন তানিম,ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোঃ সেলিম হাওলাদার, জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল হাসান জীবনসহ হাসপাতালে নার্স ও ষ্টাফরা উপস্থিত ছিলেন।

    প্রতিষ্ঠানে ৭ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা বিনামূল্যে ডেন্টাল চেকআপ ও ব্যবস্থাপত্রসহ একটি করে টুথপেস্ট দিচ্ছেন রোগীদের মাঝে। ছবিঃসত্যের সংবাদ

    বিনামূল্যে ডেন্টাল চেকআপ ও ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন তারা হলেন ,ল্যাব জোন কনসালটেশন সেন্টারের ডেন্টাল বিভাগের বিশেষজ্ঞ সার্জন ও ডাক্তার মোঃ রেহান উদ্দিন, ডাঃ সায়্যেদা হানান আল বারী পেপসোডেন্ট সেনসিটিভ এক্সপার্ট এর বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা হলেন,ডাঃ মিথুন মার্মা,ডাঃ আবু সামি,ডাঃ আরিফ হোসেন,ডাঃ আরাফাতসহ ডাঃ আব্দুল আলীম।

    ল্যাব জোন কনসালটেশন সেন্টারের ডেন্টাল বিভাগের বিশেষজ্ঞ সার্জন ও ডাক্তার মোঃ রেহান উদ্দিন জানান, আজ ও আগামীকাল ফ্রি ডেন্টা ক্যাম্প চলবে। তিনি আরো জানান এ ক্যাম্পে স্থানীয় ও দূরদূরান্তে থেকে রোগীরা আসছেন তারা সেবা নিচ্ছেন প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার রোগীদের এ সেবার আওতায় আসবে।

    ল্যাব জোন কনসালটেশন সেন্টারের ডেন্টাল

    ফ্রি ডেন্টাল ক্যাম্পে স্থানীয় ও দূরদূরান্তে শত শত রোগীরা বিনামূল্যে ডেন্টাল চেকআপ ও ব্যবস্থাপত্রসহ একটি করে টুথপেস্ট পেয়ে খুশি তারা। এসময় ল্যাবজোনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।ছবিঃ সত্যের সংবাদ

    বিভাগের বিশেষজ্ঞ সার্জন ও ডাক্তার মোঃ রেহান উদ্দিন জানান, আজ ও আগামীকাল ফ্রি ডেন্টা ক্যাম্প চলবে। তিনি আরো জানান এ ক্যাম্পে স্থানীয় ও দূরদূরান্তে থেকে রোগীরা আসছেন তারা সেবা নিচ্ছেন প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার রোগীদের এ সেবার আওতায় আসবে।

    সাভারের ঐতিহ্যবাহী ল্যাব জোন কনসালটেশন সেন্টার ও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ওয়াকিলুর রহমান জানান গরীব মানুষের চিকিৎসা চিন্তা ভাবনা করে যৌথ উদ্যোগে ডেন্টাল রোগীদের মাঝে বিনামূল্যে ডেন্টাল চেকআপ ও ব্যবস্থাপত্রসহ একটি করে টুথপেস্ট দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি মানুষের দু বেলা ভালো করে টুথপেষ্ট দিয়ে দাঁত মেঝে থাকলে দন্তের বড় ধরনের রোগ থেকে মুক্তি মিলে।

    ফ্রি ডেন্টাল ক্যাম্পে স্থানীয় ও দূরদূরান্তে শত শত রোগীরা বিনামূল্যে ডেন্টাল চেকআপ ও ব্যবস্থাপত্রসহ একটি করে টুথপেস্ট পেয়ে খুশি তারা।

  • গৌরবময় ইতিহাসের স্মৃতির পাতায় রেখে গেলো সাবেক কয়েকবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য উজ্জল নক্ষত্র মুরহুম রহমত আলী

    গৌরবময় ইতিহাসের স্মৃতির পাতায় রেখে গেলো সাবেক কয়েকবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য উজ্জল নক্ষত্র মুরহুম রহমত আলী

    মোহাম্মদ আদনান মামুন,নিজস্ব প্রতিবেদক,শ্রীপুর থেকেঃ

    গৌরবময় ইতিহাসের স্মৃতির পাতায় রেখে গেলো সাবেক কয়েকবারের নির্বাচিত জনপ্রিয় আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য দেশের উজ্জল নক্ষত্র মুরহুম রহমত আলী। গ্রামের মেঠো পথ থেকে উঠে আসা শিশু কি ভাবে হয়ে উঠে রাজ দরবারের সদস্য, সেই কাহিনীর ইতি ঘটবে দাফনের মধ্যে দিয়ে আজ। আজ চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সদস্য ও সাবেক আইন প্রণেতা এ্যাডভোকেট রহমত আলী। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের পূর্ব ইতিহাসের স্বাক্ষী ছিলেন রহমত আলী। আজ তার দাফনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ইতিহাসের একটি জীবন্ত অধ্যায়। আর এরই মধ্যে ইতিহাসে খোলা হবে রহমত আলীর স্মৃতির অধ্যায়। এ্যাডভোকেট রহমত আলী আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় কমিটিতে ছিলেন, ছিলেন গাজীপুর জেলার সভাপতিও। সংসদ নির্বাচনের পর অনেকবার তার নামও এসেছে রহমত আলী স্পিকার হচ্ছেন, রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন। এই কারণে গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের সন্তান রহমত আলী জাতীয়ভাবে কত বড় মাপের লোক ছিলেন, ইতিহাস তারই স্বাক্ষী দেয়।

    ১৯৪৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর শ্রীপুর উপজেলার বর্তমান পৌর সভার ১নং ওয়ার্ডের বড়বাড়ি সম্ভ্রান্ত কৃষক পরিবারে জন্ম উজ্জ্বল নক্ষত্র এডভোকেট রহমত আলীর। বাবা মো. আছর আলী ছিলেন পেশায় কৃষক মা শুক্কুরজান বিবি ছিলেন গৃহিণী।

    স্কুল জীবনের শুরু থেকে রহমত আলী ছিলেন খুব মেধাবী। তাই উচ্চ শিক্ষা নিতে বেগ পেতে হয়নি কোন দিন। রহমত আলী শ্রীপুর পাইলট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালীন সময়ে রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই শ্লোগান দেন।

    ১১ বছর বয়সে শ্রীপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে ১৯৬২ সালের ১৭ এপ্রিল হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন তিনি। এডভোকেট রহমত আলী ১৯৬২ সালে ভালুকা উপজেলার বাটাজোর বিএম হাই স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পাশ করেন। ১৯৭২ সালে শ্রীপুর স্নাতক মহাবিদ্যালয় থেকে মানবিক শাখায় দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৯৭৪ সালে শ্রীপুর মহাবিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করে ১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

    কৃষকের ঘরে জন্ম হলেও তিনি আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। লেখা পড়া শেষ করে পেশা হিসেবে বেছে নেন আইন। এভাবে সমাজের নিরীহ নির্যাতিত মানুষকে সেবা করে শুরু হয় তার কর্মময় জীবন।

    মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট রহমত আলী আওয়ামীলীগের বড় নেতাদের হাত ধরে যোগ দেন আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে। শুরু হয় তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন।

    এরপর থেকে এই নেতাকে আর কখনও পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি জীবনের সর্বশেষ গন্তব্যে পৌঁছাতে। কারণ ওনার মনে প্রাণে ছিলো মানুষের সেবা করার স্বপ্ন। আর মনের বিতর লালিত স্বপ্ন পূরণ করতে আরোও সুযোগ করে দেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।

    বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে ১৯৯১ সালে প্রথম বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এডভোকেট রহমত আলী। নির্বাচিত হওয়ার পর একটি দিনও বসে থাকেন নি তিনি।
    লেগে যান কাজে কি ভাবে অবহেলিত জনপদ শ্রীপুরকে আধুনিক শ্রীপুর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা যায়। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, বিশ্ব বিদ্যালয়সহ শত শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন উন্নয়নমূল্লক কাজে হাত দেন তিনি।

    একে একে অবহেলিত জনপদ শ্রীপুরকে বাংলাদেশের বুকে সর্বোচ্চ স্হানে পৌছে দিতে জীবেন শেষ দিন পর্যন্ত কাজ করে গেছেন এই সমাজ সংস্কারক।

    রহমত আলী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর্বে শ্রীপুর উপজেলার রাস্তাঘাট গুলোর অবস্থা ছিলো খুবই বেহাল। এই রাস্তা গুলো সংস্কারের জন্য একে একে হাত দেন সব রাস্তায়। উপজেলার সাথে সকল ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগ নিশ্চিত করতে সড়ক গুলোকে প্রশস্ত করেন। রাস্তা ঘাট প্রশস্ত হওয়ার পর উপজেলার সাথে শুরু হয় বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগ। এতে করে ব্যবসার প্রসার বৃদ্ধি পেতে থাকে।

    এরপর রহমত আলী শ্রীপুর উপজেলার সাথে অনন্য উপজেলার মানুষের সংযোগ স্থাপনের জন্য বিভিন্ন নদীতে বেশ কয়েকটি বড় সেতু নির্মাণ করে পাশ্ববর্তী উপজেলা ভালুকা, গফরগাঁও, কাপাসিয়া, কালীগঞ্জে, কালিয়াকৈরের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে ব্যবসার দ্বার উন্মোচিত করে দেন। এতে করে তিনি ঘুরিয়ে দেন বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা।

    এই মহান মানুষটি বাংলাদেশ জাতীয় সংদের ৫বার জনগণের ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বাংলাদেশের সরকারের পল্লী উন্নয়ন সমবায় প্রতিমন্ত্রীরও দায়িত্বে পালন করেন পাঁচ বছর। আর মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে শুধু নিজের সংসদীয় এলাকা নয় পূরো বাংলাদেশ উন্নয়নের ছোঁয়া ছিলো রহমত আলীর।

    পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, (১৬ ফেব্রুয়ারী রবিবার ) সকাল সাড়ে ৭টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ তিনি করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

    দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগে ভুগছিলেন রহমত আলী। এর আগে কয়েক দফা থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে গত ২৮ জানুয়ারি দেশে আনা হয় তাঁকে। তবে অবস্থার অবনতি হলে ওইদিনই তাঁকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি।

    দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনেকবার কারাবরণ করেছেন রহমত আলী। ১৯৮৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকরত অবস্থায় ড. কামাল হোসেনের বাসা থেকে তাঁকে চোখ বেঁধে ক্যান্টমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নির্যাতন চালিয়ে তাঁর ১৭টি দাঁত, ডান হাত ও বুকের একটি হাঁড় ভেঙে ফেলে হয়।

    গাজীপুর-৩ আসন থেকে একাধারে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন রহমত আলী। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন উপকমিটি, বাংলাদেশ কৃষক লীগ ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। অসুস্থতার কারণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চাননি তিনি।

    রহমত আলীর বড় ছেলে ড. এম জাহিদ হাসান একজন পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। মেঝ ছেলে জামিল হাসান দুর্জয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। একমাত্র মেয়ে রুমানা আলী টুসী জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য। তাঁর মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।

  • শ্রীপুরে খাস পুকুরের প্রকাশ্যে মাটি বিক্রি! প্রশাসনের নীরব ভূমিকা পালন

    শ্রীপুরে খাস পুকুরের প্রকাশ্যে মাটি বিক্রি! প্রশাসনের নীরব ভূমিকা পালন

    শ্রীপুরে খাস পুকুরের প্রকাশ্যে মাটি বিক্রি! প্রশাসনের নীরব ভূমিকা পালন

    মোহাম্মদ আদনান মামুন,নিজস্ব প্রতিবেদক,শ্রীপুর থেকেঃ
    গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের সিংগাদিঘী গ্রামে মান্দাই খাস পুকুর খননের নামে প্রকাশ্যে মাটি বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। ঐ ইউপি সদস্য মতিউর রহমান (মতি) শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য।

    গতকাল (১৭ ফেব্রুয়ারী সোমবার) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরকারী খাস পুকুরটিকে বেশ গভীর করে ইতিমধ্যে অনেক মাটি কেটে নিয়ে গেছে। আর এভাবে চলতে থাকলে কয়েকদিনের মধ্যে পুকুরের পারসহ পুকুরের অস্তিত্ব বিলিন হয়ে যাবে।

    স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, বেশ কয়েকবছর ধরে মাওনা এলাকার মান্দাই পুকুর সরকারী ভাবে লিজ দেয়া হচ্ছে না। আর লিজ না দেয়ার কারণে বর্তমানে পুকুরটি মৃত প্রায়। এই সুযোগে ইউপি সদস্য মতিউর রহমানসহ এলাকার বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী মিলে কয়েকদিন ধরে রাতের আঁধারে ভেকু দিয়ে শত শত ড্রাম ট্রাকে করে পার্শ্ববর্তী কাওরান বাজার এলাকায় এগ্রোটেক নামক একটি কোম্পানির কাছে বিক্রি করছে। আর বিক্রিকৃত খাস পুকুরের মাটি দিয়ে ঐ কোম্পানি রাতের আঁধারে বনের জায়গা দখল করে ভরাট করছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে এগ্রোটেক কোম্পানির তেমন কাউকে পাওয়া যায়নি।

    এলাকাবাসী জানান, সন্ধ্যার পর থেকে শত শত ড্রাম ট্রাকে করে মাটি বিক্রি করে সরকারী পুকুর নষ্ট করে দিচ্ছে।
    আর বেশি ওজন সম্পন্ন ড্রাম ট্রাক চলাচলের কারণে আমাদের রাস্তাঘাট ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে করে বর্ষকালে এলাকার মানুষের চলাচলের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হবে। তাই এলাকাবাসীর মনে করেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মাটি বিক্রি বন্ধ করে দিলে এলাকার রাস্তাঘাট ভালো থাকবে।
    মাটি বিক্রি ও ড্রাম ট্রাক চলাচলে এলাকাবাসী বাঁধা প্রধান করলে তাদের প্রকাশ্যে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
    অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মতিউর রহমান মতি বলেন, দীর্ঘ সময় থেকে এই খাস পুকুরটি ভরাট হয়ে রয়েছে, তাই মাটি খনন করে পুকুরটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। আর সামন্য টাকা মসজিদের উন্নয়নের জন্য নেয়া হচ্ছে।

    শ্রীপুর রেঞ্জের শিমলা পাড়া বিট কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন মুঠোফোনে বলেন, বনের জায়গায় মাটি ফেলে ভরাট করার সংবাদ পেয়ে, আমিসহ আমার সহকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি ভরাটের জন্য এগ্রোটেক কোম্পানির কতৃপক্ষে বাঁধা প্রধান করি। এবং আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করি। তিনি আরোও জানান, পরবর্তীতে সার্ভেয়ার দ্বারা সিমানা নির্ধারণ করা হবে। যদি ঐ কোম্পানির বনের জায়গা দখল করে ভরাট করে থাকে তাহলে ঐ কোম্পানির বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা করা হবে।

    শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ শামসুল আরেফিন বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নিয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • শ্রীপুরে ফ্ল্যাট থেকে এক যুবকের ঝলসানো গলাকাটা,পঁচে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার

    শ্রীপুরে ফ্ল্যাট থেকে এক যুবকের ঝলসানো গলাকাটা,পঁচে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার

    শ্রীপুরে ফ্ল্যাট থেকে এক যুবকের ঝলসানো গলাকাটা,পঁচে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ।

    মোহাম্মদ আদনান মামুন,নিজস্ব প্রতিবেদক,শ্রীপুর থেকেঃ
    গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিম খণ্ড (প্রশিকা মোড়) এলাকায় তিনতলা ভবনের একটি ফ্ল্যাট থেকে এক যুবকের ঝলসানো গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ।

    মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহ পঁচে গলে যাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ নিহতের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।

    ভবনের মালিক চান মিয়া। তার ছেলে মজনু জানান, মাস খানেক আগে তিনতলা ভবনের দ্বিতীয় তলার পূর্ব পাশের একটি ফ্ল্যাট সামিরা ও আব্দুর মজিদ ভাড়া নেয়। ভাড়া নেয়ার পর তারা দু’জনই বসবাস করে আসছিল। চার-পাঁচদিন যাবত ঘরের দরজা তালাবদ্ধ থাকায় সোমবার বিকেলে মইয়ের সাহায্যে বারান্দা দিয়ে ফ্ল্যাটের ভেতর তোষকে মোড়ানো মরদেহ সদৃশ্য বস্তু দেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়।

    পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভেঙ্গে ভেতর ঢোকার চেষ্টা করে। পুলিশে ভেতরে না ঢুকে ঢাকার ক্রাইম সিন ইউনিট ও গাজীপুর সিআইডিকে খবর দেয়া হয়। পরে গাজীপুর থেকে সিআইডি পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে, ঢাকা থেকে আমিনুল রহমান খানের নেতৃত্বে ক্রাইম সিন ইউনিটের একটি দল, র‌্যাবের ডিএডি মোহাম্মদ রফিক উদ্দিনের নেতৃত্বে একাধিক টিম ঘটনাস্থলে এসে ফ্ল্যাটের শয়ন কক্ষের ভেতর তোষকে মোড়ানো গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে।

    ক্রাইম সিন ইউনিটের পরিদর্শক আমিনুল রহমান খান জানান, ফ্ল্যাটটির শয়ন কক্ষে তোষকে মোড়ানো অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তোষক খুলে দুটির চটের বস্তায় ভরা ও রশি দিয়ে বাধা অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে রশি কেটে দেখা যায় মরদেহটি সমস্ত শরীর ঝলসানো এবং গলা অর্ধেকেরও বেশি অংশ কাটা।

    তিনি জানান, মরদেহটিতে পোকা ধরা ও ঝলসানো ধরায় তা শনাক্ত করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ৮ থেকে ১০ দিন আগে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। তবে কি দিয়ে মরদেহটি ঝলসানো হয়েছে তার আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে, তা পরীক্ষার করে নিশ্চিত করে বলা যাবে।

    শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান, ফ্ল্যাটের কক্ষ থেকে তোষক, দুটি চটের বস্তা উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আকতার হোসেন জানান, ঘটনার রহস্য উদঘাটনের পুলিশের একাধিক টিম ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। শিগগিরই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হবে।

  • মুসলিম স্টাফদের নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে একটি পোশাক কারখানায়,অন্যথায় হাজিরা কর্তন

    মুসলিম স্টাফদের নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে একটি পোশাক কারখানায়,অন্যথায় হাজিরা কর্তন

    • বিশেষ সংবাদ প্রতিবেদনঃ

    গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় সকল কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জন্য অফিস চলাকালীন প্রতিদিন মসজিদে গিয়ে যোহর, আসর ও মাগরিবের নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
    গত ৯ তারিখে জারি করা একটি নোটিশে লেখা রয়েছে, এই তিন ওয়াক্ত নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় পাঞ্চ মেশিনে পাঞ্চ করতে হবে। যদি কোন কর্মী মাসে সাত ওয়াক্ত পাঞ্চ করে নামাজ না পড়েন; তবে একদিনের সমপরিমাণ হাজিরা কেটে নেয়া হবে তার বেতন থেকে।

    ফ্যাক্টরিটির অপারেশন্স বিষয়ক পরিচালক মেসবাহ ফারুকী জানিয়েছেন, এটি শুধু উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা সহ সকল স্টাফদের নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এক প্রশ্নে জবাবে ফারুকী সাংবাদিকদের বলেন, সবাই আমরা নামাজ পড়ি। আমরা ইসলাম ধর্মের অনুসারী, আমাদের নামাজ পড়া ফরজ। এখানে মুসলমান যারা আছে তারা সবাই নামাজ পড়ে। কিন্তু তারা নামাজ পড়ে বিক্ষিপ্তভাবে।

    তিনি আরও বলেন, কর্মীদের মধ্যে মতভেদ-দূরত্ব কমানোর একটি উপায় হিসাবে কারখানায় নামাজ বাধ্যতামূলক করার এই সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন। আমাদের এখানে বিভিন্ন মতভেদের লোক আছে। এখানে একটা টিম হিসেবে কাজ করতে হয়। এখানে ফেব্রিক ডিপার্টমেন্টের সাথে নিটিং সেক্টরের হয়ত একটা সমস্যা থাকে। একেকজন একেকজনের উপর দোষারোপ সারাদিন চলতেই থাকে। তো আমি এটার সমাধান হিসেবে চিন্তা করলাম তাদের যদি একসাথে বসানো যায়, একসাথে কিছু সময় যদি তারা কাটায়, তাদের মধ্যে দূরত্বটা কমবে বলে আশা করছেন ।

    তিনি বলেন, তার কাছে মনে হয়েছে মসজিদ ছাড়া একসাথে বসানোর কোন পন্থা তিনি খুঁজে পাননি।তাই এই একত্র করার জন্য নামাজ পড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

    ফারুকী তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে স্বাস্থ্যগত একটি ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। তিনি বলছেন, সারাদিন বসে বসে কাজ করায় কোলেস্টেরল বেড়ে ডায়াবেটিসসহ আরো রোগ দেখা দেয়। মসজিদ চারতলায় হওয়াতে আসা যাওয়া ও নামাজের মাধ্যমে সকলের কিছুটা ব্যায়ামও হচ্ছে।

    এ ধরণের নির্দেশনাকে সংবিধানবিরোধী আখ্যা দিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। সংবিধানেই তো বলা আছে ধর্ম কারো ওপর চাপিয়ে দেয়া যাবে না।

    তিনি বলেন, কোন আইন দিয়েই এটা বাধ্যবাধকতা দেয়া যায় না। ইসলাম ধর্মও বলে না কারো ওপরে ধর্ম চাপিয়ে দেয়া যাবে। আপনি যেমনটি বলছেন, তেমনটি হলে তো এটা খতিয়ে দেখতে হবে।

    অনেক মুসলিম শ্রমিকরাও নামাজ পড়ার আহবান করায় স্বাগত জানিয়েছেন। পরিস্কার – পরিছন্নতার মাধ্যমে দেহে বহু রোগ থেকে মুক্ত হয়। তবে মহিলা শ্রমিকদের ক্ষেত্র একটু শিথীল যোগ্য হয় সেটিও মনে করছেন তারা।

  • সাভার পৌর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে ২১ ফেব্রয়ারির প্রস্তুতিমূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    সাভার পৌর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে ২১ ফেব্রয়ারির প্রস্তুতিমূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    সাভার পৌর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে ২১ ফেব্রয়ারির প্রস্তুতিমূলক সোমবার সন্ধ্যার পর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।ছবিঃসত্যের সংবাদ

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকেঃ
    আগামী ২১ ফেব্রয়ারি উপলক্ষে সাভার পৌর তালবাগের কলেজ রোড ফারুকের মোড় এলাকার বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার এর নিজস্ব সাভার পৌর অফিস কার্যালয়ে এক প্রস্তুতিমূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ১৭ ফেব্রয়ারি সন্ধ্যার পর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের সাভার পৌর সভাপতি এম এম জাহেরুল আহসান ফারুক এর উপস্থিতিতে ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাহী সদস্য এম এম কামরুল আহসান সোনাহর আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
    সাভার উপজেলার বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের সাধারন সম্পাদক উজ্জল হোসেন।

    অনেকে মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সাভার পৌর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ আব্দুল হালিমসহ প্রায় অর্ধশাতাধিক নেতা-কর্মীরা।

    বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের সাভার পৌর সভাপতি এম এম জাহেরুল আহসান ফারুক বলেন, আগামী ২১ ফেব্রয়ারি সাভারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের স্বরণে সকালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর অফিস কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল ও খিজুরীভোজের আয়োজন করা হবে।দোয়া মাহফিল ও খিজুরীভোজের আয়োজনে এলাকার মানুষসহ নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি কামনা করছেন তিনি।

  • গাজীপুর-৩ আসনের জনপ্রিয় সাবেক সংসদ সদস্য মুরহুম রহমত আলীর সুপ্রিম কোর্টে জানাজা অনুষ্ঠিত

    গাজীপুর-৩ আসনের জনপ্রিয় সাবেক সংসদ সদস্য মুরহুম রহমত আলীর সুপ্রিম কোর্টে জানাজা অনুষ্ঠিত

    গাজীপুর-৩ আসনের  সাবেক সংসদ সদস্য মুরহুম রহমত আলীর সুপ্রিম কোর্টে জানাজা অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিবেদক,মোহাম্মদ আদনান মামুন,শ্রীপুর থেকেঃ
    সাবেক প্রতিমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও গাজীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রহমত আলীর জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
    মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রয়ারি তাকে শ্রীপুরে বিকেল ৩টার সময় জানাজা শেষে দাফন করার সম্ভাবনা রয়েছে।

    সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

    জানাজায় অংশ নেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, জয়নুল আবেদীন, আবদুল মতিন খসরু, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।

    পরে প্রধান বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষ থেকে তার কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

    এর আগে রোববার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটের দিকে ঢাকার স্কয়ার হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

    তিনি গাজীপুরের শ্রীপুরে ১৯৯১ সাল থেকে দশম জাতীয় সংসদ পর্যন্ত ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি সরকারের একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের প্রবক্তা। তার মেয়ে রুমানা আলী টুসী একাদশ জাতীয় সংসদে ১৪ নম্বর সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি।

  • জাবিতে বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ৭৮-তম জন্মবার্ষিকীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শ্রদ্ধা নিবেদন

    জাবিতে বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ৭৮-তম জন্মবার্ষিকীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শ্রদ্ধা নিবেদন

    জাবিতে বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ৭৮-তম জন্মবার্ষিকীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শ্রদ্ধা নিবেদন

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপমহাদেশের খ্যাতনামা বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ৭৮-তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়েছে।

    সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের সম্মুখে তাঁর ম্যুরালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ ও ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
    এ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো.আমির হোসেন, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো.নূরুল আলম, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক, হল প্রভোস্ট, প্রক্টর, বিভাগীয় সভাপতি, অফিস প্রধানসহ অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

    ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের প্রাক্কালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, খ্যাতনামা বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া মুক্তিযুদ্ধের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের ভিপি হিসেবে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। এ কারণে ১৯৬২ সালে তিনি গ্রেফতার হন। বিজ্ঞান শিক্ষা, গবেষণা ও রাজনীতিতে ড. ওয়াজেদ মিয়ার অবদান বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। উপাচার্য বলেন, তিনি দেশে আণবিক গবেষণার পথিকৃৎ। তিনি আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। আণবিক শক্তি গবেষণাসহ সার্বিক বিজ্ঞান চর্চায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু স্বর্ণপদক’ লাভ করেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে তিনি বঙ্গবন্ধু পরিবারের পাশে থেকে তাঁদের সাহস ও শক্তি জুগিয়েছেন। ১৯৯৭ সালে তারই পরামর্শ ও পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় সমন্বিত উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। ড. ওয়াজেদ বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতে নীরবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তারই স্বপ্নের ফসল। তার লেখা অনেক বই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়। তার স্বপ্ন, আদর্শ অনুসরণ করলে তাঁকে সম্মান জানানো হবে।

  • গার্ড অব অনার প্রদানে সাবেক মন্ত্রী মুরহুম রহমত আলীর কফিনে শেষ শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

    গার্ড অব অনার প্রদানে সাবেক মন্ত্রী মুরহুম রহমত আলীর কফিনে শেষ শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

    গার্ড অব অনার প্রদানে সাবেক মন্ত্রী মুরহুম রহমত আলীর কফিনে শেষ শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

    সত্যেরসংবাদঃ

    রোববার বিকালে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় রহমত আলীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার আগে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলীর কফিনে রাষ্ট্রীয় সম্মান (গার্ড অব অনার) প্রদান করা হয়।

    রহমত আলীর কফিনে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে তার রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কফিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে আলাদাভাবে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী রহমত আলীর কফিনে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

    রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় গাজীপুর-৩ আসনের পাঁচবারের এমপি রহমত আলীর। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন রহমত আলী। ডায়াবেটিস ও কিডনির জটিলতাও ভোগছিলেন তিনি। মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

    ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, প্রধান হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, বিরোধীদলীয় নেতার পক্ষে বিরোধীদলীয় হুইপ পীর ফজলুর রহমান কফিনে শ্রদ্ধা জানান।

    এসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, জাতীয় হুইপ ইকবালুর রহিম, হুইপ আতিউর রহমান আতিক, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নব-নির্বাচিত মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, জাতীয় সংসদের সদস্য, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিমসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনসমূহের কেন্দ্রীয় নেতা, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিরা শরিক হোন।

    এর আগে মরহুমের জীবন বৃত্তান্ত পাঠ করেন হুইপ ইকবালুর রহিম। মরহুমের কর্মময় জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং পরিবারের পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. জামিল হাসান দুর্জয়।

    পরে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শরিক হন।