Author: sattersangbad24

  • অলরাউন্ডার হলেই নাকি তাঁর ক্যারিয়ারের জন্য ভালো:সৌম্য

    অলরাউন্ডার হলেই নাকি তাঁর ক্যারিয়ারের জন্য ভালো:সৌম্য

    অলরাউন্ডার হলেই নাকি তাঁর ক্যারিয়ারের জন্য ভালো:সৌম্য

    ছিলেন বোলার! সেখান থেকে হয়ে গিয়েছিলেন ব্যাটসম্যান। সেই সৌম্য এখন ধীরে ধীরে হচ্ছেন অলরাউন্ডার সৌম্য। নতুন দায়িত্ব উপভোগও করছেন জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার। টপ অর্ডারে বিশ্বমানের বোলারদের বিপক্ষে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সামর্থ্য রাখেন সৌম্য সরকার।

    তিনি পাওয়ার প্লেতে ৩০ গজের সুবিধাটা বাংলাদেশের যে কয়জন ব্যাটসম্যান খুব ভালো নিতে পারেন। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে সৌম্য যেন বদলে ফেলছেন নিজের ‘ব্যাটসম্যান’ পরিচয়। ব্যাটিংয়ের সঙ্গে সমানতালে তিনি করে যাচ্ছেন বোলিংও। নিজেকে অলরাউন্ডার হিসেবে পরিচিত করে যাচ্ছেন তিনি।

    সবশেষ পাকিস্তান সফরেও টি-টোয়েন্টিতে দেখা গেছে ‘অলরাউন্ডার’সৌম্যকে। সৌম্য এখন নিজেকে অলরাউন্ডার হলেই নাকি তাঁর ক্যারিয়ারের জন্য ভালো হবে। আজ মিরপুর একাডেমি মাঠে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) দল ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের অনুশীলন শেষে তিনি বলছিলেন, ‘অবশ্যই, আমার জন্য ভালো হবে। আগে এক দিক (ব্যাটিং) নিয়ে চিন্তা করতাম। এখন দুই দিক পাচ্ছি। শুধু ব্যাটিংয়ে খারাপ করলে মনে হয় দিনটা শেষ হয়ে গেল আজ। এখন সুযোগ বেশি থাকবে ভালো করার।’

    পাকিস্তান সফরে অবশ্য ব্যাট হাতে তেমন কিছু করতে পারেননি। সে সুযোগও ছিল না তাঁর। দুই ইনিংসেই নেমেছেন ইনিংসের শেষ দিকে। বোলিংটাও খুব ভালো হয়নি। বাংলাদেশ সিরিজ হেরেছে ২-০ ব্যবধানে।

  • সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৪ ঘণ্টা ইঞ্জিন চালিত নৌযান বন্ধঃ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়

    সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৪ ঘণ্টা ইঞ্জিন চালিত নৌযান বন্ধঃ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়

    ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ২৪ ঘণ্টা ইঞ্জিন চালিত নৌযান বন্ধ থাকবে।

    নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এ আদেশ জারি করেছে।

    নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, উপযুক্ত বিষয় ও সূত্রের পরিপ্রেক্ষিতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ অনুসারে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের জন্য ৩১ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে ১ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত লঞ্চ, ইঞ্জিন চালিত সব ধরনের নৌযান (ইঞ্জিন চালিত ক্ষুদ্র নৌযান বা জনগণ তথা ভোটারদের চলাচলের জন্য ব্যবহৃত ক্ষুদ্র নৌযান ব্যতীত) এবং স্পিড বোট চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য ঢাকার জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

  • করোনাভাইরাসে চীনে গুগল সব অফিস বন্ধ

    করোনাভাইরাসে চীনে গুগল সব অফিস বন্ধ

    করোনাভাইরাসে চীনে গুগল
    সব অফিস বন্ধ

    প্রাণঘাতী নভেলা করোনাভাইরাসের কারণে গুগল চীনে তাদের সব অফিস বন্ধ করেছে। এছাড়া তাইওয়ান ও হংকংয়েও গুগল তাদের অফিস বন্ধ রাখবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

    গুগল ওয়েবসাইটের তথ্য অনুয়ায়ী, বুধবার দুপুর থেকেই গুগল চীনে তাদের অফিস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে থাকে।

    চীনের বেইজিং, সাংগাই, শেনজেন ও গুয়ানজোহোতে গুগলের অফিস রয়েছে।
    এসব অফিস কবে খুলবে তা এখনও বলা হয়নি। এছাড়া গুগল তাদের কর্মীদের ভ্রমণের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
    -খবর ফক্স নিউজ

  • ধূলিকণাসহ ক্ষতিকর পদার্থসমূহ ফুসফুস শোষণ কার্যকারিতার উপায় জেনে নিন..

    ধূলিকণাসহ ক্ষতিকর পদার্থসমূহ ফুসফুস শোষণ কার্যকারিতার উপায় জেনে নিন..

    ধূলিকণাসহ ক্ষতিকর পদার্থসমূহ ফুসফুস শোষণ কার্যকারিতার উপায় জেনে নিন..

    চিকিৎসা সংবাদঃ
    শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলেও ফুসফুস প্রতিনিয়ত অবহেলার শিকার হয়। বাতাসে মিশে থাকা ধূলিকণাসহ ক্ষতিকর পদার্থসমূহ সবই ফুসফুস শোষণ করছে প্রতিদিন।সেইসঙ্গে ধূমপানের ফলে গোলাপি ফুসফুস কালো রং ধারণ করছে। এতে ফুসফুস ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন ধূমপায়ীরা। তবে জানেন কি? ঘরোয়া পাঁচ উপায়েই ফুসফুসকে প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার করা সম্ভব।

    জেনে নিন কীভাবে-১. গ্রিন টি’তে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এক কাপ গ্রিন টি স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী তা স্বাস্থ্য সচেতনরা অবশ্যই অবগত রয়েছেন। এটি শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। নিয়মিত গ্রিন টি পানের অভ্যাস গড়লে ফুসফুসের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে।

    ২. সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তার পূর্বে এক গ্লাস গরম পানিতে তিন টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এছাড়াও সারাদিনের ডায়েটে অন্তত এক গ্লাস আনারস বা ক্র্যানবেরির জুস রাখুন।

    ৩. গাজরের জুস ফুসফুস পরিষ্কারে অত্যন্ত কার্যকরী এক উপাদান। প্রতিদিন অন্তত ৩০০ মি.লি গাজরের জুস খাওয়ার অভ্যাস গড়ুন।

    ৪. শারীরিক বিভিন্ন সুস্থতার দাওয়াই হলো আদা। ঠাণ্ডা-কাশি সারানোর পাশাপাশি ফুসফুস পরিষ্কারেও আদার জুড়ি মেলা ভার। কাঁচা আদা চিবিয়ে খেলে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উপকার মিলবে। এছাড়াও আদা দশ মিনিট পানিতে ফুটিয়ে চায়ের মত পান করলেও শরীরের সব টক্সিন দূর হয়ে যাবে।

    ৫. প্রতিদিন চা বা সালাদের সঙ্গে চার থেকে পাঁচ টি পুদিনা পাতা রাখুন। এটি ফুসফুসের বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে আপনাকে বাঁচাবে। সেইসঙ্গে প্রচুর পানি পান করুন। নিয়মিত ব্যায়াম করলে ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ে।

  • সরস্বতী পূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন

    সরস্বতী পূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন

    বৃহস্পতিবার হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা হচ্ছে দেশে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের মন্দির ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বাণী অর্চনা ও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিদ্যা, বাণী ও সুরের দেবী সরস্বতীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

    সরস্বতী পূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    সরস্বতী পূজা উৎসবের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করে আবদুল হামিদ এক বাণীতে বলেছেন, সরস্বতী পূজা বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ধর্মীয় উৎসব। এই উৎসবে ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণ দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ও ঐতিহ্যে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। পূজার ঐতিহ্যকে আরো সুদৃঢ় করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহবান জানান তিনি।
    পঞ্জিকা অনুসারে, হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম এই ধর্মীয় উৎসবে পঞ্চমী তিথিতে বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন অগণিত ভক্ত। সনাতন ধর্মালম্বীদের মতে দেবী সরস্বতী সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানালোকের প্রতীক। বিদ্যা, বাণী ও সুরের অধিষ্ঠাত্রী। তাই শিক্ষার্থীরা এই পূজার আয়োজনে সামনে থাকেন। ধর্মীয় বিধান অনুসারে সাদা রাজহাঁসে চড়ে বিদ্যা ও সুরের দেবী সরস্বতী পৃথিবীতে আসেন। তিনি ভক্তদের শিক্ষা ও জ্ঞান দান করেন।

    প্রতি বছরের ন্যায় এবারো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ হলে সাড়ম্বরে বিদ্যা ও আরাধনার দেবী সরস্বতীর পূজার আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ৮টায় শুরু হবে পূজার্চনা এবং ৯টা থেকে শুরু হবে অঞ্জলি প্রদান। সন্ধ্যা ৬টায় হবে আরতি অনুষ্ঠান। এরপর চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

    জগন্নাথ হল উপাসনালয়ে হল প্রশাসনের উদ্যোগে কেন্দ্রীয়ভাবে আয়োজিত একটি পূজা ছাড়াও এই মহোৎসবের বিশেষ আকর্ষণ থাকবে হলপুকুরে চারুকলা অনুষদের তৈরি ৩২ ফুট দীর্ঘ বিশাল আকৃতির একটি প্রতিমা।

  • যুব বিশ্বকাপের তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে আজ  মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, খেলা দেখা যাবে জিটিভিতে

    যুব বিশ্বকাপের তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে আজ মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, খেলা দেখা যাবে জিটিভিতে

    যুব বিশ্বকাপের তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে আজ ৩০ জানুয়ারি মুখোমুখি বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, দুপুর দুইটায় খেলা দেখা যাবে জিটিভিতে।

    স্পোর্টস ডেক্সঃ
    দক্ষিণ আফ্রিকায় বসা ১৩ তম যুব বিশ্বকাপের গ্রুপ ‘সি’ থেকে টেবিল টপার হয়ে সুপার লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে টাইগার যুবারা।

    যুব বিশ্বকাপের তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে টাইগার যুবারা আজ ৩০ জানুয়ারি মুখোমুখি হবে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর দুইটায়।সুপার লীগে টাইগার যুবাদের প্রতিপক্ষ চূড়ান্ত হয়ে গেছে শনিবার ২৫ জানুয়ারি।

    যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচগুলো সরাসরি দেখা না গেলেও দেশের ক্রিকেট ভক্তদের জন্য সুখবর কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটি সরাসরি টিভি ও অনলাইনে দেখা যাবে। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের এই ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে বেশ কয়েকটি টিবি চ্যানেল। ভারত সহ উপমহাদেশে দেখাবে স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশে গাজী টিভি, ক্যারিবিয়ানদের জন্য ইএসপিএন, পাকিস্তানে পিটিভি স্পোর্টস, অস্ট্রেলিয়ায় ফক্স ক্রিকেট, ইংল্যান্ডে স্কাই স্পোর্টস, উইলো টিভি। এছাড়া rabbitholebd.com
    অনলাইনে ম্যাচটি সরাসরি দেখা যাবে।

    এর আগে গ্রুপ পর্বের শেষ দিনের ম্যাচে আরব আমিরাতকে বৃষ্টি আইনে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে ২৩ রানে হারিয়ে যুব বিশ্বকাপের সুপার লীগ নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৯৮ রান করে প্রোটিয়ারা।

    জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৩.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১১২ রান করে আরব আমিরাত। এরপর বৃষ্টি নামলে খেলা শুরু করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে বৃষ্টি আইনে জিতে যায় স্বাগতিকরা।

    এর ফলে আগের সূচী অনুযায়ী ডি গ্রুপ থেকে দুইয়ে থেকে কোয়ার্টারে আসা প্রোটিয়াদের মুখোমুখি হবে মি গ্রুপ থেকে শীর্ষে থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে আসা বাংলাদেশ। আজ ৩০ জানুয়ারি পচেফস্ট্রুমে তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই দল।

  • সিটি নির্বাচনে ‘বহিরাগত’ তারা যেন ভোটকেন্দ্রে না আসেন-ইসি সচিব মো. আলমগীর

    সিটি নির্বাচনে ‘বহিরাগত’ তারা যেন ভোটকেন্দ্রে না আসেন-ইসি সচিব মো. আলমগীর


     

    ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বহিরাগতদের রাজধানীতে অবস্থান না করার নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

    বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে এক বৈঠক শেষে ইসি সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

    এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম ও র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ননের (র‍্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন।

    সচিব আলমগীর বলেন, অন্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে এলাকায় ভোট থাকে, সে এলাকায় ভোটের দিন বাইরের কোনো লোক অবস্থান করতে পারে না। এটা রাজধানী। মানুষকে বিভিন্ন প্রয়োজনে এখানে আসতে হয়। এসব বিষয় বিবেচনা করে অবস্থান বন্ধ করা যাবে না। ঢাকায় ভোটার ছাড়া কোনো লোক থাকতে পারবে না বা বাইরের কেউ আসতে পারবে না- এগুলো করা যাবে না।

    বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, ভোটের দিন যেন যারা ভোটার না, বিশেষ করে ঢাকায় বহিরাগত, তারা যেন ভোটকেন্দ্রে না আসেন। এছাড়া যদি অত্যন্ত প্রয়োজন না থাকে, তাহলে কেউ যেন ঢাকায় অবস্থান না করেন। যাদের জরুরি প্রয়োজন, তাদের তো থাকতেই হবে। তাদের যেন পুলিশ এলাউ করে। তবে যদি কোনো কারণ না দেখাতে পারে, শুধু শুধু ঢাকায় এসেছে, তাদের চলে যেতে বলা হয়েছে।

    তিনি বলেন, ঢাকায় অবস্থান করেন বিভিন্ন কারণেই, কিন্তু ঢাকার ভোটার নয়। তারা যেন অযথা অপ্রয়োজনে, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে জটলার সৃষ্টি না করে। এটা করলে যারা ভোট দিতে আসবেন, তাদের ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে।

  • টাঙ্গাইলের একটি মসজিদে এক মিনিটের জন্যেও বন্ধ হয়নি কোরআন তেলাওয়াত,বিস্ময়কর হলেও সত্য ও বাস্তব

    টাঙ্গাইলের একটি মসজিদে এক মিনিটের জন্যেও বন্ধ হয়নি কোরআন তেলাওয়াত,বিস্ময়কর হলেও সত্য ও বাস্তব

    টাঙ্গাইলের একটি মসজিদে ৮৯ বছর ধরে অবিরতভাবে কোরআন তেলাওয়াত চলছে। ব্যাপারটি বিস্ময়কর হলেও সত্য ও বাস্তব। টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর এ মসজিদে ১৯২৯ সাল থেকে একটানা ২৪ ঘণ্টা কোরআন তেলাওয়াত চলছে নিয়মতান্ত্রিকভাবে।

    এক মিনিটের জন্যেও বন্ধ হয়নি কোরআন তেলাওয়াত। কর্তৃপক্ষের নিযুক্ত সাতজন কারি প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর এই মসজিদে ধারাবাহিকভাবে কোরআন তেলাওয়াত করে থাকেন।

    ধনবাড়ীর বিস্ময়-জাগানিয়া এ মসজিদের নাম “নওয়াব শাহী জামে মসজিদ”। ৭০০ বছরের পুরোনো এ মসজিদটি ঐতিহ্য ও কালের সাক্ষী হয়ে রয়েছে এ অঞ্চলে।

    জানা যায়, সেলজুক তুর্কি বংশের ইসপিঞ্জার খাঁ ও মনোয়ার খাঁ নামে দুই ভাই ১৬ শতাব্দীতে ঐতিহ্যবাহী এক কক্ষ বিশিষ্ট একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। জনশ্রুতিতে রয়েছে, সম্রাট আকবরের সময় এই দুই ভাই ধনবাড়ীর অত্যাচারী জমিদারকে পরাজিত করার পর এ অঞ্চলের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং এ মসজিদটি নির্মাণ করেন।

    নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী প্রায় ১১৫ বছর আগে এ মসজিদটি সম্প্রসারণ করে আধুনিক রূপ দেন। তিনি বাংলাভাষার প্রথম প্রস্তাবক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও যুক্ত বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

    সংস্কারের আগে মসজিদটির দৈর্ঘ্য ছিল ১৩.৭২ মিটার (৪৫ ফুট)। প্রস্থ ছিল ৪.৫৭ মিটার (১৫ ফুট)। সংস্কার করে মসজিদটি বর্গাকৃতির ও তিনগম্বুজ বিশিষ্ট মুঘল স্থাপত্যের বৈসাদৃশ্যপূর্ণ করা হয়েছে। মোগল স্থাপত্য-রীতিতে তৈরি এই মসজিদের মোজাইকগুলো এবং মেঝের মার্বেল পাথরগুলো নিপুণভাবে কারুকার্যমণ্ডিত। সংস্কারের কারণে প্রাচীনত্ব কিছুটা বিলীন হলেও মসজিদের সৌন্দর্য-শোভা অনেক বেড়েছে।

    মসজিদের ভেতরে ঢোকার জন্য পূর্বদিকের বহু খাঁজে চিত্রিত খিলানযুক্ত তিনটি প্রবেশপথ, উত্তর ও দক্ষিণে আরো একটি করে সর্বমোট পাঁচটি প্রবেশ পথ রয়েছে।

    প্রায় ১০ কাঠা জায়গায় নির্মিত মসজিদটির চর্তুদিক থেকে ৪টি প্রবেশ পথ এবং ৯টি জানালা এবং ৩৪টি ছোট ও বড় গম্বুজ রয়েছে। বড় ১০টি মিনারের প্রত্যেকটির উচ্চতা ছাদ থেকে প্রায় ৩০ ফুট উঁচু।

    মসজিদের দোতলার মিনারটির উচ্চতা প্রায় ১৫ ফুট। ৫ ফুট উচ্চতা এবং ৩ ফুট প্রস্থের মিহরাবটি দেখতে বেশ আকর্ষণীয় এবং দৃষ্টিনন্দন।

    মসজিদের মেঝে ও দেয়াল কাঁচের টুকরো দিয়ে নকশা ও মোজাইক করা। ভেতরের পুরো অংশ জুড়ে চীনা মাটির টুকরো দিয়ে অধিকাংশ স্থানে ফুলের নকশা করা হয়েছে।

    ৩০ ফুট উচ্চতার মিনারের মাথায় স্থাপিত ১০টি তামার চাঁদ মিনারের সৌন্দর্য দ্বিগুণ করেছে। মসজিদে ১৮টি হাড়িবাতি সংরক্ষিত রয়েছে, যেগুলো শুরুর যুগে নারিকেল তেলের মাধ্যমে আলো জ্বালানোর কাজে ব্যবহার করা হতো। মুঘল আমলে ব্যবহৃত ৩টি ঝাড়বাতিও রয়েছে। সুপ্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এ মসজিদে একসঙ্গে ২০০ মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।

    মসজিদের পাশেই রয়েছে শান বাঁধানো ঘাট ও কবরস্থান। যেখানে দাফন করা হয়েছে নওয়াব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরীকে। তার ওয়াকফকৃত সম্পদের মাধ্যমে মসজিদ, পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসা ও ঈদগাহ পরিচালিত হয়।

    পূর্বদিকের ৩টি প্রবেশপথ বরাবর পশ্চিমের দেয়ালে ৩টি মিহরাব রয়েছে। কেন্দ্রীয় মিহরাবটির অষ্টভুজাকারের, দুই পাশে রয়েছে বহু খাঁজবিশিষ্ট খিলান। তাছাড়াও সেটিতে ফুলের রকমারি নকশা রয়েছে। অন্য দু’টি মিহরাবও বহু খাঁজবিশিষ্ট তবে কারুকার্যহীন খিলানযোগে গঠিত।

    প্রায় ৩০ বিঘা জমির ওপর শান বাঁধানো ঘাটের বিশাল একটি দীঘি রয়েছে। তাতে মুসল্লিরা অজু করেন। তাছাড়াও মসজিদের আশপাশে সুপ্রশস্ত ও খোলামেলা অনেক জায়গা রয়েছে। যা দর্শনার্থীদের মনে বাড়তি আকর্ষণ সৃষ্টি করে।

    যেভাবে যাবেন : মহাখালীর টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে করে ধনবাড়ী। ধনবাড়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে হেঁটে বা রিকশায় করে নবাববাড়ী মসজিদ।

  • সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অফিসে অনুপস্থিতির হলে অর্থকেটে নিতে খসড়া বিধিমালা প্রনয় হচ্ছেঃ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

    সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অফিসে অনুপস্থিতির হলে অর্থকেটে নিতে খসড়া বিধিমালা প্রনয় হচ্ছেঃ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

    সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অফিসে
    অনুপস্থিতির হলে অর্থকেটে নিতে
    খসড়া বিধিমালা প্রনয় হচ্ছেঃ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

    সরকারি কর্মচারীদের নিজ অফিসে নিয়মিত উপস্থিতির বিষয়ে নতুন বিধিমালা প্রণয়ন করছে সরকার। এজন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ‘সরকারি কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালা- ২০১৯ এর খসড়া প্রণয়ন করেছে। মূলত ‘গণকর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ, ১৯৮২’ পরিমার্জন করে নতুন বিধিমালা করা হচ্ছে। খসড়া বিধিমালাটি সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পাঠিয়ে মতামত নিচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

    জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বিধি) আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, কিছু বিধিমালা না হওয়ায় সরকারি চাকরি আইন এখনও বাস্তবায়নে যায়নি সরকার। সংশ্লিষ্ট বিধিগুলো প্রণীত হলে এ আইন বাস্তবায়নে যাবে সরকার। উপস্থিতি বিধিমালা তেমনই একটি বিধিমালা। ‘সরকারি চাকরি আইন-২০১৮’ এর আওতায় সরকারি কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালার খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।

    খসড়ার বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মতামত নেয়া হচ্ছে জানিয়ে যুগ্ম সচিব আরো বলেন, ‘সবার মতামত নিয়েই এটি চূড়ান্ত করা হবে। ১৯৮২ সালের গণকর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ ছিল, সেটি আদালতের রায় অনুযায়ী বাতিল হয়েছে। এখন ওই অধ্যাদেশটি যুগোপযোগী করে নতুন বিধিমালাটি প্রণয়ন করা হয়েছে।’

    যুগ্ম সচিব বলেন, আশা করি নতুন বিধিমালা সরকারি কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিতে আরও সহায়ক হবে।

    খসড়া নীতিমালায় যা আছে: সরকারি কর্মচারীর অফিসে যথাসময়ে উপস্থিতি নিশ্চিতে প্রত্যেক অফিসে নির্ধারিত হাজিরা বইতে স্বাক্ষর গ্রহণের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এ হাজিরা বই সংশ্লিষ্ট শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে অফিস সময় শুরু হওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে উপস্থাপন করতে হবে। বিলম্বে উপস্থিত কর্মচারীর নামের পাশে লাল কালি দিয়ে বিলম্ব উপস্থিতি চিহ্নিত করতে হবে। এ ব্যবস্থার পাশাপাশি বা বিকল্প হিসেবে ডিজিটাল হাজিরা ব্যবস্থা চালু করা যাবে। সেক্ষেত্রে উপস্থিতি নিশ্চিতে অফিসপ্রধান এক বা একাধিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োজিত করতে পারবেন।

    এতে আরো বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো সরকারি কর্মচারী ছুটিতে যেতে বা নিজ কর্মে অনুপস্থিত থাকতে পারবেন না। তবে শর্ত থাকে যে, রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের সার্টিফিকেট ও দুর্ঘটনার বিষয়ে যথাযথ সাক্ষ্যপ্রমাণের মাধ্যমে সমর্থিত হলে গুরুতর এবং আকস্মিক অসুস্থতা বা হঠাৎ দুর্ঘটনার জন্য অননুমোদিত অনুপস্থিতি সন্তোষজনক বলে গ্রহণযোগ্য হবে।

    কোনো কর্মচারী অনুমতি ছাড়া অফিসে অনুপস্থিত থাকলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর যুক্তিসংগত সুযোগ দিয়ে কর্মচারীর প্রতিদিনের অনুপস্থিতির জন্য একদিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কেটে নিতে পারবেন বলে খসড়া বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

    ‘উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো সরকারি কর্মচারী অফিস ত্যাগ করতে পারবেন না। তবে শর্ত থাকে যে, জরুরি প্রয়োজনে অফিস ত্যাগের ক্ষেত্রে সহকর্মীকে অবগত করে নির্ধারিত রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে। নির্ধারিত রেজিস্টারে কর্মচারীর নাম, পদবি, অফিস ত্যাগের কারণ, অফিস ত্যাগের সময় ও আসার সম্ভাব্য সময় লিপিবব্ধের ব্যবস্থা থাকবে।’

    বিধিমালা অনুযায়ী, পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো সরকারি কর্মচারী অফিস ত্যাগ করলে কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর সুযোগ দিয়ে প্রতিক্ষেত্রের জন্য ওই কর্মচারীর একদিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কাটতে পারবে।

    কোনো সরকারি কর্মচারী যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া দেরিতে অফিসে উপস্থিত হতে পারবেন না উল্লেখ করে বিধিমালায় বলা হয়েছে, এ বিধান লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর সুযোগ দিয়ে প্রতি দুদিনের বিলম্বে উপস্থিতির জন্য একদিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কাটা যাবে।

    এছাড়া কোনো সরকারি কর্মচারী ৩০ দিনের মধ্যে একাধিকবার বিনা অনুমতিতে অফিসে অনুপস্থিত, অফিস ত্যাগ ও দেরিতে অফিসে উপস্থিত হলে ওই কর্মচারীর আরও অতিরিক্ত সাতদিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কাটা যাবে।

    বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মচারীর বেতন কাটা হলে তিনি তিন কার্যদিবসের মধ্যে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করতে পারবেন। পুনর্বিবেচনার কোনো আবেদন করা হলে, আদেশ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ, সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে শুনানির যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দিয়ে, বেতন কর্তনের আদেশ সংশোধন বা বাতিল বা বহাল রাখতে পারবে। পুনর্বিবেচনার আবেদন শুনানির ক্ষেত্রে সাক্ষ্যের সংক্ষিপ্তসার, প্রাপ্ত তথ্যাদি ও সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ করতে হবে।

    দণ্ডের অর্থ কর্তন সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারীর মাসিক বেতন বিল থেকে দণ্ডের অর্থ কেটে আদায় করতে হবে। ওই কর্মচারী নিজের বিল নিজে উত্তোলনকারী হলে, তাকে বেতন বিল থেকে দণ্ডের অর্থ কাটার নির্দেশ দিতে হবে। নির্দেশের কপি নিরীক্ষা অফিসে পাঠাতে হবে। ওই কর্মচারী বেতন বিল থেকে দণ্ডের অর্থ কর্তন না করলে নিরীক্ষা অফিস তা কেটে বিল পাস করবে বলে সরকারি কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

    সূত্র: বিডি-জার্নাল প্রকাশ ২১.১.২০২০ ইং।

  • মরণের অন্ধকার থেকে জীবনের আলোতে ফিরে আসে একজন শিক্ষক

    মরণের অন্ধকার থেকে জীবনের আলোতে ফিরে আসে একজন শিক্ষক

    মরণের অন্ধকার থেকে জীবনের আলোতে ফিরে আসে একজন আদর্শ শিক্ষক

    লেখক ও সাংবাদিক মোঃ খাদেমুল আজাদ

    আমাদের এই পৃথিবীতে কেউ অমর নয়। জীব মাত্রই মরণশীল। একটি অনির্দিষ্ট সময় পার করে সকলকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হয়। এই মৃত্যুর মধ্য দিয়েই তার ইহজীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে। দেহটা মাটিতে মিশে যায়। কয়েক বছর আত্মীয়-স্বজনরা মনে রাখে, তারপর ভুলে যায়। কিন্তু একজন শিক্ষক কখনো মরে না। সে তার অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীর মনে ও মগজে বেঁচে থাকে। শত বছর পার হলে যখন তার কোনো একজন ছাত্র বা ছাত্রী কোন শুভ মুহূর্তে তার প্রিয় শিক্ষকের কথা স্মরণ করে, আবেগে আপ্লুত হয়, কিংবা তার পরবর্তী প্রজন্মের কাছে গল্প করে, আমার মনে হয়, তখন সেই শিক্ষক বেঁচে উঠে। মরণের অন্ধকার থেকে জীবনের আলোতে ফিরে আসে।আমার স্মৃতিতে নুরুল ইসলাম স্যার এমনি একজন শিক্ষক। যিনি আমার মনে ও মগজে বেঁচে আছেন থাকবেন। অমর হয়ে আছেন। আজ থেকে প্রায় ১৪ বছর আগের কথা। আমি তখন ফয়জুননেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র।আর ছাত্র হিসেবেও ভালো ছিলাম না । যখন নবম শ্রেণীতে উঠলাম তখন নুরুল ইসলাম স্যার আমাদের ইংরেজি পড়াতেন। আর স্যার ক্লাশে এসে প্রথমেই বলতেন, যারা যারা পড়া শিখে আসো নাই তাঁরা তাঁরা দারাউ। পড়া না পেরেও বসে থাকতাম আর স্যার ও বুঝতেন কে ফাঁকি দিচ্ছে তাই স্যার একটু মনটা স্থির করে চোখের মাধ্যমে বলতেন এই যে তুমি আসো আর খুজে খুঁজে আমাকেই পড়া ধরতেন কারন তিনি জানতেন ও পড়া না শিখেও বসে আছে। আর আমাকে ডেকে নিত ব্ল্যাক বোর্ডের সামনে কারন উনার পড়া ধরার সিস্টেমটাই ছিল সামনে ডেকে নিয়ে পড়া ধরা। তখন মনে মনে সময়কে বলতাম সময় তুমি কখন যাবে আর সময়টা যেন ঘাপ্টি মেরে বসে থাকত । কি করার পড়া তো পারিনা হয় হাতের তালুতে তিনটি বেতের আঘাত নতুবা পিঠে তিনটি থাপ্পর আমি আবার দিতিও ধাপটাই বেঁছে নিতাম মানে পিঠে তিন থাপ্পর । থাপ্পর খেয়ে যখন সেই পেছনের বেঞ্চে বসতাম আর মনে মনে কতো কিছুই না বলেছি । মাঝে মাঝে একা বলতাম আমিও একদিন ইংরেজি আপনার চাইতে বেশি পারব। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি তিনি আমাদের শিখিয়ে চলে গেলেন আজ না ফেরার দেশে।

    শিক্ষক মুরহুম মোঃ নুরুল ইসলাম-ফয়জুন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়,বরাইদ,মানিকগঞ্জ।

    মৃত্যুর তারিখঃ ২৯-০১-২০২০ ইং।

     

    মোঃ খাদেমুল আজাদ

    শিক্ষার্থী,আইন বিভাগ

    সিটি ইউনিভার্সিটি,খাগান, সাভার ঢাকা।