Author: sattersangbad24

  • ধামরাইয়ে মনোনয়ন ফরম কেনায় বিএনপি নেতা বহিষ্কার

    ধামরাইয়ে মনোনয়ন ফরম কেনায় বিএনপি নেতা বহিষ্কার

    ধামরাইয়ে মনোনয়ন ফরম কেনায় বিএনপি নেতা বহিষ্কার

     ধামরাই (ঢাকা) : দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম কেনায় ধামরাই পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
    এ বিষয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ধামরাই পৌর বিএনপির সভাপতি দেওয়ান নাজিম উদ্দিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ কারণে ধামরাই পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আতিকুর রহমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।

    বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ধামরাই পৌর বিএনপির সভাপতি দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জুকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
    স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে গত সোমবার ধামরাই উপজেলা সহকারী রিটার্নিং অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকীর কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এ কারণেই মূলত দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া দলের কর্মসূচিতে ও সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন না।

    দলের কোনো নেতাকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগও রাখেন না। তাঁর মালিকানাধীন ধামরাইয়ের ‘সীমা সিনেমা হল’-এ ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি প্রদর্শন করাও ছিল বহিষ্কারের অন্যতম কারণ।
    দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জুর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার কথা নিশ্চিত করেছেন ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী।

  • সাভারে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে হত্যার অভিযোগে দোকানপাট ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ

    সাভারে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে হত্যার অভিযোগে দোকানপাট ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ

    সাভারে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে হত্যার অভিযোগে দোকানপাট ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযো

    সত্যের সংবাদডেক্স:
    সাভারের খাগানের দত্তপাড়া এলাকার ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীকে ডেকে নিয়ে মারধরের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    এ ঘটনায় ওই এলাকার প্রায় দুই শতাধিক দোকান ভাঙচুর করেছে শিক্ষার্থীরা। ৩ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দোকান থেকে পেট্রোল কিনে তারা (শিক্ষার্থীরা) দোকানের বেঞ্চসহ কাঠের সরঞ্জামেও অগ্নিসংযোগ করে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম হাসিবুল ইসলাম অন্তর। তিনি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ বলে জানা গেছে।

    এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা জানান, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী অন্তরকে আকরাইন বাজারের কিছু লোক গত ২৭ অক্টোবর তুলে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে। পরে তারা অন্তরকে খাগানে ফেলে দিয়ে চলে যায়। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আশুলিয়ার রাজু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পরে পরিবারের তত্ত্বাবধানে ময়মনসিংহের স একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান। এরপর থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
    পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার প্রায় দুই শতাধিক দোকানে ভাঙচুর চালায়। হামলার শিকার হোটেল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী বলেন, শিক্ষার্থীরা আকরাইন বাজারের একটি পেট্রোলের দোকান থেকে পেট্রোল কিনে দোকানের সামনে রাখা বসার বেঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া দুই শতাধিক দোকানে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ীরা জানান তবে তারা কাউকে আক্রমণ করেনি,কাউকে মেরে আহত করেনি।
    তিনি আরও বলেন, আমার হোটেলে এসে অতর্কিত হামলা চালায় তারা। কী কারণে হামলা করা হলো তা আমরা জানি না। সাভার মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে টিম পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। শিক্ষার্থী অন্তর হত্যা মামলার প্রাধান আসামি রাহাতসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পরিচালক (শিক্ষার্থী বিভাগ) সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজু বলেন, গত ২৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের শিক্ষার্থী অন্তরের সঙ্গে স্থানীয়দের ঝামেলা হয়। এ ঘটনায় তাকে মারধর করে আহত করা হলে অন্তরের পরিবারের তত্ত্বাবধানে ময়মনসিংহে পাঠানো হয়। সেখানে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি আরও বলেন, জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীরা ৩ নভেম্বর শুক্রবার বিক্ষোভ করেছে। আমরা জেনেছি এই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করেছে।

  • সাভারে নানা আয়োজনে জাতীয় যুব দিবস পালিত ৩০ লক্ষটাকার চেক ও শ্রেষ্ঠ পদক বিতরণ

    সাভারে নানা আয়োজনে জাতীয় যুব দিবস পালিত ৩০ লক্ষটাকার চেক ও শ্রেষ্ঠ পদক বিতরণ

    পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাভার উপজেলা ছয়টি সংগঠনের মধ্য ইসলামী শিক্ষা সহায়ক সংস্থার মহাসচিব মো:হাবিবুর রহমানকে উপজেলা যুব উন্নয়নে থেকে শ্রেষ্ঠ পদক হিসেবে ক্রেষ্ট তুলে দিয়েছেন অতিথিবৃন্দ।

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার : “স্মার্ট যুব সমৃদ্ধ দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে র‍্যালী, আলোচনা সভা, প্রশিক্ষণের সনদ, যুব ঋণের চেক ও ক্রেস্ট বিতরণের মধ্য দিয়ে সাভারে জাতীয় যুব দিবস পালিত হয়েছে।

    পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাভার উপজেলা ছয়টি সংগঠনের মধ্য ইসলামী শিক্ষা সহায়ক সংস্থার মহাসচিব মো:হাবিবুর রহমানকে উপজেলা যুবউন্নয়নে থেকে শ্রেষ্ঠ পদক হিসেবে ক্রেষ্ট তুলে দিয়েছেন অতিথিবৃন্দ।

    দিবসটি পালনে বুধবার সকালে উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে সাভার উপজেলা পরিষদ চত্বর হতে একটি র‍্যালি পরিষদের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ হলরুমে এক আলোচনা সভায় মিলিত হন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুরুল আলম রাজীব।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম তরফদার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শিবলীজ্জামান, সমবায় কর্মকর্তা রুহুল আমিন ও ইসলামী শিক্ষা সহায়ক সংস্থাসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোক্তারা।

    সভা শেষে উদ্যোক্তা, সফল সংগঠক ও সংগঠনের মাঝে ১২ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ ও ৩০ জনকে সনদ, ও ৬ জনকে পুরস্কার করা হয়।

  • দেশের মানুষ সংঘাত চায়না সাভারে জাকের পার্টির কাউন্সিলে প্রার্থী বাছাইয়ে: মহাসচিব শামীম হায়দার

    দেশের মানুষ সংঘাত চায়না সাভারে জাকের পার্টির কাউন্সিলে প্রার্থী বাছাইয়ে: মহাসচিব শামীম হায়দার

    দেশের মানুষ সংঘাত চায়না সাভারে জাকের পার্টির
    কাউন্সিলে প্রার্থী বাছাইয়ে: মহাসচিব শামীম হায়দার

    শেখ এ কে আজাদ, সাভার থেকে:-দেশের মানুষ সংঘাত চায়না দুই দলের শান্তি সমাবেশ ও মহাসমাবেশ ঘিরে জনমনে যে আতঙ্ক ও নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এসব দেশের মানুষ চায়না বলে মন্তব্য করেছেন জাকের পার্টির মহাসচিব মোঃ শামীম হায়দার। সোমবার দুপুরে সাভার থানা রোডের টপ ক্লাস পার্টি সেন্টারে আসন্ন জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ঢাকা ১৯ আসনের জাকের পার্টি সংসদ সদস্য প্রার্থী নির্বাচনের লক্ষ্য কাউন্সিল কর্মসূচিতে এসব মন্তব্য করেন তিনি এ সময় তিনি আরো বলেন দেশ ও জনগণের সেবা করার লক্ষ্য ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা সারাদেশে ইতিমধ্যে ১৭০ টি আসনে প্রার্থী নির্বাচন করেছি।

    কাউন্সিল কর্মসূচির দুজন মনোনয়ন প্রত্যাশী মধ্যে জাকের পার্টির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অতিরিক্ত মহাসচিব মোঃ শামস উদ্দিন মোল্লা ৭১৮ ভোট পেয়ে ঢাকা ১৯ আসনের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয় অন্যদিকে মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন দেওয়ান পায় ৩১৭ ভোট

    এসময় সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত
    ছিলেন জাকের পার্টির মহাসচিব মোঃ শামীম হায়দার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাকের পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য মুফতি মাওলানা মাছুম বিল্লাহ সহ দলের অন্যান্য নেতা কর্মীরা ।

  • সাভারে (বমসা) এর উদ্যোগে অভিবাসী শ্রমিকদের দাবী আদায়ের লক্ষে  মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

    সাভারে (বমসা) এর উদ্যোগে অভিবাসী শ্রমিকদের দাবী আদায়ের লক্ষে  মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

    বাংলাদেশী অভিবাসী মহিলা শ্রমিক এসোসিয়েশন (বমসা) এর উদ্যোগে  এক  উদ্যোগে অভিবাসী শ্রমিকদের দাবী আদায়ের লক্ষে  মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকে:
    বাংলাদেশী অভিবাসী মহিলা শ্রমিক এসোসিয়েশন (বমসা) এর উদ্যোগে  এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৫) অক্টোবার বিকেলে সাভার পৌরসভা থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বেড় হয়ে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের  পাশে হাতে হাত ধরে শতাধিক মহিলা শ্রমিকরা মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন। পরে সাভার পৌরসভা প্রাঙ্গনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে শেষ হয়।
    প্রধান অথিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন (বমসা) এর সাধারণ সম্পাদক শেখ রোমানা ।

    এসময় প্রধান অথিথি তার বক্তব্যে শেখ রোমানা বলেন, অভিবাসী শ্রমিকদের বৈধ ও নিরাপত্তা গমন নিশ্চিয়তা করা সহ বিভিন্ন কথা  তিনি তুলে ধরেন এবং কি সরকারের নিকট বিভিন্ন দাবী পেশ করেন তারা, শ্রমিকরা যেন তারা ঠিকমতো বেতন পায় এবং কি কর্মঘন্টা ঠিক করে ব্যবস্থা করে সরকার। তিনি আরো বলেন সংগঠনটির পক্ষে অভিবাসীদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তার প্রতিফলন ইতিমধ্যে পেয়েছেন অনেকে।

    সংগঠনটির পক্ষে তাদের দাবি ছিল বিদেশি অভিবাসী শ্রমিকের বৈধ ও নিরাপত্তায় গমন করা, সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশের প্রেরণ করা, বিদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের কাজের জন্য কোম্পানি নিশ্চয়তা দেওয়া, দেশে ও বিদেশে দালালের হয়রানি বন্ধ করা, বিদেশি কর্মরত অবস্থায় শ্রমিকের বোনাসের ব্যবস্থা করা, বিদেশের জেলখানায় বাংলাদেশী শ্রমিকদের বন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত করা এবং নিজ দেশে ফেরত আনা, অভিবাসী শ্রমিকদের কর্মঘন্টা ও ন্যায্য মজুরি পাওয়ার ব্যবস্থা করা, বিদেশে কর্মকালীন সময়ে অভিবাসী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার দেওয়ার ব্যবস্থা করা,বাংলাদেশে ও বিদেশে অভিবাসী শ্রমিক ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও দেশে শিশু, গৃহ- কর্মীর নির্যাতন আত্মহত্যা, হত্যা,নির্যাতনের শিকার হয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা।

    বাংলাদেশী অভিবাসী মহিলা শ্রমিক এসোসিয়েশন (বমসা) এর উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন (বমসা) এর সাভার এড়িয়ার কো অর্ডিনেটর  সুলতানা পারভীন,জিএমসি কমিটির (বমসা) এর সহ-সভাপতি সিএমসি কমিটির  মনিরুল ইসলাম,( বমসা) এর ফিল্ড কর্মকর্তা এলিজ ও শাহানাজসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকবৃন্দ। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর কারিগরী সহযোগিতা প্রদান করে।

     

  • লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা পলাশবাড়ী এর উদ্যেগে ফ্রি চিকিৎসা সেবা

    লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা পলাশবাড়ী এর উদ্যেগে ফ্রি চিকিৎসা সেবা

    লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা পলাশবাড়ী এর উদ্যেগে ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও মিলাদ, নৈশভোজের আয়োজন

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকে:
    লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা পলাশবাড়ী এর উদ্যোগে মিলাদ মাহফিল,নৈশভোজ ও ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। চিকিৎসা সেবার মধ্যে ব্লাড প্রেশার, ডায়াবেটিস পরীক্ষা,চক্ষু সেবা,ব্লাড গ্রুপসহ পরীক্ষা করা হয়।

    শনিবার (২৩) অক্টোবার বিকেলে আশুলিয়ার পল্লী বিদ্যুত এলাকার গনি জেনারেল হসপিটাল এর সামনে এ চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।

    এসময় সাভার ও আশুলিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য ও লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল ৩১৫ এ-১ ডিস্ট্রিক্ট গভর্ণর লায়ন ডাক্তার সালাউদ্দিন বাবু (এম জে এফ) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এসময় কয়েকশত ব্যক্তিদের মাঝে সংগঠনের পক্ষে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।
    এসময় লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল ৩১৫ এ-১ ডিস্ট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটর ও গনি জেনারেল হসপিটাল এর ব্যবস্থাপনা পরিচাল লায়ন ডাক্তার আসাদউল্লাহ আহমেদ (ডা::দুলাল)( এল সি আই এফ) উপস্থিত থেকে পরিচালনার করেন।
    সুমন মন্ডল মাদ্রায় ৩৫০ শিক্ষর্থীসহ নৈশভোজ এর আয়োজন করা মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।

  • সাভারে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী সাইফুলের বিশাল শোভাযাত্রা

    সাভারে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী সাইফুলের বিশাল শোভাযাত্রা

    সাভার-১৯ আসনে আওয়ামীলীগ থেকে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী চেয়ারম্যান সাইফুলের বিশাল শোডাউন

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকে:
    সাভারে ঢাকা-১৯ আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের মোটর শোভাযাত্রা করেছে। শনিবার (১৪) অক্টোবার দুপুরে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় এ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়। পরে মোটর শোভাযাত্রাটি বোলিয়ারপুর বাসস্ট্যান্ড হয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নন্দনপার্ক এলাকা প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এসময় মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও পিকআপে করে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেয়। সেই সাথে পিকাআপ গুলোতে বাদক দলসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র সম্বলিত ব্যানার সুসজ্জিত করা হয়। পরে উপস্থিত সবার জন্য গণভোজের আয়োজন করা হয়।

    এসময় সাইফুল ইসলাম বলেন, আজকের মোটর শোভাযাত্রায় মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশ নিয়েছে। আমার জীবন এতো বড় শোভাযাত্রা এরআগে দেখি নাই। এতেই বোঝা যায় মানুষ আমাকে ভালোবােস। তাই আমি মমতাময়ী মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করবো আপনি তৃণমূল পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করে যাকে মনোনয়ন দিলে বিজয়ী হবে তার হাতে নৌকা তুলে দিবেন।

    এসময় মোটর শোভযাত্রায় অনেকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান, ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামীম আহমেদ সুমন, ঢাকা জেলা উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ, ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য এনামুল হক মিন্স প্রমুখ।

  • সাভার মডেল থানায় টোকেন পদ্ধতিতে চালু

    সাভার মডেল থানায় টোকেন পদ্ধতিতে চালু

    প্রথমবারের মতো সেবাগ্রহীতার জন্য সাভার মডেল থানায় টোকেন পদ্ধতিতে চালু

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকে:

    সেবা নিতে থানায় প্রবেশের পর প্রথমে সংগ্রহ করতে হবে টোকেন, তারপর ক্রমানুযায়ী মিলবে সেবা। বিশৃঙ্খলা এড়াতে সেবাগ্রহীতাদের সেবাদানে ঢাকা জেলা পুলিশের উদ্যোগে সাভার মডেল থানায় দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে এই কার্যক্রম।

    বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে বার্ষিক পরিদর্শনের অংশ হিসেবে সাভার মডেল থানা পরিদর্শনে এসে টোকেন পদ্ধতির উদ্বোধন করেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার এবং বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান পিপিএম (বার)।

    এর আগে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরিদর্শনের শুরুতেই সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহার নেতৃত্বে একটি চৌকস দলের সালামী গ্রহণ ও সালামী প্যারেড পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।

    পুলিশ সুপার নিজেই টোকেন সংগ্রহ করে সাভার মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন এবং সেবা গ্রহীতাদের সাথে আলাপ করেন।

    টোকেন পদ্ধতিতে সেবা চালুর প্রথম দিনেই সাভার মডেল থানায় আসা সেবাগ্রহীতারা জানান, টোকেন সিস্টেমটা খুব ভালো হয়েছে। আগে টোকেন ছাড়া আসলে কেউ বলত আমার তাড়া আছে, কেউ বলত আমাকে আগে দেন। আগে বিশৃঙ্খলা হতো, এখন কোনো হয়রানির সুযোগ নেই।

    সালামী প্যারেড শেষে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, প্রায়ই এমন হয় অনেক সেবাগ্রহীতা একসঙ্গে চলে আসেন। আমরা অভিযোগ পাই যে, থানায় জিডি করতে এসে বা কোনো সেবা নিতে এসে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। দেখা যায় অনেকেই অপেক্ষা করছেন কিন্তু তারা জানেন না যে কার পরে কে? কিংবা কতক্ষণ তাকে অপেক্ষা করতে হবে। কর্পোরেট অফিস, ব্যাংকে এমন পদ্ধতি আছে। কিন্তু পুলিশিং কার্যক্রমে থানা পর্যায়ে এই প্রথম আমরা এই থানায় টোকেন পদ্ধতি চালু করেছি। দেশে প্রথমবারের মত সাভার মডেল থানায় আমরা কার্যক্রমটি চালু করেছি, পর্যায়ক্রমে ঢাকা জেলার অন্যান্য সব থানায় এ পদ্ধতি শুরু হবে।

    সাভার মডেল থানা পরিদর্শনকালে ওয়ারেন্ট তামিল, মাদক বিরোধী অভিযান, থানা এলাকায় নিয়মিত টহল জোরদার সহ নিয়মিত ভাবে বিট পুলিশিং কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ প্রদান করেন পুলিশ সুপার। তিনি নিয়মিত দায়িত্বের পাশাপাশি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজাকে সামনে রেখে আরো সতর্ক অবস্থায় ডিউটি পালন করার নির্দেশ প্রদান করেন।

    পরে থানার গুরুত্বপূর্ন রেজিস্ট্রারপত্র পর্যালোচনা, অফিসার ফোর্সদের দৈনন্দিন কার্যক্রম পর্যবেক্ষন, মালখানা ও হাজত খানা, সরকারী অস্ত্রগুলি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং সেবা প্রত্যাশীদের প্রতি যথাযথ সেবা প্রদানের প্রচেষ্টা অব্যাহত, সরকারী সকল সম্পদের সঠিক ব্যবহার ও সংরক্ষণসহ থানায় নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক পরিদর্শন, থানায় আগত সেবা প্রার্থীদের গুণগত সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।

    এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মোবাশশিরা হাবিব খান, সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব, আশুলিয়া থানার ওসি এইচ এম কামরুজ্জামান, সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাশিদ, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুনসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

     

  • আশুলিয়ার চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডারের ২ আসামি আটক

    আশুলিয়ার চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডারের ২ আসামি আটক

    সাাভারের আশুলিয়ার চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডারের ২ আসামি আটক

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার:

    সাভারের আশুলিয়ায় বহুল আলোচিত ও ক্লুলেস স্বামী-স্ত্রী ও শিশুসহ একই পরিবারের তিনজন-কে নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যা ও হত্যাকান্ডের মূলহোতা সাগর আলী ও তার স্ত্রী ইশিতা বেগম’কে গাজীপুরের শফিপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-৪ সিপিসি ২ সাভার নবীনগর র‌্যাব ক্যাম্প।

    মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

    এসময় তিনি বলেন, নিহত মোক্তার হোসেন ও তার স্ত্রী সাহিদা বেগম আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তার সন্তান মেহেদী হাসান জয় স্থানীয় একটি স্কুলে ৭ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। ভুক্তভোগী মোক্তার ও তার স্ত্রী চাকরির উদ্দেশে সন্তানসহ বেশ কিছুদিন আগে ঠাকুরগাঁও থেকে আশুলিয়া এলাকায় এসে বসবাস শুরু করছিলেন। এসময় তিনি আরও বলেন, ৯০ হাজার টাকা চুক্তিতে শারীরিক চিকিৎসার কথা বলে বাসায় গিয়ে ইসবগুলের শরবতের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। এরপর একে একে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয় ভুক্তভোগী স্বামী-স্ত্রী ও তাদের শিশু সন্তান-কে।

    গতকাল রাত্রে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-৪ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুরের শফিপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা মোঃ সাগর আলী (৩১) ও তার স্ত্রী ঈশিতা বেগম-কে (২৫) গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার সাগর টাঙ্গাইলের মোবারক ওরফে মোগবর আলীর ছেলে। এছাড়া উদ্ধার করা হয় হত্যাাকান্ডের সময় ভিকটিম মোক্তারের কাছ থেকে লুটকৃত আংটি।

    গত ৩০ সেপ্টেম্বর আশুলিয়ার জামগড়া ফকির বাড়ির মোড় এলাকার মেহেদী হাসানের মালিকানাধীন ৬ তলা ভবনের ৪ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে ভবনের অন্য ভাড়াটিয়ারা বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করে। পরে ফ্ল্যাট থেকে মোক্তার,তার স্ত্রী সাহিদা ও তাদের ১২ বছরের শিশু সন্তান মেহেদীর অর্ধগলিত গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের পর রোববার (১ অক্টোবর) আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা হয়।

    কমান্ডার মঈন বলেন,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দম্পতি জানান,প্রথমে অর্থের লোভে ও পরে কাঙ্ক্ষিত অর্থ না পেয়ে ক্ষোভ থেকে তাদের হত্যা করা হয়।ঘটনার বিবরণ দিয়ে র‌্যাব মুখপাত্র বলেন,গত ২৮ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার সাগর সাভার বারইপাড়া এলাকার একটা চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় ভিকটিম মোক্তার-কে পাশের একটি কবিরাজি ও ভেষজ ওষুধের দোকানে তার শারীরিক সমস্যার বিষয়ে চিকিৎসা নিয়ে কথা বলতে দেখেন।

    গ্রেপ্তারকৃত সাগর জানতে পারেন, মোক্তার ওই দোকানে ভেষজ ও কবিরাজি চিকিৎসা বাবদ ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ করেও কোনো ফলাফল পাননি। সাগর কৌশলে মোক্তার-কে ডেকে নিয়ে আলাপচারিতায় ভেষজ ও কবিরাজি চিকিৎসার প্রতি তার আগ্রহ ও আস্থার কথা জানতে পারেন। মোক্তার তার ও তার পরিবারের বেশ কিছু শারীরিক সমস্যার কথাও সাগর-কে জানান।

    সাগর জানায়, তার স্ত্রী একজন ভালো কবিরাজ এবং সে তার সমস্যার সমাধান করে দেবে। এমন মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কথাবার্তার এক পর্যায়ে ৯০ হাজার টাকার চুক্তি করেন। সাগর ও তার স্ত্রী পরদিন (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ওষুধসহ তার বাসায় গিয়ে চিকিৎসা করবে বলে জানান। যোগাযোগের জন্য মোক্তার-কে সাগর নিজের নম্বর না দিয়ে এক আত্মীয়ের মোবাইল নম্বর দেন।

    বাসায় গিয়ে সাগরের স্ত্রী ঈশিতা-কে পুরো ঘটনা ও পরিকল্পনার কথা জানান। স্ত্রী নগদ বিপুল অঙ্কের অর্থ পাওয়ার আশায় রাজি হন। তারা পরিকল্পনা করেন ভুক্তভোগী মোক্তারের বাসায় গিয়ে ভেষজ ও কবিরাজি চিকিৎসার কথা বলে তার পরিবারের সবাই-কে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাদের অর্থসহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করবেন।

    পরিকল্পনা অনুযায়ী সাগর গাজীপুরের মৌচাক এলাকার একটি ফার্মেসি থেকে এক বক্স ঘুমের ওষুধ ক্রয় করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে গ্রেপ্তার সাগর ও তার স্ত্রী গাজীপুরের মৌচাক থেকে মোক্তারের সঙ্গে জামগড়া মোড়ে সাক্ষাৎ শেষে বাসায় যান। সেখানে প্রাথমিক পরিচয়ের পর গ্রেপ্তার সাগরের স্ত্রী ঈশিতা তাদের সমস্যার কথা শুনেন এবং ইসবগুলের শরবতের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে তাদের ভেষজ ও কবিরাজি চিকিৎসার ওষুধ বলে খাওয়ান। মোক্তার, তার স্ত্রী ও ছেলে ঘুমের ওষুধের প্রভাবে ঘুমিয়ে পড়লে সাগর ও তার স্ত্রী মিলে প্রথমে মোক্তারের কক্ষে গিয়ে মোক্তারের হাত ও পা বাঁধেন, পরে মোক্তারের স্ত্রীর হাত-পা বাঁধেন।

    পরে তারা মোক্তারের মানিব্যাগ, তার স্ত্রীর পার্স ও বাসার অন্য স্থানে অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রীর জন্য তল্লাশি করে মাত্র ৫০০০ টাকা পান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাসার বটি দিয়ে প্রথমে মোক্তারের গলায় উপর্যুপরি কোপ দিয়ে হত্যা করেন। পরে অন্য কক্ষে গিয়ে ছেলে ও স্ত্রীকে একই বটি দিয়ে পর্যায়ক্রমে কুপিয়ে হত্যা করেন। পালানোর আগে তারা মোক্তারের হাতে থাকা আংটি খুলে নিয়ে যান।

    গ্রেপ্তার দম্পতি ভিন্ন পথে রিকশাযোগে গাজীপুরের মৌচাকে তার শ্বশুরবাড়ি যায় এবং সেখানেই অবস্থান করতে থাকেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রচারের পর তারা আত্মগোপনে চলে যান। পরে আত্মগোপনে থাকাকালেই গাজীপুরের শফিপুর এলাকা থেকে তাদের গতকাল রাত্রে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সাগর সম্পর্কে কমান্ডার মঈন বলেন, সে মাদকাসক্ত এবং বিভিন্ন পেশার আড়ালে চুরি ও ছিনতাই করত বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। ২০২০ সালে টাঙ্গাইলের মধুপুরে ২০০ টাকার জন্য একই পরিবারের চার জনকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে একই কায়দায় গলা কেটে হত্যায় অভিযুক্ত ঘাতক সাগর।

    ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাগর র‌্যাব-১২ কর্তৃক গ্রেপ্তার হয়ে সাড়ে তিন বছর কারাভোগ করে ২০২৩ সালের জুন মাসে জামিন পেয়ে গাজীপুরের মৌচাক এলাকায় তার শ্বশুরের ভাড়া বাসায় কিছুদিন অবস্থান করে।দীর্ঘদিন জেলহাজতে থাকায় তার আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় সে রাজমিস্ত্রি, কৃষি শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার আড়ালে ঢাকা, সিলেট ও টাঙ্গাইলে অবস্থান করে সুযোগ বুঝে চুরি ও ছিনতাই করত।

    একটি জেলায় বেশ কিছুদিন অবস্থানের পর স্থান পরিবর্তন করে অন্য জেলায় আশ্রয় নিত সাগর। এছাড়াও সে অবৈধ পথে পার্শ্ববর্তী দেশে জুলাই মাসে গমন করে ২০-২৫ দিন অবস্থান করে এবং আগস্ট মাসে দেশে ফিরে কুমিল্লায় কিছুদিন অবস্থান করে। গ্রেপ্তার দম্পতির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।

  • সাভারে মিষ্টি বিক্রি করে ক্রেতাদের সাথে প্রতারনা, প্রশাসনের নজরদারী বাড়ানোর তাগিদ স্থানীয়দের

    সাভারে মিষ্টি বিক্রি করে ক্রেতাদের সাথে প্রতারনা, প্রশাসনের নজরদারী বাড়ানোর তাগিদ স্থানীয়দের

    সাভারের কলমা এলাকায়  মিষ্টি বিক্রি করে ক্রেতাদের সাথে প্রতারনা, প্রশাসনের নজরদারী বাড়ানোর তাগিদ স্থানীয়দের

    সত্যের সংবাদ ডেক্স রিপোর্ট : সাভারের কলমা এলাকায় পঁচা ও বাসি মিষ্টি বিক্রি করে গ্রাাহকদের সাথে প্রতারণা করছে আসছে তাহিয়া মিষ্টান্ন ভান্ডার এন্ড সুইটমিট নামে এক মিষ্টি দোকানের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।

    এ প্রতিষ্ঠানে দিনের পর দিন পঁচা-বাসী মিষ্টি,ধই, রসমালাই মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও বিক্রি করায় পর ক্রেতারা অভিযোগ করতে আসলে তাদের হতে হয় লাঞ্ছিত।

    ক্রেতাদের সেবার নামে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার করে কাউকে তারা চিনে না বলে অচেনা গ্রাহকের উপর হাত তুলার হুমকি দামকি দিয়ে পঁচা-বাসী মিষ্টি
    তুলে দিয়ে তাদের টাকা হাতিয়ে নেয়।

    অনুসন্ধ্যানী প্রতিবেদনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়- এক সম্মানীত ব্যক্তি সাভারে ১ নং কলমা এলাকায় তাহিয়া মিষ্টান্ন ভান্ডার এন্ড সুইটমিট দোকানে মিষ্টি কিনতে গেলে তারা হয়রানি মূলক আচারন করে ও মারধর এর ভয় দেখায় আত্মসম্মানের ভয়ে সেই মিষ্টির দোকান থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হন তিনি। সেখানে মিষ্টির দোকানের মালিক বাদশা মিয়ার ছেলে আনোয়ারুল কে তার পেশাগত পরিচয় দেয়ার পরও নাজেহাল করার চেষ্টা করে আসছিল,আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সে আর নাজেহাল করতে পারেনি। বহুদিন আগ থেকে কলমা এলাকার বাদশা মিয়া তাহিয়া মিষ্টান্ন ভান্ডার এন্ড সুইটমিট একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নিজেই গড়ে তোলেন বলে দাবী করে।

    সম্প্রতি এক গ্রাাহক পঁচা বাসী মিষ্টি কিনে বাসা থেকে ফিরিয়ে আনলে তাদের হাতে হয় হেনস্তা। ক্রেতাদের সেবার নামে মিষ্টির দোকানে মালিকদের কি ব্যবহার করতে হয় তাদের জানা নেই।

    তার মিষ্টির দোনের পিছনে রয়েছে কারখানা যা বেশিরভাগ সময় নোংরা , অপরিষ্কার ভাবে তারা মিষ্টি তৈরি করে আসছে বহুদিন । এলাকায় মিষ্টির দোকান গড়ে তুলললেও ক্রেতাদের মাঝে বেশি দামে ধই, মিষ্টি, রসমালাই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ওই কারখানায় মিষ্টিতে বিভিন্ন মেডিসিন ব্যবহার করে সুস্বাদু করলেও গুনগত মান রক্ষায় নূন্যতম চেষ্টা নেই তাদের।

    অতিরিক্ত লাভের আশায় মিষ্টিকে আরো বেশি মিষ্টি করতে চিনির সাথে মেশানো হচ্ছে মিষ্টি করার মেডিসিন।

     

    সাভার ইউনিয়নের প্রভাবশালী এক নেতার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন তাহিয়া মিষ্টান্ন ভান্ডার এন্ড সুইটমিট এর মালিক ও কর্মচারীরা ক্রেতাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে আসছে বলে শুনেছি এবং কি মিষ্টি খেয়ে মাথা ঘুরায় বলেও শুনেছি। এতে করে যেমন ক্রেতারা খেয়ে শরীরের মূল্যবান অংশ রয়েছে তার মধ্য কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে তার টের পাচ্ছে না অনেকেই। কলমা এলাকায় প্রশাসনের কোন নজরদারী না থাকায় মিষ্টির দোকানসহ প্রতিষ্ঠানের মালিকরা যা খুশি সেইভাবে তৈরি করে ক্রেতারা কিনে খাচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্বে প্রশাসনের পদক্ষেপ জরুরী বলে মনে করছেন তিনি।

    এ ব্যাপারে সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: মাজহারু ইসলাম জানান- আমরা বিভিন্ন সময় মিষ্টির দোকানে অভিযান পরিচালনা আসছি। এসব মিষ্টির দোকানসহ অন্যন্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে প্রমান পেলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।