Category: বিজ্ঞপ্তি

  • ধামরাইয়ের সূয়াপুর ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

    ধামরাইয়ের সূয়াপুর ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

    ধামরাইয়ের সূয়াপুর ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

    সত্যেরসংবাদ.কমঃ ধামরাইয়ে সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

    রোববার (০৩ অক্টোবর) দুপুরে সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদে এ সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সূয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহরাব।

    এ সময় গণমাধ্যম কর্মী ও ওই ইউনিয়নের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহরাব বলেন,সাভারে গাড়ির চালক কে আমি ও লোকজন মিলে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়েছি আবার বিভিন্ন গণমাধ্যম ও স্যোসাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে যে আমি সাভার থানা কতৃক আটক আমার নামে থানায় বিভিন্ন মামলা রয়েছে,আসলে আমার নামে থানায় মামলা নেই,আমার রাজনীতির প্রতিপক্ষের চক্রান্তে কিছু অসাধু সংবাদমাধ্যমে আমাকে নিয়ে বিভ্রান্তমূলক রিপোর্ট করেছে। আমি এ সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

    সাভারে উপজেলায় বিভিন্ন এলাকা ভিত্তিক জরুরি ভাবে ক্ষুদ্র বিনিয়োগের মাধ্যমে উদ্যোগতা প্রয়োজন। ঝুঁকিহীনভাবে ব্যবসায় আপনাকে নিয়ে যাবে সাফল্যর শীর্ষে।
    সরাসরি সিলেটের শীর্ষ স্থানীয় চা পাতার মধ্য গ্রীন লেভেল টির সকল প্যাকেট ও টি ব্যাগ,বিটি২ পাইকারি মূল্যে সরাসরি সেলস ডিস্ট্রিবিউট করা হচ্ছে এখন সাভারে। আপনার এলাকায় কাজ করতে আগ্রহী ব্যক্তিরা যোগাযোগ করুনঃ (MCATC), সাভার,ঢাকা।
  • সাভার দৈনিক ফুলকির সম্পাদক নাজমুস সাকিবের বাবার ইন্তেকাল

    সাভার দৈনিক ফুলকির সম্পাদক নাজমুস সাকিবের বাবার ইন্তেকাল

    সাভার দৈনিক ফুলকির সম্পাদক নাজমুস সাকিবের বাবার ইন্তেকাল

    সত্যেরসংবাদডেক্স : সাভার প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক ফুলকির সম্পাদক নাজমুস সাকিবের বাবা আলহাজ্ব আবুল কাশেম ভূঁইয়া বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল­াহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৯৫ বছর। তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (অবসর প্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
    আজ সোমবার (০৬-০৯-২০২১) বেলা ৩টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেন। আজ বাদ এশা সাভারের স্মরণিকা আবাসিক এলাকার বাইতুল জান্নাত জামে মসজিদে তাঁর প্রথম জানাযা নামায এবং আগামীকাল মঙ্গলবার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া ঈদগাহ জামে মসজিদে বাদ ফজর দ্বিতীয় জানাজা নামায এবং ঐদিনই সকাল সাড়ে ৭টায় সাহেবরামপুরে নিজ বাড়ির মসজিদে তৃতীয় জানাজা নামায অনুষ্ঠিত হবে।
    মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, দুই মেয়ে, নাতি নাতনিসহ অসংখ্য গুণগাহী রেখে গেছেন। মরহুমের বড় ছেলে দৈনিক ফূলকির সম্পাদক ও সাভার প্রেসক্লাবের সভাপতি নাজমুস সাকিব, মেজ ছেলে বাংলাভিশন টিভি’র সাভার প্রতিনিধি নজমুল হুদা শাহীন এবং ছোট ছেলে ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসায়ি নাজমুল আহসান হামীম । তার পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের কাছে মরহুমের রুহের মাগফিরাতের জন্য দোয়া কামনা করেছেন।

  • সাভারে অক্সফোর্ড আস্ট্রাজেনেকা (কোভিশিল্ড) ২য় ডোজ প্রদান ৯ আগষ্ট থেকে শুরু

    সাভারে অক্সফোর্ড আস্ট্রাজেনেকা (কোভিশিল্ড) ২য় ডোজ প্রদান ৯ আগষ্ট থেকে শুরু

    -ঃবিজ্ঞপ্তিঃ-

    সাভারে অক্সফোর্ড আস্ট্রাজেনেকা (কোভিশিল্ড) ২য় ডোজ প্রদান ৯ আগষ্ট থেকে শুরু

    প্রিয় সাভার বাসী,
    আসসালামু আলাইকুম। আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, ৯ আগষ্ট সোমবার থেকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  Oxford-AstraZeneca (কোভিশিল্ড) ২য় ডোজ প্রদান শুরু করা হবে।
    যারা ইতোপূর্বে ১ম ডোজ টিকা গ্রহণ করেছেন,মেসেজ পাওয়া সাপেক্ষে শুধুমাত্র তাঁদেরকেই ২য় ডোজ গ্রহণ করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।

    সবাই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন
    মাস্ক পরিধান করুন
    টিকা নিন,সুস্থ থাকুন।

    সায়েমুল হুদা
    ইউএইচ এন্ড এফপিও
    সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

    সাভারে উপজেলায় বিভিন্ন এলাকা ভিত্তিক জরুরি ভাবে ক্ষুদ্র বিনিয়োগের মাধ্যমে উদ্যোগতা প্রয়োজন। ঝুঁকিহীনভাবে ব্যবসায় আপনাকে নিয়ে যাবে সাফল্যর শীর্ষে।
    সরাসরি সিলেটের শীর্ষ স্থানীয় চা পাতার মধ্য গ্রীন লেভেল টির সকল প্যাকেট ও টি ব্যাগ,বিটি২ পাইকারি মূল্যে সরাসরি সেলস ডিস্ট্রিবিউট করা হচ্ছে এখন সাভারে। আপনার এলাকায় কাজ করতে আগ্রহী ব্যক্তিরা যোগাযোগ করুনঃ (MCATC), সাভার,ঢাকা।০১৬৭৩০৮৬৮১৪।
  • সাভার মডেল থানার খতিব আতাউর রহমান ইন্তেকালে শোক

    সাভার মডেল থানার খতিব আতাউর রহমান ইন্তেকালে শোক

    সাভারের ব্যাংক কলোনি মাদ্রাসার শিক্ষক এবং সাভার মডেল থানা জামে মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আতাউর রহমান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)।

    মঙ্গলবার(৩ আগস্ট) বিকেল ৪ টায় রাজধানীর নিউরো সাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ব্রেন স্টোক জনিত কারণে তিনি প্রায় ৩ মাস যাবত সেখানেই চিকিৎসা নিয়ে আসছিলেন।

    মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর। তিনি সহধর্মিনী,তিন মেয়ে,শিক্ষার্থী,আত্মীয়স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

    মুফতি মোহাম্মদ আতাউর রহমানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন তার বড় মেয়ে ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাফিসা রহমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাভার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: ইমরুল হাসান। সাভার ওলামা পরিষদের পক্ষ থেকে শোক জানিয়েছেন মাওলানা কাওসার হোসাইন। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শোক জানিয়েছেন দীর্ঘদিনের মসজিদের উন্নয়নকাজে যুক্ত সাভার মৃৃমডেল থানা জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন মাসুদ চৌধুরীসহ তার শুভাকাঙ্খীরা। অন্য দিকে শোক জানিয়েছেন সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স)। প্রত্যেকে পৃথক শোক বার্তায় মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।জ

  • ফেসবুকে মিথ্যা তথ্যের প্রতিবাদ করেছে আশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান

    ফেসবুকে মিথ্যা তথ্যের প্রতিবাদ করেছে আশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান

    ফেসবুকে মিথ্যা তথ্যের প্রতিবাদ করেছে আশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান

    আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহাবুদ্দিন মাদবর এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল।

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমনই একটি এডিট করা ফটো ভাইরাল করার অপচেষ্টা চলছে, যার সাথে আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহাবুদ্দিন মাদবরের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। বিএনপির কারোর সাথে তার কোন প্রকার সম্পর্ক বা যোগাযোগ নেই ও কখনোই ছিলোনা।

    এই বিষয়ে জানতে চেয়ে, মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাকে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে হেয়ো প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল। তবে তিনি দ্রুতই আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানিয়েছেন। এবং আশুলিয়ার সর্বস্তরের জনগণ তথা দেশবাসীকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহবান জানিয়েছেন এবং গুজব এড়িয়ে চলতেও পরামর্শ দিয়েছেন এই নেতা।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

  • প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

    প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

    প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

    গত ৯ /০৬/২০২১ তারিকে বেসরকারি টেলিভিশন cnnবাংলায় যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাভারের আশুলিয়ার দুর্গাপুর এলাকার মোহাম্মদ আলী সরকার।
    প্রকাশিত সংবাদের সম্পূর্ণ তথ্যই ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সম্পূর্ণ ভুল তথ্যের ভিত্তিতে মনগড়া এ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যা শুধু আমাকে হেয় করার জন্যই প্রকাশিত হয়েছে।

    তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের সম্পূর্ণই মিথ্যে, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
    এ ধরনের বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে সাংবাদিকতার মানকে কলুষিত করা হয়েছে।
    এই সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। -বিজ্ঞপ্তি সংবাদ।

  • সিংগাইর থানায় ওসি মোঃ আসলাম হোসেনর যোগদান

    সিংগাইর থানায় ওসি মোঃ আসলাম হোসেনর যোগদান

    সিংগাইর থানায় ওসি মোঃ আসলাম হোসেনর যোগদান

    সিংগাইর থানায় নবাগত ওসি মোঃ আসলাম হোসেনর যোগদান মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেছেন মোঃ আসলাম হোসেন। তিনি বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) পুলিশ পরিদর্শক সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেন।

    নবাগত অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ আসলাম হোসেনকে সিংগাইর থানার পুলিশের পক্ষ হইতে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জনাব আবুল কালাম পিপিএম সহ অন্যান্য অফিসার ফোর্স-গণ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

    স্থানীয় আরো গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নবাগত অফিসার ইনচার্জ এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ সহ ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেন। পরে রাতে সদ্য যোগদানকারী অফিসার ইনচার্জ সিংগাইর থানা অফিসারদের সঙ্গে পরিচিত হন এবং ব্রিফিং করেন।

    এ ছাড়া শুক্রবার (১২ মার্চ) সংবাদ কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন।

  • কাদের জন্য জান্নাত, আরশের নিচে ছায়াদান সম্পর্কে ইসলাম

    কাদের জন্য জান্নাত, আরশের নিচে ছায়াদান সম্পর্কে ইসলাম

    কাদের জন্য জান্নাত, আরশের নিচে ছায়াদান সম্পর্কে ইসলাম

    ইসলামঃ কাদের জন্য জান্নাত, কারা-ই বা যাবে?আরশের নিচে ছায়াদান সম্পর্কে ইসলাম।মুসলিম বলতেই জান্নাতের আকাঙ্ক্ষী। আর প্রত্যেক মানুষ চায় দুনিয়াতে ও আখিরাতে ভালো স্থানে থাকতে। কিন্তু সবাই কি জান্নাত পাবে? সবাই কি ভালো স্থানে থাকবে? এমন প্রশ্নের জবাব খোঁজা হয়েছে পবিত্র কোরআনে। কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে স্পষ্ট বর্ণিত যে কাদের জন্য জান্নাত এবং কারা জান্নাতে যাবে। সেসব আয়াত থেকে কিছু মানুষের কথা এখানে তুলে ধরা হয়েছে।

    ক্ষমাপ্রার্থীদের জন্য জান্নাত যারা তাওবা করে, তাদের জন্য জান্নাত। ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তারা কখনো কোনো অশ্লীল কাজ করে কিংবা নিজের ওপর জুলুম করে, তখন তারা আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন? তারা নিজের কৃত কর্মের জন্য হঠকারিতা প্রদর্শন করে না এবং জেনেশুনে তার পুনরাবৃত্তি করে না।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৩৫)

    আল্লাহ ও রাসুলের আদেশ মান্যকারীদের জন্য জান্নাত যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সীমারেখা মেনে চলে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। ইরশাদ হয়েছে, ‘এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যে ব্যক্তি আল্লাহর ও তাঁর রাসুলের আদেশমতো চলে, তিনি তাকে জান্নাতসমূহে প্রবেশ করাবেন, যেগুলোর তলদেশ দিয়ে নদী প্রবাহিত হবে। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। এটা বিরাট সাফল্য…।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৩-১৪)

    ঈমানদার ও সৎকর্মশীলদের জন্য জান্নাত ঈমানদার ও নেককারদের জন্য জান্নাত। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে, অবশ্যই আমি তাদের প্রবিষ্ট করাব জান্নাতে, যার তলদেশে প্রবাহিত রয়েছে নহরসমূহ। সেখানে তারা থাকবে অনন্তকাল। সেখানে তাদের জন্য থাকবে পবিত্র স্ত্রী এবং তাদের আমি প্রবিষ্ট করাব ঘন ছায়ানীড়ে।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৫৭)

    নামাজি ও সচ্চরিত্রবানের জন্য জান্নাত যারা নিয়মিত নামাজ পড়ে, দান-খয়রাত করে এবং সচ্চরিত্রের অধিকারী, তাদের জন্য জান্নাত। ইরশাদ হয়েছে, ‘তবে তারা স্বতন্ত্র, যারা নামাজ আদায়কারী। যারা তাদের নামাজে সার্বক্ষণিক কায়েম থাকে। এবং যাদের ধন-সম্পদে নির্ধারিত হক আছে যাচ্ঞাকারী ও বঞ্চিতের এবং যারা প্রতিফল দিবসকে সত্য বলে বিশ্বাস করে। এবং নিশ্চয়ই তাদের পালনকর্তার শাস্তি থেকে নিঃশঙ্ক থাকা যায় না। এবং যারা তাদের যৌন অঙ্গকে সংযত রাখে। কিন্তু তাদের স্ত্রী অথবা মালিকানাভুক্ত দাসীদের বেলায় তিরস্কৃত হবে না, অতএব যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে তারাই সীমা লঙ্ঘনকারী। এবং যারা তাদের আমানত ও অঙ্গীকার রক্ষা করে এবং যারা তাদের সাক্ষ্যদানে নিষ্ঠাবান এবং যারা তাদের নামাজে যত্নবান তারাই জান্নাতে সম্মানিত হবে।’ (সুরা : আল-মাআরিজ, আয়াত : ২২-৩৫)

    খোদাভীরু ও পরহেজগারদের জন্য জান্নাত যারা আল্লাহকে ভয় করে এবং তাকওয়া অবলম্বন করে, তাদের জন্য জান্নাত। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই খোদাভীরুরা থাকবে ছায়ায় ও প্রস্রবণসমূহে এবং তাদের বাঞ্ছিত ফলমূলের মধ্যে। বলা হবে, তোমরা যা করতে তার বিনিময় তৃপ্তির সঙ্গে পানাহার করো। এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদের পুরস্কৃত করে থাকি।’ (সুরা : মুরসালাত, আয়াত : ৪১-৪৪)

    নারী-পুরুষ-নির্বিশেষে সবার জন্য জান্নাত নিজ নিজ আমল অনুযায়ী নারী-পুরুষ সবাই জান্নাতে যাবে। এ ক্ষেত্রে কোনো তারতম্য করা হবে না। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই মুসলমান পুরুষ, মুসলমান নারী, ঈমানদার পুরুষ, ঈমানদার নারী, অনুগত পুরুষ, অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ, সত্যবাদী নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ, ধৈর্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ, বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ, দানশীল নারী, রোজা পালনকারী পুরুষ, রোজা পালনকারী নারী, লজ্জাস্থান হেফাজতকারী পুরুষ, লজ্জাস্থান হেফাজতকারী নারী—তাদের জন্য আল্লাহ প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৩৫)

    মুমিনরা জীবন ও সম্পদের বিনিময়ে জান্নাত ক্রয় করে নিয়েছে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জীবন ও সম্পদ। এর বিনিময়ে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর পথে, অতঃপর মারে ও মরে। তাওরাত, ইনজিন ও কোরআনে এ বিষয়ে তাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি রয়েছে। আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে শ্রেষ্ঠ? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেনদেনের ওপর, যা তোমরা করছ তাঁর সঙ্গে। আর এ হলো মহান সাফল্য। তারা তাওবাকারী, ইবাদতকারী, শোকরগোজার, সিয়াম পালনকারী, রুকু ও সিজদা আদায়কারী, সৎকাজের আদেশ দানকারী ও মন্দ কাজ থেকে নিবৃত্তকারী এবং আল্লাহর দেওয়া সীমাসমূহের হেফাজতকারী। সুসংবাদ দাও ঈমানদারদের।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ১১১-১১২)

    সাত ব্যক্তি আরশের ছায়ায় স্থান পাবে আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যেদিন আল্লাহর রহমতের ছায়া ছাড়া অন্য কোনো ছায়া থাকবে না, সেদিন আল্লাহ তাআলা সাত ধরনের মানুষকে তাঁর আরশের ছায়ায় আশ্রয় দেবেন—১. ন্যায়পরায়ণ শাসক। ২. যে যৌবনে আল্লাহর ইবাদতে লিপ্ত থাকে। ৩. যার অন্তর সর্বদা মসজিদের সঙ্গে লেগে থাকে। ৪. ওই ব্যক্তি, যারা আল্লাহর উদ্দেশে পরস্পরকে ভালোবাসে এবং আল্লাহর জন্যই পরস্পর একত্র হয় এবং তাঁর জন্যই সম্পর্ক ছিন্ন করে। ৫. ওই ব্যক্তি, যাকে কোনো বংশীয়ভাবে মর্যাদাবান রূপসী নারী কুকর্মের প্রতি আহ্বান জানায়; কিন্তু সে এ কথা বলে তা প্রত্যাখ্যান করে যে আমি আল্লাহকে ভয় করি। ৬. যে ব্যক্তি এমন গোপনে দান-সদকা করে যে তার ডান হাতে কী দান করেছে, বাম হাত তা জানে না। ৭. যে ব্যক্তি নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তাঁর ভয়ে চক্ষুদ্বয় থেকে অশ্রু ঝরে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৬০ মুসলিম, হাদিস : ১০৩১)

     

     

  • আল্লামা মামুনুল হক চুয়াডাঙ্গায় ‘বঙ্গবাঘ’ উপাধি পেয়েছেন

    আল্লামা মামুনুল হক চুয়াডাঙ্গায় ‘বঙ্গবাঘ’ উপাধি পেয়েছেন

    আল্লামা মামুনুল হক চুয়াডাঙ্গায় ‘বঙ্গবাঘ’ উপাধি পেয়েছেন

    লাখো ধর্মপ্রাণ মানুষের সমাগমে বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে চুয়াডাঙ্গায় দু’দিনব্যাপী জেলা উলামা পরিষদের ১৩তম ইসলামী মহাসম্মেলন ও ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    রোববার রাতে চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজ-সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত ইসলামি মহাসম্মেলন ও আলোচনা সভার মূল আকর্ষণ ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব শায়খুল হাদিস আল্লামা মামুনুল হক। এই মাহফিলে শায়খুল হাদিস আল্লামা মামুনুল হককে চুয়াডাঙ্গা জেলা উলামা পরিষদের পক্ষ থেকে বাংলার বাঘ তথা ‘বঙ্গবাঘ’ উপাধি দেয়া হয়। ‘

    বঙ্গবাঘ’ উপাধি দিয়ে তা মাইকে ঘোষণা করা হলে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া ও যশোরসহ দেশের বিভিন্ন শহর, গ্রাম, পাড়া, মহল্লা থেকে আগত লাখ লাখ মানুষ নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে মাহফিলস্থল প্রকম্পিত করে তোলে।

    মাহফিলের প্রধান বক্তা শায়খুল হাদিস আল্লামা মামুনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ইসলাম অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। এদেশে ইসলাম বিপন্ন হলে স্বাধীনতাও হুমকির মুখে পড়বে। এ জন্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের একইসাথে দেশ ও দেশের স্বাধীনতা এবং ইসলামকে ভালোবাসতে হবে।

    দেশবিরোধী ও ইসলামবিরোধী শক্তি এক ও অভিন্ন। তাই মনে রাখবেন, যারা ইসলামবিরোধী তারাই বাংলাদেশবিরোধী। কাজেই দেশী-বিদেশী সকল আগ্রাসী আধিপত্যবাদী শক্তির হাত থেকে দেশ ও ইসলামকে রক্ষা করার জন্য সকল দেশপ্রেমিক ও ইসলামপ্রেমিক জনতাকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। আজকের এই মাহফিলে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি এটাই প্রমাণ করে যে বাংলাদেশে মাটি ইসলামের ঘাঁটি।

    তাই এদেশে আর কিছু থাক না থাক ইসলাম থাকবেই। ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার বড় তাৎপর্য ছিল ‘তবুও এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব, ইনশা-আল্লাহ’। যে দেশের নেতা ইনশা-আল্লাহ-এর মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, যে দেশের মানুষ আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিনের শক্তির ওপর আস্থা ও অবিচল বিশ্বাস রেখে স্বাধীনভা লাভ করে, সে দেশের স্বাধীনতা থেকে ইসলামকে বিছিন্ন করা যাবে না। যারা স্বাধীনতা থেকে ইসলামকে বিছিন্ন করবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, মনে রাখবেন তারাই স্বাধীনতা ও ইসলামের দুশমন।

    এসময় তিনি আলেম সমাবেশের উদ্দেশে বলেন, আলেম সমাজ আজ থেকে শপথ নাও, কাউকে খুশি করতে গিয়ে হক বলা থেকে বিরত থাকা যাবে না। প্রয়োজনে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে হলেও হক কথা বলতে হবে। শুধুমাত্র আল্লাহ খুশি করাই হবে আমাদের একমাত্র কাজ।’

    এছাড়া আল্লামা মামুনুল হক কোরআন-হাদিস থেকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।
    মাহফিলে দেশের বিভিন্ন শহর, গ্রাম, পাড়া, মহল্লা থেকে আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লি, নারী-পুরুষসহ অন্তত দুই লাখ জনতার উপস্থিতি চোখে পড়ে। দেরিতে আসায় মাহফিল ময়দানে জায়গা না পেয়ে যেখানে-সেখানে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রধান বক্তার বক্তব্য উপভোগ করেন অনেকেই।

    মাহফিলের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সার্বক্ষণিক দায়িত্বে ছিলেন পুলিশসহ স্থানীয় কয়েক শ’ স্বেচ্ছাসেবক। প্রধান বক্তা আল্লামা মামুনুল হকের বক্তব্য রেকর্ড করতে মঞ্চের সামনে ক্যামেরা নিয়ে ভিড় করেন বিভিন্ন ইউটিউবার, আইপি টিভিসহ ফেসবুক পেজের অ্যাডমিনরা। বাস-ট্রাক, মাইক্রো-মিনিবাস, সিএনজি-অটো, মোটরসাইকেলসহ নানা ধরনের ছোট-বড় যানবাহনযোগে মাহফিলে উপস্থিত হয়ে আলোচনা শোনেন লাখ লাখ মানুষ।

    গতকাল বিকেলের পরপরই বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে সড়কে প্রচুর যানজটের সৃষ্টি হলেও ধর্মপ্রাণ মানুষেরা সেসব উপেক্ষা করেই পৌঁছান মাহফিলস্থলে। যদিও আয়োজকদের পক্ষ থেকে বিশালাকার প্যান্ডেলের প্রস্তুত রাখা হয়েছিল, তারপরও মাঠ ছাপিয়ে দর্শক শ্রোতাদের জায়গা নিতে হয় আশপাশের সড়ক ও খালি জায়গাগুলোতে। সন্ধ্যার আগেই আশেপাশের বেশকয়েকটি জেলা থেকে আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অংশগ্রহণে কা’নায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মাহফিল-প্যান্ডেল। তবে মাহফিলের মূল আ’নুষ্ঠানিকতা শুরু হয় মাগরিবের নামাজের পর।

    উল্লেখ্য, প্রথমে বিভিন্ন দিকে কিছুটা কান কথা শোনা যায়, এ মহাসম্মেলন হচ্ছে না। তবে উলামা পরিষদ থেকে বারবার জানানো হয়েছিল দু’দিনের ম’হাসম্মেলন হচ্ছে। কিন্তু প্রথম দিন ও সকল প্রচার-প্রচারণাসহ ঘো’ষণা মঞ্চে এ আয়োজনকে ১৩তম ইসলামি মহাসম্মেলন বলা হলেও শনিবার মাহফিলের ব্যানার হঠাৎ করেই পরিবর্তন করে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উ’পলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় লেখা ছিল। এ নিয়ে উলামা পরিষদের এক সিনিয়র নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্ত দিয়ে বলেছেন, ‘প্রশাসন থেকে এমনটিই নির্দেশনা ছিল।- ডেক্স সংবাদ।

  • আত্মীয়-স্বজনের চেয়ে প্রতিবেশির হক কি বেশি নাকি কম? জেনে নিন ইসলাম কি বলে

    আত্মীয়-স্বজনের চেয়ে প্রতিবেশির হক কি বেশি নাকি কম? জেনে নিন ইসলাম কি বলে

    আত্মীয়-স্বজনের চেয়ে প্রতিবেশির হক কি বেশি নাকি কম? জেনে নিন ইসলাম কি বলে

    ইসলামঃ
    আত্মীয়-স্বজনের চেয়ে প্রতিবেশির হক কি বেশি?
    প্রতিবেশির চেয়ে আত্মীয়-স্বজন প্রতিটি মানুষের কাছেই অনেক আপন। কিন্তু আত্মীয়-স্বজন কখনোই প্রতিবেশির চেয়ে বেশি উপকারে আসে না। কারণ আত্মীয়-স্বজন সবসময় ধারে-কাছে থাকে না। প্রতিবেশিরাই বিপদে-আপদে, দুঃখ-দুর্দশায় একে অপরের কাছে প্রথমে এগিয়ে আসে। প্রতিবেশির যথাযথ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই সামাজিক শান্তি নিশ্চিত হয়।

    বিপদের সময় আত্মীয়-স্বজনের আগে প্রতিবেশিরাই খোঁজ-খবর নেয় এবং সেবাযত্ন করে থাকে। শুধু তা-ই নয়, সামাজিক কাজ-কর্ম, বিয়ে-শাদীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আত্মীয়-স্বজনের চেয়ে প্রতিবেশিরাই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে থাকে।

    যদিও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীদেরকে কুরআন-হাদিসে পাকে অভিশপ্ত বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তথাপিও প্রতিবেশির সঙ্গে সদাচরণের ব্যাপারে কুরআনে পাকে সুস্পষ্ট নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন-‘কাছের প্রতিবেশি, দূর প্রতিবেশি এবং সঙ্গী-সাথীদের সঙ্গে উত্তম ব্যবহার কর।’ (সুরা নিসা : আয়াত ৩৬)

    প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হক বা অধিকার হিসেবে প্রতিবেশিকে ৩ ভাগে বিভক্ত করেছেন-> এক হক বিশিষ্ট প্রতিবেশি। যারা আত্মীয় নয় আবার মুসলিমও নয়।> দুই হক বিশিষ্ট প্রতিবেশি। যারা আত্মীয় নয়, তবে মুসলিম।> তিন হক বিশিষ্ট প্রতিবেশি। যারা আত্মীয় এবং মুসলিম।

    প্রতিবেশি অমুসলিম হলেও একে অন্যের সহযোগী। একে অপরের সঙ্গে চলা-ফেরা, ওঠা-বসায় পাস্পরিক সহযোগিতা করে থাকে।

    আবার প্রতিবেশি মুসলিম হলে এমনিতেই তার দু’টি হক প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। একটি হলো সে প্রতিবেশি হিসেবে খোঁজ-খবর রাখার অধিকার রাখে। আবার মুসলিম হওয়ার কারণে হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী এমনিতেই এক মুসলমানের সঙ্গে অপর মুসলমানের একাধিক ৬টি হক জড়িত বলে হাদিসে প্রিয়নবি ঘোষণা করেছেন।

    আবার প্রতিবেশি যদি আত্মীয় হয় তবে সে ক্ষেত্রে উপরোল্লেখিত অধিকারগুলোর সঙ্গে আত্মীয়তার হকও মিলে যায়। কেননা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীর প্রতি কুরআন এবং হাদিসের একাধিক স্থানে ভয়াবহ ক্ষতির ঘোষণা এসেছে।

    সুতরাং প্রতিবেশি সঙ্গে মিলেমিশে থাকা, তাদের সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণ করা প্রত্যেকের মুসলমানেরই নৈতিক দায়িত্ব। কেননা কাছের এবং দূরেরসহ সব প্রতিবেশির সঙ্গে সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা।

    মনে রাখতে হবেপ্রতিবেশিকে কষ্ট দেয়া ঈমানের পরপন্থী কাজ। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন– যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশিকে কষ্ট না দেয়।’ (মিশকাত)শুধু এ হাদিসই নয়, বরং প্রিয়নবি ৩বার শপথ করে বলেছেন– আল্লাহর শপথ! সে ব্যক্তি ঈমানদার নয় (৩ বার এ শপথ করার পর সাহাবায়ে কেরাম) প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! কে সেই ব্যক্তি? জবাবে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘যার প্রতিবেশি তার অনিষ্ট বা ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকতে পারে না।’ (মিশকাত)

    সুতরাং কুরআনের নির্দেশ এবং হাদিসের নির্দেশনা থেকে বুঝা যায়, প্রতিবেশির হক বা অধিকারের প্রতি সেভাবেই লক্ষ্য রাখা উচিত যেভাবে প্রতিবেশিদের একজন অপর জনের বিপদ-আপদে সাহায্যের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে।

    বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আত্মীয়-স্বজনের চেয়েও প্রতিবেশিরাই একে অপরের উপকারে আসে। যদিও আত্মীয় স্বজনের হক বেশি কিন্তু সামাজিক শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে প্রতিবেশির হক বা গুরুত্বও কম নয়। বরং আত্মীয়-স্বজনের অধিকারের চেয়ে প্রতিবেশির প্রতি দ্বায়িত্ববোধ অনেক ক্ষেত্রেই বেশি।

    তাই প্রতিবেশির সঙ্গে সদ্ব্যহার করার পাশাপাশি তাদের সামনে-পেছনে মঙ্গল কামনা করা, তাদের কাউকে কোনো ব্যাপারে কষ্ট না দেয়া। সব সময় একে অপরের উপকারের মানসিকতা পোষণ করা। গরিব ও অসহায় প্রতিবেশিকে ধিক্কার বা অবহেলা না করে তাদের প্রতি কোমল হওয়ার পাশাপাশি সর্বাত্মক সাহায্য-সহযোগিতা করা।

    প্রিয়নবির এ কথার ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে যে-‘ওই ব্যক্তি ঈমানদার নয় যে তৃপ্তিসহকারে খাবার গ্রহণ করে অথচ তার প্রতিবেশি তার পাশেই অভুক্ত, খাদ্যাভাবে পড়ে থাকে।’

    আল্লাহ তা্আলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক প্রতিবেশির অধিকারগুলোর যথাযথ সম্মান, সম্পর্ক বজায় রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন